ঘোমটার আড়ালে পুষ্পকলি
বৃষ্টি ধোয়া সবুজ পল্লবে সূর্যালোকের নৃত্য
শুধু যুগল আবৃত্তির অভাবে
একটি নিভৃত গোধূলি রয়ে গেলো অন্তরালে।
ট্যাগ আর্কাইভঃ দাউদের অণু
বৃষ্টির জল
বৃষ্টির জল
ফোটায় ফোটায় বিগলিত অশ্রু কাহিনী, টলমল নয়নায়
অনিদ্র রজনীর চটপট চটপট..
বুকের আর্দ্রতায় মৃত্তিকার ঘ্রাণ, মিশ্র স্বপ্ন ;
যে রমণী
বহুকাল আগে ছুয়েছিলো একবার!..
খুঁজে কি পাওয়া যাবে তারে আর!
কবিতা
দম
তুই আমার অধম সতীর্থ
ধমকে চমকে নির্ঘুম রেখে
ঘাপটি মেরে থাকিস আমারই বুকে…
হিঙ্গুলী খালের গুপ্তকথা
এককালের জংলি গন্ধ বয়ে আনা আমাদের হিঙ্গুলী খাল, এখনো আঁকে ধড়াসের পিঠের মতন বক্র ফুলি, আজকাল পলি জমা ক্লেদে গোমরা মুখি হয়ে থাকে, গোলা জলে মিশে থাকে দু’ পাড়ের বসতির কষ্ট, প্রাচীন কালকেউটেরা এখনো ভাসে- নতুন নতুন খোলসে। ভাঙ্গা পাঁজরে যখন অঝোরে বৃষ্টি ঝরে তখন আমাদের কালাচান কাকা কোমরে ঝোলা বেঁধে জাল মারতে নামে। দীর্ঘ দলকলমির ঝোপের ভেতর শৈল মাছের ঘাই, কালাচান কাকা দক্ষ হাতে তাদের ধরতে জানে, কায়দা করে হাতড়ে বেড়ায় রূপোলী জলের আঁচলে, কাদামাটির স্তনে।
আসলে, হিঙ্গূলী খালের সঙ্গে কালা-চান কাকার পুরনো সখ্যতা, ফেনী নদীর জল জানে, বাঁক জানে, তটের উত্তাপ চিনে চিনে কালাচান কাকা বুঝতে পারেন নদী আর খালের গুপ্তকথা। কোন মোহনায় গ্রীষ্মের দহন লাগে, কোন জলে ছুঁইয়ে থাকে পলাশের চুম্বন, কোন স্রোতে ভাসে শিমুল ফুল তরঙ্গের আবেগে, তিনি সব খবর রাখেন।…
( হিঙ্গূলী খাল, চট্টগ্রাম- মিরসরাই থানার অন্তর্গত একটি ছোট্ট খালের নাম, যার নামে একটি ইউনিয়ন রয়েছে)
আহ…তৃপ্তি
মৃত্যু!
সে তো একটা পর্দা মাত্র, যার
এপার- ওপারের মধ্যে দুরত্ব হচ্ছে একটি মাত্র নি: শ্বাস!
প্রত্যেকের জীবনে এটি একবারই আসবে, আপনি চাইলেই এর স্বাদ দুবার পেতে পারবেন না;
সুতরাং সবার উচিত
একে তৃপ্তির সাথে গ্রহণ করার জন্য নিজেকে তৈরি করা। যেন বলতে পারি
আহ… তৃপ্তি…
যাচ্ছি চির পূর্ণিমার দেশে
দা উ দু ল ই স লা ম
ডাক দিয়ে যাই……
যদি চলে যাই না ফেরার ঠিকানায়
তবে ক্ষমা করো সখী-
কখনো ভুলোনা আমায়; পৃথিবীর সীমানায়
ভালোবাসার তারা হয়ে রাতের আকাশে দেবো উঁকি
তুমি অপেক্ষায় থেকো প্রিয়তমা
মন দেয়া নেয়ার হিসেব রয়েছে যে বাকী।
দা উ দু ল ই স লা ম।