তিন পয়সার তিনটি সদাই–এখন তখন এখনো না তখনো না?-২
দ্বিতীয় পর্বের শেষাংশ:
রাজার কথা শুনে বুড়ো উজির সাহেব খুবই খুশি হলেন। রাজদরবারে থাকা সবাই হাততালি দিলেন। হিরা চুপ করে বসে বসে ভাবতে লাগলো, সাজা থেকে কীভাবে বাঁচা যায়!
কী সাজা হতে পারে এমন চিন্তা নিয়ে হিরা বসে বসে ভাবছে! দরবারে উপস্থিত সবাই তাকিয়ে আছে রাজার দিকে, কখন সাজার ঘোষণা দিবে। এমন সময় হিরা বসা থেকে উঠে হাত জোর করে রাজাকে বললো, ‘হুজুর, আপনার দরবারে আমি ছোট্ট একটা প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি দয়া করে আপনি অনুমতি দেন।’ হিরা’র কথা শুনে রাজা বললেন, ‘কী এমন প্রশ্ন করবে? করো শুনি!’ হিরা বললো, ‘রাজা হুজুর, আমার প্রশ্ন হলো আপনার রাজদরবার-সহ রাজ্য পরিচালনার জন্য যেসব আইনকানুনগুলো বলবত আছে, এসব আইনকানুন বা নিয়মকানুনগুলো কে তৈরি করেছিল? এগুলো কি আপনি নিজেই তৈরি করেছিলেন? নাকি আপনার রাজদরবারে থাকা অন্য কেউ তৈরি করেছিল?’ হিরা’র করা প্রশ্নে রাজা থমকে গেল! আবার ভাবতেও লাগলো! রাজা মনে মনে বললো, ‘সাংঘাতিক তো!’
রাজা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, ‘আমি শুধু হুকুমের মালিক, হুকুম দিয়ে থাকি। রাজ্য পরিচালনার জন্য যেসব আইনকানুন আছে সেসব আইনকানুন প্রণয়ন করেছিল আমার উজির, নাজির, কোতোয়াল-সহ রাজ্যে থাকা বড়বড় পণ্ডিতগণ। আমি শুধু অনুমোদন দিয়েছি। তো হঠাৎ তোমার এমন প্রশ্ন কেন?’ হিরা বললো, ‘রাজা হুজুর, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনার রাজ্যে যেসব নিয়মকানুন চালু আছে, সেসব নিয়মকানুনগুলোর মধ্যে আপনার রাজবাড়ীর গেইট খোলার নিয়মটা মানুষ ভোগান্তির নিয়ম। তা কি আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন?’ রাজা বললো, ‘কেমন ভোগান্তি?’ হিরা বললো, ‘আপনি আমার রাজা। আমি আপনার মুল্লুকের একজন। প্রতিবছর আপনাকে আমি খাজনা দিয়ে আসছি। না দিলে আপনি আমার বাড়িতে সৈন্যসামন্ত পাঠিয়ে দেন খাজনা আদায়ের জন্য। অথচ আমার কোনও সমস্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে হলে আপনার রাজবাড়ির গেইটে খেয়ে-না-খেয়ে দুইতিন দিন বসে থাকতে হয়। জনসাধারণের জন্য এরকম ভোগান্তি নিয়ম হবে কেন? আমারা কি মানুষ না? আমরা কি বন্য জানোয়ার? আপনার কাছে গরিব মানুষের কোন মূল্যায়ন নেই? দয়া করে প্রশ্নের উত্তর দিন, রাজা হুজুর!’
হিরা’র কথা শুনে উজিরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। নাজির-সহ কোতোয়াল সাহেবের অবস্থাও খারাপ। আর রাজা তো একেবারে চুপ হয়ে বসে রইলেন রাজ সিংহাসনে। রাজাকে চুপ দেখে হিরা আবার বলতে শুরু করলো, ‘রাজা হুজুর, আপনি আমাদের মুল্লুকের রাজা। সমস্ত প্রজাদের অভিভাবকও। প্রজাদের কোনও আপদ-বিপদে আপনার কাছে আসবে। আপনাকে তাঁদের সমস্যা জানাবে। তখন যদি আপনার বাড়ির এই বিশাল গেইটখানা বন্ধ থাকে, আর যদি দুইতিন দিন অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে কেমন হয়? প্রজারা কার কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যা জানাবে? আর আপনার বাড়ির গেইট দুইদিন পরপর খোলা হয় কেন? জনসাধারণের জন্য প্রতিদিন আপনার বাড়ির গেইট খোলা থাকলে আপনার সমস্যাটা কী?
‘আজ যদি আপনার এই মানুষ ভোগান্তি নিয়ম বহাল না থাকতো, তাহলে আজ আর এই ঘটনার সূত্রপাত হতো না। আমাকেও আপনার বাড়ির গেইটে দুইদিন বসে থাকতে হতো না। আপনার উজির সাহেবও আমার থাপ্পড়ের কবলে পড়তো না। তাই আজকের এই ঘটনার জন্য তাঁরাই দায়ী, যাঁরা এই নিয়মটা করেছে। আমি সরাসরি তাঁদেরকেই দায়ী করছি, হুজুর। যদি আপনি করে থাকেন, তাহলে আপনিই দায়ী থাকছেন। এখানে আমার কোন দোষ নেই বলেই আমি মনে করি। এরপরও যদি আমাকে সাজা ভোগ করতে হয়, তাহলে আমি মনে করবো বিনা দোষে আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাই দয়া করে এই বিষয়টি আপনাকে একটু ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি, হুজুর।’
হিরা’র কথা শুনে দরবারে উপস্থিত সবাই হাততালি দিতে শুরু করে দিল। উজির সাহেব চুপচাপ এক কোণে বসে বসে ভাবতে লাগলো। রাজা অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে সবাইকে শান্তভাবে বসতে বললো। সবাই চুপ করে বসে রইলেন। রাজা হিরা’কে কাছে ডাকলেন। হিরা রাজার সিংহাসনের সামনে গেলে, রাজা হিরা’র মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, ‘তুমি ঠিকই বলেছো। আজ তুমি আমার ঘুম ভেঙে দিয়েছ। আজকের এই ঘটনার জন্য আমিই দায়ী থাকলাম। যদিও আমি এই নিয়মগুলো করিনি, তবুও। কারণ, আমি কেন রাজ্যের রাজা হয়ে এসব নিয়মকানুনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখলাম না। আর কেন-ই-বা উজির নাজির কোতোয়াল-এর উপর বিশ্বাস করে রাজদরবারে বসে থাকলাম। দোষ তো আমারই!
‘আমি ঘোষণা দিচ্ছি, আজ থেকে আমার বাড়ির গেইট কোনও দিন রাত বারোটার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে না। দেশের মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আসলে এসব তো আমি কখনো খেয়াল করিনি। আমি যখন বাড়ির বাইরে কোথাও যাই, তখন গেইট খুলে। বাড়ি আসলে গেইট বন্ধ হয়। আমি থাকি অন্দরমহলের ভেতরে। অন্দরমহল থেকে বাড়ির প্রধান গেইট অনেক দূরে থাকার কারণে এসব আর আমার চোখে পড়ে না। এসব ব্যাপারে তুমি ছাড়া আর কেউ আজ পর্যন্ত আমার কাছে নালিশও দেয়নি। তাই আজকের এই ঘটনার জন্য প্রথমত আমি আমার উজিরকেই আমি সরাসরি দায়ী করছি। সেই সাথে আজকের এই ঘটনার জন্য তোমাকে নির্দোষ ঘোষণা করছি। আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি যা করেছ জেদের মাথাই করেছ। তুমি নির্দোষ।’
রাজার ঘোষণা শুনে উজির মনে করছে আজ বুঝি আমার চাকরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু না, তা আর হিরা হতে দেয়নি। হিরা এর আগেই উজিরের সামনে গিয়ে হাতে ধরে বললো, ‘উজির সাহেব, আপনি আমার পিতৃতুল্য। আমি আপনার সাথে সত্যি খারাপ ব্যবহার করেছি। আপনি আমাকে আপনার ছেলে মনে করে ক্ষমা করে দিন।’
হিরা’র এমন ব্যবহারে রাজা খুবই খুশিও হলেন, অবাকও হলেন। ভাবলেন, ছেলেটার তো উপস্থিত বুদ্ধি আছে। সাজা মওকুফের কথা শুনেও নিজের ভুল স্বীকার করে উজিরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলো। চমৎকার বুদ্ধি। এই ছেলেটাকে আমার রাজদরবারে সবসময়ের জন্য দরকার। এই ভেবে রাজা হাসতে হাসতে উজিরকে বললো, ‘উজির সাহেব, আর কী করা! ছেলেটা নিজের ভুল যখন নিজেই স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করছে, আপনি নিজের ছেলে মনে করে ছেলেটাকে ক্ষমা করে দিন।’ উজির রাজার কথা আর অমান্য না করে হিরা’কে ক্ষমা করে দিয়ে হিরা’র সাথে বুকে বুক মিলিয়ে নিলেন। তারপর হিরা রাজা-সহ রাজদরবারে উপস্থিত থাকা সকলকে সালাম জানিয়ে বাড়ি ফিরতে চাইলেন। কিন্তু রাজা তখন হিরা’কে যেতে দিলেন না। রাজা হিরা’কে বললেন, ‘আমাকে তোমার একটা কাজ করে দিতে হবে। হিরা জানতে চাইলেন, ‘কাজটা কী হুজুর?’
রাজা বললো, ‘কাজটা তেমন কিছুই না। তবে আবার ফেলনাও না। কাজটা হলো বাজার থেকে তিন পয়সা দিয়ে তিনটি সদাই আমাকে কিনে এনে দিতে হবে।’ হিরা জানতে চাইল সদাই তিনটি কী কী?’ রাজা বললো, ‘সদাই তিনটি হলো, “এক পয়সার এখন, এক পয়সার তখন, এক পয়সার এখনো না তখনো না।” আমি জানি তুমি এই তিনটি সদাই কিনে আনতে পারবে।’ হিরা তখন অভিনয় করে দাঁড়ানো থেকে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়লো। রাজা বললো, ‘কী ব্যাপার? তুমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লে কেন?’ হিরা বললো, ‘হুজুর, যে তিনটি সদাই’র নাম আপনি বলেছেন, এই সদাই তিনটি বাজারে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এই সদাই তিনটি যেমন মূল্যবান, তেমন আবার খুবই ভারী।’
রাজা বললো, ‘তা যা-ই থাক, আর যেভাবেই হোক সদাই তিনটি আমার দরকার! যদি এই তিনটি সদাই আমাকে কিনে এনে দিতে পার, তাহলে তোমাকে আমি উপযুক্ত বকশিস দিবো।’ হিরা প্রশ্ন করলো, ‘কী বকশিস দিবেন, হুজুর?’ রাজা বললেন, ‘যদি চাও, আমার রাজ্যের অর্ধেক তোমার নামে লিখে দিবো। এ-তে-ও যদি না হয়, তাহলে তুমি যা চাও, তা-ই আমি দিতে রাজি আছি। এসবকিছুর বিনিময়েও আমার আকাঙ্ক্ষা এই তিনটি সদাই চাই চাই। তা কি তুমি পারবে?’ রাজার কথা শেষে হিরা বললো, ‘হুজুর পৃথিবীতে মানুষের অসাধ্য কাজ বলতে কিছুই যদি না থাকে, তাহলে আমি এই সামান্য কাজটুকু করতে পারবো না কেন? আমিও পারবো, হুজুর। তবে এখানে আমার কিছু কথা আছে। কথা হলো, প্রতিদিন আপনার সাংসারিক বাজার-সদাই কে করে? যিনি করে, তাকেই আগে এই সদাই তিনটি কিনে আনার জন্য বলুন। যদি সে না পারে তাহলে আমি কিনে এনে দিবো, কথা দিচ্ছি!’
হিরা’র কথা শুনে রাজা ভেবে দেখলেন, এ-তো ভালো কথা! আমার বাজার সদাই তো আমার উজির সাহেবই করে। তাকেই আগে জিজ্ঞেস করা দরকার। এই ভেবে রাজা উজিরকে জিজ্ঞেস করলো, ‘উজির সাহেব, আপনি কি তিন পয়সা দিয়ে বাজার থেকে হোক আর যেখান থেকেই হোক, এই তিনটি সদাই আমাকে কিনে এনে দিতে পারবেন?’ উজির সাহেব বললেন, ‘রাজা হুজুর, এই তিনটি সদাই’র নাম আমার বাপদাদার চোদ্দগুষ্টিও কোনদিন শুনেনি। আমিও শুনিনি হুজুর। মাফ করবেন হুজুর, আমি এটা পারবো না।’ রাজা তখন হিরা’কে বললেন, ‘আমার উজির তা পারবে না। এই কাজ তোমাকেই করতে হবে।’ হিরা বললো, ‘ঠিক আছে হুজুর, আমিই বাজার থেকে তিন পয়সা দিয়ে আপনাকে তিনটি সদাই কিনে এনে দিবো।’ হিরা’র কথা শুনে রাজা খুবই খুশি হলেন। হিরা’কে রাজ অতিথির মতো সমাদর করে খাওয়ালেন। হিরা তো এমনিতেই দুইদিনের না খাওয়া। তাই হিরা পেট ভরে খেলো।
তারপর রাজা হিরা’কে জিজ্ঞেস করলো, ‘সদাই তিনটি আনতে হলে তোমার কী কী দরকার?’ হিরা বললো, ‘হুজুর, আপনার নিত্যদিনের বাজার করা লোকটিকে আমার সাথে দিবেন। আমি সদাই কিনবো লোকটি দেখবে, আর শিখবে।’ রাজা ভেবে দেখল এ-তো চমৎকার বুদ্ধি? লোকটারও তো শেখার দরকার আছে! রাজা বললেন, ‘তা-ই হবে। আমার উজির সাহেব তোমার সাথে যাবে।’ এই বলেই রাজা উজিরকে বললেন, ‘উজির সাহেব, আপনি ছেলেটার সাথে বাজারে যাবেন। ছেলেটা কীভাবে কী করে, তা দেখবেন, শিখবেন।’ নিরুপায় উজিরের এখন মরি মরি অবস্থা! না পারে রাজি হতে, না পারে হিরা’র সাথে যেতে। উপায়ন্তর না দেখে উজির বললো, ‘হুজুর, ছেলেটার হাতে থাপ্পড়ও খেলাম, এখন আবার ছেলেটার চাকরগিরিও করতে হবে?’ রাজা উজিরকে দিলেন এক ধমক! ধমক দিয়ে বললেন, ‘থাপ্পড় তো আপনাদের ভুলের কারণেই খেলেন, উজির সাহেব। এখন আমি যা বলছি, তা-ই আপনাকে করতে হবে।’ উজির আর কোনও কথা বললেন না, মাথা নেড়ে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন। হিরা রাজার কাছ থেকে তিন পয়সা নিয়ে পকেটে ভরলো। এরপর উজিরকে সাথে নিয়ে বাজারের দিকে রওনা দিলো।
তিন পয়সার তিনটি সদাই–এখন তখন এখনো না তখনো না?-৪
চলবে…
হিরা’র উপস্থিত বুদ্ধি আছে বটে !!
বাজার থেকে তিন পয়সা দিয়ে তিনটি সদাই কিনে দিতে হবে। সদাই তিনটি হলো, এক পয়সার “এখন, এক পয়সার তখন, এক পয়সার এখনো না তখনো না।”
ভীষণ ধাঁধায় পড়ে গেলাম। গল্পকার হিসেবে আপনার নিজস্ব একটা প্ল্যান বা উত্তর নিশ্চয়ই আছে। আমি পাঠক অপেক্ষা করছি কিভাবে এর সমাধান টানবেন।
শুভেচ্ছা মি. নিতাই বাবু। শুভ সকাল।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
বুদ্ধি নাকি বাপের বড় দেখা যাক বুদ্ধিমান কি করে
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য আমার শ্রদ্ধেয় কবি দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
হিরা র বুদ্ধিমত্তায় খুশি হলাম। সলিউশন নিশ্চয়ই একটা বের করে ফেলবে।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
গল্পকে পাঠক প্রিয় করে গড়ে তুলবার যে কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন, সেটা আপনার আছে নিতাই বাবু। চলুক ধারাবাহিকটি। আছি।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি সুমন দাদা।
গল্পটি এবার আরও জমে উঠেছে নিতাই বাবু। অপেক্ষা নিয়ে আছি আরও পড়বার।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি সৌমিত্র দাদা।
পড়লাম দাদা।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
এবার মনে হচ্ছে আরও উপভোগ্য হবে গল্পটি। হিরার জন্য শুভকামনা।
গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে শীঘ্রই হাজির হচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করছি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদি।