খুরশীদা আর মিজান রিকশা দিয়ে যাচ্ছে। সাথে তাদের প্রথম সন্তান। মিজান বাম হাতে খুরশীদার ডান হাত ধরে রেখেছে। ঢাকা শহরের জামে হোঁচট খেতে খেতে এগুচ্ছে রিকশা।
: আপনে বাবুরে একটা দোলনা কিন্যা দিবাইন?
: কিন্যা দিবাম, বুঝছুইন।
: বাবুরে একদিন চিড়িয়াখানায় লয়া যাইবাইন?
: হ, যাইবাইম, তুমারেও লয়া যাইবাইম।
: আমাগো বাবুরে কুনুদিন বকবাইন না, মারবাইন না।
: না, আমরা কি পাষান যে বাবুরে মারবাম!
দুজনে হুহু কান্না আটকে কথা বলে চলছে। প্রথম সন্তানের প্রতি অপার মমতায় আপ্লুত হচ্ছেন প্রথম মাতা-পিতা। অথচ তারা এখনও সন্তানের চেহারা দেখেন নাই। হয়তো কোনদিন দেখবেন না। কারন চরম অভাবের সংসারে দারিদ্র সবসময় স্নেহ আর ভালবাসাকে পরাজিত করে, খুন করে।
জাম কেটে কেটে রিকশা এগিয়ে যাচ্ছে সস্তায় এবরশন করানোর ক্লিনিকের ঠিকানায়। খুরশীদা আর মিজান অশ্রুসজল। নিরুপায়। তাদের মনের গহীনে এক দোলনায় হাসতে হাসতে দোল খাচ্ছে প্রথম সন্তান, তাদের বংশধর।
অসাধারন এই একটি শব্দ দিয়ে লিখার অসাধারণত্ব প্রকাশ পাবে না।
ধন্যবাদ।
বেশ সুন্দর।
ধন্যবাদ।
অসাধারন, তবু যেন অসাধারন থেকেও ভাল।
ধন্যবাদ।
চমৎকার
ধন্যবাদ।
সাথে তাদের প্রথম সন্তান। রিকশা এগিয়ে যাচ্ছে সস্তায় এবরশন করানোর ক্লিনিকের ঠিকানায়। চরম অভাবের সংসারে দারিদ্র। দোল খাচ্ছে প্রথম সন্তান, তাদের বংশধর। আহা।
ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা পড়ে সত্যি মুগ্ধ হলাম দাদা। চমৎকার লিখেছেন। তবে দাদা, এক হতভাগা! একটিমাত্র ছেলে ছিল। যাকে বলতাম বংশধর। এখন নেই!
অণুগল্পটি পড়ে আমি বিষ্মিত হলাম। এটাও একটা জীবন।
এটাও একটা জীবন।
* নিদারুণ বাস্তবতার চিত্র ….
ধন্যবাদ।
মুগ্ধ।
ধন্যবাদ।
মন বিষণ্ন হলেও গল্পকে গল্প হিসেবেই নিলাম ভাই।
ধন্যবাদ।
বিষন্ন হলো মন ।সার্থক অনুগল্প ।
ধন্যবাদ।
লিখা মনে দাগ কাটার মতো এটা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ও হয় অবস্হা সমম্পন্নরাও শামিল নিষ্ঠুরতাও জন্ম দেয়