বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ডক্টর ইউনুস

‘আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, আমরা ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না বাংলাদেশ, ওই যে বললাম, বাংলাদেশ অপূর্ব একটা দেশ। সে দেশে যারা আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলি। আমাদের দেখে লোকে হাততালি দেয়, এরা এসেছে। বাংলাদেশ নেমেছে এবার। ওরকম চাই, ওরকম এবং করতে পারি।…আমরা বাস্তবে পারি। আমাদের সে সুযোগ আছে। সেই সুযোগের কথা বারে বারে বলার চেষ্টা করছি। এই সুযোগগুলো যেন আমরা গ্রহণ করি।’

– ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

images

দেশ বিদেশে খেলা শুরু হয়ে গেছে। খেলার কথা যখন এলোই তো ফুটবলের কথা দিয়ে হোক শুরু।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল গতকাল সৌদি থেকে দেশে ফিরেছে। আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে। প্রথমবারের মতো দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশের ফুটবলে জাতীয় দলের জন্য কখনো টিকিট ব্যবস্থা হয়নি। হামজার অনুশীলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাফুফে টিকিটের ব্যবস্থা করছে। বাফুফের অধিভুক্ত বিভিন্ন ক্লাব, ফেডারেশনকে টিকিট দিয়েছে ফেডারেশন। টিকিট ছাড়া আজকের এই অনুশীলন সেশনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

hamzaa-20250319153615

খেলা শুরু হয়ে গেছে দেশের ভিতর। খেলাটা শুরু করেছে বিএনপি।

‘ওদের হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না। সংস্কার যদি করেন, আমরা কারেকশন (সংশোধন) করব। বিএনপি সেই কারেকশন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে ঠিক করে তা জাতির কাছে তুলে ধরবে। ওই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এ দেশের নাগরিক পর্যন্ত নয়, তাদের দিয়ে আপনারা সংস্কার করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না।’

মির্জা আব্বাস

faa6e0c7beca86e117ea07bdb91a9b0e906b960bbde4331e

এদিকে খেলাটা শুরু একেবারে রেডজোন থেকে।

ভারত সফরে এসে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করে এখন আলোচনায় মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা (ডিএনআই) বিভাগের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ড ভারতে এসেছেন। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। তবে তার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

Untitled-5-67d91bd67bb4c

দেখা যাক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়েরা কেমন সামাল দেন।

তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও: প্রসঙ্গ সংস্কার

তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও
ফকির আবদুল মালেক

আমি আমার কথা বলি, রাজনীতি থেকে কোন ফয়দা খোঁজার কোন অভিপ্রায় সারা জীবনে ছিল না।

সময় যাই যাই করতে করতে পঞ্চাশ উর্ধে এসে পৌঁছেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালই হায়াত পেয়েছি এবং বাড়তি পাওনা হিসাবে সুস্থ সবল সুচিন্তিত সর্বাত্মক বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা আছে এখনও। কখনও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলতে যা বুঝায় তা ছিলাম না। কিন্তু রাজনীতি মুক্ত থাকা কোন নাগরিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্য সবার মত আড্ডায়, সামাজিক ওখান বৈঠকে নিজের মতামত দিয়েছি। এটা খুবই মামুলি ব্যাপার কিন্তু এতেও অনেকে ধরে নিয়েছে এই লোকটা এই পন্থী। এছাড়া নির্বাচনের সময় সবার মত কোন না দলের পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক করেছি। এতেই অন্য অনেকের মত আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে উঠে। আবার অনেক সময় এমন হয় রাজনীতির নেতৃস্থানীয় কেউ আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, মহল্লাবাসী। সেই হিসাবে তাদের সাথে কখনও কোথাও গিয়াছি, হয়ত কোন বিয়ের দাওয়াত, কিম্বা কোন পারবারিক বা সামাজিক বা শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থেকেছি। এতে কেউ কেউ ধরে নিয়েছে, আমি ঐ নেতার দলে আছি।

আমার বাবা ছিলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন ঘোর বিএনপি নেতা। অনেকে তখন আমাকে বিএনপির লোক হিসাবে জানত।

এখন ফেসবুকের যুগ। এমন কি একটি ফেসবুকের স্ট্যাটাস ঘিরে বিভিন্ন রকমের গোলযোগ হতেও দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা পোষ্টের কারনে পদস্ত দায়িত্বশীল লোক কতৃক ধমক খেয়েছি, আবার ফেসবুকে এক পোস্টের কারণে এলাকার চেয়ারম্যান ফোন করে বাবা মা তুলে গালাগালিও করেছে। ফেসবুককে এখনে আড্ডার অবস্থা বলা যায় না। বরং এটা এখন একটা মিডিয়ায় পরিনত হয়েছে। ইদানীং কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি ভাবছিলাম মাত্র ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ / ১০০ টা লাইক পাই, আমি এই মাধ্যমেটিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবছিলাম না। কিন্ত কয়েকজন বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ জন বলল, তোমার লেখাগুলি বিএনপির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। বাদ দাও কি দরকার। সারা দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষে, তো এখন এই অবস্থায় বিএনপির বিরুদ্ধে লেখালেখি করার দরকারটা কি?

৫ আগস্ট শুধু আওয়ামী লীগকে বিতারত করেনি, জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব স্থানীয় ছাত্র নেতৃত্ব একটি নতুন দল গঠন করেছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছে। তারা মুটামুটি মিডিয়াতে বেশ আলোচিত। বেশ কভারেজ পাচ্ছে তারা। এদিকে ডক্টর ইউনুস সরকার এতদিন ব্যর্থ হতে হতে সফলাতার দিকে পা বাড়াইতাছে। তারা আন্তর্জাতিক বেশ কারিসমা দেখাইলেন, জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন এমনকি রমজানে। অবাক বিস্ময়ে দেখছি দাবী দাওয়ার হিরিক পড়েছে এই সরকারের দিকে, মথাচড়া দিয়ে উঠতে চাইছে গার্মেন্টস সেক্টর, ছাত্র, শ্রমজীবী, চাকুরীজীবি, ডাক্তার নার্স মোট কথা এমন কোন সেক্টর নাই যারা দাবী নিয়ে রাজপথ অবরোধ করে সরকারকে আলটিমেটাম দিতাছে দাবী নিতে। এখন পর্যন্ত ৭ মাসে প্রায় ২০০ রাজপথের আন্দোলনকে মোকাবিলা করেছে, একটাতেও তেমন কোন বিশৃঙ্খলা হতে পারে নাই, পুলিশ সেনাবাহিনী প্রতিরোধমূলক সামান্য বল প্রয়োগের মাধ্যমে এসব আন্দোলন থামানো গেছে। এইসব আন্দোলনের মাঝে কিছু ছিল মামা বাড়ির আবদার, অটোপ্রমোশন, বেতন বৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরন ইত্যাকার দাবি ছিল। এসবকিছু মোকাবিলা করে সরকার এগাইয়া যাইতাছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সচিত্র ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে এমনভাবে প্রচার করা হইতাছে যেন দেশে এখন গৃহযুদ্ধ অবস্থা। আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় সরকার পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও, এমনকি আইন সংশোধন করে নিলেও প্রায় সকল মহল থেকে সরকারকে চাপ দেয়া হইতাছে। এমনকি বামপন্থীরা ব্যাপক গনজায়াতের পরিকল্পনা নিয়ে এগাইয়া যাইতাছে।

এসবের মাঝেই সরকারের সংস্কার কমিশন গুলো কাজ গুছিয়ে আনছে। কিন্তু তাদেরকে সহযোগিতা না করে বারবার বলা হইতাছে নির্বচিত সংসদে গিয়ে সংস্কার করবে। দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে সবার কাছে এটা স্পষ্ট হইছে যে যদি রাজনীতিবিদদের কোন সিস্টেমের মাঝে আটকানো না যায় তবে তারা বারবার বেপরোয়া হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে একক ব্যক্তির শাসন ঘুরে ফির আসবে। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদ ঘুরে ফিরে আসবে। এই সিস্টেম ডেভেলপ করার জন্য সংস্কার কমিশনগুলি কাজ করেছেন। এখন এই সংস্কারতো রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করার জন্য।

আমাদের সংসদ আমাদেরকে তার কাজ সম্পর্কে কি ধারণা দেয়? আমরা দেখেছি গত ৩৫ বছরে সংসদ অকার্যকর ছিল। বিরোধীদল বেশিরভাগই সংসদ বর্জন করে রাজপথে থেকেছে। এমনকি সরকারি দলের কোন সদস্যও নিজের মতে ভোট দিতে পারেনি যখন তা দলের মতের বিরুদ্ধে যায়। এমনই অকার্যকর সংসদে ব্যর্থ লোভী পেশিশক্তির প্রয়োগকারী ব্যবসায়ী দ্বারা ভরপুর সংসদ সদস্যরা নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন করা ছাড়া দেশের সামগ্রিক কল্যানের জন্য কোন ভুমিকাই রাখে না। এই ঐতিহাসিক সত্যের আলোকে একথা স্পষ্ট ভাবেই বলা যায় সংসদে সদস্য হয়ে যারা আসেন তারা স্থানীয় সরকারের মেম্বার চেয়ারম্যানের ভুমিকা ছাড়া কিছুই ভুমিকা রাখতে পারেন না। এটাই এখানকার সিস্টেম। এই সিস্টেম কে সংসদ সদস্যরা পাল্টাবে? না আছে তাদের ইচ্ছে আর না আছে তাদের যোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক সংস্কারগুলি এই ইউনুস স্যারের নিয়োগকৃত সংস্কার কমিশনের মাধ্যমেই মিটাতে হবে।

যারা এই সংস্কারের বিরোধিতা করবে তদের বলে দেওয়ার সময় এসেছে- তোমার বারটা বেজে গেছে, তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও। ব্যক্তিকেন্দ্রীক রাজনীতি পরিহার করে সিস্টেমের রাজনীতিতে আসো। টাকা কামাইতে চাইলে ব্যবসা কর, কিন্তু রাজনীতিকে নাও দায়িত্ব পালন হিসাবে, দেশ ও জাতিকে মেধা ভিত্তিক সেবা দান হিসাবে।

দেশের মিডিয়াতে না থাকলেও

বাংলাদেশে অনলাইনে অফলাইন এ জুয়া,পর্নো নিষিদ্ধ।
মজার ব্যাপার হলো দেশের অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে নিয়মিত, এমনকি পর্নোও। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিদিন প্রচুর দেশী পর্নো আপলোড হচ্ছে।
হাতের মোবাইলে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটেছে,কে কি বলেছেন বা করেছেন তা সবাই দেখতে পায়। বাংলাদেশের মিডিয়াতে কি দেখাল বা কি দেখাতে হলো তার জন্য কেউ বসে থাকে না।লেবুর বাম্পার ফলনের নিশ্চয়ই মনে আছে।
যদি দেশটি চীন বা উত্তর কোরিয়া হতো তবে অন্য ব্যাপার..। চীন, উত্তর কোরিয়া সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার বা কমিউনিস্ট পার্টির বিপক্ষে যায় কোন কিছুই লেখা যায় না। বিদেশী মিডিয়াতেও যখন চীনের সরকারের মতের বিরুদ্ধে যায় তখন টিভির পর্দায় তুষার পাত শুরু হয়। এমনকি চীন নতুন যে AI সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে সেখানেও তিয়ানমেন স্কোয়ার মতো ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো তথ্য পাবেন না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন ইন্টারনেট বন্ধ করে বা মিডিয়াতে সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও মানুষের কাছে সব তথ্য পৌঁছে গিয়েছে এটাও একটা উদাহরণ।

উত্তর না পাওয়া প্রশ্নগুলি

মহুয়া বন মাতাল হাওয়ায় এলোমেলো দুলছে কেন
ঘনকালো মেঘগুলো সব এদিক ওদিক ছুটছে কেন
চিত্ত হরণ রিক্ত কারণ আমার প্রেমে করতে বারণ
অশ্রুতে ছলো ছলো নয়ন দু’টি টলোমলো হইছে কেন

কবুতর দুইটি থেকে থেকে ঠোটাঠোটি করছে কেন
বনহংস বনহংসী পাশাপাশি আনমনে উড়ছে কেন
কি কারণে কার স্মরণে তোমার নিটোল ননীর গাল
অশ্রু অঙ্গারে পুড়ে লাল জ্বলজ্বল বেসামাল হচ্ছে কেন

বৃষ্টির ফোটা আকাশ চুইয়ে কাঁদন হয়ে ঝরছে কেন
ঝর্ণা থেকে জলধারা ধরণীতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে কেন
আমায় শুন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে পারলে যখন
উথাল পাথাল ঝড়ের তোড়ে সবেগে কান্না কেন!

এই নির্জনে

এই নির্জনে

বাইরে ঝিমঝিম করে পড়ন্ত দুপুর।
ভারী নির্জন, নিরিবিলি অথচ কোমল রোদে ঝলমলে।
মস্ত মস্ত ঘরের ঘুলঘুলি, বারান্দায় ওপরের কড়ি বর্গায়
নানান জাতের পায়রা নড়াচড়া করে আর ডেকে ওঠে।
পড়ন্ত দুপুরে পায়রার গদগদ স্বরের ডাক এক অদ্ভুত মায়া তৈরি করে।

শব্দের কি কোন আকার আছে?
শব্দরা সম্ভবত নিরাকার।
তবু পায়রার বুকুম বুকুম শব্দের আকার
গোল মনে হয় আমার,
তুলোর বলের মত গোল।
স্টিমারের হুইছালের
বাঁশির শব্দটি কি সরু ও দীর্ঘ মনে হয়!
সেতারের ঝনৎকার
যেন ফুলঝুরির বহুবর্ণ কেন্দ্রতিগ অগ্নিবিন্দু।
এজরাসের ছড় টানলেই
মনে ভেসে ওঠে তন্তুজালের মত আকৃতি,
অদৃশ্য এক মাকড়সা অদ্ভুত দ্রুতলয়ে বুনে চলছে।

পশু-পাখির আত্মজন নেই, সংসার নেই।
তবু পায়রারা গদগদ শব্দে এ কী কথা কয়?
ধ্বনিগুলোকে পরস্পর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিয়ে
ক্রমাগত বুনন চলায় মাকড়শার মতো,
তাতীবাড়ির একটানা ঠকঠককের মতো,
কাঠঠোকরার একটানা ঠোকরের মতো,
সেতারের ঝনৎকারের ফুলঝুরির মতো
এজরাসের ছড় টানার ঐক্যতানের মতো
বুকুম বুকুম স্বরে আপ্লুত হতে থাকা আত্মজনহীন, সংসারহীন পায়রারা
এই নির্জনে আমাকে স্মৃতিময় এক সুন্দরীর কথা কয়!

ভাষার লড়াই

আজ শুরু একুশে বইমেলা

আজ থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। মাসব্যাপী বই নিয়ে এ আয়োজনের জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন পাঠক, লেখক ও প্রকাশক। বিগত এক দশকের মতো এবারও বইমেলা হচ্ছে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ নিয়ে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য—‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’। থাকছে জুলাই চত্বরও। এবারের মেলায় বাড়ানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। মেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৩৫।
এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান। মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নের ৩৬টিই থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকবে ১টি। মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে তবে আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির পথ এবার কিছুটা সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে। মেলার নিরাপত্তা নিয়ে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলবে অমর একুশে বইমেলা।

জেন-জি

জেন-জি

তারা কথা যথা তথা কাজ বেশি
বহু মত বহু পথ রাশি রাশি
নানা বর্ণ নানা ধর্ম মিলন মেলা
সৃজন শীল কর্মে লীন অরূপ খেলা
এক জন আর জন জানবে ভালো
তারা শিষ্য সারা বিশ্ব যেথা আলো।

ছুড়ে হীন তুচ্ছতাধীন মতবাদ
ব্যাক্তি সমাজে রাস্ট্র রাজে ফ্যাসিবাদ
সততার মনুষ্যত্বার নয়া দুনিয়া
ওরা জেন-জি হবে বিজয়ী যাই বলিয়া
ঝাকে ঝাকে দিকে দিকে রই তাকাইয়া
কাপে ধমনী কাটে রজনী দু’হাত বাড়াইয়া।

পরীক্ষা মুলক পোষ্ট

পরীক্ষা মুলক. পোস্ট। শব্দনীড় এখন থেকে শব্দলিপি নামে অনলাইনে আসছে। ইতিপূর্বে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন। আপনাদের একাউন্ট এবং পোস্ট আছে। আপনারা ইতিপূর্বে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
হ্যাপি ব্লগিং..

test post

this is a test post …………………………What is Lorem Ipsum?
Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries, but also the leap into electronic typesetting, remaining essentially unchanged. It was popularised in the 1960s with the release of Letraset sheets containing Lorem Ipsum passages, and more recently with desktop publishing software like Aldus PageMaker including versions of Lorem Ipsum

ছড়া নিয়ে কড়া কথা

ইদানীং ছড়া ও ছোটদের কবিতা লেখার জোয়ার নেমেছে।

পত্রিকা সম্পাদনা করতে গিয়ে দেখেছি – লেখা আহবান করলে শ’য়ে শ’য়ে লেখা এসে জমা হতে থাকে। অবশ্য তার অধিকাংশ লেখাই পাঠযোগ্য হয় না।

ছন্দ না জেনে বা ব্যাকরণের অংক মেনে আঙুলের কর গুনেগুনে অক্ষর বসিয়ে আর যেনতেন অন্ত্যমিল দিয়ে যা কিছু একটা লিখলেই যে সেটা ছড়া বা ছোটদের কবিতা হয়ে যায় না – এটা আমরা বুঝি না বা জানতে চাই না।

একটা মানোত্তীর্ণ ছড়া বা ছোটদের কবিতা হয়ে উঠতে চাই সহজাত সাবলীল ছন্দবোধ। স্বতঃস্ফূর্ত ও সুষম শব্দ চয়ন। আঙ্গিকের বিভিন্নতার সাথে বিষয় ও উপস্থাপনার নতুনত্ব এবং বিশুদ্ধ ধ্বনিযুক্ত অন্ত্যমিল।

কিন্তু হতাশার বিষয় – আমাদের অধিকাংশ ছড়াকার কবিদের লেখায় এ সব কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না কোনো ভাবনা-চিন্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গতানুগতিকায় গা ভাসিয়ে একদম পড়াশুনো ছাড়াই আমরা লিখে চলেছি একটার পর একটা ছড়া কবিতা। আর ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি সম্পাদকের পিছে পিছে। জান লড়িয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছি সাহিত্য সভায় সভায়। আমরা কি লেখার মান-সচেতন নই, না কি লেখার ভাল-মন্দই বুঝি না ?

এই অশুদ্ধতার জোয়ারে ভেসে ভেসে হারিয়ে যাচ্ছে না কি আমাদের অনেকের লেখা বিশুদ্ধ ছড়া কবিতা ?

রবীন্দ্ররচনা বলি

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে তুমি একটা কথা কিছুতেই শুনতে পাচ্ছ না উদাসীন যে পাঁচ হাজার টাকার কমে পাঁচজনের সংসার চলে না। প্রণামীর খুচরোয় রোজকার সবজি-বাজারটা হতো, হারামির হাতবাক্স বসিয়ে সেও মন্দিরকমিটি খেয়ে গেছে

এদিকে গত বছর দিব্যি আকাশভরা সূর্যতারার মধ্যে বাবার স্ট্রোক হয়ে গেল। পুঁজিপাটা খুইয়ে পাথুরিয়াঘাটায় মালিকের বাড়ি গিয়েছি — দেখি পাইকা হরফের ওপর গণেশের বাহন অধিষ্ঠান, মালিক প্রেসের মেশিন বেচে ভাড়াটে বসাবে। ফিরে এসে তিন দিন মুখ খুলি না, কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ জ্বালাব ভেবে ভেবে শুক্কুরবার সাইকেলে ফের দত্তবাড়ির নিত্যপুজোয় বেরিয়ে তো-ছি, এখন ডানহাতে প্যারালিসিস শালগ্রামশিলা আর বাঁহাতে হ্যান্ডেল ধরলে ব্রেক নেই, বাকশক্তি থেকেও রহিত… তা যা হবার তাই হবে — রব্বা রব্বা অ্যাক্সিডেন্ট হবে

এর চেয়ে বড় শট খেয়েছি ছোটবেলায়, ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে। কাল যখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেনেহিঁচড়ে আনছ তোমরা, তার মধ্যেই ভেবে নিলাম, আবার নিলামে উঠে কারেন্টের মিস্ত্রি হয়ে যাব, গোলকিপার হয়ে এবার সব শট আটকে দেব রোনাল্ডো-রিভাল্ডোর। আজ এই ব’লে তোমার জ্ঞানচক্ষুর শাটার তুলে দিয়ে যাচ্ছি উদাসীন যে, তু-মি যা-রে জা-নো সে তো কেহ নয়, আমরাই ‘বিশ্বকবি’ সিনেমায় নায়কের স্টান্টম্যান সাজি রোজ, ধ্রুবকাল…

.
[‘জগৎমঙ্গল কাব্য’ বই থেকে]

How to Write Your Essay Next Day

Whenever you’re trying to produce ideas for the essay you will be submitting to a school or University this week, what you can do is to go through the entire semester and come up with at least one essay the following day. This gives you time to reflect on what you’ve learned throughout the session and determine what additional information পড়তে থাকুন How to Write Your Essay Next Day

শঙ্খসখ

মুহুর্মুহু ভালোবাসা যখন বুকের মধ্যে আঘাত হানবে আমার – তখন আছড়ে পড়া ঢেউএর মতন;
তোমার ও’সব ভাবলেশহীন পা ফেলে চলে যাওয়ার কথাই মনে পড়বে। মনে পড়বে সবুজ দিন – সবুজ ঘাসের কথা।

বাহান্ন পৃষ্ঠার বইএর মাঝখানে আঙ্গুল ‘এসে দুই ভাগ হয়ে মিশেছে তোমার সিঁথির মতন। সিঁথি ধরে চলে পৌঁছে যাব নিরুন্তর বয়ে চলা অথর্ব এক জীবনের কাছে; যে জীবন আমার ||

আমার যাওয়ার ইচ্ছে ছিল এসব ধ্বনিপ্রধান গণ্ডী থেকে বেরিয়ে, শঙ্কা থেকে বের হয়ে শঙ্খসখ করে হেঁটে যাওয়া আনুমানিক বৃহস্পতির বলয়ে ||

[শঙ্খসখ]

ঋণঋণায়মান

ঋণঋণায়মান
এই যে বেঁচে থাকা তারই ডাকসাইটে নাম জীবন।
তবুও তো নানাভাবে চিঠি লিখে জীবনকে বোঝাতে হবে-
ভালোবাসি।
যে জীবন অস্বীকার করে –
প্রেম, ভালোবাসা আর চুমকুড়ি যত্ন আত্তি।।

শিশু সাহিত্য

অনেক কবি-সাহিত্যিক দেখেছি- শিশুকিশোর সাহিত্যকে তারা বালখিল্যপনা ভেবে হেয় করেন। শিশুসাহিত্যিকদের হীনচোখে দেখেন। অনেক কবি তো ছন্দ-অন্ত্যমিলাশ্রয়ী কবিতাকে পর্যন্ত অচ্ছুৎ ভাবেন। একজন শিশুসাহিত্যসেবক হিসেবে এ ধরণের করুণ অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। অনেক সাহিতানুষ্ঠানে গিয়ে বা কবি-সাহিত্যিকদের কথায় এর ভুরিভুরি প্রমাণ আমি পেয়েছি।

এমনকী কবিসভায় শিশুসাহিত্যিকগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাকও পান না। অনেক লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক বড়দের সাহিত্যের পাশে ছোটদের সাহিত্য প্রকাশ করতেও ভয় পান পত্রিকার মান নষ্ট হবার ভয়ে। বড়বড় পত্রিকাওলারা বড়দের সাহিত্যের পাশে ছোটদের উপযোগি সাহিত্য রাখার আগ্রহও দেখান না। সাহিত্যের আলোচনার ক্ষেত্রেও শিশুকিশোর সাহিত্য ও সাহিত্যিকগণ সবসময় অপাঙক্তেয়ই থেকে যান। অথচ ওই সব বড় কবি লেখকগণও যে একদিন ছেলেভুলানো ছড়ার ছন্দে, ঠাকুরমার ঝুলি, পঞ্চতন্ত্রের গল্পের ভাষা আর কল্পনার রঙে মেধা আর মননকে রাঙিয়ে বেড়ে উঠেছেন সেটা বেমালুম ভুলে যান।

তবে বিভিন্ন বইমেলাতে গিয়ে খেয়াল করেছি, বড়দের জন্য লিখিত সাহিত্যের চেয়ে ছোটদের সাহিত্য কম বিক্রিত হয়না।

বরং হয়তো একটু বেশিই হয় মনে হয়। শিশুকিশোর বা তরুণ পাঠকের সংখ্যাও বড়দের তুলনায় কম নয়। আর সাধারণ মেধার পাঠকপাঠিকারা তো বড়দের গল্প কবিতার দুর্বোধ্যতার কারণে রসাস্বাদনে ব্যর্থ হয়ে শিশুকিশোর সাহিত্যই তুলে নেন। সেটা ছাত্রপড়ানোর সুবাদে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আমি খেয়াল করেছি। মা বাবা নিজে পড়েন না, অথচ তাদের অক্ষরজ্ঞানহীন শিশুকে পড়ে শোনান নানান শিশুসাহিত্য। এরকম ঘটনাও আমি চাক্ষুষ করেছি।

তবু কেন যে এই অবজ্ঞা, বুঝিনা। শিশুকিশোরদের যদি না সাহিত্যমনস্ক করে তোলা যায়, যদি না তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা যায় তাহলে বড়দের সাহিত্য ভবিষ্যতে কারা পড়বে, এটা তথাকথিত বড়বড় কবিলেখকগণ কী ভাবেন?

তাদের দামিদামি ভাষণের ঢাউসঢাউস বইগুলো যতটা না পঠিত হয় তারচেয়ে বেশি পঠিত হয় ছোটদের সাহিত্য। ওগুলো পড়েন শুধুমাত্র কবিলেখকগণ আর অন্যরা কিনলেও তা শুধুমাত্র ঘর সাজানোর জন্য। এরকম কিছু অদ্ভূত প্রমাণও আমি পেয়েছি।

অথচ সাহিত্যের সব বড়বড় পুরস্কারও বড়বড় কবি-সাহিত্যিকদের জন্য। শিশুকিশোর সাহিত্যলেখকগণও সেখানে অবহেলিত। একজন নগন্য শিশুসাহিত্যসেবক হিসেবে আক্ষেপ, আসলে আমরাই আমাদের গাছের গোড়া কেটে আগায় জল ঢেলে গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছি।-