দূরের কাছের সকল পাঠক দর্শকবৃন্দ আপনাদের সকলকে জানাই আশু নব বর্ষের শুভেচ্ছা। দিনে দিনে অনেক সময় বয়ে যাচ্ছে, শব্দনীড়ে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছেন অনেকই। খুল যা সিম সিম এ পক্ষ থেকে অভিবাদন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পর্ব।
চিঠি চালাচালি নিয়ে নতুন আইডিয়া নিয়ে এসেছেন খেয়ালি মন। ঐদিকে দীলখুশ মিঞা হাই হ্যালো চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ।
তো দীলখুশ মিঞা খেয়ালীমনকে চিঠি দিলো।
চিঠিতে লেখা, ‘ প্রিয় খেয়ালিমন, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’
এই চিঠি পেয়ে খেয়ালী মন পরে গেলেন মহা ফ্যাশাদে ওই ব্যাটা দীলখুশ যে একটা ফাকিবাজ ভালো করেই জানে খেয়ালী মন, মরে গেলেও দীলখুশ মিঞা কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না।
মহা চিন্তায় পড়ল, ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই।
খেয়ালী মন চিঠির উত্তর লিখে দিল, ‘ভাই , আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’
আরে সাব্বাস। সাব্বাস, সাব্বাস।
এদিকে গেদুর সাথে দীলখুশ মিঞার সাথে দেখা।
দীলখুশ মিঞা গেদুকে বললঃ গেদু তুমি কি বিয়ে করেছো?
গেদুঃ হ্যা।
দীলখুশঃ কাকে ?
গেদুঃ একটা মেয়েকে।
দীলখুশ ভাবল এইতো সুযোগ গেদুকে বেকায়দা ফেলার, বললঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
গেদু বললঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
গেদু বললঃ হায়রে হাই হ্যালো, তুমি চলো শিকরে শিকরে আমি চলি পাতায় পাতয়, তুমি বলো হ্যালো হাই, আমি বলি বাই বাই।
আজ এ পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ।
এইটা একখান ভালো খুল যা সিম সিম হৈছে।
ওরে পাগল জীবন হৈলো জীবনের লাহান। জীবনের অনেক মানে আছে।
যা দেয় কাইড়া লয়। এনিওয়ে … থ্যাঙ্কু মি. ফকির আবদুল মালেক।
মুঠো ভর্তি ঘাস নিয়ে বাচ্চা ছেলেটি জিজ্ঞেস করল -ঘাস কি?
একতারায় জীবনের তার নাড়তে নাড়তে বাউল বলল
-জীবনের মানে কি?
আমি কারোর উত্তর দিতে পারিনি, কিভাবে পারব,
আমিতো বেশি জানি না তাদের চেয়ে।
আজাদ ফকির কয়, শুনে মূর্খ জনে কেদে খান খান
ওরে পাগল জীবন হইল জীবনের লাহান
সব কিছু শূণ্য মনে হয়
যা দেয় কাইড়া লয়!!??
ওরেরেরে কত অজানা রে !!
মুরুব্বী বেশি জানলে মাথায় পানি ছিটায় কেন?
দিলখুশ মিয়া খালি হাই হ্যালো কইতাছে আর খেয়ালি ভাই খালি চিঠি লেখতাছে, ঘটনা সন্দেহ জনক, সাবধান!
একজন ফেলুদা বড় দরকার এই ব্লগে। সন্দেহজনক জিনিসের রহস্য খুজে বের করবে!
দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।
অত্যন্ত দুখের সাথে লক্ষ্য করছি খুল যা সিম সিম ( আমি চ্যালেঞ্জ করছি এই নামটি নকল করা) আমাকে অপমান করার মৃদু চেষ্টা করা হচ্ছে। খেয়ালি মনচিঠি লিখে জানিয়েছে যে, আামার চিঠি অন্য কারো কাছে চলেগেছে। তাহলে কিভাবে সে আমাকে টাকা ধার দিবে?
তবে গেদুকে খুজছি কেউ তার সন্দান দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে।
আপনাদের ভাল হোক।
আরে মুরব্বী ভাই আপনি এমন করিতেছেন কেন, মনে হচ্ছে মাথাডা ঘুরিয়ে গেলো।
যার যা কাজ










নাই কাজ তো খৈ ভাজ
কিছুই পারি না, ভাবলাম চিঠি লিখে একটু প্রেম করি আপনাদের সেই দিকেও নজর দেয়া লাগে
মালেক ভাই যে সিম সিম বলে যার তার ঘরে ঢুকে যায় ..কই আমারা তো সেই দিকে নজর দেই না..সে খুল যা বইলা যা খোলে খুলুক …কিন্তু আমার প্রেমের চিঠির পিছনে কেন….
হাই হ্যালো বইলা যে দিলখুশ ভাই যারে তারে টিচ করে সেইটার বিচার আগে হবে, সবার আগে আমি এই ন্যাকার জনক , উদ্দেশ্য প্রনোদিতো, মানহানিকর, বাকোয়াজ, আপত্তিকর, খামখেয়ালীর, অরাজনৈতিক,বিবেক বর্জিত ,ন্যাক্কার জনক ধোকাবাজির ধরনের টিজিং করার জন্য তাকে ১লা বৈশাখ বিচারের কাঠ ঘোড়ায় তুলে চক্ষুশুলে চরানোর জন্য স্ব অভিনয় সকল বিচারকদের অনুরোধ জানাই।
চাইলে মালেক ভাইরে গোপনে কিছু চা- পানি খাওয়ার পয়সাও দিমু কিন্তু আমার চিঠির দিকে কেউ যেন নজর না দেয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
হাই হ্যালো খেয়ালী মন
আমি যে আপনাকে চিঠি দিয়েছি তা কি সত্যি অন্য কারো ঠিকানায় চলে গেল?
ডাক বিভাগের যা অবস্থা হতে পারে। আমার সরল মনে একটা গরল প্রশ্ন।বারবার খুচাচ্ছে আপনি জানলেন কিভাবে? না না মনে কিছু করবেন না, আপনিতো জানতেই পারেন, কি বলেন?
জ্বী ভাই আপনে যে টাকা চাহিয়া পত্র দিয়েছেন আমার হাতে আসার আগেই মুরুব্বী প্রেমপত্র মনে করে তা গায়েব করে নিয়েছে……



যা বলার তাকেই বলেন.. যেহেতু চিঠির বর্তমান মালিক সে…
আমার তো জানার কথাই ছিলো না কন্তিু মুরুব্বী পেটে কিছু জমিয়ে রাখতে পারে না ,কিছুই জমিয়ে রাখতে পারে না…
মুরব্বী বলে কথা তাকেতো আর তেমন কিছু বলা যায় না।
আমার আর এখন টাকার প্রয়োজন নাই। ভাববেন না যে আমার পোষ্টে এলে আমি আপনার কাছে কিছু চেয়ে বসব।
আসবেন ভাই আমার ব্লগবাড়ীতে।
আপনার ভালহোক।
জনাব দিলখুশ মিয়ারে পেরাইভেট ডিটেকটিভ এর দায়িত্বডা দিলে কেমন হয় জানাইবেন।
জনাব গেদু মিয়া এই অনুরোধডারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়া দেখবনে কিন্তু। বর্তমানে খুল যা সিম সিম এর অত্যাচার বড্ড বার বারন্ত দেখা যাইতেছে।
হাই হ্যালো
আমি গেদুকে খুজছি ওর কোন খবর পাইলে জানাবেন কিন্তু—–
আমার মনেহয় গেদু মিয়া অথৈ জলে ডুব দিয়া রহিয়াছে, হয়ত সুযোগ মত আবার ফকির সাহেবের কেরামতিতে জাগিয়া উঠিবে।
আইচ্ছা খেয়ালি ভাইয়ের কাছে যে ট্যাকা চায়, সে কি তারেই টেকা দ্যায়? তাইলে ত আমার ম্যালা ট্যাকার দরকার।
খেয়ালি ভাই আপনের ইজ্জতের দিকে চাহিয়া আমার জন্য ম্যালা টাকা পাঠায়া দিবেন। ( আমারে যদি আপ্নে ট্যাকা দ্যান, হাঁচা কথা কই, সেইখান থেকে আমিও আপনেরে কিছু ট্যাকা দিমু)। আমারে ট্যাকা দিলে আমি খালি হাতে ফিরাই না।
হাই হ্যালো
আপনাকে গোপনে একটা কথা বলি, খেয়ালী মন লোকটা বেশি সুবিধার নয়। আমি তারে চিঠি দিছি কথা সত্য, কিন্তু আমার মনে বড় খটকা তার কাছে যদি চিঠি না পৌছে তবে কি করে জানল আমি টাকা চাইছি। আমি বুঝতে পারছি না আপনি পারছেন?
আমার মনে হয় সে আপনার চিঠি টা চুরি কইরা পড়ছে। তার মনে হয় অভ্যাস ভাল না। হাজার হোক, চিঠি চুরি করা তো ঠিক না।
আর আমার মনে অয়, সে যে এত চিঠি লেখে, কেমনে লেখে? মাইষের চিঠি চুরি কইরা নিজের নামে চালায়া দ্যায়।
অহন বুঝছেন, আপনার চিঠি সে চুরি করছে।
সব কিছুই বুঝলাম। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না, এত সব খবর মালেক ভাই জানলেন কেমনে?? মালেক ভাই কি, সব সময় এগো পিছে পিছে ঘোরে? আইচ্ছা এক লগে তিনজনের পিছে ঘোরে কেমনে। নাকি চারজনেই এক লাগে ঘোরে।
এত ঘোরাঘুরির মাঝে দেখি আমার মাথাই ঘুরতাছে।
হাই হ্যালো।
ফকিরকে যদি পান আমাকে একটু খবর দিয়েন। নিশ্চয়ই উনি গেদুর খবর জানেন। আমি গেদুরে খুজছি—–+
ফকির সাব রে তো আজ দুপরেই দেখলাম। ফার্মগেট ওভারব্রীজের নিচে এক সুন্দরীর পিছে দৌড়াইতাছে। মনে হয় সুন্দরী সিরিজের পরের কবিতা ফার্মগেটের ওভারব্রিজের এই সুন্দরীরে লিয়াই হবে। আপনের লগে দেখা অইলে ভাল মত ধইরেন।
খবরটা কিন্তু গোপন রাইখেন। আমি যাচ্ছি ফার্মগেট
আবার কেন সুন্দরীর লয় পিছু, হয়ে যাবে লেট
পৃথিবী সব সুন্দর ধরা দিক ফকিরের হাতে
সুন্দরীরা জেগে উঠুক হেসে শব্দের তুলিতে।