জসীম উদ্দীন মুহম্মদ এর সকল পোস্ট

খরা চলছেই

খরা চলছেই

খরার খরচ কে না চায়…?
চাতক, সাপ, ব্যাঙ, পিঁপড়ে সেপাই… ওরা সবাই!
আমিও চাই কেটে যাক কলমের খরা
তুমুল শব্দবহুল বৃষ্টিতে কেঁপে উঠুক কবিতার ধরা!

আদৌ কিছুতে কিছু হচ্ছে না যে…..
জেগে ঘুমিয়ে আছে
আদমসুরত, সপ্তর্ষিমণ্ডল, ওরা…..!
তবুও বাক্যদূতের কোনো খবর নেই
আমার কেবলই পুরাতন নামতা বারবার পড়া!

তবে কি আর ভাঙবে না রাতের দেয়াল
তবে কি আর ফিরবে না মৃতনদীর খেয়াল?

থুতুবৃষ্টির উপকথা

থুতু বৃষ্টির উপকথা

আগে আঙুল ফুলে ফুলে কলাগাছ হতো
এখন আঙুল ফুলে ফুলে তালগাছ হয়….
আগেও কিছুও হয়নি, এবারও কিছু আশা করিনি!

ক’দিন আগেই তনুর জন্য খুউব হাপিত্যেস করেছিলাম
খাদিজার জন্যও কম কিছু করিনি
এখন খুব ভেঙে চিত্তে ঠিক করে নিয়েছি
বেচারি নুসরাতের জন্য কিছুই করবো না!

না বিলাপ করবো
না অনু-সম্পাদকীয় লিখবো
আর না একটা অনর্থক কবিতার জন্মদিবস পালন করবো!!!

যে পথে সবাই যায়
ওরাও তো সেপথেই গিয়েছে
কেবল
যাওয়ার সময় আমাদের শ্রীমুখের উপর একদলা পাওনা
থুতু মিটিয়ে দিয়ে গেছে!

তাতে আমাদের কোনো সমস্যা আগেও হয়নি
নিশ্চিত বিশ্বাস করি, এবারও কিছুমাত্র সমস্যা হবে না
ওসব থুতু বৃষ্টি সয়ে সয়ে আমাদের অভ্যাস আছে!

পাপ

পাপ

যে বারবার ফিরে ফিরে আসে সে-ই তো পাপ
ঝিকরগাছের আঁটার মতোন যে লেগে থাকে
অবরুদ্ধ সকালের হাত
সন্ধ্যার দাঁতালো দাঁত
হাবিল ক্ষমা করলেও যে কাবিলকে ক্ষমা করেনি
ফিরে আসে সেই মৃত্তিকার অভিশাপ!

তবুও….
খেমতা আর ক্ষমতার জৌলুশ দিয়ে যায় হাঁক
অভিনব কায়দায় মাতিয়ে রাখে দুখিনী মায়ের ডাক!

তবুও ভালো আছে স্টেশনারী দোকানের ইতিহাস
দোকানের ভেতরের সমস্ত তৈজসপত্র..
অবচেতনার ডানায় ঝুলন্ত খন্ড ঝন্ড মাংসপিন্ড
মেরুদণ্ডের হাড়ভাংগা উড়ন্ত …পাঁতিহাঁস!

তবুও আমি চাই আমার কবিতারা ভালো থাকুক
ভালো থাকুক সখিনার গাল
দিনকাল…প্রদীপের লাল
ভালো থাকুক সানকিপাড়া কাঁচাবাজার
ভালো থাকুক আধোয়া কাঁচামরিচের ঝাল…..!!!

তবুও কাটতি হয় বেশ

তবুও কাটতি হয় বেশ

তবুও থেমে নেই আমার কবিতা লেখা….
জীর্ণ-শীর্ণ নদীর মতোন
অপরিপক্ক তিন ইঞ্চি ভূমির মতোন
অপুষ্ট ফলের মতোন
খানাখন্দে ভরা মেঠো রাজপথের মতোন!

তবুও কাটতি হয় বেশ
পড়তি বাজারে এইতো ঢের অশেষ
কেউ কেউ বাহবা দেয়
অনন্য, অনবদ্য, অসাধারণ এরাও কদাচিৎ আসে
এতোকিছুর পরেও আমার কবিতারা কেনো
জানিনা আগুনরঙা বাতাসে ভাসে?

তবুও ওরা
একিলিসের তরবারির মতো ফুঁসে উঠতে চায়
পুড়িয়ে, গুড়িয়ে দিতে চায় পাপের শহর…
কিছুতেই কিছু হয় না
ওরা এখন আহত ব্যাঘ্রের মতো কেবল নিতম্ব দোলায়!

তবে আর ফিরে আসবে না লক্ষীন্দর
তবে কি আর কোনোদিন সাজবে না বেহুলার
বাসর ঘর?

ঘোড়া মার্কা রোদের ঘোর

ঘোড়া মার্কা রোদের ঘোর

সারাদিনই ভুখা আকাশটা জ্বরের ঘোরে আছে
যেমন আমরা সবাই কোনো না কোনো ঘোরের মধ্যে আছি
ঘোড়া মার্কা রোদের ঘোর
গাধা মার্কা বৃষ্টির ঘোর…. এসবের সাথে যোগ দিয়েছে
আরও কতো কতো গ্রহণ লাগা পানকৌড়ি ভোর!

তবু শাসন আর অনুশাসনের মাঝামাঝি বেশ আছি
পথের একপাশে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্টগুলো যেমন থাকে
সবাক মিছিলের জব্দ হওয়া নির্বাক শব্দেরা যেমন থাকে
আমিও তেমনি করে বেশ আছি….
তাতে ইঁচড়ে পাকা টোকাইদের চোখ পড়লেও ভালো
আর না পড়লে….তা আরও আরও ভালো……. !!

এই তো সেদিনও কয়লা আর ময়লা দুজনে মিলে
সারাদিন অথৈ জল থৈ থৈ হতো
হাটে-ঘাটে-মাঠে ছলাৎছলাৎ শব্দ হতো
বাতাসিদের ঘুম নিমিষেই ভাঙিয়ে দিতো…
আর এখন বাতাসও যেমন নেই
তেমনি বাতাসিদের আর কোনো প্রয়োজনও নেই….!!!!

তবুও বড়ো কবিদের পাঠকহীন কবিতার মতো ভালো
আছে
গণমত
রাজপথ
ভোট
ভালো আছে গেরস্তের মসৃণ ঠোঁট……।।

স্বপ্ন ঘুমায় কবরের ভেতর

স্বপ্ন ঘুমায় কবরের ভেতর

স্বপ্ন মুদ্রিত হওয়ার আগেই এবার পঁচিশ নেই
অথচ
এখনও দগদগে ক্ষত শুকায়নি ঊনআশির
আমার প্রাণের শহরটার শুনেছি অনেক আগেই
প্রমোশন হয়েছে…..
সে এখন শহর ছাড়িয়ে নগর থেকে মহানগর!

সবকিছুই বাড়ছে মহামতি ম্যালথাসের জ্যামিতিক হার
বাড়ছে মানুষ
বাড়ছে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন
কেবল বাড়েনি হুশ!

নিষ্ঠুর শিল্পীর হাতের তুলির মতো আগুনেরও
কোনো মায়া নেই, মহব্বত নেই
দ্বিচারিতা নারীর মতোন সেও কেবল শয্যাসংগী
বদল করে
একঘর থেকে আরেকঘর……
অতঃপর পাছাকোলা স্বপ্ন ঘুমায় কবরের ভেতর!!

বলতে কোনো লজ্জার পাহাড় নেই উন্নতদের মতোন
আমরা না
তারা দায় নেয়…তাদের দায় নিতেও হয়
আমাদের কোনো দায়-দেনা নেই, নিতেও হয় না….
অথচ কে জানে না,
বনের আগুনে কেবল গাছপালা পুড়ে ছাই হয়
আর মনের আগুনে কিনা হয়…….কী না হয়….!!!

মূল্যহীন

মূল্যহীন

শেখ সাদীর খাবার পকেটস্ত করার কথা ভাবি
জাসিন্ডার বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার কথা ভাবি
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আবরারের কথাও ভাবি
যারা ভাবছে …
তাদের সূর্য কোনোদিন অস্ত যাবে না তাদের কথাও
ভাবি
মানুষের দামের চেয়ে শাক-সবজির দাম বেশি
কেবল সেই কথাটি ভাবি না !!

গুপ্তচর

গুপ্তচর

বলতে কোনো দ্বিধা নেই, এখন আমিও কাপুরুষ খেচর
সুখের জায়গাটুকুন জবরদখল করেছে সুখের আচঁড়!
সময়ের বুকে ওলাওঠার মতো জেগেছে ধাঁধার বালুচর
ফণিমনসাদের মতো এই আমিও এখন সময়ের অনুচর!

সারাদিন কোনো কাজ নেই, তবুও নেই কোনো অবসর
তবুও কেটে যায় লেজকাটা শিয়ালের প্রহরের পর প্রহর!
ক্ষয়ে যাওয়া জুতোর সুখতলারা রাজসাক্ষী হয় অনড়
আমার বলা হয়না, সময় নিজেই নিজের যথার্থ গুপ্তচর!

ঘাড়ধরা রাত্রির পর জ্যান্তফসিল হয় আরও একটি দিন
উজানে দাঁড়টানার মতো বাড়তে থাকে ভালোবাসার ঋণ
কোনো জোরাজুরি নেই, স্বেচ্ছায় গত হও অথবা অনুগত
সময়ের সীমান্তে দাঁড়িয়ে কে হতে চায় স্বঘোষিত দূর্গত?

ওরা কেউ জংগী নয়

ওরা কেউ জংগী নয়

ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে যারা হামলে পড়েছিলো
ওরা কেউ জংগী নয়, ওরা অস্ত্রোপচার কারী…..
জংগী হতে হলে মুসলিম হতে হয়…. আরও ক্লিয়ার
করে বলতে গেলে বলতে হয়
পাঞ্জাবি, টুপি, দাড়ি থাকতে হয়., বোরকা, নেকাব পড়তে হয় ..…!!

আমার এসব নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্নসেট নেই
মনোবৃত্তির একেবারে তলায় ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অবজারভেশন আছে
আমার জানামতে, মানুষ সবকিছু পারে
কেবল ক্ষেতের চারপাশের বেড়া ভেঙে মানুষ হয়ে উঠতে পারে না
ধর্মের বেড়াজালে আটকা পড়ে থাকে
সাদাকালোর দেয়ালে নিজেকে বারবার ভুলে থাকে।

এসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত আমি নিজেকেই
কেবল বারবার ভুলে যাই
জন্ম আর মৃত্যু মাঝখানে বুঝিবা আর কোনো সত্য নাই
এ ছাড়া আমার সমস্ত অভিধান জুড়ে আর কোনো
বেদান্তও নাই!!

একটি পোড়া কাহিনী

কিছুদিন আগে রাত না পাকলে শব্দের বোধন হতো না
আর এখন..যখন তখন শব্দেরা আমাকে ডাকাডাকি করে
আরশির মতোন চিমটি কাটে, সুড়সুড়ি দেয়…
গলা জড়িয়ে সোহাগী উম্মা দিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্নের মহড়া দেয়
আমি কিছুক্ষণ কেবল ঘোরস্বপ্নের জলছবি আঁকি
এরপর ঘর ছেড়ে সড়কে নেমে যেমন কোথাও জলের টিকিটি পাইনা
তেমনি কুম্ভকর্ণের মতোন আমার আর টনক নড়ে না!

শুইয়ে থাকলে শুয়েই থাকি, কাজ করতে থাকলেও তাই
হাঁটতে থাকলেও কেবল হাঁটতেই থাকি…..
মৌচাক হারা রাণীর মতোন আমারও কোনো কাজ নাই!!

মাঝেমাঝে স্মৃতির ক্যারাভানে জমজমাট ঘোড়দৌড় দেখি
খাঁচায় বন্দি মুনিয়া পাখির মতোন ওসব আজ কেবলই মেকি
তবুও সাগর সংগমের মতোন জীবন সংগমের লড়াই থেমে নেই
দু’চোখ বন্ধ করে কেবল একটি মৃত সূর্যের উদয়াস্ত দেখি
তবুও….
রাস্তার ব্যস্ত সমস্ত গাড়ির মতোন আমারও চলছে চাকা
কে জানতো
হাতে, পায়ে, গায়ে সবখানে আমার কেবল পোড়া উল্কি আঁকা?

প্রলম্বিত ছায়া কাহিনী

প্রলম্বিত ছায়া কাহিনী

তবুও মাঝেমাঝে ফিরতি পথে আমার প্রলম্বিত ছায়া কথা বলে উঠে
কথা বলে উঠে অশরীরী মানুষ অথবা প্রেতাত্মার মতো
আমিও নিমিষেই হয়ে উঠি অযত্নে পড়া তানপুরার সুর
টাইমট্রাভেল করে মাড়িয়ে যাই আগন্তুক সময়ের বাহুডোর
তবুও মহাকাল নিয়তবায়ুর মতো আসামির কাঠগড়া হয়
আমিও থমকে দাঁড়িয়ে পড়ি চলন্ত পথের উপর….!

কিছু কিছু পাপ সাপ হয়
লকলকে জিব বের করে দোতারার মতো হাসে
আমি আবারও ফিরে যাই জন্মের কোটি কোটি বছর আগে
অবাক চোখে দেখি মহাকাল সবাইকে সমান ভালোবাসে!

আমি আবারও সেতারের খোঁজে নিয়ত পথের সাথী হই
মুদ্রিত বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই
যক্ষ্মা রোগীর মতোন কাশে
আমি আবারও আরণ্যক হই
যখন দেখি মহাকালের পিঠে সওয়ার হয়ে চামচিকারাও
হাসে!!!

তবুও তপতীর সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়……
কাম আর প্রেম গড়িয়ে নেয় সম্পর্কের নতুন মায়াজাল
ভব্য হঊক
অথবা
অভব্য হঊক
আমি বলতে চাই, আমিই কাল… আমিই মহাকাল….!!

মাছরাঙার মন

অনেকদিন পর নিজের কাছেই নিজে জানতে চাইলাম..
কেমন আছো ধীবর?
ডাঙায় বড়শিতে মাছধরা শিকারীর মতোন খানিকটা সময়
আমার জলেই চলে গেলো…
কেউ কোনো জবাব দিলো না মনের ভেতর!
অতঃপর মাছের বদলে মাছরাঙা এলো, বিড়বিড় করে
জবাব দিলো,
দিনের ভেতর রাত যেমন থাকে
রাতের ভেতর দিন যেমন থাকে…আমিও তেমন……..!

আমি হাসতে হাসতে কুটি কুটি হতে পারতাম……
জল আর জটিল
ফল আর ফসিল…. এইসব ভাবনারা আমাকে হাসতে
দিলো না৷
কেউ জানে না….
যে কেবল নিজেকে মানুষ ভাবে, অন্যকে ভাবে না;
সেই মানুষ আসলে কতোটা মানুষ?

আজকাল আমিও কম-বেশি ভালোবাসার শহর অথবা নগর
রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে চন্দ্রমল্লিকার মতো কারো দেখা
পেলে নিমিষেই হয়ে উঠি লিগ্যাল প্রেমিক প্রবর!
তখন আমি আর প্রকৃত আমি থাকি না
সানগ্লাস না পড়েই আবার আমি আমাকে দেখি
স্বপ্ন আর স্বর্গ তখন কাকতালীয়ভাবে মণি কাঞ্চন হয়
তখন একটিবারের জন্যও মনে হয় না
ষোলোবছর ঘরকন্না করা মানুষটিও এতোটা আপন নয়!
তবুও মিছেমিছি ভালো থাকতে চায় এই মাছরাঙা মন
তবুও জলের দিকে চেয়ে জলের সাথে করি আলাপন!!

একটা সোনার জোঁয়াল

একটা সোনার জোঁয়াল

কবিতা লেখার সময় মাঝেমাঝে কিছু বর্ণমালা
যেমন হঠাৎ বেঁকে বসে, আজকাল শরীরযন্ত্রেরও
হয়েছে ঠিক তাই,
এই ভালো আছে, এই ভালো নাই;
কেউ সটান দাঁড়িয়ে থাকে আর কেউ তারাদের
মতোন হঠাৎ খসে যায়!

তবুও…..
যানজটে আটকে থাকা গাড়ির মতোন জীবনও
থেমে থেমে চলে, কখনো আমাকে ভালোবাসে না,
কখনো আবার ভালোবাসে….
উঠতি ধানের শীষ দেখে কিষাণি যেমন করে হাসে,
আমার শরীরও তখন তেমনি হাসে!!

যে কথা অনেকদিন অনেকবার বলতে চাই
প্রথম জন্মের মতোন আমার আসলে কেহ নাই
তবুও….
বলদ গরুর মতো আমিও বারবার ভুলে যাই এখন
কলির কাল
চাঁদের কলংকের মতোন আমারও যে দুই কাঁধে আছে
একটা সোনার জোঁয়াল!!

একটি স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন

একটি স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন

কিছুক্ষণ হয় একটা স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন দেখেছি
তখন রাত যেমন নেই, তেমনি দিনও নেই
অক্ষরেখা বরাবর কেবল কিছু দিনবদলের তাবিজ
কবচ আছে,
অথচ আমার আসক্তিহীন স্বপ্ন বেচারার
কোনো পুংলিংগ যেমন নেই, তেমনি স্ত্রীলিংগও নেই!

কিছু কিছু কবিরাজি ব্যথা আতশবাজির চেয়ে
কোনোঅংশে কম নয়, ওদের
যতোই….. গোঁয়ার গোঁফের আড়ালে লুকিয়ে রাখি না কেনো
মরিচ পোড়া গন্ধে ভালোবাসা ঠিকই টের পাওয়া যায়,
সে ভালোবাসার হয়ত কোনো উদাহরণ নাই
সে কেবল প্রথম প্রেমিকা, দ্বিতীয়া স্ত্রীর মতো বাজখাঁই!

তবুও বেলা আর খেলা একদিন গড়পড়তা হবেই…..
ভোজবাজির মতো নাভিমূলে জন্ম নিবে বটবৃক্ষ
সাগর পাড়ি দেওয়া আকণ্ঠ ইচ্ছায় জলাবদ্ধতার
গণকবর হবে
এতোকিছু হতাশার পরেও কে দেখতে চায় দুঃস্বপ্নের
রক্তচক্ষু
এরচেয়ে বরং পরের জন্মের কথা ভাবা যাক…
ভাবা যাক……. ক্ষমতা নয়, ভালোবাসার উৎস!!!!!

একটি আলতু ফালতু শীতের কবিতা

একটি আলতু ফালতু শীতের কবিতা

কলির সন্ধ্যা নাগাদ বাসা থেকে বের হতে না হতেই
নব্য শীতের আক্রমণ টের পেলাম,
ভাঙা চোয়ালের কামড় হাতির দাঁতের মতো কড়মরে
আমিও অবুঝ কম না…..
ব্যক্তিজীবনের ভাঙা সড়ক পথে হাঁটা শুরু দিলাম!

ওখানে কেবলই জ্বর, সর্দি, কাশি, এলার্জির মতো
বদমাইশ গুলো করে হাসাহাসি
তিনদিন ঝগড়াঝাটি আর একদিন ভালোবাসাবাসি
এখানেই জীবন ক্লান্ত হবার নয়, আরও আছে…
সবজি কেনো, চাল কেনো, ডাল কেনো, তেল আনো
আমার কাছে জীবন মানেই এসব দৈত্য দানো!

তবুও কলির সন্ধ্যা পাকে, পেকে পেকে রাত হয়
রাতের শিকলও একটা সময় ছিঁড়ে ভোরের প্রসব হয়
আমার উদোম শরীর জুড়ে তখন সামাজিক শীত
কেউ কাউকে তেমন একটা চিনে না, চিনেও চিনতে চায়না
এ যেনো হাশরের মাঠ….
সবাই ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি বলে সজোরে গাইছে গীত!

তবুও আজকাল আরো কতো রকমের শীত যে বেহুদা
হজম করি, করতে হয়.. তার কোনো ইয়ত্তা নেই
তবে কেউ ভাববেন না, আমি নিরুত্তাপ রাজনৈতিক শীতের কথা বলছি
আমার জিবে এতো জল নেই
আমার হাঁড়িতে এতো কাড়িকাড়ি তেলও নেই
আমি কেবল আমার আনকোরা কবিতার শীতের কথা বলছি!!