-এ্যঁই শোন।
-কি?
-করোনা।
-কি করোনা?
-বলছি দুষ্টুমি করোনা।
-ও!
-হতাশ হলে?
-আমি ভেবেছিলাম অন্য কিছু।
-তোমার তো খালি ওইসব চিন্তা। ফাজিল।
-তুমিই দেখছি একটা আস্ত করোনা ভাইরাস।
-চুপ! একদম অপমান করার চেষ্টা করবে না।
-এখন তো হাত ধরলেও চমকে ওঠো।
-চমকাবো না বলছো। বিড়ি খেতে যেভাবে বাইরে যাচ্ছো। বুনো কোথাকার।
-বিড়ি খেতে গেলেই করোনায় ধররে, কোথায় পাইছো এসব?
-ধরবে না। গণ্ড মুর্খ। পুলিশে চোখে দেখে না কেন, ধরে দুচার ঘা কষিয়ে দিলেই বুঝবা,
হুহ, করোনা কাহাকে বলে।
-তুমি তো বলেছিলে পিয়ারী, যাই হোক না কেন সুখেদুঃখে চিরকাল পাশে থাকবে।
-হুহ পেয়ারী! ঠেলার নাম বাবাজী। প্রতিশ্রুতিটা একটু এডিট করতে হবে।
-প্রতিশ্রুতি এডিট?
-হু, করোনায় ধরলে সুখে দুঃখে পাশে থাকতে পারবো না।এটা কিন্তু আগে থেকে বলে রাখছি।
-মিথ্যাবাদী, বেইমান।
-তুমি মিথ্যাবাদী, তুমি বেইমান।……………….।
অতঃপর তাহারা দীর্ঘ কলহে লিপ্ত হলো। আসলে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।
2 thoughts on “অতঃপর তাহারা দীর্ঘ কলহে লিপ্ত হলো হোম কোয়রেন্টাইনের দিনে”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
অতঃপর তাহাদের এই দীর্ঘ কলহের কাহিনী যে ঘরে ঘরে তৈরী হচ্ছে সেটা বাইরে বেরুলে সহজে বুঝে নেয়া যায়। … তারপরও চাই ঘরে ঘরে শান্তি বিরাজ করুক।