বিজাতীয়
শুধুমাত্র আমিই যা দেখতে পাই সেসব আমার গভীর রাতের স্বপ্নের লালন। আমাদের হাসি গান ভয় বিদ্রুপের ঠান্ডা কিম্বা উষ্ণ সময় জুড়ে যে নকশি কাঁথারা ছড়িয়ে আছে তাদের পালন করি নিউরনের নাতিশীতোষ্ণ কুঠরিতে। তাদেরই সন্তান সন্ততি অথবা পৌত্র প্রপৌত্রের কেউ কেউ বয়স জনিত বালখিল্যপনায় সেই বন্ধ ঘরের জানলা টপকে, শাড়ি বা স্রেফ দরজার পর্দা পাকিয়ে ব্যালকনিগুলো থেকে লাফ দেয় নীচে, পালায়…পালায়।
পালানোর রাস্তায় পেয়ে যায় এক ছোট্ট নামগোত্রহীন ম্যাজিক ঝোরা। মাঝরাতের প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের ঘন্টা বাজে গুনে গুনে বারোবার। আর ওমনি ঝুপ্পুস নামে একলা ইয়েতি, একলা ইউনিকর্ণ, একলা দেড় আঙলা দেড়েল মানুষ। বিগত ছায়ার যত ফেলে আসা না কথা, অবজ্ঞা, অকারণ কুৎসা, একগাল হাসি আর নাভিমূলে আদরের ক্ষতচিহ্নের দল পেছনে মিলিয়ে যেতে যেতে বিন্দু হয়।
সামনে অচলায়তনের মস্ত বার দুয়ারী কপাট হাট করে খুলে কুর্ণিশ ঠোকে আজন্ম ক্রীতদাস দুই শান্ত্রী। ঘোড়ার কেশরে ছলকায় অনন্য চাঁপার সুগন্ধি। স্বপ্ন জড়িয়ে, স্বপ্নের গায়ে পা তুলে চুমু খাই। ফের ঘুমোই কালকের রোদ্দুর ছোঁব বলে।
গোপন সামাজিক অসংগতিগুলো ধরা পড়ে যায় মাঝ রাতে আপনার অন্তর-চোখে!
শুভেচ্ছা জানবেন মিঃ সৌমিত্র চক্রবর্তী




আপনার উপস্থিতি ভালো লাগে ইলহাম ভাই।
নিউরনের নাতিশীতোষ্ণ কুঠরি , একলা দেড় আঙলা দেড়েল মানুষ , নাভিমূলে আদরের ক্ষতচিহ্ন- অসাধারণ শব্দের সাথে শব্দের মিলন! ভালো লাগলো।
আর- স্বপ্ন জড়িয়ে, স্বপ্নের গায়ে পা তুলে চুমু খাই – এভাবেই থাকুন কবি'দা

ধন্যবাদ মামুন ভাই।
বেশ ভাল
সুন্দর অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন কবি দা
ভালো লিখেছো প্রিয় কবি সৌমিত্র। পড়লাম।
কতো কী যে বল্লেন; লিখে এবং না লিখে। দুটোই মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
"স্বপ্ন জড়িয়ে, স্বপ্নের গায়ে পা তুলে চুমু খাই। ফের ঘুমোই কালকের রোদ্দুর ছোঁব বলে"।— অভিধানে নাই; কিন্তু আমি নিশ্চিত এই লাইনটার নামই জীবন!
সেই খেলা এখনো খেলতে ইচ্ছে করে, যখন সেই ছোটবেলার সেসব মনে পড়ে যায়। এখনো স্ববপ্ন দেখি, সেই আগের মতোই।
দারুণ শব্দশৈলী দিয়ে নিখুঁত ভাবে গেঁথেছেন শ্রদ্ধেয় দাদা। শুভকামনা রইল।