ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট

মুরুব্বীর নীড়

শব্দনীড় প্রাণের নীড়
উপচে পড়া
কলোকাকলির ভিড় ।

মুরুব্বির ঐকান্তিকতায়
মায়ায় ভালবাসায়
গড়া এই নীড়।

সুচিন্তিত মতামতে
সেতু বন্ধনে রচিত
রঙ্গিন নীড়।

নতুন পাতার সুবাসে
রঙ তুলির আঁচড়ে
সাজলো হৃদয় আকাশে ।

হাযার প্রাণের মেলা
সৃজন আর মননে
মিলনের অপরূপ মেলা।

নীড়ের পাতা মুরুব্বির অভাবে আজ ম্রিয়মান
মুরুব্বীকে সুস্হতা দান করুন রহম করুন হে মহান।

জেগে থাকা আশা

জেগে রয়েছে ধরিত্রী আঁধার রাতে।
বাতাসেরা বল্গাহীন ঘোড়া ছোটায় ধরাতে।
ক্ষীন শিখা হয়ে পাহারায় তারারা থাকে।
বিজলিরা আকাশে মানচিত্র আঁকে।
ফুঁসে উঠে সাগরের ফেনিল ঊর্মি।
আবর্তনে চক্রাকারে প্রলয় ঘূর্ণি।
জেগে আছে মা সন্তানের শিয়রে ।
দুর্দশা দুর্ভাবনা অনন্ত ঘিরে।
একাকি দ্বীপে গোর্কির রাস ছিড়ে।
পোহাবে কি কাল রাত অমানিশা চিরে।
প্রবল ঝড়ে ছড়ায় মেঘ প্রতন্ত সীমায়।
সজল সলিল বর্ষাতে বসুন্ধরায়।
কুহেলিকা কেটে আশা জাগে কি আগামী মৌসুমের।
শুভ্র রেখা দেখা যাবে কি সোনালী প্রভাতের?

পিয়ারা নবী

তিমির যুগে ফুটলো আলো
মা আমিনার কোলে।
সবাই তাঁকে বাসতো ভালো
ডাকতো আল আমীন বলে।

বড় হয়ে ব্যবসা করেন
পান খাদিজা মা কে
সুখে দুখে পাশে ছিলেন
অভয় দিতেন তাঁকে।

হেরা গুহায় এবাদতে
রত ছিলেন তিনি।
আদেশ হলো “পড়ো রবের নামে”
সৃষ্টিকতা যিনি।

ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে
সহ্য করেন অশেষ নির্যাতন।
জিহাদ করে প্রতিষ্ঠা করেন
ক্বোরআনের আইন প্রবর্তন।

এই মহাপুরুষ ছিলেন মোদের
মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ সঃ।
ছিলেন তিনি সবার সেরা
হাবিবে আল্লাহ।

দিবাকর

উদয়ের পথে সোনার থালাটি
সোনালী আভা ছড়িয়ে জাগিয়ে তোলে সৃষ্টি।
বুকে জাগায় সাহস প্রাণে জাগায় আশা
জানিয়ে যায় সবাইকে সমান ভাবে ভালবাসা।
অকৃপণ হাতে ছড়ায় তার দান
সাধ্য কি কারো দিতে পারে প্রতিদান।
সোনালী আলোয় দিগন্তে মাখামাখি
ঘাসের শিশিরে ছড়ানো যেন মুক্তরা রাশি রাশি।
দুপুরে তীব্র তেজে গগনে আগুন ঢালে
আবিস্কৃত হয়েছে সৌর শক্তি বলে।
যোগান দিচ্ছে উপাত্ত হিসাবে বিজ্ঞানের মহা অভিযানে
কাজে লাগাবে আগামী প্রজন্ম নিজেদের কল্যানে।
বিকেলের রোদ্র ছায়ার মিষ্ট আমেজে
ভরে উঠে সকলের মন খোশ মেজাজে।
দূর করে সারাদিনের কর্মক্লান্তি
আনে দেহ মনে শান্তি।
ধুসর গোধুলি লগ্নে দেখি দাড়িয়ে সাগর পাড়ে
কর্মক্লান্ত দীবাকর অস্তমীত সাঁঝের আধারে।

সৃষ্টির রহস্য

‍বিজ্ঞানের উৎকষর্তায়,
অনেক অজ্ঞাত ‍বিষয় আজ জ্ঞানের সীমায়।
প্রত‍িদিন নতুন নতুন ‍জ‍ি‍‍নিস আবিষ্কৃত হচ্ছে।
মা‍নুষের মনের রুদ্ধদ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।
চাঁ‍দে যাওয়া ‍ছিলো এক‍‍দিন ক‍ল্পলোকের স্বপ্ন।
চাঁদের বুকে পড়েছে মানুষের পদ‍িচহ্ন।
‍বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ফলে, প্রমা‍নিত হচ্ছে হাতে কলমে।
‍১৪শ বছর পূর্বে উ‍‍‍ম্মী নবীর কাছে এসে‍ছিলো ঐশী মহা‍‍বিজ্ঞান।
রহস্যাবৃত ‍‍নিখিল ‍বিশ্বের রব সবই তার এখতিয়ারে, সবই তার ‍জ্ঞান।
স্রষ্টা এক এবং তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, প্রমান সু‍বিশাল মখলুকাতই যথেষ্ট।
জ‍ীব জন্তু গাছপালার জীবন ও জীবনচক্র।
মহাজ্ঞানীর সু‍ণিপুণ ‍ক‍ৌশুলির ছোঁয়ায় সক্রিয়।
ইশ্বর, ভগবান, আল্লাহ।
‍বিশ্বাসে এক তারই একছত্র ম‍‍হিমা।
ধ‍‍‍র্মের বা‍‍কি ‍দিক ‍নিয়ে কোন্দল যত।
সহিংস সংঘাত বাড়ছে ততো।
ধ‍‍র্মে নেই কোন জোর জবরদস্তি।
সব ধর্মে সু‍‍শৃঙ্খল ‍জ‍ীবনই পরিশু‍দ্ধি।
কোরআন বলে অন্যের উপাসককে ‍দিওনা গালাগাল।
পাল্টা সেও বলবে তাল বেতাল।
পরমত সহিষ্ন‍ুতা না থাকার ফলে।
জোর যুলুম চলছে সবখানে।
‍বিজ্ঞানী আইনস্টাইন অনেক অসাধ্য সাধনের পরে,
বলেন. মাত্র বালুকনা ‍নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম জ্ঞান সাগরের পাড়ে।
ধর্ম ছাড়া ‍বিজ্ঞান খোঁড়া,
‍বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ।
হাবলের টে‍লিস্কোপে ধরা পড়ে অসংখ্য গ্যালা‍ক্সি যা মাহাকাশের মাত্র দশভাগ।
কসমিক তারে জড়ানো মহা‍বিশ্বের এখনো অজানা ৯০ ভাগ।
‍বিজ্ঞান বলে ঘনিভুত সুক্ষ্ণ আলোক ‍বিন্দু থেকে এক মহা ‍বিস্ফোরনের ফলে।
মহা ‍বিশ্বের সৃ‍ষ্টি, চলছে মহা সম্প্রসারনে কোরআন ও তাই বলে।
প্রমান মেলে মহা‍‍বিশ্বের সব কিছু চলছে এক ‍‍নিয়মত‍ান্ত্রিক উপায়ে।
স্রষ্টা যে এক মহাজ্ঞা‍নী প্রমা‍নিত হচ্ছে ‍বিজ্ঞানের ‍নিয়মে।
‍বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে হয়ে চলেছে মহা জাগতিক সৃ‍‍ষ্টি।
ব্ল্যাক হোলই হচ্ছে তারকার মৃত্যুকূপ ধ্বংসের পরিসমা‍প্তি।
ছয় ধাপে বা‍নিয়েছেন আল্লাহ এই মহাজাগতিক ‍বিশ্ব।
উনিশের মোজেযা আছে কোরআনে মহা‍বিজ্ঞান মহা ‍বিস্ময়।
অনেকের ‍বিবেক নত হয়ে এসেছে সত্যের সন্ধানে।
হয়ত নুয়ে আসবে বা‍কিদের সত্য প্রমানে।
“কুন” হয়ে যাও অ‍‍মনি হয়ে যায় আদেশে।
সব‍ কিছু লয় হবে “ফায়াকুন” জাগবে ‍বিচার ‍দিবসে।
সত্য সমাগত, ‍মিথ্যা অপসৃত আর ‍মিথ্যার পতন অনিবার্য।
এগু‍লি প্রমান করে আল্লাহ এক, সত্য, তাঁর হুকুম ‍শিরোধার্য।

হেমন্ত শিশির

উত্তরিয়া বাওয়ে সাজিলরে ময়ূর পঙ্ক্ষী নাও
বাপের বাড়ী যায়রে নায়োরী রসুল পুর গাঁও।
শিশির ভেজা সবুজ ছাওয়া ভোরের লালিমায়
আল্লাহ রসুলের নাম নিয়ে মাঝি বৈঠা বায়।

নদীর পাড়ের নব ধানেরা ‍সেজেছে সোনালী রং সাজে
নুয়ে আছে কুয়াশার চাদরে নব বঁধুর লাজে।
গরু ছাগল নিয়ে রাখাল যায় যে নদীর তটে
কচি ঘাসে ভরা মাঠ খুশির জাবর কাটে।

নতুন ধানের নবান্ন হবে আ‍ত্মীয় কুটুম নিয়ে
বেয়াই জামাই করবে খুশী পিঠা পুলি দিয়ে।
গরুর বাছুর ছাগল ছানা দিচ্ছে কচি ঘাষে মুখ
তিড়িং বিড়িং নাচছে যেন উথলে উঠছে সুখ।

নতুন বীজে ‍শ‍ীতের ফসল উঠছে ভুঁই ফুড়ি
শিশির ‍সিক্ত‍ নতুন চারার‍‍া মেলছে নব নব কুড়ি।
হেমন্তের এই মিষ্টি হীমে লাটিম লাটাই দেয় যে মনে দোলা
নৌকা চড়া, মাছ ধরা, শাপলা শালুক তোলা।

জলকে চলে কিশোরী সখিনা সখী সহ ঘা‍টে
নাওয়া শেেষ কলসি কাঁখে বাড়ীর পানে হাটে।
শফিরা উড়ায় রঙ্গিন ঘুড়ি আকাশের ‍নীলিমায়
আঁড় নয়নে স্বপ্ন আঁকে ভাসে রঙ্গিন ভেলায়।

দুরন্ত কৈশর মানস পটে সোনালী ছবি আঁকে …
সোনালী অতীতের জীবন্ত ছবি ভাসে জীবনের বাঁকে বাঁকে।

চুল তার কবেকার

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা।
কুচ কুচে কালোমেঘ যেন ঘোর অমানিশা।
যত্ন আত্তি কত, সারা দিনমান।
আমলকি হরিতকি কত কি যে শান।
কবির বন্দনা তুমি, প্রেমিক হারায় দিশা।

কুটুম পাখি

মহুয়া ডালে কুটুম পাখি
দিচ্ছে সুরে ডাক।
হলদে পাখি কুটুম পাখি
ইস্টি কুটুম ডাক।

কুটুম পাখি মিষ্টি পাখি
বড় কুটুম ডাক।
ঘোড়ায় চড়ে আসবে দামান
বাজবে সানাই ঢাক।

গড়বে তাজ, বাজুবন্ধ
নীল মনিহার,
পায়েলিয়া, ঝুমকো গড়বে
সেকরা তবে ডাক।

হলুদ ডালি সাজিয়ে দেব
লগন রাত সাজবে ।
বাদ্যি, বাজনা থাকতে হবে
গায়েন তবে ডাক।

মিষ্টিমুখ করতে হবে
মিঠাই , মন্ডা ,নিমকি হবে,
খীর হবে, দধী হবে
ময়রা তবে ডাক।

টুক টুকে লাল সাজিয়ে দেব
বেনারসিতে।
সিঁদুর, শাঁখে সাজবে মামুনি
দোলা তবে ডাক।

অপরূপা হেমন্ত

হিমালয়ের হিমকন্যা নবরূপবিভায় ভেসে আসে হেমন্তে।
তুলতুলে মেঘরাশি নব উদ্দমে খেলে যায় দিগন্তে।
হিমবুড়ি আসে কুয়াশার আঁচল টেনে কাশের দোলায়।
নবোচ্ছাসে দোলা দিয়ে যায় সোনালী শীষে হিমেল হাওয়ায়।
কুয়াসা স্নাত শিউলি, বকুল অবগুণ্ঠনে ঢেকে
মৌ মৌ গন্ধে নব আয়োজনে নবান্নের ডাকে।
টুপ টাপ ঝরে শিশির শাল পিয়ালের বনে।
সুরে ছন্দে পাখা মেলে পাখিরা মেতে উঠে গানে।
চাঁদের ঝলসানি, তারাদের ঝলকানি নিশীথ শিশির
ঝিঁঝিঁর গান, জোনাকির আলোর সাজ হেমন্ত নিশির।
আশা জাগানিয়া নবজাগরণে নয়া কুটুমের সাধে,
আনন্দে ভরপুর বাড়ি খেজুর রসে পিঠে পায়েসের স্বাদে।
নয়া ধানে নব শিহরণে বড় কুটুম সাজায় বরণ ডালা।
শাঁখা সিঁদুরে বরণ করে, নব সুরে বদল করে মালা।।

গৃহস্থ নারী

শোনা যায় বীজ বপনে নারীরাই ছিলো অগ্রযাত্রায়।
হয়ত সন্তানের জন্য নয়ত পছন্দের কারণে ধাবিত হয়েছে নতুন অভিযাত্রায়।
স্বীকৃতি ছাড়াই অহর্নিশি করতে হয়েছে ঘর গেরস্থালির কাজ।
অর্থনৈতিক টানাপোড়নেই জীবনের তাগিদে বাধ্য করেছে সমাজ।
আয়া বুয়ার কাজে বহুদিন ধরে রেখেছে আবদান।
পায়নি তেমন পারিশ্রমিক, পায়নি যথাযথ সন্মান।
মাটি কাটা খোয়া ভাংগা, যোগালির কাজে।
সাহসের সাথে কাধে কাঁধ মিলিয়ে করেছে সমান তালে।
শতছিন্ন ময়লা বসনে থালা হাতে যায়না দেখা আর কাক ভোরে।
পোষাক শিল্পের আগমনে বদলে গিয়েছে সব এগিয়ে যাচ্ছে নতুন পথ ধরে।
এগিয়ে আসতে হবে সরকার মালিক পক্ষকে নারীর অধিকার সংরক্ষণে।
স্বাস্থ্যগত, প্রসবোত্তর, ডে কেয়ার সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নে।
পিছিয়ে আছে লেখা পড়ায় অনেক, এগিয়ে আসতে হবে মেয়েদের।
দিতে হবে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা তাদের।
যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে অফিস আদালতে।
স্কুল কলেজ, হাসপাতাল গুলোতে।
আনুপাতিক হারে দিতে হবে জায়গা মেধা বিচারে।
মানুষ হিসাবে চাই কলিগ, বস, সবার নজরে।
দুই কন্যা হওয়ার কারণে অনেক পরিবারে উপার্জনে নারীরাই।
সেদিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকার দেয়া চাই।
সর্বক্ষেত্রে যদি দেয়া হয় জননী, ভগ্নি, জায়া, কন্যার সম্মান।
নেপোলিয়ানের কথামত পাওয়া যাবে জাতি মহিয়ান।

বিড়ম্বনা

আপিসের ক্লার্ক
জীবনটা ডার্ক,
অন্দরে ‍শোনা যায় শুধু হাঁক ডাক।
গিন্নীর ফরদ,
হাতে পেয়ে মরদ এর
তেঁতে উঠে টাক।
জামাইর বায়না,
‍মেয়ের গয়না,
নইলে বাজবেনা বিয়ের ঢাক।
সাধ্যে আমার কুলায় না,
কাজে মন বসে না,
আপিসের কাজ রইল পড়ে থাক।
কলমটা যেতে চায় যায় উড়ে যাক।

আমার দেখা নতুন তিন শতাব্দী

সৌভাগ্য আমার নতুন তিন শতাব্দী দেখার সুযোগ হলো।
ভাবিয়ে তোলে যুদ্ধ, গ্রীন হাউস, এইডস আর মারণাস্ত্র গুলো।
হ্যাপি নিউ ইয়ারের নামে উন্মত্ত আচরণ।
উন্নত প্রযুক্তির বিপর্যয় যখন Y2K জীবন।
তবুও কামনা শুভ হোক নব বর্ষ ।
জেগে উঠুক প্রাণে প্রেম প্রীতি হর্ষ।
বিংশ শতাব্দী পার হয়ে এক বিংশ শতাব্দীর পথ ধরে।
যিশুর আদর্শ পৌছে যাক দুঃস্থ অনাথের দ্বারে।

হিজরী সনের গোড়া পত্তন হিযরতের পরে।
আঁধারের যুগ কেটেছে তখন কোরআনের নূরে।
তৌহিদ প্রচার করে গিয়েছেন শত নির্যাতনের মাঝে।
খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন উম্মতের কাছে।
১৪-শ শতাব্দী পার হেয় ১৫-শ শতাব্দীকে ঘিরে।
নবীর শিক্ষা থেকে বিশ্ব বাসী আজ অনেক অনেক দূরে।

বাংলা সনের গোড়া পত্তন সালতানাতের যুগে।
সামন্ত প্রথা মাথা চাড়া দেয় সেই সুযোগে।
করের টাকায় সামন্ত প্রভুরা ছিল বিলাশ ব্যসনে মত্ত।
শৌর্য-বীর্য সব হারিয়ে ভাগ্যের রবি হয়েছে অস্তমিত।
১৪-শ শতাব্দী পার হয়েছে কালের গভীরে।
যোগ বিয়োগের চলছে পালা ইতিহাসের ভিতরে।

খৃষ্টাব্দ মুলত শুরু হয়েছে যিশুর জন্ম লগ্নে।
দু হাত প্রসারিত করেছিলেন জ্বরা জীর্ণ রুগ্নে।
ঈসা মারইয়ামের ব্যাটা আল্লাহর বান্দা নবী।
ইন্জিল কিতাব প্রাপ্ত হয়ে প্রচার করেছেন সবই।
অশান্ত পৃথিবীতে আসবেন তিনি উম্মতে আখেরী।
ইসলামী জাগরণে সঙ্গী হবেন ইমাম মেহেদী।
পাপ পঙ্কিলতা দূর করে করবেন শুচি শুদ্ধ পৃথিবী।
আল্লাহর মহিমা উঠবে গেয়ে আবার সকল সৃষ্টি।

Era.com

E যুগের বদৌলতে বিশ্ব দ্রুত এগোচ্ছে।
ক্রমেই পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে।
আসছে নতুন নতুন চিন্তাধারা।
পাল্টেছে ক্রাইমের ও ধারা।
রাজনৈতিক ব্যবসায়িক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত।
শত্রুতা উদ্ধারে অপরাধীরা সম্যক অবগত।
মাস্টার মাইন্ডের পৃষ্ঠপোষকতায়,
অপরাধী চক্র আরও সক্রিয় আধুনিক উপায়ে।
টাইম বোমা, মাইন বয়ে আনে শত শত হত্যা।
গুপ্ত হত্যা প্রকাশ্যে হত্যা, প্রণয়ে হত্যা।
স্ত্রীর জীবন বীমা করে বাথটাবে শ্যাম্পুর ফাঁদে,
হাসতে হাসতে নিয়ে যায় জীবনের যবনিকা পাতে।

মুখের উপর বালিশ চেপে।
চিরতরে নিশ্চল মৃত্যুর কোলে সঁপে।
অ্যাসিড দগ্ধরা যেন নিজেরাই অপরাধী মুখ লুকাতে ব্যস্ত।
এমনটি হওয়া উচিত যেনো অপরাধী থাকে সন্ত্রস্ত।
আইনকে উপেক্ষা করে উকিল কে বখরা দিয়ে,
আইনের ফাক গলে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়ায় গায়ে ফুঁ দিয়ে।
এই সাহসেই ক্রমশ অপরাধ বাড়ছে।
জাতি ঘোর অমানিশার দিকে এগোচ্ছে।
অপরাধীকে জন সম্মুখে শাস্তি দেওয়াই কাম্য।
যদি প্রতিষ্ঠিত করতে হয় সাম্য।

আইন, বিচার বিভাগে রয়েছে কতিপয় অসাধু ও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
টাকার বিনিময়ে এরা অপরাধীকে করে সন্তুষ্ট।
আমাদের বিচার বিভাগ হওয়া উচিত আধুনিক, কার্যকরী, ত্বরান্বিত।
স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি, দুঃশাসন মুক্ত।
নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, প্রতিহিংসা।
লালসা, অমানবিকতা, জিঘাংসা।
নির্যাতনের কিছু রূপ।
সুস্থ বুদ্ধির প্রতিরূপ।
হারিয়েছি আমরা নীহার বানু, সালেহা, রীমাকে।
সমিরন, করিমন, আরও অনেক জনকে।
বহুগামিতার মানসিকতা থেকেই উদ্ভব এই ফিতরত।
HIV /AIDS তারই খেসারত।
.Com যুগের প্রজন্মকে বাঁচাতে চাই সুপরিকল্পিত নীতি মালা।
চরিত্র সংশোধনের জন্য চাই জোর প্রচারণা ও বিধিমালা।