জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

মা

মা শব্দটি মধু মাখা
মায়া মমতায় জড়িয়ে থাকা,
হৃদয়ের গহিন থেকে আসা
একটি মমতা মাখা শব্দ – মা।

সাংবাদিক থেকে বড় সাংবাদিক
সে হলো -মা,
সন্তানের আপদ বিপদ হলো
মায়ের অন্তরে আগে লাগে ঘা।

মা হলো সন্তানের বড় বন্ধু
এই জগতের হাই,
সুসময়ের বন্ধু সবাই
বিপদের বেলায় নাই।

সন্তানের জন্য মা
করে অনেক কষ্ট,
তার জীবনের সব সাধ
সন্তানের জন্য করে নষ্ট।

মা শব্দ মধুর চেয়ে মিষ্টি
মায়ের গর্ভের মাধ্যমে সৃজাতা,
আমাদের করেছে সৃষ্টি।

মা আমার সূচনা শব্দ
মা – ই আমার শেষ,
মায়ের জন্য আমার জীবন
সুন্দর হয়েছে বেশ।

———–
রচনাকালঃ
০৩-০৯-২০২০

উৎসর্গঃ
(আমার জননীকে

নদীর তীরে

Screens

এই যে শিশু
ভাবছ কিছু
বসে নদীর ধারে
জলাঙ্গীর ঊর্মিতে কেন, ও পথিক ভাই
ওই তরীটি নড়ে
-জানিনে বাপু।

ও পথিক ভাই,
ঐ দেখ মাঝি ভাই
নিয়ে যায় তরী,
সে কি আর ফিরবে না
ঐ তার বাড়ি,
-জানিনে বাপু।

শোন, শোন ও পথিক ভাই, বলি তোমারে
নদীর ধারে বসে আমার
কাটে সারাবেলা,
যাকে আমি প্রশ্ন করি
সে কেন করে আমায় হেলা,
-জানিনে বাপু।

ও পথিক ভাই
ঐ দেখছ শাপলা শালুক
তুলছে কত ছেলে,
মাছ ধরে নিয়ে যায়
ঐ পাড়ার জেলে,
চেনো নাকি
– না,না বাপু।

ও পথিক ভাই
ঐ দেখছ দিনের বেলায় গগনতে
চন্দ্র নেই আলো,
রাত হলো কোথা থেকে
চন্দ্র আনে আলো,
জানো নাকি
-না,না বাপু।

ও পথিক ভাই,
ঐ দেখছ কচুরী পানা
নদীর জলে ভাসে,
কোথা থেকে এই পানা গুলো
এই নদীতে আসে,
জানো নাকি
-না,না বাপু।

ও পথিক ভাই,
অজানাকে জানার জন্য
আমার অদম্য কৌতুহল,
শাজাহান কেন তৈরি করল
আগ্রার তাজমহল,
বলবে নাকি
-জানিনে বাপু।

ও পথিক ভাই,
এত তোমায় প্রশ্ন করলাম
পেলাম না কেনো উত্তর,
আমায় কি তুমি ভাবছ
আমি কি তেমার সত্তুর,
না,না বাপু
তা কেন ভাববো।

আসলে আমি জানিনে কিছু
বিদায় শিশু
আধার ঘনিয়ে এলো
বিদায় পথিক ভাই
বিদায়।

———+++
রচনাকালঃ
২৬-০৯-২০২০

মুজিবের অবদান

banga

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি
মুজিব তোমার নাম,
এই ধরাতে তোমার সমতুল
নেই তো কারো দাম।

বাঙালির সুখে হাসতে তুমি
কাঁদতে বাঙালির দুখে,
নিজের স্বার্থ তুচ্ছ করে তুমি
দাঁড়াতে মৃত্যুর মুখে।

লোভ লালসা দেখিয়ে তোমায়
কিনতে পারেনি কেউ,
তার জন্য তোমার জীবনে আসতো
পাক শাসকদের ঢেউ।

মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে তোমায় ওরা
রুখতে চেয়েছিল যে কত,
তোমার ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলাকে বাঁচাতে
বাঙালি যে শত-শত।

তোমার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য বাঙালি
ফিরে পেয়েছে আপন মাতৃভূমি,
তার জন্যই তো তুমি ও হে মুজিব
বাঙালি জাতির জনক তুমি।

হে মুজিব যদি জন্ম তোমার না হতো
এই বাঙালির বাংলায়,
তাহলে বাঙালিকে থাকতে হতো
আঁধার অমাবস্যায়।

তোমার অবদান কভু ভুলবার নয়
এনে দিয়েছে বাংলার স্বাধীনতা,
তুমি ছিলে বলে বাঙালি পেয়েছে
তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা।

রচনাকালঃ
২৭/02/202

মুজিব

bangabandhu

হে মুজিব,
জন্ম যদি তোমার না হতো বঙ্গে
বাঙালির সব সোনার স্বপ্ন যেতে ভেঙ্গে।
পেত না বাংলার মানুষ স্বাধীনতা
আজীবন বাঙালিকে থাকতে হতো পরাধীনতার জালে বদ্ধ।

“হে মুজিব,
তুমি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা উজ্জ্বল সূর্য
তোমার কাছে কামার, কুমার, জেলে, চাষা ছিল সম মর্য
তোমার থেকে কেউই হয়নি নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, আর নিপীড়িত
পেয়েছে বাঙালি মায়া মমতা আর স্নেহ।

“হে মুজিব,
তুমি তো বাঙালি আদর্শ পথ প্রদর্শক
বাংলার মানুষ তোমার ভক্ত আর সমর্থক।

“হে মুজিব,
তোমার জন্য বাংলার মানুষ নতুন করে বাঁচতে
শত কষ্টের পরে-ও মুখে আছে মলিন হাসি।

“হে মুজিব,
তোমার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আর সাহসী নেতৃত্ব
বাঙালিকে করেছে প্রাণের সঞ্চার।

“হে মুজিব,
তোমায় দেখে মরা আধ- মরারা নতুন করে বাঁচত চাই
তুমি তো বাঙালি সাহস জুগিয়েছে
দেখিয়েছ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন।

“হে মুজিব,
তুমি আছ বলে বাংলার মানুষ তার অধিকারের
কথা বলে নির্দ্বিধায়।
সন্তান সন্তাদি নিয়ে কেউ নিরাপদে নেই
তবুও তোমার আশায় নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে।

“হে মুজিব,
তুমি ক্ষণজন্মা পুরুষ
অনেকের মধ্যে একজন
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি
বাংলার গর্ব তুমি।

“হে মুজিব,
যেজন তোমারে মানে না বাংলা নামক ভূখণ্ডের স্থপতি
তার প্রতি শত ধিক্কার
বাংলা নামক দেশে তার বসবাসের নেই কোন অধিকার।

“হে মুজিব,
পরিশেষে বলি তোমায়,
তুমি কবি,
তুমি রাজনীতির কবি
বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের মহাকবি।

“হে মুজিব,
তুমি আছ বাঙালির শিরায় উপশিরায় হৃৎস্পন্দন আর অন্তরে
তোমার জন্ম বঙ্গে হয়ে বাঙালি হয়েছে সন্তরে।

————+++
রচনাকালঃ
১৭-০৩-২০২০

বাংলার শ্রেষ্ঠ বিকাল

158082235_k

সেই দিনে এই মাঠ এরূপ ছিলো না
ছিলো বিশাল জনাকীর্ণ,
ছিলো জনসমাগম।
সেই দিনই ছিলো বাংলার শ্রেষ্ঠ বিকেল
এই বিকেল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অদ্বিতীয়
এ এক নতুন কাব্যের মেলা।

নিস্তব্ধ নিরব ছিলো চারদিকের পরিবেশ
তরুলতায় বসে আছে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা পাখি
কাব্য শুনবে-
অধীর আগ্রহে বসে বন্ধুর মাটিতে
দশ লাখ জনগণ
কাব্য শুনবে-
কানাকানি করে বলে, কখন আসবে কাব্যিক
কখন শুনাবে তার অমৃত কাব্যখানি
জনতা ব্যাকুল হয়ে বসে আছে কাব্যের মাঠে।

হাজার বছরে এরকম কাব্য রচার মতো কোনো কাব্যিক ছিলো না বাংলায়
হাজারো কাব্যিক এই বাংলায় এসেছিলো
কেউ রচেনি বাংলার শ্রেষ্ঠ বিকেলের কাব্যখানি।

শত বছরের শত সংগ্রাম পদ্মা মেঘনা যমুনায় ভাসিয়ে
অনেক প্রতীক্ষার পর
অমৃত কাব্যখানি ব্যক্তের জন্য
কাব্যিক এলেন কাব্যের মঞ্চে
এ কাব্য অদ্বিতীয় বিশ্বব্রহ্মান্ডে।

তুমিই প্রথম কাব্যিক এই কাব্যের
যার বিয়ষবস্তু ভিন্ন
কাব্যখানি যখন তুমি করিলে ব্যক্ত
তখন তুমি বলেছিলে
ওরা আমার ভাইয়ের ঝরায় আছে বুকের তাজা রক্ত ।
বলেছিলে বাংলার মানুষের উপর করা
পাশবিক পৈশাচিক নির্যাতনের কথা
বাঙালির অধিকার স্বাধীকারের কথা
কাব্যখানি ব্যক্তের সময় মনে পড়েছিলো
যেন লক্ষ কোটি তারকারাজির মধ্যে
তুমিই এক উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ
তোমার সেই আলোতে বাঙালি
আলোকিত হয়ে
নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র হয়েছে
ঝাপিয়ে পড়েছে দেশ রক্ষায়।

রচনাকালঃ
২০-০৩-২০২০

উৎসর্গঃ
(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে)

জীবনের অংশ

গাছের মগ ডালে পাখি বাঁধে নীড়
শত্রুরা ভয়ে কাপে দেখে বীর।

ফুলের জন্য মানবের আছে ভালোবাসা
অস্ত্রর খেল জীবকে করে নিরাশা।

নিন্দা হলো নিন্দুকের কাজ
আছে কি তার চক্ষু লাজ।

যে ব্যক্তি কর্মবিমুখ
কস্মিনকালে পাবে না সুখ।

যে করবে সুখের আশ
সেই পড়বে দুখের ফাঁস।

নবজাতকের জন্য মায়ের অন্তরে আছে মায়া
অন্নবিহীন উদর দুর্ভিক্ষে পড়ে আছে কায়া।

————–
রচনাকালঃ
২৯-০৬-২০২০

সাম্য

কে হিন্দু, কে ক্রিশ্চান, কে বৌদ্ধ, কে মুসলমান
জিগাও কেন ওরে?
সদ্য প্রস্ফুটিত কোমলমতি শিশু
জাত পাত জানে না কি ওরে –
একই বৃক্ষের শাখা প্রশাখা ওরা
হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান ক্রিশ্চান ।

মসজিদ এই, মন্দির এই, প্যাগোডা এই, গীর্জায় বলে সাম্য
কুরআন, পুরান, ত্রিপিটক, বাইবেল বলে সাম্য
তারা সন্তান মোর মার
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান কেউ নয় কারু পর।

এক ফুলে হয় না কো বাগান
মালি রোপে নানান গাছ
কোনটি হিন্দু, কোনটি ক্রিশ্চান, কোনটি বৌদ্ধ, কোনটি বা মুসলমান
কে করে সেই বাছ।

কেন কর অযথা ধর্ম নিয়ে যুক্তি খণ্ডন
সব ভেদ ভুলে গিয়ে অটুট রাখনা অদৃশ বন্ধন।

স্বার্থের বেদিতে বসে ভন্ড গায় স্বার্থের জয়গান
নিজেদের সমাজ শিরোমণি বানায়তে
সমাজকে ভাগ করেছে –
কামার, কুমার,কুলি-মজুর আর কৃষাণ।

আলো আর বাতাসকে বল বিভেদ জানে নাকি তাই
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান একে অন্যের ভাই।

ওহে তোমরা বুঝি বাঙালির বীজমন্ত্র জানো না
তাহলে তোমরা শুনে রাখ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই।

————
রচনাকালঃ
০২-০২-২০২০

আমার দেশ পর্ব -১

বর্ণিল ফুলের সৌরভ,
আমার দেশের গৌরব।

অশেষ ফলের সমাহার,
আমার দেশের বাহার ।

পাখির কন্ঠের মধুর গান,
আমার দেশের প্রাণ।

কামার, কুমার, জেলে চাষার বাস,
আমার দেশ স্বপ্নের আঁশ।

রাতের আধারে তারার মেলা,
আমার দেশ প্রকৃতির খেলা।

চৈতালি আর হৈমন্তিক ফসল,
আমার দেশের কৃষকের কষ্টের মাসল।

অসংখ্য অগণিত নদী বহমান,
আমার দেশ পলিতে অম্লান।

আমার দেশের মাটিতে লেগে আছে রক্তের গন্ধ,
আমার দেশের মানুষ ছিলো স্বাধীনতার জন্য অন্ধ।

লোকাচার আর লোকরীতিতে ভরা,
আমার দেশের মানুষ পালনে কড়া।

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবর ,
আমার দেশ বিধাতার বর।

————–
রচনাকালঃ
২৪-০৫-২০২০

নরকের স্বাদ বাংলায়

আমরা বাংলার মানুষ বাঙালি
বেঁচে আছি কিন্তু হয়ে কাঙালি,
আমাদের নেই অন্ন, নেই বস্ত্র, নেই নয়নে নিদ্রা
নেই কোনো মৌল বা মানব হিসেবে অধিকার।

আছি বেঁচে মরা- আধ মরা হয়ে
স্বাধীন হয়ে আমাদের জীবন গেছে আবার,
পরাধীনতার কালো অধ্যায়ে ছেয়ে।

আমাদের করুন পরিণতির কথা জানে
ঐ বাংলার জারুল জামরুল আর দূর্বাঘাস,
আরো জানে ঐ মুক্ত আকাশের বিস্তর জোনাকিরা।

পঁচিশ তারিখের নির্মম জেনোসাইড
বাংলার দুংখ ব্যথিত চিত্ত,
পথে প্রান্তে রক্তের দাগ লেগে আছে কত্ত।

বিলে ঝিলে পড়ে আছে কত লাশ যত্রতত্র
বুলেটের নলের আঘাতে বাংলার মাঠ ঘাট
হয়ে গেছে তামা তামা,
মাঠে ঘাটে নেই কোনো সবুজ ফসল
হয়েছে পুড়ে ছারখার।

তবুও যা বাংলার ছিলো উৎপাদিত পণ্য
পাকিস্তানিরা সব খেয়ে করেছে নিজ নিজ জীবন ধন্য।

শাসক বর্গের ভাষ্য ছিলো
বাংলার মানুষ নয়, বাংলার মাটি চাই,
দীর্ঘ চব্বিশ বছর পাকিস্তানি শাসনে
বাংলায় বয়ে চলেছিলো নরকীয় স্বাদ।

রচনাকালঃ
২০-০৪-২০২০

স্বাধীনতা

স্বাধীনতা তুমি বড় অবাধ্য শব্দ
শুধু তোমার জন্য
উজানচন্ডী বিলের ধারে পড়ে আছে কত লাশ
কত মা কত বোনের হলো সর্বনাশ।

কাজল দিদির সিঁদুর বিহীন ললাট
পড়ে আছে ধবল রঙের শাড়ি
পাক সেনারা তুলে নিয়েছে ওর স্বামী সন্তান ফেরেনি আর বাড়ি।

দুখিনী মায়ের বিরহ পরান সোনা মুখ চাই
স্বাধীনতা তুমি নেই তাই
বাংলা ছেয়ে গেছে শকুন আর হায়েনায়
স্বাধীনতা শুধু তুমি নেই তাই
বাংলা মায়ের অনেক সন্তান লালন করে শকুন আর হায়েনায়।

তোমার জন্য স্বাধীনতা, শুধু তোমার জন্য
পঙ্কজ কাননে কুসমিত কোমলে ধরল কীট
পূর্ব দিগন্তের শেষে চানু বিবির চালা ঘর
খাঁ খাঁ করছে লুন্ঠিত উদাস দাওয়া
স্বাধীনতা শুধু তোমার লাগি।

স্বাধীনতা শুধু তুমি নেই
তার জন্য বাঙালি বিনিদ্র কেটেয়েছে কত রাত
আর কত থাকতে হবে বিনিদ্র
বল না হে স্বাধীনতা বল-

তোমার জন্য স্বাধীনতা
গগন থেকে পড়ছে অবিরাম ঝিরিঝিরি অগ্নি বারিধার
আরো কত ঝরাবে বল হে স্বাধীনতা বল-
না হয় বাঙালির হাত বাংলায় চল হে স্বাধীনতা
বাংলায় চল
তোমার অপেক্ষায় বাঙালি প্রহর গুনছে প্রাণের প্রিয়
হে স্বাধীনতা।

তোমার জন্য স্বাধীনতা, শুধুই তোমার জন্য
অকাতরে দিল কত প্রাণ মহি মতি কামাল নূরের মতো কত প্রাণ
আর কত প্রাণ চাও বল হে স্বাধীনতা বল –
বাঙালি তোমাকে পাওয়া জন্য তাই দেব
হে স্বাধীনতা
তাই দেবে –

স্বাধীনতা তোমার জন্য
আর কতকাল ভাসতে হবে দুখিনী মাকে অশ্রু গঙ্গায়
আর কত দেখাবে তুমি পিতামাতার সম্মুখে সন্তান হত্যার নির্মম দৃশ্য
আর কত দেখাবে তুমি হায়েনার হাসি
তোমাকে পাওয়ার জন্য বাঙালি সব সহ্য করছে
হে স্বাধীনতা।

স্বাধীনতার প্রধান শর্ত রক্ত দিতে হবে
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা
বাঙালি এক সাগর রক্ত দিয়েছে
তোমার শর্ত পূরণ আজ হে স্বাধীনতা
তোমার শর্ত পূরণ
আর তোমাকে বাংলায় আসার পথ কেউ বাধা দিতে পারবেনা হে স্বাধীনতা
কেউ বাধা দিতে পারবেনা
এবার যে তোমাকে আসতে হবে
দ্বিধা করো না হে স্বাধীনতা
দ্বিধা করো না –
তোমাকে যে বাংলায় আসতেই হবে
কষ্টে অজির্ত বাঙালির প্রিয় হে স্বাধীনতা।

————
রচনাকালঃ
১৫-১২-২০১৯

উৎসর্গঃ
( স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিলেন)

জীবনের গতি

জীবন তো চলে তার নিজ গতিতে
স্বপ্ন এসে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়,
জীবন বিচরণের মাঝ পথেতে
জীবনের উদ্দেশ্য তাই নয়,
জীবনের কাজ স্বপ্ন দেখা
তা বাস্তব রুপ দানে সাহায্য করা।

জীবনের স্বল্প পরিসরে পৃথিবীতে
রচিত হবে অমর কীর্তি,
নয় হলে জীবনের নেই কোনো
মূল্য থাকবে না এই ধরায়।

জীবনকে চলতে হয়
স্বপ্নকে সাথে নিয়ে,
তাছাড়া জীবন মূল্যহীন অর্থহীন
জীবনের গতিতে চলুক জীবন।

রচনাকালঃ
২৬/০১/২০২১

বসন্ত নিয়ে কিছু কথা

কবে শুনেছি সেই কোকিলের গান
আজও মন পড়ে সেই দিনের কথা,
ভাবতে গেলে মনে জাগে আমার
ওগো প্রেয়সী,
সত্যি দারুন বিরহ ব্যথা।
সেই কবে বয়েছে দখিনা বাতাস
খুলেছে গেছে দরজা,
পত্রবিহীন বৃক্ষের শাখায়,
পুষ্পের বিরহের কষ্ট,
আজও আমার প্রাণে দোল খায়।

রচনাকালঃ
১৪/০২/২০২১

কষ্টের জীবন

জীবনের শুরু অকস্মাৎ নহে
বাবা মার দীর্ঘ পরিকল্পনা পর,
হয় একটি জীবনের শুরু,
সকলের কাম্য সুখ,
দুঃখ নহে কাম্য কারো।

জীবনে সবাই তো সুখী হতে চাই,
কিন্তুু বিধাতা যার ললাটে রাখেনি সুখ,
সে কেমনে পাবে তার নাগাল,
কখনো আসবে না তার কাছে সুখ।

সত্যি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিলে
সকলকেই আজন্ম সুখের জন্য বিপ্লব করতে হয়।
বিপ্লবের পরও সকলের ললাটে আসে না সুখ
সত্যি দুঃখ যার কাছে আছে,
সুখ কখনো তার কাছে আসবে না।
সুখ ও দুঃখ একে অপরের বিপরীত,
দুই বোন যেমন এক স্বামীর ঘর করতে পারে না
তেমনি সুখ ও দুঃখ একসাথে কারো কাছে আসতে পারে না।

দুঃখ আর দুঃখ দিয়ে জর্জরিত একটি জীবন,
সেখানে সুখের লেশমাত্র নেই,
সারাজীবন শুধু কষ্ট আর কষ্ট,
কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত হয় সুখ,
কিন্তুু দুঃখের কি মানব জীবনে শেষ নেই।

রচনাকালঃ
২২/০২/২০২১

মোদের গাঁ

ঐ দেখা যায় জারুল হিজল
ঐখানে মোদের গাঁও
দুই ধারে দুই নদীর পাশে
বাধাঁ আছে ডিঙি নাও।

কাশবনের কাশফুল লেগে আছে তটে
শরতকালের ফুলের মালায়
ভরে গেছে পথ ঘাটে।

কিলবিলকিল করছে মীন
চেয়ে দেখি বসে
শীতকালে স্নান করে
নানান রকমে হাঁসে।

মোদের গাঁয়ের সহজ মানুষ
কামার কুমার চাষা
নদীর জলে নাওয়া খাওয়া
নদী তাদের ভরসা।

মায়া মমতায় জড়াজড়ি করে
আনন্দ উৎসবে গেহখানি রয়েছে ভরে
মায়ের কোলে শুয়ে-বসে জুড়ায় প্রাণ
বর্ষাকালে মাঝি ভাই গায় কত ভাটিয়ালি গান।

বাঁশ বাগানে ঝোপের ঝাড়ে
বাঁকা ঠোঁটে চাঁদ হাসে
ঝোপের ঝাড়ে ঝিঁ ঝিঁ ডাকে
জোনাকির আলোয় আলোয়।

হিন্দু মুসলমান পরস্পর মোদের ভাই
এক সাথে থাকি আর শ্রমশালায় যায়
ঝগড়া বিবাদ নাহি করি মোরা
হিন্দু মুসলমান পরস্পর বেধেছি জোড়া।

মনের স্বাদে ছড়াকাটি নদীর তটে বসে
সোনার ছবি মোদের গাঁ দাম নয় কেনা
অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা মোদের গাঁ খানা।

রচনাকালঃ
০৩-০৩- ২০১৯

ভালোবাসি তোমায়

আমি তো তোমাকে ভালোবাসতে চাইনি
তুমি তো আমাকে সেই বিদীর্ণ প্রহরে,
প্রপোজ করেছিলে।
আমি তো তোমাকে ভালোবাসতে চাইনি
সত্যি সত্যি আমি চাইনি,
কারণ বর্তমান ভালোবাসা রিয়েল না,
টাইম পাস।

তুমি তো আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে
হৃদয়ের গহিনের সুপ্ত ভালোবাসা জাগ্রত করেছিলে
স্বার্থপরের মতো অন্যের হাত ধরে চলে গেলে।
শুধু ধোঁকা পাব তার জন্য আমি
কখনো ভালোবাসার অদৃশ্য মায়া জালে
বদ্ধ হতে চাইনি,
সত্যি সত্যি আমি তো চাইনি,
তোমাকে ভালোবাসতে।

বসন্তের আগমনে সুন্দর তোমার লেখা কবিতা খানি,
আজও আমার মনে আছে,
তুমি তো সদা বসন্তকালে
মাথায় পড়তে বাসন্তী ফুলের খোঁপা,
আমি তো তোমার জন্য অসংখ্য বাসন্তী ফুল এনেছি,
তোমার স্মৃতি বিজড়িত সব আজ আমারে কাঁদায়
নিশ্চুপ থাকতে দেয় না তো কখনো।

সত্যি ইচ্ছে ছিল আমার হৃদয়ে সুপ্ত ভালোবাসা দিয়ে,
তোমায় সারাজীবনের জীবনের অংশ করে নিতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু তুমি তো আমার সকল আশা ভস্ম করেছে,
ভালোবাসায় প্রতারণা
তার জন্য আমি তো তোমাকে ভালোবাসতে চাইনি,
সত্যি, সত্যি, সত্যি আমি তো ভালোবাসতে চাইনি,
তুমি তো আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিল।

তোমার জন্য আমার হৃদয় ধূ ধূ মরুভূমির মতো
যেখানে নেই হয় না কো কোনো কিছু,
বালুকার রাশির মতো করে চিকচিক,
তুমি তো আমার জীবনকে তেমন করেছ
আজ তুমি অন্যকে নিয়ে সুখে আছো
আজও ভালোবাসায় তোমায় ওগো প্রেয়সী।

রচনাকালঃ
১৮/০২/২০২১