পবিত্র কোর’আনটা কি?

কোর’আনের আইন, শরীয়াহ আইন ইত্যাদি পরিভাষা দেখে দয়া করে কেউ প্রতারিত হবেন না। মনে রাখবেন কোর’আন কোনো আইনের বই না। আবার কোর’আনকে সংবিধান হিসেবে পরিচিত করার যে প্রবণতা লক্ষ করা যায় সেটাও একটা ফাঁদমাত্র।

মূলত কোর’আন কোনো সংবিধান নয়। অনুরূপ কোর’আনকে দণ্ডবিধির বইও বলা চলে না। তবে হ্যা, কোর’আনে কিছু আয়াত আছে যা অনেকটা আইনের মত শোনায়, কিছু আয়াত সংবিধানের মত শোনায়, কিছু আয়াত দণ্ডবিধির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সর্বসাকুল্যে কোর’আন ওসবের একটাও নয়।

কোর’আনে বিশ্বপ্রকৃতি ও মহাকাশ সংক্রান্ত বহু আয়াত আছে যা বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক সত্যে পূর্ণ কিন্তু তাই বলে কি কোর’আন বিজ্ঞানের বই না কোর’আন কোনো ইতিহাসের বইও নয়, যদিও কোর’আনে অতীতের বহু জাতির ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।

কোর’আন কী সে প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ স্বয়ং দিয়েছেন। বলেছেন এটা উপদেশগ্রন্থ। আবার কোর’আনকে বলো হয়েছে ‘ফেরকান’ অর্থাৎ ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী গ্রন্থ। বলা হয়েছে কোর’আনুল কারীম অর্থাৎ যেটা পুনঃপুনঃ পাঠ করা হয়। কারণ যেন মানুষ কোর’আনের মূল্যবোধকে সদাসর্বদা স্মরণে রেখে কাজ করতে পারে। কাজেই আল্লাহ যেটুকু বলেছেন আমরা কোর’আনকে আধুনিকতার মোড়ক পরাতে গিয়ে যেন তার বাড়াবাড়ি না করে ফেলি। কোর’আনের আইন নিয়ে যদি কেউ কথা বলতে আসে তাদেরকে সোজা প্রশ্ন করবেন, কোর’আনে কয়টা আইনের কথা আছে? কোর’আনে কয়টা রাষ্ট্র পরিচালনার ধারা-উপধারা, নীতিমালা ইত্যাদি আছে? কোর’আনে কয়টা দণ্ডবিধি আছে?

চুরি, ব্যাভিচার আর হত্যার বাইরে সমাজে হাজার হাজার অপরাধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত, সেগুলোর শাস্তি কী হবে? আবার চুরির বিধান হাত কাটাই ধরুন। বাপের মানিব্যাগ থেকে ছেলের দশ টাকা চুরিও চুরি, রিজার্ভের আটশ’ কোটি টাকা চুরিও চুরি, উভয়ের শাস্তিই কি হাত কাটা? এবার তারা শরীয়তের বই হাজির করবে। অথচ আপনি হয়ত জানেন না সেই শরীয়তের বই আল্লাহর নাজেলকৃত গ্রন্থ নয়। সেটা আজ থেকে শত শত বছর পূর্বের একদল আলেমের রচিত গ্রন্থ, যারা তাদের পারিপার্শিক অবস্থা, স্থান, কাল ইত্যাদি বিবেচনা করে সেই সময়ের মানুষের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান রচনা করেছিলেন। সেটা কী করে কোর’আনের আইন হয়? সেটা বড়জোর আলেমদের আইন হতে পারে।

বর্তমানের এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব যখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছে, তখন হাজার বছর আগের মুফতি-ফকিহদের ঐ বিধান কতটুকু প্রযোজ্য হতে পারে? কিন্তু কোর’আনের আইনের ধুয়া তুলে সেই পুরোনো আমলের শরীয়তের বইটাকেই জাতির উপর চাপানোর চেষ্টা চালানো হয়, আর তা দেখে যুগসচেতন মানুষরা ইসলামকেই ভুল বোঝেন। সত্য হচ্ছে কোর’আন ন্যায় ও অন্যায়কে বুঝতে শেখায়। সত্য থেকে মিথ্যাকে পৃথক করে দেয়। ব্যস, এবার মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে সে তার সামগ্রিক জীবনে সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়কে প্রাধান্য দেবে। কোনো বিধান সেটা প্রয়োগের ফলে আলটিমেটলি মানুষ ন্যায় পাচ্ছে নাকি অন্যায় পাচ্ছে? যদি ন্যায় পেয়ে থাকে তাহলে সেটাই ইসলামের আইন। আর যদি সে আইনের দ্বারা অন্যায়ের বিজয় হয় তাহলে সেটা তাগুতের আইন।

কোনো রাষ্ট্র, সেটার গঠন যদি এমন হয় যে তার দ্বারা আলটিমেটলি ন্যায় ও সত্যের প্রকাশ ঘটে, রাষ্ট্র পরিচালকরা ন্যায়ের উপর দণ্ডায়মান থাকেন এবং জনগণ ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি পায় তাহলে সেটাই ইসলামী রাষ্ট্র। অপরাধীকে দণ্ডবিধির যে ধারায় শাস্তি দিলে ন্যায়ের বিজয় হয় সেটাই ইসলামী দণ্ডবিধি। আল্লাহ কেবল বড় বড় কয়েকটা অপরাধ- যেমন, চুরি, ব্যভিচার, হত্যা ইত্যাদির শাস্তি দানের ক্ষেত্রে সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, ওই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ওই পর্যন্তই। চুরির শাস্তি বড়জোর হাত কাটা পর্যন্তই। তার বেশি নয়। তবে নিম্নে যতদূর ইচ্ছা শাস্তি কমিয়ে দেওয়া যায় অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে, এমনকি ক্ষমাও করা যায়।

এই সীমারেখা নির্ধারিত না থাকলে কী হতে পারে তার দৃষ্টান্ত আমাদের সমাজেই তো আছে। সামান্য চুরির দায়ে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। যেখানে কোর’আনের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠত থাকবে, সেখানে কস্মিনকালেও এমন হবার নয়।

একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ নিজে সত্য, আর সত্য থেকেই আসে ন্যায়। কাজেই ন্যায়ের স্থাপনা হওয়া মানেই আল্লাহর হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হওয়া, কোর’আনের শাসন কায়েম হওয়া।

এ লেখার বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ থাকলে বা পরামর্শ থাকলে সরাসরি মুঠোফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন – 01787 682096

28 thoughts on “পবিত্র কোর’আনটা কি?

  1. পবিত্র কোর’আন তাহলে আসমানী (আল্লাহর বাণী) কেতাব বা গ্রন্থ নয়? দুঃখিত আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আলেমদের তৈরী হলে পরিমার্জিত হতো না কি ? :(

    1. দিদি আপনি ভালো করে পড়েন নি ? আবারো পড়ার জন্য অনুরোধ করছি !!!

    2. মাপ করবেন আপনি আমার লেখার মাঝে কথায় পেলেন (পবিত্র কোর’আন তাহলে আসমানী (আল্লাহর বাণী) কেতাব বা গ্রন্থ নয়?) একটু কোট করে দিয়েন। 

    3. না ঠিক আছে। মাথায় আগুন চেপে গিয়েছিলো চেক এ্যাণ্ড ব্যালেন্স ঠিক মতো আসেনি আমার কথায়। আমি যদিও সনাতনপন্থী। তারপরও ইসলামের বাণী আমি খুব করে মানি। কোর’আনের আইন, শরীয়াহ আইন (!! আমি জানিনা) এক করে ফেলেছি। সরি। এ্যাপোলোজাইজ।

  2. মাফ করবেন ভাই। আপনার পোস্টে যুক্তির চেয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য চলে এসেছে।

    1. আমার মনে হয় হয়তো আপনি আমার লেখাটি বোঝেন নাই নয়তো আমি বোঝাতে পারি নাই ।  মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। 

    2. আমার  এই লেখায়  পবিত্র কোর’আনটা প্রধান্য দেওয়া হয়েছে । 

    3. কোর’আন প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ স্বয়ং দিয়েছেন। এটা উপদেশগ্রন্থ। এখন ঠিক আছে পড়লাম ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  3. আমার মনে হয় আপনি লেখাটা ভালো করে পড়েন নাই? না পড়েরই মন্তব্য করেছেন? ভালো করে মনেযোগ সহকারে পড়ুন।

    (এবার তারা শরীয়তের বই হাজির করবে। অথচ আপনি হয়ত জানেন না সেই শরীয়তের বই আল্লাহর নাজেলকৃত গ্রন্থ নয়। সেটা আজ থেকে শত শত বছর পূর্বের একদল আলেমের রচিত গ্রন্থ, যারা তাদের পারিপার্শিক অবস্থা, স্থান, কাল ইত্যাদি বিবেচনা করে সেই সময়ের মানুষের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান রচনা করেছিলেন। সেটা কী করে কোর’আনের আইন হয়? সেটা বড়জোর আলেমদের আইন হতে পারে।)

     

  4. শরীয়তের বই আর পবিত্র কোরআনকে আপনি এক করে ফেলিয়েছেন। 

  5. পবিত্র কোর’আন এর আপনার বক্তব্যটি ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করছি। বিষয়টি স্পর্শকাতর।

    1. হ্যাঁ। কোর’আনের আইনের ধুয়া তুলে সেই পুরোনো আমলের শরীয়তের বইটাকেই কেউ কেউ না বলুন বেশীর ভাগই জাতির উপর সেটা চাপানোর চেষ্টা চালায়, সেখানেই যুগসচেতন মানুষরা ইসলামকে ভুল বোঝেন। সত্য। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    2. জি দাদা … অতি বারাবাড়ি ও অতি বিশ্লেষনের ফলে সহজ সরল বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। 

  6. আমি কোট করেছি সালজার রহমান সাবু ভাই। জানতে চেয়েছি মন্তব্য করিনি। হঠাৎ মনে হয়েছে পবিত্র কোরআন আল্লাহর নাজেলকৃত গ্রন্থ নয়। আলেমের রচিত গ্রন্থ। কোন জিজ্ঞাসা নেই। কোরআন সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ। হতে পারে সংবিধান, হতে পারে জীবন বিধি বিধান।

    1. সুমন ভাই আমি যা লিখিনি  তা আপনি  মন্তব্য লিখেছেন  —

      (পবিত্র কোরআন আল্লাহর নাজেলকৃত গ্রন্থ নয়। একদল আলেমের রচিত গ্রন্থ, যারা তাদের পারিপার্শিক অবস্থা, স্থান, কাল ইত্যাদি বিবেচনা করে সেই সময়ের মানুষের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান রচনা করেছিলেন।)  —- ।

  7. আল্লাহ নিজে সত্য, আর সত্য থেকেই আসে ন্যায়। কাজেই ন্যায়ের স্থাপনা হওয়া মানেই আল্লাহর হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হওয়া, কোর’আনের শাসন কায়েম হওয়া। শতভাগ সত্য।

    1. ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। 

  8. পবিত্র কোরআন এর বাণী মানি কিন্তু ফতোয়াবাজদের শরীয়াহ আইন মানিনা। 

    1. জি, সহমত আপনার সাথে ।   

  9. একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন না, কোরানে যেসব তথ্য যা আপনারা বৈজ্ঞানিক তথ্য বলে চালিয়ে দেন তার বেশীরভাগই টুকলি এবং ভুলে ভরা। যেমন ভ্রনবিদ্যার হিসেবে মানুষের জন্ম ও সামানের অবস্থান পুরোটাই ডা গ্যালেনের কনসেপ্ট আর ডা গ্যালন তা পেয়েছিলেন এ্যারিস্টটলের শুয়োরের প্রস্থচ্ছেদ ও অন্যান্য জীবের এনাটমির সাথে মানুষের সাদৃশ্যতা থেকে। এছাড়া চাঁদের দ্বিখন্ডন খোদ নাসার সাইটেই ভুল বলে উল্লেখ আছে। পাহাড় স্থির সহ নানা ভুলে ভরা এবং বাইবেল ওল্ড টেস্টামেন্ট শুনে শুনে মেরে দেবার মতো। 

     

    তারপরও কেন বৈজ্ঞানিক বলে উঁচুগলায় প্রমান করতে চান ঠিক বুঝি না।

     

    আমার মন্তব্যে দুঃখ পেলে জানাবেন মুছে ফেলবো। আমি শুধু আপনাদের এমন জোর গলায় দাবী করে বিশ্বাস করানোর মনোস্তত্ব বুঝতে চেস্টা করছি।

    1. আপনার মন্তব্য দুঃখ পাওয়ার মতো কিছুই নেই। আমি আপনাকে কোন কিছু বিশ্বাস করার জন্য জোর  প্রয়োগ করি নাই। আপনি কি বিশ্বাস করবেন আর কি বিশ্বাস করবেন না সেটা  আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ আমি সন্মান করি।  আমি আমার লেখার শেষাংশটুকু শুধু শেয়ার করলাম আর বাকিটুকু আপনি বুঝে নিয়েন। 

      একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ নিজে সত্য, আর সত্য থেকেই আসে ন্যায়। কাজেই ন্যায়ের স্থাপনা হওয়া মানেই আল্লাহর হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হওয়া, কোর’আনের শাসন কায়েম হওয়া।

      আপনি নিশ্চয় কোন অন্যায় চাইবেন না সবসময় ন্যায় চাইবেন। 

      1. আমি ন্যায় চাই, সত্য অনুসন্ধান করি। একজন প্রকৌশলী হিসেবে যেকোনো তথ্য যাচাই করার পর সেটা বিশ্বাস করতে পছন্দ করি। যে বইতে সামান্য ডিম্বানুর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ থাকে না অথবা পাহাড় স্থবিরতার মত ক্লাস ৭-৮ লেভেলের শিশুতোষ ভুল থাকে সেটা বিশ্বাস করার প্রশ্ন আসেনা।

         

        আর যে বই থেকে ফিদায়ী অভিযানের নামে আমাদিয়া ইশতিশহাদি(সুরা বুরুজের ৪-৮ তাফসীর, আহযাবের ২৩, বাকারার ২৮৩ এর নাখলার লুট ও হাদিসের বানু কুরায়জার গনহত্যা) তথা ইনঘিমাসের মতো (বানু কাইনুকা, রিদ্দা, সিফকিত এবং খাদাকের জন্য সাকীফা করে উমরের আক্রমন ফাতিমার বাইত ইত্যাদি) বর্বর জঙ্গিবাদ ও হিংস্রতার পথের খোঁজ পাওয়া যায়, আইএসআইএস ও আল কায়েদা হিজবুল্লাহ বোকো হারামের মতো ঘৃন্য পশুর জন্ম দেয়, আই উইল পাস অন দ্যাট।

         

        আমার মনে হয় সবার এ বিষয় সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার সময় এসেছে। এবং যেসব শরীয়া আইন কোরানের সাথে সংঘর্ষপূর্ন (আপাত দৃষ্টিতে তা মনে হলেও হাদিস এবং খোলাফায়ে রাশেদীন এসবের ব্যাখ্যায় সেল্ফ কন্ট্রাড্ক্টরী উদাহরন এবং স্বজনপ্রীতির উদাহরন রেখে গেছেন, এবং নবীর শ্যালক মুয়াবিয়ার আশীর্বাদপূস্ট আহাদিস সম্রাট হুরাইরাহকে অতি গুরুত্বপ্রদান) হবার কারন গুলো নিয়ে বিস্তারিত পড়ালেখা করলেই এর উত্তর দিনের আলোর মতো পরিস্কার হতো!!

         

        আমাকে আমার মত প্রকাশ করতে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

  10. মোটামুটি ভাবে ঝুঁকিমুক্ত থেকে প্রচলিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গিয়ে একটা সত্যানুসন্ধান করার প্রায়াস চালানো হয়েছে। প্রায়াসের সাথে অনেকই সমাজ ও পরিবার থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাসের কারণে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন আবার কেউ কেউ একমত পোষণ করতে পারেন। তবে বিষয়টার উপর ভদ্রচিত বিতর্ক চলতেই পারে। তবে লেখাটা আমার মজা লেগেছে। সকলকে ধন্যবাদ

    1. লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেউ ধন্যবাদ ।

  11. যেকোনো বিষয় কেউ মেনে নেয়, আবার কেউ কেউ না মেনে বিষটির সমালোচনা করে। করাটাও স্বাভাবিক! কারণ, সবার মন মানসিকতা তো এক নয় তাই। তবে সম্মানিত লেখকের লেখাটি পুরোপুরি পড়েছি। লেখায় যেকয়টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে, সবই যুক্তিযুক্তই মনে হচ্ছে। তবে পবিত্র কোর'আন বিষয়ে আমি নিজে এখনো অজ্ঞ। আমার মতামতে ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরধ রইল। লেখককে ধন্যবাদ। 

    1. যেকোনো বিষয় কেউ মেনে নেয়, আবার কেউ কেউ না মেনে বিষটির সমালোচনা করে। করাটাও স্বাভাবিক!  সহমত — আপনাকেউ ধন্যবাদ। 

  12.   যা বলেছেন কোরান মেনেই হিজাব বাচ্চা মেয়েদের উপর টরচার তারপর শুনেছি মেয়েদের উপর অনেক চাপানো নিয়ম আছে ছেলেদের অতটা মানতে হয় না আমাদের হিন্দুদের যেমন ঘোমটা !

    আসলে নিয়মে আঁকড়ে বেড়াজালে ধর্ম হয় না পাপ পুণ্য সব নিজের ভিতর ?

      

    1. ধর্মের নামে যা কিছু চাপানো হয়ে তা সব কিছু মনগড়া ফতোয়া। ফতোয়ার বেড়াজালে অবরুদ্ধ থেকে ধর্মের অনাবিল রুপ কেউ দেখতে পাইনা।
      ধর্ম কোন স্থবিরতার নাম নয়, অন্ধত্বের নাম নয়।ধর্ম উন্নতির নাম, ধর্ম প্রগতির নাম, ধর্ম হলো বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধানের নাম। যেটা ন্যায় সেটাই ধর্ম যেটা অন্যায় সেটাই অধর্ম।।     

      ধর্মে হলো সত্য-মিথ্যার, ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড। এর বাহিরে যা কিছু আছে বা বারাবাড়ি করা হয়েছে তা হলো ধর্মব্যবসায়ীদের নিজেদের তৈরি করা মনগড়া ফতোয়া।                 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।