ফকির ইলিয়াস এর সকল পোস্ট

ফকির ইলিয়াস সম্পর্কে

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

বংশীবাদকগণ

পৃথিবী আপাতত বেঁচে থাক অন্ধ হয়ে। চলো, আলোর
আয়োজনে আমরা পূরণ করি তরুপ্রতিম সবুজের ছায়া।
তারপর বিলিয়ে দিই, এইসব পূরণ ও প্রমাণ। যারা নিতে
চাইবে – তাদের হাতেই তুলে দেবো দুপুর, দৈন্যতা ও দ্রোহ।

অন্ধত্বের দ্বিতীয় অভিষেক সেরে যারা আমূল গৃহহীন, তাদেরকে
দেখিয়ে যাই ভাঙনের অষ্টম পয়ার। আবার ভাঙুক। গড়ে তোলার
প্রয়োজন নেই আজ। গহীনে হারিয়ে যাওয়া নদীর কঙ্কাল খুঁজে
একদিন আমরাও ডুবুরি হবো – কথা তো এমনই ছিল ! তাহলে
আজ ভয়ের সন্ধ্যা কেন ছানি পাতে আমাদের চোখে ! জলান্তরে
কেন হারিয়ে যায় জলের যৌবন !

পৃথিবী বেঁচে থাক প্রায়শ্চিত্তের সিঁড়ি হয়ে। সেই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
সারি সারি বংশীবাদক বাজাক শুশ্রূষার সুর। কষ্টেরা কাছে নেই, –
না থাক। স্রোতপর্বের প্রতিটি অণুতে, আমরা রেখে যাবো স্বপ্নের
ঋতুচন্দন। অবশেষে যারা অন্ধত্ব নিয়ে বেঁচে থাকবে, তারাই পাবে
এই রঙের বিষাদ। চতুর চক্ষুগুলো খুঁজে কিছুই পাবে না।

চোখগুলো যখন আর আমার সাথে থাকে না

ফড়িঙের পাখাবদলদৃশ্য দেখার সময় হয়ে উঠে না আমার। চলে যায় বসন্ত,
বাসন্তী রঙের আভা রেখে বিদায় নেয় চৈত্র। খরার কথা মনে রেখে সাজিয়ে
রেখেছিলাম যে ছাতা, সে-ও ছায়া প্রদান থেকে বিরত থাকবে বলে ডাকে
ধর্মঘট। আর নগরে যারা ধার্মিক ছিল- তারা আমার পাপের বোঝা দেখে
ঘৃণায় ফিরিয়ে নেয় মুখ। পাপীদের প্রকৃত কোনো পথ থাকে না। তাই অন্ধ
হরিণের মতো উঁকি দিতে গিয়ে দেখি, চোখগুলো আমার সাথে নেই। ভাবি,
এই চোখ দুটি কী আমার ছিল কোনোকালে ! যদি আমারই হতো- তাহলে
এতো সত্য আমি কেন দেখতে পেলাম না! কেন আঁকতে পারলাম না কালিক
প্রস্থানপ্রবাহ রেখা।

মুদ্রিত লোকায়ন চোখে

নগর নগ্ন হয়ে মুছে দেবে এই কৃষ্ণপক্ষ। আর ছায়া কুড়ানি
মানুষেরা মুদ্রিত লোকায়ন চোখে দেখবে সব নমস্য সুন্দর।
বিবর থেকে এর আগে যারা স্থানান্তরিত হয়েছিল অন্য দ্বীপে,
তারাও আসবে ফিরে। ফিরতেই হয়, শতাব্দীর শবদেহ থেকে
যে জ্যোতি থেকে যায় অম্লান – তার চূর্ণ ভেদ করে আবারও
জন্ম নেয় মাঘের প্রকার। একেকটি মৃত্যু যেভাবে রচে যায় শত
জন্মের জলজোসনা। কিংবা খাতার পাতায় কাটাকুটি গুলো পুনরায়
প্রত্যাগত হবে বলে নিজেও সঞ্চয় করে বড় কষ্টে দু’চারটি মুদ্রা।

হলুদ বৃষ্টির ছায়া ♦

desert

মাঝে মাঝেই আমি কান্না ভুলে যাই। মাঝে মাঝেই,
একগুচ্ছ হলুদ বৃষ্টি আমাকে আলিঙ্গন করে।
অনেকগুলো বিষাদ-
সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আমাকে বিদায় জানায়।

অনেকগুলো মৃত্যু,
আমার চারপাশে ছিটিয়ে যায় ফুল, পরাগের প্রহর।
আমি মানুষের প্রস্থানদৃশ্য দেখি। দেখি,
আকাশে আকাশে তারা হয়ে ঝলক দিচ্ছে
যে প্রাণ,
একদিন তারা মাটিতে ছিল। ছিল আমার প্রতিবেশী,
আমার স্বজন।

বেদনার ত্রিভুবনে যে দেহগুলো ঢাকা পড়েছে হলুদ কাপড়ে,
আমি আবার তাদের ছবিগুলো দেখি।
উড়তে উড়তে প্রেমিকার বাহু জড়িয়েছিল যে প্রেমিক,
কিংবা যে শিশু উড্ডয়নের আনন্দে ঘুমিয়ে পড়েছিল
তার মায়ের কোলে-
তাদের মুখছবি আমার দুচোখে ভেসে যেতে থাকে।

কোনো সংবাদই আমি আর পড়তে পারি না।
সকল আকাশকেই আমার অবিশ্বস্ত মনে হয়..
সকল কান্না’কে মনে হয়, সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া
এক একটি পাখির কঙ্কাল।

বীজের সখীত্ব ঘেরা রোদের জীবন ♦

63562

অবশেষে আমিও ভাবতে শুরু করেছি, বীজের সখীত্ব ঘেরা রোদের গার্হস্থ্য
জীবন। কীভাবে জমিয়ে রাখে সবুজ কোলাহল। কীভাবে পাখিদের পাশে দু’মুঠো
খুদদানা ছিটিয়ে দেয় কিষাণী বালিকা। খুটে খাওয়ার দৃশ্য দেখে দাঁড়ায় দুপুর,
এই মধ্যনদীতে যারা নৌকো বেয়ে যায়, তারাও থামে। অতিক্রান্ত জোয়ারের
ধ্বনি বুকে নিয়ে বাঁচে যে মনন, সে তো থেমে গেছে অনেক আগেই। বিধ্বস্থ
আকাশ থেকে স্বপ্ন চুরি করে আমরা যে ছাউনী সাজিয়েছিলাম, বিপন্ন চাঁদের
সাথে- সে ও কাটায় রাত। আর অপেক্ষায় থাকে- মেঘের ঘনত্ব কেটে যাবে
ঠিকই। স্বপ্নেরা স্পর্শ করবে বিষুববৃত্তান্ত মাখা উষ্ণতার হাত।

পাখিসঙ্গী দুপুরের সাথে

eid

অসমাপ্ত তথ্যভাণ্ডারগুলো ছুঁয়ে আমিও রচনা করি ভোরের ইন্দ্রজাল। এই শিশিরকণা
আমার হবে, এমন নিশ্চয়তা পেয়ে শিবুগুপ্তের থলিতে জমা করি কয়েকটি সূর্যের ছায়া।
শিবু আমার বন্ধু। একসাথে হেঁটেছি অনেক পথ। পাখিসঙ্গী দুপুরের পথে একসাথেই
রেখে গেছি পদছাপ। সেই দুপুর গড়িয়ে যখন সূর্য স্পর্শ করেছে সন্ধ্যার সন্ন‌্যাস, ঠিক
তখনই আমরা একসাথেই বেরিয়েছি চন্দ্র দরশনে। রাতকে বলেছি, তুমি সংযত করো
অযুত আঁধার। আমরা ফেরি করবো, সবুজ। মৃত্তিকার সহস্রায়ু পাঁজরে, এঁকে দেবো
নবীন শিলাচূর্ণ। আমার কথায় শিবু, প্রথমে সায় দেয়নি। পরে বলেছে- রাত যদি
আমাদের কথা না শোনে, তাহলে গন্তব্য পরিবর্তন করে আমরা কি নক্ষত্রের কাছে
ফিরে যেতে পারি না ! যে নক্ষত্র একদিন মানুষের ঘর থেকে আলো, ঋণ নিয়েছিল।

লাঙল ও লঙরখানার গল্প

লাঙলগুলো একদিন ঠিকই সনাক্ত করে নেবে লঙরখানা। থালা হাতে বসে আছে
যে মানুষেরা, তাদের কুশল জানতে চাইবে আটলান্টিক মহাসাগরে দায়িত্বরত
সবক’টি যুদ্ধজাহাজ। এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে নেমে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান দেখবেন
তার সাথে হাত মিলাবার জন্য যে মানুষেরা লাইন ধরেছে- তাদের সকলের পরনেই মহাত্মা গান্ধীর সেই পোশাক। গায়ে কাদা লেগে যাবে ভেবে যে বিজ্ঞানী
রহিত করেছিলেন তার গবেষণা, তিনিও নতুন করে হাতে তুলে নেবেন পুরনো বাইনোকোলার। আমি পুনরায় তোমার কাছে ক্ষমা চাইবো। আর বলবো আমাকে
ভুল বুঝো না, প্রিয় কবিতা। জীবন মানেই ছন্দপতনের গান। বিপ্লব মানেই দ্রুত মতবদলের পারদর্শীতা !

কোনো এক অর্ধেক জীবন

অফুরন্ত রোদের পসরা সাজিয়ে উড়ে যায় মেঘ
অন্য কোনো রূপের আকাশে, জেগে থাকে তারাতন্ত্র
এই ডেস্কটপে ক্রমশই ঘুরতে থাকে একটি শাদা চাঁদ
ছিল হলুদ, এখন রঙবদল করে পেয়েছে প্রথমা পরশ।

ভোরগুলো রাঙা হবার আগে, জলেরা ভিজিয়ে যায়
নদীর কিনার। আর চরের পাখিরা আবারও বর্ণকোলাহলে
মাতে ঋতুউৎসবে, একটা নতুন সুরের নাচন ধরা পড়ে
ভ্রাম্যমান পথিকের যাত্রাপথে, ধ্রুপদী কালের ক্যামেরায়।

আমারও ছবি তোলা হয়। কোনো এক অর্ধেক জীবন-
ছুঁয়ে দেখি, তুমি তার ভাগীদার ছিলে-দহনের প্রিয় পরিজন।

পথের পাঠশালা থেকে

পথের পাঠশালা থেকে ফিরে আসে মশগুল পাঠক
হাতে বই নেই। এক ফালি রোদ হাসে তার মুঠোয়
ধরে রাখে- ঝড়, বিপন্ন বসন্ত। তাতেও থাকে খুশি
আর খোশগল্প করে ঢেউয়ের সাথে। সারারাত।

নদীই প্রেমিকা তার- অভিযোগ নেই, নেই কোনো
কামজ আগুন। ধ্যানে, জমায় অবিন্যস্ত কাঠফলক।
ফলকে রতিচিত্র দেখে আমার ভাবনায়ও লাগে আগুন।
দাউ দাউ বৃষ্টিরেখা জ্বালায় উপত্যকা। এখানে এর আগে
অন্য কোনো মানুষের বসতি ছিল! নাকি পথ ছিল শুধু …

শূন্য দুই শূন্য দুই, দুই শূন্য দুই শূন্য

জগতে আর কি আছে দুইয়ের অধিক!
তুমি আমি, আমি তুমি
সত্তা ও পরমাত্মা
অণুক্রমিক ঝড়ের শরীরে বাহারি বিজলীর খেলা

দুটি চোখ সৃষ্টিভ্রমণ শেষে দুটি কর্ণ’কে
সাক্ষী রেখে যায়, যেভাবে দুটি নদী পাশাপাশি
ব’য়ে যেতে যেতে তাকায় দুটি উঁচু পর্বতের দিকে
কিংবা বলতে পারো,
দুটি হাত যেমন আঁকড়ে ধরে আশ্রয়ের
সর্বশেষ মৃত্তিকা।

শূন্যের ভেতরে দুই, দুইয়ের গভীরে শূন্য
মিশিয়ে দিলেই দেখি…
চাঁদ-সূর্য দুটি আলোকপিণ্ড’কে ভেদ করে
উড়ে যাচ্ছে অনন্তকাল
দুটি পিতল বরণ আদিম পাখি।

যুদ্ধবিরোধী কবিতা : ভুলে যাওয়া যুদ্ধকৌশলগুলো

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়, পাশাপাশি রাখি ক্লাউন ও করাত। স’মিলের দাঁত
দিয়ে কাটা কাঠখণ্ডের মতো ক্লাউন গুলোও হোক খণ্ড-বিখণ্ড। দন্ডপ্রাপ্ত বৃক্ষ
ও প্রশাখাগুলো আবার দেখুক মুক্তির আলো। নিভিয়ে দেয়া নিয়ন বাতিগুলো
আবার জ্বলে উঠুক। লেদ মেশিনেই নির্ণিত হোক লোহার ভাগ্য। লৌহমানব-
লৌহমানবীরা, সমাবায়ী হাত তুলে দখল নিতে থাকুক এই অনাবাদী ভূমির।
শিশুদেরকে পতিত জমিগল্প শোনাবো বলে আমরা যারা লিখতে বসেছিলাম,
থেমে যাক তাদের কলমও। কম তো লেখা হয় নি! কম হয় নি,গল্প বলাও।
এবার শুরু হোক মেঘের মিসাইল প্রক্ষেপণ। তা না হলে আমরা যে ক্রমশঃ
ভুলে যাবো যুদ্ধের কৌশল।

#

যুদ্ধবিরোধী কবিতা : অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব

অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব

বুলেট শেষ হয়ে গেলে সৈনিককে দেখাতে হয় বাহুর দক্ষতা। ক্যরাটে কসরত
করে নিতে হয় মাঠের দখল। যে যুদ্ধ অস্ত্র হাতে শুরু হয়েছিল- সেই মুক্ত
হাতের দশটি আঙুলই হয়ে উঠে সর্বশেষ মরণাস্ত্র। জামানত হারিয়ে তখন
বজ্রশিলার মতো বৈশাখও সৈনিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে-এগিয়ে যাও। বাঁচো,
ও বাঁচাও পুষ্পদেশ, মাটি ও মৈত্রীর নিশানা। যেখানে একদিন পরম গৌরবে,
দাঁড়িয়েছিলেন পূর্বপুরুষ, রক্ষা করো তাদের অস্তিত্ব। পাল্লা দাও এইসব ঢেউয়ের
সাথে। আমি এমন বুলেটহীন যুদ্ধের পাশ দিয়ে হেঁটেছি অনেকবার। রক্তাক্ত
না হয়েও জড়িয়ে ধরেছি সবুজ আচ্ছাদন। যুদ্ধবাজ পাথরগুলোকে কাদামাটির
বুক থেকে সরিয়ে দিতে দিতে তালাশ করেছি- ‘এইচএমএস ভিক্টরি’-
নামের সেই যুদ্ধজাহাজটির। ১৮০৫ সালে ট্রাফালগার যুদ্ধের
. যে জাহাজটি এখনও সাক্ষী হয়ে আছে।

# 🌱

নুপুর, যতো দূরে যাই

পালক পৃথিবী হয়ে উড়ে যাচ্ছে আমাদের মন
এই মেঘমুখ-এই মনমৃত্তিকা ছোঁবার প্রত্যয়
নিয়ে আমরা সাজাচ্ছি নৌকা। পার হবো, দেবো
পাড়ি, কালের দারিদ্র- আর ক্ষুধার বিবাদ, মানুষের
সাথে। একটা বকুলগুচ্ছ দেবো সাজিয়ে এই পথের
চূড়ায়। তুমি আসবে তাই- বদলে দিতে ঘোরের নিয়ম।
তারপর আমাদের ছাপাখানা থেকে ছেপে নিয়ে একটি
পোষ্টার- বিলি করে যাবো এই নগরে। আরেকটা সূর্যের
মুখ দেবে উঁকি, এমন দৃশ্য বন্দনায় নত হবে ভোরের ছটা।
আবাদি আলোর খোঁজে যাবো বহুদূর, নুপুর-নেবো
তোমাকেও সাথে, বাজতে ও বাজাতে এই নবম ঘুঙুর।

সরল সলতেকথা

আনন্দের উত্থান দেখি ঢেউয়ের মননে। চিনে রাখি এইসব
লঘু রোদের ঋতি। ইতি টেনে এসেছি সকল মৌন বৈভবের।
কালের কলতানে হারিয়ে গেছে যে গান, তারও স্বরলিপি খুঁজে
বাজাই এস্রাজ। সাজ, সম্ভাষণ সব ভুলে সমবেত হই সকালের
অমোঘ শয্যায়। প্রায় প্রতিভোরে যে পাখি পালক ফেলে যায়,
আমি করি তারও সন্ধান। প্রাণের আগুনে জ্বালাই সলতের সুতো।
দ্রুত চলে যাই মেঘনার বিমুগ্ধ মোহনায়। দেখি আহত পাখিটি উড়ে যায…

ভালোবাসার ভাষাবিজ্ঞান

আমার বুকের ভেতর জমে উঠছে বিজ্ঞান স্বীকৃত পরমাণুর ছাপ। তোমার
গ্রীবার তরল আলো, আর কথা বলার অজস্র ভঙ্গিমা- বেদনা হারিয়ে গেছে
সেই কবে, তা দেখে বুকের পাখিটাও উড়াতে চাইছে সাতরঙের রঙিন পাখনা।

আমার পাঠকক্ষে এভাবে প্রায়ই পঠিত হয় ভালোবাসার ভাষাবিজ্ঞান। প্রায়ই-
তোমার কেশবনের সংকলিত ঢেউ উড়িয়ে নেয় আমাকেও, শব্দেরা ফানুস উড়িয়ে
পালন করে বর্ণউৎসব। কালের মেঘ, ঝরবে বলে কথা দিয়েও-উড়ে অন্য আকাশে।

আমি এখন আর মেঘের প্রতীক্ষায় কাটাই না বিকেল। কিংবা পড়ন্ত সূর্যকেও
জানাই না বিদায়। কারণ জানি, তুমি চোখের অক্ষরে আমার জন্য সাজাও
যে ভোর- তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কোনও ঘোর নেই। নেই কোনও উজ্জ্বল ছবিও।