শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

কোন কিছু হাসিলে মানুষ শতভাগ সুবিধাবাদী

311s সময়ের বোঝাপড়া যখন অসময়ে তখন তা নিরানন্দের সাথে অমসৃণ স্মৃতি শেষ পর্যন্ত যা দুঃখ ও চোখের জল ছাড়া কিছু নয়, দিতে পারেনা।

তুমি যাদেরকে ভালো জানো, ভালো মানো, বিশ্বস্ত অনুচর অথবা সহচর মনে কর তোমার সেই সকল ম্যাক্সিমাম শুভাকাঙ্ক্ষী তোমাকে প্রেমের প্রলুব্ধ চালে আটকে তোমার ভবিষ্যতের চিন্তাশক্তিকে বাঁধা প্রদান করবে।

আসলে তারা কেহই তোমার, ভালো বন্ধু নয়, শুভাকাঙ্ক্ষী নয়, শুভানুধ্যায়ী নয়, এমনকি কোনভাবেই তারা তোমার শুভ প্রত্যাশী নয় তারা একেকজন যার যার জায়গা থেকে নিজেদের প্রয়োজনেই তোমাকে ভাবছে, তাঁদের প্রয়োজনেই তোমাকে ঝালিয়ে নিচ্ছে।

এদিকে যখন তুমি তাদের শতভাগ বিশ্বাস করবে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য নতুন করে চাল তৈরি করবে যখন তুমি তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে ফেঁসে যাবে। তখন তুমি তাদের ব্যবহারের সামগ্রী হিসেবে গণ্য হবে। মনে রাখবে সবাই ভালবাসতে পারেনা সবাই ভালবাসার যোগ্য নয়। ভালোবাসায় অযোগ্যদের উৎপাত অত্যন্ত বেশি হয় প্রলুব্ধ হয় নজর করা হয়। আসলে তারা তাদের বিশেষ প্রয়োজনে তোমার অবস্থান দুর্বল করার জন্য কাজ করছে।

তারা সবাই তোমার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। যখন তুমি সেই সুযোগটি শতভাগ দেবে ঠিক সেদিন থেকে বুঝতে পারবে তাদের কোন ভুলের পথে এতদিন সঙ্গ দিয়েছো। অথবা তোমার সক্ষমতাকে নষ্ট করতে চায় তোমার সক্ষমতাকে দুর্বল করে অক্ষম বলে ঘোষণা করতে চায়।

এদিকে যে তোমার পাশে থেকে তোমার স্পৃহা শক্তি ও সামর্থ্যকে সমর্থন করে, উৎসাহ দেয়, উৎসাহ প্রদান করে, তাকে যত শত্রুই ভাবনা কেন, সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু, সেই তোমার প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রকৃতজন। আসলে স্বার্থের দুনিয়াতে, তাদের অনেক কিছুই হারাতে হয় আসলে তারা তোমাকে ভালোবাসলেও তাদের দুর্বল অবস্থানের কারণে তুমি কখনোই তাদের প্রতি ফিরে তাকাবে না।

মানুষ তার নিজের জায়গায় কোন কিছু হাসিলের ক্ষেত্রে শতভাগ সুবিধাবাদী। তবে তারাই এসব গ্রহণ করেনা যাঁরা সারাজীবন শুধু দিয়েই যায় কিন্তু কারও কাছে কিছু পাবার প্রত্যাশী নয়। এই মানুষেরা শুধু হেরেই যায় কিন্তু তোমরা জানবে কী হেরে যাওয়ার মাঝেও আনন্দ থাকে সুখ থাকে ভালো লাগা থাকে থাকে ভালোবাসা এমনকি জয়ী হওয়া!

অতীত যত সব কিছুতে গল্প হয়ে ভাসে

বিস্তীর্ণ মাঠ হৃদয় মাঝে/ দূর হতে যে নুপুর ধ্বনি শুনি
দেয়াল গাঁথা শব্দগুলো প্রতিধ্বনি হয়/অপেক্ষাতে তোমার প্রহরগুনি।

বুঝতে পারি এসব আবেগ/তোমার বিবেকে নয়
ভালোবাসায় দিতে পারো বাঁধা/করতে পারো তুমি যে নয় ছয়।

তবুও মন মানে না কোন বাঁধা/মিথ্যা জ্বালাও তোমার প্রেমের আলো।
অতীত যত সব কিছুতে গল্প হয়ে ভাসে/একটু না হয় বাসতে পারো ভালো।

বোধন

311 ১.
দুনিয়াটা হলো দুঃস্বপ্নের কারাগার এ দুঃস্বপ্নের কারাগার থেকে আপনি যা কিছুই মনে প্রাণে চান না কেন তা ছিনিয়ে আনতে হয়।

২.
অতঃপর, দুনিয়াটা হলো প্রতিযোগিতার মঞ্চ; যে যত সামনে থাকতে পারে সে ততো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আপনি ভালো পোষাক পড়ে আছেন আপনি ভালো চেয়ারে বসে আছেন কিংবা আপনি যেভাবেই থাকুন না কেন মঞ্চের সামনে আপনি যতটা ভালো পারফরম্যান্স ততটাই বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।

৩.
সম্ভাবনা।
যে যত বেশি আলোচিত মানুষ সে ততো বেশি সমালোচিত হয়।

৪.
আলোচিত মানুষদের লাইফস্টাইল ঈশ্বর সমকক্ষ করবেন না তাদেরকে মানুষের কাতারে থাকতে দিন মনে রাখবেন তারা রক্তে মাংসে গড়া মানুষ; তারাও ভুল করে, তাদেরও ভুল হয়¡ তবে তাদের ভুলগুলো যেন সবচেয়ে বেশি আলোড়িত, আলোচিত সমালোচিত সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষক আর এর সবকিছু হয় সে একজন আলোচিত মানুষ বলে। আলোচিত মানুষরা ভুল করলেও সেই সমালোচিত ভুলগুলো মানুষের মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমার মনে হয় আলোচিত মানুষদের মানুষই মনে করা হয় না তাদেরকে ঈশ্বরের জায়গায় স্থান দেওয়া হয়। আর ঈশ্বর তুল্য কিছুই নেই জগতে এই বিষয়টা তাদের মস্তিষ্কে এখন পর্যন্ত গ্রথিত হয়নি বলেই এমন চিন্তা উজ্জীবিত থাকে মানব মস্তিষ্কে।

৫.
নির্বোধের মনই ঈশ্বর; বিবেক অপেক্ষা অবিবেচনাবোধ হলো বিশ্বাস। তার মধ্যে যত অজানা সেগুলোই ঈশ্বরকে খোঁজার বাঁধা প্রদানকারী।।

প্রেম সৌন্দর্যহীন যে কারণে প্রেম সৌন্দর্যের প্রতি পিপাসিত

index প্রেম সৌন্দর্যের কামনা করলে বোঝা যায় যে প্রেম সৌন্দর্যহীন যে কারণে প্রেম সৌন্দর্যের প্রতি পিপাসিত।

“সক্রেটিস বলেছেন প্রেম দেবতা নয় মানুষও নয়” আমার কাছে প্রেমকে এমন কিছু মনে হয় যা অন্তরের স্বর্গ সত্তাকে দারুণভাবে প্রভাবিত ও আবেগ তাড়িত করে। যার দ্বারা একটি অমর প্রেমের উপাখ্যান তৈরি হয়। এই দেবতা স্বর্গে নয় মর্তের লৌকেই মানব রূপে বিরাজমান ও প্রতিষ্ঠিত। যে দেবতাদের সেই প্রেমের সূচিত শক্তির উচ্চতর চেতনা দ্বারা ভাস্কর্য হয়। তবে প্রেম সর্বদা সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করে আপনি যদি বলেন সৌন্দর্য কি আমি মনে করি শারীরিক গঠন চেহারার সাদৃশ্য সৌন্দর্যই শুধু একজন মানুষের সৌন্দর্য নয় সৌন্দর্য সেটাই তা হল একজন মানুষের চতুর্পাশ্বিক গুণাবলী।

প্রেম সৌন্দর্যের কামনা করলে বোঝা যায় যে প্রেম সৌন্দর্যহীন যে কারণে প্রেম সৌন্দর্যের প্রতি পিপাসিত। প্রেমের সৃষ্টি বৃত্তান্ত কি এটা আমরা নানাভাবে উপলব্ধি করতে পারি প্রেমের সৃষ্টি বৃত্তান্ত একজন মানুষের হৃদয় থেকেই শুরু হয় এখন সেই মানুষটা ধনী গরিব ছোট বড় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হতে পারে। প্রেম কি দুঃখকে ভয় পায়? প্রেমের বহুল ব্যবহৃত সুখ-দুঃখের প্রবাদ বোঝায় যে মেক্সিমাম ক্ষেত্রে প্রেম দুঃখকে ভয় পায় কষ্ট কে ভয় পায় অনেক ক্ষেত্রে ভয় পায় প্রতিবন্ধকতা কে প্রেমের সফলতার হার শতভাগ না হলেও জগত প্রেম ও ভালোবাসার দাঁড়ায় মূল্যায়িত হয় সংজ্ঞায়িত হয়। জগতে প্রেম ভালোবাসা কোনোভাবেই প্রতারক হতে পারে না

প্রতারিত করবে এমনটাও নয় প্রেম জড়বস্তুর আধার হলেও তার প্রকাশভঙ্গি মানব সৃষ্ট প্রেম স্বতন্ত্র সত্তা কিন্তু মানুষ প্রেমকে ভালোবাসাকে প্রতারণার এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। প্রেমকে ভালোবাসাকে চাঁদ তারায় প্রকাশ করা হয় তারাই এই ধৃষ্টতা দেখায় প্রেমকে ভালোবাসাকে প্রতারণার এক মশাল বানিয়ে মানুষের অন্তরে বিষবৃক্ষ তৈরি করে চার খেসারত প্রতারণাকারীর বিপরীত মানুষগুলোকে দিতে হয়।

কিন্তু তারা জানেনা প্রেম মোহমুক্ত ভালোবাসা মোহমুক্ত জাগতিক সম্পর্কের এই মানুষ রূপের অমানসিকতা মানুষের মাঝে দেখা যায় তারা মুখ তো কখনোই হতে পারে না প্রেমে কষ্ট আছে থাকতে পারে এটা থাকবে তবে প্রেমে কখনোই সহিংসতা আসতে পারেনা শ্রেষ্ঠত্বের অংশীদার মাত্র একজন শিল্পীর চোখে প্রার্থীর জীবন।

যেমন সুন্দর প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ যেমন সুন্দর সাবলীল অহিংস তেমনটি প্রেম হয় কিন্তু মানুষ হতে পারে না মানুষ অবলীলায় প্রতারণা করবে প্রতারণার করে প্রেমে শৌর্যবীর্যের অভাব নেই মানুষের কাছে প্রেমের অর্জন অত্যন্ত ভিন্ন মানুষের নীতি নৈতিকতা যেভাবে অর্থের প্রাচুর্যে ঢেকে পড়েছে সেখানে প্রেম কখনোই জাগ্রত হতে পারেনা।

পবনে প্লাবন

3068

ডুব সাঁতারের শর্ত কিবা আছে
অনিয়মের খোলস যদি মুখে
বিমূর্ত সব হিসেব নিকেশ আছে
দুঃখ ছোঁয়া দৈন্যতার এই বুকে।

অপলক তাই চেয়ে যদি থাকি
দৃষ্টি চোখে রাগের পাহাড় চাঁপা
খুব করে তাই বিধতে পারো আঘাত
ব্যাথা সইবার খোলা বুকটা পাতা।

কথার খঞ্জর সবাই কী আর ভোলে
কেওবা পেয়েও হারায় দ্বীপের আলো
না বুঝে সে ভেঙে দিতে পারো
ভুল পথে তাই চলছো যদি আরো।

দূরত্ব টা নিপুণতার সাথে
বাড়িয়ে দিলে অনিয়মের হাতে
উগ্র স্বভাব শুধুই মেজাজ হারা
সব ফুরাবে ভরাডুবির সাথে।

ডুব কী দেবো, দুঃখ নদীর জলে
হাজার কর্ম সূর্যতাপে জমা
একা পথে চলছে এমন দিন
কাটুক না তাই, পারলে কোরো ক্ষমা।

দীর্ঘ পথ … একটি ব্যর্থতার কবিতা

image_2

মানুষ আপনাকে
আপনার পাশে দীর্ঘ পথ চলতে প্রতিশ্রুতি দেবে
দরজার প্রথম পদক্ষেপ থেকে
অজস্র মানুষের ভিড় ঠেলে,
স্বতঃসিদ্ধ নির্জনতা পেরিয়ে অদৃষ্টের গন্তব্য পর্যন্ত।

কেউ কথা রাখে আবার কেউ রাখে না
আপনি কি পেয়েছেন
আপনি কি পাননি তা আপনার হৃদয় জানে।

মানুষ তার এক জীবনে ভেতরের কষ্ট
পরিচিত মানুষের ভিড় ঠেলে
গোপন করতে পারলেও একদিন জনসম্মুখে আসবে
আপনার প্রতি কেউ সহানুভূতি দেখাবে
আপনার প্রতি কেউ ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দেবে
আসলে তারাই প্রকৃত মানুষ
যারা কথা রেখেছে কথা রাখে কথা রাখবে।

তারা যদি কথা রাখতো তাহলে
তাদের জীবনী অন্য ভাবে লেখা হতো
আজ হয়তো বিদ্রোহ হতো না
হৃদয়ের ভেতরে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেতনা
তাইতো কারও স্মৃতি লেখা হয়
কষ্টের দাবানলে জ্বলতে জ্বলতে
কারও জীবন পেয়ে হয়তো ঘরেই কেটে যায়।

দয়া মায়া স্নেহ ভালবাসার বিপরীতে
কারও জীবন হয়তো এভাবেই কেটে যায়
কারও জীবন হয়তো প্রকাশ হয়
প্রকাশিত সেই জীবনের গল্প মানুষের সামনে আসে
হয়তো তখনই কেবল জানা যায়
সেই জীবনের গল্প।

কেউ একজন
জীবনের দীর্ঘ পথে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো
বলেছিলো আমাদের শরীর ফুটে বেরিয়ে আসবে অন্য শরীর।

প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে
হাতে হাত ধরে পৃথিবীর শেষ গন্তব্যে পৌছাবো
এই ঘর থেকে এ রাস্তা থেকে
মাতৃভূমির এক পথ থেকে আরেক পথে
মানুষের জনসমাগম থেকে নির্জনতা পর্যন্ত।

বিশ্বাস তো করতেই হয়
কথা দিয়েছিলাম তার সময়ের সঙ্গী হবো
অসময়ের সঙ্গী হব জীবন থেকে পর জীবনের সঙ্গী হব।

এই সংক্ষিপ্ত জীবন আজ বড্ড একা
এই একাকী জীবন নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর শেষ উপত্যকায়।

এই দীর্ঘ পথের পরে
জীবনের কোন বিশ্রাম ছিল না
পায়ের নরম কোমল পৃষ্ঠদেশ ফোস্কা পড়েছে
কিন্তু অন্তহীন পথ একাই চলেছি
কিন্তু গন্তব্য জানা নেই।

হুম, হয়তো ঈশ্বরকে দেখিনি
শুনেছি ঈশ্বর মানুষের হৃদয়ে বাস করে
মন্দিরে মসজিদে ঘোরাঘুরি করে
কিন্তু যে মানুষ ভালোবাসায় বিশ্বাসী
তার হৃদয়ে বাস করে কি?
আমার কাছে ঈশ্বর নামের অস্তিত্ব যেভাবে
এখন ধোকা বলে মনে হয়

পথ চলা পায়ের মতোই হৃদয়টা পাথর হয়েছে
চোখ হয়েছে ঝাপসা, ক্ষুধা দারিদ্রতা
এসব আমার কাছে উপভোগের ব্যাপার নয়
অনুন্নত পৃথিবীর দেশে দেশে মানুষ মরতো না অন্নহীন।

যদি প্রশ্নই করতে হয় প্রকৃতিকে কর
মিথ ঈশ্বরকে নয়
যদি প্রশ্ন করি শয়তান যখন শয়তান হয়নি
তবে তাকে কোন শয়তান প্ররোচনা দিয়েছিল?

জানি সময় ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা রাখেনা
আর সময় ঈশ্বর সম্পর্কে
দীর্ঘ পথ দীর্ঘ জীবন আর সংক্ষিপ্ত সময়
আমাদের ভেতরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি
ঈশ্বরের অস্তিত্ব না হলেও বাস্তবতায়
সেই প্রিয় মানুষটিকে যতই ভুলে যেতে চেয়েছি
ততই ভালোবেসে ফেলেছি;

ঈশ্বর চাইলে সেই জায়গাটা দখল করতে পারত
সেই অভাবটা পূরণ করতে পারত
তার কারিশ্মাটিক ক্ষমতা বলে
ঈশ্বর হয়তো জানান দিতে পারতো
হে আমার বান্দা আমি আছি এমনটা কিছুই হয়নি সেখানেও ঈশ্বর ব্যর্থ

নাকি ঈশ্বর এসব কোন কিছুই চান না?
নাকি ঈশ্বর সৃষ্টির পরে সবকিছু ত্যাগ করেছেন?
কি প্রয়োজন ছিল এই পৃথিবীতে আসার?
কি প্রয়োজন ছিল এত কষ্ট
এত দুঃখ এত জ্বালা এত যন্ত্রণা সহ্য করার?

প্রকৃতি যদি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়
তাহলে আমি বলব ঈশ্বর নয়
প্রকৃতি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে
এই মহাবিশ্ব প্রকৃতির অবয়ব
প্রকৃতি এই মহাবিশ্বের আশ্রয়দাতা
এখানে যা কিছুই ঘটে তাতে কারো হাত নেই।

চলছি একা
পৃথিবীর এই পথে পথে
দীর্ঘ পথ
অনন্ত পথ
এক আলোকবর্ষ থেকে অন্য আলোকবর্ষের অভিমুখে
এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যের অভিমুখে
এক জীবন থেকে অন্য জীবনের পথে।

দীর্ঘদিন
দীর্ঘ সময়
আর দীর্ঘ ক্লান্তি শেষে
হয়তো এভাবেই হারিয়ে যাব
পৃথিবী স্মরণ রাখবে অন্য নামে অন্যভাবে।

বলতে পারো
এই মানুষটা এতটা ভালো না যে
খারাপ থাকলেও বলবে ভালো আছি
প্রকৃতি মানুষকে ভালো রাখতে জানে
কিন্তু মানুষ মানুষকে তার ভালো থাকার জায়গাগুলোকে নষ্ট করে দেয়

দীর্ঘ পথ
দীর্ঘ সময়
আর দীর্ঘ জীবন জুড়ে আমি সেই
আমি হয়তো সেই প্রিয় মানুষের দ্বারা নষ্টের শিকার।

অন্তর্ধান

307

সৌমিক একজন পুরনো চিলেকোঠার মানুষ
সে বলল, জানো সৌরভ দা
কষ্টের পরতে পরতে জীবনের দুঃখগুলো
খুব জোরে সোরেই আঘাত দিয়ে যায়
তারপর, তারপর ঠিক যেখান থেকে এসেছিলাম
সেখানেই প্রত্যাবর্তন।

তুমি কি জানোনা এখানে যে বৃষ্টি হয়
শহরেও সেই একই বৃষ্টি, তবে শহরের বৃষ্টির সাথে মিথেন গ্যাসের সংখ্যাটা একটু বেশি থাকে
মানুষগুলোর মধ্যে যেমন ভেজাল বৃষ্টিতেও

কিন্তু যেখানে ভিন্ন মাটি,
ভিন্নরূপ, ভিন্ন কাদাও ভিন্ন পথ
কোথাও তো এক নয়। যদি তা হতো
তাহলে হয়তো কিছুটা শান্তি পেতাম
এই ভেবে যে, সবাই একই কষ্টে জর্জরিত
সবাই একই ব্যথায় কাতর
আর সবাই একই বেদনায় নাজেহাল।

বুঝলে সৌরভ দা,
কেউ কি তা জানে জীবনের শেষ বসন্ত
কোথায় গিয়ে থামবে
অবনত শীর কোথায় দাঁড়াবে কেউ কি তা জানে জেনেছে কী কেউ কখন, কোথায় জয় হবে
কোথায় পরাজয় হবে
কোথায় গিয়ে ভিন্নখাতে মোর নেবে জীবনের গতিপথ।

এসব যদি জানা যেত তাহলে হয়তো
অনেকটা সহনশীল হয়ে জীবনের পথটাকে শক্তপোক্তভাবে গেঁথে নিতে পারতাম।
পৃথিবীর এই রঙ্গমঞ্চে তোমাদের সামনে দাঁড়াবে না।

বেলা বয়ে যাওয়া সেই দিনগুলোর
কষ্টের ঘানি টানতে টানতে শরীর হয়েছে ভারী
আজ মনে হয় শরীরে বার্ধক্য এসেছে
জীবন যেন এক তরতাজা যুবকের পড়ন্ত বিকেল।

বন্ধুরা যার যার কর্মে ব্যস্ত;
যার যার সময়ে তাঁরা আজ সেরা
তবে, ওরা শিক্ষিত হলেও চিন্তাশীল নয়।
নীতিবান হলেও বিচারিক বোধ অত্যন্ত দুর্বল
সমাজ ও পরিবারের কট্টর নিয়মগুলো দেখতে দেখতে এইসব এখন তাদের কাছে যেন খুবই সহজ।

অজস্র দায়বদ্ধতার মাঝে থেকেও
তারা যেন সুখী; এই এক জীবনে
প্রত্যাবর্তনের অসমভাণ্ডার ছিল
পাহাড়ের বুক চিরে গর্ভপাত ঘটিয়ে
জল বের করার দৃঢ়তা ছিল;
কোন এক দুর্ঘটনা, কোন এক বিশ্বাসঘাতকতা
তৈরি করেছে জীবনের এই অন্তিম পথ
যেখান থেকে লেখা হয় চারপাশের জীবনের গল্প।

সেখানে গল্প ছাড়া আর অন্য কিছু নেই;
সেখানে একাকীত্ব ছাড়া আর কিছু নেই;
সেখানে প্রতারণা আর প্রতারণা
সমবেত মানুষেরা যার যার লাভের আশায়
ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে তাদের অনৈতিক কর্মের সাথে।

এটাই বুঝি পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চ যে যেভাবে পারে
একে অন্যকে আঘাত করছে
এখানে জয়ীরাই টিকে থাকে
পরাজয়ের দাবানলে পুড়তে পুড়তে যে মানুষ জয়ী হয়।

সৌরভ দা, একটি কথা মনে রেখো
এভাবেই হয়তো শেষ অন্তর্ধান
পুরনো রা কেউ জানবে না-
জানবে না যে শহরের দাপিয়ে বেড়ানো
পথ ঘাটের মানুষেরা, পরিচিত-অপরিচিত
বন্ধুরা জানবে না কোনদিন!

একদিন তাদের মাঝে এই মানুষটি ছিল
মানুষ হেরে যায় সময়ের কাছে
বয়সের কাছে, অর্থের কাছে, অসুস্থতার কাছে
আর হেরে যায় প্রতারণার কাছে।
যারা অর্থের পিছে ছুটতে ছুটতে নষ্ট করে জীবন।
প্রলোভনের চাদরে মোড়া চোখ, অন্তরের বিষ বৃক্ষ লালন করে যে মানুষ রাখে হাতে হাত
সে মানুষ ও অবিশ্বাস ছাড়া বিশ্বস্ত নয়।

কর্ম … সহায়ক … ভাগ্য

ভাগ্য পরিশ্রমীদের পরিবর্তন করে। ভাগ্য, ভাগ্যের উপর বিশ্বাসী মানুষদের স্বপ্নের মধ্যে বিভোর রাখতে পছন্দ করে। আপনার জীবনে কিছু সুযোগ সব সময় আসবে সেই সুযোগটা আসা মানে এই নয় যে আপনার ভাগ্য সহায় থাকবে আপনি পরিশ্রম করেছেন এই পরিশ্রমের মূল্যই ভাগ্য;

ভাগ্য সে সেজন্য এসেছে এবং তা আপনার জন্য সম্ভবপর হয়েছে। ভাগ্যের সম্ভবপর ব্যাপারগুলো পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে, পরিশ্রমে যদি আপনি সফলতা পান তবেই আপনার ভাগ্য সহায় হয়।

(ভাগ্য কোন পড়ে পাওয়া ধন নয়) এটি বাঙালির প্রাচীন প্রবাদ আর ভাগ্য কোন চমৎকারই বিষয় নিয়ে আসে না যেকোনো পরিবর্তন অপরিবর্তিত নয় আপনার জীবনে পরিবর্তন তখনই আপনার সঙ্গ দিবে যতক্ষণ আপনি তাকে আপনার সঙ্গ থেকে বিমুখ করবেন না।

মনে রাখবেন আপনার জীবনে যা আসে তা আপনার পরিবর্তনের ফসল যা চলে যায় তা আপনার অসামঞ্জস্য কর্মের সাথে অসংগতিপূর্ণ।

চারটা উদ্ধৃতি

3018t

১.
জীবন নানাবিধ নাটকীয়তায় ভরপুর যদিও এর স্থায়িত্ব সংকীর্ণ, হ্যাঁ, সংকীর্ণ এই জন্যই বলছি যে সবকিছুর একটা গন্তব্য রয়েছে যেখানে এসে সেই নাটকের শেষ হয়। তবে এখানে নিখুঁত অভিনেতারাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অভিনয় দিয়ে সংকীর্ণ রূপরেখা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

২.
দুঃখ হলো মানব জীবনের সবচেয়ে ব্যক্তিগত জায়গা দুঃখ কারো জীবনে গোপন থাকে কারো জীবনে প্রকাশ্য।

৩.
শরীর দেখিয়ে নারীরা উপরে উঠতে পারে যেখানে আত্মসম্মান নেই কিন্তু তাদের সেই চলন্ত যাত্রা সিঁড়ি বিহীন পথের মতোই দুর্ধর্ষ একবার সেখান থেকে পড়ে গেলে আর ওপরে ওঠার কোন সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত তারা ব্যবহার হতে থাকে। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা হাতে গনা হলেও সংখ্যার দিক দিয়ে নেহায়েত কম নয়। দেখে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া সেই সমস্ত প্রকৃত নারীদেরকে এই ব্যাপারটায় জড়াচ্ছি না তবে যারা বিবেচনা হীন পথ বেছে নেয় এই কথাটি তাদের জন্যই সীমাবদ্ধ।

৪.
আমাদের সমাজে নারীর পাশাপাশি পুরুষ বেশ্যার সংখ্যাও অনেক তবে নারীকে আত্ম সম্মান হীন হয়ে বেঁচে থাকতে হয় পুরুষের ক্ষেত্রে টোটালি আলাদা। আসলে আমাদের এই সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে পুরুষের সকল অপরাধের মাঝে শিথিলতা বিদ্যমান; নারীর সম্মান গেলে পুরুষের আত্মসম্মানে চির ধরে অথচ আমাদের এই সংকীর্ণ সমাজে একজন পুরুষ নিকৃষ্ট অপরাধ করলেও সেখানে পুরুষের আত্মসম্মান নষ্ট হওয়ার কোন বালাই নেই কারণ আমাদের সমাজ রাষ্ট্র পরিচালিত হয় পুরুষের নিকৃষ্ট মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা দ্বারা যেখানে প্রকৃত সত্যের কোন স্বরূপ নেই।

দাঁড়িয়ে থাকা বটবৃক্ষ

জীবন থেমে যাওয়া এক বটবৃক্ষ
একই জায়গায় অবস্থান করে দেখতে হয় দূর-দূরান্ত।
মাঝে মাঝে আমার দৃষ্টি দূরবর্তী মেঘের বুক চিরে দেখতে চায় তার ওপারের জীবন।

আমি লক্ষ্যভ্রষ্ট পথিক নই
আমার লক্ষ্য সেই ঠিকানা
যেখানে আমি আমার যাপিত জীবনের গল্প রচনা করব।

আমি কষ্টের অনুভুতি শূন্য মানুষ নির্দয় নয়
তাই কোন কিছুতে আর ভয় পাই না।

তবে কিছু কিছু সময় স্মৃতির সেই জীবন
মনে করিয়ে দেয় মুক্ত নস্টালজিয়া
যাঁর দরুন সুচিত তিরবিদ্ধ বিহঙ্গের মতো
অন্তরের মাঝ দরিয়ায় সুনামির সৃষ্টি।

শিহরিত জীবনের সেই দংশিত অতীত
আমাকে তখন কিছুটা ভয় পেতে বাধ্য করে
তাই কখনো একাই কাঁদতে থাকি
বেদনাবিদ্ধ হই, আবার এমনও হয় কাঁদতেই ভুলে যাই
কিংবা অনেক সময় কাঁদতে ইচ্ছে করলেও
চোখের জল অশ্রু হয়ে ঝরে না।

এটাই বুঝি সমন্বয়হীন জীবনের
এক চিলতে আদিখ্যেতা।
আমার এই অসামান্য জীবনের মঞ্চে
নিজের পরাজয় দেখলেও হেরে যাওয়ার দুর্বলতা
শক্তি হিসেবে সঞ্চারিত হয়।

আমি তো ভুলে যায়নি কিছুই
ভুলে যাওয়ার কথাও নয়
আছি থাকবো জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে
দূরের ঠিকানা হয়ে; যদি কোনদিন নতুন করে
সেই স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়।

মাঝে মাঝে আমার জীবনের মঞ্চ
আলোক উজ্জ্বল জনসভার মতো
সুখের মহাসমুদ্রে পরিণত হয়
দূরবর্তী জীবনের সেই গল্প গুলো।

এক সময় মনে হয়
আমিই সেই অন্ধকার, আমি সেই আলো
আর মহাসমুদ্রের বুকে ছুটে চলা ভাসমান মেঘ।

এইতো আমি
সেই আমি আজকের এই আমি
এখন আমার সবকিছুই পরিণত
তুমি হয়তো বুঝবে না সেই অতীত
সেই কষ্টের নবান্ন মেঘ হয়ে
হৃদয়ের মসনদে তুলেছিল ঝড়
আমি সেই ঝড়ের বুক চিরে
বেরিয়ে আসা একজন অসামান্য মানুষ।

আমি খুঁজছি সেই পথ
নিরব কান্নার জলসা ঘর থেকে বেরিয়ে আসা দরজা
সব ভুল শুধরে মুখোমুখি হব
আর নতুন পৃথিবীর বুকে
সৃজিত করব নতুন দিন নতুন বসন্ত।
সকল ব্যাথা, দুঃখ আর যন্ত্রণা থেকে প্রস্থান করে মিশে যাবো একাকার আত্মায়।

প্রিয় বাসিনী

Untitl

জীবন এক নৈব্যক্তিক প্রশ্নের সমাহার
ভেতরের কামনাগুলো দক্ষ জাহাজের
ক্যাপ্টেনের মতো হলে বেশ ভালো হতো।
আদেশ নির্দেশ সব সংকাহীনভাবে
একসাথেই একীভূত হতো।

আসলে বন্ধনহীন কামনা
সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেনা
ব্যক্তিত্বের পরিণত সম্পর্ক যদি
আভিজাত্যের প্রমোদ দিশায় বদলানো যেত
তবে হয়তো জীবন তার নিবিড় আলিঙ্গনে
হারাতো সুনিবিড় সরলতা।

যখন, এলোমেলো দহনে জ্বলেছি খরায়
আবার গড়েছি নিজেই নিজেকে।

যখন কেউ পাশে থাকার কথা
তখন চলেছে দূরে
যখন কেউ থাকার কথা দূরে
তখন এসেছে কাছে

আসলে প্রয়োজনহীন সবকিছু যেন
এলোমেলো ভাবে ছুটে চলছে
জীবনের এই অদম্য শিখায় জ্বলতে জ্বলতে
পথের পরে পথ পাড়ি দিয়েছি
এমন প্রকৃত কাউকেই পাইনি।

মৃত্যু তো এক শব্দহীন একনিষ্ঠ সংস্কৃতি
তার স্বরূপ স্বীকৃত ঈর্ষনীয়।
মহাকালের যাত্রায় যে গৌরবান্বিত পথ পাড়ি দিয়েছে
অধরে অধরে তার শব্দহীন উচ্চারিত কন্ঠস্বর
স্বর বর্ণের সুকোমল নস্টালজিয়া

এই সময়ের আলোকে দিগন্তর ওপারে ঘুমিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস,
রাত্রি দিনের অসমাপ্ত পথ স্পর্শ বিহীন চিহ্ন বিবর্তনের খেলায় মাতে

আমার কাছে কারো কারো জীবন
চিহ্ন বিহীন কষ্টের বিষন্ন সুটকেস
কোনদিন অধিকারের স্বীকৃতি পায়নি
যতবার প্রতিবাদ করেছে
ততবারই হয়েছে আহত রক্তাক্ত।
ততবারই দরজা থেকে ধাক্কা মেরে দেখিয়েছে অজানা পথ।

হ্যাঁ, আজ আমি নিজেই নিজেকে বলি,
মনে করি এ পথ তোমার…
আমি বারবার জেনেছি চেহারায় পুরুষ নয়
নারীর মতো পুরুষকে পুরুষ হয়ে উঠতে হয়
আর নারীকে নারী;

যেখানে অপরিপক্ক মস্তিষ্ক দ্বিধাদ্বন্দ মান
আগন্তকের অভাগ্য খোঁজে
সেখানে চোখ তার বৃষ্টির ধারা ছুঁয়ে
এগিয়ে যায় দূরবর্তী সমুদ্রের পথে
যেখানে একরাশ ঝড়ের পূর্বাভাস
নীলকন্ঠী সঙ্গীতের সুর
আর নিরানন্দ শঙ্খচিলের
পথ ছুঁয়ে ভেসে চলে সমুদ্রের বুকে
এক তামাটে শরীর।

নারী যখন পুরুষের মন খোঁজেনা
নারী যখন বাঁধাকপির মত নিজেকে অনুভব করে না
তখন অস্ফুট কন্ঠক হীন চিমনিতে কয়লার
ধোঁয়ায় জেগে ওঠে শ্বাসকষ্টের জীবন
তুমি হয়তো জানবে না কোনদিন।

অতীত থেকে

30075

একটি হিমশীতল অন্ধকার ছায়া
আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, দীর্ঘকাল।

সংকীর্ণ জীবনের এই পথ ধরে
যখন আমি সাবলীল হেঁটে চলি
তখন সেই স্মৃতির কালো মেঘ
দুর দুড়ান্ত থেকে তাড়া করে ফেরে।

সেই নিকষ কালো অন্ধকার বিবর্ণ ছায়া থেকে
আজও পালিয়ে বেড়ানোর জন্য অক্লান্ত চেষ্টা।

মানুষের অন্তর ঘৃণিত মিথ্যে প্রেম,
মিথ্যে আবেগ দিয়ে গড়া মিথ্যে ভালবাসা
যখন চাঁদের আলোয় বরফের মত,
আর সূর্যের তীক্ষ্ণ রোদের ন্যায় প্রকাশ্যে আসে
তখন সেই জীবন যেন মহাসমুদ্রের মাঝে
উতাল পাতাল ঢেউয়ের বুকে যুদ্ধ করা।

কিছু ছায়া ধাপে ধাপে ভেঙ্গে দিয়ে যায়।

পালিয়ে চলা সেই অতীত থেকে
দুর্বিসহ সেই অন্ধকার আলোড়ন থেকে
নিকষ কালো পথে
কোনো দিন ফিরে যাওয়া হবেনা।

তবে বার বার সেই পথই আঘাত করবে।

আবেগগুলো ধীরে ধীরে মরে গেছে
স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে চাপা পড়ে
দুঃস্বপ্নের স্তুপে, স্বাধীনতা পক্ষান্তরে
নষ্ট হয়েছে পরাধীনতার শিকলে।

শুধুমাত্র একটি কুৎচিত ছায়া;
শুধুমাত্র একটা কুৎসিত ছায়া সর্বস্বান্ত করেছে
নিঃশেষ করে দিয়েছে জীবন।
যে অন্ধকার বেরিয়ে আসতে দেয় না
যে অন্ধকার বের হতে দেয় না আলোয়
এই হল সময় এবং জীবন।

যেখানে পরাধীন আত্মা কখনো বিশ্রামে যেতে পারেনা।

Long way

297

I am watching the daily sunrise
And the late night alone until sunset me
From the gravity of solitude
It brings out and explains the ladder of great life

From east to west
I live alone and see alone
One hand on my right and another hand on my left.

My eyes look east and west
Maybe across this light year of the eye
I can see; I am alone, forever.

I will see the sunrise of that world alone
I will see the sunset of this world alone.

There is no end to human suffering in this vast world
There is no end to sorrow, no end to pain
There is no end to the wonder;

Animals may be from this grassland
I can’t see or understand the change of season
But they have to be protected from all seasons.

Life is the way for dreams to come true
It makes it more spectacular and attractive.

Some gipsies in our hearts
(Man crushed by the blows of the killers)
is living
Those who manage life by cheating people.
Dreams are the language of everyday life;
These dreams belong to these people

Leads to a beautiful life
That which interferes with reality
The pursuit of that suffering is like a nomad
Considers himself a man of the road.

The pious may say
Dreams are the language of God
To whom God gives dreams
Only they can realise that dream.

Dreams remain of trouble, stay of sorrow
There is pain and suffering
What memories are more terrifying?

The losers
You have to follow different paths. You have to take risks
There is no chance of winning without taking risks
This is the story of romantic life
This is where experience is transmitted.

On this immense planet called Earth
No one who loves you will accompany you
Will peek across your heart
They will change very soon
As long as they are side by side
They will not achieve their goals.

নষ্টের শিকার

2974

মানুষ আপনাকে
আপনার পাশে দীর্ঘ পথ চলতে প্রতিশ্রুতি দেবে
দরজার প্রথম পদক্ষেপ থেকে
অজস্র মানুষের ভিড় ঠেলে,
স্বতঃসিদ্ধ নির্জনতা পেরিয়ে অদৃষ্টের গন্তব্য পর্যন্ত।

কেউ কথা রাখে আবার কেউ রাখে না
আপনি কি পেয়েছেন
আপনি কি পাননি তা আপনার হৃদয় জানে।

মানুষ তার এক জীবনে ভেতরের কষ্ট
পরিচিত মানুষের ভিড় ঠেলে
গোপন করতে পারলেও একদিন জনসম্মুখে আসবে
আপনার প্রতি কেউ সহানুভূতি দেখাবে
আপনার প্রতি কেউ ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দেবে
আসলে তারাই প্রকৃত মানুষ
যারা কথা রেখেছে কথা রাখে কথা রাখবে।

তারা যদি কথা রাখতো তাহলে
তাদের জীবনী অন্য ভাবে লেখা হতো
আজ হয়তো বিদ্রোহ হতো না
হৃদয়ের ভেতরে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেতনা
তাইতো কারও স্মৃতি লেখা হয়
কষ্টের দাবানলে জ্বলতে জ্বলতে
কারও জীবন পেয়ে হয়তো ঘরেই কেটে যায়।

দয়া মায়া স্নেহ ভালবাসার বিপরীতে
কারও জীবন হয়তো এভাবেই কেটে যায়
কারও জীবন হয়তো প্রকাশ হয়
প্রকাশিত সেই জীবনের গল্প মানুষের সামনে আসে
হয়তো তখনই কেবল জানা যায়
সেই জীবনের গল্প।

আমাকে কেউ একজন
জীবনের দীর্ঘ পথে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো
বলেছিলো আমাদের শরীর ফুটে বেরিয়ে আসবে অন্য শরীর।
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে
হাতে হাত ধরে পৃথিবীর শেষ গন্তব্যে পৌছাবে
এই ঘর থেকে এ রাস্তা থেকে
মাতৃভূমির এক পথ থেকে আরেক পথে
মানুষের জনসমাগম থেকে নির্জনতা পর্যন্ত।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম তাকে
আমি কথা দিয়েছিলাম তার সময়ের সঙ্গী হবো
অসময়ের সঙ্গী হব জীবন থেকে পর জীবনের সঙ্গী হব।

এই সংক্ষিপ্ত জীবন আজ বড্ড একা
এই একাকী জীবন নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর শেষ উপত্যকায়।
এই দীর্ঘ পথের পরে জীবনের কোন বিশ্রাম ছিল না
পায়ের নরম কোমল পৃষ্ঠদেশ ফোস্কা পড়েছে
কিন্তু অন্তহীন পথ একাই চলেছি কিন্তু গন্তব্য জানা নেই।

আমি হয়তো ঈশ্বরকে দেখিনি
শুনেছি ঈশ্বর মানুষের হৃদয়ে বাস করে
মন্দিরে মসজিদে ঘোরাঘুরি করে
কিন্তু যে মানুষ ভালোবাসায় বিশ্বাসী
তার হৃদয়ে বাস করে কি?
আমার কাছে ঈশ্বর নামের অস্তিত্ব যেভাবে
এখন ধোঁকা বলে মনে হয়

পথ চলা পায়ের মতোই হৃদয়টা পাথর হয়েছে
চোখ হয়েছে ঝাপসা, ক্ষুধা দারিদ্রতা
এসব আমার কাছে উপভোগের ব্যাপার নয়
অনুন্নত পৃথিবীর দেশে দেশে মানুষ মরতো না অন্নহীন।

যদি প্রশ্নই করতে হয় প্রকৃতিকে কর
মিথ ঈশ্বরকে নয়
যদি প্রশ্ন করি শয়তান যখন শয়তান হয়নি তবে তাকে কোন শয়তান প্ররোচনা দিয়েছিল?

আমি জানি সময় ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা রাখেনা
আর ঈশ্বর সময় সম্পর্কে
দীর্ঘ পথ দীর্ঘ জীবন আর সংক্ষিপ্ত সময়
আমাদের ভেতরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি
ঈশ্বরের অস্তিত্ব না হলেও বাস্তবতায়
সেই প্রিয় মানুষটিকে যতই ভুলে যেতে চেয়েছি
ততই ভালোবেসে ফেলেছি;

ঈশ্বর চাইলে সেই জায়গাটা দখল করতে পারত
সেই অভাবটা পূরণ করতে পারত
তার কারিশ্মাটিক ক্ষমতা বলে
ঈশ্বর হয়তো জানান দিতে পারতো
হে আমার বান্দা আমি আছি এমনটা কিছুই হয়নি সেখানেও ঈশ্বর ব্যর্থ

নাকি ঈশ্বর এসব কোন কিছুই চান না?
নাকি ঈশ্বর সৃষ্টির পরে সবকিছু ত্যাগ করেছেন? আমার কি প্রয়োজন ছিল এই পৃথিবীতে আসার?
আমার কি প্রয়োজন ছিল এত কষ্ট
এত দুঃখ এত জ্বালা এত যন্ত্রণা সহ্য করার?

প্রকৃতি যদি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়
তাহলে আমি বলব ঈশ্বর নয়
প্রকৃতি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে
এই মহাবিশ্ব প্রকৃতির অবয়ব
প্রকৃতি এই মহাবিশ্বের আশ্রয়দাতা
এখানে যা কিছুই ঘটে তাতে কারো হাত নেই।

আমি চলছি একা
পৃথিবীর এই পথে পথে
দীর্ঘ পথ
অনন্ত পথ
এক আলোকবর্ষ থেকে অন্য আলোকবর্ষের অভিমুখে
এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যের অভিমুখে
এক জীবন থেকে অন্য জীবনের পথে।

দীর্ঘদিন
দীর্ঘ সময়
আর দীর্ঘ ক্লান্তি শেষে
আমি হয়তো এভাবেই হারিয়ে যাব
পৃথিবী আমায় স্মরণ রাখবে অন্য নামে অন্যভাবে।

আমি এতটা ভালো না যে
খারাপ থাকলেও বলবো ভালো আছি
প্রকৃতি মানুষকে ভালো রাখতে জানে
কিন্তু মানুষ মানুষকে তার ভালো থাকার জায়গাগুলোকে নষ্ট করে দেয়

দীর্ঘ পথ
দীর্ঘ সময়
আর দীর্ঘ জীবন জুড়ে আমি সেই
আমি হয়তো সেই প্রিয় মানুষের দ্বারা নষ্টের শিকার।

বোঝাপড়া

দৃষ্টির সম্মুখে
ছেয়েছে অসারতা
কিছু গল্প করেছে মায়ার প্রতিলেপন।

সাদৃশ্য আশা
সুদূরের পথে অস্পষ্ট
স্পষ্ট উচ্চারণে বিদায়ের ক্ষণ

দৃষ্টির ফাগুনে
ফুটেছিল স্বপ্নের ফুল
কপাল ছুঁয়ে শূন্যতায় মেলে থাকা চোখ

যা কিছু জমা
সবই তার অফাল্গুন
আজ মেলে দেখি হিসাবের পাতা

মিছেমিছি সেসব ছিল তার
স্পষ্ট উচ্চারণে
আজ তাই নিজেই নিজেকে করেছে বিমুখ।