আকাশ জুড়ে চলছে ছুটে শরত রং এর ভেলা।
মনের আকাশও সেজেছে আজ বসেছে খুশির মেলা।
নাইবা পেলাম দুরের আকাশ তারার হাতছানি।
পরম নির্ভরতায় তোমার আকাশে মেলব ডানাখানি।
গোলাপ সুবাসিত পাপড়ি রং এ সাজাব নীড় খানি।
কঙ্কটহীন ভালোবাসায় ভরবে ভূবন খানি।
ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট
হাইটেক টিনস
পশ্চিমা চিন্তা চেতনায় টিন এজাররা দারুন ভাবে মগ্ন।
ইলেক্ট্রো মিডিয়ার বদৌলতে হয়েছে সব বাহু লগ্ন।
সাজ সজ্জা চাল চলনে এসেছে আমুল পরিবর্তন।
ফ্যাশন জগতে এসেছে ল্যান্ড মার্ক প্রবর্তন।
হাই টেক বিট ছাড়া তাদের ঘুম আসেনা।
মিউজিক ছাড়া লেখাপড়া মাথায় ঢোকে না।
ধুড়ুম ধাড়াক্কা রকের সাথে নৃত্যে ভাসিয়ে গা।
অবহেলায় সরিয়ে রাখে পল্লী গীতি পল্লী সোনার গাঁ।
আনন্দ বিনোদন হয়না সারা রঙ্গিন পানীয় ছাড়া।
হ্যাসিস হেরোইনের নীল নেশায় তারা মাতোয়ারা।
মোবাইল ইন্টারনেট এনে দিয়েছে বাড়তি এক্সেস।
উত্যাক্ত করতে ইভ টিজার এর দারুন ইজি প্যাসেজ।
অবক্ষয়ের দিকে তরুন সমাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
মরণ ছোবল নেশা আর এইডসের শিকার হচ্ছে।
সুযোগ সন্ধানিরা বসে নেই টু পাইস কামাচ্ছে।
গড্ডালিকা ভাসিদের শেষ পিনটি মারতে উঠে পড়ে লেগেছে।
সাধনা
সত্য কথা যতই হোক শিকারীর বান।
অকাট্য যুক্তি যতই অপ্রিয় হোক জ্বলবে অনির্বান।
ধুলি ধুসরিত মণি মানিক্য সাগরের নোনা জলে।
অাহরিত হয় যৎকিঞ্চিত সাধনার জালে।
সাধনার ধন কুক্ষিত নয় বিলাবে আজলা ভরি।
হর্ষ ধ্বনি তুলবে সবাই তোমায় স্মরণ করি।
শরৎ শোভা
শ্যামলা মুখো শরৎ আকাশ
কাঁদছে ক্ষনে ক্ষনে।
বিজলি চমক ঝলসে গেলো
বিষন্ন বদনে।
ডুমরু দেখে উদাস লাগে
ডানায় উড়ে পাখি।
ঝর্ণা ধারা ঝরছে অঝোরে
ছল ছল আঁখি।
পেখম খুলে নাচছে ময়ুর
বৃষ্টি ধারার ছন্দে।
মন ময়ূরী উতলা যে
উড়লো আকাশে আনন্দে।
মাছের ছানারা নতুন পানিতে
ডিগবাজী খায় সুখে।
মাছরাঙারা ছোঁ মেরে
ডুবিয়ে দেয় দু:খে।
সোঁদা মাটির গন্ধে ব্যাকুল
কেঁচো গুলো ঘুরছে প্যাকে।
হাঁস ছানারা ভুরি ভোজে
আনন্দে গায় প্যাক প্যাকে।
বৃষ্টি ভেজা ডাহুক পানকৌড়ী
কচুরি পানার ফাঁকে।
ছানা নিয়ে খোজে শিকার
করুণ সুরে ডাকে।
বকেরা সব যায় যে উড়ে
কাঁশ বনের বাঁকে।
গোধুলী বেলায় রাঙানো মেঘে
স্বপ্ন একেঁ একেঁ।
সুখসারীরা দেয় যে উঁকি
মনের গহীন বাঁকে।
নীলাম্বরী মেঘের আঁচল
ফিরে ফিরে ডাকে।
রাঙ্গা ঠোটে শিউলী হাসে
শুভ্র বসনে।
কুয়াসা স্নানে ঝরে পড়ে
মায়াবী পবনে।
ভক্ত কুলের ভক্তি অর্ঘ্য
পূঁজোর ডালিতে সাজে।
উঁলুতে উঁলুতে শাঁখের ধ্বনিতে
শারদীয় ঢোল বাজে।
অন্য রকম জীবন
সুউচ্চ ভবনগুলো যেনো আকাশ ছুঁতে চায়।
ভুকম্পনের ভীতি বাসিন্দাদের মনে খানিকটা বাড়ায়।
পাছ গাছড়া উবে গেছে যেনো কন্ক্রিটের স্তুপ।
কাজের চাপে যান্ত্রিক জীবনে নেই কোন ফুরসত।
রাস্তা ঘাটে জ্যাম লেগে যায়, বড়ই গ্যান্জাম।
ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায় দিতে গিয়ে আনজাম।
রাস্তা পারাপারে বড়ই তাড়া কে কার আগে যাবে।
অসহিষ্নু মন কাজ করে সড়ক দুর্ঘটনাতে।
ওভার ব্রিজগুলো দঘলে থাকে দিনে হকারের।
ওগুলো থাকে স্বর্গরাজ্য রাতে নেশাখোরের।
রাতের আলোয় মলগুলো সব ভেগাসের এর রূপ নেয়।
ক্রেতাহীন মলগুলো সব একান্ত অসহায়।
চলন্ত সিড়িগুলো চলতে থাতে বৃথাই।
প্রয়োজনের চেয়ে উৎসাহী লিফ্টে চড়ে শুধুই।
ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোয় ভিড় জমে রাতে।
ড্রিংকসের ব্যবসাটা জমে সেই সাথে।
আড্ডা জমে রেস্তোরাতে, আড্ডা জমে ক্লাবে।
চ্যানেল গুলো চলতে থাকে রাউন্ড দ্য ক্লকে।
ওত পেতে থাকে হাইজাকার রা বিভিন্ন পয়েন্টে।
কেড়ে নেয় সব কিছু গান পয়েন্টে।
লেট নাইটে ফেরে তারা যে যার বাড়িতে।
জীবন এখন অন্যরকম, গড়া, অন্য রকম ধাতে।
নীল পরী
আকাশের নীলিমায় নীল পরীতে।
সীমাহীন তাঁত বুনে রুপালী জরিতে।
অঙ্গ তার বুটিদার খচিত উল্কি।
বাহারি চাদর যেনো খচিত চুমকি।
চেয়ে থাকে বাতায়নে নির্ঘুম প্রহরে।
দিবানীশি খোঁজে ফেরে মনের মুকুরে।
ভাবনায় আনচান ঢাকে আঁধারে।
খুঁজে খুঁজে হয়রান স্বপ্নের বিভোরে।
দুঃখের ছায়া যেনো নেমে আসে মর্তে।
বুক বাঁধে ফের আবার আগমনি শর্তে।
হাসি হাসি মুখখানি স্বর্গের খনি।
নীল জলে ছায়া ফেলে যেনো নীল
মনি।
পরিবেশ দূষণ
নিঃসীম নীল আকাশ রয়েছে মহাশূন্যে ভাসি।
তারই প্রতিবেশী গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ভেলার মত চলছে ভাসি।
কি আকর্ষনে চলছে, য়ে যার পথে স্রষ্টার অপার দান।
সৃষ্টির তা বুঝাও দায়, দেবে থাক প্রতিদান।
প্রকৃতিকে নষ্ট করছে মানুষ নানা উপায়ে।
নিজের অজান্তেই মারছে কুঠার নিজেরই পায়ে।
আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি বিষাক্ত করে তুলছে।
গ্রীন হাউস গ্যাস আজ পৃথিবীর বুকে এসে পড়ছে।
আধুনিকতা সুখ সাচ্ছন্দ ভালো, এতো নয় যে, মৃত্যুর কারন হবে।
গাছ পালা পশু পাখি সব বিলীন হয়ে যাবে।
সময় থাকতে সচেতন হওয়া সবার প্রয়োজন।
সুস্হ পৃথিবী যেনো পেতে পারে,পরবর্তী জেনারেশন।
শালিকের ভাবনা
ইটের শাখায় জোড়া শালিক
মুখোমুখি বসা,
কিচির মিচির কত সুরে
চলছে স্বপ্ন কষা।
নতুন নীড় গড়বো কোথা
বলছে হেসে সখা,
লৌহ গরাদের এই শহরে
যায়না শ্যামল দেখা।
ডিশের শাখায় নেটের শাখায়
ছেয়েছে সারা শহর,
সবুজ শাখা হারিয়ে গেল
কেউ রাখেনা খবর।
বাসা বানাই বাতির খোপে
দুরু দুরু বুকে,
ফোরম্যানরা আসবে যখন
মারবে ধুকে ধুকে।
ভীরু গলায় বললো সখী
মনে ভরা দুখ,
সেদিন কি আর আসবে সখা
মিটবে মনের সুখ।
বুদ্ধিমানরা বুদ্ধি করে
ফন্দি এঁটেছে,
গাছ গাছালি কেটে সব
উজাড় করেছে।
ডাস্টবিনের এঁটো ঝুটায়
ফরমালিনের ঝাঁজ,
ক্ষেতের দানায় কীটনাশক
পড়েছে মাথায় বাজ।
ইতর প্রাণীর নেই যে দাম
তাদের বিচারে,
যুপকাষ্ঠের বলী তারা
বুদ্ধির অনাচারে।
ইতর প্রাণীর প্রাণ নাশও
তাদের ধংসের কারণ,
সময় থাকতে প্রাণে বাঁচাও
কর সংরক্ষণ।
ঝড় বৃষ্টি খরাও তাদের
পিছু নিয়েছে,
ভূকম্পনের ভীতিও তাদের
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
পরিবেশের উপর যত আঘাত
সব মানবের গড়া,
ছাড় দেবেনা নিতে দাদন
প্রতিশোধ ছাড়া।
পৃথিবীর থ্রী ডি
পৃথিবীর গভীর আলিঙ্গনে, পাহাড় দাড়িয়ে শীর উঁচু করা,
পরতে পরতে সাজানো যতনে নানা উপাদানে ভরা।
থাকে পানির প্রস্রবন ধরাকে করতে সিক্ত,
থাকে আগ্নেয়গীরি অগ্নুৎপাত লাভা করতে অরন্য রিক্ত।
থাকে গ্যাস পেট্রোল থাকে সোনা দানা,
থাকে কয়লা, হিরা, থাকে জেম, কত কিছু অজানা।
পাহাড়ের খবর দেয় মুষিক সুড়ঙ্গতে আনা গোনা,
পেরেকের রূপে পৃথিবীর বুকে পোতা এন্টেনা।
পৃথিবীর বুক চিরে সমুদ্র শুয়ে নীল চাদরে ঢেকে,
মোবাইল ডিজাইন চাদরে হরদম নকশা আঁকে।
বিচরন করে মাছ, হাঙ্গর, তিমি আবাস জলজ প্রানীর,
তলায় জন্মে জলজ উদ্ভিদ শৈবাল, ঘেরা মজবুত প্রবাল প্রাচীর।
মানুষেরা শুষে নিচ্ছে তেল-গ্যাস অতুল সম্পদ,
ছেড়ে দিচ্ছে বিষাক্ত বর্জ্য বিনাশে জলজ সম্পদ।
রাতের আলোতে বাহারি চাদর ঝলমল করে,
স্বর্গীয় রূপালী অপ্সরীরা ডিসপ্লে শো করে।
পৃথিবীর কোলে রূক্ষ মেজাজে ছড়িয়ে মরূভূমি,
উদয়াস্ত সূর্য গভীর মমতায় দিয়ে যায় চুমি।
মায়া মরিচিকা কুহেলিকা যতো বদনাম,
তার মাঝে আছে খর্জুর বৃক্ষ আছে মরুদ্যান।
আছে ‘উট’ মরূ-জাহাজ পথ হারাকে বইতে,
আছে ‘ভেক’ সচ্ছ সলিলে পথ হারার তেষ্টা মেটাতে।
মরূর বুকে আছে তেল-গ্যাস আছে সোনার খনি,
তপ্ত মরূতেই নাজিল হয়েছে পৃথিবী রহস্যের বানী।
সময়
সময়ের বড়ো তাড়া চাহে না পিছু ফিরে।
দোর্দন্ড প্রতাপে করছে শাসন চারপাশ ঘিরে।
সেচ্ছায় অনিচ্ছায় আজ্ঞাবহ তার।
ভালো কি মন্দ বিচার বুদ্ধি যার যার।
আবর্তনে রেখেছে ব্যস্ত, চন্দ্র, সূর্য, তারা।
রোদ, বৃষ্টি মেঘ সমুদ্রের স্রোতধারা।
ব্যস্ততা আছে উদয় অস্তে, ব্যস্ততা আছে সৃষ্টিতে।
ব্যস্ততা আছে বিহঙ্ঘকুলে, ব্যস্ততা আছে জলজ প্রাণীতে।
যথা সময়েই মেলে দিতে হয় প্রজ্ঞার বিস্তার।
অসময় অবহেলার খেসারত থেকে নেই নিস্তার।
দৃঢ় চেতনা, দৃঢ় চিত্তেরই পরিচায়ক।
দৃঢ় পদক্ষেপই জয়ের লক্ষ্যে সহায়ক।
সঠিক পথে আগে বাড়া জন আছে উচুঁ শিরে।
ভুলের মাশুল সুধতে সময় কোন মূল্যে না ফিরে।
যুগের চাকায় অভিজ্ঞতার মশাল ঘুরে হাত থেকে হাতে।
হারানো অতীত থেকে শিক্ষা হয় নিতে।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে সবাই নিয়তই।
কালের যোগ বিয়োগের ফলাফলই জীবনের নিয়তি।
বেলা
শিশু রবি হামা দেয় পূব গগনে।
কু্জনে কুজনে জাগে বিহঙ্গ ভোর বিহানে।
আলো আধারি খেলায় রত রং এর বাহার।
রূপালী, গোলাপি, সোনালী বিমূর্ত মূর্ছণা ধরার।
বেহাগে সমীর সন্তরনে ঢেউয়ের নৃত্যে।
ঝিলি মিলিতে রাশি রাশি মীন যোগে স্বাগত নৃত্যে।
পাহাড়ী ঢালে ঝর্নাধারা কুলু কুলু রবে জানায় প্রসন্নতা।
বন বনানীতে পাখ পাখালী সুরে সুরে জানায় তাঁরই বদান্যতা।
ঊর্ধ পানে সূধা পায়ি গাছ গাছালি জানায় সম্ভাষণ ।
সৃষ্টির স্রষ্টার কারিগরি করে অন্বেষণ।
জীব জানোয়ার পলকে পলকে বাঁচে তাঁরই মহিমা।
বেভুলে হয়োনা নি:স্ব করতে তাঁরই গরিমা।
বেলা বাড়ে, বাড়ে আয়ু নেমে আসে সন্ধ্যা।
নিভে যাবে সব আলো যবনিকা হবে জীবন সন্ধ্যা।
মেঘে মেঘে হল বেলা ঘনিয়ে এল ঘোর।
হেসে খেলে গেলো কেটে বেঘোরে সোনালী ভোর।
জীবন সায়হ্নে মেলাতে বসে জীবনের খেরো খাতা
শুভঙ্করেরর ফাঁকিতে ভরা জাপিত জীবনের পাতা।
তন্ত্রে মন্ত্রে পার হওয়া হবেনা অকূল দরিয়া।
সময় থাকতে বৈতরনী পারে হওরে মরিয়া।
পৃথিবী সমান সোনাও নয় ,নয় কোন সুপারিশে।
এক রুজুই ধরলে পরে , পার পাবে অনায়াসে।
স্বপ্ন ভঙ্গ
হেমন্তের জোছনা রাতে,
রূপালী নরম আলোতে,
চাঁদ এসে দাঁড়ায় শিয়রে।
হিম ঝিরি বাতাসে,
ঘুম ঘুম আবেশে,
শার্শিতে প্রতিবিম্ব।
মনের অব্যাক্ত কথাগুলি,
উথলে উঠে কেবলি,
বেদনার পান্ডুলিপি।
মধ্যরাতের নিরবতা,
গেয়ে উঠে রাতের পাখিরা,
কোন মায়াবী সুরে।
মায়াবী চাঁদের সাথে,
খুঁজি তোমাকে পাশে,
হাত বাড়াতেই আলেয়া।
সুখ স্বপ্ন টুটে।
কারবালার আদর্শ
কারবালার নাম করে কেঁদে হবে কি
শহীদের আদশ পালন হয়েছে কি?
মাথানত করেনিতো হোসাইন(স)ইয়াজিদের কথাতে
ভ্রুক্ষেপ করেননিতো সীমারের ছোরাতে।
রাসুলের সঃ দৌহিত্র আলী ফাতিমার দুলাল
ধরে রেখেছেন উধে তুলে ইসলামের হেলাল।
এ যুগেও আছে কত ইয়াজিদ সীমার
এদেরও রুখতে হবে সব অন্যায় অনাচার।
শিয়া সুন্নির প্রভেদ ঘুচিয়া ইসলামের জয় হোক
তবেই সাথক হবে কারবালার শোক।
শরৎ
ডানপিটে এক দস্যি যেনো
ছুটছে আকাশ জুড়ে।
গুড়ুম গুড়ুম ঠুশ ঠাশ
বের হচ্ছে মেঘ ফুঁড়ে।
হঠাৎ হাসে হঠাৎ কাঁদে
নেকাবে মুখ ঢেকে।
সাদা সাদা ভেলা গুলো
ছুটায় এঁকে বেঁকে।
গোস্বাতে সে ফেটে পড়ে
বড় বড় ফোটায়।
কাশের বনে ঢিল মেরে
সাদা পালক ছড়ায়।
হম্বি তম্বি দেখায় কত
চলতে বর্ষাকে।
তর্জনে গর্জনে ব্যাস্ত রাখে
ফুঁসতে নদীকে।
অসার হয় রাগ অভিমান
বৃথাই সব হুঙ্কার।
কল কাকলিতে মুখোরিত বন
উঠছে সুরের ঝংকার।
বকেরা সব ডানা মেলে
ধুসর আকাশে।
ফড়িং এরা পাখা মেলে
ফুর ফুরে বাতাসে।
শারদীয় উৎসবে
মেতে উঠে সবাই।
উড়ে যাও পেঁজা তুলো
গুডবাই গুডবাই।
আহত ইচ্ছা
রঙ্গিন নেশা ছড়িয়ে পড়ে স্ফুলিঙ্গের মত
মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাড় শত শত।
মন ছুটে যায় তেপান্তরে হাওয়ায় ভেসে ভেসে
সাধ জাগে তার পাখির ডানায় ঘুরবে দেশে দেশে।
নানান রং এর স্বপ্ন গুলো ভাসিয়ে দিয়ে ভেলায়
ইচ্ছা গুলো উড়তে চায় প্রজাপতির পাখায়।
গাইবে গান কইবে কথা ঢেউয়ের কানে কানে
রূপালী আলোয় সাজাবে বাসর নিশীথ চাঁদের সনে।
লুটবে মৌ অলী হয়ে পুষ্প রেণুর ডগায়
ছড়িয়ে দেবে ফুলে ফুলে জনান্তিকের আশায়।
পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু জ্বলবে মুক্তো হয়ে
সোনা রোদে মিশবে মেঘে নেশা উবে গিয়ে।
ভাবাবেগে চলছে ছুটে মরু উপত্যকায়
ভাবনা গুলো দিশে হারা মায়া মরীচিকায়।
খুশবু হারা সুখ গুলো সব মুখ থুবড়ে পড়ে
ক্ষত বিক্ষত হয় পালক গুলো অনাচারী ঝড়ে।
ঝরে পড়ে ইচ্ছা গুলো পাপড়ী ঝরার মত
কাটা বিঁধে ফুলের সোহাগ রক্ত ঝরায় কত।
প্রেম কাননে আসে ধেয়ে অলী কুল যত।
পায় কি তারা প্রেমাসন নিজের ইচ্ছা মত।