ফুলের নাম : রুদ্রপলাশ
ইংরেজি নাম : African Tulip, Flame of the Forest, Squirt Tree, Fountain Tree, Nile Flame, Nandi Flame, Uganda Flame, African Tulip Tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Spathodea campanulata
অনেকে বলেন রুদ্রপলাশ নামটি দ্বিজেন শর্মার দেয়া আবার কারো কারো মতে নামটি দিয়েছেন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সে যাইহক, রুদ্রপলাশের আদি নিবাস আফ্রিকা হলেও ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, কোষ্টারিকা, শ্রীলঙ্কায় এর দেখা মেলে। বাংলাদেশে রুদ্রপলাশ গাছ খুব একটা দেখা যায় না। আমি দেখেছি ঢাকার বলদা গার্ডেনে আর মিরপুরেরর বোটানিক্যাল গার্ডেনের শেষ মাথায়। শুনেছি রমনাতেও আছে রুদ্রপলাশে গাছ, তবে দেখিনি।
চিরসবুজ রুদ্রপলাশ গাছ সাধারণত ২৫ থেকে ৮০ ফিট লম্বা হয়ে থাকে। বসন্তের শুরুতে গাছের চূড়ায় রাশি রাশি রুদ্রপলাশের ফুল ফুটতে দেখা যায়। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উজ্জ্বল লাল রঙের রুদ্রপলাশ দেখতে অসাধারণ লাগে।
রুদ্রপলাশ ফুলের কুঁড়ি দেখতে আমাদের পলাশ ফুলের কুড়ির মতোই অনেকটা। গাছের ডালের শীর্ষে গোলাকার মঞ্জরিতে ফুল আসে। মঞ্জরির সমস্ত কুঁড়ি একসাথে ফোটে না, ধাপে ধাপে দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে ফুটতে থাকে।
উজ্জ্বল লাল রুদ্রপলাশের ভেতরের অংশ লালচে সোনালি আর পাপড়ির কিনারা কোঁকড়ানো এবং চারপাশে হলুদ বর্ডার। ফুল ১০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৫ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। রুদ্রপলাশের পাঁপড়ি থাকে ৫ টি। তবে পাঁপড়ি গুলি একসাথে যুক্ত থাকে বলে ফানেলের মত মনে হয়।
ফুল ফোটার পর গাছে ফল আসে। একটি মঞ্জরি থেকে ২ থেকে ৪ টি লম্বা লম্বা ফল ধরে। পরিনত ফলে পেকে গিয়ে লম্বালম্বি ভাবে ফেটে যায়। ফলের ফাটা অংশ দুটি নৌকার মত দেখতে হয়। প্রতিটি ফলের ভিতরে প্রায় ৫০০ টি স্বচ্ছ ডানা যুক্ত ক্ষুদ্র হৃদয় আকৃতির বীজ থাকে।
সবগুলি ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং
দেখতে দেখতে কোলকাতা শহর ইট পাথরের শহরই হয়ে গেলো। আগে কতো ফুল দেখতে পেতাম। দামী ভদ্রলোকেরা সব কেড়ে নিয়েছে আমাদের। রুদ্রপলাশ মুগ্ধ করলো ছবি দা।
আমাদের ঢাকার অবস্থা আরো অনেক বেশী খারাপ।
অসাধারণ ফটোগ্রাফি।
ধন্যবাদ মতামত জানানোর জন্য।
গুড জব প্রিয় দস্যু ভাই। পৃথিবী কত সুন্দর !!
চারপাশে নানা সৌন্দর্য ছড়িয়ে রেখেছে প্রকৃতি, আমরাই তা নষ্ট করে চলি।
* ছবিতে মুগ্ধতা রেখে গেলাম…
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।