সেই মেয়েটা রোজই আসে
সবুজ ঘাসের স্বপ্ন বুনে,
নীলচে আলোর পরত গুনে
লুকিয়ে মাখে মেঘের ফেনা।
রাতের তারার আকাশ দেখে
হাত ছড়িয়ে হাওয়ায় ভেসে,
থমকে দাঁড়ায় ঝড়ের কাছে
পকেট ভরা তারারকুচি।
খুব গরমে রোদকে বকে
বৃষ্টিকে যে আগলে রাখে
ওই মেয়েটা যখন আসে
চাঁদের আলোয় আকাশ ভাসে।
গপ্প বলে কথার ফাঁকে
মেঘ পরীদের সঙ্গে ডাকে
তুমিই জানো সেই মেয়েটা
একটু খানি পাগল কিনা!
আমিও তাকে লুকিয়ে দেখি
ছাদের মাঝে ঘুরতে থাকি
চোখের তারার মাঝে কি সে
রামধনুকে লুকিয়ে রাখে?
মাঝে মাঝে ভুল করে সে
আবোল তাবোল বকবকমে
মনটাকে তার লুকিয়ে রেখে
ছড়িয়ে পড়ে পরাগ মেখে।
রোজ সকালে চুপটি করে
পুব আকাশের জানলা খোলে,
চলতে গিয়ে পথের বাঁকে
থমকে গিয়ে তোমায় খোঁজে।
মেয়েটা বুঝি বড্ড সরল
একটু দস্যি নেইত গরল,
বৃষ্টি হলেই ভিজতে দেখি
ময়না, শালিক সঙ্গে রেখে।
আমি জানি কোথায় থাকে
আমার মনের ঠিক কিনারে
ফুল পরীদের কাপড় পরে
আমায় ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে কাছে।
অবাক হয়ে আকাশ দেখে
মনে মনে গুনগুনিয়ে
হাজার তারার আলোর মাঝে
চাঁদের আলোয় স্নান করে সে।
অবাক হয়ে আকাশ দেখে
মনে মনে গুনগুনিয়ে
হাজার তারার আলোর মাঝে
চাঁদের আলোয় স্নান করে সে।
সাবলীল শব্দ চয়ন,
একটু অন্যরকম স্বাদের বুনা কবি দিদি অনেক শুভেচ্ছা রইল