সৈয়দ হিলাল সাইফ এর সকল পোস্ট

এমন দেশে বসত, বেশির ভাগই অসৎ

এমন দেশে বসত, বেশির ভাগই অসৎ

তোমরাতো কও এটা কোন মগের মুল্লুক না !
আমি বলি, যে মানেনা সে কী ! উল্লুক না ?
যার যা খুশি বলে চলে, যা মনে চায় করছে
কাদের হাতের হাতকড়াটা কাদের হাতে পড়ছে !

ডাক্তারেরা সব জানি নয়, বেশির ভাগই কসাই
জর্জ ব্যারিস্টার ছাত্র শিক্ষক তারা কী কম মশাই ?
মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম তারও করে ধর্ষণ !
ধর্মেধর্মে বিবাদ ঘটায় গীবত বুলির…বর্ষণ।

ষোল কোটির সবাই নেতা কেউ সাধারণ নহে
মনু গাঙের স্রোতের বেগে এই নেতারা বহে।
আইন আদালত প্রশাসনে যোগ্যতার মাপকাটি
জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর করে সব দিবে চাপমাটি !

কোনসে ডিপার্টমেন্টে বলুন দুর্নীতিটা নাই
ছিলো, আছে ভবিষ্যতেও চলবে একই তাই।
কখন যে কে খুন হয়ে যায় কখন জানি গুম
জানের ভয়ে সাংবাদিকও তেল মাথায় দেয় চুম।

বলতে গেলে হাজার বলেও হবার নয় তা শেষ।
মোটামুটি মগের মুল্লুক বলতেই পারেন দেশ ।

পবিত্র রমজান

পবিত্র রমজান

বছর শেষে ফিরে এলো মাহে পবিত্র রমজান
সবার জীবনে ইবাদতের সুযোগ হলো নবদান।
আত্মশুদ্ধি পবিত্রতায় নিজের এই মহা সুযোগ
পাপ মুছে নবরূপে জন্ম নিতে বলেছেন বুজুর্গ।

হালাল হারাম বুঝে নিতে সংযমেরও মাস
চক্ষু, জবান, ফিরাও তোমার হতে সর্বনাশ।
মানবতার কল্যাণে সদা নিজেকে বিলাও
গরীব দুঃখীর হক্ক ভাবনাতে নিজেকে মিলাও।
অহংকার সব মুছে ফেলে আল্লাতে হও নত
নামাজ রোজা হজ্জ্ব জাকাতে তাকিও রত।

ইমানেরি সাথে চলো আল্লাহ রাসুল মেনে
এই দুনিয়ায় কারো ক্ষতি করোনা কেউ জেনে।
সৃষ্টির সেরা মানুষ তুমি বিশ্বাস যদি থাকে
শান্তি এবং কল্যাণে প্রতি নিঃশ্বাস মনে রাখে।

সিয়াম সাধনার অতি উত্তম এবং বরকতের এই মাসে
লাওহে মাহফুজ হতে কোরআন লাইলাতুল বরাত আসে।
বিশ্ব মুসলিম উম্মার কাছে শ্রেষ্ঠ পাওয়া রমজান
এই রমজান মাসেই নিহিত আছে মুসলমানের সমাধান।

ফণী

ফণী

আসছে ধেয়ে ফণী মহাবিপদ সংকট ঘনী
রক্ষা করো প্রভু যদি পাপ করেছি কভু !

আজ বিপদ সন্নিকটে কী জানি কী ঘটে
বাঁচাও জান মাল উদ্ধার করো দুর্যোগ কাল

পরীক্ষা নাও ততো সইতে পারি যতো
সহ্যসীমার পরে কে আছে আর লড়ে।

তোমার দয়ায় বাঁচি তাইতো টিকে আছি
প্রভু তুমি সহায় আমরা যে অসহায়…।

বৈশাখ-ইলিশ-পান্তা

বৈশাখ-ইলিশ-পান্তা

বৈশাখ এলে কিছু লোকের চাইযে ইলিশ পান্তা
কারো মুখে কথার খই যেনো সবজান্তা।
আমি বাপু পান্তার সাথে ইলিশ মাছের ফান না
ইলিশ দিয়ে পান্তা হলে আমার আসে কান্না।

পান্তাভাতে ইলিশ গুলে অখাদ্য কেউ খায়
হঠাৎ করে বাঙালি যে তারাই বুঝি চায়!

পান্তার সাথে ভাঁজা মরিচ, লঙ্কা, কাঁচা পিঁয়াজ
কাঁঠাল কিম্বা আম কলাতেও হতেই পারে লিয়াজ।

এসো এসো হে বৈশাখ আমার দ্বারে এসো
পান্তা ইলিশ সঙ্গে আনলে আমাতে না মেশো।

সৃষ্টির সেরা

সৃষ্টির সেরা

তোমরা করো অপরাধ আর
আমরা পাই তার সাজা
আমরা ঠিকই প্রজা থাকি
তোমরা আছো রাজা।

তোমাদের সব পাপ অভিশাপ
আমরা গায়ে মাখি
মানুষ হয়ে মানুষ মারো
লজ্জা কোথায় রাখি।

তোমাদের ঐ ধর্মে কর্মে
মারছো কেনো মানুষ
সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আজ
কীসের উড়াও ফানুস !

পুড়ছে দেশ

পুড়ছে দেশ

পুড়ছে চোখ পুড়ছে কান
পুড়ছে লোক পুড়ছে মান।

পুড়ছে খর পুড়ছে কাঠ
পুড়ছে ঘর পুড়ছে মাঠ।

পুড়ছে জমি পুড়ছে চাষা
পুড়ছে দমি পুড়ছে আশা।

পুড়ছে গাড়ি পুড়ছে শিশু
পুড়ছে বাড়ি পুড়ছে যিশু।

পুড়ছে রাত পুড়ছে দিন
পুড়ছে হাত পুড়ছে বীণ।

পুড়ছে ভরা পুড়ছে ফাঁকা
পুড়ছে ছড়া পুড়ছে ঢাকা।

পুড়ছে শহর পুড়ছে ধর্ম
পুড়ছে বহর পুড়ছে কর্ম।

পুড়ছে কল পুড়ছে কলা
পুড়ছে বল পুড়ছে গলা।

পুড়ছে বাতি পুড়ছে বেশ
পুড়ছে জাতি পুড়ছে দেশ !

ভয়াল রাত

ভয়াল রাত

পঁচিশে মার্চ কালো রাত্রি
নিশীথ গভীর অক্তে
পাক হানাদার খেলল হোলি
বাঙালিদের রক্তে।

পুড়িয়ে দিলো ঘর-দরোজা
গুঁড়িয়ে দিলো আবাস,
মা ও বোনের ইজ্জত লুটে
দালালরা কয় সাবাশ।

তারো আগে ধরে নিয়ে গেলো
নেতাকে করলো বন্দী,
সাতই মার্চে জানিয়ে দিলেন
পাক শাসকের ফন্দি।

অন বিহাফ অব শেখ মুজিবুর
ঘোষণাটি মার্চ সাতাশে,
কালুর ঘাটের বেতার তরঙ্গ
ধ্বনিত আকাশে-বাতাসে।

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
সংগ্রামী সেই পত্র,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
পৌঁছালো সর্বত্র।

মুজিব মানে

মুজিব মানে

মুজিব মানে মুক্তি।
মুজিব মানে মুক্ত আকাশে
ডানা মেলার চুক্তি।

মুজিব মানে জয়।
মুজিব মানে দাবি আদায়
জীবনের বিনিময়।

মুজিব মানে শক্তি।
মুজিব মানে মা ও মাটি
আবেগঘন ভক্তি।

মুজিব মানে অর্জন।
মুজিব মানে সাতই মার্চে
ক্ষুব্ধ বাঘের গর্জন।

মুজিব মানে লড়া।
মুজিব মানে দেশমাতৃক
নতুন জীবন গড়া।

ভোটের মোরগা

ভোটের মোরগা

ভোটের সময় এলেই দেখি
প্রার্থীরা সব ট্যাগ করে
ভোটের পরে এরাই আবার
যখন তখন লাগ করে।

অমুক ভাই আর তমুক ভাই
বুকে জড়াই হ্যাগ করে
উল্টো রথে দেখলে পরে
গায়ে তাহার আগ ধরে।

ভোটের মোরগা ধরবে তেমন
মুত্ তে যেমন ছাগ ধরে।
পদ-পদবি চাকরি প্রজেক্ট
তারাই নেবে ভাগ করে।

বাকির নাম ফাঁকি

বাকির নাম ফাঁকি

ধৈর্য ধরো ধৈর্য ধরো
আমিও কই ধরি
ধৈর্য ধরার মানেতো নয়
-তুমি লুটো হরি !

সবুরেতে মেওয়া ফলে
গুরুজনে কন
আমি দেখি সবুর করে
আমার উজার বন !

কান্দে পুতে ধুদ খায় বেশি
দাদির মুখে শোনা
বে-সবুরের হিস্যা দেখি
সব বিছুতেই দুনা।

বাকি মানে সবই ফাঁকি
সবুরে লাভ নাই
এই দুনিয়া নগদরে ভাই
সব করো খাই খাই।

আমার সব কিছুতেই দেরি

আমার সব কিছুতেই দেরি

আমার সব কিছুতেই দেরি
প্লেন ছেড়ে যায়
ট্রেন ছেড়ে যায়
নৌকা স্টিমার লঞ্চ ছেড়ে যায়
ফেরী ঘাটে পৌঁছার আগে
ঘাট ছেড়ে যায় ফেরী!

আমার সব কিছুতেই দেরি
লিফ্টেও যায়
শিফ্টেও যায়
অনেকেই তো গিফ্টেও যায়
আমি ঢোকার আগেই বিমান
উড়তে কেবল -হেরি!

আমার সব কিছুতেই দেরি
ফুটপাতেতে
পাঁচতারাতে
খাবার খেতে রেস্তোরাতে
আমি আদেশ করার আগেই
ফিনিস গরু -ভেরী।

আমার সব কিছুতেই দেরি
হিন্দি সিনে
বাংলা গানে
রিমোট টিপি প্রাণের টানে
আমি টিভি অন করিলেই
দেখায় টম-জেরি।।

ক্ষণিকের ভাবনা

ক্ষণিকের ভাবনা

অতঃপর, আমিও সৎ হয়ে গেলাম।
আমার একশো একটা পাপ, এক তুড়িতেই
পূণ্য হয়ে গেলো। রহমতের ফুলঝুড়িতে পাপড়ি স্নাত হই নিয়মিত।

আর তার যতো পূণ্য…
একদল শৃগালের ভাবনায়
বুড়ির সুতোর মতো উড়েউড়ে কূলকিনারা হীন!
ভাটির হাওয়া বইছে চারিদিকে
এখনই তো শ্রেষ্ঠ সময়, পাল তুলে নৌকা ভাসানোর।

সীমাহীন ঢালু স্রোত ভাটিয়াল গাঙে
পলিমাটি হয়ে স্বপ্ন দেখি।

সাইবার প্রেম

সাইবার প্রেম

তোমার আমার প্রথম দেখা –ফেসবুকে
ভালোবাসার মারলা যেদিন –নেস বুকে
তোমার আমার প্রথম চ্যাটিং –টুইটারে
ঘড়ির কাটা বাজছিলো ঠিক –দুইটারে
তোমার আমার প্রথম লাইভ — ট্যাংগুতে
দেখতে পাইলাম টানতেছো জুস –ম্যাংগুতে
তোমার সাথে কইতে কথা –ম্যাসেন্জার
দুষ্টুমিতে সহায় হতো –কিসেন্জার
মান অভিমান করলে করতা –এসএমএস
টিজ করিলে একটুতেই হয় শেষমেষ!

ইন্সট্রাগ্রামে আড্ডা হতো স্নাপচ্যাটে ড্যাটিং
ইমুতে ঝিমুতে থাকলে ইমেলে সব স্যাটিং!

মামা কাকা দাদারা

মামা কাকা দাদারা

দাদাগো দাদা, ও দাদা…
তুমি তো নও, সরল-সাদা!

দাদীগো দাদী, ও দাদী…
তুমি নির্ঘাত, শাহাজাদি!

কাকাগো কাকা, ও কাকা…
তোমার মাথা, কেনো ফাঁকা?

কাকীগো কাকী, ও কাকী…
তুমি নিখাঁদ, আস্ত লাকি!

মামাগো মামা,ও মামা…
তুমি বাজাও সারে গামা!

মামীগো মামী, ও মামী…
তোমার কাছে কে হয় দামী?

শেখ মুজিবের কথা কয়

শেখ মুজিবের কথা কয়

চড়ুই পাখি টুনটুনিরা
বল্লো আমায় কথার ছলে
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
শেখ মুজিবের কথা বলে।

ওঝার খাল ও মাগুরা নদী
বল্লো আমায় ধীরে বহে
সুরমা মেঘনা যমুনাও
শেখ মুজিবের কথা কহে।

রক্তজবা হিজল জারুল
বল্লো আমায় ধীর মলয়
গোলাপ শিমুল কৃষ্ণচূড়া
শেখ মুজিবের কথা কয়।