ছিন্নবিচ্ছিন্ন কারিকুরি
মকাইবাড়ীর চায়ের ঠোঁটে আলতো চুমু দিলেই বাঁকুড়া পুরুলিয়ার ছোটনাগপুর মালভূমির শেষ প্রান্ত চলকে উঠে গায়ে ঢলে পড়ে। লালচে বাদামী মাটির ভাঁড় এক বুক মহুয়া নিয়ে টইটম্বুর গত শতাব্দীর টপ্পা ধরে অনায়াসে। জয়চণ্ডী পাহাড়ের ন্যাড়া চুড়ো লাজবন্তী প্রথম প্রেমিকার ভার্সান গায়ে গলিয়ে ঈষৎ মাথা ঝুঁকিয়ে একাকী আমন্ত্রণের সচিত্র কার্ড উড়িয়ে দেয় রুক্ষ রাঢ়ের দুশ্চরিত্র হাওয়ায়।
দেখতে দেখতে সকাল টুপ করে সূর্য প্রসব করে প্রসূতি আলস্যে অকাল ঘুমের তলায় তলিয়ে যায় কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই। অভিশপ্ত মরা ঘাসের হলুদ রূপকথার মাঠে আচমকা হৈ রৈ করে হাজির হয় একতাল কালো মেঘ। গিরগিটি আর তক্ষক আড়াল খোঁজে।
বিষ বাষ্প যত্নে বয়ে বেড়ানো কুচকুচে কালো খরিশ সামনের সহজলভ্য শিকার ফেলে মেতে যায় পিয়ানোর টুংটাং রিডে। থইয়া থইয়া নাচ জমা জলের বেড়ে ওঠা স্পর্ধায়। ডিপ্রেশন ছিঁড়ে ওপার থেকে ভেসে আসে অখণ্ড যৌন ইচ্ছার পোড়া মাটির সুতনুকা ক্লিওপেট্রা।
কয়েক শতাব্দীর কুমারী পাথরের খাঁজে লাজবন্তী উঁকি এক বালিকা সবুজ পাতার। মালভূমির পাঁজরের খাঁচার নীচে জমিয়ে রাখা কালো পোড়া অভিমান ভাসিয়ে ঝমঝম বৃষ্টি নামে।
পড়লাম আর চোখ বুজে অসাধারণ একটা ছবি দেখলাম। সেই ছবির ভিতর একটা মেঘের বাড়ি আছে; সেখানের এক রাজকন্যা এসে আমার অন্তর বাজালো।
এবার চোখ খুলে ছবিটা দেখলাম,কী যে সুন্দর !
সুন্দর মন্তব্য লেখক ভাই।
অসাধারণ একটি গদ্য কাব্য। অভিনন্দন প্রিয় কবি সৌমিত্র।
ধন্যবাদ বড় ভাই।
পড়তে ভালো লাগলো- চমৎকার
ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ভাই।
কী দারুণ কাব্যিক শব্দসম্ভার । চমৎকার বুননে পাঠমুগ্ধ আবেশ । শুভকামনা দাদা ।
ভালোবাসা কবি বোন রুকশানা হক।
অসাধারণ কবিতা পড়লাম কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ভালোবাসাময় ভালোবাসা কবি সুমন ভাই।
খুব সুন্দর একটি কবিতা।
ভালোবাসা কবি বোন সাজিয়া আফরিন।
ডিপ্রেশন ছিঁড়ে ওপার থেকে ভেসে আসে অখণ্ড যৌন ইচ্ছার পোড়া মাটির সুতনুকা ক্লিওপেট্রা। ভয়ানক সুন্দর কবিতা সৌমিত্র ভাই।
ভালোবাসা আবু সাঈদ আহমেদ ভাই।
মালভূমির পাঁজরের খাঁচার নীচে জমিয়ে রাখা কালো পোড়া অভিমান ভাসিয়ে ঝমঝম বৃষ্টি নামে। কী অসাধারণ কবিতা। অবাক হলাম।
শুভেচ্ছা কবি বোন শাকিলা তুবা।
তুমি চুপিচুপি বয়ে যাও বাতায়নে,
আমার উগ্র চোখের পাপড়িতে- শিরায় শিরায়।
আমি এলিয়ে দেই আমাকে সবুজাভ ঘাসের আবহে
আসো তুমি চুপিচুপি
চোখ বন্ধ করলেই এসে ভিড় জমাও তুমি
অবষাদময় দিনে বা রাতে,
বিষাদের আবছায়া, আবডালে
কানাকানি পড়ে যায়।
বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক অভিমান
তারপর না হয় লালচে বাদামী মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া যাবে চা চুমুতে।
তুই কোথায় বালিকা?
মালভূমির পাঁজরের খাঁচার নীচে জমিয়ে রাখা কালো পোড়া অভিমানে।
অনেক গভীরে ডুব দিয়ে লিখেছেন লেখক।
ডুব দিলে উঠতে পারতাম না শাহাদাত ভাই। ভেসে ভেসে ভালোবাসায়।
সৌমিত্র দা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শেখালেন। অসম্ভব ভাল লাগলো।
আনন্দিত হলাম পাভেল ভাই।
অপূর্ব, ঐন্দ্রজালিক লেখা! শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
ঐন্দ্রজালিক !!
যাক তাও খুশি হলাম কবি অর্ক ভাই। 
আমার জন্য কিঞ্চিত জটিল হয়ে গিয়েছে দাদা
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।