মায়ামুক্তি

: বুঝলি নগেন, মায়া সব মায়া। দারা পুত্র পরিবার, তুমি কার? কে তোমার?
: গুরুজী, মায়ার ছোট বোন ছায়াকে ছাড়া বাচপো নানে।
: ছায়ার কথা কচ্ছিস! সে যে আরো বড় মায়া রে… কঠিন মায়া…
: গুরুজী ছায়া ছাড়া বাঁচি থাকি কি হপে! আমি মরি যাপো।
: ধুর! মরবি ক্যানে! এত করে যখন জিদ ধইরেছিস তবে তোকে মায়ামুক্ত কইরে দিব।
: গুরুজী, আমাকে কি করতি হপে?
: তোর কিচ্ছু করতি হবেনানে। তবে আমার খরচ না দিলি, জিনিসপত্তরের খরচতো দিতি হবে, না কি নগেন!
: নিঘঘাত দিপো, নিঘঘাত দিপো।
: তুই বারো হাজার দিবি, আর আমার খরচ দশ হাজার- ইচ্ছা হলি দিবি, ইচ্ছা না হলি দিবিনা।

নগেন পরের দিন দুপুরে গঞ্জের হাটে গোয়ালের গরু বেঁচে। বিকেলে গুরুজীর পবিত্র হাতে একত্রে বাইশ হাজার টাকা তুলে দেয়। গুরুজী কথা রাখেন। সেদিন রাতেই ছায়াকে নিয়ে পালিয়ে মায়ার কষ্ট থেকে নগেনকে মুক্তি দিয়ে যান।

16 thoughts on “মায়ামুক্তি

  1. একেবারে মুক্ত!
    বেশ।

  2. গুরুজী কথা রাখেন। সেদিন রাতেই ছায়াকে নিয়ে পালিয়ে মায়ার কষ্ট থেকে নগেনকে মুক্তি দিয়ে যান। :(

  3. যাক, শেষতক বাইশ হাজার টাকা দিয়ে হলেও তো ছায়াকে নগেন বাবু মুক্তি করতে পেরেছে। নগেন বাবু ছায়ামুক্ত হলো। আমি জানতে চাচ্ছি ঐ গুরুজী কি ছায়াকে অপহরণ করেছিল?    

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।