সৈয়দ হিলাল সাইফ এর সকল পোস্ট

দৈত্য

দৈত্য

যেই দেশে সর্বদা প্রবাহিত শৈত্য
সেই দেশে শুনেছি বাসকরে দৈত্য।

শোনা কথা দৈত্যের চুল নাই
এই কথাটায় কোন ভুল নাই ?

দৈত্যরা দিনে থাকে গর্তে
রাত হলে বেড় হয় শর্তে !

সুর্যের আলো ভালোবাসেনা
দিবালোকে তাই তারা আসেনা।
দৈত্যরা কাজ করে রাত্রে
দিনভর দেয় ঘুম পাত্রে।

দৈত্যরা খুব বেশি খায়না
নুডুল আর পাস্তা খেতে যায়, চায়না।

একদিন ভুল করে খায় ব্যাঙ স্যুপ
সেই থেকে দৈত্যরা আজো আছে চুপ।
দৈত্যের শুনেছি ভরা চেলা চামচায়
তাই বেশি ঘাটিনা যদি ধরে খামচায় ?

মুজিব অর্থ

শোকের মাস◾

মুজিব অর্থ

মুজিব অর্থ শক্তি এবং মুক্তি
মুজিব অর্থ পিতা-পুত্রের চুক্তি।

মুজিব অর্থ ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য
মুজিব অর্থ স্বদেশ গড়ার লক্ষ্য।

মুজিব অর্থ খুনী শাসকের চিতা
মুজিব অর্থ বাঙালি জাতির পিতা।

মুজিব অর্থ সার্বভৌম দেশ
মুজিব অর্থ হৃদয়ে বাংলাদেশ।

গরম-চরম

গরম-চরম

যদি এমনই হয় গরম
কীসের লজ্জা শরম
গায়ে লাগাও আলো বাতাস
শান্তি আসবে পরম !

যদি কেই বলে তা চরম
আমি বলবো স্বরে নরম
তুমি পারবে আমি পারবোনা
এ কেমন তর ধরম ?

অণুগল্প

অণুগল্প

গতরাতে রনির ভালো ঘুম হয়নি।
একটি কুকুর সারারাত ঘেউঘেউ করে অতিষ্ট করে তুলেছে। রনি, একবার ভেবেছিলো দরজা খোলে দেখে। গভীর রাতে কোন এক আশংকায় দেখা হয়নি, তাড়ানো হয়নি কুকুরটিকে। এ বাড়িতে কোন কুকুর নেই। আচ্ছা এটা কী সেই কুকুর ! যে কুকুর গতরাতে তার পিছু নিয়েছিলো। এটাই হবে। তা নাহলে এ বাড়িতে কুকুর আসবে কোত্থেকে। একটা বিস্কিট তাকে রনির ভক্ত করে তুলেছে।

রনি, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে তাদের নিয়ে দুপুরে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। খাবার খেয়ে যখন বের হলো; ঠিক তখন খেয়াল করলো কুকুরটি তার পিছুপিছু হাঁটছে। আশ্চর্য্য ! কুকুরটি কী তার পিছু ছাড়বে না ! যন্ত্রনা মনে হচ্ছে। রনি, একটা রিক্সা নিলো। কুকুরটি অসহায়ের মতো অনেক দূরে পিছনে পরে রইলো।

তখন সন্ধা, বন্ধুদের সাথে রিক্সা করে বাড়ি ফিরছিলো রনি। হঠাৎ কারা যেন রনির পথ আগলে দাঁড়ালো। সোডিয়াম লাইটের নিচে অসংখ্য পথচারীদের আনাগোনা। ঐতো একটু দূরেই রনির বাড়ি। কিন্তু রনির কাছে কয়েকশ মাইল দূর মনে হচ্ছে। বন্ধুরা কখন তাকে ফেলে গেছে রনি, মনে করতে পারছেনা। কে একজন ক্যামেরা দিয়ে ফটো তুলে নিচ্ছে। রনির শুধু মনে পড়ে একটি কুকুর সম্ভবত পিছু নেওয়া কুকুরটিই তাকে বাঁচানোর জন্য ঘেউঘেউ করে প্রতিবাদ করছিলো।

আর সব মানুষেরা ! নির্দ্বিধায় হেঁটে গেছে নিরাপদ স্থানে।

ইয়াপাখি

ইয়াপাখি

ওগো আমার টুনটুনি।
আজো আমি আগের মতো
তোমার নামে গুনগুনি।

আমার চৈত্র খরায়।
তোমার গায়ের মিষ্টি বাতাস
শান্তি আনতো ধরায়।

দেখলে তোমার চান্দ মুখ।
ভরা পূর্ণিমারি মতো
আসতো আমার মনে সুখ।

তুমি আমার বুলবুলি।
তোমার প্রেমের বাগান থেকে
আজো আমি ফুল তুলি।

বাংলা চ্যানেলের লিল্লাহবৃত্তি

বাংলা চ্যানেলের লিল্লাহবৃত্তি

বিকাল হতেই বইস্যা পড়েন লিল্লাহ মাগতে টিভিতে
জোয়ান বুড়ার সঙ্গে কথা কিম্বা পরের বিবিতে…!

ডরতে ডরতে ডরার মা বাপ সমস্যা লই হন হাজির
সাথে সাথেই দোয়ায় হুজুর কিচ্ছা শোনান কালুগাজীর!

পোলা নাচে মাথার উপর মাইয়্যা গেছে গোল্লায়
বুড়াবুড়ি কি মুই করি উপদেশদেন মোল্লায়!

জামাই থাকেন বগির ঘরে বউরানীও নাই বশে
হুজুর বলেন কতো দিলেন অাগেনেই তা কষে।

কন্ট্রোল রুমে নাম্বার আছে কালকে দিয়েন কল
এই দেশেতে আপনারাইতো এই অদমের বল।

ডিজিটালের লগো আছে দরজা জানলা ইট কিনেন
আজকালতো এসব কিছু অন্ধবধির সব চিনেন।

বেশিবেশি দান খয়রাতে কমেনা তা বাড়েরে
সুযোগ বোঝে বারেবারে এই কথাখান ছাড়েরে..!

রাত একটার খবর গায়েব বাংলা সকল চ্যানেলে
অ-লিখিত এই আকামটা পাশ হয়েছে প্যানেলে।

এক যুগেরও বেশি হলো লিল্লাহ তোলার ব্যবসাতে
লাভ ছাড়া ভাই ক্ষতিযে নাই হাত’দি দেখেন জ্যাবটাতে।

বিষণ্নতা

বিষণ্নতা

দেখতে চাইনা
লেখতে চাইনা
প্রতিবাদে ঠেকতে চাইনা।
জানতে চাইনা
মানতে চাইনা
হাতটি পেতে আনতে চাইনা।

খোঁজতে চাইনা
বোঝতে চাইনা
চোখের পলক বুজতে চাইনা।
খাইতে চাইনা
গাইতে চাইনা
খরস্রোতে বাইতে চাইনা।

হারতে চাইনা
মারতে চাইনা
জোড় করে সব কাড়তে চাইনা।
আইতে চাইনা
যাইতে চাইনা
কোন কিছু পাইতে চাইনা।

কায়া

কায়া

এ-কেমন নির্মম অসুন্দরেরা…
ভোর হতেই ভীড় করেছে আমার আঙ্গিনায়!
চিরচেনা কোকিলের সেই ডালে বসে গায়, এক
কুৎসিত কর্কশ কাক।
ঘরের কোণে গ্যান্ডা ফুলের বড় কলিটা
ফুটবে বলেও ফুটেনি। চড়ুই পাখিরা দলবেঁধে
আজ জোটেনি উঠানে। উনুনে এককাপ’ চা, কেউ
চড়ায়নি তাঁর চুমুকের আশায়।
গত রাতের পূর্ণিমার চাঁদটি, নজর দোষে
উদয় হয়নি আজ। দুয়ারে খাড়া ভিক্ষুকদের
তাড়াতে ইচ্ছেকরে…
স্বজনদের নিমন্ত্রণহীন কোলাহল অস্বস্তিকর লাগে।
কান্নার নোনাজলে বিলীন হয় মাথার উপরে ছায়া
এ কোন দুর্বাঘাসের আশায় আমি, পুঁতে রাখি তাঁর কায়া!

ধোয়া তুলসী?

ধোয়া তুলসী?

কোন শালা কয় ধোয়া তুলসি পাতা
তারে সবাই ধইরা তবে
ফেদইল তলে যাতা!

দেশটা এখন চোর ডাকাতের আখড়া
ভালো মানষের লেবাজ শুধু
গায় গতরে মাখরা!

জবরদস্তি দখলবাজী খুনও গুমের মডেল
চোখ কানটা খুলে দেখুন
প্রমাণ পাবেন অঢেল।

শিক্ষামন্ত্রীর অসহায়ত্ব সহজ সরল উক্তি
সরলেরা সরল ভাবে নেয়
গরলেরা করে অত্যুক্তি!

হাতে গোনা কয়টা বাদে কে কয় তারে সৎ
সত্য কথা বল্লে শুনি
ঘুৎ করে সব অসৎ।

মেকি

মেকি

একী?
তোমার দেখি সব বড় গুণ
সাজতে পারো মেকি!

উফ্!
রবির মতো লম্বা দাড়ি
বঙ্গবীরের গোফ!

সেকী?
নিজকে ভাবো চালাক, বাকি
আমরা কাঠের ঢেকি?

ইশ্!
দেখলে তোমার ইতরামি
হাতকরে নিসপিশ।

আহ্!
এই সমাজে তোমাদের ও
দেয় লোকে বাহ্বা!

ওমা!
এইটুকুতে এতোই লাগে
ফাটাইনিতো বোমা!

প্রভু…!
দু’মুখো সাপ বিচ্চু হতে
দূরে রাখো তবু!

মাটির টানে

মাটির টানে

মাটির টানে যুদ্ধ করে ছিলো যতো মুক্তি সেনা
লক্ষ্য প্রাণের দামে হলো এইতো আমার মুক্তি কেনা।

হদয় মাঝে বিজয় আঁকা অলেখা এক চুক্তি
দেশ প্রেমে সব উদ্বুদ্ধ হবে তুচ্ছ করে সব যুক্তি

যুদ্ধ যাঁরা করে ছিলো তাঁরা মা’ও মাটির টানে
ক্ষমতার কোনো ব্যবসা ছিলোনা শহীদ-গাজী জানে।

চারিদিকে শুনি আজো হাহাকার বিজয়ের মহান মাস
এখনো যে হয় গুম খুন আর সম্ভ্রমেরও সর্বনাশ!

এখনো মানুষ পায়নি যে তাঁর মৌলিক অধিকার খানি
পদেপদে বাঁধা আর কতো কাল সইতে হবে যে গ্লানি।

বেঁচে থাকা যতো মুক্তি সেনা কালের স্বাক্ষী গাজী
সকলেই কী হাল ছেড়েছে হুজুগে হয়েছে রাজি?

বিজয় আমার লক্ষ প্রাণের ত্যাগের দামে কেনা
খাচ্ছে কারা লুটেপুটে আজ নয় কী আমাদের চেনা!

পণ্ডিত!

পণ্ডিত!

আপনি কখন গর্তে ঢুকেন
কখন যে বের হন
জানা আছে কোন সময়ে
ছাগলরে -শের কন!

জানা আছে কোন সভাতে
পান্ডিত্যটা ঝারেন
কাদের থেকে কোন সময়ে
মাইকখানাও কাড়েন।

আপনে না হয় ভুলে গেছেন
আপনার ইতিহাস
মৌসুমি সব ফলের মতো
করেন নীতি চাষ?

শিং, নাই বিলে ফলো বাও
বাইতে থাকো আরো
আরো কিছু দিন দেখি তুমি
কতো বাড়তে পারো!

মুজিব অর্থ

মুজিব অর্থ

মুজিব মানে মুক্তি।
মুজিব মানে মুক্ত আকাশে
ডানা ভাঙার চুক্তি।

মুজিব মানে জয়।
মুজিব মানে প্রাপ্য আদায়ের
সৈনিক অকুতোভয়।

মুজিব মানে শক্তি।
মুজিব মানে মাও মাটিকে
স্বপ্রনোদিত ভক্তি।

মুজিব মানে অর্জন।
মুজিব মানে দুঃখ ভুলে
৭ই মার্চের গর্জন।

মুজিব মানে গড়া।
মুজিব মানে প্রতিবাদ মিছিলে
নতুন করে লড়া।

মজিব মানে সুর্য্য।
“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি
এক হাতে রণ তূর্য্য”।