ট্যাগ আর্কাইভঃ চারু মান্নানের কবিতা

প্রাণে আত্মার বিলাপ বাজে

–প্রাণে আত্মার বিলাপ বাজে

প্রাণ বিনে সতেজ শরীর, মৃত্তিকা রসে জড়
মূল্য কি বা তার? গলিত দুর্গন্ধ হয় এখনি,
মাটির শরীর মাটিতে তারে ঢেকে!
রাখবে তারে কোন পাত্রে? কেমনে যতন করে?
মোমি কোলাহলে যতই বল প্রাণ নাহি ফিরে।

প্রাণ আত্মা, প্রাণই জীব, সদা চঞ্চল উৎফুল্ল
জীব দেহে প্রাণ রূপে রয়, মৃত্যু কালে আত্মা বুনে যায়
আত্মা সে কতো পরম আত্মা আসা যাওয়ায় ধায়
মন পবনের নাও ভাসিয়ে, দেহে প্রাণ রূপে না না পদে রয়
সুখ দুঃখ হাসি কান্না না না রূপে ব্যাপ্তি সারা
হৃদয়ে যখন রক্তক্ষরণ! প্রাণে আত্মার বিলাপ বাজে

সচলতায় শরীর দেহে, অঙ্গভঙ্গি না না চিত্র আঁকে
মৃত‌্যুকালে হারিয়ে যায়, যত সব আঁকিবুঁকি যত্রতত্র
খেই খুঁজে পায় না তারা হারিয়ে যায় চিরতরে;
সেই যে প্রাণ হারিয়ে গেল কোন সদরে কোন খানে?
কেউ তারে আর খুঁজে না পায়? কখনো কেউ খুঁজে না?

১৪২৫/ ভাদ্র/ শরৎকাল।

বিরহ কথক

—বিরহ কথক

দেখতে যদি পিছন ফিরে
বিবর্ণ কত ধুলা উড়ে এদিকে ওদিকে?
আকাশ গায়ে মেঘের পাড়ে বালিয়াড়ি মিশে;
উড়ে সে তো বিরহ কথক
বলতে চায় পুরনো কথা আধেক ছিল যা বাঁকি
ফুরছুৎ কই দেখবার যথাতথা?
ঝরা পাতায় মালবিকা কাহন মন্ত্র জপে পিছু টান
দেখতে যদি পিছন ফিরে!

ফিরে দ্যাখা পথ সে তো দূর বহু দূর বিস্মৃত!
দুচোখে ভরে দেখতে চেয়েও মরীচিকা মতো আঁধার নেমে আসে
ঠাই দাঁড়িয়ে কোজাগরি নক্ষত্র বিলাস;
যেটুকু আজও গেঁথে আছে সন্তাপে ধুঁকে ধুঁকে
মননে নন্দন রূপে বুকে গেঁথে রয়
জলজ শেওলার মতো ঢেউয়ে উথাল পাথাল।

১৪২৫/ ভাদ্র/ শরৎকাল।

আমি তুমিতে রং

—আমি তুমিতে রং

দ্যাখো, আমি তুমিতে রং ধরেছে কেমন?
সাদা মেঘে নীলের বসন;
পড়ছে খসে হরেক রকম আনন্দ রাশি রাশি
কোথায় যেন হাওয়া কথা কয় চুপি চুপি?
যেন মর্মে মরে ঘোমটা টানা লাজুক বধু কাঁকে কলস
উঠানে তার সাঁঝের আলোর নাকে নলক।

দ্যাখো, আমি তুমিতে রং ধরেছে কেমন?
গেরুয়া রং এ রাঙা সন্ধ্যাবতীর সাঁঝ;
মিলিয়ে যায় ধীর লয়ে আবেগ মাখা সারা দিনের খেলা
বিরহ ব্যথা খুনসুটি সুখে ভরা বিদায় বেলার মেলা
যেন ঐ বধুয়ার হারিয়ে গেল আলোর দিশা সাঁঝ আঁধারে
উঠানে তাই প্রহর গুনে উদাস হয়ে পুব আকাশে চেয়ে।

দ্যাখো, এমনি করে আমি তুমিতে রং ধরেছে কেমন?
বারে বারে স্বপ্ন উঠে জেগে, বিরহী ঐ বধুয়ার তন্দ্রা ঘুমে
আজও কি সেই তুমি মর্ম ঘ্রাণে বাঁচো দিবানিশি?
আমি তুমিতে রং ,,,,

১৪২৫/ ভাদ্র/ শরৎ কাল।

তমগ্ন যাপতিকাল

—তমগ্ন যাপতিকাল

সে দিন ছিল, ফিরে দেখার মতো
জোনাক জ্বলে ঝাঁকে ঝাঁকে
সন্ধ্যাবতী ঢাকে রাতের বেদন
বিভ্রম চাদরে; জোছনা ডুবে যায়!
কুহক যাতনায় রাতে আঁধার জেগে উঠে
ঘুমের সলতে স্বপ্ন পোড়ায়
নক্ষত্র যাপনে আকাশ ঝুলে রয়;

ঠিক তেমনি শরৎ ত্রিভুজে জোছনা বিলাসী রাত
সন্ধ্যাবতীর পাড়া জুড়ে
নেই কোন কোলাহল; তাবর বিদ্রূপে জুড়ায়
নির্মোহ আক্ষেপ! বাসনা সব তুলা হয়ে উড়ে
শরতের মেঘের কার্নিশে

সময় মাপনে বেশ ফারাক;
শরতের লম্বা সুতা টেনে ধরে ঐ দিগন্ত
তমগ্ন যাপতিকাল! সেই তো সেদিন বুনে রয়
আজও আত্মজা সন্ধ্যাবতী।

১৪২৫/ শরতকাল/ ভাদ্র মাস।

প্রতীতি বাসনা

–প্রতীতি বাসনা

এবার কাদা মাখা পায়ে,
এসেছি গো তোমার মসৃণ পথে
এবার কবিতা হবে,
তোমার কুন্তল অবনীর স্পর্শ ছুঁয়ে;
এবার স্বপ্ন মেলবে ডানা, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়েছি এঁটে
এবার সভ্য মৌনতা, তোমার সুবোধ কোলাহলে ফিরে;

তোমার পিচ ঢালা পথে কাদা মাটির পাদুকা ছুঁয়ে
আচমকা ভুলেছিনু মৃত্তিকা ভূষণ; চকচকে সুবোধ পাদুকায়
ঢেকে রাখে সব মৃত্তিকা দহন!
তোমার মসৃণ ছোঁয়ায় ঢেকে যায় সব
অযাচিত মুদ্রাদোষ
তুবও রয়ে যায়, জেগে উঠে
প্রতীতি বাসনা।

মাঝখানে ক্ষয়েছি নোনা ধরা দালানের মতো
খসে খসে পড়ে ছিল বিভ্রম তন্দ্রা যত!
এবার আলিঙ্গনে ফিরেছে তা; বটের ঝুড়ির মতো
মেঘ রসে টইটুম্ব শাখা প্রশাখা
জলাঙ্গি মেঘ ধীরে ধীরে ধবল রূপে ধায়।

১৪২৫/ ভাদ্র/ শরৎকাল।

কয়েক দিন কবিতা লিখব না

—কয়েক দিন কবিতা লিখব না

কয়েক দিন কবিতা লিখব না
কিপ্যাডে রাখব না আঙ্গুল; ছুঁয়ে দেখব না
রুপালী হরফ! রুপোর কাঠিতে জেগে উঠা স্বপ্নের হরফ
যে হরফে মাস্তি রয় যুগে যুগে, জীবনভর।

কবিতার বিদ্রূপ ছেড়ে
শহর ছেড়ে, যাতনা যত ভুলে, এবার বেড়িয়ে যাবে
আগন্তকের মতো এই শহুরে প্রথম কদম এঁকে ছিল, পথিক বেশে
সেই আগন্তকের সুরত পাল্‌টেছে খানিক।
পথের নিশানা পালটায় তেমনি যাপিত কালও বদলছে খানিক
পথিকের পথের মতো চলতে চলতে থমকে যায় তেমনি
আকাশে মেঘ দেখার মতো কোন দিকে কালো আঁধার?
আবার কোন দিকে, শুভ্র খাঁচকাটা খন্ড খণ্ড মেঘের পাহাড়।

আগন্তুক কবিতা শহুরে বীজ বুনে ছিল;
সেই বীজে কতক অঙ্কুরোদ্গম! সোদা মাটির গন্ধ ভুলে
আর কতক তো মৃত্তিকা রস পাইনি বলে! অভিমানে মুছে গেল
কবিতায় হরফ উড়ে যাওয়ার মতো; প্রজাপতির ঝাঁক, ঠিক তেমনি
কয়েক দিন আর কবিতা লিখব না!

সেই তুমি রয়ে গেলে আজও

–সেই তুমি রয়ে গেলে আজও

চাওয়ার অন্তঃপুর
সেই তুমি রয়ে গেলে আজও
একই সীমান্ত রেখায়;
এ পাড় ওপার করে আকাশের কৌণিক দূরত্ব
একই বিন্দুতে রইলে।
একচুল এদিক ও না ওদিক ও না
জানি তুমি বুঝবে না!
এ যে ভাবনার জ্যামিতিক কাব্য
জীবনভর পাশকেটেই চলে গেছো হেঁটে
দূর বহু দূর সুখসারির কাছে।

ফিরে দেখেছ মিছে
কতক কদম পিছন ফিরে?
সদ্য বয়ে যাওয়া বায়ু আমলিক বনে
ঝিরঝিরে বাতাসের ঝিরঝিরে বিরহ কাব্য
আঁচলে কুড়িয়ে ঝরা পাতার বিরহ
কে বা তা মনে রাখে?
এ যে না ফুরাবার বিন্দু
শুধু ক্ষয়ে যায়;
বারং বার খসে পড়ার আচ্ছাদনে ঢাকা।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল

নেই কোন বন্ধু

–নেই কোন বন্ধু?

আপনারে নাড়িয়ে চারিয়ে উন্মাতাল আহ্লাদে
কেটে ছিল কি কোন বেলা? শ্রাবণ সাঁঝ প্রাতে
দেখতে দেখতে শ্রাবণ মেঘে ঢেকে গেল যত ছাই রং
বৃষ্টির আঁধারে ঝম ঝম বরিষণে পথিক পথে বিষন্ন ঢং
এ কি আঁধার নেমে এলো? বন্ধুরা সব গেল পালিয়ে
অভাজনের সেই একই পথ একলা রয়ে গেল পিছে
বর্ষার নন্দন রুপে পরে গেল সারা থই থই জল স্রোতের
কইতে কথা প্রকৃতি সম সাথে সাথে এ কোন ভ্রম প্রাতে?

নেই কোন বন্ধু সাথে? অমরাবতীর প্রেম যায় জলে ভেসে
সুবর্ণ আগাছার জল ডুবা ফুল ফোটে জলের ঢেউ মেখে
কতক রং দেখে? ডুব সাঁতারে পানকৌড়ি প্রেম রসে মজে
বেলা শেষে সাঁঝে এ কোন মৌনতা সাজে? রঙধনু লাজে
নেই কোন বন্ধু পথিকের? এলো মেলো বেবস যথাতথা
দেখিতে দেখিতে দেখার সরোবরে, এ কোন ঢেউ পাথারে?

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

পুঁজির বিচিত্র বৈভব

—পুঁজির বিচিত্র বৈভব

পুঁজির বিচিত্র বৈভব পৃথিবী জুড়ে
কালে কালে যুগে যুগে; শুধু নতুন খরায় পুড়ে
ক্ষুধা যাতনা বাঁচবার তাড়না
ছুটাছুটি দিগ্বিদিক; সোদা স্বপ্ন বান জুড়ে।

কোথাও পুঁজি তুচ্ছ অতি?
কোথাও পুঁজি বাঁচবার সম্বল?
কোথাও পুঁজি ভোগবিলাসে অম্বল!

পুঁজি সে তো স্বর্ণ জৌলুস জীবন চূড়ায় উঠে
তারে ধরিতে ছুঁতে দিগ্বিদিক: হন্যে হয়ে ছুটে
পুঁজির লোভ ক্ষমতা পাখা মেলে
পথের কাঁটা রাখিতে নারে; সদা প্রলয় বিঘ্ন ঘটে।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

–পারিজাত স্বপ্নের ভাঁজে ভাঁজে

–পারিজাত স্বপ্নের ভাঁজে ভাঁজে

আহত ডানা ভাঙা কইতর
বসার জন্য আর ঘরের চাল পায় না, উচুঁ দালানে
পা দিতেই এদিক ওদিক হেলেদুলে
ভারসাম্য যেই হারিয়ে ফেলেছে!
সোজা পিচঢালা পথে আহত যন্ত্রণায় তোড়পায়
খানিক বাদে মৃত্যু;
তার বাদে ডাষ্টবিনে, গলিত গন্ধ ছুটে
জীবন ফুরিয়ে যায় এমনই নিমিত্তে।

উড়বার বাসনায় সবকটা পালকে লেগেছিল রং
পত পত শুভ্রু চেতনার স্ফুলিঙ্গ!
নীল আকাশ জুড়ে
খেলতো খেলা কাঞ্চনজঙ্ঘার রসলীলায়
সবে স্বপ্নকে ছুঁয়েছিল বলে
সে কি তৃঞ্চা আহল্লাদ? আসবে ফিরে ঘরে
প্রেম বিরহ চিরধরা ঘ্রাণে, ঘুরিয়ে নাক
খুনসুঁটিতে মত্ততার আভরণে
পারিজাত স্বপ্নের ভাঁজে ভাঁজে
সে কি চেতনা উল্লাস বার বার বারংবার?
ফিরে আসে মৃত্যুর আলখেল্লায়।

মাধুকরীর অম্ল ঘ্রাণ

—মাধুকরীর অম্ল ঘ্রাণ

চেতনার বানে সিক্ত যখন
নগর পথের ধুলো!
লাল রক্তে মুর্চ্ছা বোধের কালিমা।
বোধ সে তো চর্চায় ধন‌্য
বিফলে পুঁজির দ্বন্দ্ব!
শ্বেত কইতোর যায় উড়ে যায়
মায়ার চাল ছেড়ে।

সেই মায়াতেই মুক্তি খুঁজে
সকল চাওয়ার দিশা; এখন শুধু চাইতে গেলে
সর্বনাশে পথেই আগোল আঁটা।

দ্যাখো আলোর মুখ পাও নাকি পথে?
তবেই তো চলবে জীবন, মাধুকরীর অম্ল ঘ্রাণে
ছিটে ফোটা প্রেম বিরহের;

১৪২৫/শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

–পথ বিভাজন

–পথ বিভাজন

পথ আগলে থাকে পথ, নন্দন স্বপ্ন নিয়ে
কথিত কথায় জানে সব, শুধুই বিরহ ক্ষ্যেত
কথায় বলে বু্দ্ধিতে চালাক, অবোধ খায় ধোকা
অষ্ট প্রহর বেলা শেষ, বিষন্ন সন্ধ্যা বেলা।
পথেই যখন জীবন মৃত্যু, খন্ডিত বাসনা যায় ক্ষয়ে
আলো ফোটার বাসনা লয়ে, দিকে দিকে এ কি সম্ভার?

কেউ বলে ঐ পথে যাও?
কেউ বা বলে একটু সবুর?
কেউ বলে এ পথে কেন?
কেউ বা বলে ঘরে ফিরো?

এমনি সুতার জালে পথ মোড়ানো, যেন গোলক ধাঁ ধাঁ
পথ খুঁজে না পায় নবীন পথিক, সুবোধ চর্চায় পথে হাঁটা
এমনি পথের নেশায় পথিক সজ্জন, কুস্তরী নেশায় ছুটে
দ্বীপ জ্বেলে যায় দ্বীপ শিখার তরে, যাপিত কাল পথ পথে।

১৪২৫/ শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

–প্রেম ঐর্শ্বয্য

–প্রেম ঐর্শ্বয্য

প্রেম ঐর্শ্বয্য, জীবন, মৃত্যু, বাঁধিতে বাঁধন
খোলস খুলে পড়ে,
নোনাধরা পলেস্তারে গাঁথা দেয়ালের মতো
দেয়াল যেন সময় আকর; জীবন বোধে বাঁধে ঘর!

সেই ঘরটায় হাসি আহল্লাদে ভরপুর
আশা জাগানিয়া স্বপ্ন খোলা আকাশ সম
সদর দরজা খোলা, বায়ুভষণ তারিয়ে বেড়ায়!
পদ্মলোচন পেরুলো যেই আশা চেতনায়,
মন জড়ালো কল্পতরুর বিভ্রুম নন্দন নেশা
পেয়ে যায় প্রেম ঐর্শ্বয্য;

তারে বাঁধিতে জীবন, ক্ষয়ে যায় যাপিত কাল
এবার প্রেম ঐর্শ্বয্য পুড়ে বিরহে!
নন্দন দেহ তাপে নামে প্রদাহ অসয্য যাতনা
করিতে প্রেমের শুদ্ধ, শুভ্র, অর্মত্য রচনা;
শুধু প্রত্যয় জেগে রয় প্রহর গুনে গুনে,
সময় কার্নিশে ঝুলে রয়।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

–মর্মমূলে যাতনা ব্যথা নিত্য ঘুরে সদল বলে

–মর্মমূলে যাতনা ব্যথা নিত্য ঘুরে সদল বলে

মর্মমূলে যাতনা ব্যথা নিত্য ঘুরে সদল বলে
সুখের আশায় স্বপ্নের ফাঁদে যাপিত কাল চলে
নেই তো দেখা আশার প্রথা ইনিয়ে বিনিয়ে আসে
দু:খের সাগর যেই সমুখে পালিয়ে সোদা বাঁচে
আধো বলে তা ধিন ধিনতা সকাল দুপুর সাঁঝে
সেই রসিতে টান ধরেছে স্বপ্ন সারি সারি রৌদ্ররে
আকাশ চেয়ে রয় নীল মেখে মেঘের ছায়া মাগে
বৃষ্টি ঝরে মেঘ মল্লার বাদলে ঝম ঝমা ঝম গানে;

প্রকৃতি ছুঁইয়ে জীবন সাজা আঁধারে চন্দ্র খেলা
হারিয়ে গেছে চাঁদের মায়া কোন সে বিষন্ন বেলা
খুঁজিতে তারে পিছে পিছে ঘুরে সারা স্বপ্ন মেলা
আধো কালো দুনিয়াতে বিপন্নতা ঘুচে দিশেহারা
যেই এসেছে বৃষ্টির ঝাঁক এলো মেলো দলহারা
ক্ষয়ে ক্ষয়ে তাবর বেলা রাত্রি জঁপে আপনপারা;

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

–ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি

–ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি

লবণ জলের রুপালী ইলিশ
মিঠা জলের স্বাদে
ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ আসে
ডিম ছাড়ার লোভে।

রুপালী ইলিশ পদ্মার ঐ স্বচ্ছ জলে
আসে উজান ঠেলে
শ্রাবণের ইলশেগুঁড়ির বৃষ্টিতে
ইলিশ ধরে জেলে।

পদ্মার ঢেউয়ে জেলের নাও
উতাল পাতাল নাচে
শ্রাবণ বাদলে জেলে-মাঝি
মুক্তার দাঁতে হাসে।

ভুতুসোনা জল রংএ আঁকে
ইলশেগুঁড়ি বৃস্টির জল
আরও আঁকে পদ্মা পাড়ের ছোট্ট গাঁও
সদ্য স্নানে‌ বৌ-ঝির রঙ্গরস।

১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।