নাচেন নইলে নাচান

গান শুনে যান, (বা)গান দেখে যান
যদি না, গেয়ে উঠে অন্তরের তানপুরা
বুঝবেন,
পাতা হয়নি কান, দৃষ্টির নিশানা !…
অথবা,
তা – গান নয়, হয়তো কোন স্লো গান
এই সমাজে
পায়নি যে- তিল পরিমাণ স্থান!
যে বিদ্রোহী, দাবী তুলে জ্বলেনি দাবানলে
কান্তার নির্বাণে পুড়েছে সে নিজে;
দেখাতে যায়নি ক্ষত
নিভৃতে গলেছে অশ্রু, ডুবেছে, রক্তে…, পুঁজে,
যার অর্থ-
সে পোড়া প্রাণ, সঞ্চারিত, অন্তস্থ উদ্যানে,
যেখানে
মরতে মরতে উচ্চারিত হয়েছিলো-
বিরান শিল্পের কান্না, শেষ নৈবদ্যের সমর্পণে!…
তবু
গান হয়, (বা)গান হয়, এবং স্লো…গান…
যেভাবে জয়ের প্রয়োজনে হারে কেউ,
যেভাবে নির্বিচারে মরে নদী, জলাশয়, মাঝ দরিয়ার ঢেউ!
যে বাঁচে সে নাচে
নাচেন নইলে নাচান, আপনি চান বা না চান
তার জয়োগান শোনবেন নতুবা শোনাবেন…
মনে রাখবেন- সবসময়
পৃথিবীর আনাচে কানাচে জেগে রয় বেওয়ারিশ কুকুরের ঘেউ!

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

3 thoughts on “নাচেন নইলে নাচান

  1. প্রতীকি শব্দানুভূতির লিখাটি বেশ আকর্ষণীয় মনে হলো। শুভেচ্ছা নেবেন প্রিয় কবি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।