পঞ্চাননের বিয়ে
পঞ্চাননের স্বপ্ন অনেক
নিয়ে বিয়ে, শ্বশুরবাড়ি,
দেখে শুনে পাত্রী পেলেন
বংশে তারা কুলীন ভারী।
দূরের গ্রামে থাকে তারা
চাষ মেঠোরাস্তা নিয়ে,
পাত্রী একটু কানে খাটো
তবুও পঞ্চু করলো বিয়ে।
পঞ্চানন ভেবেছিলো
এইতো হল বেশ,
একটা মাত্র জামাই
আদর জুটবে অশেষ।
চোখ জুড়ানো আলোয় সেজে
সানাই বাজলো বিয়ের রাতে
ঝকঝকে এক হাসি ছিলো
পঞ্চাননের ফোকলা দাঁতে।
ঝুলির থেকে লাফালো বেড়াল
ঠিক আটদিন পরে
অষ্টমঙ্গলা কাটলো যখন
ভীষন অনাদরে।
শ্বশুর মশাই কিপটে খুবই
জল গলে না হাতে,
জামাই আদর-লৌকিকতা
নেইতো এদের ধাতে।
শাশুড়িমা ঝগড়াটে খুব
মনটা তবু নরম
পঞ্চাননের পাতে দিলো
ডালিয়া গরমা গরম।
পঞ্চাননের স্বপ্ন ভাঙলো
এখন মাথায় হাত,
বৌটাও তো দজ্জাল খুব
এরা কশাই জাত!
সেই থেকে পঞ্চাননের
স্বপ্ন টানে ইতি,
ভুলভুলাইয়া জীবনে আর
নেই পালানোর গতি।
বেশ মজার একটি লিখা। শুভ সকাল প্রিয় কবি রিয়া রিয়া।
অনেক ধন্যবাদ বন্ধু