শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

Children of the stars

270205

আমাদের এই সৌরজগৎ
সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে
প্রায় (৪.৫) সাড়ে চারশ কোটি বছর পূর্বে।

এই সৌর জগত সৃষ্টি হয়েছে
বড় একটি হাইড্রোজেন নীহারিকা থেকে
ইংরেজিতে যাকে আমরা
প্রোটো সোলার নেবুলা বলে থাকি
আর বাংলায় গ্যাসীয় নীহারিকা বলি।

তারমধ্যে কিছু হিলিয়াম ছিল
তার মধ্যে কিছু ভারী মৌল পদার্থ ছিল
এই ভারী মৌল পদার্থ বলতে জ্যোতিষবিদ রা বলেন হিলিয়াম এর ওপরে থাকে
কার্বন, অক্সিজেন, প্লাটিনাম, লোহা…

ভারী পদার্থ হলো
নীহারিকার মধ্যে আগে বড় তারা ছিল
আর সেই তারাগুলো বিস্ফোরিত হয়
এবং বিস্ফোরিত হওয়ার আগে
সেই মৌল পদার্থগুলো সৃষ্টি হয়েছে
মানে একটি সংশ্লেষণ হয়েছে।

সূর্যের মধ্যে যে সমস্ত মৌলিক
পদার্থগুলো পাই সেগুলো এসেছে
পূর্বের ঘটে যাওয়া সুপারনোভা থেকে
পৃথিবীতে আমরা যা দিয়ে গঠিত
যেমন কার্বন, অক্সিজেন,নাইট্রোজেন
হাইড্রোজেন ইত্যাদি।

প্রকৃতির যত শক্তি যত উৎস
ওই একই নক্ষত্র, যে কারণে আমরা সাইডাস,
মানে হল আমরা নক্ষত্রের সন্তান
উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে বয়ে আসা নক্ষত্রের সন্তান।

নিউক্লিয়ার ফিউশন এর মাধ্যমে
আমাদের এই সূর্যের যেভাবে উৎপত্তি হলো।
আমরাও সেরকমই একটি
ফিউশন এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছি।

কিন্তু সেটা অনেক জটিল কঠিন
স্তর পেরিয়ে নানা রকম প্রক্রিয়ার পর
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজকের আধুনিক মানুষ।
পশুপাখি জীব জড়
যা কিছুই রয়েছে তার সবকিছুই
ওই নক্ষত্রের মৌল উপাদান।

আমরা সৃষ্টি হয়েছি
বেঁচে আছি এবং বেঁচে থাকছি
এমনকি এই সভ্যতার ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবে
এটা সম্ভব হয়েছে সূর্যের নির্দিষ্ট
একটি জায়গায় অবস্থানের কারণে।

সূর্যের ও একটি গল্প রয়েছে
যাকে একটি মুক্ত স্তবক বা যেটাকে বলা যায়
ওপেন ক্লাস্টার এখানেই সূর্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সেই সমস্ত তারার সংশ্লেষিত পদার্থ থেকে বা আগের সুপার্ণভা থেকে।

পৃথিবীর বয়স কিংবা মহাবিশ্ব সৃষ্টি
অথবা যাকে আমরা গ্যাসীয় নীহারিকা বলে থাকি
যে সমস্ত উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বুকে পতিত
হয়েছে তা থেকেই আমাদের
এই মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণ করা হয়।

ডিফারেন্সিয়াল রোটেশনে
সূর্য যেভাবে ঘুরে চলছে
এই ঘূর্নয়ন না থাকলেও পৃথিবী নামক
ইউনিক একটি জায়গায় আমরা
কোনভাবেই সৃষ্টি অথবা অবস্থান করতে পারতাম না।

পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের জন্য
যেভাবে ঋতু বদল ঘটে। সেভাবে
এখানে আমাদের জীবনের বদল ঘটেছে
সময়ের বদল ঘটেছে
এবং প্রকৃতির বদল এর মাধ্যমে
আমরা আজ এই পর্যায়ে অবস্থান করছি।

ঈশ্বর

269967

হে ঈশ্বর
তুমি আমার সমস্যার গুরুত্ব
উপলব্ধি করতে পারোনি।
যেভাবে উপলব্ধি করতে পারোনি কষ্টের গুরুত্ব।

শরীরের শিরায় শিরায়
যে যন্ত্রনা প্রদাহ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে
টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেটা বড় নিষ্ঠুর;

তুমি তোমার সৃষ্টির সাথে
এমন টা করতে পারো না।
তুমি তোমার সম্মানিত জায়গা থেকে
তুমি তোমার করুণার জায়গা থেকে
তুমি তোমার দেওয়া ওয়াদা থেকে
কখনোই সরে আসতে পারো না।

তোমার সৃষ্টির জায়গা থেকে
আমার কোন দায় নেই
যদি আমায় সৃষ্টি করে থাকো
বিবেক-বুদ্ধি বোধদয়, ভালো-মন্দ
সত্যমিথ্যা বোঝার ক্ষমতা দিলে কেন?

তাহলে এই অধিকার তোমাকে দেওয়া হয়নি
তোমাকে আমি সেই অধিকার দিইনি;
তবে তোমার দায়ে তোমার প্রয়োজনে
যে তুমি আমাকে কষ্ট দিবে, যন্ত্রণা দিবে,
রোগ ভোগে অসুস্থতায়
দারিদ্রতায় অবহেলায়
অভাবে অনটনে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাবে!

সম্মানিত পেশা ছিল,
ব্যবসা ছিল, ছিল সুন্দর জীবনযাপনের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু।
তখনও আমি তোমারই ছিলাম
তখনও তোমাকে গৌণ করে
কীর্তন করতাম গুণগান করতাম।

পরীক্ষার পর পরীক্ষা
পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে দিতে
জীবন থেকে সবকিছু শেষ।

যে শ্রেণীতে চলাচল ছিল
আগমন যাওয়া-আসা ছিল
সেই শ্রেণি সেই সিঁড়ি থেকে নিচের দিকে
নামতে নামতে আজ
ছোট্ট একটা কুড়েঘরে

সমাজ সংসার ছিল
সবকিছুই আজ সবকিছুহীন।
তুমি যদি শুধু পরীক্ষায় নাও
পাস করাবে কবে?
বাকির খাতায় শুধু ক্ষতির হিসাব
লাভ দেবে কবে?

দেখো হে গ্রামবাসী! শহরের মানুষ দেখো;
চোখ মেলে চেয়ে দেখো,
ঘুম থেকে উঠো, জেগে উঠো, দেখো
আজ ঈশ্বর দিচ্ছে রহমত!

ভেবে দেখো,
তোমাদের প্রয়োজন কি আমি জানিনা;
আমার সংকট অর্থের
আর ঈশ্বর দিচ্ছে রহমত;
হ্যাঁ, হ্যাঁ, রহমত!

রহমত, মানে বৃষ্টি।
অসময়ে বৃষ্টি, সেও আবার রাতের ৩ ঘটিকায়।

বৃষ্টি তো আর ছাদ ফুটো করে
রাতের অন্ধকারে মোহর দিবে না
বৃষ্টির জলই দেবে
ক্ষতির কথা বলতে গেলে আমারই হলো।

হে ঈশ্বর
আমার সাথে এই রহস্যময়
মশকরা করে তোমার মজা নেওয়া
ছাড়া আর কিছুই নয়।

এই রহমতে আমার প্রয়োজন মিটবে কী?
যদি প্রয়োজন না মেটে
তবে তা ব্যবহার করা
আমার কাছে বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়
অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা পদার্থ ছাড়া কিছু নয়।

তুমি মানুষের মন পড়ো, মন বোঝো
সেটা আবার কেমন! কিভাবে?

তবে, আমার নয়
তোমার সমস্যা তুমি খুঁজে নাও
আমার দায়িত্ব নয় তোমার দায়িত্ব তুমি নাও
তোমার ভুল তুমি সংশোধন করো
তোমার মিথ্যাচার তুমি নিজেই
খুঁজে বের করো পেয়ে যাবে।

অভাবির অভাব অনটনের কাছে…
বিপদমান মানুষের কাছে…
ক্ষুধার্তের কাছে ঘর-হীন মানুষের কাছে
পঙ্গু অচল অন্ধের কাছে…
দারিদ্র্যের দারিদ্রতার কাছে…

প্রকৃতির খরা,ঘূর্ণিঝড়,
সাইক্লোন, ভূমিকম্পের কাছে…
এবং ফিরে আসো তোমার নিষ্ঠুরতার কাছে…
তোমার ভুল তুমি খুঁজে দেখো;

তাকিয়ে দেখো
সিয়েরা লিওন আফ্রিকা মহাদেশে দিকে
তোমার ভুলগুলো তুমি খুঁজে দেখো পেয়ে যাবে
কাশ্মীর, বসনিয়া, ইসরাইল-ফিলিস্তিন
খুঁজে দেখো বেলুচিস্তানে পেয়ে যাবে।
পেয়ে যাবে ঈশ্বর;

জীবন

26985

জীবন থেমে যাওয়া গল্পের ঋতুতে
সরিসৃপ বৃক্ষ এঁকেবেঁকে উঠেছে আকাশ চূড়ায়
কিছুটা প্রয়োজন ছিল, নিয়মের বেড়াজালে
আটকে থেকে অনিয়ম ভাঙ্গার।

মেঘের উপরে রাজসিক ঈগল
ডানা ঝাপটিয়ে দেখছে সমতল।
শিকার আর শিকারির দঙ্গলে,
নিয়ম আর অনিয়ম ভাঙ্গার লড়াই তো করতেই হয়।

দিনের পর দিন বছরের পর বছর
যুগের পর যুগ ও সময়ের পরে সময়
এভাবেই চলছে তো চলছেই।

ঋতুবর্তী মেঘ, ঋতুবর্তী বৃষ্টি ভেজা বিকেল’
বর্গাকৃতির অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘ-ছায়া!
কি এক ভয়ঙ্কর মায়াজাল ছেয়ে
চিড়ে দিচ্ছে জমিনের বুক।

আমাদের সময় নীরবে-নিভৃতে,ছুটে চলছে।
ছুটে চলছে, মেঘ ছুটে চলছেন বায়ু ছুটে চলছে
ছুটে চলছে নিরন্তর সন্ন্যাসীর দল।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য অদৃশ্য গন্তব্য

ছুটে চলছে সময় আর জীবনের গল্প বলা কথা
ছুটছে পৃথিবী নক্ষত্ররাজি আলো আর যান্ত্রিক জীবনের গতিমান চিহ্ন।

সময় বয়ে চলছে… বছর ঘূর্নয়নমান…
আসছে, যাচ্ছে, ঘটনা অঘটনের সাক্ষী হয়ে।
বিবসনা দিনের অনুরণ তুলে।

এখানে কেউ স্মৃতি,
কেউ নতুনের আগমনে উৎসাহিত,
আবার কেও আগন্তুক পথিকবর।
আমরা হারিয়ে যাচ্ছি সময়ের অন্ধকারে
পাড়ি দিচ্ছি এক দিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে…

জীবনের এই শুভ্রতা, অহমিকা,
নগণ্য আর রাজসিক অবয়ব ধারণ করে
যে পথিক চলমান তার অমূল্য সাধনে।

আমরা সবাই উদ্দেশ্য পিরিত,
কেউ পৌঁছলো গন্তব্যে,
কেউ মাঝপথে থেমে গিয়েছে
আবার কেউ নতুন করে শুরু করছে
এভাবেই চলছে পৃথিবীর এই মায়াজাল।

তবুও আমরা এক পলক একদৃষ্টে
তাকিয়ে থাকি আকাশের পথে
যেখানে আমরা আমাদের চোখ দিয়ে স্পর্শ করি নক্ষত্ররাজি।

যা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার এক অলীক কল্পনা।

জীবন ছুয়ে যাবে কোন এক ঋতুতে
কষ্টের দাবানল যেভাবে পুরে দেয় শরীর
তবুও এগিয়ে যাওয়া এ জীবন
বয়ে চলছে ভবিষ্যতের দিকে।

শরীরে কষ্টের আধিপত্য
হৃদয়ে দাবানল হয়ে
নীরবে সহ্য করে চলেছে মহাকাল
গোধূলির সোনালী সূর্য
পশ্চিমের দিগন্ত ছেয়ে আলোকিত করছে পূর্ব
নগরের প্রবেশদ্বারে অস্তিত্বের সংকীর্তন,
নিরবে রচনা করছে মহাকাব্য অবশেষে
আমরা অনুরণ তুলেছি জীবনের;

একটি বস্তুবাদী কবিতা

26688

১.
মৃন্ময়ী, এইযে শুনছো কি
দ্বৈতনীতি ছেড়ে বেরিয়ে আসো
মুখোশের আড়াল থেকে।

এখানে রয়েছে খোলা মাঠ
সবুজে ভরা বিচিত্রতার রঙ্গিন সাজ
এখানে হৃদয় ছোঁয়ার প্রয়োজন নেই
ছুঁয়ে যাবে সবুজ প্রকৃতি বটবৃক্ষ আরো কত কি?

এই সবতো, তোমার প্রয়োজন নেই
এসব তো শুধু অপ্রয়োজনীয়’ বাচনভঙ্গি
এসব শিল্পের নগরী প্রয়োজন শিল্পীর জন্য

তাহলে শোনো…
২.
আমার ভেতরের অনুভূতি, তুমি বুঝবে না;
তুমি বুঝবে তোমার প্রয়োজন
অন্যথায় সবকিছু গুরুত্বহীন।

আমার নীরবতা তোমার হৃদয় ছোঁবে না
ছুঁয়ে যাবে তোমার যত অচ্ছুত আবদার।

আমাদের পথের দূরত্বটা
তৈরি হয়েছে শুধু, বিশ্বাসহীনতার জন্য।

আমরা আমাদের সম্মানের জায়গাটা
হৃদয়ে ধারণ করতে পারিনি বলেই
থেকে গেছে দূর থেকে দূর।

আমার কোনো প্রাপ্তি নেই,
অপ্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে সম্পর্ক
নামক বন্ধনের অদূরদর্শিতা।
যা পরিমাপ করলে বোঝা যায়।

কারও অর্থ পিপাসু মন, যখন সম্পর্কের
অটল ধাঁধায় জাল বিছিয়ে দেয়
সেখানে তখন শুধুই দেখা যায় প্রয়োজন।

প্রয়োজনের এই অন্ধ নৃশংসতা
সম্পর্ককে ভেঙে দেয় মাঝপথে।
যা গড়ার আগেই ভেঙে চৌচির হয়ে যায়।

যেখানে ভালোবাসার বদলে রয়েছে লোভ
যেখানে আবেগের বদলে, রয়েছে রাগ।
যেখানে স্নেহের বদলে করুণা,
ভালোবাসার বদলে রয়েছে ঘৃণা।

সব হারাবে নৃশংসতা

images

সাদা ঘোড়া ছুটবে যখন
ভেঙে পড়বে চতুর নিশান
পাপের দেওয়াল ধ্বংস হবে
প্রকৃতির ওই শান্ত দিশা
পাতাল ফুঁড়ে আসবে তখন।

অজ্ঞতার ওই নষ্ট নষ্টাচারী
এদিক ওদিক ছুটবে তখন
অপরাধের রাজত্ব ওই
হ্যাঁচকা টানে ভাঙবে তখন।

ঈশ্বর রুপে মানব যখন
হচ্ছে রে ওই প্রতাপশালী
ক্ষয় হবে তার শক্তি যত
চড়বে তখন পাপের বলি।

রূপকথার ওই অন্ধকারে
মিথ্যার যখন শক্তি ধারা
সত্য তখন অন্ধকারে
আলো তখন বাতি হারা।

এমন সময় আসবে ও সেই
পাপের নিয়ম ভঙ্গ কারি
মূর্খরা সব কুয়ো থেকে
দেখবে ওসব ঘাপটি মারি।

নাদান যখন দেশের রাজা
স্বঘোষিত বিশ্বনেতা
দুঃশাসনের মূল্য দেবে
সুশাসনের কর্ম ত্রাতা।

দেশে হবে হাজার আইন
টিকে থাকার পড়বে বলয়
ক্ষমতার ওই গোলকধাঁধায়
মরবি তখন নির্বিচারে।

আকাশ ফুঁড়ে পাতাল ফুঁড়ে
শুনরে মানুষ একই ধ্বনি
সত্য ওরে আলোয় ফিরে
প্রকাশ করবে তাহার বাণী।

সাধুবেশে অসাধুরা
খেলবে যখন মিথ্যা খেলা
ক্ষমতার ওই বড়াই করে
অপরাধে কাঁটবে বেলা।

গুম হয়ে যায় সত্য তখন
দুঃশাসনের দুপুর বেলায়
প্রজা হারায় স্বাধীনতা
অপআইনের বেনাম খেলায়।
সূর্যোদয়ের উঠোন বেলায়।

মানব জীবন

মানব জীবনে কিছু রোগ ধীরে ধীরে শরীরে বসতি স্থাপন করে যেমন স্লো পয়জন। কিছু রোগ তাদের কর্ম দ্বারা শরীরকে আবৃত করে। অবশেষে রোগটি শরীরকে গ্রাস করতে থাকে পরিণত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

আমাদের শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া থেকে অচল হয়ে পড়লে, জীবন থেকে ফেলে আসা কিম্বা সেই সুন্দর দৃশ্যমান পরিবেশ বুকের ভেতরে কম্পন তোলে অতঃপর পরক্ষনই তা যেনো অন্ধকার ছেয়ে আসে পরিশেষে প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য খুব কুৎসিত মনে হয়।

সময় থেকে ছিটকে পড়া মানুষদের জন্য প্রকৃতির এই নির্মম পরিণতি আমাদের চোখের সামনে ঘটতে থাকে অতঃপর এক অনাগত ভবিষ্যত তৈরি করে। যা কীনা, দৃশ্যমান বলেই বিবেচিত হয়।

অবশেষে জীবন বেঁচে থাকার মায়ায় আকৃষ্ট হয় এবং মন সর্বদা বেঁচে থাকার জীবনদাতা শক্তি দ্বারা কল্পনার মহাজাগতিক জগতে নিমজ্জিত হয়। তারপর সময়ের অন্ধকার, আলো ফিরিয়ে দেবে কিনা তা সেই স্থান কাল পাত্র বিবেচনা করে।

অতএব, আমি বলতেই পারি মানবজীবনে সুস্থতা প্রকৃতির পাওয়া সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ যা অর্থ বিত্তের চেয়ে মূল্যবান। সকল বন্ধুদের সুস্থতা কামনা করছি, সুন্দর জীবন কামনা করছি, কামনা করছি সুন্দর ভবিষ্যৎ আমাদের মধ্যে যার অর্থ সম্পদ যদি নুন্যতম কিছু নাও থাকে সে ক্ষেত্রে তাঁর যদি সুস্থ দেহ থাকে আমি বলব সেটাই সম্পদের চেয়েও অধিক মূল্যবান যার কোন তুলনা হয় না।

ভালোবাসা

26107

ভালোবাসা মানে সন্দেহ নয়,
অবিশ্বাস নয়,
অসম্মান অবহেলা নয়,
অসভ্যতা নয়
অসদাচরণ নয়।

ভালোবাসা মানে
বিশ্বাস দৃঢ় বিশ্বাস
ভালোবাসা মানে
দিন গেলে বাড়ি ফেরা
ভালোবাসা মানে
কারো শূন্যতা অনুভব করা
ছটফট করা।

ভালোবাসা মানে
মন্ত্রমুগ্ধের মত দৃষ্টি নিক্ষেপও নয়,
আকর্ষণ নয়,
বিকর্ষণ নয়
কথায় কথায় বলবো ভালোবাসি,
সেটাও নয়।

বরং
ভালোবাসা মানে শ্রদ্ধা,
ভালোবাসা মানে একজন
আরেকজনের প্রতি সম্মান,
অপদস্ত নয়,
অসভ্যতা নয়।

ভালোবাসা মানে বিশ্বাস
দু’জন দু’জনের প্রতি।
তবে অন্ধ বিশ্বাস নয়।

তবে ভালোবাসা মানে
অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিশ্বাস
যে বিশ্বাস ভাঙ্গে না,
মচকে যায় না

অটুট থাকে
হৃদয়ের আবদ্ধতায়
একে অন্যের জন্য,
একে অপরের জন্য।

পথ প্রদর্শক হয়ে
অস্তিত্বহীন মানুষকে
অস্তিত্বের অনুভূতি দান করে।
এটাই ভালোবাসা,
এরই নাম ভালোবাসা।

পথ ও পথিক

261433

পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য
ঘিরে অপার সমরোহ চলছে তো চলছেই
এইতো আমি, তুমি; সাগরের বুক চিড়ে
উদিত সূর্যের মুখোমুখি।

মাঝি মাল্লার পালতোলা জাহাজ
ইলিশ ধরছে
সাইরেন বাজছে
ঝাঁক ঝাঁক শঙ্খচিল
শিকার করছে
কত না মনোরম দৃশ্য
জোট বেঁধে আক্রমণ!

কী বিস্ময়ভরা আকাশ,
আর বঙ্গোপসাগরের বুকে ভেসে বেড়ানো
উষ্ণ শীতল বাতাস
যেন প্রকৃতির এই সমুদ্র ঢেউ
ধূসর শরীরে চাঁদের স্নিগ্ধতা
আমরা দেখছি দুচোখ মেলে দেখছি
আমাদের সৌভাগ্য
আমাদেরকে এদিকে এনেছে;

ধূসর মেঘের বুক চিরে
রক্তাক্ত সূর্য, রক্তাক্ত মেঘ
আমাদের হাতে’ হাত
চোখে, চোখ, একদৃষ্টে তাকিয়ে

আর কি কোনো পরিকল্পনা আছে
সময়ের আঁধার ডুবে দিয়ে
আমরা যে মিলিত হয়েছি
এই জীবনের পথদ্বারে
একি কম বিস্ময়কর দঙ্গল!

অযৌক্তিক কিছু নয়
আজ বাতাসে মেঘের গর্জন নেই
শান্ত সমুদ্রের বুকে
অতর্কিত নেই কোন ঢেউ
যা কী না ভীতি ছড়াবে
আমাদের মনে, আমাদের কন্ঠে
আমাদের উৎকণ্ঠায়,
আমাদের অস্তিত্বে
অথবা আমাদের জীবন বেলায়।

দূরের সেই মেঠো পথে
অসংখ্য দম্পত্তির পথচলা
জলে-স্থলে উপভোগের কিছু সময়
আনন্দিত, উচ্ছ্বাসিত
জীবনের সকল ক্লান্তি মুছে
ওরা যেনো আজ তাদের হৃদয়ে
নির্মল বাতাস ছড়িয়েছে।

এক অপার মহিমা
তাদেরকে বারবার টেনে এনেছে
এই সমুদ্রের সৌন্দর্যের মুগ্ধতায়
আমরা কোন একদিন
নতুন দ্বীপের অন্বেষণ করব
নতুন দিনের খোঁজে পথে চলবো
নতুন স্বপ্নের তাড়নায় এগিয়ে যাব

এইতো জীবন, জীবনের কি
আর কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে!
নাবিকের সৌন্দর্য তার জাহাজের স্টিয়ারিং
এখানে নেই কোন বন্য বোধ
পরমানন্দ ছুঁয়ে যাবে
জীবনের সকল বালুকা বেলায়

এখানে গভীর সমুদ্রের তলে কি রয়েছে
একদা আমরা দেখতে আসবো
আবার নতুন করে নতুন দিনের খোঁজে
নতুন পথের পথিক হয়ে।

জীবনের কোন শিরোনাম নেই
শিরোনামহীন এই জীবনের পথে
আমরা চলেছি দুজনার দুটি হাত এক করে
আমরা মিলিত হয়েছি
কিছু শব্দের মোহনীয়তায়।

মহিমান্বিত সোনালী আকাশ
সমৃদ্ধ বিস্তৃত পাহাড়
মিলিয়ন বছর ধরে অতিক্রম করে চলছে
তাঁর প্রদর্শিত রূপ
উপমা ছুঁয়ে যাবে কালের বিবর্তনে
যেখানে কোনো অনুগ্রহ নেই
তারই টানে তারই অনুগ্রহে
আমাদের এই পদধূলি
আমাদের করেছে একত্রিত।

এখানে কোন উষ্ণতা নেই
উষ্ণতা যেন আমরাই ছড়িয়েছি প্রকৃতির মাঝে
আমরা ভালোবাসা ছড়িয়েছি
আমাদের হৃদয় দিয়ে
প্রসারিত জীবনের এই সমারোহে
আমরা দুজন দুজনের মাঝে
বিনিময় করি আমাদের ভালোবাসা।

হৃদয় তীব্র প্রভাবে স্পন্দিত হয়
হে প্রিয় প্রতিজ্ঞা বিনিময় হোক আজ থেকে
এই হোক পণ, আমরা আছি থাকবো
রঙ্গিন খামে ইতিহাসের পাতায়
আমাদের অন্তরে মানুষের হৃদয়ে
দিতে থাক মনুমেন্ট এর মত
অস্তিত্ব থেকে আরেক অস্তিত্বের মাঝে।

© বখতিয়ার শামীম
© Saturday 27 November-2021
© Time:02:56pm.

জয়পরাজয়

জগতের সকল সৃষ্টির মধ্যে অসম্ভব একটি সৃষ্টির নাম মানুষ; এই গ্রহে মানুষই একমাত্র অসম্ভব বুদ্ধিমান। মানুষ তার জায়গা থেকে অসাধারণ, আত্ম সন্ধানী। তবে কোন কর্ম করতে গিয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য মানুষের জন্ম হয়নি। মানুষের সৃষ্টি ও জন্ম হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এই পথে যসবে পড়া যায় আসবে। পরাজয় যেভাবে মানুষকে কষ্ট দেয় সেভাবেই জয় মানুষকে আনন্দ ও সুখী করে। মানুষ ভুল করে, হেরে যায়, আবার বিজয়ী হয়। তবুও মানুষকে পরাজয় ভুলে সামনের দিকে পথ চলতে হয়।

সেখানে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা বড় কথা নয় বড় কথা হচ্ছে শত বাঁধাবিপত্তি বিপদ অপেক্ষা করে তাকে তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। জীবন থেমে যাওয়ার জন্য নয় জীবন হলো এগিয়ে যাওয়ার জন্য। ভুলের জন্য হতাশা নয় দুঃখ নয় কষ্ট নয়। ফুলের পরে সমাধানের পথ খুঁজে বের করাই হল একজন মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য।

জগত জীবনে কোন কাজেই আধুরা থাকে না কেউ না কেউ সেই জায়গাটা নতুন করে তৈরি করে দেয় সেখান থেকে নতুন করে শুরু করে এবং সেটা সম্পন্ন হয় সেখান থেকেই সফলতা সূচনা যা ভবিষ্যতের আলোতে পা রাখার প্রথম পদক্ষেপ। মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ বাঁধাবিপত্তি ঘাত প্রতিঘাত আসবে থাকবে আর এ নিয়ে দুঃখ করার কোনই কারণ নেই যেখানেই বিপদ যেখানে বাধা সেখানেই বিপত্তি সেখানেই সমাধান।

অতএব এগিয়ে চলুন এগিয়ে চলতে বাধা আসবে সে বলে হাল ছেড়ে দেবেন সেটা হতে পারে না। হাল ছেড়ে দেওয়া মানেই হেরে যাওয়া সেই আর সেই হেরে যাওয়া মানেই অস্তিত্বহীন জীবন সেখানেই একজন মানুষের প্রকৃত বিলীন হওয়া নির্দেশ করে।

অনুভূতির দস্তাবেজ

295914_n

আমরা সর্বদা আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখি, ছুঁতে পারি না। তোমার স্বপ্ন দেখি কিন্তু পড়তে পারি না। তাই স্বপ্নে উড়ি কল্পনায় উড়ি ভাবনায় উড়ি উড়তে উড়তে মহাকাশের গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যাই বাস্তবতা এই যে, আমরা আজ আকাশে উড়ি চাঁদে যাই, মার্চে যাই জাহি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে এক নক্ষত্র থেকে আরেকটি নক্ষত্র। আমাদের মানব ইতিহাসে এটা কোন সহজ ব্যাপার ছিল না। আজ আমরা তা সম্ভব করতে পেরেছি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশের মাধ্যমে। আমরা এখন চাঁদে নভোযান পাঠাই মার্চে নভোযান পাঠাই রোবট পাঠাই। আমাদের তৈরি ভয়েজার এখন আমাদের এই মহা সৌরজগতের বাইরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। অথবা ১৪৮ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরে অবস্থান করছে।

যা মানব ইতিহাসের বিরল এবং প্রথম। এখন ভয়েজার যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে পৃথিবীর কোন অস্তিত্বকে দেখাই যায় না বালুর মত যদি ক্ষুদ্র কণা থাকে সেটাও দেখা সম্ভব নয়। অথচ এই পৃথিবী এই গ্রহে আমরা বসবাস করছি এই মহা ব্রহ্মাণ্ড কতটা বড় কতটা মহান কতটা বিশাল আর কতটা বিস্তৃত তার অসীম সীমা আমাদের বোধগম্য নেই। আমাদের কেন এখন শুধু এই পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ নেই তা বহমান এই মহাজগতের পথে চলমান রয়েছে যেখানে মানুষ পৌঁছেনি কিন্তু পৌঁছে গেছে মানব ইতিহাসের সেই ছায়া মানব রচিত করেছে আমাদের মতই আর একজন মানুষ আজ থেকে ২০০ বা ৩০০ বছর পূর্বেও মানুষ (বিজ্ঞানী) ঘোষণা দিয়েছিল মানুষ কোনদিন আকাশে উঠতে পারবে না।

তবুও সেই মানুষেরা আকাশে ওড়ার স্বপ্নকে বন্ধ করতে পারেনি কিছু জেদি পাগল মানুষই মানুষের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সাধ পূরণ করতে পেরেছেন যাদের কাছে সভ্যতা আজ ঋণী। এখন আমরা চাইলেই অল্পসময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানে যেতে পারি অবস্থান করতে পারি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যেতে পারি যেতে পারি যদিও এই অসীম যাত্রা পথের শেষ নেই। এই অবস্থানে পৌঁছাতে মানুষকে মানবসভ্যতাকে কম মূল্য দিতে হয়নি এই অচেনা পথ পাড়ি দিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে মানুষ এখন মার্চে কলোনি স্থাপন করছে চাঁদে কলোনি স্থাপন করছে মানব বসতির জন্য যাদেরকে রেখে আসা হবে তারা আর কখনো পৃথিবীতে ফিরবে না।

আমাদের এই প্রাণচঞ্চল সুন্দর সবুজ শ্যামল পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করবে না প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কাছে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি এখন খুবই ছোট খুবই ক্ষুদ্র খুবই নগণ্য। তবুও এটাই আমাদের প্রকৃত আবাসভূমি এটাই আমাদের আদিভূমি যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে আমরা বেড়ে উঠেছি যেখানকার সবুজ প্রকৃতির মধ্যে খেলাধুলা করে নিজেদের জ্ঞান সঞ্চয়ের করেছি এবং এই মহাকাশের সবকিছুই অবলম্বন করছি। এই মহাজগতে এমন অনেক সূর্য রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক চাঁদ রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক গ্রহ নক্ষত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথ রয়েছে গ্যালাক্সি রয়েছে প্লানেট রয়েছে যার দ্বারা আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের এই মহাজগতে আমরা শুধু একাই নয়।

দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ দেখছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ ফলো করছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ অনুসরণ করছে। যদিও আমাদের এই বিষয়টি কেবলমাত্র অনুভূতির দাঁড়ায় তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবুও এই সত্যকে কেউ উড়িয়ে দিতে পারেনা তবুও এই মহাবিশ্বকে কেউ বাতিল করতে পারে না যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব বিদ্যমান। এমন অসংখ্য প্লানেট রয়েছে এই মহাজগতে যা আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে যেখানে আমাদের নভোযান এখনো পৌঁছাতে পারেনি সেখানে আমাদের তৈরি কোন মহাকাশ যান আর আকাশ ছুতে পারেনি, মাটি ছুঁতে পারেনি।

এমনকি আমাদের এই সময় ও সময় যাত্রা কোথাও চলমান আবার কোথাও অস্থির আমাদের সবচেয়ে কাছের যে অ্যানড্রোমিডা গ্যালাক্সি (Andromeda Galaxy) রয়েছে যার জন্ম হয়েছে আজ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি সাল পূর্বে সেখানে পৌছাতেও (২.৫৩৭ million light years) লাগে। (আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আলোর গতি পরিমাপ করা হয় যারা জানেন তারা শুনতে পারেন আর যারা জানেন না তারা জানুন। আলো প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে বা ছুটে চলে। যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড তাহলে একদিন এক সেকেন্ডে যদি ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে আলো ছুটে আসে তাহলে এক মিনিট থেকে ১ ঘন্টা এক ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা তারপরে ২৪ ঘণ্টা তারপর মাস তারপরে বছর এই এক বছরে কত কিলোমিটার আলো তার গতিতে ছুটবে তাকে 1 light years. বলা হয়।)

মহাকালের পথ ধরে সেই অতীতে বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে মহাকাশের কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিল এক গ্যালাক্সি অনেকগুলো প্রোটোগ্যালাক্সির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ও সংকোচন এর মাধ্যমে (মিলন) যার জন্ম। তাহলে অন্য গ্রহ নক্ষত্রের পথে যাত্রা করলে আমাদের জন্ম মৃত্যু আর অস্তিত্বের কি হবে সেটা এক সাধারণ জ্ঞানে অনুমেয়।

যদি কোন মানুষ নিজের শত্রু নিজে হয়

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হল রাগ,জেদ,ক্ষোভ কিংবা প্রতি হিংসা আর লোভ। কেউ যখন এই কর্মগুলোর আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যায় তখন সেই মানুষ জগত জীবনের সবচাইতে কঠিন ও নির্দয় রূপ ধারণ করে। তার কাছে সত্য সকল সত্য মরীচিকা মনে হয়। আর তাই যা করছে সেটাকে সঠিক বলেই মনে করে। আর এই ব্যপারগুলো যে অত্যন্ত বিপদজনক ও জীবননাশকারি, নির্দয় পাষাণ রূপ ধারন কারী, কিম্বা অত্যন্ত বিবেকবর্জিত চিন্তা সেটা তার বিন্দুমাত্র অনুমেয় নয়।

এই সকল মিথ্যে দাম্ভিকতা তার মস্তিষ্কের নিউরনে গ্রথিত তবে এই ভুলটা সবাই সাথে সাথেই বুঝতে পারেনা কোন এক সময়ে সে মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে কিন্তু সেখানে আর কোনোভাবেই সংশোধনের কোন পথ থাকেনা। তখন যন্ত্রণা ক্ষোভ আফসোস ঘৃণা লজ্জা ছাড়া নিজের কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাই বলবো কোন কিছু ঘটার আগেই নিজেকে একা সময় দিন। ভাবতে থাকুন নিজের সাথে নিজের বুঝ পরামর্শ করুন প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে বসুন বোঝাপড়া করুন মনে রাখবেন ঐ সমস্ত বিষয় বস্তু যদি আপনার মস্তিস্কের নিউরনে জায়গা করে রেখে দেয় তবে আপনি অবশ্যই ভুল মানুষ।

আপনার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন আপনার মধ্যে যে হিংসা বিদ্বেষ রয়েছে তা ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে অগ্রসর হওয়ার আগেই নিজেদের ভুলগুলো সামনাসামনি বসে সমাধান করে নেয়া অত্যন্ত শ্রেয় ও বুদ্ধিমানের কাজ। যা একজন দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে আপনাকে অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ বলেই পরিচয় বহন করিয়ে দেবে। কেউ যদি সেই ভুলটা বুঝতে নাও পারে তারপরেও যেকোনো একজনকে নত হয়ে সমাধান করুন যদি মনে করেন তাকে ছাড়া আপনার জীবন অসম্পূর্ণ। আর যখন ভাববেন সে মানুষটা কোনকিছুই ঋতু আজ করছে না শুধু ঘৃণায় ছড়াচ্ছে তবে মনে করবেন সেই মানুষটি আপনার জীবনে কিছুই নয় তার জন্য কোন অস্তিত্ব নেই আপনার মাঝে। তাকে আপনার মস্তিষ্ক থেকে চিন্তা চেতনা থেকে ঝেড়ে ফেলুন নয়তো আপনার জীবন আর কোনোভাবেই জীবন থাকবে না তা খুব দ্রুত অন্ধকারে পতিত হবে যেখান থেকে ফিরে আসার পথ অবরুদ্ধ।
তবে আমি আমার এনালাইসিসে জানতে পেরেছি এই মানুষদের কোন পরিবার নেই কোনো সংসার জগত নেই কোন সারওয়ানডিং নেই কোনো বন্ধু নেই কোন মিত্র নেই তবে অদূরদর্শি চিন্তা চেতনাবোধের অভাবে এরা সর্বদা শত্রুই জন্ম দেয়।

কোনভাবেই তারা তাদের জগৎ জীবনের জন্য ভালো কিছু করে যেতে পারে না। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এরা মিষ্টভাষী হতে পারে প্রথমে তাদের আচার-আচরণে ব্যবহারে কখনোই বুঝতে পারবেন না যে তারা এ ধরনের কাজে নিযুক্ত রয়েছে কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যাবে আপনি আপনার জায়গা থেকে তা পরিষ্কার দেখতে পাবেন। এদের মধ্যে কোন অনুশোচনাবোধ জন্মে না এরা হাইনা নেকড়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর যা কিনা সুস্থ মানুষের সুস্থ জীবনের চিন্তা চেতনা বলে বিবেচিত হয় না।

এরা যদি একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে অনুভব করার চেষ্টা করত নিজে কি করছে তা ভাবার চেষ্টা করত জানার চেষ্টা করত বোঝার চেষ্টা করত তবে এরা কখনোই এ ধরনের ভুল কাজ করতে পারত না। অন্যায় করতে পারত না আর করতে পারত না বড় ধরনের প্রতারণা ধোকা জেদ ও ক্ষোভের বশে একজন মানুষের জীবন নাশ হয়ে যেতে পারে শেষ হয়ে যেতে পারে তার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যেতে পারে তার মূল্যবোধ শেষ হয়ে যেতে পারে পারিবারিক সামাজিক জীবন ব্যবস্থা। তবে এই ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার বলতে পারি এরা এই সবকিছুতে দূরদর্শী যদি হয়ে থাকে আর এটাকে তারা যদি এনজয় বলে ধরে নেয় তাহলে এরা রক্তপিপাসু জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট। মানব সমাজে তাদের মানব হিসেবে পরিচয় দিলে অবশ্যই অন্যায় বলে গৃহীত হবে।

অস্তিত্ব ও জীবন

384200_n

• জীবন কি?
• জীবনের পরিভাষা কি?
• আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল বস্তু কি জীবনের
অস্তিত্ব প্রমাণ?
• এই ব্রহ্মাণ্ড কি?
• এই ব্রহ্মাণ্ডের কি জীবন নেই?
• ব্রহ্মাণ্ড কি জীবন নয়?

মানব অস্তিত্বের ৪৬ হাজার বছরের ইতিহাস একদিনে তৈরি হয়নি। এটা রেভ্যুলেশন এর মাধ্যমে অতীত থেকে বর্তমান বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে।

• এখানে আর কি কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে?
• আর কি কোন বিবর্তনের পথ রচিত হচ্ছে?

হয়তো হচ্ছে আমরা তা বুঝতে পারছিনা প্রকৃতিতে যা ঘটে চলছে সেটা নানাভাবে উঠে আসে কিন্তু আমাদের এই বিবর্তনের পথ ধরে আপন অস্তিত্বের জেগে ওঠা এক জটিল সমীকরণ।

এভাবেই প্রত্যেকটি বস্তু কিম্বা প্রত্যেকটি কণার উদ্ভাবিত জীবনীশক্তি মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্যতর জীবনের দিকে।

যা থেকে মানুষ আজ আহরণ করছে এত কিছু
যা থেকে মানুষ ভবিষ্যতের দিকে ছুটে চলছে এক অমর পথের অমোঘ যাত্রায়।

• প্রাচীনকাল থেকে আমাদের বর্তমান সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানবের অজস্র গবেষণায় সম্ভবত মানুষ তার অজান্তে তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সৃষ্টির প্রত্যেকটি বিন্দুকে একে একে যত্নের সহিত জীবন দিয়েছেন। সেই হিসেবে বলা যায় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানুষ তাদের জীবন পরিচালনার জন্য নিজেকে আরও শক্তিশালী আরও দুর্বার দুর্দম ঘোড়ায় সওয়ার করে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে তার শক্তিকে বাড়িয়ে চলছে।

মানুষ আজ আকাশে ওড়ে আকাশপথে বিচরণ করে। চাঁদে যায় মার্চে যায় যায় এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে। তারা এখন নতুন একটি কলোনি তৈরির প্ল্যান করছে। এবং তারা একদিন ঠিকই প্রতিস্থাপন করবে সেই কলোনি তিনি মানবসভ্যতা নতুন করে বেঁচে থাকার স্বাদ গ্রহণ করবে আরেকটি গ্রহে। তাইতো মানুষের জটিল-কঠিন পথকে সহজ করার জন্য তাদের সঞ্চারিত জ্ঞানের মাধ্যমে খুবই নিখুঁতভাবে সাফল্যের সহিত তার যাত্রাপথকে উন্নততর করে চলছে এবং নিত্য নতুন সৃষ্টির দিকে নিজেকে মনোনিবেশ করেছে।

আমরা তা দেখছি আহরণ করছি নিত্যনতুন সৃষ্টি। তাদের সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে যেভাবে তাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানকে অনন্যও উন্নততর করেছেন এক মহাসমুদ্র জ্ঞানের চেয়েও অসীম।

তাইতো আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি
• একটি গাড়িতেও জীবন দিয়েছে!
• একটা ট্রেনের ও জীবন আছে
• একটি ক্যামেরার ও জীবন দিয়েছে
• ইলেকট্রিসিটির ও জীবন রয়েছে
• হাতে রাখা মোবাইলটার ও জীবন রয়েছে
• ব্যবহার করার ল্যাপটপ কম্পিউটার কারো জীবন রয়েছে
• আকাশে উড্ডয়ন রত ওই যানেরও জীবন রয়েছে।

আমাদের এই অন্তর্জগৎ মহা ব্রক্ষ্মাণ্ডের চেয়েও দীর্ঘ তার চেয়েও দূরদর্শী দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন তার চেয়েও বড় তার চেয়েও দ্রুতগামী। ব্রহ্মাণ্ডের এই জগত সংসারে মানুষ অর্জন করেছে এক মহা জ্ঞানশক্তি, বুদ্ধি, বিবেক, চেতনাবোধ যা এক মহা চিন্তার ভান্ডার। এক মহা অসীম জানার ভান্ডার। এই মহাজাগতিক সংসারে মানুষের তৈরি যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তুরই জীবন রয়েছে?

তাহলে জীবন ছাড়া কি রয়েছে! প্রকৃতিতে বয়ে চলা বেড়ে ওঠা যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তু প্রত্যেকটি কণারই জীবন রয়েছে। সম্ভবত আমরা যেখানে জীবনের লক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানে আজো কোনভাবে কোন অবস্থাতেই খুঁজে পাইনি সেখানে আরো গভীরভাবে জীবন তার অস্তিত্ব রেখে যায়। সেখানে আরও জ্ঞান আহরণের ব্যাপার রয়েছে সেখানে আরও চিন্তার ব্যাপার রয়েছে গবেষণার ব্যাপার রয়েছে আর মানুষ এখানে পৌঁছাবে এটা নিশ্চিত।

কেউ কেউ বলতে পারে … সেখানেই হয়তো আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমি যতটুকু বুঝি আমাদের যেখানেই সীমাবদ্ধতা ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জানবার। যা আরো গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মোচন করে। সৃষ্টির পথ উন্মোচিত করে রহস্যের পথ উন্মোচিত করে।

ফ্রড অথবা ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি

এই সংসার জগতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের সুবিধার্থে নিজেদের কার্য সাধিত করার জন্য আপনার বিশ্বাস অর্জন করবে। হতে পারে আপনার অনেক কিছু যা অত্যন্ত গোপনীও হতে পারে আপনি তাকে বললেন। হতে পারে অন্যভাবে সংগ্রহ করলো। আপনার যাবতীয় কথাবার্তা শুনবে আর নিখুঁতভাবে বিশ্বাস অর্জন এসবের পেছনে মূল অবস্থান হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে আপনাকে দুর্বল বানানো। একজন মানুষ বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে অনেক কিছুই আদায় করে নিতে পারে সেটা হোক অর্থনৈতিক অথবা প্রতিদিনের রোজনামচা এই সকল ইনফর্মেশন এর মাধ্যমে তার লক্ষ্যের পথ তৈরি করতে সমর্থ হয়। এই সুযোগটা গ্রহণ করে সে মানুষ তার সবকিছুকে হাতিয়ে নেবে।

আমার দেখা একটি ঘটনা
আরেকটা দিক দিয়ে একটি নারী শর্টকাট ধনী হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে সেটা হল বিয়ের মাধ্যমে, এটা কেমন হবে! বিয়েটা হবে ক্ষণস্থায়ী। সেই মেয়েই ভালো জানে, সে তার কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের জন্য বিয়েটা কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে হতে পারে সেই নারী তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে যতদিন সময় নেবে ঠিক ততদিন এই বিয়েটা কার্যক্রম এবং বলবত থাকবে।

যখন একজন পুরুষের মন এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে সেই পুরুষ তখন তাকে অবশ্যই তার গোপন ইনফর্মেশন ব্যাংকের হিসাব আর সারা জীবনের উপার্জনের স্থাবর-অস্থাবর যা কিছু রয়েছে তার সকল কিছু সেই মেয়েটিকে বলতে বাধ্য হয়। একজন আরেকজনের প্রতি বিশ্বাস এর জন্যই ঘটে থাকে।

এটা বলতে বাধ্য হয় এমন নয় যে সে বলবে না। একজন বিশ্বস্ত মানুষ যখন একজন পুরুষের কাছাকাছি থাকে কাছাকাছি অবস্থান করে তখন সেই পুরুষটা সেই নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। একজন ছেলের অর্থ-সম্পদ ব্যাংক ব্যালেন্স যেখানে যা রয়েছে তার সকল ডাটা ইনফর্মেশন যখন সেই ফ্রড মেয়েটি হাতে পাবে পাওয়ার পর তাঁর স্থাবর অস্থাবর যা কিছু রয়েছে তার মধ্য থেকে যে পরিমাণ হাতিয়ে নেয়ার প্রয়োজন সেই পরিমাণ সে নিয়ে নেয়।

এবং যখন বুঝতে পারে এই মুহূর্তে এখানে অবস্থান করা রিস্কি হয়ে যায় তখন সেই মেয়েটিই নানা মিথ্যাচার নানান অজুহাত দেখিয়ে তার অবস্থান জানিয়ে দেয় এবং খারাপ ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে বিগড়ে দেয় একটা পর্যায়ে তর্ক বিতর্ক মনোমালিন্য ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয় তখন দু’জন দুজনের প্রতি খারাপ ব্যবহার শুরু করে আশেপাশে জানাজানি হয়।

কেউ কেউ নিজের আত্মসম্মান কিংবা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনা এই ফ্রডরা সেখানেও সুযোগ গ্রহণ করে এবংএখান থেকেও যদি তার কোনো চাহিদা থাকে সেটা সে পূরণ করে। পুরুষটি তার চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য হয়।আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলছে।

আমাদের সমাজে এই সমস্ত নারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তারা ধন-সম্পদ অনেক কিছু হাতিয়ে নেয়ার পরেও নানা ধরনের হুমকি ধামকির মাধ্যমে টাকা চেয়ে বসে। যদি দিতে অপারগ হন যদি দিতে অস্বীকার করেন তাহলে নানা ভয়-ভীতি দেখাবে। এদের বিরুদ্ধে যদি কোন এভিডেন্স যদি তাহলে অবশ্যই আপনি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সেটা ন্যায়ের পথে।

এসমস্ত নারীরা কখনোই সংসারী হতে পারেনা। সংসারী নয়। এরা জাস্ট বিয়েকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। এটা তাদের দারুন একটি বিজনেসঅ বলা যায়। এরা একটা পুরুষ ছেড়ে আর একটা নতুন কোচের সন্ধানে ডাটা কালেক্ট করবে ইনকামের সোর্স তৈরি করার জন্য। এই সমস্ত নারীর সাথে তার পরিবারও কখনো কখনো জড়িয়ে পড়ে কিংবা পরিবারের অবাধ্য নারীরাও এ ধরনের কাজে লিপ্ত হতে পারে যা পিতামাতার জন্য লজ্জাস্কর ব্যাপার।

তারা যখন এ ধরনের অপরাধ করে তখন বুঝতে হবে তার কোন পরিবার নেই। তার কোন সমাজ নেই তার কোন গার্ডিয়ান নেই তার কোন ভাল জগত নেই। এবার সর্বদা অন্যায়ের পথে বিচরণ করে। কিন্তু কোনভাবেই দেখে বোঝার উপায় নেই। তারা হয়তো আপনার চারপাশে ঘোরাঘুরি করে চলাচল করে বসবাস করে। সমস্ত জায়গায় অবস্থান করে সেখানকার মানুষজন কখনোই বুঝতে পারে না তার পরেঅ এই সমস্ত নারীর ভেতরে এই ধরনের জঘন্যতম চরিত্র লুকিয়ে আছে। তাদের কন্ঠ অত্যন্ত সুন্দর মার্জিত ভদ্র নম্র মিষ্টভাষী কখনোই কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে না।কিন্তু প্রয়োজন মোতাবেক সে তার রুপ দেখিয়ে দেবে।

কিন্তু যখন দেখবে তার স্বার্থে আঘাত লাগছে বুঝবেন তখন সে আপনাকে কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। এই নারীদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর তার হাজবেন্ডের জায়গা থেকে সরে যেতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত সরে যাবে। আর আপনি যখন বুঝতে পারেন মেয়েটি আপনার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে তখন আর কিছুই করার থাকেনা।

কোন কোন ক্ষেত্রে যদি আপনার জীবনে এমন কিছু ঘটনা তৈরি হয় তাহলে আপনি তার সম্পর্কে ডাটা কালেক্ট করবেন ইভেন এ নিয়ে যদি নুন্যতম অন্তরে সন্দেহ পোষণ করেন তাকে চোখে চোখে রাখুন নজরে রাখুন সে কি করে কোথায় যায় কার সাথে কথা বলে কার সঙ্গে দেখা করে এ টু জেড ফলো করবেন।

এই নারীদের স্বভাব কোন ভাবে বোধগম্য নয়। আপনার কাছ থেকে সে যতই অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নিক না কেন আপনাকে ব্ল্যাকমেইলিং করার জন্য বারবার টাকা চাইবে তারা ভাবে যদি আপনি বারবার তাও জালে আটকা পড়েন তাহলে আপনার সর্বস্ব হারাবেন এটা নিশ্চিত।

জীবনে এমন কিছু হলে ঘাবড়ে যাবেন না। ভয় পাবেন না খুব দ্রুততার সহিত তাদের বিরুদ্ধে একশন নিন কিন্তু সে আগেই যেন বুঝতে না পারে বা আপনি তাকে সন্দেহ করছেন সেটা কোনভাবেই যেন অনুভব করতে না। পারে তাতে সে এলাট হয়ে যাবে এবং আপনার কোন ক্ষতি করে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি হতে পারে যদিও অর্থনৈতিকভাবে আপনি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

তারা আপনার সকল ধরনের ডকুমেন্ট নষ্ট করার পরিকল্পনা করেই মাঠে নামে তাই বলব আপনার হাতের স্মার্ট ফোনটি কখনই সেই সমস্ত বিশ্বস্ত নারীদেরকে হাতে তুলে দেবেন না। আপনার বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে আপনার সকল ধরনের ইনফরমেশন তার জায়গায় স্থানান্তর করবে যা আপনি কোনোভাবেই ঘৃণাক্ষরেও বুঝতে পাবেন না।

তবে যেকোন অপরাধী অপরাধ করে কোনদিনও সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারে না। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ রয়েছে ক্রাইম নেভার ফেঁস ক্রাইম করে কেউ ঘরে যেতে পারেনা। ক্রাইম করে কেউ যদি ভাবে পার পেয়ে যাবে তাহলে তার ধারণা ভুল। ওরা যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন তার সিন রেখে যায় তার প্রাতঃকর্ম ধরা পড়ার জন্য একটি তথ্য ই যথেষ্ট ওই একটি মোটিভ অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু অপরাধ যত বড় যত ছোটই হোক না কেন তার ক্লু অপরাধীরা রেখে যায় পারফেক্ট ক্রাইম কখনোই সম্ভব নয়। কিংবা প্রাইম করার পরে অপরাধী তার জায়গা থেকে যখন নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায় তার পরেও সেই ভয়-ভীতির মাধ্যমেও অনেক ডেটা ছেড়ে যায় এমন কিছু ডকুমেন্ট ছেড়ে যায় যে সব অপরাধী তার পাতানো জালে নিজেরাই আটকে যায়।

এমনই একজন মানুষ আমি সনাক্ত করতে পেরেছি যে তার মায়াজালে আবদ্ধ করে কোন একজন মানুষের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে এবং তার সঙ্গে ফ্রড করেছে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছে ঘর থেকে গহনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে ইভেন ঘর থেকে টাকা বের করে নিয়ে সে গায়েব হয়ে যায়।

আমাদের এই সমাজে কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে বিয়ে একটা বিজনেস। পুরুষের বিশ্বস্থতা অর্জন করবে কাবিননামা বেশ মোটা অংকের ধরবে অবশেষে যে কোন ঝামেলা পাকিয়ে সংসার ত্যাগ করবে তারপর উকিল নোটিশ পাঠাবে ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার জন্য।

তা নয়তো ছেলেকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করবে এবং মোহরানার মোটা অংকের টাকা টি আদায়ের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করবে অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে মুখ খুলবেনা এবং চুপচাপ সেই চাহিদা পূরণ করে দেবে এবং অপর প্রান্ত থেকে সেই মেয়েটি তার অবস্থান থেকে তার চাওয়াটা তার আগ্রহ তার এই গল্পটা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রাপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে।

এ সমস্ত নারীরা কিম্বা তার পরিবারের প্রতি অতিভক্তির মাধ্যমে চরম ভাবে বিশ্বাস অর্জন করে এমনকি সুন্দর সুসম্পর্ক তৈরি করে যে সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারের সকলের মন জয় করে।

আর এই সুন্দর সুসম্পর্ক বজায় রাখার অবস্থা পর্যন্ত উপরন্ত এসময়ের মধ্যে আরও বাড়তি যা কিছু রয়েছে সেটা হাতিয়ে নেবে কিছু কিছু নারীদের জন্য এই শর্টকাট ধনী হওয়ার পথ যখন খুব দ্রুত কেমন ধরনের ধনী হওয়ার পথ অবলম্বন করে তখন অনেক সাধারন মানুষ সহজ-সরল মানুষ এই ফাঁদে পা দেয় যা অত্যন্ত বিপদজনক ও আইন গর্হিত কাজ।

একজন সাধারন মানুষ নিঃস্ব হতে পারে যা অপর প্রান্তের পেশাজীবী চতুর ধূর্ত ক্রিমিনাল তার কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তার অবস্থান আরো শক্তিশালী করে নেন।

এই ক্রিমিনালদেরকে আপনি যদি খোলা মাঠে ছেড়ে দেন তাহলে আরও সাধারন মানুষের ক্ষতি করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে যদি আপনি এই ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তাহলে সমাজের অনেক মানুষ সচেতন হতে পারবে। তাদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা পোষণ করতে পারবে জানতে পারবে বুঝতে পারবে অনুধাবন করতে পারবে ও তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

এমনকি পারিবারিক সামাজিক অবস্থান অক্ষুন্ন রেখে তার সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে পারবে কারন আত্মসম্মানের ভয় সবার রয়েছে তবে যারা ক্রিমিনাল যারা ফ্রড যারা এই ধরনের ক্রাইম এর সঙ্গে সর্বদা জড়িত তাদের কোন দেশ নেই সমাজ নেই রাস্ট্র নেই পরিবার নেই।

এদের আইনের অন্ধকার কুঠুরিতে বন্ধ রাখাই শ্রেয়। একটা কথা মনে রাখবেন নারী অধিকার আইন নারী নির্যাতনের আইন কার্যকরী অবস্থানে প্রয়োগ করা যায় তবে অবশ্যই সেটা সঠিক আবার এই আইন যদি একজন পুরুষকে ফাঁসানোর কাজে ব্যবহার করা হয় আর তা যদি প্রমাণিত হয় তবে এর শাস্তির বিধান সম্পর্কে হয়তো তাদের ধারণা নেই।

নারীরা বরাবরই নারী অধিকার আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল। তারা নারী অধিকার আইনের গলদ ফায়দা উঠিয়ে একজন মানুষকে অসহায়ও করে নিঃস্ব করে ধ্বংস করে।

তবে এমন একটা সময় আসবে যখন পুরুষ অধিকার আইন ও বাস্তবায়ন হবে পুরুষ নির্যাতন আইন যখন বাস্তবায়ন হবে তখন নারীর অধিকার আইনের ও কিছু সীমালংঘন দিক রয়েছে যেটা বন্ধ হবে আর পুরুষ অধিকার আইনের যদি কোন খারাপ দিক থাকে সেটাও ধরা পড়বে। তবে আমরা যত কথাই বলি না কেন অপরাধ করে কেউ ঘরে যেতে পারেনা অপরাধী তার অবস্থান মাফিক যথেষ্ট শাস্তি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বলবো সর্বদা সচেতন থাকুন নিরাপদ থাকুন স্বচ্ছ সুন্দর ও সঠিক পথ অবলম্বন করুন তবেই জীবন সুন্দর ও সুখময়।

অসম স্মৃতি

25073

আমাদের জীবন কোথায় গিয়ে থামবে
আমরা কি জানি না তা?
আমাদের জীবন থেমে যায় আমাদের কর্মের উপর
আমাদের কর্ম আমাদের জীবনের
ওপর নির্ভর করে বয়ে যায় সামনের দিকে।

পুরাকালে যখন তোমায় প্রথম দেখেছি
সেখানে কোনো প্রেম ছিল না
প্রেম হৃদয় থেকে নির্গত কিছু অদৃশ্য
আকারের মাধ্যমে হৃদয়ে কাঁপন ধরায়।

তোমাকে কোনদিন প্রেমের কোন শব্দ বলা হয়নি
কিংবা কোনো চিঠি লেখা হয়নি
আমি এখন রাতের আকাশের চাঁদ থেকে
রূপালী আলোর সুগন্ধি নিয়ে
সোনালী কলমের কালি ফুরিয়ে অন্তরে ভাসমান কিছু শব্দ সাজাই

এখানে কোন মিল্কিওয়ে নেই,গ্যালাক্সি নেই
ছায়াপথ নেই, নেই কোনো তারকা কুঞ্জ
পৃথিবীর সোনা ঝরা সোনালী আকাশ
দিনের আলোয় ভাবনায় ভাসিয়ে দেয় নিজেকে;
মুক্তির অসম বার্তাবাহক
অন্তরে কুহু ডাকে বলে যায় কিছু
তোমাকে হারাবার ভয়ে বারবার হারিয়েছি তোমায়…
তোমাকে বেঁধে রাখার আকুতিতে
বারবার নিজেকে বেঁধেছি অনন্ত চাদরে।

তবুও তুমি;
তবুও তুমি চলে গেছো ভালোবাসার গন্ধম ভেঙ্গে
তবুও তুমি হৃদয়ের মসনদে জাজ্বল্যমান
কষ্টের বুনোপাখি পৃথিবীর মেঘ চিড়ে ছুটে চলা অজানা পথ।
কষ্টের আকুলতা বুঝবার সে মায়া নেই তোমার;
তবুও যন্ত্রণার কুপে বারবার নিজেকে ডুবিয়ে
পাড়ি দিয়েছে এক অন্ধকার যুগ; বোঝাতে পারিনি।

তবুও মানুষ সবকিছু হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়
নতুন করে নোঙ্গর ফেলে কোন এক ঘাটে
জাহাজ ডুবে যাওয়ার ভয়ে যাত্রাভঙ্গ দিয়েছে কি মানুষ?
কভুও কখনও কি ওঠেনি জাহাজে?

যে পাখি
চুনি পান্না হীরার প্রলোভীত মহে মোহিত হয়ে
উচ্চভিলাষী আকাঙ্ক্ষায় হাত বাড়ায়
সেও থেমে যাবে একদিন। কোন এক উচ্চবিলাসী তীরন্দাজের (শিকারির) হাতে তাক করা তীর বিদ্ধ হয়ে।

আকাশের তারকাপুঞ্জ ও খসে পরে
কোন এক শক্তির আঘাতে
তবে তোমরা কি তা নিয়ে বিচলিত নও
সবুজে ঘেরা সুউচ্চ সূচালো পাহাড় মেঘের ধাক্কায় বজ্র নামে জমিনে।

আমরা স্থির দাঁড়িয়ে দেখি
অস্তিত্বের কলরব কোথায় গিয়ে থেমে যায়
তবুও তা উপলব্ধি করি না।
কিন্তু ভালোবাসা থেমে যায়
ভুল বোঝাবুঝি ঘৃণা কিংবা তৃতীয় প্রলোভিত
বহতা নদীর জলে ভাসিয়ে।

আমাদের আবারও দেখা হবে
গোলাকার পৃথিবীর এই মেটোপথ ধরে
আমাদের আবারও দেখা হবে
চলমান এই জনযাত্রায়। পরিচিত হওয়া,
পরিচিত ছিলাম, এই মুচকি হাসিতে
কিম্বা কষ্টের বুনো যাত্রায় আমাদের অতীত
চলে যাবে দূর আকাশে।

এখানে আমাদের বর্তমান বলে কিছু থাকবে না
হয়তো কোনো স্মৃতির পাতা থেকে
নিজেদের কষ্টের বুনোহাঁস ভেসে উঠবে
অনন্ত আকুলতায়। যেখানে আমরা
নিজেদের ভুল গুলো পরিমাপ করে
বুঝে নিতে পারি, বুঝে নিতে পারব।
যন্ত্রণায় বিদ্ধ কষ্টের করাঘাত ভেঙে দিয়ে মন।

পুরাকালে আমরা মিলিত হয়েছিলাম
কোন এক সুন্দর সুসময়ে।
তোমার এখন ভেঙ্গে ফেলা বেরি
মুক্ত ডানার মতো দুই দুইটি পাখম
যেখানে খুশি যেতে পারো।
এখানে চলাচলের কোন পাসপোর্ট নেই
আচমকা বুকে কোন বিরহ নেই
বেদনা নেই যন্ত্রণা ক্ষত নেই,

কারণ তোমার মনটাই নেই হয়তো অতীতেও ছিলনা।
কালো পর্দার আড়ালে যে চোখ আছে
মুখ আছে শরীর বেঁধে রাখা ঢেকে রাখা
এক ঝটকায় খুলে ফেলো অন্তরের চোখ
কৃষি অপরাধ কি সেই ভুল কি ছিল সেই প্রলুব্ধ তা
যার জন্য মোহিত হয়ে ভেঙ্গে ফেলো জীবনের সেই পরিনাম।

অর্থের প্রলুব্ধ মহে আমি নিজেকে কোনদিন ছোট করিনি।
তবে কি এটাই সেই জীবন?
জীবনের কি আর কোন কিছু বাকি রয়েছে?
জীবন থেমে যাওয়া এক বৃক্ষের মত
যখন অস্তিত্বের কলরব থেমে যায় তখন নিরপেক্ষ সমান মানুষ।

মনে রেখেছ কি সেই অতীতের গল্পকথা
একেকটি মেসেজ, নিজেকের সাজানো
জীবনের অপেক্ষামান এক একটি স্মৃতি
একেকটি অপেক্ষা যা কষ্টের দাবানলে পুড়ে
নিজেকে প্রসিদ্ধ করে শূন্যতায় ফিরে যায় সবকিছু।

তবুও হাজারো চেষ্টায় ভুলতে চাইলেও
কখনো ভুলতে পারিনি, ভুলতে পারবো না।
সময় চলে যায় তার অদৃশ্য গতিতে
দিন চলে যায়, মাস চলে যায়
নিয়ম করে বছরের পর বছর চলে যায়
স্মৃতি রয়ে যায় অন্তরের অবোধ্য কুঠিরে
যেখানে তুমি আছো থাকবে মন ভাঙ্গার মসনদে যেখানে বসে আছ তুমি।

উৎপত্তির পর মৃত্যু নিশ্চিত জীবন

2482110 ১। জীবন
আমরা জানি জীবন একটি অবস্থা। যেটি একটি অর্গানিজমকে জড় পদার্থ (মানে প্রাণহীন) থেকে ও মৃত অবস্থা থেকে পৃথক করে। যখন জীবসত্তার অবস্থান স্থান কাল পাত্র ভেদে শূন্য থেকে কোন কিছুর দৃশ্যমান অবস্থানের মাধ্যমে পরিণত হয় কিংবা যখন তা নির্মীয়মান হয়, সেটি যেকোনো ধরনের হোক না কেন খাদ্য গ্রহণ বিপাক বংশবিস্তার পরিচালনা ও আরো ইত্যাদি বিষয়াদির মাধ্যমকে তাঁর নীতিতে পরিণত করে তখনই নতুন একটি অস্তিত্বের গঠন ক্রিয়ার অবস্থান সূচিত হয়।

অথবা টিকে থাকার জন্য যখন উপস্থিত শক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান ও অবকাঠামোগত অবস্থার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে তখন তার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। যাকে আমরা জীবসত্তা বা জীবনসত্তা বলে চিহ্নিত করে থাকি এসব কিছুই জীবের উপস্থিতিতে নির্দেশ করে। আর এর প্রকৃত মৌল হচ্ছে প্রোটোপ্লাজম। আমরা অনেকেই জানি জীবন বা প্রাণ বিষয়ক শিক্ষা জীববিজ্ঞানে আলোচিত একটি বিষয় যাকে আমরা প্রোটোপ্লাজম বলে চিহ্নিত করে থাকি এই প্রোটোপ্লাজমের ক্রিয়া-কলাপকেই জীবন বলা হয়।

প্রকৃতি, এ এক অপার বিস্ময়কর অবস্থা। প্রকৃতি মহাবিশ্বের এক অনন্য সৃষ্টি। এই সৃষ্টির মাধ্যমে জীবের উৎপত্তি সূচিত হয়েছে। প্রকৃতিতে এমন কিছু মৌল উপাদান রয়েছে যার দ্বারা জীবের আবির্ভাব ঘটে। সেখান থেকেই প্রাণের উৎপত্তি শুরু হয়। সৃষ্টির মাধ্যমে যেহেতু প্রাণের শুরু হয়েছে মৃত্যুর মাধ্যমে ঠিক তার শেষ হয়। এটি শুধু জীবন নয়। প্রকৃতিতে যা রয়েছে যা কিছু রয়েছে এই মহা ব্রহ্মান্ডে যা কিছু রয়েছে। এর বিনাশ হচ্ছে এবং বিনাশ থেকেই নতুন করে তার নতুন একটি অবস্থা শুরু হচ্ছে।

এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বিষয়গুলোকেই জীবসত্তা বলে। যা জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন ভৌত সত্তাগুলোকে আলাদা করে চিহ্নিত করে। কোষীয় সংকেত সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকার একটি দারুন প্রক্রিয়া যা দারুণভাবে ভাববার বা উপলব্ধির বিষয়। যেসব বস্তু গুলোতে এই সকল গুণাবলী নেই হয়তো সেই সকল বস্তুর ভেতর থেকে জীবন শক্তির আবহমান কালের পথ ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে নয়তো তাদের ভেতরে সেই গুণগত মান গুলো কোনদিনও ছিল না।

২। জন্ম
জন্মের মাধ্যমে যেহেতু জীবনের উৎপত্তি হয় তেমনি এই উৎপত্তির পর মৃত্যু নিশ্চিত। এ নিয়ে আমার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। পৃথিবীতে সবাই যেমন আসতে পারে ঠিক একই রকমভাবে তারা সবাই প্রত্যাগমন হয় তার ভিতরে আমিও বাদ যাবো না। পৃথিবীর কোন কিছুই অবিনশ্বর নয়; মুখের হাসি, চোখের অশ্রু, সময়ের দীর্ঘ মায়াজাল থেকে ছিন্ন হয়ে কোন একটা স্থানে গিয়ে বাষ্প হবে। পাহাড় সমুদ্র বন জঙ্গল মন্থন গতিতে ছুটে যাবে
অতি সূক্ষ্ম ভাবে তারা তাদের শক্তি হারাবে। আমাদের নীরবতা আমাদের চিৎকার এই মহা শূন্যতা ভেদ করে আর কোথাও পৌঁছবে না।

সৃষ্টির শুরু অথবা সূচনা লগ্ন থেকে নিয়তির এই অন্ধকার দঙ্গল থেকে আমরা কখনই বের হতে পারিনি, পারব না। কোন একটা শক্তির মাধ্যমে মুক্ত আকাশ বালুর কনায় ছেয়ে যাবে। মেঘের বজ্র দ্রুভিভূত অন্ধকার মেঘের আকার ধারণ করে নিশ্চিহ্ন করবে এই পরিপূর্ণ ভাসমান পৃথিবী। এখানে আর থাকবেনা অস্তিত্বের খন্ডন, এখানে আর থাকবেনা জীবের আনাগোনা মুক্তি অবমুক্তি এসব খেয়ালে পরিণত হবে। এখানে জানার জন্য আর কেউ থাকবে না। বোঝার জন্য আর কেউ থাকবে না, মানার জন্য আর কেউ থাকবে না, ভাববার জন্য আর কেউ থাকবে না।

এখানে কোন শুদ্ধতা অশুদ্ধতা পরিশুদ্ধ অপরিশোধ্য পরিচিত অপরিচিত দহন উৎপীড়ন নিপীড়ন বেহিসেবি জীবনের এই খন্ডন কোন কাজে আসবে না। নিশ্চিহ্ন হবে সব, চিহ্নহীন অন্ধকার প্রকারান্তে ছেয়ে যাবে পৃথিবীর এই প্রানন্তর আরেকটি পথের পাথেয় হয়ে জমাট বাঁধবে আরেকটি শক্তির মহড়ায়। মুক্তির ফোয়ারায় নিজেকে উজ্জ্বল করে যখন কোন মানুষ মানবজাতির অস্তিত্বের খণ্ডন করবে সেই ক্রমবর্ধমান সময় সে ক্রমবর্ধমান স্থান সেকাল সে পাত্র ভেদে তখনই পূর্ণমান তখনই প্রয়োজন; তুমি যখন এসেছ কিংবা যখন তুমি ছিলে যখন তুমি থাকবে যখন তুমি চলাচল করবে মায়ার সেই অখন্ডতা খন্ডন করে মানুষ যে সত্য প্রবচন উপলব্ধি করতে পারে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তা সময়ের অস্তিত্ব বিদ্যমান।

শূন্যে ভাসমান এই পৃথিবী কয়েক শ আলোকবর্ষ কিংবা কয়েক মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন দূরে থেকে যেমন বালুকণার মতোই উপলব্ধ হয়। যখনই সপ্ত স্তরের কোন কিছুই অবলোকন হয় না কোন কিছুই থাকেনা কোন কিছুই বোঝার উপায় নেই তখন ইহকাল ও পরকালের অভাব মানুষকে অন্য চেতনার আলোকে বিচ্ছিন্ন করবে। মৃত্যু নিয়ে আমার তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। মৃত্যুকে ভয় পাওয়া মানেই শত্রুকে ভয় পাওয়ার মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার। মৃত্যুর জন্য আয়োজন হতে পারে মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে সদা প্রস্তুত থাকা। কোন ঋণ রেখে যাওয়া নয়। আপনি যদি কারো উপর অন্যায় করেন জুলুম করেন অত্যাচার করেন। ফ্রম সেটা আপনার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। প্রকৃতির শাস্তির বিধান অত্যন্ত সূক্ষ্ম।

আজ যা আপনি নিজে রেখে যাচ্ছেন অন্যায় উপার্জনের মাধ্যমে অসাধুপায় ও উপার্জনের মাধ্যমে আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ও শাস্তির সম্মুখীন করবেন। আপনি বেঁচে যাওয়া মানে আপনার অপরাধ ক্ষমা হয়ে গিয়েছে আপনার অন্যায় সবাই ভুলে গিয়েছে সেটা ভাবা আপাদমস্তক ভুল। আপনার অস্তিত্বের অহংকার আপনাকে যখন শেষ করে দেবে তখন আপনার জন্য আর কোন কিছু অবশিষ্ট থাকে না।ফ্রিজের ভিতরে যত উপার্জন হবে তার জন্য আপনাকে ততটাই নমনীয় হতে হবে। অস্তিত্বশীল মানব জীবনের এটাই সবচাইতে বড় সৌন্দর্য। কেউ কোনো অন্যায় কেউ কোনো অপরাধ কেউ কোনো অপকর্ম করে জগজ্জীবন প্রতীক্ষা আনন্দ করতে পারবে এই ধারণার তা নিতান্তই প্রকৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

৩। মৃত্যু
তাই বলবো, ভয় করো না।
মৃত্যুকে ভয় না করে মৃত্যুর জন্য তৈরি হও।
প্রিয় মহোদয়, মৃত্যু আসবে বিষয়টি নিশ্চিত।

অনিবার্য সত্য হলো
মৃত্যু কাউকে ছাড়বে না।
আপনি সাময়িক সুন্দর পদক্ষেপের মাধ্যমে
মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পারেন।

কিন্তু মৃত্যু আপনার সামনে এবং পেছনেl
কিম্বা চতুর্দিক থেকেই প্রস্তুত।
একটা সময়, একটি স্থান, একটি কাল
প্রকৃতির এই অপার মহিমার মধ্যেই মৃত্যু অপেক্ষামান।

চেষ্টা করো কোন কিছুতে আশাহীন হইওনা
বুদ্ধিমত্তা, তোমার বিবেক, তোমার শক্তি ও সাহসের
মাধ্যমেই তোমার পরিচ্ছন্ন পথ সূচিত হবে।

কেউ কারো ক্ষতি করতে পারে না।
যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো একজন মানুষ
আরেকজন মানুষকে সুযোগ দেবে।
সহজে কেউ কারো কাছাকাছি আসতে পারে না।
যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষ
আরেকজন মানুষকে কাছে না ডাকবে।

কেউ যদি তোমার সাথে রূঢ় আচরণ করে
প্রথমে তাকে ছেড়ে দাও, তার হাতেই ছেড়ে দাও
অপেক্ষা করো সে পরিবর্তন হয় কিনা…

প্রত্যেকটি মানুষকে সুযোগ দেয়া উচিত;
এই সুযোগটা তার অধিকার
তার কর্ম অনুধাবনের জন্য
এ সুযোগটি পেতেই পারে।
এটি একজন বিবেক এবং বুদ্ধিমান
মানুষের দ্বারা যৌক্তিক আচরণ বলেই পরিগণিত হয়।

দেখো, সে বারবার আঘাত করে কিনা।
দেখো সে বারবার তোমার হৃদয়ে
ক্ষত সৃষ্টি করছে কিনা।
আমাদের প্রানান্তর ছুটে চলা পৃথিবী
কাউকে ফেলে দেয় না।
খুনি, জালিম, বর্বর অপরাধীরাও তার কাছে আশ্রয়প্রার্থী

অতএব যে কোন বিচার,
প্রকৃতির মুখোমুখি হয়ে উপভোগ করতেই হবে।
জীবন থেকে কখনো আস্থা হারানোর উচিত না…

একটি জীবন তৈরি হয়েছে
আরেকটি জীবনের জন্য
এটি আমরা আমাদের আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে
আত্মচেতনার মাধ্যমে আত্ম ভাবনার মাধ্যমে
অনুধাবন করে নিয়েছি।

তোমার মাঝে মৃত্যুর আত্ম ফলন ঘটবেই।
এটি অস্বীকার করার কোন ইচ্ছেও নেই
তবুও যদি কেউ অহংকারী হয় তার পতন নিশ্চিত।

জগতের কোন কিছুই অবিনশ্বর নয়।
নশ্বরের এই কোলাহলে সবাই মুক্ত, সবাই স্বাধীন।
তবে সেই সত্য কর্মের মাধ্যমে হতে হয়, হতে হবে।
অন্যায়-অপরাধ অবিচারের স্বাধীনতা
কেউ কাউকে দেয়নি দিতে পারেনা।

তাহলে সেই সম্পর্কে
তোমাকে সচেতন থাকতেই হবে।
এবং তোমাকে সৎকর্ম দাঁড়া
তোমার জীবনকে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে
ভাবিত করো ও ধাবিত করো।

এটাই তোমার কর্ম, এটাই তোমার নিয়তি।
শুধু এটুকু মনে রেখো
আমাদের এই শুদ্ধ ও সুন্দর সময়
জীবন এক জায়গায় গতিমান অন্য স্থানে স্থির;