অক্ষত নেই কিছু
অক্ষত থাকেনা, থাকতে পারেনা। বেড়ে চলছে মাথা পিছু ঋণের বোঝা
আনুপাতিক হারে বাড়ছে ক্ষত, যন্ত্রণা! ধুলোর কাছে বৃক্ষের ঋণ!
ক্ষত ঢাকতে
বৃক্ষের কাছে ছায়ার ঋণ, শিশিরের কাছে ঘাসফুল, মেঘের কাছে বৃষ্টির ঋণ!
ক্লেদ ঝরাতে-
বোঝা পড়ার দিন আসে না- কখনো সীমাহীন আনন্দ, কখনো কঠিন কষ্টের ছুঁতো,
গুনতে গুনতে প্রহর যায় ভেসে…
ক্ষতের পর ক্ষত… ক্ষতের পর ক্ষত!…
অক্ষত নেই কিছুই। অক্ষত থাকেনা। থাকতে দেয় না। অন্তর জুড়ে গহন-
গহীন আস্তাকুড়ে পড়ে আছে প্রথম যৌবনের রঙ্গিন খাম, নিশিজাগা কবিতা, স্বাধীন চেতা স্বপ্ন!…
এসব ক্ষত শুকিয়েছে- মরে
মৃত্যুপুরীর দমবদ্ধ ঘরে জমেছে ক্রমবর্ধমান ভার; চাপা ব্যথা
আর বেড়েছে ঋণ- অন্ধকারের কাছে , ধুলো মলিন আড়ালের কাছে, কবরের মতন
নিস্তব্ধ মৌনতার ঋণ! গল্পের বাহিরে যে সব সত্য মিথ্যা, যে সব রঙ, রস, চন্দ্র মোহন
কোন রাতের ঋণে নিমজ্জিত – সে সব অব্যক্ত কথা।
যে উঠে আসতে চেয়েছিলো ক্ষতের ভেতর থেকে, প্রবীণ বালিহাঁসের সঙ্গীহীন ক্রন্দনের সাথে
মিশে থাকা নিবিড় গন্ধ থেকে, বয়ে চলা এক অন্তহীন ক্ষরণ থেকে।…
জীবনের স্কন্ধে জ্বলন্ত পিণ্ড বয়ে নিয়ে
যে অক্ষত নদী মোহনা খুঁজে খুঁজে এতটা কাল আমি ক্ষতের রচনা লিখে যাচ্ছি
আমি জানি না আমি কি করে শোধ করবো এই দহন ঋণ!…
দা উ দু ল ই স লা ম ।
বেড়েছে ঋণ- অন্ধকারের কাছে,
ধুলো মলিন আড়ালের কাছে, কবরের মতন নিস্তব্ধ মৌনতার ঋণ!
কী অসম্ভব সত্যকে তুলে এনেছেন আপনার চারু কলমের আঁচড়ে। অসাধারণ।
খুউবি সুন্দর লিখেছেন দাদাভাই। শুভেচ্ছান্তে —
অনেক দিন পর আপনা কবিতা পড়লাম দাদা
বেশ লাগল অনেক শুভেচ্ছা নিবেন———কবি দা——