ফিরে এসো অনির্বাণ
তোমাকে ভুলে থাকবার এক প্রশস্ত ওয়াদামগ্ন আমি;
খুলে বসে আছি তোমার লেখা খেরোখাতা।
তোমাকে আর কোন দিন মনে করবোনা ভাবতে ভাবতে;
আলোকচিত্রে চোখ রেখে রেখে রাত্রি কেটে ভোর।
তোমাকে আর একবারো পেছন ফিরে ডাক দেব না জেনেও;
কী ভীষন রকম উলঙ্গ মানবীর আহবান।
জানি তুমি নও উড়ন্ত মেঘদল,
তুমি রাজহংস নও,
পালকহীন শরীরে ভর করে উড়তে চাইছে না কোন স্বপ্নহংসী,
ব্যস্ত জনপদে দু’পায়ে ভর করে হেঁটে যাওয়াই তোমার নিত্য অভ্যেস।
সেই চিরচেনা রাস্তাটা থেকে তোমাকে একটু সরে আসতে বলেছি মাত্র;
নগ্ন পা ছুঁয়ে দাঁড়াতে বলেছি নিজস্ব আকাশের নীচে,
রূপসা নদীর পাড় ঘেঁসে বেড়ে ওঠা নরম কাশফুলের সাদা ঘ্রাণ
মাখতে বলেছি সর্বাঙ্গে।
শত সহস্র শতাব্দ গড়া কঠিন বৃত্ত থেকে কেবল একবার বের হয়ে দেখো-
এখানে কী আশ্চর্য রকম রোদ খেলা করে,
এখানে সকাল হয় ডাহুকের ঠোঁট জোড়া হেসে,
এঁটো কাঁদা মেখে আর একবার খেলো কানামাছি ভোঁ ভোঁ,
সাত চাড়া অথবা ডাঙ্গুলি।
জীবনের সূত্র মেলেনা কারো কোন দিন;
জটিল সূত্রের মাঝেই বেঁচে থাকে কারোবা অতীত কারোবা বর্তমান;
অভিযোগ রেখে যাব না ধূলোময় প্রান্তর মাঝে;
শুধু সুরহীন সেতারের ক্লান্ত আকুতির মতোন ডেকে যাব –
ফিরে এসো অনির্বাণ,
ব্যর্থ খোলসের আভরণ ঝেড়ে,
ফিরে এসো ধান শালিকের কুঞ্জে ভরা
অবহেলিত এই সোনার বাংলায়।
_______________________________________
কবিতা যখন পেছন ফিরে দেখায় …ছবিতে আমার বাংলাদেশ ।।
ফিরে এসো অনির্বাণ,
ব্যর্থ খোলসের আভরণ ঝেড়ে,
ফিরে এসো ধান শালিকের কুঞ্জে ভরা
অবহেলিত এই সোনার বাংলায়।
বাহ
খুব সুন্দর
সরল অথচ অসাধারণ হয়েছে দিদি ভাই। শুভেচ্ছা নিন পরম শ্রদ্ধায়।
এ আহ্বান হোক সোনার বাংলার উপহার । হোক আমাদের জীবনের সূত্র । শুভ কামনা।
ওয়াও দারুণ হয়েছে তো লেখাটি রোদেলা বোন !!