তুমি তাপসী নও- স্বৈরিণী
দম্ভ চরণে কাঁপাচ্ছ জোছনা বন- সৌম্য রজনী
জোনাকির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে- ধ্যান মগ্ন
ঋষির নির্বর্ম বুকের উষ্ণতা লুটে নিতে চাও;
তুমি নও যজ্ঞের অরণী-
আগুনের সমুদ্রে- মক্ষী স্রোত!
তোমার নগ্ন অক্ষে অদম্য ক্রোধ, পিয়াসের উদ্যত চাবুক
নও তুমি তাপসী- নিটোল বক্ষের কৈলাসী, নক্ষত্রের অসুখ
ক্রন্দসীর চাপা কান্না, সন্তপ্ত দীর্ঘশ্বাস!
তুমি জানো- রুষ্ট আবেগে ঘনীভূত ঠোঁটে
কতটা শুদ্ধ ছোঁয়ায় জীবন্ত হয় শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি;
ঘুঙুটে হৃদ্য স্বর-
বালিহাঁসের পালকে লুকানো উষ্ণতা,
কতটা নৈবদ্যের পর জবা ফুলের মত ফুটন্ত রাধার হাসি।
যে স্বাদ গ্রহণে- সমুদ্র ধরেছি বুকে
এক চিমটি লবণে,
দীর্ণ- দরিদ্র প্রকাণ্ড জীবন- হাল ছাড়িনি তবু
অবিরাম হেঁটেছি শ্রমণ- একাগ্র ধ্যানে।
নিভু নিভু প্রদীপ শিখা
অধীর লগনে সতৃষ্ণ আত্মা- পুড়েছে উন্মত্ত আগুনে
কভু নিঃশেষে
কভু উপহাসে- আছি নির্লিপ্ত; বিশুদ্ধ সমর্পণে।
দাউদুল ইসলাম
আপনার কলম হয়ে যে অনুভূতির প্রকাশ যেমন হয়েই বেরুয় … অসাধারণ হয়।
নন্দিত শুভেচ্ছায় ভালোবাসা প্রিয় স্যার।