বিভাগের আর্কাইভঃ আলোকচিত্র

» দেশের ছবি-৬

১।কোন এক ভোরের কুয়াশা আলোয় মিষ্টি রোদ্দুরের অপেক্ষায় ছিলাম বিভোর
শিশির ঝরেছিলো টুপটাপ…… শীতের শিহরণে কেঁপেছি আর উপভোগ করেছি
প্রজাপতি প্রহর। হলুদ ফুলের ঘ্রানে কে না বিভোর হবে শুনি-এমন মুগ্ধতা শুধু একটি দুটি হাজারটি কুয়াশা ভোরই দিতে পারে। প্রজাপতি মেলেনি পাখা- প্রজাপতি আর আমার সখ্যতা চোখের পড়ার মতোই ছিল….দুজনেই অপেক্ষায় ছিলাম এক চিলতে মিষ্টি রোদ্দুরের।
—————————-
হাবিজাবি ফটো নিয়ে আবার হাজির হলাম। এবারও ট্রেন থেকে কিছু ছবি, আবার কুয়াশাসিক্ত ভেজা আবার পুরোনো স্মৃতি রোমন্থণের ছবি নিয়ে সাজিয়েছি পোস্ট। আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের। কারো একটু ভাল লাগলেই কষ্ট করা পোস্ট সার্থক হয়। আমি যদিও নিয়মিত উপস্থিত হতে পারি না ব্যস্ততার দরুন। তবুও পোস্ট করার লোভ তো আর চলে যায় না। পোষ্টে দেরী করে মন্তব্য আপনার প্লিজ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি বুঝবেন- এই শহরের মানুষ কতটা ব্যস্ততায় থাকে। আর একজন চাকুরীজীবি মহিলার ব্যস্ততার তো কথাই নেই। নানান ঝামেলা সারাদিনই থাকে। স্কুল অফিস বাসা সংসার লেখালেখি মোট কথা এক ইঞ্চি সময় নিজের জন্য ব্যয় করা কষ্টকর। অনেকেই ভাবেন পোস্ট দিয়ে চলে যাই এটা একটা অহংকারের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু অপারগতা আমার জানিয়ে গেলাম। আমাকে বুঝে নিবেন।
আমার দেশের ছবি। ভালবাসার ছবি-একেকটা মুগ্ধতার মুহুর্ত ক্যামেরার শাটারে বন্দি করতে পেরে যারপর নাই ভাল লাগে খুবই ভাল লাগে। হয়তো ছবিগুলোর কোন মূল্য নেই আবার আছেও অনেক অন্তত আমার কাছে। এসব ছবি দেখলে আবার ছুঁতে মন চায়। আর ক্যাচাল নয় স্ক্রল ঘুরিয়ে দেখে নেই ছবিগুলো……… এই পর্যন্ত ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন সবাইকে নিয়ে।

২। মন বাড়িয়ে ডাকছি সখি – আয়না কাছে আমার
মনে আমার গড়েছি দেখ্ -তোর প্রেমেরই খামার।
ভাসব দু’জন সুখের জলে-চল্ না পাশাপাশি
আনন্দেতে হোক্ না একদিন-সুখে ভাসাভাসি
সাঁতার কাটব ঢেউয়ে ঢেউয়ে-ছলাৎ ছলাৎ জলে
ছুঁয়ে দিবো মন তোর হঠাৎ-ভালবাসার ছলে।

৩। অথৈ ঢেউয়ে ভাসতে থাকে যন্ত্র দানবগুলো….. জলের মাঝে ছেড়ে দেয় ওদের বিষাক্ত নি:শ্বাস। জল হাহাকারে কেঁদে উঠে-জলের বুকে মাছেদের গায়ে লাগে কালো জলের স্পর্শ-ব্যথায় কুঁকড়ে যায় মাছেরা-গায়ে ঢুকে যায় ওদের বিষ। আর আমরা সে বিষ খেয়ে ফেলি রেঁধে নির্দিধায়। এই যে নদী তোকে নিয়ে কত গান আছে জানিস-তুই যেমন সর্বনাশা পদ্মা নদী তেমনি তোর বুকে লুকানো কত ধন রত্ন । তবুও তোকে আমরা অবহেলায় ভাসিয়ে দেই-বিষাক্ত ধোঁয়া তেলের বজ্য আর তুই কেঁদে যাস নিরবে কেউ দেখে না চোখ মেলে। আর তোর উপরে আরো শক্তিশালী দৈত্য দানব ছুটে চলে তারা নিত্যই করে চলেছে বাতাস দুষিত। আমাদের করার কিছুই নেই-ভারসাম্য হারায়/হারাবে পৃথিবী।

৪। আহা সেই মুগ্ধ প্রহর, সেঁটে রেখেছি বুকে, ক্যামেরার ক্লিকে। পৌষের রোদ্দুর দুপুর চারিদিকে উষ্ণ মিষ্টি রোদ্দুর আর ঝিরিঝিরি হাওয়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুটা পল। মেঠোপথ ধরে আনমনা হেঁটেছি নগ্ন পায়ে। তুমি তো শহুরে-আমার পায়ে পা রেখে চলতে শিখোনি- কখনো মুগ্ধ হতেই জানো -না। খুব ইচ্ছে এমন রোদ্দুর বেলা তুমি থাকো পাশে আর গল্পে খুঁনসুটিতে পথ চলি কিন্তু আমার এসব আশায় গুঁড়ে**ি। যাক মুগ্ধতা শুধু আমি একাই কুঁড়াই বুকের বামে তুলে রাখি স্মৃতি রোমন্থন করার মতো সয়গুলো। তুমি চাইলে বুকের আগল খুলে দিয়ে দিতে পারি আমার সকল মুগ্ধতার ক্ষণ ভালবাসার ক্ষণ-শুধু তুমি ছুঁয়ে দিয়ো মন আমার আলতো।
আমাদের গ্রাম…….

৫। নীল কুয়াশায় ঢেকে যায় সকাল কিংবা একটি গোধূলি বেলা
মাঠ জুড়ে তবু অবারিত সবুজেরা নিত্য বসায় সজীবতার মেলা
এখানে কৃষকের ক্লান্তি নেই-নেই ভ্রান্তি-কিংবা চোখজুড়ে মোহ
এখানে পেট চালায় খিদের তরে খেটে খাওয়ার এক দ্রোহ।
এখানে শীত বন্দি রাখতে পারে না মখমল বিছানার আরাম
এই আমার দেশ সবুজ শ্যামল এইতো আমার ছায়ামীয় গেরাম।
ক্যানন ৬০০ডি (ট্রেন থেকে তোলা) ক্যাপশনও চুরি যায় গা -আজিব

৬। তুমি শুধু শহরমূখী হতে চাও, কি পেলে বলতো ইট পাথরের এই শহরে
যেখানে যন্ত্র দানব অট্টহাসিতে ছুটে চলে পিষে নেয়ার জন্য….. শুধু রাতের রঙবাহারী আলোয় খুঁজে নিলে সুখ। আরে একবার চোখ ফিরিয়ে গাঁয়ের দিকে দেখো। এখানে কতটা সজীবতা পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে। এখানে গাছে গাছে ঝুলে থাকে সবুজ। পাতায় পাতায় শিশিরের স্নিগ্ধতা। আমি জানি তুমি শুধু মুগ্ধতায় একবার তাকালেই সবুজে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করবে। এসো তবে-আমার সেই ছোট গাঁয়ে। রইলো বন্ধু তোমার নিমন্তন্ন। কি আসবে তো?
ধুন্দল ঝুলে আছে বাঁশের মাচায়
ঝুলন্ত সবুজ আমার মনটা নাচায়
কেনো যে বন্দি থাকি শহুরে খাঁচায়।

৭। শহরে বসে মহানন্দে ফরমালিন গিলি-আহা। এমন সজীব প্রহর -সজীবতার ছোঁয়া কেবল মায়াময় ছায়াময় গ্রামেই পেতে পারি। টাটকা খাওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে গেলো শহরমূখী মানুষের। এখন আর টাটকা কিছু খেতে পারি না -শুধু ভয়ে মরি। হয়তো কখনো সময় হলে ছুটে যাবো মায়ের কাছে -গাছ থেকে পেড়ে খাবো ফরমালিনমুক্ত ফল-ফলাদি। সে পর্যন্ত অপেক্ষায়……….

৮। সেই নিদ্রাহীন প্রহরের কথা তোমরা ভুলে গেছো? না, এ তো ভোলার স্মৃতি না। আহা সেই মেয়েবেলা উঁকি মারে মন জানলায়। তুমি আমি আমরা ভাই-বোনেরা কত হট্টগোল প্রহর- সে আর ফিরে আসে না। তবু ভেবে নেই-হাতড়ে ফিরি ক্যারাম প্রহর। মায়ের বকুনি রাত জাগা পাখি’রা থোড়াই কেয়ার করি- খানিকক্ষণ নিশ্চুপ। ফের ঘুমানোর শব্দ কান পেতে শুনি- আবার ফিরে যাই টুসটাস ক্যারাম মুগ্ধতায়। ফযরের আযানে সম্বিত ফিরে পাওয়া রাতজাগা পাখি’রা নামায পড়েই বিছানায় সটান শুয়ে হারিয়ে যেতো স্বপ্ন ময় জীবনে। দুষ্টামি আর খুঁনসুঁটিতে ভরা সেই রাত্রিগুলো আর নেই এখানে। এখানে যন্ত্র চেপে ধরেছে-বন্দি করেছে যন্ত্র জেলে। লাল নীল হলুদ স্বপ্ন এখানে নেই আছে শুধু বিষন্নতা আর কর্মময় জীবন-ঝাঁপিয়ে পড়ো নিদ্বির্ধায়। ব্যস এইতো জীবন।

৯। ও মাঝি তুই গেলি কোথায়-একলা আমায় ফেলে
তোকে ছাড়া অথৈ জলে-লাগছে এলেবেলে।
হাতের বৈঠা থুইয়া গেলি- নাও যে ডুবো ডুবো
মধ্য নদীর মাঝে আমি -কেমনে একলা রবো।
আয় না মাঝে পার করে দে-প্রেম শিখাবো তোকে
মাঝ নদীতে প্রেমের ঢেউয়ে-ঝড় উঠাবো বুকে।
ভালবাসার এমন প্রহর-ছেলে গেলি আমায়
দেখ না এসে চুপসে আমি-কষ্টে মন’টা ঘামায়।

১০। আমার বাড়ি আইয়ো বন্ধু -খাইতে দিমু কলা
ফরমালিন নাই সবরি কলা-নয়কো ছলাকলা wink
সবুজ কলা কচকচাইয়া-চিবাই চিবাই খাইবা
একটা খাইলে আরেকটা যে- খাইতে আবার চাইবা big_smile
কলার বাগান সবুজ বরণ- ফ্যালফ্যালাইয়া দেখবায়
ছলাকলা খাইয়া বন্ধু-এত্ত পদ্য লেখবায়। :v

১১। শিশির স্নানে মগ্ন পাতা
রোদ বসালো মায়া
একখানেতে আলো জ্বলে
অন্যখানে ছায়া ।
ভোরের শিশির স্নিগ্ধ সকাল
রোদ ঝরালো আলো
আলোর তাপে মাঘের শীতে
লাগে বড় ভালো।

১২্। এই তো আমার দেশ, কুয়াশার ফাঁক গলে ভেসে উঠে সবুজ। যেখানে কৃষকেরা বপন করে যায় সবুজ ধানের থোকা। এইতো ক’দিন বাদে মাঠজুড়ে উড়বে সোনালী ডানার চিল। আহা ধূঁধূঁ হাওয়ায় দুলে যাবে ধানের শিষ। চোখের কোণে মুগ্ধতার রেশ-মনে শান্তির আভাস। আমার দেশ-যেখানে স্বপ্ন ছুঁয়ে থাকে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে- খাল বিল নদী নালার স্বচ্ছ জলে উঁকি দেয় শরত কিংবা গ্রীষ্মের নীল আকাশটা। মেঘের পরতে পরতে উড়তে থাকে নীল শুভ্র স্বপ্ন। টলটলে জলের আয়নায় স্বপ্নগুলো ভাসায় সুখের ভেলা। এইতো- আমার দেশ আমার অহংকার আমার গর্ব। ভালবাসি বাংলাদেশ।

3 - Kadam Rasul Dorga (10)

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – কদম রসুল দরগাহ

গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানী পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল বন্দর মসজিদ (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা ১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত T Hossain House এর সামনে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা”।

নারায়ণগঞ্জের একটি চমৎকার যায়গা হচ্ছে কদম রসুল দরগা। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিপরীত দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে নবীগঞ্জে অবস্থিত কদম রসুল দরগাহ। চমৎকার এই দরগাহটিতে রয়েছে আশ্চর্য একটি জিনিস। কথিত আছে এখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ সংবলিত একটি পাথর রয়েছে। এর জন্যই দরগাহ এর নামকরণ হয়েছে কদম রসুল দরগাহ। একটি সুউচ্চ স্থানে কদম রসুল দরগাহ অবস্থিত।

এখানে দেখতে পাবেন বিশাল উঁচু একটি প্রবেশ তোড়ন। চমৎকার কারুকাজ করা সুন্দর সুউচ্চ এই স্থাপনা দেখে মনে হবে একটি সুন্দর মসজিদ বা দরগা। আসলে এটি একটি প্রবেশ তোড়ন। অনেকগুলি সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে উপরে। এই তোড়নটি মোটামুটি পাঁচতালা দালানের উচ্চতার সমান। সিঁড়ি দিয়ে উঠার আগে জুতা খুলে হাতে নিয়ে নিতে ভুলবেন না।

তোড়ন পার হয়ে ভিতরে ঢুকে দেখবেন উত্তর দিকে রয়েছে একটি মসজিদ আর দক্ষিণ দিকে আছে একটি কবরস্থান যেখানে রয়েছে ১৭টি পাকা কবর। এই দুইয়ের মাঝে আছে ছোট্ট একটি সাদা শ্বেতপাথরের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মাজার। এখানেই রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ সংবলিত পাথরটি। বড়সড় একটি খড়ম আকৃতির কালো পাথর এটি। আগে সব সময়ই দেখতে চাইলে দেখাতো কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু দিনেই শুধু কাচের বাক্স থেকে বের করে দেখায়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ। অবশ্য সত্যিই এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ কিনা সেটা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। আমাদের আলোচ্য বিষয় সেটি নয়। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। এখানে এই পাথরটি গোলাপজল মিশ্রিত পানির মধ্যে চুবিয়ে রাখা হয়, আর দর্শনার্থীদের একটি গ্লাসে করে সেই পানিয় পান করতে দেয়া হয়।

আগেই বলেছি মাজারের পাশে রয়েছে কবরস্থান। কবরস্থানের ভিতরে রয়েছে বিশাল বড় কেটি কাঠ গোলাপের গাছ। সেই কাঠগোলাপের গাছের একটি ডালে মহিলারা আজমির শরীফের লাল-হলুদ সুতা বাধেন কোন মানত করে। অনেক সুতা বাঁধা আছে, আরোও বাঁধা চলছে। কোন একটা মনোবাসনা পূরণের নিয়ত করে এই সুতো বাঁধা হয়। তাদের বিশ্বাস এতে করে তাদের সেই মনোবাসনা পূরণ হয়ে যাবে। কত বিচিত্র মানুষের মন।

মনে রাখবেন, আরবি সনের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ থেকে ১৫দিন ব্যাপী বিশাল এক মেলা বসে এখানে। এই কদম রসুল দরগার কাছেই আরেকটি মাজার রয়েছে, যেটি হানিফ চিস্তির মাজার নামে পরিচিত।

কথিত আছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মেরাজের রাত্রে বোরাকে উঠবার সময় বেশকিছু পাথরে তার পায়ের ছাপ পরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি আছে জেরুজালেমে। তাছাড়া আর কিছু পাথর রয়েছে ইস্তাম্বুল, কায়রো এবং দামেস্কতেও। আমাদের বাংলাদেশেও এমন দুটি পাথর রয়েছে, যার একটি আছে চট্টগ্রামে আর অপরটি রয়েছে নবীগঞ্জ কদম রসুল দরগায়।

মির্জা নাথান ১৭শ শতকে রচিত তার বিখ্যাত “বাহির-স্থানই গায়েবী” বইটিতে সর্বপ্রথম নবীগঞ্জের এই পাথরটির কথা উল্লেখ করেন। সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আফগান সেনাপ্রধান মাসুম খান কাবুলি, পদচিহ্ন সংবলিত এ পাথরটি একজন আরব বণিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। তার অনেক পরে ঢাকার জমিদার গোলাম নবী ১৭৭৭-১৭৭৮ সালে নবীগঞ্জের একটি উঁচু স্থানে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট দরগা নির্মাণ করে সেখানে পবিত্র সেই পাথরটি স্থাপন করেন। পরে কদম রসুল দরগার প্রধান ফটকটি গোলাম নবীর ছেলে গোলাম মুহাম্মদ ১৮০৫-১৮০৬ সালে নির্মাণ করেন।

সতর্কতাঃ
১। দরগার সামনের রাস্তায় অনেকেই দোকান সাজিয়ে বসেছে আগরবাতি, মোমবাতি, গোলাপজল, আতর, সুতা ইত্যাদি নিয়ে। চাইলে আপনি সেখান থেকে কিনতে পারেন, তবে কিনতেই হবে বা দরগায় এগুলি আপনাকে দিতেই হবে তা কিন্তু নয়।
২। জুতা খুলে মাজারে প্রবেশ করতে হয়।
৩। জুতা খুলে অবশ্যই হাতে করে নিয়ে যাবেন। বাইরে রেখে গেলে ফিরে এসে নাও পেতে পারেন।তবে এখন জুতা রাখার জন্য আলাদা ঘর ও লোক রাখা হয়েছে।
৪। ভেতরে প্রকাশ্য গঞ্জিকা সেবন হয়ে থাকে কখনো সখনো, মেলাতে অবশ্যই। তাই অপরিচিতদের সাথে না মেশাটাই ভালো সেখানে। বর্তমানে গঞ্জিকা সেবন কমেছে।
৫। কোন খাদেম বা অন্য কাউকে পাত্তা দেয়ার দরকার নেই, নিজের মত করে দেখে চলে আসুন। যায়গাটা নিরাপদ, অন্যান্য মাজারের মত টাউট বাটপারের ছড়াছড়ি নেই। তবুও সাবধান থাকতে কোন দোষ নেই।


দরগাহের সামনেই আছে কয়েকটি পুরনো বাড়ি।


দরগাহের সিঁড়িতে আমার দুই কন্যা।

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°37’49.3″N 90°31’11.9″E

পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে কদম রসুল দরগাহ এর সামনে।
তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় কদম রসুল দরগায়।

আলোকচিত্র » বাংলাদেশের ল্যাভেন্ডার ফুল

ZoXTbp0

এবার শ্বশুর বাড়ীতে এই বেগুনি বুনোফুলের দেখা পেলাম। নাম দিয়েছি বাংলাদেশের ল্যাভেন্ডার। ফসলের ক্ষেতজুড়ে এই ফুল ফুটে আছে। এখানে সেখানে থোকা থোকা বেগুনি ফুল দেখে মনটাই আনন্দে ভরে উঠেছিলো।

একটি ক্ষেত তো পুরাই এই ল্যাভেন্ডারের দখলে। শ্বশুরবাড়িতে এবার মাত্র চার দিন ছিলাম। তাই কোনো ছবিই সুন্দর করে সময় নিয়ে তুলতে পারিনি। ক্যামেরা আর মোবাইলও আমার কথা শুনেনি। সকালে শিশির ভেজা ঘাসে বসতে ভয় লাগছিলো। কোথা দিয়ে আবার জোঁক এসে যায়। আবার দুপুর বেলা গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড, এত মৌমাছি আর ভোলতা প্রজাপতি সর্বনাশ। আওয়াজে মাতোয়ারা আমি। ভয়ের চোটে বেশী কাছে গিয়ে বসে ছবি তুলতে পারিনি। ভোলতাদের ভয় বেশী লাগছিলো। তাছাড়া ক্ষেতটা বাড়ী থেকে একটু দূর হওয়াতে আরও সমস্যা। কে কী মনে করে আবার। ক্যামেরা নিয়ে একাই বের হইছি। আশে পাশে কেউ নেই। মানুষজন কেমনে চাইয়া থাকে। লজ্জাও লাগছিলো।

এত সুন্দর একটা ফুল অবহেলায় রয়েছে ইশ এগুলো চাষ করতে পারলে ভালোই হইতো। আবার গেলে এই ফুলের গাছ ঢাকায় নিয়ে আসবো যদি পাই। গ্রামের মানুষ এসবের ধার ধারে না। এসব তাদের মনকে মুগ্ধতা দেয় না। তারা জানে কেবল কাজ করতে। আমি হলে এগুলো বাড়িতে এনে লাগাতাম। যেহেতু শ্বশুর বাড়ীতে থাকি না তাই আর ফুলগাছও লাগানো হয় না।

ক্যানন ক্যামেরায় তুলেছিলাম ছবিগুলো। অনেক ছবি আছে …….. আবার মোবাইলেও তুলেছি। সেখানে এই ফুলের পাশেই একটা ক্ষেতে শুকনোর মধ্যে কচুরী পানা ফুল ফুটেছিলো। সেগুলোর ছবি অন্য দিন দেবো। যদি দেখতে আগ্রহী হন আপনারা।

আমি তুলে আনি মনের ঝুড়িতে কিছু মুগ্ধতা। মুগ্ধ হতে জানি বলেই, পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়াই। কেউ কিছু বলুক, কেউ তাকিয়ে থাকুক এগুলো এড়িয়ে যাই বলেই সময়গুলো শুধু আমার হয়ে থাকে। এই যে বেগুনি রঙ ফুলে মৌমাছিদের গুঞ্জন, কেউ কী কান পেতে শুনেছিলো, কেউ দেখেছিলো প্রজাপতিরা মধু নিতে হামলে পড়েছে ফুলেদের উপর।

এখানে কারো সাথে কারো নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নেই হেরে যাওয়ার ভয়। ভিন্ন প্রজাতি অথচ এক সঙ্গেই ওদের বাস, স্বার্থ নিয়ে কেউ জড়িয়ে পড়ে না তুমুল সংঘর্ষে। এখানে যে যার মত খাদ্য আহরণে ব্যস্ত। একের খোরাক অন্যে নিয়ে নিলেও এরা ক্রোধে পড়ে না ফেটে।

ওদের বসন ভূষন, গায়ে রঙবাহারী রঙ, কেউ কারো চেয়ে নয় কম সুন্দর। এখানে সাদা কালো ভেদাভেদ নেই। এখানে রূপের অহংকারে কেউ কারো প্রতি ঈর্ষা করে না পোষন। এদের বসবাস মিলেমিশে ভালোবেসে। এখানে সবার ডানা আছে তবুও দম্ভ নেই একফোঁটা।

আর পার্পল বুনোফুল নিজেকে উজার করে দিয়ে ফুটে আছে পাপড়ির ডানা মেলে। সে নিজেকে সুখী করে অন্যকে সুখে আচ্ছন্ন করে। কিছু মুহুর্ত কেবল আমার হয়েই আসে। আমি অনুভব করি স্রষ্টার সৃষ্টির সৌন্দর্য। মহান আল্লাহ তাআলা এত শত নেয়ামত ঢেলে দিয়েছেন আমাদের জন্য। অথচ আমরাই তার নিয়ামত ঠেলে অহংকারী হই, পাপে হই লিপ্ত।

এই যে মৌমাছিরা মধু নিয়ে যাচ্ছে, যতটুকু সঞ্চয় সে কার জন্য। আমাদের জন্য। আল্লাহ তাআলাই ঠিক করে দিয়েছেন কোথা হতে কার হবে অথৈ উপকার। মানব জাতির কল্যাণে মহান আল্লাহ তাআলা গাছ পালা বৃক্ষ তরুতে করেছেন তার আহারের জোগাড়।

©কাজী ফা‌তেমা ছ‌বি।

=আমা হতে মুগ্ধ হতে শিখো বন্ধু=

চোখ বন্ধ করে হাঁটো বন্ধু, কখনো বলোনি এই দেখো দেখো প্রজাপতি,
তুমি সোজা পথে হেঁটে যাও, কী চিন্তা বুকের ভিতর, বুঝিনা মতিগতি;
তুমি হাঁটো আর আমি মুগ্ধ হই চলার পথে চলতে চলতে,
আমারও তো ইচ্ছে হয় ফুল পাখিদের সাথে কথা বলতে!

দূরে বহুদূরে হেঁটে চলে যাও,
আমি ভোঁ দৌঁড় দেই তোমায় ধরতে পারি না তাও,
দূর্বাঘাসে রাখো না চোখ, দেখো না পথে পথে স্নিগ্ধতা ছড়ানো ,
প্রকৃতির মায়ায় তোমাকে গেলো না আর জড়ানো।

ছোটো ঘাসের পাতায় বসে থাকে যে প্রজাপতি,
তার পানে মুগ্ধতার দৃষ্টি তাক করলে কীই বা হবে ক্ষতি?
দাঁড়াও বন্ধু
দিয়ো না মনে ব্যথা এক সিন্ধু।
কিছু মুগ্ধতা স্মৃতি করে রাখবো, শাটারে করতে দাও ক্লিক,
এক মিনিট অপেক্ষায় রও, আমি জানি জিতে যাবে তুমি তার্কিক!

বন্ধু আমায় এনে দাও প্রজাপতি প্রহর,
প্রজাপতির ডানায় যত রঙ, ছড়িয়ে দাও মন শহর,
মুগ্ধতা দাও, হও অল্প সহনশীল,
আকাশের মত প্রশস্ত করো তোমার দিল।
মুগ্ধ হতে শিখো, মুগ্ধ হও, এসো শিখাই, শিখবে,
প্রজাপতি ফড়িঙ নিয়ে ছন্দে দু’কলম লিখবে?

চোখ তুলো দেখো, উড়ছে প্রজাপতি ডানা মেলে,
দেখো পিঁপড়েরা ধুলোর সাথে গড়াগড়ি খেলে,
স্রষ্টার সৃষ্টি কত অপরূপ, দেখো তাকিয়ে মুগ্ধ হও,
প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতে এবেলা সুখে উতলা রও।

এত সুন্দর মুহুর্তগুলো বন্দি করে রাখি স্মৃতি ঘরে। কখনো বিষাদ মনে উঁকি দিলে। খুলে বসি অতীত স্মৃতির ঝাঁপি। আমার দীর্ঘশ্বাসগুলো উড়িয়ে নেয় স্মৃতির হাওয়ায়। আমার মহানুভবের সৃষ্টির সৌন্দর্য আমি উপভোগ করি একাগ্রচিত্তে। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতায় পড়ি নুয়ে। তাঁর দেয়া এত সুন্দর মন, যে মনে মুগ্ধতারা করে খেলা অনবরত। তাঁর তরেই সঁপে দেই প্রাণ। তাঁর রহমত নিয়ে বেঁচে আছি এই ধরায়। ভালোবাসি তোমায় ও করুণাময়। পাপগুলো আমার করো মার্জনা।

Sunset_01_ (4)

বিদায় বেলায় – ০১

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু সূর্যাস্তের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত সূর্যাস্তের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। সেখান থেকে ৫টি বিদায়বেলার ছবি রইলো।

১। আলোক গোলক

একদা গিয়ে ছিলাম যমুনার তীরে, বিদায় বেলায় সূর্য ঢলে পরে পশ্চিমে।

ছবি তোলার স্থান : যমুনা সেতু।
ছবি তোলার তারিখ : ২৩/৫/২০১৪ ইং

২। বিদায় বেলার আগেই

ছবি তোলার স্থান : আশ্রম, নাগরি, কালীগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২১/০২/২০১৬ ইং

৩। লুকচুরি

ছবি তোলার স্থান : কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০১/২০১৪ ইং

৪। বিদায় বেলার খেলা

ছবি তোলার স্থান : লাবুনী পয়েন্ট, কক্সবাজার।
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/০৫/২০১৪ ইং

৫। আড়ালে

পাহাড়ের উপড়ে দাঁড়িয়ে রক্তিম রং ছড়িয়ে সূর্যের বিদায় দেখার সৌন্দর্যই আলাদা।

ছবি তোলার স্থান : সাজেক, রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৩/১০/২০১৬ ইং

KB-01- 00 - Copy

কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক

আমাদের অনেকেই কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন –
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং লাল সেটির নাম কৃষ্ণচূড়া“, আর
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং হলুদ সেটির নাম রাধাচূড়া“।
আবার অনেকে কনকচূড়াকে মনে করেন রাধাচূড়া
যদিও কনকচূড়া দেখতে রাধাচূড়া বা কৃষ্ণচূড়া কোনটার মতই নয়। আসলে তিনটি ফুলই আলাদা আলাদা ফুল।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামDelonix regia
রাধাচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামCaesalpinia pulcherrima
কনকচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামPeltophorum pterocarpum
কৃষ্ণচূড়া চেনার উপায় :

কৃষ্ণচূড়া গাছ সবাই চেনে, নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। শুধু যেখানে ভুল হয় সেটা হচ্ছে ফুলের রং দেখে তাকে কৃষ্ণচূড়া থেকে রাধাচূড়ায় ঠেলে দিয়ে। এখানে মনে রাখতে হবে ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ যাই হোকনা কেন সেটি কৃষ্ণচূড়াই এবং কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা থোকার মত হয় এবং ফুলের আকার বেশ বড়।

রাধাচূড়া চেনার উপায় :

রাধাচূড়াকে ছোট কৃষ্ণচূড়াও বলা হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের ছোট সংস্করণ বলা চলে রাধাচূড়া গাছকে। কৃষ্ণচূড়ার মতো রাধাচূড়ার ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ হয়, তবে রাধাচূড়া একটি ছোট উদ্ভিদ। ঢাকার সড়ক ডিভাইডারে একে প্রচুর দেখা যায়। রাধাচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা পেগোডার মত উপরের দিকে উঠে যায়। ফুলের আকার কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ছোট।

কনকচূড়া চেনার উপায় :

কনকচূড়ার গাছ কৃষ্ণচূড়ার মতোই একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কনকচূড়া ফুলের রং হলুদ। ডালের আগায় কয়েকটি আলাদা আলাদা ফুলের মঞ্জুরি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বের হয়। ফুলের কলি গুলি থাকে গোলগোল। মঞ্জুরি নিচ থেকে ফুলফোটা শুরু হয়। এই ফুল দেখতে কৃষ্ণচূড়া বা রাধাচূড়ার মতো হয় না।

এক সাথে ৩টি ফুলেরই ছবি দেয়া হল। চেনার জন্য।

উপরের দুটি ছবি কৃষ্ণচূড়ার, মাঝে দুটি ছবি রাধাচূড়ার। নিচের দুটি ছবি কনকচূড়ার। প্রতিটি ফুলের ছবি আমার নিজের তোলা।

KB-01- 00 - Copy

ঐতিহ্য সফর : আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ শুক্রবার ফেসবুক গ্রুপ Save the Heritages of Bangladesh তাদের ২৫তম ইভেন্ট পরিচালনা করছিলো। অন্য সব সদস্যদের সাথে আমি আমার বড় কন্যা সাইয়ারাও ঐদিন অংশ নিয়েছিলাম ডে ট্যুরে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের কিছু প্রাচীন জমিদার বাড়ি, মন্দির, মঠ, মসজিদ ঘুরে দেখার জন্য। এখানে বলে রাখা ভালো এই ট্যুর গুলিতে শুধু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি দেখার তালিকায় স্থান পায়। ঐতিহ্য সফরের ঐদিনে আমরা যে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি দেখেছিলাম তা হচ্ছে –

১। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি – আড়াইহাজার

২। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ির পিছনে অন্য একটি বাড়ি

৩। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ির কাছেই অন্য একটি প্রাচীন বাড়ি

৪। পালপাড়া মঠ – আড়াইহাজার

৫। বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি – আড়াইহাজার

৬। মহজমপুর শাহী মসজিদ – সোনারগাঁ

৭। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম – বারদী

৮। জ্যোতি বসুর বাড়ি – বারদী

৯। পথের ধারে নাম না জানা মঠ – সোনারগাঁ

১০। ঠাকুর বাড়ি যাবার পথে ছোট মঠ – সোনারগাঁ

১১। ঠাকুর বাড়ি – সোনারগাঁ

১২। ঠাকুর বাড়ি মঠ – সোনারগাঁ

১৩। দুলালপুর পুল – সোনারগাঁ

১৪। পানাম নগর – সোনারগাঁ

১৫। সর্দার বাড়ি – শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর

১৬। গোয়ালদি মসজিদ – সোনারগাঁ

১৭। আব্দুল হামিদ মসজিদ – সোনারগাঁ

আগামীতে আবার দেখা হবে অন্য কোন অঞ্চলের প্রাচীন কোন স্থাপত্যের সামনে।

সফর সংঙ্গী সকলে

1pirate - Copy

বান্দরবান ভ্রমণ – শৈলপ্রপাত

২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই রিছাং ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের ঝুলন্ত সেতু দেখা।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।

২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে। রাতটা কাটে বান্দরবানে।

পরদিন ২৯ তারিখ সকালে একটি জিপ ভাড়া করে নিয়ে চলে যাই নীলগিরিতে। নীলগিরিতে অনেকটা সময় কাটিয়ে রওনা হই ফেরার পথে “শৈলপ্রপাত” দেখবো বলে।

নীলগিরি থেকে “শৈলপ্রপাত” যাওয়ার পথে সামনে পরবে চিম্বুক পাহার
এক সময় ধরা হতো বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় এই চিম্বুক। বান্দরবান শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরের চিম্বুক পাহাড় সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০০শ ফুট উঁচু। এখানে গিয়েছি আগে কয়েকবার তাই এবার আর কষ্ট করে উপরে সবাই উঠবো না ঠিক করেছি। শুধু স্বপন একা চিম্বুকের চুম্বক আকর্ষণে উপরে একটা ঢু মেরে আসে। এই ফাকে আমরা চিম্বুকের নিচে থাকা পাহাড়ি পেঁপে আর মালটা কিনে খেয়ে আবার রওনা হয়ে যাই। এবার থামবো বান্দরবান শহর থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরের শৈলপ্রপাতের সামনে। শৈলপ্রপাতটি একেবারেই পথের ধারে।


রাস্তার পাশেই আছে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার বা বসার ছাউনি, সেখান থেকে অনেক ধাপের সিঁড়ি নেমে গেছে নিচে প্রপাতের ধারে।

বর্ষায় এই শৈলপ্রপাতের রূপ অপরূপ হয়ে ওঠে, বিশাল জলধারা ছটে চলে প্রচণ্ড গতিতে। সেই সময় এর কাছে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য ও ভয়ংকর। পুরটা দেখার সুযোগই থাকে না তখন। পাথর থাকে মারাত্মক পিচ্ছিল, একটু এদিক-ওদিক হলেই পা পিছলে আলুর দম হতে হবে তখন।

আমরা যে সময় গিয়েছি (জানুয়ারি মাসে) তখন প্রপাতে জলের ধারা ক্ষিণ, অল্প জল পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ পাথরই শুকনো তাই অনায়াসেই তার উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায়।

প্রপাতের নিচের অংশের সমনেই একটা চওড়া ঢালু অংশ আছে, জল জমে আছে সেখানে। জলে না নামতে চাইলে এই অংশ টুকু লাফিয়ে পার হওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই (মেয়েদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব)। শীতের সময় বলে আমরা এই অংশটুকু দেখতে পেলাম, বর্ষায় এর ধারে কাছেও যাওয়া যাবে না। শীতকাল হওয়াতে শৈলপ্রপাতের পুরটা হেঁটে দেখে আসতে পারলাম আমরা।

প্রপাতের শেষ অংশে এসে বেশ কয়েক ফুট নিচে জল গড়িয়ে গিয়ে একটি মাঝারি আকারের পুকুরের মত হয়েছে, সেখান থেকে জল চলে যাচ্ছে পাহাড়ি ছড়া বা খাল হয়ে।

এই প্রপাতের জলই আশপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলির একমাত্র জলের উৎস, এই জলই ওরা পান করে, আবার এই জলেই চলে অন্যান্য সমস্ত কাজ‌ও।

প্রপাতের উপরে রাস্তার পাশে পাহাড়িরা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রীর পশরা নিয়ে বসেছে পর্যটকদের জন্য, আর আছে নিজেদের উৎপাদিত ফল আর ফসলের আসরও। চাইলেই কিনে নিতে পারেন, তবে অবশ্যই দরদাম করে।

ওরা যে আনারস বলবে মধুর মত মিষ্টি সেটা আপনি মুখেরও দিতে পারবেন না, আর যে মালটা বা কমলা বলবে চিনির মত মিষ্টি সেটা খেলে আপনার মাথার উকুনগুলি মাথা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে। তবে ভালো পাকা পেঁপে আর কলা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

আগামী পর্বে দেখা হবে নীলাচলে।

আমার আলোকচিত্র ০৫

আমার আলোকচিত্র তো বটেই। তবে সৌখিনতায় এই ছবি গুলোন আমার ক্যানন ডিভাইসে এসেছে। সতত ব্যস্ততার ভীড়ে ছবি তুলবার পর্যাপ্ত সময় আমার হাতে থাকে না। তারপরও কখনও বা কোথাও ভ্রমণ বা কাজের অথবা বিশ্রামের সুযোগ হয়, ক্যামেরার চোখ আমার চোখের সাথে ক্লিক করে ওঠে। নাম দিয়েছি পর্ব ০৫।

» গ্রামাকাশের ছB (মোবাইলগ্রাফী-৩৯)

গ্রামের পরিবেশ সব সময়ই ভালো লাগে আমার। কারণ গ্রামেই বড় হয়েছি। চাকুরীর সুবাদে ২০০১ সালে ঢাকা আসছি। আর তেমনভাবে থাকা হয়নি গ্রামে গিয়ে। বছরে একবার শ্বশুরবাড়ী আর একবার বাপের বাড়ী। কোনোদিনও এক সপ্তাহের বেশী না। আর বেশীরভাগই যাওয়া পড়ে শীত সিজনে। শুষ্ক রুক্ষ পরিবেশ গ্রামের তখন। মরা ঘাস, গাছপালায় মরা পাতা, খরখরে মাটি। সজীবতা বলতে কিছুই থাকে না। আকাশের অবস্থায়ও যাচ্ছে তাই ফিকে বিবর্ণ।

শীত সিজনের ছবি তেমন সুন্দর আসে না আকাশের কারণে। সাদা আকাশের কাছে সব ছবিই ম্লান হয়ে যায়। তবে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। বাবার বাড়ী গিয়েছিলাম জুলাই মাসে। সে সময় প্রকৃতি অনেক সুন্দর ছিলো আর আকাশটা মাগো মা। কী যে সুন্দর মান অসহ্য সুন্দর। আর গাছ লতা পাতা, ঘাস সবই সবুজ। কারণ তখন বৃষ্টির সিজন। মোবাইল ক্যামেরায় যা-ই তুলি অদ্ভুত সুন্দর আসে ছবিতে। স্নিগ্ধ আর সবুজাভ ।

তারপরের মাসে মানে আগস্ট মাসে শ্বশুর বাড়ী যাই । সে সময়ের প্রকৃতিও আলহামদুলিল্লাহ অদ্ভুত সুন্দর। চারিদিকের আকাশ একেকরকম। পুবে গেলে দেখি শুভ্র মেঘ ভর্তি আকাশ। পশ্চিমে গেলে দেখি দলছুট মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। । ক্ষেতের পানিতে আকাশের সব মেঘে নুয়ে আছে যেনো। এই অদ্ভুত সুন্দর প্রকৃতি তুলে এনেছি স্যামসাং এস নাইন প্লাস মোবাইল ক্যামেরায়। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে আশাকরি। একেকটা ছবিই যেনো আমার কবিতা। এই একেকটির ছবির সাথেই অসংখ্য কবিতা লেখা হয়ে যায় যদিও আমি বলি অকবিতা। কারণ আমি জানি ছন্দ কাব্যিকতা বেশীর ভাগই আমার লেখায় থাকে না। তবুও লিখি মনের আনন্দে লিখি। যতদিন হাতের জোর আছে ইনশাআল্লাহ লিখে যাবো। অনুভূতিগুলো বন্দি করে রেখে যাবো দুনিয়ায়। কেউ না কেউ কোনো একদিন যাতে বলে এই বদ মেয়েটায় নেট জগত ভরাইয়া রাইখা গেছে ছাইফাস লেখা দিয়ে হাহাহা। তাতেই আমার আনন্দ তাতেই আমার সুখ। ভালো থাকুন সবাই ফি আমানিল্লাহ।

১।

২্।

৩।

৪।

৫।

৬।

৭।

৮।

৯।

১০।

১১।

১২।

১৩।

১৪।

১৫।

১৬।

১৭।

১৮।

১৯।

» গাঁও গেরামের ছবি (মোবাইলগ্রাফী-৩৬)

ঘাসের উপর প্রজাপতির ছবি তুলতে গিয়ে, পিঁপড়েদের কবলে পড়েছিলাম। ঠিকমত ক্লিক দিতে পারছিলাম না তাই ঠাঁয় বসে ছিলাম হঠাৎ কুট কুট কামড় টের পেয়ে তাকিয়ে দেখি পা আমার লালে লাল মানে লাল পিঁপড়েরা হেঁটে উপরের দিকে উঠতেছে । কী ছবি তুলবো দৌড়াইয়া পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে বসেছিলাম , মারাত্মক জ্বলনি, মাগো মা……. বদ বেটা পিঁপড়া । তোদের একদিন কী আমার একদিন।
—————–
এগুলো ময়মনসিংহের ঢাকুয়া গ্রাম থেকে তোলা ছবি। মোবাইল ক্যামেরায় তোলা-স্যামসাং এস নাইন প্লাস। আজকে কিছু্ লিখবো না, কবিতাও না গল্পও না। কারণ এত কষ্ট করে পোস্ট দিয়ে কেউ দেখে না বা অনুপ্রেরণাও দেয় না । তাই এখন থেকে সহজ পোস্ট দেয়ার চেস্টা করবো হিহিহি। মানে ফাকিবাজির পোস্ট।

২্। ধলাই নদীতে, বর্ষার সময়।

৩। ইহা পাতিলেবুর বাচ্চা, গাছ ভর্তি লেবু থাকে সারা বছর। আমার খুব ভালো লাগে এই গাছটি।

৪। ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত আমাদের হিরো কৃষক ভাইয়েরা। আর জলের আয়নায় আকাশ ছবি।

৫। বৃষ্টির পর বেগুনের ফুল……

৬। গাঁযের একটি বৃষ্টির দিন। এবার বৃষ্টিতে অনেক ভিজেছি আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো কেটেছিলো সময়গুলো।

৭। ধলাই নদীর তীরে

৮। ধানা লাগানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকরা

৯। ধলাই নদীর কাছে ছিলাম কয়েকদিন

১০। এই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়, সারাদিনই এখানে বসে থাকি শ্বশুর বাড়ি গেলে। মারাত্মক সুন্দর এবং আরামদায়ক জায়গা।

১১। ধলাই নদী

১২। বৃষ্টির দিন

১৩। ধলাই নদী

১৪। বৃষ্টি ভেজা বরবটি ফুল

১৫। একলা পাখি আর মেঘলা আকাশ

১৬। ধান রোয়া মৌসুম আর আকাশ

১৭। ভেজা শিম পাতা

১৮। ভেজা পাতা

নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-২ (আকাশ ভালোবেসে লেখা)

=চাঁদালোর ঘোর=
তাকিয়ো না আসমানে আজ, পুড়ে যাবে চোখ
মায়াবী আলোয় ইচ্ছে কেবল পথে পথে হাঁটি
ইট সুড়কির পথ, চলতেই যেনো বুক ধুকপুক,
এখানে নেই শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের মাটি।
যদি সঙ্গে থাকো তুমি,ভয় কাটিয়ে নামবো পথে
নিঝুম হউক রাত্রি, ঘুমাক নিস্তব্দ শহর
সুখের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উঠে পড়ব আলোর রথে,
নিয়ন আলোর উপরে জ্বলুক রূপার আলোর লহর।
আচ্ছা এমন ইচ্ছে কী পারি না পুষতে মনে
গ্রীড বিপর্যয় ঘটুক শহরজুড়ে আজ
আমরা কেঁপে উঠবো মুহুর্মূহু সুখালোর শিহরণে,
ভাবনায় আনো নিমেষে চাঁদালোর মুহুর্ত, শুনছো রাজ!
পিচ রাস্তার পথ ধরে,ঘুরে বেড়াবো শহরময়
আহা ঘাসে লতা পাতায় কেবল চাঁদালোর ছোঁয়া
উড়ে যাবে মন হতে ক্লান্তি ভ্রান্তি,ক্ষণ হবে আমাদের মোহময়…
যাক না একটি রাত,মুগ্ধতার তরে খোঁয়া।
রাত যখন পাবে পূর্বাশার আলো,খুব হবে ভোর
আসব ফিরে হেঁটে হেঁটে গল্পের হাত ধরে নীড়ে
থাকবে লেগে চোখে স্মৃতির ঘোর,
কেটে যাবে আঁধার দিনের আলোয় ধীরে।
November 3, 2018

=আকাশ দেখা হয় না সহসা=
কাক ডাকা ভোর কখন যেনো এসে চলে যায়
পূর্বাশার আলো আর চোখে পড়ে না,
আকাশের সোনালী আলো আসে না জানলায়,
ইটের দেয়ালে বন্দি মানুষ;
আকাশ দেখা সহসা হয়ে উঠে না!

ব্যস্ততার কাঁধে বসে যখনই হন্তদন্ত ছুটে আসি অফিস পাড়ায়
আকাশ ব্যস্ত তখন সূর্যকে টেনে উপরে উঠানোয়!
উফ্ জ্বালা ধরা রোদ্দুর ঠেলে হাঁটি ইট সুড়কির পথ ধরে;
আকাশকে ভুলে গিয়ে খুঁজি কেবল গন্তব্য!

হয় না আর আকাশ দেখা,আবারো ব্যস্ততার বেড়াজালে বন্দি
আকাশ সূর্যকে ভালোবেসে বিদায় জানায় গোধূলিক্ষণে,
হুড়মুড় করে ছুটে যাই নীড়ে ফেরার পথে,
ঠিক তখনি আমি আকাশ দেখি,
ক্লান্তিগুলো কখন উড়ে যায়,কে রাখে আর তার খোঁজ!

বড্ড ভালো লাগায় সময় ভরে যায় আমার
দৃষ্টি রাখি বাহিরের দুনিয়ায়,যন্ত্র দানব ছুটছে
ছুটছে মানুষ,তড়িঘড়ি করে সূর্যটাও ছুটছে
অন্য দেশের নিমন্ত্রনে,অন্য দেশে আলো ছড়াবে বলে।

আর আমরা বিনিময়ে পাই সন্ধ্যা, তারপর
জোছনা ঝরা মোহনীয় রাত,রাতের বুকে শুয়ে
বেঘোর ঘুমে স্বপ্ন দেখি সুখের,শান্তির,
এইতো জীবন,রঙ বদলানো-যেনো আকাশের মত।
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস)
November 7, 2018

=মাফ করো প্রভু গুনাহ্ আমার=
রঙধনু সাত রঙ আকাশে মেঘেদের মেলা
রোদ্দুর ভাসায় নীল জলে তার খেয়ালি ভেলা,
পুড়ে যাওয়া দেহ নিয়ে বসে পড়ি গাছের ছায়ায়
নীল সামিয়ানা টানানো আকাশ, টানে না কাছে তার মায়ায়।
ঝকঝকে আলোয় রোদ্দুর হেসে খেলে দিন করে পার
তাপের ভারে ফেটে যায় থার্মোমিটার, সাহস আর হয় না
দেহের তাপ মাপার।
বিতৃষ্ণার আলিঙ্গনে পড়েছি আটকা এবেলা, বড্ড হাঁসফাঁস ক্ষণ
প্রকৃতির বিরূপ চাহনি, সূর্যের তীব্র ভ্রুকুটি-ভাল নয় এ লক্ষণ!
ক্ষমা করে দাও প্রভু তোমার এ বান্দার গুনাহ
বৃষ্টি ঝরিয়ে দাও শান্তি,
চাইছি কেবল তোমার পানাহ।
July 21, 2018

স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো

আমার আলোকচিত্র – ০৩

বুঝেও বুঝিনি অপেক্ষার প্রহর স্মৃতি হলে সব থেকে দামী হয়। সেই পথে আমরা হেঁটে চলেছি স্বপ্নলোকের গন্তব্যে। কিছু বিষয় থাকে যা সর্বদাই মানুষ ভালোলাগা থেকে মনে রাখে, ঠিক তেমনি একটি কাজ সবার সাথে শেয়ার করা গেলে মন এমনিতেই আনন্দে মেতে ওঠে। আমার আলোকচিত্রের তৃতীয় পর্বে স্বাগতম।