ট্যাগ আর্কাইভঃ চারু মান্নানের কবিতা

আমাকে যেতে দাও

_______আমাকে যেতে দাও

স্বাধীনতা আজ, বিমর্ষ যন্ত্রণা! মুক্তির আশফলন
মৃত্যুর মরীচিকা যেন;
কদর্য লেহনে, ঘুরে বেড়ায় দেশ হতে দেশান্তর
প্রেম আজ মৃত্যুর শোক গাঁথা, অশ্রুজল
অবিরাম ভিজে! মৃত্তিকা পান করে শোষণে।

আমাকে যেতে দাও, সেই মৃত্যুর মিছিলে
শবদেহ আর সাদা কাফনে!
মুক্তির স্বাদ; অতল তলে হারিয়ে যাক, লুকিয়ে যাক
ডুবে যাক অপর বেলা, চিহ্ন শুধু জেগে থাকুক;

জাহাজ নাবিক মাস্তুল পুরাণ!
আঙিনায় কবে ধুলোর ফুল উঠবে জেগে?
স্বপ্নের মতো, স্বপ্নে মতো অপেক্ষা তিরোধানে।

বিষয়শ্রেণী: জীবনমুখী কবিতা, রূপক কবিতা/১৭/আষাঢ়/১৪২৭

_______লকডাউন যাপন

_______লকডাউন যাপন

কত দিন পর কবিতার কি প্যাডে?
দিলাম হাত;
আর তখনই গ্রীস্মের তাপদাহ স্বর্ণচূড় ফুলে চমকায়
তোমার হাতের ছোঁয়া বিরহের নামান্তর!

ধুঁ ধুঁ রৌদ্রর মরিচীকায় মৃত্যুর অম্লঘ্রাণ
ঘর্মাক্ত বিষ্ঠার বিষন্নতা ছড়িয়ে যায়,,
হাওয়ার শরীর জুড়ে;

সরীস্রিফের শীতনিদ্রার মতো
লকডাউন যাপন।
তোমায় মনে পড়েছিল খানিক রোদ্রপোলাপে
সজুব ঘাসে চিতল হরিণীর
ঘাসে যাবর কাটার মতো করে;
বনুনে নন্দন প্রেম,
মৃত্তিকা গাত্রে খড়িমাটির আঁচর কাটায় সাঁটা আজও
প্রেম, মৃত্যু সহ বসবাসে।

আকাশ পানে চাহি, চাহি বাঁচিবারে
হে পরাক্রমশালী পথের দিশায়!

১৪২৬/২৪/জ্যৈষ্ঠ

অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি

অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি
কোথায় ও
কোন ঘণ্টা বাঁধা নেই?
তবুও ঘণ্টার আওয়াজ ভেসে আসে
যেন মেঘের চাতাল হতে!
ঢ়েরা পেটার মতো
সারা পৃথিবী জুড়ে বিমর্ষ এক ঘণ্টাধ্বনি
বেজে চলেছে তো চলছে
যেন এক রাজার আদেশ? এখনি তাঁর দরবারে
হাজির হতে হবে;
না হলে শাস্তি অশেষ বিড়ম্বনার!

নাকে খত দেবার মতো
আর ও পথে হেঁটো না; ও যে নষ্টের পথ
সরল সোজা পথে হাঁট, হে পথিক বর।

এ কি অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি?
হতাশার বাজনা বাজে মর্মমূলে; চেতনার আগলে কড়া নারে সহসা
ক্ষিপ্রতায় ক্ষয়ে যায়, অমোঘ লালিত অস্পৃশ্য কপোট যত
ভেসে যায় লালিত লোভ রৌদ্র ধুলি কণায়!
যেন অমোঘ বান ঐ ঘণ্টা ধ্বনির
বেজে চলেছে তো চলছে।

১৪২৬/বসন্ত কাল/ চৈত্র মাস।

হাওয়া ময়

_______হাওয়া ময়

শোনছো না কি?
আজরাইল ঘুরছে, হাওয়া ময়
হাওয়ায় জীবন
চঞ্চলতা, চপলতায় ভরা; সেই হাওয়ায় এখন
লিখছে মৃত্যু সনদ!
লীলা খেলা তাঁরই।

মৃত্যু বিলাপ
তাঁরই হাতেই নিত্য চলাচলে
ধরার বায়ু আলখেল্লা বসনে ছুটে চলে পৃথিবী ময়
কেউ বা বাঁচিবে কেউ বা মরিবে
তাঁর সনদ তাঁরই হাতে উল্‌টায়
সত্য বিধান তলবে;

বার বার খেই হারিয়ে যায়
সু মন্দ বায়ু খুঁজে ফিরে; নগর থেকে নগরে
পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
আজরাইল ঘুরছে দ্যাখো, হাওয়া ময়

১৪২৬/ বসন্ত কাল/ চৈত্র

এমনি তোমার যুগপৎ আমন্ত্রণ

=======এমনি তোমার যুগপৎ আমন্ত্রণ

পলাশ শিমুল পার্বণের
তোমার বাসন্তী দিনে, দক্ষিণা বাতাস আঁচল উড়ায়
মুর্ততায় অভিমানে।
আকাশ নীলের
ব্যথিত বেদন, ঘুচিয়েছে নীল যাতনার অপার
যেন কস্তুরী ঘ্রাণ।

এমনি তোমার যুগপৎ আমন্ত্রণ
এসেছ ফিরে এমন বসন্ত দিন, মলিন বেদন আজ
উঠেছে জেগে শুভ্র সতেজ মননে।

ফুল আর ফুলে করিতে খেলা
দিবা রাত্রির সময় ক্ষয়ে ক্ষয়ে, ভুলেছ যাতনা সোহাগ
আত্মজা কোলাহলে।

১৪২৬/ বসন্ত কাল/ ফাল্গুন। রূপক কবিতা

পাখিদের নিশি কাব্য

______পাখিদের নিশি কাব্য

আজ পৌষ পার্বণ;
তুমি ফিরে এলে না! বাতাস কানে, আজ না তোমার কথা শুনলুম
সবুজ পাতার শিশির ভেজা ঘ্রাণে
আমলকী বন।
পৌষ হাওয়া বয় উত্তরের
কদাচিৎ সজনে ডাল কেঁপে উঠে, শিশির জমানো ফোটা
মাকড়ষার জালে গেঁথে রয়।

তুমি ফিরবে বলে;
ঝিরঝির বাতাসে লাউ ফুলে কস্তরি হলুদ পোকাটা পাখনা মেলে উড়ে
ধুলো গায়ে শিশির মাখে অপরাহ্ণে
পৌষ সাঁঝে উনুনের ধুঁয়া
কুয়াশার আবির ঢালে সন্ধ্যাবতীর গাও পেরিয়ে দিগন্তে ছুটে
কুয়াশা পথে, পাখিদের নিশি কাব্য, গায়
বিরহী দল ছুট ডাহুকী; তুমি ফিরবে বলে।

তুমি ফিরবে বলে
পৌষ রাত; হিমেল জোছনায় ঝিরঝির তুষার লজ্জাবতীর শরীর ঢাকে
শিশির ভেজা ওমে দুরন্ত কাঠবিড়ালী
তোমার পথের নিশানা আঁকে।

১৪২৬/পৌষ/শীতকাল।

আমাকে ক্ষমা কর মা

____আমাকে ক্ষমা কর মা

আমাকে ক্ষমা কর মা! আমরা পারিনি,
তোমার রক্তের ঋণ করিতে শোধ!
রক্ত দানে; যে স্বাধীনতা কেনা! স্বপ্ন সম্ভার মুক্তির,
ফিরে ফিরে মূল্য খুঁজি তার!!

আজও কৃষকের লাঙ্গলের ফলায় গেঁথে উঠে
বীর শহিদের করোটি;
অস্থি মজ্জায় সোদা রক্তের ঘ্রাণ, অমানিশায়
বিলিয়ে দিয়েছে জীবন; ৭১ এর রনাঙ্গণে।
ওদেরকে ভুলি কেমনে মা!
পারিজাত লক্ষ কোটি লাল ছালাম,দোয়া মাঙ্গি!
দিয়েছে প্রাণ দেশের তরে! মুক্তির স্বপ্ন বানে
ধন্য ওদের জীবন;
ধন্য ওদের প্রাণ।

[30 লক্ষ, শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়]
১৪২৬/ বিষয়শ্রেণী: জীবনমুখী/দেশাত্মবোধক কবিতা

প্রেম যে কস্তুরী ঘ্রাণ

প্রেম যে কস্তুরী ঘ্রাণ

যেতে দাও আজ তোমার অবরুদ্ধ নগরীতে
বন্ধ দ্বার এবার খুলে দাও, নন্দন
কোলাহলে।
আর কত দিন রইবে অবরুদ্ধ, বন্দি অভিমানে
দ্যাখো হেমন্তের নবান্ন সুবাস, তোমার দ্বারে
খিড়কি খুলো!
কালের বার্নিশ দ্যাখো চির ধরেছে, নোনা ধরা
দেয়াল দ্যাখো পড়ছে খসে, নন্দন বাগে ঝরছে
হলুদ পাতা।

গহন লাগা প্রাচীরে আর কত ডাকবে খাঁচায়?
এবার পতঙ্গ বুনে যাও; প্রেম যে কস্তুরী ঘ্রাণ, যদি মিলে
সর্বনাশে।
বেলা শেষে ডাহুক ডাহুকির ডাক খুনসুটি বির্নিমানে
দেখলে না হেমন্তের পথে হেঁটে হেঁটে; ঝরা মাদার ফুলের
পাপড়ি তোমারে ডাকে।

১৪২৬/হেমন্তকাল/বিষয়শ্রেণী: প্রেমের কবিতা, রূপক কবিতা

বিন্দুতে ঐ শূন্য টেনে শূন্য পথে একলা হাঁটা

—–বিন্দুতে ঐ শূন্য টেনে শূন্য পথে একলা হাঁটা

ঐ চেয়ে দ্যাখো
ঘুরছে পৃথিবী; আমি তুমিও সাথে সাথে
পাঁজর ভেঙ্গে পড়ছে খসে
নক্ষত্রের ঐ পেন্ডুলাম বুনে!
যাতনা সুখের গোলাক ধাঁধা
বুদ্ধি গিলে পণ্ডিত হই।

আমি তুমি ঘুরছি বেকার পৃথিবী নামের
সমতলে; বিন্দুতে যে বিন্দু মিশে
সবাই তাই সস্থি খুঁজে!
অমানিশা আর মোহনেশা
সবই তো ঐ বিন্দুতেই
কারুকার্য্যে জোঁকার সেজে অভিনয়ের
পাল্লা ধরে।

বোধের কাঙ্গাল ছলচাতুরি
পাপপূণ্যের হিসাব দ্যাখো; আমি তুমি রইব একা
বিন্দুতে ঐ শূন্য টেনে শূন্য পথে একলা হাঁটা।

১৪২৬/কার্তিক/ শরতকাল/বিষয়শ্রেণী: জীবনমুখী কবিতা, রূপক কবিতা

তোমার বিলাসী অন্তর্ধান

————তোমার বিলাসী অন্তর্ধান

আশ্বিনের আকাশ, সাদা মুর্চ্ছনায় মেঘমালা সাজে
যেন অপরাহ্ণে নন্দিনী তুমি!

বিষাদের মেঘ দূরে সরে যায় শূন্য বলয় হতে দূর বহু দূর
কবিতার অঙ্গন জুড়ে এখন শুধু তুমি আর তুমি;
বিরহী আঁচল ছুঁয়ে আছে কত কাল, কে জানে? খেই হারিয়ে ফেলেছে
বিদগ্ধ নাবিক! সাগর গভীরে নিত্য তারই মৃদঙ্গ বাজে।

জলের ব্যবচ্ছেদে! বিন্দু বিন্দু জলরাশি তোমারই গহন লাগা
বিরহ ঘোর আঁটে; যেন সব দিকেই তুমি স্বচ্ছ প্রতিবিম্বে
একলা দাঁড়িয়ে।

যেতে যেতে কালের প্রান্তে তুমি দাঁড়িয়ে
মননে পোড়া বালুরাশির তলে, পিরামিডের স্বপ্ন মৌনতায়
আবেগী গলায় ডাক দিয়ে যায় হিম লাগা সুরে মহুয়া নেশায়
মরীচিকা আঁধারে বিপন্ন এক! তোমার বিলাসী অন্তর্ধান

১৪২৬/আশ্বিন/ শরৎকাল।বিষয়শ্রেণী: প্রেমের কবিতা

রাত দিনের সাথে কাল জিইয়ে রয়

——–রাত দিনের সাথে কাল জিইয়ে রয়

পথিক এখন পিচ ঢালা পথে হাঁটে
সেই কবে সোদা মাটির গন্ধমাখা মেঠোপথ ছেড়ে এসেছে?
মনে পরে পথিকের রাতে ঘোর লাগা তন্দ্রায়
স্মৃতির খিরকিতে খলবলিয়ে উঠে;
যেন আষাঢ়ে মাছের পোনার ঝাঁক।

অথচ, ক্ষুধার তন্দ্রায়
পথের বাঁকে; রাত দিনের সাথে কাল জিইয়ে রয়।
সেথায় বসে পঙক্তিমালা সমেত,
কত বিদ্রোহ মিছিল? অধিকার সমীপে
পাপ-পুণ্য, ভোগ-লালসার তীব্র বাসনা জাগ্রত
পিচ ঢালা পথে পথে হেঁটে বেড়ায় পথিকের পিছে পিছে
নিঃশ্চুপ, পথিক আজ বড়ই বেমানান
পিচ ঢালা এই পাকা সড়কে।

আপ্লুত করে না আর! লজ্জাবতীর মতো ভয়ে লুকিয়ে থাকে
সয়ে যায়, নিবৃত যাতনার প্রদাহ; আবার
কাঠবিড়ালীর মতো ছুটে বেড়ায় শুধু এদিক ওদিক চেয়ে চেয়ে।

১৪২৬/ শরৎকাল/ আশ্বিন।
বিষয়শ্রেণী: জীবনমুখী/ রূপক কবিতা

সন্ধ্যাবতীর নবান্ন ঘ্রাণ

______ সন্ধ্যাবতীর নবান্ন ঘ্রাণ

সবে বান সরে গেছে, নরম মৃত্তিকায় শেওলা শুকায়
পলি কাদায় সবুজ ঘাসের বিন্যাস তুলতুলে হেমন্তের
মহনীয় সাজ।
শালুক ফোটা বিলের টলটলে স্থির স্বচ্ছ জলে শেওলা বাগিচায়
দারকিনা মাছের ঝাঁক; দল ছুট হাঁসের ছানার দল
ডুব সাঁতারে মাতে জল ভরন সুখে।

প্রণামী লাজে তুমি; সন্ধ্যাবতীর নবান্ন ঘ্রাণ!
লজ্জাবতী চুপ্‌সে যায় পানকৌড়ি ছন্নছাড়া
যাতনায়।
ডাহুক ডাহুকী নবান্ন মাখা ঘ্রাণে জল ডুবা নাড়ার ক্ষেতে
সুরম্য ধানের ঝাড়ে বেঁধেছে বাসা সুবোধ সারাল্য সুখে
প্রেম অভিসারে।

খেয়া জাল ধরে বসে আছে ঠাঁই অভাজন, সাঁঝ লালীমায়
উড়ে উড়ে পাখির ঝাঁক দিগন্তে মিলায়
লাউ মাঁচায় সাদা ফুলে এখনো লাল ফড়িং দোল খায়
মৌনতায়।

১৪২৬/হেমন্তকাল/ কার্তিক।
বিষয়শ্রেণী: প্রকৃতির/ প্রেম/ রূপক কবিতা

ক্ষণজন্মা বৈভব

——-ক্ষণজন্মা বৈভব

কোথায় যাবে তুমি?
পা বাড়ালেই পথ। পথের সমুখে পথ
অন্তহীন পথের নিশানায় পথ বয়ে চলে।
বয়ে চলা জলের প্রবাহ নদীর মতো
এঁকে বেঁকে সমুদ্র মোহনায়;
যেন পথের সিদ্ধ আকর।
জীবন পথ, পথের পথ, মরন পথ
একই সূত্রে গাঁথা যেন সুবর্ণ সাঁঝ লালিমা
ক্ষণ কালেই ক্ষয়ে যায়।
খসে পড়া যাতনায় মেইয়ে যায় যে পথ
তাঁকে আন্ধার অসীম শূন্যতায়, মাদকতার পথ;
অসীম কালের সসীম সীমা শেষ বলে কিছু নেই
সেখানে শুধু বিপন্নতা।

পথেই যে অবনী ডুবে যায়;
জোছনা সাথে জেগে উঠে সহসা, ক্ষণজন্মা বৈভব
মৃত্তিকা পথের ধুলায়, বিবর্ণ অসহায়
সুবর্ণ দেহ অনন্তকালের দ্বারে!

১৪২৬/ভাদ্র/ শরতকাল/
বিষয়শ্রেণী: জীবনমুখী কবিতা, রূপক কবিতা

সেদিন ছিলাম না আমি, সেটাই সত্য

———-সেদিন ছিলাম না আমি, সেটাই সত্য

একদিন তোমার দিন ছিল
সে দিন আমি ছিলাম না; হয়তো জাগতে হয়তো না
আমি ছিলাম না সেটাই সত্য।
যদিও সে থাকা, না থাকার মিছিলে
শুধুই ছিল প্রত্যাশা অভিমান; যাতনা বিরহ ছিল কি?
সেদিন ছিলাম না আমি সেটাই সত্য।

এত যুগ পরে, সে কথা কেন?
হটাৎ অভিমানের সুর
কত বার ঝরেছে করম্‌চা গাছের পাতা? সজনে পাতা,
তাতে কি? উঠানে দাঁড়িয়ে সেই তোমার দেখা!
বিবর্তনের ইতিহাস টেনে; তোমার মেয়েটার আঙ্গুল
টেনে চেনালে! পৃথিবী বেঁচে থাকার জন্য!

প্রেম বিরহে পুড়ে, সময় পুড়ে না
সেদিন ছিলাম না আমি, সেটাই সত্য।

১৪২৬/আশ্বিন/ শরৎকাল/
বিষয়শ্রেণী: প্রেমের কবিতা/ রূপক কবিতা

মৃত্যু অভিশাপ

——মৃত্যু অভিশাপ

জীবন আর স্বপ্ন চরাচরে, মৃত্যু অভিশাপ
কি অপরিসীম ক্ষমতা তার? প্রাণেই যে তার সহ-বসবাস
মৃত্যু অভিশাপ।

স্বপ্ন বৈভব আশা নিরাশা যত সব!
অতীত গুহায় হারিয়ে যায় নিমেষেই
মৃত্যু ক্ষণ, বড়ই বেমানান! মুহূর্তেই সব অতীত হয়ে যায়
স্বপ্ন বাসনা যত খন্ডাংশের জালে গাঁথে
মৃত্যু অভিশাপ।
তাকে ফিরাইবে কে? এমন সাধ্য কার?
প্রাণে প্রাণ সংহার! যে করেছে সৃষ্টি মহান তারই কারুকাজ
এমনি শতকোটি অতীত দাঁড়িয়ে সমুখে
তারেই রেখেছে গেঁথে রঙ্গিন সুতোয়! জল টলমল ঘ্রাণে
মৃত্যু অভিশাপ।

ক্ষণ বদলেই ফিরে না সে;
হারিয়ে যায় তারই প্রকৃতি ছেড়ে, মায়া মমতা সব অভিমানে
কি যাতনায় ভুলে সে এমন কোলাহলে?
পৃথিবীর এদিক ওদিক উপর নিচ খুঁজিও না মিলে
মৃত্যু অভিশাপ।

১৪২৬/ ভাদ্র/ শরতকাল/ জীবনমুখী কবিতা, রূপক কবিতা/