ট্যাগ আর্কাইভঃ কুবিতা

অপেক্ষা

পরাজিত বয়সী আবরণে মুছে যায় উৎসবের ক্ষয়
জীবনের কৌতূহল আর আবেগী করে না,
তারপরও বসে আছি চৈত্রের হাওয়া গায় মাখিয়ে;
সেই ক্লান্ত সময় কপোলের আবিরের মত মুছে যায় না,
স্মৃতির গহীনে বসে থাকে নেশাখোর মানুষের মত।

জৈবিক তাড়নার থেকে মানসিক সুখ খোঁজা বোধ গুলো
জীবনের গভীরতা ছুঁয়ে যায় অনেক বেশী। নষ্ট প্রহরের প্রাপ্তি গুলোই
স্ফটিক হয়ে থেকে যায় মগজের কোষে।
নিরুত্তর মানুষের জন্যেই কিছু কিছু প্রগতি থমকে গিয়ে
দগদগে উনুনে মাছ ভাত রান্না করে।

স্বীকার করতে দোষ নেই রাতের আঁধারে আমিও কাল্পনিক
বালক হয়ে উৎসে খুঁজে ফিরি তৃষ্ণার জল;
অতলান্ত শব্দে বিমোহিত হই, জেগে উঠি বিবস্ত্র, হিংস্র;
আবার দিনের বেলায় ধার্মিক পুরুষ।

প্রহর গুনে গুনে দিন কাটে অপেক্ষার যাঁতাকলে
নিজেকে মানুষ ভাবা থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখে
হিংস্রতা মেনে নিয়ে জেগে ওঠে ঘৃণা সবুজের ক্ষেতে।

তারপরও বসে থাকি, তারপরও বসে থাকতে হয়
চৈত্র দিনের শেষে আধো ফোঁটা চাঁদের আলোয়
সঞ্চিত উষ্ণতা নিয়ে প্রণয়িনীর চপলা আঙ্গুল
কিংবা বৈশাখী ঠোঁটের ঝড়ের আশায়।

অপেক্ষা

তারপরও বসে আছি চৈত্রের হাওয়া গায় মাখিয়ে;
ক্লান্ত সময় কপোলের আবিরের মত মুছে ফেলা যায় না;
স্মৃতির গহীনে বসে থাকে নেশাখোর মানুষের মত,
থেকে থেকে নেশার ক্ষুধা, পেটের টানকে সরিয়ে দেয়
মগজের মগডালে। হয়তো স্বপ্নভূক বলে জৈবিকতা হারিয়ে
জৈবিক তারণার থেকে মানসিক জীবনের সুখ, খুজে যাই প্রতিনিয়ত,
যে গভীরতা ছুঁয়ে যেতে পারেনা বিষণ্ন বিকেল। নষ্ট প্রহরের প্রাপ্তি গুলোই
স্ফটিক হয়ে থেকে যায়। নিরুত্তর মানুষের জন্যেই কিছু কিছু চৌকষ
প্রগতি থমকে গিয়ে দগদগে উনুনে মাছ ভাত রান্না করে সাজিয়ে রাখে ডাইনিং টেবিলে।
স্বীকার করতে দোষ নেই রাতের আঁধারে আমিও কাল্পনিক বালক হয়ে উৎসে খুঁজেফিরি তৃষ্ণার জল;
আবার দিনের বেলায় ধার্মিক পুরুষ।

তারপর বসে থাকি, তারপরেও বসে থাকতে হয়
চৈত্র দিনের শেষে কৃষ্ণ তৃতীয়া চাঁদের আলোয়
সঞ্চিত উষ্ণতা নিয়ে প্রণয়ীর চপলা আঙ্গুল
কিংবা বৈশাখী ঠোঁটের ঝড়ের আশায়।

অমীমাংসিত লেফাফা ৪

অমীমাংসিত লেফাফা ৪

আমি নদীর জল দুই হাতে তুলে নিজের ছায়া দেখতে চেয়েছি,
ধীরে খুব ধীরে কাঁপন ধরা আর্শীতে যখনি নিজেকে
দেখবো বলে ঝুঁকি, আঙ্গুলের ফাঁক গলে হারিয়ে যায়
সব তরল সৌন্দর্য্য। আর নিজেকে খুঁজে পাইনা।
নদীর বুকে সপাং সপাং শব্দ তুলে, যে মাঝি
নদীকে দুই ভাগ করে তার কাঠের বৈঠা দিয়ে
তারও একটা সুর থাকে, লয় থাকে কিংবা
গন্তব্যে পৌছানোর তাড়া। আমার তেমন কোন টান নেই,
তাড়া নেই, সুর নেই কিন্তু সেই ভাঙ্গনের শব্দ ঠিকই আছে
যেমন থেকে যায় কষ্ট ভুলতে আকণ্ঠ সুরা পান করা
মানুষের মনে ভুলতে না পারার জ্বালা। আসলে হিসেবি মানুষই
সবথেকে বেহিসেবি হয় ঠিক যেমন খুব চেনা মানুষ গুলো
অচেনা রং হয়ে ফিরে আসে।

কোন দিন তোমার কোন কিছুই আমার কাছে
অচেনা-আজানা ছিলোনা বলেই তোমাকে আজো
জানতে পাড়লাম না, বুঝতে পারলাম না জীবনের
কোন ভাঁজ কোন সুর কোন রং এর সূতোয় বেঁধে
টেনে তুলতে হয়। জীবনের সকল দায় স্বপ্নের কাছে
বিক্রি হবার জন্য নয়, জীবনের সব দেনা শোধ করার জন্য নয়,
জীবনের সমস্ত প্রাপ্তি উপভোগ করার উপায় নেই কোন,
আর সকল কষ্ট ভুলে সুখ পাওয়া যায় না,
তাই স্মৃতির ফ্রেমে আটকে থাকা প্রতিবিম্ব
সময়ের প্রলোভনের উল্লাসে হারিযে যেতে দেইনি বলেই
আজো নিজেকে দেখতে পাই পারদবিহীন আয়নায়
যেখানে নিজেকে উল্টো করে তুলে ধরতে হয় না
ভালোবাসাকে শুদ্ধো করতে।

এটা কোন কবিতা নয় এটা কুবিতা।

অমীমাংসিত লেফাফা ৩

অমীমাংসিত লেফাফা ৩

বিবেকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে যে উচাটন মনোভাব তোমাকে
নীল দংশন করছে, তাকে তুমি ভুল করে অতৃপ্তি ভাবছো।
আমাদের গতানুগতিক জীবন ধারায় যে ভালোবাসা
শুধুই হৃদয় ছুঁয়ে যায়; তাকে তুমি অন্য কোন কিছু
ভেবে নিজেকে প্রতারিত করছো, আর ছোট করে ফেলছো
নিজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। কোন দিন কোন ভালোবাসা
যদি শুধুই শরীর সর্বস্ব হয় তাকে ভালোবাসা না ভেবে
বিনিময় বলা যায়। মানুষ মাত্রই আবেগী কিন্তু
প্রতিটি মানুষের আবেগেরও ভিন্ন ধরন থাকে,
তোমার মত যারা তারাই শুধু স্বপ্নীল আবেগে
ধীরে ধীরে খুঁজে যায় জ্বলন্ত চিতায় সাজানো বাগান,
গোছানো ঘর, সুখের আলমিরা, শীতের শিশির
আর চৈত্রের বিরান বাতাস। আমি তো তেমন মানুষ;
যার জন্য ফুলের সাজানো বিছানায় জড়িয়ে থাকে
কষ্টের রেটেল স্নেক, যাকে বেঁচে থাকার জন্য
শব্দ নিয়ে বসে থাকতে হয় কিন্তু মাড়িয়ে যাওয়াটা বোধয়
সহজ নয়। আসলে অনেক উপরে দাঁড়িয়ে থাকা
মানুষের মন সত্যি পৃথিবীর সবুজ গাছ গুলোকে
অনেক ছোট করে দেখে। জীবনে ম্লান চাঁদের আলোয়
সুখের পারস্পরিক গহীন প্রস্রবন আমার জানা আছে খুব,
তাই আজো সর্ম্পক এর অন্তরালে, রক্ত মাংসে তৈরী
কোন মানবী নয় শুধুই ভালোবাসা খুঁজি,
শুধুই ভালোবাসা।

এটা কোন কবিতা নয় এটা কুবিতা।
ছবিঃ নেট থেকে নেয়া

নোটঃ সময়ের অভাবে ব্লগে আসা হয় কম তাই দুটো পোষ্ট একসাথে দিলাম, এ্যাডমিন যদি মনে করেন বিষটি অনিয়মে পর্যায়ে পরছে সে ক্ষেত্রে একটি মুছে দিতে অনুরোধ থাকবে।

আপন দোসর

আপন সাজাই, আপন ভাবাই, আপন নিয়ে কান্নাকাটি
আপন ভূবন দুয়ার খুলে স্মৃতি নিয়ে ঘাটাঘাটি।
আপন মানুষ, আপন ফানুস, আপন চোখের জল
আপন নিয়ে রঙ্গ মঞ্চে সাজাই আপন ঘর।
আপন সুজন, আপন উজান, বুকে আপন ভার
আপন থেকে আপন হতে দুঃখ কুড়াই তার।
আপন হাতে আপন চুড়ি, অনেক আপন সুখকে চুরি,
আপন মাঝে ডুবতে গিয়ে আপন বিষয় খুব মামুলি।
আমি আপন, তুমি আপন, অভীমানের ঝড়,
ভাবতে আপন খুব গোছানো তুমি এখন পর।
জামা আপন, রুমাল আপন, আপন গলার ফাঁস
আপন নিয়ে ভাবতে বসে আপন হা হুতাস।
তবু আজো আপন ভাবি, তুমি আপন কার
গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজায় আপন এর কারবার।
সেই তো আপন মাটির পুতুল
তার সংঙ্গে বিয়ে।
সোনার খাঁচায় আপন সাজাই
আপন সোহাগ দিয়ে।

এইটা কোন কবিতা না এটা কুবিতা, কবিতা ভেবে পড়লে সেই দায় আমার না।

গহীনের গহীন

গহীনের গহীন আগুন
ধুপ পুড়ে ঘ্রাণ
সুভাস কি বাহিরে তার
কিবা চায় প্রান।

মজিলে আপন কথায়
রঙ্গ করে মন
কি যাদু করিলা বিধি
অবুজ নিধন।

সময়ের বড় পাপ
পায়ে পরে সাধে
অনাহারে থাকে মন
চোখ শুধুই কাদে।

খুঁজে পাওয়া

চোখের কোনে কাজল
মনের মাঝে সুর
আটকে থাকে বৃথা
সব সাত সমুদ্র দূর।

হাতের মাঝে কাঁকন
চুলে ধূপের ঘ্রাণ
মিছেই কেঁদে মরে
চাপা সুরের গান।

তবুও পথ চাওয়া
চাওয়ার মাঝেই পাওয়া
স্বপ্ন বুনে যাই
গভীর ভালোবাসার মাঝে
চাওয়া টুকু পাই।

বিঃ দ্রঃ ইহা একটি কুবিতা।

IMG_1233