সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

অনলাইনে পোশাক কেনাকাটার আগে

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অভাব হচ্ছে সময়ের। কারণ নাগরিক এই ব্যস্ততায় মেলে না দু’দণ্ড অবসর। কেনাকাটার কাজ তাই অনলাইনেই সারতে চান অনেকে। বিশেষ করে দোকানে গিয়ে পোশাক কেনার ঝামেলায় না গিয়ে অনলাইনেই অর্ডার করে দেন। আর সেই পোশাক কেনার পর অনেক সময়েই হতাশ হতে হয়! হয়তো ডিজাইনটা ছবিতে দেখতে যেমন লাগছিল, সামনাসামনি ঠিক তেমনটা দেখাচ্ছে না, অথবা মেটিরিয়ালটা ঠিক মনের মতো হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মোটামুটি সবাইকেই পড়তে হয়। জেনে নিন এসব এড়িয়ে কিভাবে অনলাইনে পছন্দের পোশাকটি কিনতে পারবেন-

হুট করে অনলাইনে কোনো পোশাক কিনবেন না, বিশেষ করে নতুন কোনো স্টাইল ট্রাই করার আগে ভালো করে রিসার্চ করে নিন। কাস্টমার রিভিউ দেখুন, বিশদে প্রডাক্ট ডিটেলস ও স্টাইলটি সম্পর্কে পড়ুন। প্রয়োজনে নিজের শরীরের মাপ নিয়ে তারপর অর্ডার দিন।

আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট যে দামে বিক্রি করছে সেটাই সর্বনিম্ন কিনা যাচাই করে নিন। আরও কয়েকটি সাইট ঘেঁটে দেখুন অন্য কোথাও ভালো ডিল বা শিপিং চার্জে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে কিনা।

বেশিরভাগ ওয়েবসাইটেই কিছু কিছু নির্বাচিত পোশাকের উপর বাড়তি ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে। সেটা খতিয়ে দেখে তবেই অর্ডার দিন।অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকলে সেলের নোটিফিকেশনও আসতে থাকে। প্রথমবার কোনো ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করলেও ভালো ছাড় পাওয়া যায় এবং সাধারণত একটি কুপন দেওয়া হয়। এগুলো হাতছাড়া করবেন না।

পোশাক বদলাতে হোক বা না হোক, ওয়েবসাইটের রিটার্ন আর এক্সচেঞ্জ পলিসি সম্পর্কে বিশদ জানা থাকলে পরবর্তীতে আপনারই সুবিধা হবে।

কোনো সমস্যা হলে যাতে ক্রেতারা যোগাযোগ করতে পারেন, সেই কারণে একটি ফোন নম্বর ও ঠিকানা থাকা উচিত প্রতিটি ওয়েবসাইটে। যেখান থেকে আপনি কেনাকাটা করছেন, সেখানে তা আছে তো? না থাকলে কিন্তু নকল জিনিসও ডেলিভারি পেতে পারেন। তাই সতর্ক থাকুন।

বাটার শিশুর জন্য কতটুকু জরুরী

বাটার শিশুর জন্য কতটুকু জরুরী

বহু কাল আগে থেকেই খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে এখন অনেক বাবা-মায়েরা এতটাই স্বাস্থ্য সচেতন যে ফ্যাটের ভয়ে বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন। বাইরে থেকে কিনে যে সকল ফ্যাট জাতীয় খাবার সন্তানদের খাওয়ানো হয় তার মধ্যে সব চেয়ে স্বাস্থ্যকর কিন্তু ঘি। একটি নির্দিষ্ট পরিমান ও নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ঘি শিশুকে খাওয়ানো যেতেই পারে। শিশুকে কেন ঘি দেয়া উচিত তা জেনে নিন।

ঘি চর্বির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উৎস। যা প্রতিদিনের শক্তিও বাড়ায়। এটি শৈশবের সময় দৈহিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজন। শৈশব থেকে সুস্বাস্থ্য পেতে হলে ঘি খুবই প্রয়োজন। এতে থাকা প্রাকৃতিক চর্বি এবং এনার্জি সঠিক বৃদ্ধিতে কাজ করে।

সাধারণত জন্মের সময়ের ওজন ১ বছরে তিনগুন হয়, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ৬ মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারে একটু ঘি শিশুর সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

যেহেতু শৈশবের সময় বৃদ্ধি দ্রুত হয় তাই বাচ্চার শরীর বেশি পরিমানে ক্যালোরি চায়। ১ গ্রাম ঘিতে ৯ ক্যালোরি থাকে। কাজেই খাবারে একটু ঘির ব্যবহার তাকে স্বাস্থ্যবান করে।

প্রথম এক বছর শিশুর মস্তিস্ক গঠন হয়। আর এই মস্তিস্কের ৬০% তৈরি হয় ফ্যাট থেকেই। এক ধরণের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ব্রেন গঠনে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়িতে তৈরি করা ঘিতে এই স্বাস্থ্যকর ভ্যাট থাকে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ঘি।

এছাড়া ঘির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শিশুর শরীরের ইনফেকশন এবং রোগ প্রতিরোধ করে। শিশুকে ঘি দিলে সে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শোষণ করতে পারে দ্রুত ফলে শরীরের বৃদ্ধি হয় ভাল।

ক্যান্সার সারবে যেসব মসলায়

ক্যান্সার সারবে যেসব মসলায়

আমাদের দেশে রান্নার সময় নানা ধরণের মসলার ব্যবহার বহু প্রাচীন। এই সব মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে স্বাস্থ্যেও অনেক উপকার করে থাকে। এছাড়াও কিছু মসলা আছে যা ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধে কাজ করে।

ঝাল স্বাদের এই খাদ্যে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে। অবশ্য অতিমাত্রায়া ঝাল খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা। ক্যাপসিকামের উপাদান লিউকোমিয়া টিউমারের কোষকে বাড়তে দেয় না।

আদা
আদা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল কমায়। খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এর উপাদান।

ওরেগানো
এই মসলাটি সম্পর্কে অনেকেই বেশি কিছু জানেন না। আমরা যে পিৎজা বা পাস্তা খাই তাতে ব্যবহার করা হয় ওরেগানো। এটি খাবারের স্বাদ বহু গুণ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মাত্র এক কাপ ওরেগানোতে কোয়ারসেটিন থাকে যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে এমন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।

দারুচিনি
আমাদের দেশে যে মসলাটি রান্নায় সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হলো দারুচিনি। মাত্র অর্ধেক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া খেলে আপনি ক্যান্সারমুক্ত থাকতে পারবেন। এই মসলাটি টিউমার বাড়তে প্রতিরোধ করে।

জিরা
জিরাও কিন্তু শরীরের জন্য খুব উপকারি একটি মসলা। যা খাবার হজমে অনেক সাহায্য করে। এছাড়া জিরায় থাইমোকুইনন নামের উপাদান রয়েছে, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

জাফরান
এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ক্যারোটেনয়েড ডিকার্বোক্সাইলিক এসিড, যার নাম ক্রোসেটিন। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে খুব ভাল একটি উপাদান। জাফরান বা সাফরন ক্যান্সার টিউমারের আকারকে প্রায় অর্ধেকে করে দিতে পারে অল্প সময়ের মধ্যে।

হলুদ
ঝাল যেকোনো খাবারে হলুদের ব্যবহার না হলে কি চলে। একটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, এর পলিফেনল উপাদান প্রোস্টেট ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর।

শীতকালই কেন বিয়ের মৌসুম?

শীতকালই কেন বিয়ের মৌসুম?

বছরে সব চেয়ে বেশি বিয়ে হয় শীতকালে। এই জন্য শীতকালকে বলা হয়ে থাকে বিয়ের মৌসুম। শীতের সময় দিন ছোট হলেও বিয়ের আয়োজনে পাওয়া যায় নানা রকম সুবিধা।

শীতের সময়ে অনেকেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেন বা বেশি খেতে পারেন না। তাই বিয়ের খাওয়ার খরচ কম হবে চিন্তা করে অনেকেই বিয়ে এই সময়ে বিয়ে করে থাকেন।

বিদ্যুৎ বিল কম আসে
শীতকালে গরমকালের মত ফ্যান বা এসি ব্যবহার করতে হয় না। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ফ্যান বা এসি প্রয়োজন কম পড়ে। যে কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ বিলও কম আসে।

শীতে পরিশ্রম করা সহজ
একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কত রকমই না পরিশ্রম আর কাজ করতে হয়। প্রায় ১ মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। কিন্তু এই সময়ে গরমকালের মত কাজ করলেই এনার্জি চলে যায় না। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে ক্লান্তি আসে না।

বিয়ের সাজ
আমাদের দেশে বিয়ের সাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শীতে বিয়ের সাজ অনেক সময় থাকে আর ভারী কাপড়ে অস্বস্তিও লাগে না। তাই বর কনে এই সময়টিকেই বেছে নেন বিয়ের জন্য।

ফুলের দাম কম থাকে
শীতকালকে বলা হয় ফুলের মৌসুম। বাজারে এই সময়ে ফুলের কোনো কমতি থাকে না আর দামও তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। তাই স্টেজ ডেকরেট ও বিয়ের নানা আয়োজনে ফুল কিনতে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। তাই অনেকেই এখান থেকেও বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় করতে পারেন।

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া কমার উপায়

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া কমার উপায়

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনো কারণে মনোমালিন্য বা ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু তা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে তবে এর কারণে আপনার সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে। এছাড়া মানসিক কষ্ট তো দুইজনকেই পেতে হয়। কিন্তু এই ঝগড়ার সমাধান কী জানেন?

দুইজন মানুষ যেমন আলাদা, তেমনি তাদের চাওয়া-পাওয়াও আলাদা। কাজেই একজন মানুষ যখন তার চাওয়া অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে তা না পান তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

কথা বলার প্রস্তুতি নিন
যে বিষয়গুলো দুইজনের মধ্যে মিলছে না তা নিয়ে কথা বলুন। জানতে চান তার কী বক্তব্য বা সে আপনার কাছ থেকে কী আশা করেন।

অভিযোগ কম
তুমি আমাকে সময় দাও না এই কথাটি না বলে বরং বলুন আমি তোমাকে মিস করি। তাছাড়া নিজে সব কথা না বলে বরং সঙ্গীর কথা শুনুন ও তাকে কথা বলার সুযোগ দিন।

সমাধান খুঁজুন
ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন সহনশীলতা। ভালোবাসার মানুষটির পছন্দ নয় বা কী তাকে কষ্ট দেয় তা জানুন। আর এ বিষয়ে কথা বলে বা আলোচনা করে সমাধান বের করুন।

ক্ষমা করুন
পুরনো ঝগড়া টেনে না এনে বরং ক্ষমা করে দিন। ভালোবাসার সম্পর্কে একে অপরকে ক্ষমা করার মনোভাব খুবই জরুরি। একে অপরকে জড়িয়ে ধরুন কিংবা কোথাও ঘুরতে যান। যা ঝগড়া কমাতে খুবই উপকারি।

নতুন পরিকল্পনা করুন
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া না করে আগামি দিনের জন্য পরিকল্পনা করুন। এই ধরণের পরিকল্পনা দুই জনের মধ্যে ঝগড়া অনেক কমিয়ে দেয়।

বাইকারদের ত্বকের যত্ন

কিছু জরুরি পরামর্শ

যারা নিয়মিত রোদে বের হন তারা প্রচুর পরিমাণ পানি খাবেন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাজা ফলমূল এবং শাক সবজি রাখতেও ভুলবেন না। আর বাইরে থাকা কালীন, ফলের রস, তাজা ফল বা ডাবের পানি খান। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেবে না।

ত্বক যদি খুব বেশি পুড়ে যায় সাথে সাথে কিংবা বাসায় ফিরে পোড়া জায়গায় বরফ ঘষলে উপকার পাবেন। সম্ভব হলে শসা কিংবা আলু থেঁতো করে ঠান্ডা করে লাগালেও উপকার পাবেন। এতে রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে। ত্বকের পোড়া অংশে তুলায় ভিজিয়ে দুধ লাগালে ত্বকের উপর একটা প্রোটিনের আবরণ ফেলে ও ত্বককে দ্রুত সুস্থ করে। রোদে পোড়া ত্বকে টকদই লাগালেও উপকার পাবেন।

ত্বক রোদে পুড়ে গেলে গোসলের পানিতে এক কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার বা দুই কাপ বেকিং সোডা বা ক্যামোমাইল অথবা ল্যাভেন্ডার ফ্লেভারের এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। এতে শরীরের স্বাভাবিক পিএইচ ব্যালান্স ঠিক করে রোদে পড়া ত্বক দ্রুত সুস্থ করবে।

গোসলের পর ত্বকে ভিটামিন ই যুক্ত তেল লাগালে রোদে পোড়া ত্বক দ্রুত আরোগ্য হবে। বৃষ্টিতে বা ঘামে চুল ভিজে গেলে দ্রুত শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল ড্যামেজড হয়ে ঝরে পড়ে বা চুলের গোঁড়ায় খুশকি দেখা দেয়। বাসায় এসে সম্ভব হলে শ্যাম্পু করে ফেলবেন।

স্বামী-স্ত্রীর কোয়ালিটি টাইম নষ্ট করছে প্রযুক্তি

স্বামী-স্ত্রীর কোয়ালিটি টাইম নষ্ট করছে প্রযুক্তি

মনের সঙ্গে শরীর। এই দুই এর ঠিক মিলমিশই বিশ্বের যে কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক বিবাহিত সম্পর্কের বুনিয়াদ বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ যৌনতা কেবল সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে এমনই নয়, মানসিক অবসাদ দূর করা, জীবনীশক্তি বাড়ানো ইত্যাদি নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে এর।

কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যৌন জীবনে নিরাসক্তি ও বিছানায় অনীহা বিশ্বের প্রায় সব দেশের দম্পতিদের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। আর তার মূলে রয়েছে স্মার্টফোন! সম্প্রতি এক যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার গবেষণায় উঠে এল এমনই চমকপ্রদ তথ্য! লিভ টুগেদার হোক বা বিবাহিত সম্পর্ক— সব ক্ষেত্রেই যৌন জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেডরুমেও স্মার্টফোনের হাতছানি। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই মোহপাশ কেটে সঙ্গীর দিকে মন দেওয়ার সময়ই থাকছে না কারও! এমনকি, সদ্য বিবাহিতরাও বাদ নন এই তালিকা থেকে। ফলে ‘কোয়ালিটি টাইম’-এর হাহাকার বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নানা সামাজিক ও সাংসারিক জটিলতা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার দম্পতির উপর চালানো সমীক্ষা থেকে জানা যায়, তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই একান্ত নিজস্ব সময়ও রতিক্রীড়ার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোনে। শুধু তা-ই নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ অধিকাংশের দাবি, ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাদের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর মুখ নয়, মোবাইলেই মনযোগ থাকে। এমনকি, এদের কারও কারও একই বাড়িতে থেকেও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠছে স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কথা বা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমেই!

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৫৫ শতাংশের মত, কেবল যৌন জীবনই নয়, অত্যাধিক ফোন ব্যবহারের কারণেই নিজেদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কও ব্যাহত হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ জানাচ্ছে, মোবাইল আসক্তির কারণে তাদের মধ্যে বিশেষ কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই বহু দিন ধরেই।

ঝলমলে চুলের জন্য ডিম

ঝলমলে চুলের জন্য ডিম

চুল সুন্দর হোক কে না চায়। ঘন চুলের কদর নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই আছে। তবে আধুনিক জীবনযাত্রা,কর্মব্যস্ততার যুগে আলাদা করে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় অনেকেরই হয় না। ফলে একটা বয়সে পৌঁছনোর পরেই চুল পাতলা হতে শুরু করে। যার ফলাফল টাক।

চুল পাকলে ঘরোয়া উপায়ে রাসায়নিক রং ব্যবহার না করেও তাকে আয়ত্তে আনা যায়, কিন্তু চুল ঝরে যাওয়া ঠেকাতে তেমন চটজলদি কোনও সমাধান হাতের কাছে থাকে না। যদি ঘরোয়া এই উপায় মেনে চলেন তবে চুল পাতলা হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারেন নিমেষে। অল্প খরচে সহজ এই সমাধানের উপায় দেখে নিন।

ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, আয়রন, জিঙ্ক এগুলি চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্বে বিশেষ কাজে আসে। কথায় বলে ‘তেলে চুল তাজা’। আসলে ক্যাস্টর অয়েল বা নারকেল তেলে প্রচুর ভিটামিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে অপরিহার্য। তাই এই মিশ্রণের প্রভাবে চুল পড়া রোধ হবে।

চুলে যেভাবে ডিম ব্যবহার করবেন

একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে নিন।এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন।ক্যাস্টর অয়েলের পরিবর্তে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ ভাল করে ফেটিয়ে একটা মাস্ক তৈরি করে নিন।

সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক ভাল করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন।মাথার তালুতে মাসাজও করুন। এই অবস্থায় আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পুর পর চুলে অপেক্ষাকৃত মৃদু কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

বড়দিনের মজার রেসিপি

বড়দিনের মজার রেসিপি

কুকিজ

উপকরণ : বাটার ২৫০ গ্রাম, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, আইসিং সুগার ১২৫ গ্রাম, ভ্যানিলা অ্যান্সেস ১ চা চামচ, ময়দা ৩০০ গ্রাম, ডিম ১টি।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমেই বাটার এবং চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে একটি ডিম দিয়ে আরও কিছুক্ষণ মেশাতে হবে। এর পর ময়দা এবং বেকিং পাউডার দিয়ে একটু ভ্যানিলা অ্যান্সেস দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে ডো বানিয়ে নিতে হবে এবং বিস্কুটের শেপ করতে হবে। বেকিং ট্রে-তে বাটার ব্রাশ করে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি হিট করে ১০-১২ মিনিট বেক করতে হবে।

চকোলেট কুকিজ

উপকরণ : বাটার আধা কাপ, ময়দা কোয়ার্টার কাপ, বেকিং পাউডার কোয়ার্টার চা চামচ, আইসিং সুগার ১ কাপ, বাদামি চিনি এক টেবিল চামচ, ডিম ৪টি, ডার্ক চকোলেট গুঁড়া আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমেই বাটার এবং চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যেই একটি ডিম দিয়ে আরও কিছুক্ষণ মেশাতে হবে। ময়দা, ডার্ক চকোলেট গুঁড়া, বেকিং পাউডার দিয়ে একটি ডো বানিয়ে নিতে হবে এবং ১০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ডো বেশি পাতলা না হয়ে যায়, তাহলে বিস্কুট আকার হবে না। এরপর থেকে গোল গোল করে বিস্কুটের শেপ করে নিতে হবে এবং বেকিং ট্রে-তে বাটার ব্রাশ করে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি হিট করে ১০-১২ মিনিট বেক করতে হবে। পরিবেশন করুন গরম গরম মজাদার ক্রিসমাস চকোলেট কুকিজ।

চকোলেট কেক

উপকরণ : ময়দা ১ কাপ, ডিম ৫টি, বেকিং পাউডার দেড় চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, তেল ১ কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, চকোলেট অ্যাসেন্স ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে ডিমের সাদা অংশ খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন তারপর কুসুম দিয়ে ভালো করে মিক্স করুন। ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার, গুঁড়া দুধ একসঙ্গে চেলে নিন। এরপর ডিমের সঙ্গে অল্প অল্প করে চিনি ও তেল মেশান। ময়দা, বেকিং পাউডার, গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নিন। পরে চকোলেট অ্যাসেন্স মিশিয়ে দিন। ওভেনে ২০০ ডিগ্রিতে ৩৫ মিনিট বেক করুন। নামানোর পর কেক ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

ঘরেই তৈরি করুন জলপাই তেল

ঘরেই তৈরি করুন জলপাই তেল

সবুজ কিংবা কালো- যেকোনও জলপাই দিয়েই অলিভ অয়েল বানানো যায়। জলপাই কেটে বিচি বের করে ফেলে দিন। ছোট ছোট টুকরা করে কেটে বেটে নিন জলপাই। চাইলে ব্লেন্ডও করে নিতে পারেন। তবে একদম মিহি পেস্ট করতে হবে।

চুলায় কড়াই চাপিয়ে জলপাই বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে দেখবেন তেল উঠতে শুরু করেছে। তেল উঠে গেলে একটি পাতলা ও পরিষ্কার সুতি কাপড়ের উপর ঢেলে দিন জলপাইয়ের মিশ্রণ। চেপে চেপে তেলটুকু সংগ্রহ করুন। মুখবন্ধ বয়ামে সংরক্ষণ করুন খাঁটি অলিভ অয়েল।

বয়স কমাবে যেসব খাবার

বয়স কমাবে যেসব খাবার

বয়স বাড়লেও চেহারায় তার ছাপ পড়বে না- এরকম আকাঙ্ক্ষা সবারই। কিন্তু বাস্তবতা হলো বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় তার ছাপ তো পড়েই, বরং অনেক সময় বয়সের থেকেও বেশি বয়স্ক লাগে দেখতে। এর কারণ অনেকগুলো থাকলেও অন্যতম কারণ হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস। অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা আমাদের চেহারায় ম্লানভাব নিয়ে আসে। এদিকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাদ্যভ্যাস আপনার বয়সের ছাপ ভিতর থেকে প্রতিরোধ করতে পারে। এই খাবারগুলো আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার পাশাপাশি আপনার বয়সও কমিয়ে দেবে অনেকটাই-

প্রতিদিন রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এছাড়া এক চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে ত্বকে মালিশ করুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং সেই সঙ্গে যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

পালং শাকে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়েম, ভিটামিন এবং মিনারেল। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট পাওয়া যায় যা দেহের ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয় এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

বাদাম বা বিশেষ করে আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা ত্বককে মসৃণ করে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। আখরোটে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব কম থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি রাখতে পারেন যে কোনও বাদাম।

টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান লাইকোপেন যা বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে খুবই কার্যকর। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

হলুদে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামমেটরী উপাদান যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে বয়সের ছাপ পড়া রোধে বিশেষ সাহায্য করে থাকে।

প্রতিদিন ডায়েটে চকলেট, কোকো বা এজাতীয় কিছু খেতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো অসুখ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে চকলেট। আর ত্বকের বলিরেখা রুখতে চকলেট ফেশিয়ালের কথা তো অনেকেই শুনেছেন।

দিন শুরু করুন এক গ্লাস ডালিমের রস খেয়ে। এটি আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করবে। ডালিমে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে তাকে টানটান রাখতে সাহায্য করে।

ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ডিটক্সিফিকেশন আছে যা দেহ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে কোষকে সতেজ রাখে। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন খাদ্য তালিকায় ব্রকলি রাখুন। উপকার পাবেন।

ত্বকের যত্নে গোলাপ

শীতে ত্বক ফাটা রোধ করতে খানিকটা বাড়তি যত্ন তো নিতেই হয়। ত্বক কোমল রাখতে এসময় ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার। প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি এই ময়েশ্চারাইজার পুরো শীতকাল জুড়েই আপনার ত্বক রাখবে সুন্দর ও নরম। জেনে নিন গোলাপের ময়েশ্চারাইজার কীভাবে তৈরি করবেন।

মিক্সারে ১/৩ কাপ সিয়া বাটার নিন। এটি বাদাম থেকে তৈরি এক ধরনের বাটার যা পেয়ে যাবেন যে কোনও সুপার শপে।

৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিন বাটারের সঙ্গে। উপকরণ দুটি ভালো করে মিক্স করুন। গোলাপের পাপড়ি ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। ১ টেবিল চামচ গুঁড়া দিন বাকি দুই উপকরণের মিশ্রণে। সব উপকরণ মিহি হওয়া পর্যন্ত একসঙ্গে ফেটান।

মিহি পেস্ট তৈরি হলে মুখবন্ধ বয়ামে রেখে দিন ফ্রিজে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন ত্বকে।

_______________
তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট।

গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দেবে লবঙ্গ

গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দেবে লবঙ্গ

প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায় এমন একটি মসলা হল লবঙ্গ। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলির অন্যান্য খাবারের মধ্যে লবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাথাব্যথা, মুখের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন, সাইনাস, ফ্লু এবং সাধারণ ঠাণ্ডা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য পরিচিত এই লবঙ্গ।

দীর্ঘকাল ধরে অম্লতা চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। লবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পেরিস্টালিসিস (পাকস্থলীতে খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ) বৃদ্ধি করে, লালা উৎপাদন বাড়ায়, পাচনে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লেক্স বন্ধ করে। লবঙ্গ পেটের প্রদাহ কমায়। পেটের অন্যান্য রোগ যেমন বুক জ্বালা, অম্লতা এবং বদহজমেও এই লবঙ্গ উপকারী। লবঙ্গের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালিতে উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যই গ্যাস তৈরি হতে দেয় না।

যেভাবে অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন:
একবার লবঙ্গের একটি টুকরো মুখে নিন, হালকা চিবিয়ে তার রস বের করে সেটি মুখেই রেখে দিন। আস্তে আস্তে ক্ষরিত হওয়া রস অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লেক্স হতে দেয় না। খাবার পরেই এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন।

চুলের সৌন্দর্যে গ্রিন টি

চুলের সৌন্দর্যে গ্রিন টি

গ্রিন টির লিকার দিয়ে প্রতিদিন চুল ধুয়ে নিন। দ্রুত লম্বা হবে চুল। এছাড়া চুল পড়ে যাওয়া ও চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় গ্রিন টি।

যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন :
গরম পানিতে তিনটি গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা হলে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি না মেশালেও চলবে। চুল শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একদম শেষে গ্রিন টির মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে মুছে নিন। প্রাকৃতিক বাতাসে শুকিয়ে নিন চুল। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।
কেন ব্যবহার করবেন গ্রিন টি?

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় গ্রিন টি থেকে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুল করে ঝলমলে ও মজবুত। চুল পড়া কমায় গ্রিন টি। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

______________
তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট

ওষুধ ছাড়াই দাঁতের সমস্যা সমাধান

ওষুধ ছাড়াই দাঁতের সমস্যা সমাধান

শীতে যে সব সমস্যার উপদ্রব বেশি বাড়ে, তার মধ্যে দাঁতের সমস্যা অন্যতম। ঠান্ডা আবহাওয়া দাঁতের ব্যথা বা দাঁতে নানা সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। ঠান্ডায় দাঁতে শিরশিরানি বা ব্যথার প্রকোপও বাড়ে।

সাধারণত দাঁতের বড়সড় কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া ভিন্ন উপায় থাকে না। কিন্তু অনেক সময় হাতের কাছে চিকিৎসক পাওয়া যায় না, কখনও বা চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে অনেকটা সময় লাগে।

কিন্তু ব্যথা বা সমস্যা কমার কোনও উপায় জানা থাকলে সে সময় আরাম পাওয়া যায়। তা ছাড়া ছোটখাটো দাঁতের সমস্যা সারাতেও এই সব উপায় কাজে আসে।

জানেন কি, কোন ঘরোয়া উপায়ে সহজেই দাঁতের যে কোনও সমস্যা থেকে অনেকটা আরাম পাবেন? নামমাত্র খরচে এই উপায় কাজে আসতে পারে আপনারও।

খুব সহজে মেলে এমন দুই উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সমাধান। প্রয়োজন কেবল নারকেল তেল ও লবঙ্গের গুঁড়ো। এ বার একটি পাত্রে নারকেল তেলের মধ্যে বেশ কিছুটা লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ভাল করে ফেটিয়ে এই মিশ্রণ ব্রাশের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দিনে বার তিনেক এমনটা করলে অনেকটা আরাম মিলবে দাঁতের ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা থেকে।

নারকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দাঁতের গোড়ার নানা সমস্যা ও সংক্রমণ রোধ করে। এ ছাড়া লবঙ্গের গুঁড়োয় থাকা ইউজিনল দাঁতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে। সুতরাং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই ব্যথাকে কব্জা করার এই সহজ উপায়ে আস্থা রাখলে আরাম পাবেন সহজেই।