জানালার পর্দা সরাতেই ঘরের মধ্যে আলোরা যেন বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ঢুকে গেলো। ঘুমানোর সময় আলো একেবারেই সহ্য করতে পারে না মিহির। হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে ঘুম ছুটে গেলো এক নিমেষে এবং অবাক হয়ে চেয়ে দেখলো সামনে মিলা দাড়িয়ে আছে। খানিক অবিশ্বাসে নিজের চোখ কচলে মিলার মুখটা ভালো করে দেখলো সে। হ্যাঁ এতো মিলা। অবাক কাণ্ড! নিজের অজান্তেই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলো,
-তুমি?
-হ্যাঁ আমিতো! অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি? মিলা কেমন যেনো খিল খিল করে হেসে উঠলো।
-না না কি যে বলো।
–আমি তোমার রুমে এসেছি বলে তোমার কোন অসুবিধা বা অস্বস্তি?
-না ঠিক তা নয় তুমি তো আসো না তাই বললাম!
– ওহ! ওঠ উঠে পড়। আজকের দিনটা কি মনে আছে তো?
-আছে। তোমার জন্মদিন আর আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।
-বাহ গুড বয়। এবার তাহলে তাড়াতাড়ি উঠে পড়। ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি কিন্তু বিকেলের মধ্যেই বেরুবো। নিজে তো এখনো রান্নাটা শিখলে না। এইবার বিপদে পড়বে। এই বাজারে কাজের লোক পাওয়াই তো মুশকিল। আমি অবশ্য তোমার এই সমস্যার জন্য দায়ী সেটা স্বীকার করতে আমার কোন দ্বিধা নেই। আমি চলে গেলে তুমি তোমার মনের মতো একটা মেয়েকে ঘরের বউ করে আনবা। আমি কিন্তু এতে খুব খুশিই হবো। আর হ্যাঁ তোমার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। বিনা স্বার্থে এক বছর ধরে নিরন্তর সার্পোট দেওয়ার জন্য।
যাহোক এখন তাড়াতাড়ি ওঠো তো আর আলসেমী নয়। বাজারে যেতে হবে।জাহিদকে দুপুরে খেতে বলেছি, আমরা এক সাথে দুপুরে খাবো। যাওয়ার আগে একটা সেলিব্রেট হয়ে যাক। কি বলো। জাহিদকে বলতেই এক কথায় রাজী হয়ে গেলো।
কি বলবে মিহির। কি বলা উচিত তার সে কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না। মিলার যদি তার প্রতি বিন্দু মাত্র ভালোবাসা থাকতো তবে এই নিদারুণ রসিকতা টুকু করতে পারতো না। কৃতজ্ঞতাটুকু তো শুধু কথার কথা। মিহিরের মুখটা হঠাৎ করেই ভীষণ অপমানে কালো হয়ে গেলো। তবু সে স্বাভাবিক ভাবে বিছানা ছাড়লো। এখন কিছুতেই নিজের বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে তার মন চাইছে না। মিহির মনে মনে ভাবলো, আজ হয়তো এই অপমানের জীবনের শেষ হবে। সে সত্যি সত্যি আর পারছে না। গত এক বছর ধরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে সে এখন ভীষণ রকমের ক্লান্ত।
মিলা সকাল সকাল রবীন্দ্র সঙ্গীত ছেড়েছে। আনন্দে আছে মেয়েটা।
যেহেতু আনন্দে আছে মিলা আনন্দেই থাকুক। তার যতই কষ্ট হোক না কেন মিলার সুখ আনন্দ মিহিরের সুখ আনন্দ। সকাল সকাল মিলার এই গান শুনবার অভ্যাসটা তার খুব ভালো লাগে। মে নিজেও গান পাগল মানুষ। শুধু এই অভ্যাস কেন মিলার সব অভ্যাসই তার কাছে ভালো লাগে। এই রূপবতী মেয়েটাকে সে অসম্ভব রকমের ভালোবাসে। বলা যায় জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসে। সবাই বুঝতে পারে শুধু মিলাই তাকে বুঝলো না। এটাই সারাজীবনের আফসোস রয়ে গেলো মিহিরের কাছে। মিলাকে হয়তো আজকের পর থেকে আর সামনে পাওয়া যাবে না কোনদিন। চুক্তি মোতাবেক আজ মিলার সাথে শেষ দিন। এর পর মিলা এই বাড়ি এই সংসার ত্যাগ করবে। কোন আপিল আহাজারিই সেখানে খাটবে না সেখানে।
মিলা খুব কঠিন হৃদয়ের মেয়ে। সে যা বলে তাই করে। মেয়েদের অতিরিক্ত জিদ ভালো না। তার পরিণাম ভালো হয় না কখনো। শুধু মেয়ে কেন সবার ক্ষেত্রে এই একই কথাটা প্রযোজ্য। মিলাকে যে বাগে আয়ত্বে আনতে পারতো বড়ই দুঃখের ব্যপার হলো সে আজ পরপারে। মিহিরের ভাগ্যটা সবসময় এতো খারাপ কেন? কেন তাকে অসময়ে সবাই ছেড়ে চলে যায়। মিহির একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানা থেকে ওঠে যা হবার তা হবে, এসব নিয়ে ভেবে লাভ নাই।
মিলা তাগাদা দেয়,
-কি হলো কি তোমার হলো? আজ বাড়িতে কত কাজ? সব তো আমায় একলাই করতে হবে? সকাল সকাল বাজারে না গেলে হবে?
মিহির ভেবেছিলো একবার না বলে দেবে। কিন্তু পরক্ষণেই বাদ দিয়েছে। মিলা যা জেদী সে হয়তো নিজেই বাজার করতে চলে যাবে। কি দরকার আর শেষ সময়ে ঝামেলা বাড়াবার। আজই তো শেষবার এরপর মিলা তাকে আর কোন আদেশ করবে না। সে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হতে টয়লেটে ঢুকলো।
ছোটবেলা থেকে মিলা, মিহির আর জাহিদ হরিহর আত্মা। একে অন্যকে না দেখে থাকতে পারে না কিছুতেই। জ্ঞান হওয়া অবধি একই পাড়ায় থাকার সুত্র ধরে শুধু দেখা দেখি না খাওয়া দাওয়া, খেলা ঘুরে বেড়ানো সবই চলতো একসাথে। তাদের বন্ধুত্বের সুত্র ধরে তিন পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ও জোরদার সবসময়ই। মিলা একটু বড় হলে দূরত্ব বজায় রাখার চাপ আসে জাহিদ ও মিলার পরিবার থেকে কিন্তু কে শোনে কার কথা আর মিহিরের পরিবার বলতে তেমন কেউ নেই এক বয়স্ক ফুপু ছাড়া। ফুপু তাকে খুব বেশি শাসন করতেন না করবেনই বা কি তিনি সারা বছর প্রায় অসুস্থ থাকতেন। কার এক্সিডেন্টে মারা যাওয়া দম্পতির এক মাত্র ছেলে মিহির। ঢাকা শহরে এই বাড়িটার ভাড়ার আয় থেকে তার সংসার সহ যাবতীয় খরচ চলে। মিলার বাবা যদি সময় মতো পাশে না দাঁড়াতো। তো কোথায় ভেসে যেতে হতো তাকে এতোদিনে। মিলার বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নাই মিহিরের। লোকটি তাকে ছোটবেলা থেকে জান প্রাণ দিয়ে আগলে রেখেছে। তার মধ্যেও অল্প বয়সেই সে জীবনের অনেক অনেক জটিল দিক দেখে ফেলেছে। এটুকুও জানে পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
যা হোক সময় বয়ে চলে সময়ের নিয়মে। কলেজ লাইফে বোঝা গেলো জাহিদ ও মিহির দুজনেই মিলার প্রেমে পড়েছে। মিলা বরাবরই খুব চালাক প্রকৃতির মেয়ে। মিলার ফিলিংস খুব একটা বোঝা না গেলেও মিলার জাহিদের প্রতি আলাদা একটা টান লক্ষনীয় বরাবরই। যদিও মিহিরের সেটা অজানা নয়। কিন্তু ভালোবাসা সবসময়ই অন্ধ হয়।এক্ষেত্রেও তাই। ছাত্র জীবনের এক পর্যায়ে মিহির মেডিকেলে পড়তে চলে যায়। দীর্ঘ বিরতি সেই সময় চালাক জাহিদ খুব সহজে মিলাকে তার নিজের দিকে, মিলার দূর্বলতা টুকু কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে আয়ত্বে নিয়ে নেয়।
কিন্তু বাঁধ সাধে মিলার পরিবার। মিলার বাবা মায়ের সবসময়ের পছন্দ মিহিরকে। নির্ঝঞ্জাট পরিবার। তার উপর মিহিরের মতো ছেলেই হয় না। তার প্রফেশনটাও ভালো। নিশ্চিত জীবন। সময় মত কথা পাড়বেন বলে অপেক্ষা করতে থাকেন মিলার বাবা হাসান সাহেব। কিন্তু অভিজ্ঞ চোখে খুব সহজেই মেয়ে ভালোবাসা যে অন্যখানে তা ধরা পড়ে যায়। এই নিয়ে অশান্তির এক পর্যায়ে মিলার বাবা স্ট্রোক করে। দিন দশেক আই সি ইউ তে থাকার পরে কিছুটা সুস্থ হলে কেবিনে আসার সাথে সাথে মিলার মাকে মিলার বিয়ের জন্য নির্দেশ দেন। তিনি মিলার বিয়ে মিহিরের সাথে দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।
মিলা কোন সময়ই চুপচাপ সবকিছু মেনে নেওয়ার পাত্রী নয়। কিন্তু এবার বাবার অসুস্থ অবস্থা আর মায়ের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে তার ভিতরটা কেঁদে ওঠে। সে মিহিরের সাথে বিয়েতে রাজী হয়। রাজী হবার আগে সে শেষ চেষ্টা হিসাবে মিহিরকে অনুরোধ করে এই বিয়ে ভেঙে দিতে। মিহির যে মিলাকেই সবসময় নিজের করে চেয়ে এসেছে, সে কি করে এই কাজ করবে? মিহির এই বিয়ে ভাঙতে রাজী হয় না। সে কারণ দেখিয়ে হাসান সাহেবের অসুস্থতাকে তুলে ধরে। এরপর বিয়ে তো হয়ে যায় এক রকম। কিন্তু বাসর রাতেই মিলা সরাসরি মিহিরকে জানিয়ে দেয় তারা কখনই স্বামী স্ত্রী রূপে থাকবে না। সেটা সম্ভবও না। সে তাকে বন্ধু ভাবে স্বামী নয়। আর বাইরে সবাই জানবে যে তারা স্বামী স্ত্রী কিন্তু আসল সত্যিটা হবে অন্য।
মিহির মিলার কথায় আহত হয়। সে জানতে চায় তবে কেন এই বিয়ে। কেন এই ছলনা। মিলা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মোটেও এটা তার ছলনা নয়। মিহির তো সব জানেই সে তো কিছু লুকায়নি। এরপর চুক্তি হয় এক বছর সময় দিতে হবে মিলিকে। তারপর সে তার নিজের পথ দেখে নেবে কারণ ততদিনে তার একটা ভালো কাজ জুটে যাবে। এবং শেষ পর্যন্ত সে জাহিদকেই জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে। বাবা মাকে ঠিকই সে এর মধ্যে ম্যানেজ করে নেবে। আর যদি মিলার কথা মিহির না মেনে চলে তো সে নিজের জীবন দিয়ে দেবে।
মিহিরের খুব কষ্ট হয়। কিন্তু মিলার প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকে সে কিছুটা আশা জিইয়ে রাখে মনে মনে। মিলা নিশ্চয় ফিরবে। এক বছর অনেক সময়। কিন্তু মিলা তার সিদ্ধান্তে এখনো পর্যন্ত অটল। গতমাসে মিলা একটা বড় কোম্পানিতে যোগ দিয়েছে। ভালো বেতনের চাকরি। তার কিছুদিন পরে সে জানায় জাহিদের সাথে তার কথা হয়েছে। সময় মত মিলা মিহির কে ত্যাগ করবে। মিহির যেন প্রস্তুত থাকে। ছোট বেলা থেকেই পৃথিবীতে সে অনেক দুঃখ কষ্ট সয়ে মানুষ। এধরনের মানুষের সহ্য ক্ষমতা থাকে অসীম। মিহিরেরও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা অসীম তবে মিলার দেয় ব্যাথা যেন বেশি কষ্টের। সে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। বুকটা ফেটে যাচ্ছো। গতরাতে সে ঠিক মতো ঘুমাতে পারেনি পর্যন্ত। মিলার মনটা এতো পাষাণ কেন? ওর মনটা কি দিয়ে তৈরি?
বাজার করতে করতে বারবার তার চোখ ভিজে উঠছে। রোদ চশমার আড়ালে ভালো করে খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে তার বেদনাগুলি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে চোখে মুখে। মিহির ভাবে আজ যদি মিলার বাবা বেঁচে থাকতেন তবে মিলা এতোটা বেপরোয়া হতে পারতো না। ভাগ্য সবসময় তার সাথে প্রতারণা করেছে। মিহির হঠাৎ করে খুব নিঃসঙ্গ বোধ করল। আজ তার কিছুই ভালো লাগছে না। মিলার সব কাজ বেশ গোছানো এবং অল্প সময়ের মধ্যে সে ঝটপট অনেক কাজ সেরে ফেলে। মিহিরের আসতে আসতে সে রান্নার আনুষঙ্গিক কাজ গুলো সেরে ফেলল। সব রকমের মসলা করা শেষ।
আজকের মেনু দুই রকমের ভাজি, আলু, বেগুন আর মাছ। ডিম ভুনা, রোষ্ট, খাসির মাংস। সাদা ভাত। মিহির মনে মনে ঠিক করলো আজ সে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে তার পর বাড়ি ফিরবে। সে কিছুতেই জাহিদের মুখোমুখি হতে পারবে না। জাহিদ আর মিলাকে একসাথে দেখলে তার বুকটা ফেটে যাবে। দই আর কোক আনা পরে সিগারেট আনার বাহানায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলো।
এই রোড়ে কাছাকাছি একটা পার্ক আছে সে ঠিক করল পার্কে গিয়ে বসে থাকবে। মিলা নিশ্চয় বিকালের দিকে বের হবে। সেরকমই সে জানিয়েছে। সেই ভালো মিলা চলে গেলে সে বাড়ি ফিরবে। তার বুকের মধ্যে অদ্ভুত চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে। গলা বুক শুকিয়ে আসছে। এরকম হচ্ছে কেন সে ঠিক বুঝতে পারছে না। মাথাটাও ধরেছে খুব। মাগরিবের আযান হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। মিহিরের খুব আশা ছিলো যাবার আগে অন্তত মিলা একবার ফোন দেবে। মিলার কোন ফোনই এলো না। এই যে সে দুপুরে খায়নি। বাসায় এতো আয়োজন। মিহির খেয়েছে কি না। কোন খোঁজ নেবারও প্রয়োজন টুকুও বোধ করেনি মেয়েটা।
আসল কথা হলো মিলা তো তাকে ভালোই বাসে না। সেও কি বোকা একথা তো মিলা গত একবছর ধরে বারবার বলে এসেছে। সেতো বলেইছে তার যাবার কোন জায়গা নেই তাই সে বাধ্য হয়ে মিহিরের সাথে স্বামী স্ত্রী খেলা খেলছে। পৃথিবীতে তাকে ভালোবাসার মতো কেউ আর অবশিষ্ট রইলো না। অন্ধকার হয়ে আসতেই মিহির উঠে দাঁড়ালো। মনে হচ্ছে দেহের চলার শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। কোন রকমে সে পা টেনে টেনে বাড়ির পথ ধরলো।
বাড়ি! বাড়ি না বলে শ্মশান বলাই ভালো। মিলা চলে গেছে। হ্যাঁ মিলা চলে গেছে। তাই কোন ঘরেই সন্ধ্যাবাতি জ্বলেনি। মিহিরের বুকটা হঠাৎ হাহাকার করে উঠলো। সে দরজা খুলেই জোরে ডুকরে কেঁদে উঠলো। সে একটু কাঁদতে চায়। তার মনের কষ্ট সে দূর করতে চায়। না কাঁদলে তো সে হালকা হবে না। হালকা না হলে তো বুক ফেটেই মরে যাবে। কিন্তু একি হঠাৎ সারা ঘর ময় আলো আলো হয়ে গেলো কি করে। এতো আলো কেন? কে জ্বালালো এতো আলো?
ঝাপসা চোখে সে দেখতে পেলো কিছু লোকজন কে। এরা কারা ? সবাই এতো হাসি খুশি কেন? আচ্ছা সে কি পাগল হয়ে যাচ্ছে?
হঠাৎ একটা মেয়ে কণ্ঠ বলে উঠলো,
-কোথায় ছিলে এতোক্ষণ? ফোন বন্ধ করে?
মিহির নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলো না। এতো মিলার গলা তবে কি মিলা যায়নি নাকি এখন যাবে? চোখ মুছতেই মিলার দিকে খেয়াল করলো মিলার চোখ ও ভেজা। মিলা অভিযোগের সুরে বলল,
-তুমি আমায় এতো ভালোবাসো তা আগে বলবে তো?
মিহির আস্তে আস্তে বলল,
-আর কতোবার বলতে হবে? মনে হলো সে লজ্জা পাচ্ছে।
এবার জাহিদ হো হো করে হেসে উঠলো আচ্ছা কোন দুপুরের দাওয়াত আর এখনো না খাইয়ে রেখেছিস। তোদের তো দারুণ মিল মোহাব্বত হয়ে গেলো। খাওয়া দাওয়া কিছু জুটবে না এবার হাঁটা দেবো।
মিহির তাড়াতাড়ি বলল …
-না না সে কী? আমারও না খুব ক্ষিদে পেয়েছে। আর এই মেয়েটি কে ঠিক চিনলাম না।
জাহিদ আবারো হো হো করে হেসে উঠলো
-আমি তোর মতো নিরামিষ নাকি? গোপনে বিয়েটা সেরেছি অনেক আগে। দু’একদিনের মধ্যে সবাইকে জানিয়ে দেবো। এর নাম অলোকা।
সমাপ্ত।
অনবদ্য, সুন্দর লেখনী।
বড় গল্প উপহার দেবার জন্য শুভেচ্ছা ধন্যবাদ কবি এবং গল্পকার মি. ইসিয়াক। নিজে লিখুন পাশাপাশি অন্যের লিখাতেও আপনার মন্তব্য দিয়ে সহ-ব্লগারদের অনুপ্রাণিত করুন।
ভালো থাকুন মুরুব্বী। নিরন্তর শুভকামনা রইলো।
আপনার জন্যও একই শুভমিতি রইলো।