সৈয়দ হিলাল সাইফ এর সকল পোস্ট

নারী কিসে আটকায়

যেই সব পুরুষেরা বউদের ‘ডাট খায়
সেই স্বামী কচু জানে
নারী কিসে আটকায়।
বউয়ের মুখেমুখে কথা বলে ‘ঠাট খায়
তার কাছে জানা দোষের
নারী কিসে আটকায়।

তুমি বড় তাতে কি? বউ বড়লাট খায়
হাবাগোবা জানবে কি
নারী কিসে আটকায়!
লন্ডনে বসে বসে প্রেম করে চাটগাঁয়
এই বেটা কিছু জানে
নারী কিসে আটকায়!

যেই স্বামী সুখী হতে আজীবন ছাঁট খায়
আজও সে শিখেছে কি
নারী কিসে আটকায়।
এতো সব পরেওতো কত জনে খাট খায়
তার কাছে জেনে নিও
নারী কিসে আটকায়!

আফাল

hi

আফালের দিন,
উড়ছে তো উড়ছে ধূলো-বালি মাখা
পাতার বহর! ডানার পালক
ভাঙছে ডাল, ফুল, কলি, লতা
আউলা কেশের নারী, দুলছে আঁচল
ভাঙছে, ভাঙছে পাখির বাসা… দোয়েলের সংসার!
আফালের দিন,
কতকিছুই মচকে যায়, টলে যায়, ঝরে যায়!
কে কার রাখে বল খবর!

আদার ব্যাপারীর জাহাজ কেনা

ddfg

যেদিন থেকে ব্যবসা খুলে
হোন ব্যাপারী আদার
সেদিন থেকে জাহাজ কেনার
শখ যে ছিলো দাদার!
আদার ব্যাপার করে তো আর
জাহাজ যায়না কেনা
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
বাকি লেনা-দেনা!

আদার ব্যাপারীদের নিতে–
নাই জাহাজের খবর
দুঃখ বুকে চেপে দাদা
বরন করে সবর।
হঠাৎ করে আদা হলো
পাঁচশ টাকা কেজি
খুশির ছুটে দাদা ফোনে
করছে হ্যেঁ জি, হ্যেঁ জি।

আদার ব্যাপার করে ও যে
জাহাজ কেনা যায়
গতকালের ঐ দাদারে
আজকে চেনা দায়।
পাঠ্য বইয়ের প্রবাদ বাক্য
ভুল’ বলেছেন দাদা
তখন থেকেই স্বপ্নে বিভোর
আরো কিছু গাধা।

গিরিগিটি

hii

একদিন;
আমিও হবো বিশাল স্বার্থপর!
সত্য- মিথ্যার জঞ্জালে কোথাও
ঝরাবোনা আর কোন দীর্ঘশ্বাস!
ব্যর্থ জয়ের অমোঘ নেশার
চির অবসান। চেনা জানা পথে
ধ্বনিত হবেনা চরণ।
মান-অভিমান ভুলে
হলেও হতে পারে তোমার
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।

অতঃপর;
সূর্যের আলোয় শিশির তখন
দূর্বাঘাসের ফুল
বুকের পাঁজর যদি ভাঙ্গে ঢেউ
সে নদীর ওপার ছিলোনা,
ছিলো একটিই কূল।
শূন্যতা আর হাহাকার!
তোমার রঙে গিরিগিটিও…
হবে একাকার!

ঈদের ছড়া : নিমরা বিলাই

ei

সাদা বিলাই কালা বিলাই
বিলাই দেখি রোজই
ঘাপটি মারা বিলাই ভয়ে
দু’চোখ আসে বুজি।
বিপদ দেখলে কেটেপরে
আর কাছে রয় না
এসব বিলাই খুঁজতে তেমন
বেগ পেতে হয় না।

মিনমিনে নিমরা বিলাই
সুযোগ খোঁজে পাছে
সময় মতো লুকমা দিতে
বিলাই পাবে কাছে।
ঘাপটি মেরে থাকা বিলাই
খুঁজতে থাকে সুযোগ
বলছি এসব সত্য কথা
মোটেই তা নয় হুজুগ!

হাসু মুখের ছ্যাছরা বিলাই
দেখতে ভীষণ শোভা
এঁরা চাইলে এক নিমিষে
করবে তোমায় উবা।
রাগ-গোস্বা নাই এমন বিলাই
খুবযে খতরনাগ
এই প্রকারের বিলাইর কাছে
হারমানে কালনাগ।

শতশত নিমরা বিলাই
ঘরের আশেপাশে
সুযোগ একটা দিয়েই দেখো
কেমন করে নাশে।
চারিদিকে নিমরা বিলাই
কী করে কও বাঁচি
ছ্যাছরা নিমাই ত্যাদড় বিলাই
ওসব নিয়েই আছি।

বেহায়া

আমি এক বেহায়া!
আমার ভেতর আর কিছু নাই
শুধু একটা কায়া।
তার উপর ভর করেছে
ভূত প্রেতের ছায়া।

আমি এক বেহায়া!
ছিন্নভিন্ন প্রদীপের মতো
মরীচিকার মায়া
যেদিকে থাকাই দেখি
শূন্য ভায়া ভায়া।

নামাবলি

32

আরে বেটা ফয়সল,
তোর কীসের ভয় ? চল !
পাশে আছে সাব্বির,
নিজেকে তুই ভাব বীর।

আরো আছে চন্দন
কী দারুণ বন্ধন।
তার সাথে আছে কেকা,
বুঝবিনা তুই একা !

চ্যাকা খেয়ে হাঁটে খুকি,
তারে দেখে লাগে দুঃখী ?
মনেপড়ে শেফালিরে,
তারে কত খেপালি.. রে I

বান্দবী মুন্নি…ও শাকচুন্নি।
এই বেটা ফয়সল
কীসের এতো ভয় ? চল !

বাবা

2894

তপ্ত রোদে মরুর বুকে
যেমন –বটের মায়া
মাথার উপর বাবা শুধু
হয়ে থাকেন ছাঁয়া।
এই ছায়াতে সুখে দুঃখে
যাদের জীবন যাপন
তারা জানে এই জগতে
বাবার’চে কে আপন!

হাতটি ধরে বাবা যখন
হাঁটতে নিয়ে শেখান
দূর আকাশে তারার মতো
দূরের পথটি দেখান।
হোঁচট খেয়ে পড়লে কখন
ভীষণ পেতাম ভয়
বাবা মনে সাহস দিতেন
এনে দিতেন জয়!

বাবার হৃদয় আকাশ সম
প্রশস্ত তার ছাতি…
অন্ধকারে সবার আগে
বাবাই দেখান বাতি।
পথ হারালে আবার যখন
বাবার পথেই হাঁটি
জীবন নামের বাঁকে বুঝি
বাবাই ছিলেন খাঁটি।

ঈদ মোবারক

2796

ঈদ এলেই ঘরে ঘরে হয়নারে ঈদ
মনে পোষে অহংকার কারো বাড়ে জিদ।
সবার আকাশে বাঁকা চাঁদ সে তো হাসেনা
দ্বারে দ্বারে ঈদ তাই খুশি নিয়ে আসেনা।
ঈদ সে তো ঈদ নয় রেখে দিয়ে ব্যবধান
ঈদ মানে সাম্য -সম্প্রীতি অবদান।
বৈষম্যটা যত ধনি আর গরিবে
পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মিয়-করীবে।
আশেপাশে খাবে সব সুখে যাবে নিদে
তবেই তো বলা চলে ‘ঈদ মোবারক’ ঈদে।

মহিমান্বিত রজনী

27924

ছোট থেকে বড় হই
এই পরিবেশে বাস
বারো মাসে রোজা রাখি
হাতেগুনে এক মাস।
একে মিলে সত্তর
নেকি হয় বোনাসে
ইবাদতে, মুত্তাকী
ক্ষমা পাবে গুনা সে।

তিনি ‘রব’ জানি তার
মহিমা অপার
রমাজান নিয়ে আসে
বিশেষ এক ছাড়।
রোজা রাখি আল্লাহকে
রাজি খুশি করিতে
রহমতে নিয়ামতে
খালি ঝুড়ি ভরিতে।

লাওহে মাহফুজ ছিলো
পবিত্র কোরআন
ধরনিতে নিয়ে এলো
মাহে রমাজান।
হাজার মাসের চেয়েও
মহিমান্বিত রাত
ক্ষমা পেতে আল্লাহর
কাছে তুলি দুই হাত।

আল্লাহ সর্ব শক্তিমান

ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাব্বুল আলামিন!
অফুরন্ত অসীম তোমার গুণ
ইচ্ছে হলেই সৃষ্টি করো তুমি
শুধু বলো ‘কুন-ফায়াকুন’।
তুমি শুধু বলো, ‘হও’ আর তা সব
নিমিষেই হয়ে যায়
দেখা-অদেখা বিরাজ অসীম
তসবিহ পড়ে সেজদায়।

কেউনা পারে দেখতে তোমায়
না পারে কেউ ছুঁতে
ক্লান্তি তোমায় ধরতে পারেনা
নিদ্রায় যাওনা শুতে।
এতো সুন্দর! এতো নিয়ামত!
এইযে বসুন্ধরা
তুমি সুন্দর তাই সবই সুন্দর
তোমার কুদরতে গড়া।

মহা পরিকল্পনাকারী
তুমি হে-অধীশ্বর
নশ্বর ভ্রম্মান্ডে শুধু
তুমিই অবিনশ্বর।
সকল সৃষ্টির শ্রষ্ঠা তুমি
কোরআনে করেছ পেশ…
তোমার কোথাও শুরু ছিলোনা
কোথাও হবেনা শেষ!

শুভ জন্মদিন

27610

তুমিতো সেই ক্ষণজন্মা
জন্মেছিলে এই বঙ্গে
জন্মঋণ শোধ করিতে
স্বাধীনতা এনেছ সঙ্গে।

তুমিতো সেই জনসমুদ্রের
উত্তাল গর্জিত তরঙ্গ
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের
অবিচ্ছেদ্য হৃদয় অঙ্গ।

মহাউচ্চারিত তুমিইতো সেই
একটি মাত্র নাম
যেই নামের পাশে একটি দেশের
দ্বিগুন হয়ে যায় দাম।

প্রেমের গুচ্ছ অণুছড়া

2754

এক।।
রূপে গুণে ভারি সুন্দর
ভীষণ মিষ্টি ঠোঁট
পাশের বাড়ির পরী পাবে
আমার পূর্ণ ভোট।

দুই।।
মনে আছে সোমার বন্ধু
ফার্স্ট ইয়ারের রাখি
ভুলতে আজো পারিনা তার
নেশায় ভরা আঁখি।

তিন।।
প্রথম দেখায় যাকে সেদিন
সপে ছিলাম দিল
রূপা নামের ফর্সা মেয়ের
গালে ছিলো তিল।

চার।।
মনে পড়লে আজো তারে
প্রেমেতে খাই দোল
হাসতো যখন সুন্দরী রাই
গালে পরতো টোল।