সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

স্পাইসি ভুনা কিমার রেসিপি

স্পাইসি ভুনা কিমা এমন খাবার যা সকালের নাস্তায় পরোটার সাথে, দুপুরে ভাতের সাথে কিংবা বিকেলের নাস্তায় পেটিস বা সমুচার পুর সব কিছুতেই খাওয়া যায়। ঘরে বসে খুব সহজেই মজাদার কিমা ভুনা তৈরি করে নিন।

উপকরণ
মুরগির/গরুর মাংসের কিমা ২ কাপ, টমেটো টুকরা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ, আদা কুঁচি ২ চা চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনিয়া পাতা বাটা ২ চা চামচ, এলাচি, দারচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, লবণ স্বাদমত, তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কয়েকটা, ধনে পাতা কুঁচি অল্প।

প্রণালি
প্রথমে পাত্রে তেল দিয়ে এতে এলাচি, দারচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিয়ে সব গুঁড়া মসলা আর বাটা মসলা দিন। মসলা খুব ভাল ভাবে কষানো হলে এতে কিমা, স্বাদমত লবণ আর হাফ কাপ গরম পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ১০ মিনিট।

এখন এতে ধনে পাতা বাটা, টুকরা টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন আরো ২০ মিনিট। নামানোর আগে ধনে পাতা কুঁচি, আদা কুঁচি ছিটিয়ে দিন। নামিয়ে পরোটা, রুটি, স্পেগেটি, পাস্তা জাতীয় খাবারের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

জাল টাকা চেনার উপায়

ঈদে লেনদেনের সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করছে। ফলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্র আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই আসল ও জাল টাকা চেনার সহজ উপায় জেনে রাখা ভালো। আসুন, টাকাটি আসল না নকল জেনে নেই সহজ কিছু কৌশলের মাধ্যমে-

নিরপাত্তা সুতা: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত আছে। নোট চিৎ করে ধরলে নিরাপত্তা সুতায় মূল্যমান লোগো দেখা যাবে। এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত বা নোটের কাগজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে নিরাপত্তা সুতা উঠানো সম্ভব নয়। জাল নোটের নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে বা মোচড়ালে উঠে যাবে।

রং পরিবর্তনশীল কালি: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক নোটের উপরের ডানদিকে কোণায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালি থেকে ক্রমেই সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। একইভাবে ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটে ৫০০ মূল্যমান লেখাটি লালচে হতে পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয়। জাল নোটে ব্যবহৃত এ রং চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না।

অসমতল ছাপা: ১০০, ৫০০, ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ পৃষ্ঠের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু (খসখসে) ভাবে মুদ্রিত আছে। তাছাড়া নোটের ডানদিকে ১০০ টাকার নোটে ৩টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০০ টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে, যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু (খসখসে) অনুভূত হয়। এসব বৈশিষ্ট্য জাল নোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়।

জলছাপ: ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখাবে।

মেশিন: কম দামে বিভিন্ন ব্রান্ডের জালনোট সনাক্তকারী মেশিন এবং আতশি কাঁচ পাওয়া যায়। এসব দিয়েও জাল টাকা সহজে পরীক্ষা করা যায়।

সূত্র: ডিএমপি

চিনে নিন ভালো বন্ধু

বন্ধু সকলের জীবনেই থাকে। ভাল বন্ধুর যেমন জীবনে খুবই প্রয়োজন তেমনই জীবনে এমন কিছু বন্ধুও আসে যারা শুধুমাত্র সমস্যাই তৈরি করে। আপনি তাদের হয়তো সরাসরি না বলতে পারেন না, কিন্তু তাদের জন্যই আপনাকে মানসিক সমস্যায় ভুগতে হয়। এমনকী প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। যে যে লক্ষণে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্ব মোটেও ভাল দিকে যাচ্ছে না।

এই বন্ধুর কারণেই আপনি হীনম্মন্যতায় ভুগছেন। অনেকবার আশাহত হয়েছেন।
যে বন্ধুর জন্য আপনার অনেক অকাজের সময় নষ্ট হচ্ছে।
মনে হচ্ছে জোর করে আপনার উপর কিছু চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যদি আপনার বন্ধুত্ব একতরফা হয় অথবা তার আন্তরিকতা কম থাকে।
এই বন্ধুত্বের মধ্যে ভালোবাসার চেয়েও বেশি থাকে হিংসা।
আপনার কাছে যদি উপর দিয়ে ভাল সাজার নাটক করে।
যেভাবে মোকাবিলা করবেন বন্ধুকে ভাল করে জানুন

খুব ভাল করে বন্ধুকে বোঝার চেষ্টা করুন। সে হয়তো জীবনে আপনাকে পেয়ে সুখী। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে। সবসময় ভাল খারাপের তুলনা করে নিন।

আপনি ঠিক করুন

যথেষ্ট বয়স হয়েছে সুতরাং আপনি ঠিক করুন বন্ধুত্ব আপনি রাখবেন কিনা এবং তা যথাসম্ভব দ্রুত করুন।

কিছুটা সময় দিন নিজেকে। বন্ধুত্বের বাইরেও নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। নিজের জন্য ভাবুন। আর কিছু মানুষকে এড়িয়ে চলতে শিখুন।

যেসব গাছ মশা তাড়ায়

যেসব গাছ মশা তাড়ায়

মশার প্রকোপ এ বছর গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বর্ষাকালে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এসিড মশার জন্ম হয় সব থেকে বেশি। ঘরবাড়িতে পরিষ্কার পানিতেই এই মশায় জন্ম। বিশেষ করে বাসায় রাখা শখের গাছ থেকেই বিপদ আসে। অনেকে পছন্দের গাছ ফেলেও দেন। তবে কিছু গাছ আছে যা মশা জন্ম দেয়ার জায়গায় তা বাড়ির আশেপাশেও আসতে দেবে। জেনে নিন কী কী গাছ আজই বাসায় লাগাবেন।

তুলসি
এই গাছের উপকারী পাতা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতা সম্পন্ন এই পাতার আরো বড় উপকারিতা হলো, এই গাছ ও গাছের পাতা মশাকে তাড়াতে কাজ করে। তুলসি পাতায় প্রাকৃতিক এক ধরনের ঘ্রাণ রয়েছে। যা মশা সহ্য করতে পারে না। এই গাছ ঘরের এমন জায়গায় রাখুন যেখানে মশা বেশি প্রবেশ করে।

ক্যাটনিপ
এই গাছে এক প্রকারের প্রাকৃতিক উদ্ভিজ কেমিক্যাল রয়েছে। যা বিড়ালের পছন্দ এবং মশা, মাছি, পোকামাকড়কে দূর করে। এই গাছ পোকামাকড় তাড়ানোর উপাদানের চাইতেও বেশি কার্যকরী। আলো-বাতাস আসে এমন স্থানে খুব সহজেই এই গাছ বেড়ে ওঠে।

পুদিনা পাতা
রান্নাঘরের জানালায় বা বারান্দায় যে পুদিনা গাছটি আছে, সেটা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি আপনাকে মশার হাত থেকেও রক্ষা করে। দ্রুত বেড়ে ওঠা এই গাছের পাতা থেকে তৈরি তেল মশাকে দূরে রাখবে। এছাড়া মশা কামড় দেয়া স্থানে পুদিনা পাতা ছেঁচে ম্যাসাজ করলেও আরাম পাওয়া যাবে।

লেমন বাম
এই গাছটি দেখতে অনেকটা পুদিনা পাতার মতো, তবে পুদিনা পাতা নয়। একেবারে অযত্নেও এই গাছটি খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে।

সেইজ
সেইজ গাছ অনেকটা তুলসির মত। এই পাতার ধোঁয়া মশা দূর করে। ঘরে সন্ধ্যার সময়ে কয়েকটি সেইজ পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া করলে সুমিষ্ট গন্ধ থাকবে ও মশাও দূর হবে।

নোনা ইলিশ তৈরীর নিয়ম

উপকরণ: ইলিশ মাছ ১ কেজি, সামুদ্রিক লবণ ২৫০ গ্রাম, হলুদের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: প্রথমে ইলিশের আঁশ ছাড়িয়ে মাছের ভেতরের কানকো বা ফুলকা বের করে নিন। পাখনা ছেঁটে শুধু লেজটুকু রাখুন। এবার পুরো মাছটাকে খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ১ ঘণ্টার জন্য পানি ঝরতে দিন। একটি পাত্রে হলুদের গুঁড়া এবং সবটুকু সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। পানি ঝরানো হয়ে গেলে মাছের গায়ে খুব ভালোভাবে হলুদ-লবণের মিশ্রণটি মেশান। এরপর একটি পুরোনো মাটির পাতিলে লবণ মাখানো মাছটি ঢেকে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা রেখে দিন।

যখন দেখবেন বেশির ভাগ লবণ পানি হয়ে গেছে তখন লবণের পানিটা ছেঁকে মাছটিকে তুলে আরও একবার পানি ঝরতে দিন ২ ঘণ্টার জন্য। এরপর পানি ঝরে গেলে মাছটিকে একটা বেতের ডালায় রেখে দুই দিন খুব কড়া রোদে শুকাতে দিতে হবে।

শুকাতে দেওয়ার প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। ঘরের পুরোনো মশারি বা নেট দিয়ে পাত্রটিকে ভালোভাবে ঢেকে রশি পাকিয়ে মুখটা বেঁধে দিতে হবে। এবার ৪ থেকে ৫টি কালো মুরগির পালক মাছ শুকানোর স্থানে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিন। এতে করে কাক বা পাখিরা কাছে আসবে না। ২ বা ৩ দিন রোদে দেওয়ার পর একটা পুরোনো মাটির পাত্রে নোনা মাছ রেখে মুখটা পরিচ্ছন্ন কাপড় দিয়ে বেঁধে ঘরের যে স্থানে রোদ আসে এমন শুকনো কোনায় রেখে দিতে হবে।

সারা বছর সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। সে ক্ষেত্রে বাদামি রঙের কাগজের ঠোঙাতে পেঁচিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। প্লাস্টিক বা পলিথিনে সংরক্ষিত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর এভাবে সংরক্ষণ করলে ফ্রিজের অন্য উপাদানে নোনা ইলিশের গন্ধ ছড়াবে না।

শাহি জর্দার রেসিপি

শাহি জর্দার রেসিপি

শাহি জর্দার নাম শুনলেই জিভে জল চলে। বেশিরভাগ সময় শাহী জর্দা আমরা বাইরে থেকে কিনে খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি ঘরেই বানাতে পারেন সুস্বাদু এই শাহী জর্দা। আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন শাহি জর্দা-

উপকরণ
পোলাও চাল ২৫০ গ্রাম, চিনি ২৫০ গ্রাম, ঘি এক কাপ, মোরব্বা টুকরো করে কাটা আধা কাপ, কাজুবাদাম কুচি এক টেবিল চামচ, দুধের সর এক কাপ, গুটি মিষ্টি ১০/১৫টি, জর্দার রং আধা চা চামচ কেওড়ার জল আধা চা চামচ।

তৈরি প্রণালি
একটি পাত্রে আধা কেজি পানিতে জর্দার রং দিয়ে চুলায় চাপিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে এলে এতে চাল চাপিয়ে সেদ্ধ করুন। পুরো সেদ্ধ করবেন না । এবার একটি ঝাঁজরিতে সেদ্ধ ভাত ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্র চুলায় চাপিয়ে এতে ঘি দিয়ে হালকা গরম করুন। এবার চিনি দিয়ে নাড়তে হবে।

চিনি গলে আঠালো হয়ে এলে এতে সেদ্ধ করা পোলাও চালের ভাত দিয়ে এর মধ্যে বাদাম ও মোরব্বা কুচি দিতে হবে। এভাবে চুলায় ১০/১৫ মিনিট পর্যন্ত নেড়ে রান্না করতে হবে। চিনির পানি শুকিয়ে এলে রান্না শেষ হবে। এর ওপর গুটি মিষ্টি ও দুধের সর ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শাহি জর্দা।

গুটি মিষ্টি আপনি চাইলে বাসায় নিজেই তৈরি করতে পারেন।

বানাতে যা যা লাগবে
ময়দা/আটা তিন টেবিল চামচ, তেল এক চা চামচ, গুঁড়া দুধ এক কাপ, ডিম একটি, চিনি এক চা চামচ, চিনির সিরা, ভাজার জন্য তেল।

গুটি মিষ্টি বানানোর প্রণালি

প্রথমে ময়দা আর গুঁড়া দুধ একসঙ্গে মেশান। তার পর এতে একে একে তেল, ডিম, চিনি দিয়ে ভালোমতো ময়ান করুন। এভাবে তৈরি করুন। এবার ছোট ছোট গোল্লা করে মিষ্টি শেপ করে একটা প্লেটে রাখুন। চুলায় পাত্র চাপিয়ে এতে তেল দিয়ে গরম করুন ভাজার জন্য।

মানে রাখবেন, মিষ্টি অবশ্যই অল্প আঁচে ভাজবেন, না হলে কাঁচা থেকে যাবে। ভেতরে মিষ্টি ভাজাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা পুড়ে যাবে না, আবার সবটাই ভাজা হয়ে যাবে। অন্য একটা হাঁড়িতে এক কাপ চিনি আর দুই কাপ পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। এখন ভাজা মিষ্টিগুলো তার মধ্যে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর মিষ্টিগুলো উঠিয়ে অন্য একটা বাটিতে রাখুন।

শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো

শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো

দেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডেঙ্গুর এই অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটিকে পুরোপুরি মহামারী বলা না হলেও এর দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে।

ডেঙ্গু জ্বর বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম। ডেঙ্গু জ্বরে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। আসুন জেনে যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুদের ডেঙ্গু জ্বর।

১. জ্বরের মাত্রা ১০২ ও ১০৩ বা এর থেকেও বেশি থাকতে পারে। এভাবে জ্বরটা তিন থেকে পাঁচ দিন থাকে।

২. মাথাব্যথা, চোখব্যথা, বমি, পেটে ব্যথা সঙ্গে পাতলা পায়খানা থাকতে পারে।

৩. শরীরে দানা দানা র‌্যাশের মতো দেখা দিতে পারে। এ সময় শিশু একেবারে নিস্তেজ হয়ে যায়।

৪. পালস খুব কম, পানি শূন্যতা ও অনেক শিশুদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

৫. প্লেটিলেট খুবই কম। অনেক সময় দেখা যায় তিন লাখ থেকে চল্লিশ হাজারে নেমে যায়।

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। এই ভাইরাস যদি একবার হয়, সে ভাইরাস দিয়ে পরে হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। দ্বিতীয়বার যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় তখন অনেক বেশি ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যায়।

রান্নার জন্য ননস্টিকি কি আসলেও নিরাপদ?

রান্নার জন্য ননস্টিকি কি আসলেও নিরাপদ?

খাওয়া-দাওয়ার বেলায় সবারই মনোযোগ থাকে খাবার সামগ্রী ও মশলার দিকে। স্বাস্থ্য ঠিক থাকে এ রকম চিন্তা মাথায় রেখেই খাবার বাছাই করা হয়। কিন্তু যেসব পাত্রে খাবার রান্না হচ্ছে, এ পাত্রের উপাদান মিশে গিয়ে খাবার দূষিত হতে পারে। তা থেকে আপনার স্বাস্থ্যহানিও হতে পারে। খাবার রান্নার পাত্র সুস্বাস্থ্যের একটি মাপকাঠিও বটে।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা মাথায় রাখলে, ঘরে রান্না করে খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই, কিন্তু রান্না ও খাওয়ার কাজে কোন পাত্র ব্যবহার করছেন, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুল পাত্রে রান্না করলে এই পাত্র থেকে কিছু উপাদান মিশে খাবারকে বিষাক্ত করে দিতে পারে। এ থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ।

এবার দেখা যাক কোন পাত্রে রান্না কতটা নিরাপদ :
অ্যালুমিনিয়াম, অক্সিডাইজ করা থাকে বলে এতে রান্না করলে বা গরম করলে খাবার দূষিত হয় না। তবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে গরম খাবার রাখলে বা এতে জড়িয়ে রান্না করলে সে খাবার দূষিত হতে পারে।

জার্নাল অফ অ্যালঝাইমার ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে জানা গেছে কম বয়সে অ্যালঝাইমার ও পার্কিনসন ডিজিজ দেখা দেওয়ার মূলে এই ধাতুটির ভূমিকা আছে। এছাড়া আমেরিকার স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যে এজেন্সি ফর টক্সিক সাবস্ট্যান্স ও ডিজিজ রেজিস্ট্রি (এটিএসডিআর) বার করা হয়, তাতে ক্ষতিকর ২০০টি রাসায়নিকের তালিকায় অ্যালুমিনিয়ামের নামও আছে। কাজেই খাবার প্যাক করার কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বদলে পার্চমেন্ট কাগজ ব্যবহার।

নন–স্টিক প্যান : শৌখিন রান্নাঘরের অঙ্গ। কম তেলে রান্না করতে ও সহজে পরিষ্কার করতে এর জুড়ি মেলা ভার। টেফলন, সিলভারস্টোন, টেফাল, অ্যানোলন, সার্কুলন, সেফালনসহ আরও অনেকে উপাদান রয়েছে এসব পাত্রে। যা রান্নার সময়ে খাবারের সঙ্গে মিশে দূষিত করে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে এসব উপাদানের সঙ্গে বন্ধ্যাত্ব, পড়াশোনার দক্ষতা কমে যাওয়া ও ওজন বাড়ার একটা যোগ আছে।

স্টেইনলেস স্টিল : ভাল মানের স্টিল দেখতে ভাল, কাজেও ভাল। এই ধরনের বাসন থেকে কোনও ক্ষতিকর ধাতু খাবারে এসে মেশে না৷ যদিও আয়রন, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ মিশলে বরং ভাল, কারণ আমাদের শরীরে এদের প্রয়োজনীয়তা আছে।

কিছু স্টিলের পাত্রে অ্যালুমিনিয়াম বা তামার প্রলেপ দেওয়া থাকে। কখনও আবার পাত্রের নীচে থাকে তামার প্রলেপ। অনেকক্ষণ তাপ ধরে রাখার জন্যই এসব করা হয় সচরাচর। তবে স্টিলের দুটি স্তরের মাঝে স্যান্ডুইচের মতো করে দেওয়া থাকে বলে, প্রবল ঘষাঘষিতে উপরের স্তর উঠে না গেলে কোনও ক্ষতি হয় না।

লোহার পাত্র : লোহার পাত্র দেখতে খুব একটা ভাল হয় না। তার উপর এতে রান্না করলে খাবার অনেক সময় কালো হয়ে যায়। টমেটো, লেবুর রস বা ভিনিগার দিয়ে করলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু এসব না ভেবে যদি লোহার কড়াই ব্যবহার করেন, কড়াই থেকে লোহা খাবারে মিশে পুষ্টি বাড়িয়ে দেবে। তবে হ্যাঁ, পলিসাইথিমিয়া নামে বেশি রক্ত থাকার অসুখ বা থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকলে নিয়মিত ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে।

তামা : এজেন্সি ফর টক্সিক সাবস্ট্যান্স ও ডিজিজ রেজিস্ট্রি (এটিএসডিআর)–এর প্রায়োরিটি টক্সিন তালিকার বেশ উঁচুতেই রয়েছে তামার নাম। সুস্বাস্থ্যের জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স–এর ডায়াটারি রেফারেন্স ইনটেক্সের মতে পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৯০০ মাইক্রোগ্রামের মতো তামা দরকার। আর তার পরিমাণ ১০,০০০ মাইক্রোগ্রাম বা ১০ মিলিগ্রামের থেকে বেড়ে না গেলে কোনও ক্ষতি নেই। কাজেই এসব পাত্রে রান্না করলে কি খেলে ভাল ছাড়া মন্দ হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।

মেলামাইন : এতে খাবার গরম করা বা রান্না না করাই ভাল। কারণ গলে না গেলেও এ থেকে সামান্য পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে খাবারে মিশতে পারে। মাইক্রোওয়েভ আভেন বা ডিশ ওয়াশারের তাপেও একই ব্যাপার ঘটতে পারে, যতই তা মাইক্রোওভেন-টেকসই বলা হোক না কেন।

সিরামিক : যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়। এতে গরম খাবার যেমন খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করলেও ক্ষতি নেই। মাইক্রোওভেন, ডিশ ওয়াশার বা ব্রয়লারের তাপেও সে ঠিকঠাক থাকে। দেখতেও সুন্দর।

মাটি বা পাথরের পাত্র : আগেকার দিনে মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করার চল ছিল। পানি রাখা হতো মাটির কলসি বা কুঁজোতে। গরমকালে সেই পানি খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। আজকাল অনেকে শখ করে পাথরের পাত্র ব্যবহার করেন। এতে ক্ষতির কিছু নেই।

তবে মাটির পাত্র একদিকে যেমন ভঙ্গুর, উচ্চতাপও সে বিশেষ সহ্য করতে পারে না। পাথরের বাসন অত ভঙ্গুর না হলেও তাপমাত্রার অনেকটা পরিবর্তন সে মেনে নিতে পারে না।

দুশ্চিন্তা দূরে থাক

দুশ্চিন্তা দূরে থাক। ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের টেনশনের কারণ রয়েছে হাজারো। আর এই টেনশনের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ধেয়ে আসে। তাই টেনশন দূর করার পরামর্শ প্রায়ই দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বলা যত সহজ, টেনশন দূর করা ততটাই দুরূহ।

নিজের মনের জোর তো চাই-ই, সঙ্গে দরকার কিছু পদক্ষেপ নেওয়াও। একটু সচেতন হলে এবং আবেগের পাশাপাশি একটু যুক্তি মেনে চললে টেনশন কাটানো খুব কঠিন কিছু নয়। কোনও বিশেষ কিছু নিয়ে টেনশন হলে অস্থির হবেন না। যে কোনও সমস্যার গুরুত্বই সময়ের সঙ্গে কমে। কাজেই এই ঘটনার গুরুত্বও কমবে।

নিজের কাজ করে যান। ফলাফল সব সময় আশানুরূপ নাও হতে পারে। তাই তা নিয়ে ভেঙে না পড়াই ভাল। অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই৷ যে কোনও মুহূর্তে যা খুশি ঘটতে পারে। ওলটপালট হয়ে যেতে পারে সব৷ মনকে সে ভাবে তৈরি রাখুন। সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া, অন্যকে সম্মান করা ইত্যাদি অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে, নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি সময় দিলে ব্যক্তিগত টেনশন কম থাকবে। কী পাননি তার হিসেব না করে কী পেয়েছেন তার হিসেব করুন।

আদর্শ হিসেবে সামনে কাউকে পান কি না দেখুন। যার জীবনযাপন, লড়াই করার ক্ষমতা, বিপদে অবিচল থাকার শক্তি সাহস জোগাবে৷ সে ক্ষেত্রেও টেনশন কমানোর দাওয়াই হতে পারে তার সঙ্গ। কেউ কিছু বলেছে শুনলেই ব্যাকুল হবেন না। ভেবে দেখুন, তিনি কি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী? গুরুত্বপূর্ণ কেউ? তেমন কেউ হলে ভেবে দেখুন কেন এমন হল। নিজের দোষ খুঁজে তা শোধরানোর মতো হলে শুধরে নিন।

কিছুটা দূরত্ব রেখে মিশলে অশান্তি কম হয়। সম্ভব না হলে যে সম্পর্ক থেকে বা যে কারণে অশান্তি হচ্ছে সেই বিষয় এড়িয়ে চলুন। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে টেনশন তৈরি হলে তাকে পুরনো হতে দেবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করুন।

ঈর্ষা জাগলে সাবধান। টেনশনের এ এক বড় কারণ। ভেবে দেখুন ঈর্ষার কারণ কিন্তু সেই চাহিদা। আর এক জন কিছু পেয়েছে যা আপনি পাননি। কাজেই কী পাননি সেই হিসেবে না গিয়ে কী পেয়েছেন তার তালিকা বানান। এবং আরও কী কী পেতে চলেছেন তার ছবি সামনে রেখে এগিয়ে চলুন। কোনও ভাবনা কষ্ট দিলে তাকে কাটাছেঁড়া করুন। কষ্টের ব্যাপার হলে কষ্ট হবে। তা মেনেও নিতে হবে। যা মানতেই হবে, তার জন্য আগে থেকে ভুল ভেবে কষ্ট পেয়ে কী লাভ?

প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের মানুষ প্রচুর আছে সংসারে। যারা অন্যদের ব্যঙ্গ–বিদ্রূপ করে আনন্দ পান। তেমন মানুষকে এড়িয়ে চলুন বা উপেক্ষা করতে শিখুন। রাগ পুষে রাখার অভ্যাস ছাড়তে হবে৷ কারণ এ ক্ষেত্রেও ক্ষতিটা শেষ পর্যন্ত আপনারই। পৃথিবীতে মজার জিনিস প্রচুর আছে। জীবনকে একটু সহজ ভাবে নিতে শিখলে রাগের বদলে মজা পাওয়ারই কথা।

নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না কোনও ভাবেই। কোনও মন্দ পরিস্থিতিকে বদলে দিয়ে ভাল করা যায় কি না ভাবুন, কিন্তু তা সম্ভব না হলে অকারণে সেই মন্দ পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে ভাববেন না। জীবন জীবনের নিয়মেই এগোবে, তাই তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

বানিয়ে ফেলুন গুড়ের জিলাপি

বানিয়ে ফেলুন গুড়ের জিলাপি

জিলাপির নাম শুনলে জিভে জল চলে আসতে বাধ্য। বাইরে মচমচে আর ভেতরটা রসালো এই মিষ্টি স্বাদের খাবারটি সবাই পছন্দ করেন। জিলাপি তৈরি করা যায় গুড় দিয়েও। চলুন রেসিপি জেনে নেওয়া যাক-

উপকরণ : ময়দা ১ কাপ। মাস কালাইয়ের ডাল ১/৪ কাপ। বেকিং পাউডার ১/৩ চা চামচ।

সিরার উপকরণ: গুড় ২ কাপ। পানি ১১/২ কাপ। এলাচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ। লেবুর রস ১ টেবিল চামচ। ঘি পরিমাণমতো (ডুবো তেলে ভাজার জন্য)।

প্রণালি:
প্রথমে মাস কালাইয়ের ডাল কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিন। এবার একটা বড় বাটিতে ময়দা আর বেকিং পাউডার একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে (১/৩ কাপের মতো পানি লাগবে) মসৃণ ব্যাটার তৈরি করে নিন। তারপর ডালের পেস্ট দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার গুড় আর দেড় কাপ পানি দিয়ে সিরা করে নিন । তারপর লেবুর রস আর এলাচ গুঁড়া দিয়ে মিলিয়ে চুলা বন্ধ করে হাঁড়ি সরিয়ে রাখুন। এখন চুলায় প্যান বসিয়ে ঘি দিয়ে গরম করে কেচাপের বোতল অথবা পাইপিং ব্যাগে ব্যাটার ভরে জিলাপি বানিয়ে মিডিয়াম আঁচে বাদামি করে ভাজুন। তারপর সিরায় দিয়ে দুই পিঠ ঘুরিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তুলে রাখুন।

ভালো থাকার কয়েকটি টিপস

ভালো থাকার কয়েকটি টিপস

আপনি হয়তো অন্যদের দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ছেন, কী করে তারা এত ভালো থাকছেন! তাদের হাসিখুশি থাকার রহস্যই বা কী! না, তাদের কারো জীবনই গল্পের মতো সুন্দর নয়। প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা আলাদা দুঃখ, কষ্ট থাকে। কিন্তু তারা সেসব পাশে সরিয়ে রেখেই খুশি থাকার উপায়টা জানেন। জেনে নিন আপনিও-

না বলতে শেখা জরুরি
আপনি যদি সোজাসুজি কথা বলতে জানেন, তবে তা আপনার জন্য ভীষণ ইতিবাচক একটি দিক। কারণ সোজাসাপটা না বলতে পারার জন্য অনেককেই পস্তাতে হয়। সোজাসুজি কথা বলতে পারাটা খুব জরুরি। সেখানে কোনো মিথ্যের আশ্রয় নেবেন না। নিজে নিজের সঙ্গে কথা বলুন। নিজেকে বোঝান যে এটা সত্যিই আপনার প্রাপ্য ছিল কিনা। এছাড়াও সেল্ফ মোটিভেশন খুবই জরুরি।

ফোকাস থাকুন
নিজেকে সময় দিন। নিজের ইচ্ছে পূরণে সচেষ্ট থাকুন। নিজে কী করতে চাইছেন, কেমন কাজ আপনার পছন্দ, জীবনটা কীভাবে দেখতে চান সবকিছু পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। নিজের ভুল নিজেই ধরুন। খুশি থাকবেন।

অতিরিক্ত আশা রাখবেন না
জীবনে খুব বেশি আশা রাখবেন না। সব সময় জিতে আসলেই মন থেকে জয়ী হওয়া যায় না। কিছু ক্ষেত্রে বরং নিজের আবেগকে প্রাধান্য দিন। যেটুকু পেয়েছেন তাই নিয়ে নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করুন। সময় নিয়ে কাজ করুন। দেখবেন ভালো থাকবেন। যাদের অতিরিক্ত আছে কিংবা কিছু না থেকেই বেশি দাম্ভিক মনে রাখবেন তাদের চেয়ে খারাপ কেউ থাকে না।

অন্যের জন্য ভাবুন
আপনার প্রিয়জনেরা নিশ্চয়ই চান না যে আপনি খারাপ থাকুন, কষ্টে থাকুন। আপনার ভালো থাকা, আপনার সাফল্যেই তারা খুশি। তাই তাদের কথাটাও মাথায় রাখুন। কোনোকিছুর জন্য আক্ষেপ না করে ধৈর্য ধরুন। সময়টুকু আনন্দে কাটান।

ঠান্ডা মাথায় ভেবে কাজ করুন
রাগের মাথায় হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে ভুল করার ভয় থেকে যায়। তাই রাগের বশে চট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভেবে কাজ করুন। যা করতে চাইছেন তা আদৌ আপনার পক্ষে ভালো কিনা। হয়তো এখন কিছু পাচ্ছেন না বলে তাই নিয়ে দুঃখ করছেন। তবে এই দুঃখ কিন্তু সাময়িক। ভরসা রাখুন। একদিন কেটে যাবেই। স্বপ্ন থাকলে তা পূরণ হবেই।

লটকনে আছে যেসব উপাদান

লটকনে আছে যেসব উপাদান

ছোট্ট গোলগাল নিরীহ চেহারার ফলটির নাম লটকন। হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। এখন চলছে লটকনের মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লটকন রাখতে পারেন।

লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে। পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। লটকনে ভিটামিন ‘সি’ আছে প্রচুর। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া।

ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। লটকনে ভিটামিন সি বেশি থাকায় দিনে দুতিনটি লটকন ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ করতে পারে। রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মি.গ্রা আয়রন থাকে।

লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল।

লটকনে কিছু পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৪৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে লটকন খান।

চিংড়ি মাছের মজার রেসিপি

চিংড়ি মাছের মজার রেসিপি

চিকেন কোর্মা কিংবা মাটন কোর্মা নিশ্চয়ই খেয়েছেন, এবার তাহলে চেখে দেখতে পারেন চিংড়ি কোর্মা। শুনতে একটু নতুন মনে হচ্ছে? এটি তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ। আর স্বাদ একেবারেই অসাধারণ। চলুন রেসিপি জেনে নেয়া যাক-

উপকরণ :
চিংড়ি মাছ আধা কেজি। পেঁয়াজ কুচি এক কাপ। গুঁড়া মরিচ দেড় চা চামচ। গুঁড়া হলুদ হাফ চা চামচ। জিরা বাটা দেড় চা চামচ। রসুন বাটা এক চা চামচ। কাঁচামরিচ আট থেকে দশটি। নারিকেল একটি। তেল ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি :
প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। নারিকেল কুড়িয়ে অর্ধেক নারিকেল বেটে রসটুকু চিপে নিয়ে ছোবড়াগুলো ফেলে দিন, এবং বাকি কোড়ানো নারিকেল রেখে দিন।

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাঝারি লাল হলে মাছগুলো ভাজা ভাজা করুন এবং অল্প পানি দিয়ে গুড়ো মরিচ, হলুদ, জিরা ও রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।

ভালো করে কষানো হলে এবার নারিকেল দুধ এবং কোরানো নারিকেল ও কাঁচামরিচ দিয়ে মাছগুলো মাখা মাখা ভুনা করুন। ভুনা হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম ভাত অথবা পোলাও দিয়ে পরিবেশন করুন।

অপরিষ্কার পানির বোতলে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

অপরিষ্কার পানির বোতলে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

ব্যক্তিগত এবং একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল ব্যবহার করা একটি স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত। তবে এই পানির বোতল সময় মতো পরিষ্কার করা না হলে সেই বোতলের পানি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ইত্যাদি জীবাণু আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে।

নিউ জার্সির উইলিয়াম পিটারসন ইউনিভার্সিটির এক মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেন, “এই জীবাণুগুলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বোতলের পানিকে সংক্রমিত করতে পারে, বিশেষ করে যখন বোতলের মুখ খুলে ফেলে রাখা হয়।” তাই স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের অবলম্বনে জানানো হল এই পানির বোতলে কীভাবে জীবাণু ছড়ায় এবং কতদিন পর পর বোতল পরিষ্কার করা উচিত।

জীবাণু সংক্রমণের প্রক্রিয়া: বোতলে মুখ লাগিয়ে পানি পান করলে মুখের লালা থেকে ব্যাকটেরিয়া পানিতে মিশে যায়। মুখে কোনো খাদ্যকণা থাকলে সেটাও বোতলের পানিতে মিশে যেতে পারে যা পরিষ্কার করা না হলে পরে সৃষ্টি করবে জীবাণু। এই কারণেই পানির বোতল একাধিক মানুষের মাঝে ভাগিভাগি করতে নিষেধ করা হয়। পরিবারের সবার জন্য পৃথক পানির বোতল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর অসুস্থ অবস্থায় নিজের পানির বোতল অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার আগে আরও বেশি সাবধান থাকা উচিত।

পানির বোতল কোথায় রাখবেন সে বিষয়েও সাবধান হওয়া জরুরি। আর্দ্র পরিবেশ জীবাণুর বংশবিস্তারের গতি বাড়ায়, বিশেষ করে বোতলটি যদি স্বচ্ছ হয়। জীবাণু সংক্রমিত বোতল ব্যবহারের ঝুঁকি: একজন অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসার কারণে যেসব রোগ সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে তার সবগুলোই ছড়াতে পারে পানির বোতলের মাধ্যমে। এমন নয় যে যত জীবাণুর সংস্পর্শে আসবেন তার সবগুলোই রোগের কারণ হবে। তবে নতুন জীবাণুর সংস্পর্শে আসা রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।

পানির বোতল পরিষ্কার: ব্যক্তিগত পানির বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। দিন শেষ ঘরে ফিরে পানির বোতল খালি করে তা বাসন পরিষ্কার করার সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করাকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সাবান ধুয়ে ফেলার জন্য কয়েকবার পানি ভরে বোতলটি ঝাঁকিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

বোতলের পুরানো পানিতে নতুন করে পানি মেশানো উচিত নয়। পুরানো পানি ফেলে দিয়ে নতুন করে পানি নিতে হবে।

নতুন জুতায় ফোস্কা পড়লে কি করবেন?

নতুন জুতায় ফোস্কা পড়লে কি করবেন?

নতুন জুতা পরলে পায়ে অনেকেরই ফোস্কা পড়ে। নতুন জুতা পরে ঘণ্টা খানেক হাঁটা চলা করার পর গোড়ালির পিছন দিকে, আঙুলের পাশে বা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়তে পারে। একবার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা চলা করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কয়েকটি উপায়ে ফোস্কা সারিয়ে তোলা যায়। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

১. নতুন জুতার ঘষায় ফোস্কা পড়লে ফোস্কার জায়গায় দিনে অন্তত ৩ বার মধু লাগিয়ে দেখুন। এতে ফোস্কা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

২. নতুন জুতা পরার আগে পায়ে ভাল করে সরিষার তেল বা নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। এতে পায়ে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

৩. নতুন জুতার ঘষায় ফোস্কা পড়লে ফোস্কার জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগান। এতে পায়ের ফোস্কা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

৪. জুতার চামড়ার যে জায়গাগুলো খুব শক্ত সেখানে ভেসলিন লাগিয়ে রাখুন। এতে জুতার সেই জায়গাগুলো কিছুটা নরম হয়ে যাবে। কমবে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকিও।

৫. জুতার যে জায়গাগুলো খুব শক্ত, পায়ে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়তে পারে, সেই জায়গাগুলোতে টেপ দিয়ে বন্ধ করে দিন। এতে পায়ে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

৬. সামান্য পানির সঙ্গে কিছুটা আটা গুলিয়ে থকথকে অবস্থায় ফোস্কার উপর লাগান। এতে পায়ের ফোস্কা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।