জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

আমার শিক্ষার্থী

কোমল কুলষমুক্ত মন যার
সে আমার শিক্ষার্থী ।

পদ্মবনের প্রস্ফুটিত পদ্মের মত ব্যবহার যার
সে আমার শিক্ষার্থী।

দূদির্নে দুখী জনের পাশে থাকে যে
সে আমার শিক্ষার্থী।

দেশ মাতৃকা সেবায় নিজ জীবন ব্রত করে যে
সে আমার শিক্ষার্থী।

যে অন্যায়ে প্রতিবাদী বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর যার
সে আমার শিক্ষার্থী।

জ্ঞানের দীপ্ত আহরণের জন্যে চলে যে
সে আমার শিক্ষার্থী।

অজানাকে জানার জন্য অদম্য কৌতুহল আছে যার
সে আমার শিক্ষার্থী।

আকাশের মতো উদার যার মন
সে আমার শিক্ষার্থী।

সূর্যের মতো যে আপন তেজে জ্বলতে শিখেছে
সে আমার শিক্ষার্থী।

নদীর মতো আপন বেগে যে চলতে শিখেছে
সে আমার শিক্ষার্থী।

চোখে যার অভিনব স্বপ্নে ভরা
কিন্তু সকল স্বপ্ন রঙিন,
সে আমার শিক্ষার্থী।

মাটির মতো আছে যার সহ্য ক্ষমতা
সে আমার শিক্ষার্থী।

গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র যার জানা
সে আমার শিক্ষার্থী।

কোরআন,গীতা,ত্রিপিটক,বাইবেল স্ব ধর্মের গ্রন্থ যার বিশ্বাস
সে আমার শিক্ষার্থী।

চাঁদের মতো যে হাসতে পারে
সে আমার শিক্ষার্থী।

যার কথা গুলো কবির কবিতার মতো সুন্দর
সে আমার শিক্ষার্থী।

সৃজাতা যাকে আদর্শের আদর্শ হিসেবে সৃজন করেছে
তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যে,
সে আমার আর্দশ শিক্ষার্থী।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে নেই যার বিশ্বাস
যার চাওয়া পাওয়া সাম্য,
সে আমার শিক্ষার্থী।

যার মনে নেই লোভ, আত্ম অহংকার
সে আমার শিক্ষার্থী।

সুখ শান্তির মধ্যে বিশ্বের শান্তি যার কাম্য
মানুষের জন্য মানুষ,
আর জীবনের জন্য জীবন,
এই যার একমাত্র মুল মন্ত্র,
সে আমার শিক্ষার্থী।

————-
রচনাকালঃ
৩০-০১-২০২০

বাংলা ভাষা

বাংলা আমার মায়ের ভাষা
তাতে আছে ভালোবাসা,
সেই ভাষাতে মিটায় আশা
কামার কুমার জেলে চাষা।

যে ভাষার জন্য বাঙালি ৫২ সালে
দিয়ে গেল তাজা তাজা প্রাণ,
বাংলার ইতিহাসে সেই প্রাণ,
গুলো আজ হয়েছে অম্লান।

রচনাকালঃ
২১/০২/২০২১

ঊনচল্লিশ বছর পর (পর্ব -৩)

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ শীতের হিমেল হাওয়ার স্পর্শে কাপড় গায়ে জড়িয়েছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
আমি শীতের পিঠাপুলি তৈরি করেছি,
এনেছি তোমার প্রিয় খেজুরের রস।

ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন শীতের পিঠাপুলি খায়নি,
আনিনি কখনো আমার বাড়িতে খেজুরের রস।

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ বসন্তদূতের গান শুনেছি,
শুধু তুমি আসবে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
তরুলতার সাথে আমিও সেজেছি
শুধু তোমায় দেখাব বলে।

ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে তাই,
আমি কোনো দিন বসন্তদূতের গান শুনিনি,
সত্যি প্রিয়, আমি কোনো দিন সাজিনি।

ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে তাই,
আমি ঊনচল্লিশ বছর স্থবির ছিলাম,
তোমার আগমনের বার্তায় আজ আমি প্রাণের স্পন্দনে স্পন্দিত হয়েছি।

ঊনচল্লিশ বছর পর- (পর্ব ২)

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ দেখছি গগনে শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা,
শুধু তুমি আসবে বলে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
আমি শিউলি আর কাশফুল তুলে এনেছি,
তুমি আমি একসাথে দেখব বলে।

ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা দেখিনি,
দেখিনি শিউলি আর কাশফুল।

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ হেমন্তের ফসল বাড়িতে এনেছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
আমি নবান্নের উৎসবের আয়োজন করেছি,
তুমি আমি একসাথে উৎসব করব বলে।

ওগো প্রিয়, শুধু তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন নবান্নের উৎসব করেনি,
খায়নি কোনো নবান্ন।

ঊনচল্লিশ বছর পর-( পর্ব -১)

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ গ্রীষ্মের রৌদ্রের তাপদাহে হাঁটছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
মধুমাসের সকল ফল বাড়িতে এনেছি,
তুমি আমি একসাথে তা খাব বলে।

ওগো প্রিয়, তুমি ছিলে না তাই
আমি কোনো দিন গ্রীস্মের রৌদ্রর তাপদাহে হাঁটিনি,
খায়নি কোনো ফল মধুমাসের।

ঊনচল্লিশ বছর পর,
আজ আমি আনন্দে বৃষ্টিতে ভিজছি,
শুধু তুমি আসবে বলে।

তোমার আগমনের বার্তায়,
বর্ষার ভেলা তৈরি করেছি,
তুমি আমি একসাথে বর্ষার জলে ভেলায় ভাসব বলে।

ওগো প্রিয়, তুমি ছিলে না তাই,
আমি কোনো দিন বৃষ্টিতে ভিজিনি,
বর্ষার জলে ভাসিনি কখনো ভেলায়।

রচনাকাল
১০/১০/২০২০

২০২০ সাল

দুই হাজার বিশ,
তোমার আগমনে ধরা থেকে
চলে গেছে সকল সুখ শান্তি
আক্রমণ করেছে অজস্র জীবানু
মানব জীবন গুলো তোলপাড় করেছে
ভয়াল করোনা.,
নেই মানব মনে শান্তি, শুধু আতঙ্ক।
শুধু ভয়।

পঙ্গ পালের আক্রমনে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলার কৃষক
ক্ষেতের পর ক্ষেত উজাড় হয়ে গেছে
অন্নবিহীন উদর আর কৃষকের মলিন মুখ।

দুই হাজার বিশ
তোমার আগমনে অনিয়মিত বৃষ্টি,
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে
কৃষকের ক্ষেতের পর ক্ষেত
নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে লাখো মানুষের গৃহ
নেই, কোথায় কারো মাথা গোজার ঠায়,
শুধু হাহাকার, শূন্য চারদিকে।

হে দুই হাজার বিশ
তোমার আগমনে বাঙালি তার কখনো
গ্রীষ্ম বর্ষা শরত হেমন্ত শীত ও বসন্তের কোনো আনন্দ উৎসব করতে পারেনি
শুধু তোমার আগমনে
করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য।

সমাবিষ্ট প্রার্থনা দূর হোক ধরার সব গ্লানি
আসুক আসুক আসুক ফিরে ধরাতে শান্তি।

রচনাকালঃ
১২/১২/২০২০

সুখ দুঃখে ভরা বসন্ত

ছোট্টো ছোট্টো ছন্দে
বসন্তের নব সাজের আনন্দে।
গেয়ে যায় বসন্তদূত
মনের অভিলাষে গান,
তাতে জুড়াই পত্র বিহীন,
বিটপীর বিভোর প্রাণ।

বসন্তের আগমনে
দখিনা সমীরে ঝরে পড়ে
সকল বিটপীর পত্র,
বসন্তদূত নেচে নেচে
গেয়ে যায় গান
সকাল বিকাল রাত্র।

বসন্তের আগমনে
ধরা সাজে নব সাজে
পত্র বিহীন বিটপীর
শাখে ফোটে পলাশ,
পুষ্পপর সাজি সজ্জিত হয়ে
বিটপীর দুর হয়ে যায়
মনের সকল অভিলাষ।

রচনাকাল
১৭/০২/২০২১

বসন্তের আগমনে

1518094388

ফধরাতে বসন্তের আগমনে
গায় কোকিল তার সুরে মিষ্টি মধুর গান,
পত্র বিহীন বিটপী ভরে যায় পুষ্প মুঞ্জিরতে
ফুরফুরে মিষ্টি দখিনা হাওয়া মন ছুয়ে যায়,
বাসন্তী ফুলের সৌরভের কাছে,
মৌমাছির গুঞ্জন অজস্র।
পত্রবিহীন বিটপীর হৃদয়ে দারুণ কষ্ট,
যখন কোকিল তার শাখে বসে গায়।
বসন্তের আগমনে ধরা সাজে নব সাজে,
রয়ে বিটপীর হৃদয়ে রিক্ত হাহাকার
পত্রের শোকে।

রচনাকালঃ
১০/০২/২০২১

বসন্ত

15180A

হে রাজন, হে ঋতু রাজন
হে বসন্ত, এসেছ তুমি ধরায়,
তোমার আগমনে দখিনা সমীরে
দোর খুলে যায়,
পত্র বিহীন বিটপীতে
কি পুষ্প শোভা পায়।
নির্মম রুষ্ঠ সমীরে ঝরে পড়ে
তরুলতার সাকুল্য পত্র,
বসন্তদূত গেয়ে যায় গান
সকাল বিকাল রাত্র।
হে বসন্ত, তুমি এলে প্রকৃতিতে
আম কাঁঠাল পুষ্প মুঞ্জরিতে যায় ভরা,
একই দেশে থেকে একই জাতির সাথে
চল কেন দুই নিয়ম করে।
কেহ সাজে নব সাজে
কেহ বা পুরান,
কেহ বা আছে ফুলে ফলে
কেহ বা মলিনতা হারান।

রচনাকালঃ
১০/০৩/২০২০

ঠাঁই

আমার মাথা গোঁজানো ঠাঁই নেই,
থাকতাম ঐ পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা
শিমুল গাছের নিচে বসে।
জন্মের পর আমার কাছে কেউ নেই
আমার সব তো ছিল ঐ শিমুল গাছ খানি
হঠাৎ এক ঝড় এসে আমার মাথা গোঁজানোর ঠাঁই
টুকুও অনায়াসে কেড়ে আমার ঠাঁই টুকু।
জীবনের সর্বস্ব দিয়ে আঁকড়িয়ে ছিলাম তাকে
জানি না কেন বিধাতা এরূপ করে আমার সাথে
সাত জন্মে আমার কেউ নেই ,
সত্যি আমার কেউ নেই।
যা ছিল তা কাল বৈশাখী ঝড় সব নিয়েছে কেঁড়ে।
আমার সদা দুঃখ আর দুঃখ
সমাজে জীবনে বিরুদ্ধে জীবন
সুখের বিরুদ্ধে সুখ
আমার ঠাই আজ যাযাবরের স্বর্গরাজ্যের মতো।

রচনাকালঃ
১৩/০২/২০২১

অপূর্ণ জীবনের প্রহরগুলো

আমি তোমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছিলাম
তা আমাকে ফিরিয়ে দাও।
তুমি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল
সুখে দুঃখে থাকবে পাশে পাশে
ছলনা করে ছেড়ে গেলে তুমি
বিরহ অনলে পুড়ছি আমি
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার ভালোবাসা।

যে ভালোবাসা ছিল আমার হৃদয়ে সুপ্ত
তা কেন করলে জাগ্রত,
ভালোবাসার জন্য ছোট্ট নীড়ে পাখিরা ঘুমায়
ভালোবেসে কবি লেখেন কত শত কবিতা
ভালোবেসে শিল্প আঁকেন কত শত ছবি
ছলনার তরে নয়।
ফিরিয়ে দাও –
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমার সেই প্রথম ভালোবাসা।

দেবদাস হয়ে আমি ঘুরি বনে জঙ্গলে
খাঁ,খাঁ করে আমার গৃহস্থালি
আমার জন্য কাঁদে আমার জনম দুঃখিনী মা
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার ভালোবাসা।

এখন কর কেন ঘৃণা অহংকার
বার বার বলছিলাম বাসব ভালো আজীবন তোমারে
বুঝল না তো
ছলনা করে চলে গেলে
ফিরিয়ে দাও,
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার দেওয়া সেই নিখুঁত ভালোবাসা।

আমার ভালোবাসায় ছিলো না কো অভিমান
তুমি শুধু করছে আমায় অপমান,
ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও, আমার সেই পবিত্র ভালোবাসা।

যার জন্য আমার জীবন এখন নরকময়
তুমি তো তাই চেয়েছিলো
তাই না –
ফিরিয়ে দাও
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমাকে দেওয়া সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।

আমার জীবনের অর্পণ প্রহর গুলো কাটবে কেমন করে
তোমায় ছাড়া আমার জীবন চলবে কেমন করে
দুখ আমার নিত্য সাথী
শুধু তোমার জন্য
ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও আমার সেই নির্লোভ ভালোবাসা।

দিবসে নিশিতে তোমার স্মৃতি আমাকে কাঁদায়
নিশ্চুপ থাকতে দেয় না
ফিরিয়ে দাও
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমার সেই আনন্দঘন মহূর্ত গুলো ।

বলছিলে তুমি আমি তোমার জীবন মরণ
আমিই তোমার সব-
স্বার্থের জন্য ভুলে গেলে তুমি দেওয়া সেই কথা
সারা জীবন রইল আমার তোমার দেওয়া ব্যথা।
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও
আমার মনে শান্তি
পারবে না তো।

অর্পূণ আমার জীবন পূর্ণ থেকো তুমি
মরণ হলে দেখে যেও আমরা মুখ তুমি
এই মোর এই ধরার শেষ চাওয়া-
চাইবো না আর কিছু
তুমি চিরকাল সুখে থেকো ,
সুখে থাকাে, সুখে থেকো।

——–++
রচনাকালঃ
২১-১২-২০১৯

উৎসর্গঃ
(ছলনাকারীকে)

রাজাকারদের তান্ডব

আকাশ সাক্ষী, বাতাস সাক্ষী
সাক্ষী এই গ্রাম বাংলার মেঠোপথ,
পাকদের সাথে নিয়ে রাজাকারেরা গ্রামের সব সম্পদ লুন্ঠন করেছে যে রথ রথ।

বাধা দিয়েছে মা বাবা, দিয়েছে বাধা তার সন্তান,
তাদের মেরে পাক আর রাজাকারেরা গ্রামকে করেছে গোরস্থান।

এত অত্যাচারে ফুল ফুটে না,
পাখি তার মনের আকিঞ্চনে গায় না,
নদী ও তার নিজ গতিতে বয় না।

এই বট বৃক্ষের তলে হুতুম পেঁচা বলে
পড়ে আছ দেখি অহরহ মনুষ্য কঙ্কাল,
দুই-একজন যারা আছে বেঁচে
ভয়ে তারা মনে করে কঙ্কালকে জঞ্জাল।

লাশের পঁচা গন্ধ ভেসে আসে বাতাসে,
অসংখ্য অগণিত লাশ পড়ে আছে নদী তিতাসে।

মা আর বোন জানেন পাক আর রাজাকারদের সেই নির্যাতনের কথা,
অনেক মা আর বোন এখনো বেঁচে বুকে পাহাড় সমান ব্যথা।

হায় তাত ভ্রাতা একি করিলা
যাহার গর্ভে তোমার জন্ম,
চোখের বালিরে সাথে নিয়ে
তাহাকেই পুড়িলা,
তাহাকেই মারিলা।

————–
রচনাকালঃ
১৪-০৫-২০২০

উৎসর্গঃ
(পাকদের হাতে নির্যাতিত মা ও বোনদের)

মাতৃস্নেহ

মাতৃস্নেহের কি তুলনা আছে?
সেই স্নেহকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য
নিন্দুক ঘোরে মায়ের পাছে পাছে।

ওরে নিন্দুক একটু এগিয়ে এসে শোন
যদি মাতৃস্নেহ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারস
স্বপ্নভরা পৃথিবী দেব আরো দেব রাজকুমারী বোন।

এই পৃথিবীর সকল জিনিসে থাকিতে পারে ভেজাল
ভেজাল দিয়ে পৃথিবী ভরা
শুধু মাতৃস্নেহটা একমাত্র নির্মাল।

অনেক সময় সন্তান মাকে করে প্রহার
সন্তানেকে মা তো দেয় না অভিসম্পাত
মাতৃস্নেহের জন্য তবুও করে ভালো ব্যবহার।

ঝগড়া করে সন্তান যখন দেখতে চাই না ছায়া
রেগে সন্তান ভাত খায় না ক দিন
মাতৃহৃদয় সব সহ্য করে তবুও যায় তার কায়া।

মাতৃস্নেহের জন্য মা সন্তানের সব অপরাধ করে ক্ষমা
সন্তানের মুখ দেখলে মায়ের
হৃদয়ে থাকে না কিছু আর জমা।

ওরে ভাই সকল,
এমন মানবীরে দিও না কেউ কষ্ট
কষ্ট দিলে জীবন ভরা
সব আহ্লাদ সব স্বপ্ন হবে নষ্ট।

থাকিতে মমতাময়ী মা করিও যতন
যতন করিলে স্বর্গ পাবে
তবে হেরিলে বুঝিবে হেরিয়েছ রতন।

ভাষার জন্য

বাংলা আমার মায়ের ভাষা
জনম থেকে জানি,
সেই ভাষাতে হাত দিল ওরা
হায়েনা পাকিস্তানী।

বাংলা মায়ের দামাল ছেলে
ভয় করেনি কভু,
হাসতে হাসতে ভাষার জন্য
জীবন দিলেন তবু।

সংশপ্তক ছিলেন তারা
পিছু হাটেনি,
রফিক শফিক সামনে ছিল
ভয় করেনি।

রফিক শফিকের রক্তের দান
এনে দিল ভাষা,
হবে না হবে না উর্দু
বাংলায় মাতৃভাষা।

————–
রচনাকালঃ
২৫-০৯-২০১৮

উৎসর্গঃ
(সকল ভাষা শহিদের)

Capture-20

বীরঙ্গনা

মাগো পুইয়ের মাচা পুরো খালি
তুমি চারা লাগাবে বলে,
আমি দুটো পুইয়ের চারা এনেছি
চারাগুলো আজ নুয়ে পড়ছে,
প্রখর রোদে।
মাগো তুমি কোথায়
তোমায় তো আমি সারাবেলা খুজলাম
তুমি তো কোথাও নেই,
মাগো তুমি কোথায়,
তোমায় না পেয়ে আমি বসে আছি,
হিজল অশ্বত্থ গাছের নিচে ভগ্ন হৃদয়ে
পাশ দিয়ে যায় হাজার হাজার নারী পারি দেয় রাস্তা,
শুধু তুমি নেই মা,
কোথায় তুমি
কোথায় আছো বল –
তুমি পুইয়ের চারা লাগাবে না
দেবে না মা গাছে জল।

তোমার কথা ভাবে আজ আমি
কাঁন্না করলাম, মা,
তুমি আমার কাছে নেই
তাই বা বারবার তোমাকে আজ আমার মনে পড়ছে
কোথায় তুমি, কেমন আছো।

দিম্মা বলে,
তুমি নাকি তারামন সেতারার মতো বিশেষ কাজ করেছে,
ওরা তো মা, বাড়ি ফিরেছে
তুমি কেন বাড়ি ফির না ?

তুমি কোথায় আছো
কখন আসবে, মা ।

তোমার সাদা শাড়ির লাল পাড়ের মতো
পুরো শাড়ি কেন লাল মা,
এরূপ তো ছিল না।

দিম্মা বলে
তুমি তো আর ফিরবে না
কেন মা,কেন?
তুমি নাকি আকাশের তারা হয়েছো,
তার কারণ, তুমি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সাহায্য করতে
দিতপ জল খাবার,
পাকদের হাতে নিষ্পেষিত হয়ে গেছে তুমি
দিম্মা বলেছে।

মাগো, তোমার পানের বাটির দিকে চোখ গেলে মনে হয়
তুমি বুঝি এখনি আসবে পানের জন্য,
তোমায় আশায় আজও পথ চেয়ে থাকি,
কখন আসবে,
কখন আসবে তুমি।

রচনাকালঃ
০৭/০৬/২০২০