শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

জেগে উঠবো

2937

আমি প্রতিটি পতনের পরে জেগে উঠবো
পৃথিবীর মহাপ্রলয় শেষে
ধ্বংসকে উপেক্ষা করে ধ্বংসের মহাসাগর থেকে বেরিয়ে আসবো।
জেগে উঠবো তোমারই আশায়।

এবং আমি শেষ পর্যন্ত জেগে উঠবো
হার না মানা পৃথিবীর পান্থশালায়
ফিরে আসবো তোমার চলা পথে পথে।
এবং লম্বা হয়ে দাঁড়াব দুর চোখে দেখবো।
এই সুদূর পৃথিবীর শেষ লগ্ন পর্যন্ত।

আমি পৃথিবীর সকল শুধ্যতার উপরে উঠবো
আমি তাবৎ পৃথিবীর মারণ আঘাতকে
ফাঁকি দিয়ে জেগে উঠবো
অবহেলিত আর লাঞ্ছিতগণের মতো।

জেগে উঠবো সূর্যের ইশারা ছুঁইয়ে
অথবা রোজ রাতে চাঁদের ধূসর বরফ ছুঁয়ে
ভেসে উঠবো রূপসী বালুকাবেলায়
জোসনা ভরা নক্ষত্রের সাথে মরুভূমির বুকে
আমি জেগে উঠবো প্রতিটি পতনের পর।

প্রতিটি গল্পের রঙ্গমঞ্চ ভেদ করে
সোনালী রৌদ্রের মতো পৃথিবীর বুক চিরে
ভেসে উঠবো শরীরের রৌদ্র স্নানে।

কোন এক শীতের দিবসে জেগে উঠবো
কাঙ্খিত পথিকবর তোমার হৃদয়ের ওম হয়ে
আমি মহা সমুদ্রের বুকে তুলে ধরবো পাল
বিস্তীর্ণ বিরাণ ভূমি কিংবা মরুভূমির বুকে
ছুটে চলা চাঁদের রাত কিংবা নক্ষত্রে গাঁথা
জীবন গল্পের মতো।

পৃথিবীর বুক চিরে স্মৃতির পরশ-পাথর ছুঁইয়ে
জেগে উঠবো তোমার মনের খোয়াব হয়ে
অলঙ্ঘনীয় স্মৃতি পাঠশালায়
তোমার বুকের মানচিত্রে।
ফুল হয়ে জেগে উঠবো,
ফল হয়ে জেগে উঠবো
জেগে উঠবো, জেগে উঠবো জেগে উঠবো।

জেগে উঠবো অসুস্থতায় ঔষধ হয়ে।
তোমার আঁকা পৃথিবী জুড়ে
জেগে উঠবো জীবনের গল্প নিয়ে।
তোমার ভালোবাসা হয়ে
তোমার বাগানের ভ্রমর হয়ে
নির্ঘুম রাতেঘুম হয়ে তোমার রাজ্যের রাজপুত্র হয়ে।

জেগে উঠবো অসামান্য শূন্যতার মাঝে
পৃথিবীর বুকে ভুল করেও যদি ভুলে যাও
ভুলে যেতে চাও স্মরণ করিয়ে দেবো বারবার
এই অসীম শূন্যতার বুকে কঠিনতম
হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
মনে করিয়ে দেবো আমাদের জীবনের গল্প
মনে করিয়ে দেব আমাদের অতীত।

জেগে উঠবো মাটির বুক চিরে
জ্যাক অ্যান্ড জায়ানের বৃক্ষের মতো
পালতোলা জাহাজের একদম উচ্চতায়
বারবার উঠবো প্রতিটি পতনের পর
প্রতিটি পতনের পর আমি উঠবো
বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নয়, তোমার প্রয়োজনে।

ভালোবাসবো বলে তাই
তোমার আমার ভালোবাসার প্রয়োজনে।
তুমি হয়তো ততদিনে ভুলে যাবে সব
তবে আমি সেখান থেকেই শুরু করব নতুন করে
প্রতিটি ধ্বংসের পরে জেগে উঠবো মহাপ্রলয়ে।

একজন মানুষ চাই

672851

একজন মানুষ চাই
মানুষ তার সৃষ্টির চেয়ে বড় নয়

জীবন যদি একটা পথ হয়
তবে সে পথে অনেক জীবনের সন্ধান পাবেন।
এই পথ পরিচর্যার জন্য নির্দিষ্ট মানুষের প্রয়োজন
জীবন একটি বৃক্ষ স্বরূপ হলেও হতে পারে;
তবে সে বৃক্ষের একেকটি পাতা মানব জীবনের একেকটি কোষ।

সেখানে একটি পাতা ঝরে গেলে
একটি কোষের মৃত্যু হবে
এর জন্য নির্দিষ্ট মানুষের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।

জীবন একটি স্বাধীন সত্তা
যাতে জীবন স্বাধীন থাকে
তার জন্য কিছু পরিবেশ তৈরি করতে হয়।
স্বাধীন আইন প্রণয়ন করতে হয়।
যাতে সেই স্বাধীন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে
স্বাধীনতা বলবৎ থাকে
এর দেখভালের জন্যও একজন মানুষের প্রয়োজন।

জীবন একটি লম্বা পথ।
জীবন একটি লম্বা বটবৃক্ষ।
জীবন একটি লম্বা ও বিস্তৃত মরুভূমি।
জীবন একটি লম্বা ও বিস্তৃত সাগর- মহাসাগর।

জীবনের এই বিস্তৃত পথে
যাতে তার পরিবেশ দূষণ না হয়
সেটা দেখ-ভালের জন্য মানুষের প্রয়োজন।

কারণ জন্ম যেখানে একা মৃত্যুও হবে একা
কিন্তু মানুষ তার মাঝখানে
একাকী পথ পাড়ি দিতে পারে না
মানুষ তার বয়সের মাঝখানে
সুবিসাল সাম্রাজ্য তৈরি করে
যে সাম্রাজ্যের ভেতরে একটা মহাকালের আবহমান মায়াজাল রচিত হয়।

সেই মায়াজালের আবদ্ধতা থেকে বাইরের মহাজগতে ফিরতে কষ্ট হয় বলেই একজন মানুষের প্রয়োজন। মানুষ অমর নয় তবে মানুষের কর্মগুলো অমর হয়।
মানুষ ধর্মের প্রবর্তক, মানুষ কর্মের প্রবর্তক,
মানুষ তার এক জীবনের পথ ধরে অনেক কিছু প্রবর্তক হয়।

কিন্তু একজন মানুষ
শুধু তার নিজেরই প্রবক্তক হতে পারে না
মহাকালের এই ভ্রাম্যমান পৃথিবীতে
মানুষের নিদর্শনই বলে দেয়
মানুষ তার কর্মের চেয়ে বড় নয়
মানুষ তার সৃষ্টির চেয়ে বড় নয়।

এসব প্রকাশ করার জন্য হলেও একজন মানুষ চাই।
যে হবে আত্মার আরতি
তাছাড়া জীবন অপূর্ণই রয়ে যায়
তাছাড়া জীবন মর্মর ধ্বনির মত ক্লান্তই রয়ে যায়।

ভুলে যাবো ভুলে ভরা সব…

22106

আমিও ভুলে যাবো সময়ের নির্লিপ্ততা
ভুলে যাবো ঘটনার আড়ালে ঘটা অঘটন।
ভুলে যাবো একেকটা সেকেন্ড
মিনিট, ঘন্টা, দিনরাত, মাস কিম্বা বছরের পালাবদল।

ভুলে যাবো সব; ভুলে যাবো কষ্টের বন্যতা
ছুঁয়ে যাওয়া মেঘ, ভুলে যাবো বাদল
ভুলে যাবো সব দেয়া কথা।
স্মৃতির রেলিতে জমা যে জীবনের অবগুণ্ঠন
তা থেকে ফুল তুলে তোমারই নয়নে চেয়ে
সৃষ্টি করবো নতুন অভিধান।

সেখানেই শেষ, সেখানেই নতুন করে শুরু;
পৃথিবীর বাকি পথ হাতে নিয়ে সে হাত
নতুন করে বাঁধবো সে তোমারই তো গান।

বয়ে যায় অমরত্তের পথে

29323

যে আপনার
সে ছেড়ে যেতে চাইলেও
রয়ে যাবে;

যা আপনার
তা ঠিকই রয়ে যাবে
সোনালী রোদ্দুরের মত.’
রয়ে যাবে অস্তিত্বের রোম কূপে,
রয়ে যাবে অশান্ত দিনের পরেও
মৃত্যুর দোরগোড়ায় থেকে
অথবা তারপর।

রয়ে যাবে
নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করে
শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে
রয়ে যাবে হৃদয়ের মনিকোঠায়
ঝকঝকে চকচকে উজ্জ্বল হয়ে।

ভেঙ্গে যেতে চাইলেও
রয়ে যাবে, রয়ে যাবে
ফুলের মত পবিত্র’
রয়ে যাবে হাজার বছর।

হয়তো তাজমহল নয়
প্রেম রয়ে যায়
ভালোবাসা রয়ে যায়
কিছু কথা রয়ে যায়
কিছু স্মৃতি রয়ে যায়।

রয়ে যায় মহানদীর পথ বয়ে
সাগর হতে মহাসাগরের পথে
হয়তো এভাবেই লেখা হয়
প্রেমের যাত্রা
বয়ে যায় অমরত্তের পথে।

কিছু জীবন লেখা হয় বইয়ের পাতায়
পৃষ্ঠার পড়তে পড়তে
লেখা হয় জীবনের গল্প
কিছু জীবন এভাবেই বেঁচে থাকে
পৃথিবীর এই পথে
যেখানে কেউ পায় ভালোবাসা
আর পায় ঘৃণা।

তিন চার পাঁচ লাইনের কবিতা

artb

💭নক্ষত্রের ঐ নুপুর ধ্বনি শুনি
চাঁদের গায়ে লেগেছে ধূসর ওম
স্পষ্ট চোখে তোমার কথাই বুনি।

💭নয়নতারা ঘুম পাহাড়ে
যাকনা ভেসে
দুপুর নয়ন এক পলকে
তাকিয়ে সে যে রয়
তোমার কথাই হৃদয় মাঝে
ভাবিতো যে হয়।

💭অন্ধকারে মেঘ যদি যায় সরে
দেখতে কি আর পাবে সে বা তুমি
আধার মাঝে দৃষ্টি ভ্রমের বিলাপ ওঠে
অন্ধকারের অজানাতে
স্পষ্ট করেই দেখব তোমায় আমি।

💭জানিনা কি গল্প জীবন ঘরে
ফুলের যৌবন রাখবে কি আর ধরে
ওই সুদর্শনার অহংকারে মাখা
সব ছেড়ে যায় মসৃণ দেহেরে মত
চাইলেও তবে রাখা না যায় ধরে।

💭আলিঙ্গনের স্মৃতিগুলো ডুব সাঁতারে তোলা
সময় স্রোতে সবাই চলছে ভেসে
তুমিও কি আর ছয় ফাল্গুনের মত
সময় করে আসবে কি আর ফিরে!

💭 প্রাণের কথা মনেই তোলা থাক
কথা ছিল রাত ঘুমের ওই আহার
আর বাকি সব আকাশ পাতাল করে
চোখ রাঙিয়ে সদাই কর বাহার।

💭এমনটা নয় রাত পোহাবার পরে
দেখছি তোমার দূরের শ্রাবণ মেঘে
ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেটা সে হারে
অজানা সব কথার প্লাবন ভাড়ে।

উগান্ডার কবিতা

2885

উগান্ডার কবিতা
মুল: ইংরেজি
অনুবাদ: বখতিয়ার শামীম।

অপরাধীগণ কি চিরঞ্জীব!
মুচকি হেঁসে তাকিয়ে আছে সত্যবাদীর দিকে

ওরা ভাবছে,
যে পাপী সিংহাসনে বসে খেলছে ইঁদুর বিড়াল
তাকে তোমরা কতটুকু জানো
ভ্রষ্টচারী পাপের আত্মা শরীর ছুঁয়েছে তাঁর।

সেখানে তুমি জাতের বিচার করবে?
পাপ লেহন ভেঙে দেবে জাতের আস্তানা
যে সম্রাজ্ঞী চিৎকার করে বলবে
আমার চাই ক্ষমতা, আমার চাই পাওয়ার,
যেনতেনো খেলা খেলে চলবেনা
আমার চাই উন্নয়ন, এত কিছুর পরেও তার সাম্রাজ্যবাদী আচরণ রুখবে কে!

সেতো ভাবছে
এদেশের প্রত্যেকটা মাটির কণা তার
কেও কি আছে মুখোশ খুলে দেবে
মুখোমুখি দাঁড়াবে
জানিয়ে দেবে এই মৃত্তিকার প্রত্যেকটা ইঞ্চি
এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের।
একটি প্রেতাত্মার হুঙ্কারে
যদি কাঁপন ধরে সততার বুকে।

জালিমের ভ্রূকুচকানো চোখ
আরও রক্ত ঝড়াবে আরও রক্তে লাল হবে
দাঁতালো হাতিয়ার।
তখন ওরা হাসবে,
তখন ওরা চারদিকে ছড়িয়ে দেবে
তাদের দাসত্ব স্বীকার করার ফরমান।

সেদিন পারবে কি নিজেকে রক্ষা করতে?
এখন সময় তার জ্যোতি ছড়িয়ে
চরম সীমান্তে অবগাহন করছে।

বরং হৃদয়ে ভরে ওঠা জিদকে
জাগিয়ে তোলো, আটকে রাখা ক্ষোভ কে বলো
এখন সবকিছু চরমে পৌঁছেছে
যদি সাহস জাগাও মনে
একটা হুঙ্কারে ভেঙে পড়বে তুলোর দেওয়াল
একটা চিৎকারে পাপী হবে নাস্তানাবুদ
মনে রেখো অপরাধী সৎসাহসের কাছে দুর্বল।

উগান্ডার পথে পথে আমরা তিনজন।

আমরা এখন গুমোট পৃথিবী থেকে বিবর্তন হয়ে ভাইরাল

2899 আমরা এখন গুমোট পৃথিবী থেকে বিবর্তন হয়ে ভাইরাল পৃথিবীতে পদার্পণ করেছি। যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত স্টার না হওয়ার হতাশায় জর্জরিত। আমরা এখন পৃথিবীর যে কর্নারে বসবাস করছি এখানে মানব সভ্যতার বিকাশ খুব কমই হয়েছে এখানে সত্য অপ্রিয় বলে মনে করা হয় মিথ্যাকে তেলের কারখানা রিজার্ভ করে তেল মাখানো হয়। এখানে সত্য বলা নিষেধ সত্য বললে চাকরি থাকবে না। তাই লোকে বলে …

ওরে সত্য পালা…
যখন তোর সময় আসবে
মিটাবি তোর জ্বালা
ওরে সত্য তুই
অন্ধকারের চোরাগলিতে
যা হারিয়ে যা
কখন বিপদ ঘনিয়ে আসবে
রাখবে গলায় পা
সময় থাকতে চা হারিয়ে যা।

এই সময়টা অসময় তোর
যখন হবে ভোর
যখন উদয় সূর্য হবে তোর
ধারদেনা সব মিটিয়ে নিবি তবে
তোর আলোর ওই চমক দেখলে
হাসি থাকে না যার
বেজার মুখে কন্ঠ রোধে
উতলা হবে তার।

জীবনটা আজ বাঁচার জন্য
সামলে নিয়ে চল
সামনেই তোর আলোর দিগন্ত
প্রকাশ হবে ভোর
যা হারিয়ে যা,
ছাড়িয়ে যা সব পেছন স্মৃতি
রাখবি বেঁধে আড়াল কৃতি
খুব সামনেই আসবে সময় তোর।

ভোর হবে ওই জ্বলবে আলো
পাপের নিশান ভাংবে ভালো
চাপা পড়ে গেলেও সত্য
উঠবে জেগে তোর।
ধৈর্য ধরে আড়াল হয়ে চল
আসবে আলো ওই সন্নিকটে
বিনের আওয়াজ নিয়ে
সাপ ধরা ওই মন্ত্র পড়ে
সত্য এসে মারবে ছোবল ঘাড়ে
গলে যাবে মিথ্যার কপাট খানি।

মানুষ যখন

ttyu

সুখের খোঁজে ছুটছে মানুষ
সুখের খোঁজে ভাঙছে ঘর
সুখের জন্যই দিচ্ছে জীবন
গড়ছে আবার নতুন ঘর।

যাচ্ছে যাঁরা সুখের খোঁজে
পাচ্ছে কী সে সুখের পথ
মিটছে কি তাঁর পাবার আশা
কমছে কি তাঁর চাওয়ার ঘর?

জীবন যদি সে সুখেই বিতান
দুঃখ কি তা জানবে কেউ
জীবন কি তবে বাঁধা পড়া
আছড়ে পড়বে নতুন ঢেউ।

কোন জীবনের মায়ার পথে
পড়লে প্রেমে পাগল মন
ভেঙে যেজন বসৎ গড়ে
ভাঙবে দেখবে আবার কেউ।

তোমরা যাঁরা সুখের খোঁজে
নিত্য নতুন ভাঙছো ঘর
এমনি করে জীবন যাবে
আপন ভাবলেই হবে পর।

প্রকৃতি তুমি কোন আবেশে
সাজিয়ে রাখো তোমার ঘর
কালবৈশাখী বইবে কখন
জানলো কি কেউ আসবে ঝড়।

পৃথিবী বরই জটিল জায়গা
স্বর্গ নরক পাতাল তর
মত্ত আছে ধ্বংস গড়ায়
কেইবা জানে কাহার পর।

মনোরোগ বা “mental disorder”

১. আমরা আবেগ দিয়ে কি করতে পারি? আমরা আবেগ দিয়ে কোনরকম কোন কর্ম করতে পারব না। কোন ঘাস কাটতে পারব না, হাল চাস কিম্বা আবেগ দিয়ে কারো উপকারে আসতে পারবো না। চোখের মায়াকান্নার মাধ্যমে আবেগকে প্রকাশ করা যায় না; সেটাকে অভিনয় বলে। আবেগ দিয়ে সফলতা ছুতে পারব না সেই ক্ষেত্রে আবেগ দিয়ে ইমোশনাল সফলতা অর্জন হতে পারে কিন্তু সেটা সাময়ীক। বাস্তবতা আবেগ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় না।

আবেগের বশে অপরাধ হয় আর আবেগের বশে অনেক ক্ষেত্রে ভালো কর্ম করে বসে মানুষ; কিন্তু সেই ক্ষেত্রটা খুবই নগণ্য। আবেগ দিয়ে আবেগ সৃষ্টি করা আর ইমোশন সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কিছুই হতে পারে না। মানুষ আবেগের বশে ভুল কাজটাই সবচাইতে বেশি করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আবেগ মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। আবেগ দিয়ে অন্ধ বিশ্বাস করা যায় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে আবেগকে সাজিয়ে কোন কিছুর বস্তুনিষ্ঠ সত্যকে অবজ্ঞা করা যায় না, এমনকি প্রমান করাও যায়না।

আপনি আবেগ দিয়ে নিজের ভেতরের চাপা কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন বা অন্যের বেদনায় ব্যতীত হতে পারেন অথবা সাথে আপনার সুখ-দুঃখ আবেগপ্রবণতা মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। আবেগ আপনাকে অনেকক্ষেত্রে ক্রাইম করতে বাধ্য করে। আবেগ যদি ক্রাইম করতে বাধ্য করে তবে সেটা অত্যন্ত ভয়ানক অপরাধ। আবেগ যদি আপনাকে ক্র্যাইম করতে বাধ্য করে তাহলে মনে করবেন সেটা কোনভাবেই আবেগ নয়। এটা অন্যায় সেটা অপরাধ আর সেটা চরম মাপের অসদাচরণ।

সেটা আবেগ থেকে মানসিক রোগের দিকে চলে গিয়েছে মানসিক রোগ শুধু যে একজন অসুস্থ মানুষের ভেতরেই রয়েছে তা নয় একজন সুস্থ সবল মানুষের ভেতরেও এমন আবেগ রয়েছে যা তারা সে মানসিক রোগের শিকার। একজন মানুষকে আবেগপ্রবণ হওয়ার আগে একজন মানুষকে বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হতে হয়। ভালো-মন্দ পার্থক্য নির্ণয় করার মত জ্ঞান রাখতে হয়। যদি সে মানুষের আবেগ বিবেক ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা ভেতর থেকে না অনুভব করতে পারে তাহলে সে অপরাধী হতে পারে। একজন মানুষের ভেতরে যদি আবেগ না থাকে তাহলে তার ভেতরে কোনোভাবেই আবেগের সুন্দর আলোক বর্তিকা তার ভেতরে জ্বলতে পারে না।
আমার আপনার প্রত্যেকের এখানেই জানবার বিষয় রয়েছে বুধবার বিষয় রয়েছে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। এখানেই ভাববার বিষয় আর এখানেই উপলব্ধির বিষয় যা বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ দ্বারা উপলব্ধি করা যায়।
এই উপলব্ধিটুকু তারা করতে পারে না যারা কোনোভাবেই সত্যকে ধারণ করে না আর যারা এসবকে অনুভব করে বুঝবার জন্য জানবার জন্য সত্যকে আবার মুখোমুখি নিয়ে আসার জন্য তারাই তারাই আলোকিত মানুষ। তারাই সত্যকে ধারণ করে আর সত্যকে বলতে দ্বিধা করে না যারা সত্যকে ছেড়ে চলে যায় কারণ মিথ্যা আবর্তে ঘূর্ণায়মান এরাই সবচেয়ে বেশি মুখোশের আড়ালে বিদ্যমান।

যারা সত্যের সাথে বসবাস করে মিথ্যাকে অন্ধকারে পতিত করে। এমন না হলে কোনভাবেই জীবন চলেনা এমন না হলে জীবন অন্ধকার এমন না হলে জীবনের কোনও অস্তিত্ব থাকে না একজন অস্তিত্বশীল মানুষের ভেতরে এটাই মানুষের কর্ম ধর্ম নীতি এবং বহমান পৃথিবীর নিয়ম। একজন মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতে হলে আবেগের প্রয়োজন রয়েছে তবে সে মানুষটার কাছাকাছি আসা যায় আবেগ এখানে তার সঠিক পথ নির্ণয় করে আবেগ দ্বারা মানুষকে বোঝানো যায় যে তোমার জন্য আমি ব্যথিত তোমার সুখে আমি সুখী তোমার যন্ত্রনায় আমি যন্ত্রনাতে তোমার ভাবনায় আমি ভাবনা তাড়িত এটাই হচ্ছে আবেগ আবেগ এর ভেতরে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই যদি থাকত তাহলে তাকে আবেগ বলে গণ্য করা হতো না। তবে অতিরিক্ত আবেগটা ও মানসিক রোগের লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয় তবে এক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে অতিরিক্ত আবেগ থাকা একজন মানুষের জীবনের বিপদজনক এবং নানা রকম বিপদ বয়ে আনতে পারে।

২. মানসিক রোগ মানে যে পাগল তা নয়। আমরা অনেকেই এই ক্ষেত্রে ভুল বুঝে থাকি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের ওপরে হিসাব করলে দেখা যায় যে তাদের ভেতরে মানসিক রোগের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি বেশি কয়েকটি কারণ রয়েছে একটি বায়োলজিক্যাল ও আরেকটি জেনেটিক। তবে এই দু’টি আক্রান্ত মানসিক রোগ খুব বেশি না হলেও অন্যভাবে দেখা যায় যে মানসিক রোগীর সংখ্যা সৃষ্টি হয় পারিবারিক সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে যার ভিতর দারিদ্রতা অন্যতম কারণ।

এক্ষেত্রে আরও একটু যদি পরিষ্কার করে বলি তাহলে বোঝা যায় এখানে পারিবারিক অসঙ্গতি সবচাইতে মারাত্মকভাবে মানসিক রোগের কারণ হতে পারে যেটা অকল্পনীয়। এক্ষেত্রে মানসিক রোগীরা অত্যন্ত বিপদজনক এবং এরা সর্বদা আবেগ দ্বারা সহজ চিন্তাভাবনাগুলোকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। যার পরিণতি ভোগ করে সে নিজে পরিবার সমাজ এবং আশপাশের মানুষজন। আরেকবার পরিষ্কার করে বলি মানসিক রোগ মানেই পাগল তা নয়। মানসিক রোগ হলে যে সে মানুষটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর সেটাও বলা যায় না। আমাদের সমাজে অসংখ্য শিক্ষিত যুবক রয়েছে যুবতী রয়েছে যারা চাকরির অভাবে অনেক ভাবেই ডিজে পয়েন্ট হয়ে যায় হতাশ হয়ে যায় যে হতাশাগ্রস্ত মানুষকে কখন কী করবে সেটা অতিসত্বর দিককুল কিম্বা কোন কূল কিনারা খুঁজে পায়না এমত অবস্থায় তার সাথে কোন রকম যদি কোন চটকদার চাকরির অফার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

একজন মানসিক রোগীর সাথে কোনভাবেই নিকৃষ্ট ঘৃণ্য অথবা খারাপ আচরণ করা কাম্য নয়। সামাজিক পারিবারিক কিংবা রাষ্ট্রের অধিকারের ক্ষেত্রে যদি বলা যায় একজন মানসিক রোগীকে পাগল বা মানসিক রোগী বলে আখ্যা দেয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ তারা যে কোনো ভাবেই এর শিকার হতে পারে সেটা পরিবার সামাজিক পারিপার্শ্বিক এম্বা সংসার জীবনে অসচ্ছলতা দারিদ্রতা বা অন্যের নির্যাতনে কিংবা ভালোবাসা পর্যাপ্ত অভাবের কারণে অথবা শিক্ষা জীবনের ইতি ট্রেনে ফাইবার পেছনে ছুটতে ছুটতে জুতার তলা ক্ষয় করে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে ও মানসিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

এই মানসিক রোগ তার ভিতরে বাসা বাঁধতে পারে এমন আরও অনেক দিক রয়েছে। সীতাভোগ অসুস্থতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর জন্য আমাদের দেশে তেমন কোন সুব্যবস্থা না থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনেক সাইক্রেটিস রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ও তাদের চিকিৎসা সেবা করে যাচ্ছেন। মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের সাইক্রেটিস এর অভাব আর বাংলাদেশের সাইক্রেটিস দের যে অবমূল্যায়ন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি পরিবারের গার্ডিয়ানদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী তাদের সন্তান সন্ততি কিরকম ভাবে জীবন যাপন করছে সেটা লক্ষ্য রাখা এবং তারা কি চায় তারা কি অনুভব করছে তারা কি করছে কার সঙ্গে চলছে এগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এমনকি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ এর মাধ্যমে তাদের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধুর মতোই কথা বলা যাতে তারা তাদের মনের কথা অকপটে বলতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হতে পারে যে কাজটি করতে তারা ভয় পায় সে কাজটাকে সহজ করে দেয়ার জন্য তাকে বারবার সেই কাজটি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। এবং একবার দুইবার তিনবার করার মাধ্যমে যেটা সে সহজ করে নিতে পারে এবং এক্ষেত্রে ভয়টাও কেটে যেতে পারে এ কাজটি করার কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মধ্যে যখন মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন সে মানুষটা অত্যন্ত বিপর্যয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করে যা স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে সে গুণাবলীগুলো থাকেনা।

অনেকভাবে দেখা যায় মানসিক রোগীরা মানসিক সমস্যার মধ্যে অবস্থান করে অনেক ভুল করতে পারে। সে ক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার পরিবারের কোনো সদস্যকে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে দেখবেন তখন সর্বদা তাকে নজরদারির ভিতর রাখা উচিত এবং সে যাতে এমন কোন ভুল কাজ না করে যা তাড়াতাড়ি জীবনের অনেক জটিল সমীকরণ গুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় রিহাব সেন্টার গুলোর ড্রাগ এডিক্টেড মানুষদেরকেই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তবে আমাদের দেশে মানসিক রোগের জন্য কোন সুব্যবস্থা রয়েছে বলে তেমন কোন এনজিও কোন সংস্থাকে দেখাই যায়না বলা চলে।

তবে আমি আগেও বলেছি মানসিক রোগ মানে যে একজন মানুষ পাগল তা না। তবে পাগলদের জন্য একটা সুন্দর হাসপাতাল রয়েছে যেখানে তাদেরকে নানাভাবে ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে সুচিকিৎসার মাধ্যমে সেরে তোলা হয় কিন্তু পারিবারিক সামাজিক অর্থনৈতিক দারিদ্রতা ও বেকারত্বের কারণে যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন তাদের জন্য অবশ্যই সাইক্রেটিস এর প্রয়োজন। এদেশে সুদখোর ঘুষখোর ফ্রড চাঁদাবাজ ছিনতাইকারী এমনকি নানা ধরনের সামাজিক অপরাধের মধ্যে জড়িত এমন সব মানুষের জন্য কোন চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই যাদের কে ট্রিটমেন্ট এর মধ্য দিয়ে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়া যায়।

আমাদের দেশে মেডিকেল সাইন্স এতটা উন্নত নয় তবুও যতটুকু রয়েছে আমি যদি আমরা নিয়মিত যাওয়া আসা করি সংসার করি বা সাইন্টিস্ট সাইক্রেটিস্ট দের পরামর্শ গ্রহণ করি তাদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করি তবে আমরা অনেক কিছুই নিজেদের মধ্যে থেকে সংশোধন করতে পারি। বহিঃবিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়তাদের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতা অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে যে কারণে সাইকেলটি তাদের মূল্যায়ন অত্যন্ত বেশি। এমনকি তারা নিয়মিত সাইকেলিস্ট দের আলোচনা শুনতে যায় এবং তারা একটা সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠে।

একজন সাধারন মানুষ একজন মানসিক রোগের সমস্যার লেভেলটা বুঝতে না পারলেও একজন বোধ সম্পন্ন মানুষ বুদ্ধিমান মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সেই মানুষের মানসিক সমস্যার লেভেলটা অনুভব করতে পারে। যারা এই সমস্যা গুলোকে ক্যারি করে চলছে তারা যেকোনো মানুষের কাছে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এটা আবার কোনো অবকাশই নেই যে সে মানুষটা ক্রেজি হয়ে উঠবে না। এবং অন্যের ক্ষতি করে বসবে না এর জন্য সে নিজের চেতনাবোধ কে ব্যবহার করে না তবে এই চেতনাবোধ কে ব্যবহার না করলেও তাদের মানসিক সমস্যা টা এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায় যার দ্বারা সে মানুষটা একটি চরম দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য প্রভাবিত হয়।

আর এই প্রভাবিত হওয়ার কারণে নানা ধরনের ভুল কাজ করে বসে এবং অপরাধ জগতের মধ্যে হাত বাড়ায় যে অপরাধ টা তার দাঁড়ায় করার কোন কথাই ছিল না। আরো দুইটি মানসিক রোগের কথা আমি পরিষ্কার করব এক হল নিউরোসিস ও অন্যটি হলো ফাইব্রোসিস নিউরোসিস মৃদু মানসিক রোগ এ ক্ষেত্রে রোগী নিজেই বুঝতে পারেন সে কি করছে আফসোস হলো সাইক্রোসিস রোগী তার নিজের মস্তিষ্ক জ্ঞানের যেকোনো ধরনের গায়েবি নির্দেশ শুনতে পারেন মানে বোঝা যাচ্ছে যে সেই মানুষটি তাঁর মানসিক রোগের কারণে বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। যেমন ধরেন সাইক্রোসিস রোগী বাইরে অথবা ঘরে অবস্থানকালীন ঘরের বাইরের যেকোনো মানুষের আচরণের কারণে যে কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না কারণ সেই মানুষটা তার সাইক্রোসিস রোগের মধ্যে এতটাই গভীর ভাবে ডুবে যান যে সে নিজে কি করছে নিজে কি বলছে নিজে কি অনুভব করছে সেটাই সে জানেনা।

একজন সাইক্রোসিস রোগের দ্বারা একজন মানুষকে হত্যা করা খুবই সহজ ব্যাপার এটা একটু অত্যন্ত জটিল রোগ। রোগের লক্ষণ টা আমাদের সমাজে পরিবারের অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যমান। ”মানসিক ব্যাধি” সন্দেহপূর্ণ আচরণ বা সন্দেহ করা একটি বড় ধরনের মানসিক ব্যাধি এই ব্যাধির সমস্যা সৃষ্টি করা একজন সুস্থ মানুষের দ্বারা কখনো সম্ভব নয়। সুস্থ মানুষরা কখনোই এ ধরনের আচরণগত জটিলতার মধ্যে পরেনা এই ব্যাধির সংস্পর্শে আসে তারাই যারা সহসাই মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে নিজেকে অতিক্রম করছেন। মানসিক রোগ কিম্বা বা মনোরোগ ইংরেজিতে যাকে বলে “mental disorder.”

মানসিক রোগ বা মনোরোগ এক ধরনের ব্যবহারিক কিংবা মানসিক দুর্দশা যা সাধারণত সামাজিক পারিবারিক কিংবা সাংস্কৃতিক বিষয় দ্বারা মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। যুক্তি ও বিজ্ঞানের উন্নত যুগে প্রবেশ করে আমরা বুঝতে পারছি এই ধরনের অনেক নিয়ম-নীতিকে পরিবর্তন করে নতুন নতুন তথ্যের মাধ্যমে তার নাম দেয়া হচ্ছে। এমন কি সময়ের সাথে সাথে সমাজ সংস্কৃতি নানা ধরনের তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের সহায়তায় সেই সকল সমস্যার গ্রহণযোগ্যতার পরিধিকেও পরিবর্তন করে আসছে। যদিও এর অনেক কিছুই সমাজ স্বীকৃত। বিজ্ঞানের বর্তমান ধারণা অনুযায়ী বোঝা যায়। জিন বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জটিল পারস্পারিক ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে জটিল এবং কঠিন রোগের (মনোরোগ) বিস্তার লাভ করে। এসব হওয়ার পেছনে মস্তিষ্কের জটিল ক্রিয়া-কলাপগুলো সচেতন কোষ দ্বারা দুর্বল হওয়ার ফলেই এই সমস্যাগুলো তার গঠন ক্রিয়াকে যোগ করে থাকে।

বা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায় “মানসিক রোগের জিনতত্ত্ব ও সম্ভাব্য ফলাফল সেই ব্যক্তির জৈবিকও পারিপার্শ্বিক পরিকাঠামোর সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত” তবু আমরা অনেক ক্ষেত্রে জানতে পারি যে মানসিক রোগের কারণ গুলো অনেক ক্ষেত্রেই অসুস্থ থাকে যা আমরা খুব সহজভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয় সেটি নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তার পরেও রোগের সমস্যার উপর ভিত্তি করে তার তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কিংবা নানা কার্যকলাপের মাধ্যমে খুঁজে বের করা অসম্ভব কিছু নয়। তবুও এর ফলাফল গুলো একই দিক নির্দেশ করতে পারে যার দ্বারা রোগের স্বাভাবিক ট্রিটমেন্ট পরিচালনা করা সহজ ভাবে সৃষ্টি হতে পারে।
আমরা দেখতে পারি মানসিক রোগ সাধারণত একজন ব্যক্তির আচরণ অনুভূতির সমন্বয় দ্বারা সংঘটিত হয় কিংবা তার মতানৈক্য কার্যকলাপ ও রোগীর সাথে একজন মানুষ কি ধরনের আচরণ করছে ঠিক তার দ্বারাই সংজ্ঞায়িত হতে পারে বা নির্দেশ করতে পারে।

মানসিক রোগীর আচরণ তার মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চলের যে কোষগুলো রয়েছে ফাংশনগুলো রয়েছে তার সাথে সংযুক্ত। আমাদের মানসিক ব্যাধি একটি মানসিক রোগের দিক নির্ণয় করে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত।
এ ধরনের জটিল কঠিন সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য কিংবা কমিয়ে আনার জন্য পারিবারিক সামাজিক পারিপার্শ্বিক নিয়ম ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা উচিত বলেই বিবেচনা করে থাকি যা একটি রোগীকে সুস্থতা দান করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক বলে বিবেচনা করা হয়।

অক্ষমতাকে সক্ষমতায় পরিণত করা মানুষের কাজ

2787

অন্যকে অনুভব করতে হলে আগে নিজের স্বরূপ কে চিনতে হবে। তাই মানুষকে প্রথম নিজের জায়গাকে পরিষ্কার করতে হয় নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। নয়তো কখনোই অন্যের ধর্মও আপনার চোখে সুন্দর সৃষ্টি তারা উপলব্ধি হবে না।

আত্মা এই ব্রহ্মাণ্ডের মত বিশালাকৃতির না হলেও তার চেয়ে বিস্তৃত এবং সুবিশাল। মন তারই প্রতিনিধিত্ব করে, মস্তিষ্ক দ্বারা সেই প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়িত হয় এবং মহাবিশ্বের যা কিছু রয়েছে তাকে উপলব্ধি করে। সত্য আর মিথ্যা হচ্ছে হৃদয়ের স্পন্দনের মত; এই দুইটার যেকোনো একটা করবেন হৃদয় স্পন্দনে এসে তা ধাক্কা দেবে তার থেকে আনন্দ এবং দুঃখ নির্গত হয়।

মানুষ ঘুমালে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে না মানুষ যখন জ্ঞান হারা হয় (সেন্সলেস হয়) মানুষ তখন তার জীবদ্দশায় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে। জীবন একটি অনুপ্রেরণার ভাণ্ডার প্রকৃতি সে ভাণ্ডারকে আরো উজ্জীবিত করে পরিপূর্ণ করে তুলেছে। কর্ম মানুষের অনুপ্রেরণা- একটি কর্ম দ্বারা আপনি দাঁড়াতে পারেন এবং মুছে যেতে পারেন। মানুষ মরলেও অমর হয় জীবিতদের পাশাপাশি সেই মানুষ কেউ স্মরণ করা হয় তার সৃষ্টি ও কর্ম দ্বারা।

মানুষের নৈতিক আদর্শ তার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন এটাই তাদের দৃষ্টান্ত যে তারা তাদের যাপিত জীবনে কি ধরনের সাফল্য বয়ে আনবে জীবন তার নৈতিক আদর্শ ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত ও পরিপূর্ণ হয়।

বাস্তবতা হলো অন্ধ বিশ্বাসের দ্বারা আপনার জীবন কোনোভাবেই সাফল্যের শিখরে উঠবে না। এখানে তাত্ত্বিক বাস্তবতার যথাযথ প্রয়োগ যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত কারো সাধ্য নেই জীবনকে বাস্তবসম্মত করতে পারে।

প্রত্যেকটি মানুষকে তাদের জীবন ধারায় জীবনের উৎস সম্পর্কে সফলভাবে গাদার করতে হবে। আপনার ভেতরে যে ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ রয়েছে তা যদি সজাগ হয় যথার্থ হয় তবেই আপনি সেই মানুষ। যে জীবনের প্রকৃতজসা আলো খুঁজে পেতে পারেন।

মানুষ যদি তার সন্তানের ভুলকে ক্ষমা করতে পারে তবে অন্যের ভুল ক্ষমা যোগ্য। সে ক্ষেত্রে মানুষ কিছুটা ব্যতিক্রম পশুর ভুল কখনো ক্ষমা করা হয় না। এটা যার যার মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার তবে বুঝতে হবে পশু মানুষ নয়। আপনার সন্তুষ্টি একটি পরিবার একটি সমাজ আর রাষ্ট্র গড়ার জন্য যথেষ্ট।

প্রতিনিয়ত নানা ধরনের আলো আপনার জগৎ জীবনে বিকিরণ করছে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই আলোকে বাস্তবতার নিরিখে গণ্য করলে জীবনে এগিয়ে যায়। বৃক্ষের তলদেশের কঠিন শেকড়কে ছিড়তে হয় এবং অন্ধকার সময়ের সকল শেকলকে ভাঙতে হয় আপনি যদি শেকলকে ছিঁড়তে বা ভাঙতে না জানেন তাহলে আপনি পুরোনোকে কখনোই অতিক্রম করতে পারবেন না।

অজ্ঞতা মানুষের দাস; মানুষ যখন অজ্ঞতার দাস হবে তখন তাদের জীবনকে ঘনীভূত অন্ধকার নিষ্পেষিত করবে। আমরা অন্ধকারকে ভয় পেলেও অন্ধকারকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই আমরা অজ্ঞতাকে ভয় পেলেও অজ্ঞতার কাজকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেই বিশ্বাসের সময় গ্রহণ করি।

আমাদের অন্তর্জগৎ এমন একটা বিশাল ভূখণ্ড সমান যা কিনা অনায়াসে সবকিছুকে স্থান দেয় কিন্তু গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটাই মানুষকে ভাবিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট যে আপনি কি গ্রহণ করবেন। সুন্দর নাকি অসুন্দর সহজ পথ নাকি কঠিন পথ।

আমাদের জীবন গল্পের চেয়েও অনেক বড়

2794 ১. আমাদের জীবন গল্পের চেয়েও অনেক বড়। আমাদের জন্ম লগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলবে লড়াই, বেঁচে থাকার এই লড়াইয়ে টিকে যাওয়া মানুষগুলো পৃথিবীকে সংরক্ষণ করে ক্ষমতা যোগায় লিড দেয়। তাই গল্প যেমন কাল্পনিক নানারকম বৈচিত্র্যময় রহস্যময় রসদ জড়িয়ে থাকে তার বিপরীত কবিতা কিছুটা কল্পনা এবং অনেকটা বাস্তবতার সংমিশ্রণে একজন মানুষের জীবনচরিত উপস্থাপন করে। এটি হোক লেখোকের আর হোক তার ওস্তাদের বিষয়ের উপরে অন্য মানুষের ভ্যাগ ধারণা থেকে নেয়া। তবে কবিতা এক স্বতন্ত্র সত্তা যার দ্বারা স্থাপিত হয় হৃদয়ের উর্বরতা।

দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূরক ও বাস্তবতা সম্মত দর্শন সর্বদা জ্ঞান বিবেক সত্য ন্যায় পরায়নতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে বিকশিত হয়। এখানে প্রজ্ঞাবান মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির দাঁড়ায় যা রচিত হয় তা পৃথিবীকে অবশ্যম্ভাবীভাবে সজাগ করে তোলে। হৃদয়ের ভিতর এমনভাবে সেই বিষয়বস্তুগুলো গেথে দেয় যা তাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। সেটা হোক রাজনৈতিক দর্শন সেটা হোক মানব দর্শন আর তা হোক সৃষ্টি দর্শন কিংবা হোক জীবন চরিত।

মানব সমাজকে উন্নততর করতে গেলে জ্ঞান-বুদ্ধি প্রজ্ঞার প্রয়োজন হয়। সকল একাডেমিক শিক্ষাই মানুষকে প্রজ্ঞাবান করেনা বিবেকবান করেনা সত্য বলতে সাহস যোগায় না। কিন্তু দর্শনের জায়গা থেকে একজন মানুষ যখন তার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে তাকায় তখন সেই ক্ষমতাটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে আরেকটি মানবের হৃদয়ে গঠিত হয়। যার দরুন একজন মানুষ অনুন্নত ধ্যান ধারণা থেকে উন্নত স্বতন্ত্র ও নীতিনির্ধারকের পর্যায়ে পৌঁছে। এভাবে একজন গুণী মানুষের বাক্যগুলো দর্শনের আলোতে পৃথিবীব্যাপী প্রচারিত হয়। আর মানুষ সেখান থেকে হয়ে যায় সজাগ ও সচেতন বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞানকোষের আহরণকারী।

২.
মানুষ কিছুটা নির্ভরশীল পরায়ণ। মানুষ যদি তার দৈনন্দিন জীবনকে নতুন করে দেখতে চায় তবে দশটি যেনতেন বই না পড়ে একটি ভালো বই পড়া উচিত যার দ্বারা সে পৃথিবীকে নতুন করে উপভোগ করতে পারবে এবং মানব সমাজকে নতুন করে তার আপন বসন দ্বারা চিনতে পারবে এটাই একজন মানুষের প্রকৃত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যেভাবে তিনি তার জবাব জীবনকে পরিচালনা করছেন তার বিপরীতে যদি সেই মানুষটি তার আপন জ্ঞান দ্বারা এই জগৎটাকে চিনতে পারেন তবে একজন মানুষের জগৎ জীবনে সাফল্য এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নতুন একটি সুযোগ তৈরী হতে পারে।

৩.
জীবন একটি স্বতন্ত্র সত্তা। তবে এই জীবন ও অস্তিত্ব টিকে থাকে অন্যের সহযোগিতায় যেখানে একজন মানুষের জীবনে তাঁর প্রিয়জনদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে বেঁচে আছি এবং জন্মগ্রহণ করেছি জীবন তার চেয়েও বড় কিছু। এখানে টিকে থাকতে হলে লড়াই এর কোন বিকল্প নেই। এখানেই একজন মানুষের থেকে প্রাণিজগতের আলাদা গুরুত্ব বহন করে।

৪.
ভাগ্য যদি কল্পনা জগতে প্রতিষ্ঠা হতো তবে ভাগ্যের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেত না। ভাগ্য নির্ধারিত হয় কর্মপরিকল্পনা দ্বারা। আমরা যদি কর্ম পন্থা অবলম্বন না করে পথ চলি তাহলে অবশ্যই আপনার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে না। ভাগ্য সম্পর্কে যদি বলি তাহলে আমি বলতে পারি যে ভাগ্য একটি রূপক শব্দ। কর্ম হচ্ছে বাস্তবতা।

আপনি ভাগ্যের মাধ্যমে কখনোই আপনার পথ প্রশস্ত করতে পারবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কর্ম আপনাকে দিকনির্দেশনা না দেয়। আপন কর্মের দ্বারাই মানুষ পৃথিবীর এমন উচ্চতায় পৌঁছে যেখানে আর একজন মানুষ তার দাস হিসেবে পরিচালিত হয়। আপনি যদি আপনার জীবনে চাকরি করার নিয়তে শিক্ষা গ্রহণ করেন তাহলে আপনি কখনোই জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনি তো এখন অর্থের জগতেই ঘনায়মান হবেন। মানব সভ্যতাকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই জ্ঞানের প্রয়োজন বুদ্ধিমান মানুষের প্রয়োজন প্রজ্ঞাবান মানুষের প্রয়োজন এই মানুষের দ্বারাই পৃথিবী শক্তিশালী হয় এবং নতুন নতুন সভ্যতা গড়ে ওঠে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রাচীন ধারণা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত বেরিয়ে আসছে না পারব আর এসব কে গ্রহণ করতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনভাবেই সত্যের দর্শন উপলব্ধি করতে পারবো না।

এই দর্শন তাই হল জাগতিক দর্শন যার দ্বারা মানুষের উপকৃত হয় যার দ্বারা মানুষ কেন অর্জন করে জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যায় এবং সভ্যতার বিকাশ ঘটে। যে বই দ্বারা সমাজ উপকৃত নয় যে বই দ্বারা সমাজের বিভাজন ঘটে যে বই দ্বারা রাষ্ট্রের কোন উপকার হয় না রাষ্ট্রের উন্নতি হয় না এ বৈঠকে এক সাইডে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই জীবনটাকে পরিচালনা করা উচিত রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা উচিত এবং সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো বিকল্প নেই।

৫.
পৃথিবীর এই ভ্রাম্যমান আদালতে আমরা যেভাবে অন্যায়ের সাথে জড়িত যেভাবে অপরাধের সাথে জড়িত আছে তবে কোন হত্যাযজ্ঞ ক্লোরালের সাথে জড়িত এর জন্য নির্দিষ্ট একটি বিধান রয়েছে যে বিধানটি একটি রাষ্ট্রের আইন দ্বারা পরিচালিত হয় আমরা যদি সেই আইন অমান্য করে এবং সেখানে নতুন কোন প্রাচীন ধ্যান-ধারনা ধর্মীয় বিধিবিধান এর মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করে তবে সে আইনের ক্ষমতা এবং বর্তমান জগতে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া চিন্তা-চেতনার উপরে নির্মিত আইন অনেক পার্থক্য তৈরী করে।

বর্তমান আইনে তোমার বিচার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেটাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সমাজ রাষ্ট্র এবং দেশের জন্য এজন্যই আমরা বরাবরের মতো প্রাচীন ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে নতুন সভ্যতার যে মুক্তির পথ রয়েছে তার তারাই জীবন দর্শন এর মাধ্যমে সেই আইন কে গ্রহণ করি এমনটা যদি না হয় তাহলে মানুষ তার বিকল্প নেই এবং ন্যায় বিচার হবে অন্ধকারের পথ প্রদর্শক।

৬.
জীবন একটা পাণ্ডুলিপি, আপনি যখন ভালো থাকেন খুব ভালো থাকেন। তখন আপনি নানা ধরনের পথ ভ্রষ্ট কাজের ভিতর জড়িয়ে যান এমনটা হয় অতিরিক্ত স্বাধীনতা আর মুক্ত জীবন যাপনের জন্য। আপনাকে যদি কেউ সরল বিশ্বাসে মুক্ত জীবন যাপন করার ক্ষমতা দেয় তবে আপনি তার বিশ্বাসের গুরুত্ব না দিয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধের পথ বেছে নেন। যার দ্বারা সে মানুষটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে যার দ্বারা সে মানুষটি কষ্ট পাবে যার দ্বারা সে মানুষটি অত্যন্ত বেদনার্ত জীবন উপহার পাবে।

তবে আমরা যখন অপরাধ করি আমরা যখন অন্যায় করি ভুল করি তখন আমরা আমাদের প্রথম সময়ের কথা উপলব্ধি করতে পারে না আমরা কতটা ভালো আছি আর আমি কতটা মন্দ কাজ করতে যাচ্ছি এরকম চিন্তা-চেতনা যদি খারাপ কাজ করার পূর্বে একবার করতো তাহলে সে মানুষটি কখনোই ভুল পথে পরিচালিত হতো না। তবে সঙ্গদোষে ও মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হয় সে মানুষটা যদি তার আচরণে মুগ্ধ না হয়ে তার আচরণে ক্ষুব্ধ হতো তবে তাই আর কখনোই সে ভুল পথ কে অনুসরণ করার চিন্তা করত না।

কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনে আমাদের কাজে কর্মে সবকিছুই উল্টো পথের পথিক হয়ে আমরা যেভাবে ঢেকে রাখা জিনিসকে দেখার চেষ্টা করি সেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এজন্যই আমরা প্রতিনিয়ত অন্যায়ের পথে ভেসে গিয়ে নতুন করে জন্ম দেয় বিপদ নতুন করে সৃষ্টি করি নানাবিধ সমস্যা এবং আমাদের জীবনকে অতিবাহিত হয় নানা ধরনের জটিলতা থেকে উত্তরণ একমাত্র মৃত্যু ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব হয় না। এমন জীবন কখনোই চাইনা আমরা যে জীবন ব্যথায় কাটুক কষ্টে কাটুক যন্ত্রণায় কাটুক। অথচ দিন শেষে আমরা সেই পথেই সবচাইতে বেশি চলাচল করি। আমরা কি অনুভব করতে পারি না এই পথ বিপদজনক এই পথে চলতে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।

এই পথে চলতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পথে নেমে আসবে বিরূপ প্রভাব আমাকে আমরা কি একবারের জন্য হলেও কখনও অনুভব করতে পেরেছি না পারিনি না পারার কারণ একটাই আমাদের মানসিকতা আমরা যেটা ভাবি সেটাই করার চেষ্টা করি আমরা যেটা দেখি নি সেটাই দেখার চেষ্টা করি আমরা যেটা বুঝি না সেটা না বুঝে তার উল্টোটা বলার সবচেয়ে বেশি প্রবণতা দেখায় বলেই আমরা আমাদের অধঃপতন স্বচক্ষে দেখতে পাই।

৭.
মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ যখন তার হৃদয় থেকে উন্নততর চিন্তাগুলো দৈনন্দিন জীবনের পথে ব্যয় করে তখন মানুষ হয়ে ওঠে তার জগতের সবচেয়ে উত্তম ও সেরা। আবার এই মানুষ প্রাণী জগতের সব থেকে নিকৃষ্ট জীব হতে পারে। যখন সে তার সঠিক কর্মপন্থা কে বাদ দিয়ে অসৎ পথে সকল ধরনের কর্মকাণ্ড অবলম্বন করে। আমরা সভ্যজগতের বাসিন্দা তার সাথে সাথে আমাদের মধ্যে যে রিপু গুলো রয়েছে সেগুলো যখন প্রকাশ হয় তখন এই সভ্যতার জগত থেকে অন্ধকারের আচ্ছন্নতা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে যা একজন বিবেকবান মানুষের কাছে অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও বিরক্তিকর। মানুষ যখন সময়ের সাথে সাথে তার আপন জগতকে নিয়ে এগিয়ে চলে তখন তার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়গুলো প্রতিদিনকে রোজনামচায় প্রতিলিপি স্বরূপ উঠে আসে।

বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমরা যখন একটি দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবো তখন সেই বিশ্বাসটা হাজারো বিপদগ্রস্ত পথ পাড়ি দিয়ে হলেও সেটি অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখা একজন সত্যিকারের মানুষ এর জন্য অপরিহার্য বলে দাবী রাখে।

৮.
মন ও মনস্তাত্ত্বিক দর্শন দ্বারা যদি আপনি আবেগের দ্বৈতনীতি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন পৃথিবীতে উপস্থিত করতে চান সেই ক্ষেত্রে মহাজাগতিক যে সকল চিন্তাভাবনা ধ্যান-ধারণা মানবের মনের ভিতর উদ্ভব হয় তা থেকে আপনার দৈনন্দিন জীবনের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব। মনীষীরা যা দিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমরা তাদের চিন্তা ভাবনা এবং তাদের দর্শন যদি অন্তরের অন্তস্থল থেকে গ্রহণ করি তাহলে জানতে পারি আবেগ হচ্ছে একটা স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ।

এই দৃষ্টি কোন ব্যক্তির গভীর অন্তস্থল থেকে উৎসারিত একটি দুর্বল রিপু তার দৈনন্দিন জীবনে প্রথম ছোঁয়ার মতোই স্পর্শ কাতর এক্ষেত্রে সে যদি এই দর্শনটা গ্রহণ করে তবেই। আমরা প্রতিদিনের রোজনামচায় যে সকল কাজকর্ম করি এবং অন্যের আপাদমস্তক যেসকল বিনয়ী মনোভাবকে উপলব্ধি করি তারমধ্যে সুখ-দুঃখ ভালো-মন্দ বিলাসিতার সকল উপকরণ আবদ্ধ। জীবনের ব্যাপকতা অসীম হলেও সংকীর্ণ এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুই সুদুরপ্রসারী।

আমরা দুনিয়ার বাস্তবতাকে যখন আনকোরা ভেবে ছুড়ে ফেলেদিতে থাকি তখন পরবর্তী জীবনের যে সকল প্রার্থী রয়েছে তা এক নিমিষে শেষ হয়ে যায়। মানুষ ভাবে মৃত্যুর পরে কোন এক জীবন রয়েছে সে জীবনে আমাদের হিসাব-নিকাশ রয়েছে সেখানে একটি সিংহাসন রয়েছে সেই সিংহাসনে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আসিন এই সৃষ্টিকর্তা আমাদের জগত জীবনের সকল হিসাব গ্রহণ করবে পাপ কর্ম মন্দ কর্ম ভাল কর্ম সৎকর্ম সকল কিছুর হিসাব নিবে। কিন্তু যারা এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় তাদের জগজ্জীবন কতটা ন্যায় পরায়ন কতটা যুক্তিসঙ্গত কতটা সুন্দর এবং কতটা কঠিন সেটা আমরা পৃথিবীর মানুষ নানা দৃষ্টিকোণ থেকে নানা দেশ থেকে নানা প্রান্ত থেকে উপলব্ধি করি। সৃষ্টির শুরু থেকে আমরা সর্বদা একে অন্যের প্রতি যেভাবে বিষোদগার করে আসছি জ্ঞান বৃদ্ধির পর থেকেই আমরা সেটা আরো কঠিন করে তুলেছি।

প্রতিদিনের মত আমরা যেভাবে একজন আরেকজনের পিছনে ছুটে চলি কারো ভাল করতে অথবা কারো কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে অথবা অথবা আঘাত করতে এটা দিনদিন এতটাই ব্যাপক হয়েছে যে আমরা একে অন্যের পাশে বসে থাকলেও কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা। এটা বিশ্বাস এর চেয়ে অবিশ্বাসের যুগ হিসেবে ঘোষণা করা যায়। মানুষ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নানা ভাগে বিভক্ত ধর্মের মধ্য দিয়ে যতগুলো ধন্য তা প্রকাশ হয় তা অত্যন্ত সরুপ এরা একে অন্যে নিজের ধর্মীয় জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যেই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা এসবকে মান্য করে না তাদের নিয়ম-নীতি শৃঙ্খলা অত্যন্ত দৃঢ়।

এ সকল মানুষেরা সিজোফ্রেনিয়া রোগের মতো ভয়ঙ্কর এবং তারা সর্বদায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যার বাস্তব স্বরূপ দেখা যায় নানা ধরনের কাল্পনিক কল্পকাহিনীর মধ্যে তারা জীবনকে অতিবাহিত করে থাকেন এই দৃষ্টিকোণের মানুষেরা অত্যন্ত বিপদজনক এবং এদের দ্বারা সামাজিক জীবন কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে তাদের কোনো ভূমিকায় থাকেনা। কিছু কিছু রাষ্ট্রে এই শ্রেণীর মানুষদের কে সমাজের বোঝা হিসেবে গ্রহণ করে। তবুও তারা একটি দেশের স্বাধীন নাগরিক তাদের যে অধিকার নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্র সে দায়িত্ব থেকে কখনোই সরে আসে না।

যোদ্ধা …

272712

তাঁকে দেখে মনে হয়েছে
সে এক বৃক্ষের জীবন
তাঁর জীবনের সাথে কোন এক অপেক্ষামান
জীবনের মিল রয়েছে।

তার চোখ সৃষ্টির প্রাচীন ইথার স্পর্শ করেছে,
এবং অনেক ধ্বংস দেখেছে,
অনেক গৌরব দেখেছে।

অতীত,
প্রথম প্রেমের আনন্দে তার হৃদয় স্পর্শ করলে
সবুজ পৃথিবী নববধূর মতো জ্বলে ওঠে।

প্রেম যখন গৌরবের নগরীতে
খ্যাতির বিড়ম্বনা নিয়ে আসে,
তখন কোথায় থেকে যেন এক অনাহত দিন চলে আসে
তখন হৃদয় ভেঙ্গে যায়
এবং একাকী তীরবিদ্ধ হরিণীর মতো কুঁকড়ে যায়।

মানুষ যখন একটু আনন্দ আর একটু স্বপ্ন নিয়ে
নিজের পৃথিবী তৈরি করে, তখন সম্পর্কের ক্ষেত্রটা একটা ধাঁধা।

এটি একটি নতুন দিনের জন্ম দেয়।
এই দিন থেকেই শুরু হয়
কোন এক অস্তিত্বহীন শরীর
যা সময়ের গিরিখাদে পড়ে হঠাৎই কোমায় চলে যায়

সময়ের সাহসী এই যোদ্ধারা
খুব সহজে হেরে না গেলেও তাদের সময় যেন
ফড়িং এর জীবন নিয়ে এগিয়েছে।

অথবা যখন স্মৃতির আভা
তার হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে,
তখন দুঃখের শোকার্ত পাখিটি
তার দুর্বল ডানাগুলিকে উড়াতে চাইলেও
ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মৃত্যুর পথে নিয়ে যায়।

আপনি কি আপনার
রেখে যাওয়া অতীত নিয়ে সামনের
দিনগুলিতে বাঁচবেন?
আপনি যদি তা করেন তবে আপনি নতুনকে
কোনভাবেই স্বাগত জানাতে পারবেন না।

যদি বল অতীত আমার শিক্ষা,
তাহলে তুমি নায়ক হতে পারো,
তাহলে তুমি নায়িকা হতে পারো।
এটি করা অবশ্যই সম্মানের বিষয়,
এবং এটি সেখানেই শেষ হওয়া উচিত।

কারণ এই মহাজাগতিক জীবন
মহা রহস্যময় আলোর পাত্র।
প্রত্যেকের জীবন এখানে শিক্ষণীয়
যে শিক্ষা থেকে একটি নতুন সৃষ্টি শুরু করবে।
যা হবে মহান জীবনের চিরন্তন অধ্যায়।

ভুলে যাবেন না যে জীবন প্রগতিশীল
আর দুষ্প্রাপ্য, সে জীবন যখন
এগিয়ে চলেছে ভবিষ্যতের দিকে
তখন কোন কিছুই মন্দ নয়।

জীবনের এই অসীম সময়ে দাঁড়িয়ে
আপনি যদি আজ নিজেকে
সুখী করতে না পারেন,
তবে আপনার জীবনের সেই নতুন অধ্যায়
কখনোই শুরু হবে না।

জনমের নামে হৃদয়ের ক্যানভাসে
যে নাম লেখা হবে সেই আবদ্ধ জীবনের
উৎকৃষ্ট সাধনায়, সেই দ্বিতীয় জীবনই
আপনার প্রকৃত ভবিষ্যৎ।

মূর্তির ছদ্মবেশে এই জীবন,
যখন প্রেমময় ধূসর পায়রার গোড়ায়,
নদীর মোহনায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের আধারে,
বসন্তের কোকিলের সুর তৈরি করবে
তখন জীবন হয়ে উঠবে নতুন স্বপ্ন ভাণ্ডার।

সেই জীবন ভালোবাসার আলোয়
আলোকিত হবে, দুঃখকে অন্ধকারে ফেলে ভালোবাসার ইতিহাস গড়বে।
এর চেয়ে সফল জীবন আর কোন জীবন নয়।

সেই জীবনের চেয়ে সুন্দর
আর কিছু নেই, আমরা এমন জীবন চাই।
যা হাজারো অধ্যায় পেরিয়ে
আপনার মতো এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে।

ডায়েরি

271602

সেদিনের দিনগুলো
থমকে যাওয়া মুঠোয়
আটকে দেওয়া সময়ের
নীরব ঘর কুঠোয়।

দিনগুলো সব পিছিয়ে গেছে
সময় চলছে এগিয়ে
সুখ দুঃখের জীবন পথে
স্মৃতি নেয় বাগিয়ে।

ফেলে আসা সময়
ফেলে আসা দিন
রেখে যাওয়া স্মৃতি
কখনও বিষন্ন মন
কখনো রঙিন।

এভাবেই বয়ে যায় সময়
এভাবেই হয় লেনাদেনা
হয় কিছু ঋণ
হয় বেঁচে যাওয়া
হয় বেঁচে থাকা।

কখনো বা অন্ধকার
কখনোবা আলো
প্রদীপের নিচে যার
সবকিছু কালো
মরণের লড়াইয়ে
বেঁচে থাকার আমরণ যুদ্ধ

জীবনের লেনাদেনা যা
এই পথে থেকে যাবে সব
তারপর মিশে যাবে
এই মাটিতেই
হবে তা একদিন নীরবেই শুদ্ধ।

হে বন্ধু … হে পথিক!

কখনোকি জীবনের লাভ-ক্ষতি
খুঁজেছ পথিক!
যদি খুঁজে ফিরতে
তাহলে অবশ্যই জানা হতো
কি করা দরকার আর কি না করা উচিত!

কখনো কি ব্যথা ভেঙ্গে
পাহাড়ে উঠেছ পথিক?
আমি যতবারই উঠেছি
ততোবারই জীবনের বেতাল
সে পথ সংকুচিত হয়েছে।

কিছুটা ভুল আমারও ছিল,
কিছুটা ভুল তোমারও ছিল।
তুমি হয়তো তা স্বীকার করো না।
তবে, যদি কোনদিন বিবেকের সাথে
বোঝাপড়া করে বসে পড়ো
লাভ-ক্ষতির হিসাব টা পেয়ে যাবে
ভুলটা কোথায় কিভাবে হয়েছিল।

আমরা নিজেরা নিজেদেরকে
চিনতে পারিনা বলেই হয়তো অস্তিত্বের
রেখায় জীবনের পটভূমিকা বদলায়।
অতোটা সহজে বিদ্রোহী হইওনা
বিদ্রোহী হওয়ার কিছু নিয়ম থাকে,
নীতি থাকে পরিবেশ-পরিস্থিতি থাকে
এটা হয়তো ভুলে যাও সবাই;

আজ নিজেকে কিছুটা বিদ্রোহী লাগছে
অন্তরের গোপন কুঠিরে
জীবনের এই পথে এসে
আজ বড্ড ক্লান্ত,জরাগ্রস্ত, বড্ড অসহায়।

এজন্যই হয়তো নিজেকে
কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত লাগছে
কোন কিছু নিয়ে অনুতপ্ত হওয়া
অনুভূতি শূন্য হওয়া…

সময়ের সেই সংকোচিত অন্ধকার
যখন মানুষকে গ্রাস করে, চতুর্দিক থেকে
তখন আলোর রেখাগুলো কোনভাবেই
চোখকে উজ্জ্বল করতে পারেনা;
আলোকিত করতে পারে না।
আর সৌন্দর্যের উপমায় ভরে দিতে
পারেনা অন্তঃসারশূন্য অস্তিত্বের কলরব।

এটা হয়ত তোমরা জানো না।
শয়তান আমাদের থেকে ভুল করিয়ে নেয়!
এটা নিতান্তই নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু নয়;

আসলে আমরা আমাদের হতাশা
আমাদের লোভ, লালসা, এমনকি
প্রত্যাশার বিপরীতে কিছু পেলেই
নিজেরা হয়ে যাই বেপরোয়া
নিজেরা হয়ে যাই মানুষ থেকে শয়তান।

তোমরা বুঝতে চাওনা
শয়তান একটি রূপক শব্দ।
যে কিনা নিজের ভেতরেই বিদ্যমান।
নিজের অন্তর, নিজের অস্তিত্ব, নিজের কর্ম
এমন কী নিজের খামখেয়ালীপনাই এর জন্য দায়ী।

আর সময় যখন ভুলকে ধরিয়ে দেয়
তখন নিজেদের অপরাধটা চাপিয়ে দিই
শয়তানের ঘাড়ে’ (!)
এদিকে (!) শয়তানরা ব্যাটা বড্ড অসহায়।
আসলে মানুষের চেয়ে বড় শয়তান কে হতে পারে?

আর এটাই সেই সুযোগ,
নিজেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার এর চেয়ে
ভাল সুযোগ আর কি হতে পারে।
যা কিনা একজন অপদার্থ বিবেক
বুদ্ধিহীন মানুষকে বদলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

অন্তরে যদি বিভেদ থাকে
অন্তর যদি কলুষিত থাকে তবে সেই অন্তর
তবে সেই বিবেককে
অতঃপর সেই হৃদয়কে নিয়ন্ত্রনহীন
রাখার জন্য সেই মানুষটাই একমাত্র দায়ী।

হে মানুষ তোমার কি প্রয়োজন?
সেটা তুমি নিজেই জানো না।
তুমি কি বুঝতে পারছো
এই না-জানার জন্যই অন্তরের খেয়ালী শয়তান
আমাদের থেকে ভুল করিয়ে নেয়।

তবে হ্যাঁ, একটা কথা মনে রেখো,
কেউ কারো পিছে না লাগলে
কোনদিনও তার পিছে অন্য কেউ লাগে না।
আমরা যখন সে বিষয়টা অন্যের কাছে আড়াল করতে যাই
তখনই শুরু হয় তার প্রতিক্রিয়া।

এটাই জীবন;
জীবন যখন খামখেয়ালিতে পরিপূর্ণ
হঠকারিতায় পরিপূর্ণ, উশৃংখলতায় পরিপূর্ণ
তবে জেনে রেখো সে জীবন
অপরাধের বোঝা বহন করতে, করতে
কোন একটা সময় হঠাৎ করে ধুলিস্যাৎ হয়
যার কোন অস্তিত্ব থাকে না, চিহ্ন থাকে না।

হে বন্ধু

271169

আপনি কি কখনো জীবনের
ভালো-মন্দ সম্বন্ধে বিবেচনা করেছেন?
যদি আমাকে খুঁজে বের করতে বলা হয়,
আমি জানতাম, কি করবেন এবং করবেন না!

আপনি কি কখনও ব্যথায়
কাতরাতে কাতরাতে পাহাড়ে উঠেছেন?
যতবারই আমি সেখানে ওঠার চেষ্টা করেছি
জেগেছি জেগেছি তীর্যক শক্তি নিয়ে।
জীবনের সেই পথে কষ্ট ছিল যন্ত্রণা ছিল
তাই যতবার ওঠার চেষ্টা করেছি উঠেছি
জীবনের পথ সংকুচিত হয়েছে।
বারবার নিজেকে অস্তিত্বশীল জেনেও
অস্তিত্বহীন মনে হয়েছে।

এখানে আমারও কিছু ভুল ছিল,
আমার সাথে ও কিছু ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে।
আমার বিশ্বাস আর অজ্ঞ হওয়াটাও ভুল ছিল;
এটা আমাকে অসংখ্যবার কষ্ট দিয়েছে
আপনার সাথে কিছু ভুল ছিল
আপনার দ্বারা এটা স্বীকার নাও হতে পারে.

কিন্তু যদি কখনো বিবেক দিয়ে
বোঝাপড়া করতে বসেন অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব পাবেন
কোথায় এবং কিভাবে এটা ভুল হয়েছে
আপনি ভুল স্বীকার করতে বাধ্য নন।

কিন্তু এটা হবে আপনার জন্য অহংকার।
প্রতিটি মানুষের মনে রাখা উচিত যে
অহংকারের পথ সংকীর্ণ, এটি ধ্বংসাত্মক,
এটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

মানুষের জীবন ধ্বংস করার জন্য
অহংকারই যথেষ্ট।
হ্যাঁ, আপনার মনে হতে পারে
এটা আমার কাছে বেশ বাজে শোনাচ্ছে,
মনে হচ্ছে বিষয়টি আমার জন্য নয়।
আপনি যদি অহংকারী হন
তবে আপনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।

নিজের অহংকার সম্পর্কে সচেতন না হলে
অন্যের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
জেনে নেয়া উচিত অন্যের অহংকার
সম্পর্কে বিতর্কিত হওয়া নির্বুদ্ধিতা।
আমরা নিজেরা বোঝাপড়া করা উচিত
এটি আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে থাকতে পারে
কারণ কেউ এটি চিনতে পারে না।

অহংকার জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
ও সৌন্দর্যের রেখাগুলোকে বদলে দেয়
বদলে দেয় জীবনের প্রেক্ষাপট।
তবে এত সহজে বিদ্রোহী হবেন না
বিদ্রোহের কিছু নিয়ম আছে,
নীতি আছে, পরিবেশগত অবস্থা আছে
হয়তো সবাই ভুলে যাবে;

আজ নিজেকে একটু বিদ্রোহী মনে হচ্ছে
হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে
জীবনের এই পথে চলতে, চলতে …
আজ বুঝি বড্ড ক্লান্ত, ঠিক সেই
শত বছরের বৃদ্ধের মতো বুদও অসহায়।

হয়তো সেজন্যই নিজেকে
একটু অনিয়ন্ত্রিত মনে হচ্ছে
আমরা আজ আবেগগতভাবে
‘অবিশ্বাস’ অনুভব করছি তা করতেই পারি
আমরা আমাদের মনের খেয়ালে
অনেক কিছুই দেখতে চাই
স্বীকার করছি আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।

সময়ের সেই সংকুচিত অন্ধকার
যখন আশেপাশের মানুষগুলোকে গিলে খাচ্ছে
তারপর একরকম আলোর রেখা
ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ জ্বলতে পারে না
আলোকিত করতে পারে না।
আর সৌন্দর্যের উপমা মেটাতে পারে না
অস্তিত্বের কোলাহল।

আপনি এটা জানেন
শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করে
এটা বাজে কথা ছাড়া আর কিছুই নয়;
আসলে আমরা হতাশ
এমনকি আমাদের লোভ লালসা
আশার নিরাশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে
যখন হিপোক্রেট হয় তখন আমরা
নিজেরাই বেপরোয়া হয়ে যাই,
আমরা নিজেরাই শয়তান হয়ে যাই।
তাই তো জীবনের পথ এতটা অমসৃণ ভঙ্গুর দুর্দশাগ্রস্ত।

হে বন্ধু, তুমি বুঝতে চাও না
শয়তান একটি রূপক শব্দ।
যা নিজের মধ্যেই বিদ্যমান
আপনার নিজের হৃদয়, আপনার নিজের অস্তিত্ব, আপনার নিজের কর্ম
এমনকি তার নিজের ইচ্ছাও এর জন্য দায়ী।

এবং সময়ের সারাংশ থেকে যখন আমরা
নিজেরাই শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে দিই।
তখন আমরা আমাদের অপরাধ
লুকিয়ে রাখি আর শয়তানের ঘাড়ে চেপে
আহা, শয়তানরা কত অসহায়।
আসলে মানুষের চেয়ে বড় শয়তান আর কে হতে পারে!

আর এটাই সুযোগ,
বরং নিজেকে বাঁচানোই ভালো
এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হতে পারে?
যার বিবেক অন্ধ, তাকে পরিবর্তন করা যায় না
অজ্ঞ মানুষ সময়ের সাথে পাল্লা দিতে পারেনা
সেক্ষেত্রে অজ্ঞ মানুষ
ভুল পথ বেছে নেয়ার জন্য যথেষ্ট।

যদি অন্তরে বিভক্তি থাকে
যদি হৃদয় অপবিত্র হয়, যে
অভ্যন্তরীণভাবে, তবে, সেই বিবেক
তখন সেই হৃদয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়
এটা রাখার দায়িত্ব একমাত্র তার।
হে মানুষ, তোমার কি দরকার?
আপনি নিজেও জানেন না।
না জানার দোহাই দিয়ে এই বুঝি?
শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করে।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন, হ্যাঁ।
যদি কেউ কাউকে অনুসরণ না করে
আর কেউ তাকে অনুসরণ করে না।
তার প্রতিক্রিয়া শুরু হয় যখন আমরা
এটি অন্যদের থেকে লুকানোর চেষ্টা করি।

এটাই জীবন;
যখন জীবন বাতিক পূর্ণ
বেপরোয়া, বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ
তবে জানুন সেই জীবন
অপরাধের বোঝা বয়ে বেড়াতে
মুহূর্তের মধ্যে ধূলি-ধূসর হয়, অস্তিত্বহীন হয়।
যার কোন অস্তিত্ব নেই এবং কোন চিহ্ন নেই।