হুমায়ূন আহমেদের বইগুলির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক যেটা আমার কাছে মনে হয় তা হচ্ছে “এপিগ্রাম”। বই পড়ার সময় এপিগ্রাম গুলি সহজাত ভাবেই আমার চোখে পড়ে, আর সেগুলিকে আলাদা করে টুকে রাখাটা আমার স্বভাব। শত শত বইয়ের এপিগ্রাম দুটি ডায়রিতে লেখা আছে। এখনও বই পড়ার সময় এই অভ্যাস নিরবে কাজ করে যায়। তারই ফল এই লেখাগুলি। এখানে আজ হুমায়ূন আহমেদের লেখা “অয়োময়” ও “অদ্ভুত সব গল্প” বই দুটির এপিগ্রাম শেয়ার করবো।
অয়োময় গল্পের বইটিতে মাত্র ৩টি এপিগ্রাম আমি পেয়েছি।
১। টাকা পয়সা, ক্ষমতা, এই সব বেশী থাকলে মানুষের স্বভাব ঠিক থাকে না।
২। মৃত্যুর ভয় নিয়ে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।
৩। শিক্ষক সম্প্রদায়ের স্বভাবই হচ্ছে যখন তখন উপদেশ দিয়ে বেরানো।
অদ্ভুত সব গল্প গল্পের বইটিতে মাত্র ৭টি এপিগ্রাম আমি পেয়েছি।
১। শরম নারীর ভূষণ, পুরুষের কলঙ্ক।
২। সকাল বেলার সময়টা হল ব্যস্ততার সময়।
৩। সবকিছু সবাইকে বলে বেরাতে হবে তাতো না।
৪। অফিসের লোকজন অকাজের কথা বলতেই বেশি পছন্দ করে।
৫। যে যেটা অপছন্দ করে তার কপালে সেটাই জোটে।
৬। মানুষের সবচেয়ে ভাল লাগে অচেনা কোন যায়গা থেকে উপহার পেতে।
৭। মূর্খদের সবাই স্নেহ করে। বুদ্ধিমানদের কেউ স্নেহ করেনা, ভয় পায়।
অসাধারণ আপনার এই আয়োজন প্রিয় দস্যু ভাই।
আপনার এই পোস্ট গুলোন সংগ্রহ করে রেখে দিচ্ছি।
আমিওতো সংগ্রহের ঝুলি থেকেই দিচ্ছি।
কী অসাধারণ জীবন দর্শনের প্রকাশ। এমন প্রকাশ খুব কম জনেরই পক্ষে সম্ভব। ধন্যবাদ মরুভূমি ভাই।
সুনীল আর সমরেশ মজুমদারের বইতেও খুব দেখা মেলে।
সবচেয়ে বেশী রবীন্দ্রনাথের লেখায়।
অসাধারণ প্রকাশ! উপদেশগুলোও যথার্থ !
ঠিক বলেছেন।
আমার অন্যতম প্রিয় একটি বিষয়ের পোস্ট। ভীষণ ভালো লাগে এপিগ্রাম প্রিয় ছবি দা।
সাথেই থাকেন, সমস্ত হুমায়ূন সমগ্র পাবেন এই সিরিজে।
প্রিয় জলদস্যু ভাই,
স্কুলে থাকতে যখন সেল ফোনের যুগ ছিল না তখন আমিও কোনো লেখার ভালো লাগা লেখার অংশ, যেমন কোনো গল্পের একটা পুরো প্যারাগ্রাফ, খাতায় লিখে রাখতাম ।এখনো বাইরে ঘুরতে যেয়ে কোনো লেখা ম্যাগাজিনে বা জার্নালের কোথাও পড়লে পছন্দের অংশগুলো সেল ফোনে তুলে রাখি। কিন্তু আমার সেই ইচ্ছেতে আপনার মতো দস্যু সর্দারি ছিল না বা এখনো নেই। ইউ আর ভেরি ডেভোটেড কালেক্টর অফ এপিগ্রামস।এই বই দু'টোর কোনোটাই আমার পড়া হয়নি। আসলে ইউনিভার্সিটি শুরুর পরে হুমায়ুন আহমেদ পড়া অনেকটাই আমার বন্ধ হয়ে যায় ।আর এখনো নানা কারণেই আর উপন্যাস ততো পড়া হয় না। হুমায়ুন আহমেদ মারা যাবার ঠিক আগের বইগুলো কম পড়ার কারণেই আপনার এই লেখার আগের পর্বগুলোতে মন্তব্য করিনি ।পড়েছিলাম কিন্তু ঠিক আগের পর্বটাও । এপিগ্রাম সবগুলোতে একমত না হলেও ভালোই লাগলো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় খন্দকার ইসলাম ভাই।
কথা সত্য আমি প্রচুর এপিগ্রাম সংগ্রহ করেছি, এখনো করি। যদিও সবটাই বেকার। তবুও নেশার মত।
এপিগ্রামএর সাথে একমত হবার কোন কারণ নেই। এপিগ্রামগুলি মূলত উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের বলা উক্তির মাঝে থেকে উঠে আসে। সেই সব চরিত্রগুলি তাদের নিজেদের অবস্থার উপর ভর করেই কথা গুলি বলে।