মৃত্যুর গন্ধ
মৃত্যু দেখেছে কে?
কালো কালো রাত রাত
আগুণ আগুণ তীব্র গরম
বরফ বরফ হিম শীতল
কোথায় জানি একটা ঝড় হচ্ছিল
খুব বড় কোন ঝড়
স্বত্বা’কে এলোমেলো করে দেয়া ঝড়
আমায় উলটেপালটে একাকার করে নিচ্ছিল
আকাশ বাতাস প্রকৃতির মাঝে,
কেমন যেন এক চরম অশান্তি সত্ত্বার ভেতর
বিস্ফোরণ মাথার ভেতর
তারপর অন্ধকার, অতল গহ্বর;
মৃত্যু কি ছুঁয়ে দিয়েছিল আমায়?
কিংবা আমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম
কে জানে?
খুব হঠাৎ, খুব হঠাৎই বুকের ভেতর কেমন একটা পাহাড় চাপ
যেন সাগরের অতলে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল কেও
দম বন্ধ হওয়ার মুহূর্তে কে যেন জবানে শাহাদাহ্ পড়িয়ে দিল
জিহ্ব নড়ছিল ক্রমাগত
“আশহাদু আল্লাহ্ ই লাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুহু”
ক্রমাগত, ক্রমাগত
কতক্ষণ জানি না,
তারপর হঠাৎ করেই যেন বুকের ওপর থেকে পাহাড় সরে গেলে
অতল অন্ধকার থেকে ভুস করে ভেসে ওঠলাম
তারপর মনের অজান্তেই দু-চোখ জড়িয়ে এক দীর্ঘ শান্তির ঘুম
মৃত্যু কূপ থেকে ডুবিয়ে উঠিয়ে এনেছে ওপরওয়ালা
মৃত্যু দর্শন করিয়ে,
কারণ তো নিশ্চয়ই কিছু একটা আছেই
হয়তো এখনো কিছু কাজ বাঁকি রয়ে গেছে
কিংবা হয়তো এখনো সময় হয় নি ওপার যাত্রার;
তবে মৃত্যুর গন্ধ বসে গেছে আমার স্বত্বায়
মৃত্যুর পথ মাড়িয়ে এসেছে আমার দেহ
এরপর আর চিনতে ভুল হবে না ওপার যাত্রার পথ,
ওটা মেঠো পথ নয়
নয় পিচ-ঢালা পথ
সবুজ ঘাস বেছানো নেই ও পথে
লক্ষ তারার মেলা নেই মৃত্যুর আকাশে,
ও পথে আলো নেই, কেমন এক ছায়া ছায়া অন্ধকার
ও পথটা এক বারই ডুব দেয়ার
তারপর টেনে নেয় চিরঘুমে;
পরের বার ডুবে যেতে যেতে শাহাদাহ্ টুকু যাতে জবানে থাকে
এর থেকে বেশী আর কি চাইবার আছে?
আকাশ বাতাস প্রকৃতির মাঝে,
কেমন যেন এক চরম অশান্তি, আমাদের সত্ত্বার ভেতর
বিস্ফোরণ মাথার ভেতর .. তারপর অন্ধকার, অতল গহ্বর। মৃত্যুর গন্ধ।
শুভেচ্ছা কবি জীবন বাবু।
এক্সিলেন্ট কবিতা।
পরের বার ডুবে যেতে যেতে শাহাদাহ্ টুকু যাতে জবানে থাকে
এর থেকে বেশী আর কি চাইবার আছে।
মৃত্যু দেখেছে কে?
এভাবে আমাদের পরিসমাপ্তি ঘটবে যাযাবর ভাই। ঈশ্বর ভগবান সেরা আধিকারিক।