পরাজিত বয়সী আবরণে মুছে যায় উৎসবের ক্ষয়
জীবনের কৌতূহল আর আবেগী করে না,
তারপরও বসে আছি চৈত্রের হাওয়া গায় মাখিয়ে;
সেই ক্লান্ত সময় কপোলের আবিরের মত মুছে যায় না,
স্মৃতির গহীনে বসে থাকে নেশাখোর মানুষের মত।
জৈবিক তাড়নার থেকে মানসিক সুখ খোঁজা বোধ গুলো
জীবনের গভীরতা ছুঁয়ে যায় অনেক বেশী। নষ্ট প্রহরের প্রাপ্তি গুলোই
স্ফটিক হয়ে থেকে যায় মগজের কোষে।
নিরুত্তর মানুষের জন্যেই কিছু কিছু প্রগতি থমকে গিয়ে
দগদগে উনুনে মাছ ভাত রান্না করে।
স্বীকার করতে দোষ নেই রাতের আঁধারে আমিও কাল্পনিক
বালক হয়ে উৎসে খুঁজে ফিরি তৃষ্ণার জল;
অতলান্ত শব্দে বিমোহিত হই, জেগে উঠি বিবস্ত্র, হিংস্র;
আবার দিনের বেলায় ধার্মিক পুরুষ।
প্রহর গুনে গুনে দিন কাটে অপেক্ষার যাঁতাকলে
নিজেকে মানুষ ভাবা থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখে
হিংস্রতা মেনে নিয়ে জেগে ওঠে ঘৃণা সবুজের ক্ষেতে।
তারপরও বসে থাকি, তারপরও বসে থাকতে হয়
চৈত্র দিনের শেষে আধো ফোঁটা চাঁদের আলোয়
সঞ্চিত উষ্ণতা নিয়ে প্রণয়িনীর চপলা আঙ্গুল
কিংবা বৈশাখী ঠোঁটের ঝড়ের আশায়।