ধর্ম সংক্রান্ত সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে……!

বর্তমান সময়ে চলমান মহাসংকটের পরিধিকে একত্রে চিন্তা করতে গেলে কোনো বিবেকবান চিন্তাশীল মানুষ স্থির থাকতে পারে না। মানবজাতি তার ভিতরে, আত্মিকভাবে দেউলিয়া, বাইরে সর্বপ্রকার বিপর্যয়ের শিকার। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই, চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য বিরাজ করছে, শোষণমূলক পুঁজিবাদ মাত্র আটজন ব্যক্তির হাতে পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সম্পদ তুলে দিয়েছে, দুর্বৃত্তরা সম্মানের আসন পাচ্ছে, শিক্ষক ছাত্রের হাতে মার খাচ্ছে, সৎ ব্যক্তি জীবনমানের ঊর্ধ্বশ্বাস দৌড়ে সর্বত্র পিছিয়ে পড়ছে। সমস্ত দুনিয়াটা যেন এক নরকুপে পরিণত হয়েছে।

পৃথিবীর চারদিক থেকে আর্ত মানুষের হাহাকার উঠছে- শান্তি চাই, শান্তি চাই। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারে, দরিদ্রের ওপর ধনীর বঞ্চনায়, শোষণে, শাসিতের ওপর শাসকের অবিচারে, ন্যায়ের ওপর অন্যায়ের বিজয়ে, সরলের ওপর ধুর্তের বঞ্চনায়, পৃথিবী আজ মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নিরপরাধ ও শিশুর রক্তে আজ পৃথিবীর মাটি ভেজা। পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর প্রতিটি দেশে খুন, হত্যা, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ ইত্যাদি সর্বরকম অপরাধ প্রতি বছর বেড়ে চলেছে ববং বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর শেষ কোথায়? এর পরিণতি চিন্তা করে সুস্থমস্তিষ্ক মানুষ আজ দিশাহারা। এর ওপর আবার ভয়াবহ বিপদ দাঁড়িয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের যা যে কোনো মুহূর্তে সমস্ত মানবজাতিসহ পৃথিবী গ্রহটাকেই ভেঙে ফেলতে সক্ষম।

আমাদেরকে যেমন মানবজাতি সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে তেমনি বাঙালি জাতিকে নিয়েও চিন্তা করতে হবে, মুসলমান সম্প্রদায়কে নিয়েও চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশের বাসিন্দাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে এ দেশের ৯০% জনগণ ধর্মীয় পরিচয়ে মুসলমান আর পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো চলমান সভ্যতার সংঘাতে একটার পর একটা মুসলিমপ্রধান দেশ ধ্বংস করছে, দখল করে নিচ্ছে, তাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করছে, কোটি কোটি জনগণকে উদ্বাস্তু করছে। বাংলাদেশকেও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলমান আছে বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বারংবার উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে বিশ্বে ধর্ম প্রধান ইস্যু, ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো ধর্মবিশ্বাস ও ইসলাম-বিদ্বেষকে রাজনৈতিক ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করছে। এই ধর্ম সংক্রান্ত সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে ধর্ম নিয়ে এখন সবাইকে কথা বলতে হবে, নইলে দেশ রক্ষা করাই মুশকিল হয়ে যাবে।

3 thoughts on “ধর্ম সংক্রান্ত সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে……!

  1. ধর্ম সংক্রান্ত কথা বলতে হবে বলতে আপনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না। আরেকটু ব্যাখ্যা করবেন, প্লিজ।

  2. লিখাটি মূলতঃ অতি সংক্ষিপ্ত বা সারসংক্ষেপ মনে হয়েছে।
    বর্ণনায় যেভাবে এসেছে তাতে মনে হয়েছে অবস্থার এতোটাই অবনতি ঘটেছে য়ে,
    খুবই দ্রুত একটা করণীয় না বেরুলে বড় ধরণের ক্ষতি অথবা জাতি অসহায় হয়ে উঠবে।

    বাস্তবতা বেশ ভিন্ন। এরচেয়ে অতি ভয়ানক পরিস্থিতিতেও সমাজ নতুন করে দাঁড়াতে পেরেছে। অস্তিত্ব অস্থিরতার বহু সংকটেও মানুষ সময়কে মোকাবেলা করেছে। প্রকৃতি হচ্ছে প্রকৃতির সবচেয়ে বড় নিয়ামক। ধর্ম নিয়ে যে জাতি সবচেয়ে বেশী দম্ভ অথবা অবহেলায় মেতেছে, তারা হেরেছে। ধর্ম ভীতির নয়; সৌহার্দ্য বাড়ানোর। ইতিহাস।

  3. ধর্ম নিয়ে এখন সবাইকে এখন কথা বলতে হবে!

    আমি ঠিক বুঝিনি। আমার মনে হয় লেখাটি আরও বিস্তারিত হওয়া দরকার।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।