নাম দিয়েছি স্বাধীনতা
সৃষ্টির আদিমলগ্নে
মূর্তমাণ অবিশুদ্ধ মানবতা ঠাসা শরীরে
হাত রেখে জানতে চাই ;
বুক খোলা দরজার অন্ধকার ঘরে উঁকি দিয়ে
দেখতে ইচ্ছে করে –
ওখানকার বীভৎসতার ইতিহাস।
কান পেতে রাখি ;
আহত পাখির আর্তনাদ আমার শেষ ইন্দ্রিয় কাঁপিয়ে দিয়ে যায়।
বিজ্ঞানের আশীর্বাদে সেই করুণ চিৎকার
নতুন রূপে ফিরে আসে যান্ত্রিক কাঠামোতে।
অবিকল তা আগের মতোই,
শুধু সময় চলে গেছে বেশ।
পুনরায় দাঁড়াই আরশির স্বচ্ছ কাঁচে ;
অবলোকন করি খোলা আকাশের নীচে
শুয়ে থাকা নগ্ন দেহ,
অপবাদের ধারাভাষ্যে ভেসে যায় মৃত রমণীর লাশ।
মেহেদি রাঙ্গানো দু’টো হাত কেবল নরমাংসের
ক্ষুধা বহন করে ;
ওখানে কোন মুহূর্তের জন্য আকুলতা থাকে না,
ওখানে থাকেনা উত্তাপ ছড়ানো যৌবন ;
ঘুঙুর পরানো পা কেবল পরিধি জড়ানো ঘেরাটোপে
ঘুরতে থাকে অবিরত।
পৃথিবী জয়ের উল্লাসে নর পতিরা উৎসবে মাতে ;
ছিঁড়ে কুঁড়ে খায়,
উৎসাহী বাণী লিখে চলে ইথারে।
তাই আধুনিকতার সমস্ত জানালা বন্ধ করে
আদিমতার কুৎসিত চাদর মুড়িয়ে পরে থাকে বাস্তবতা,
যার নাম দিয়েছি—স্বাধীনতা।
'আধুনিকতার সমস্ত জানালা বন্ধ করে
আদিমতার কুৎসিত চাদর মুড়িয়ে পরে থাকে বাস্তবতা, যার নাম দিয়েছি—স্বাধীনতা।'
এই স্বাধীনতায়ও আমরা সবাই পরাধীন এক একটি আলোকহীন নক্ষত্র।
সত্যি তাই ।
বীভৎসতার ইতিহাস। এটা আমাদের লজ্জাস্কর স্বাধীনতার ইতিহাস।
বাস্তবতা সেতাই সুমনদা ।
পরাধীনতায়ও অগনন শুভেচ্ছা নিন দিদি ভাই। শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছা শতত ।
আধুনিক কালের ইতিহাস হবে অনেক ভিন্ন। ব্যাখ্যাাও হবে স্বতন্ত্র বোন রোদেলা নীলা।
হয়তোবা সৌমিত্রদা ।
শুভেচ্ছা রাখলাম কবি রোদেলা নীলা।
অনবদ্য লেখা,শুভেচ্ছা জানবেন