যীশুসম্ভব
তখন কাঠের ভারী হাতুড়ি ক্রমাগত আছড়ে পড়ছিল।
প্রথম পেরেক প্রবেশ করল নরম হাতের তালুর
শিরা উপশিরা ছিন্ন করে, যীশু একটু হাসলেন।
দ্বিতীয় পেরেক ঢুকলো গ্রহের ভার ধরে রাখা
শক্ত পায়ের পাতায়, যীশুর হাসি আরোও চওড়া হলো ঠোঁটের কোণে।
তৃতীয় হাসি পেরেক হয়েই হৃদয়ের পাশের অলিগলি পথে যেতেই
বিস্ফারিত হলো লাল টুকটুকে ঠোঁট গড়িয়ে।
একে একে সব পেরেক পুঁতে ঘর্মাক্ত ভাড়াটে জহ্লাদ ভারা বেয়ে নামছিল,
যীশু তখনো হাসছিলেন।
এতদিন পরে, যখন পাড়ার ফুটফুটে মেয়েটা বিবস্ত্র
অজ্ঞান জলার ধারে, সবচেয়ে মেধাবী ছেলেটা লাশঘরে
মেঝেতে পড়ে একটা প্রতিবাদের জন্য,
হতদরিদ্র আদিবাসী ভাতের আশা ছেড়ে মাছের চোখে
তাকাল দশকোটির প্যান্ডেলের দিকে, যীশু তখনই কাঁদলেন।
অদ্ভুত ভাবে শব্দের বিন্যাস ঘটেছে লিখাটিতে। বেশ প্রিয় সৌমিত্র। শুভ সকাল।