এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

আমার মন বাগানে বসন্ত ওড়ে

2755

এই শুনো না, কান পেতে শুনো মনের তারে বাজে বসন্ত গান,
বসন্ত ওড়ে এসে বসেছে জুড়ে, নিয়েছে দখল মন বাগান,
তুমি কি মৌ পোকা হবে, না প্রজাপতি?
হা করে তাকিয়ে আছো উফ! বুঝি না মতিগতি!

দেখে যাও, মন বাগানে ওড়ে ফাগুন হাওয়া
বসন্ত হাওয়ার ছোঁয়া পেতে চাও? খুলো মন দাওয়া,
বুকে আমার হুড়োহুড়ি প্রেম,
এবেলা খেলো না অসম্মতির গেম!

এসো বসি বসন্ত বাগানে, বাসন্তি রঙ পরেছি শাড়ী,
আহা! উচ্ছল হাওয়া, উথাল পাথাল ভালোবাসার ঢেউ মনের বাড়ী,
মন বাড়ীতে রইলো নিমন্তন্ন
এসো, আনতে ভুলো না হাতে করে এক গুচ্ছ গোলাপ আমার জন্য।

(প্রচ্ছদ ছবি: স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

আকাশ তোর নীল বুকে আছে লেপ্টে

32

দুঃখবোধ মন ছুঁয়ে এই যে, যেন মন আকাশ নীল,
শত চেষ্টায় পারিনি মনের রঙ করতে বর্ণিল,
কিছু মন্দ ভাবনা এসে বুকে নেয় ঠাঁই,
নিঃশ্বাস হয় ভারী, বেদনার রঙকেই কাছে পাই।

আকাশ দেখে হবে আর, মনের পথ সঙ্কীর্ণ,
হেঁটে যেতে যেতেই হলো স্বপ্নগুলো চূর্ণ,
জীবন গুটিয়ে ফেলি নির্দ্বিধায়,
কত কথা ঠোঁটে আছে ঝুলে, বোবা সেজে
কথাদের জানাই বিদায়।

একাই থেকে যাই এই প্রশস্ত আকাশের নিচে
মানুষকে সম্মান, শ্রদ্ধা এসবই মিছে
বিনিময়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতাই মিলে,
কিছু কাঁটা কথা গিঁথে থাকে দিলে।

আমার ঘুমগুলো কেড়ে নিয়ে কেউ দুর্ভাবনা দেয়
উচ্ছাসগুলোও কেড়ে নেয়,
মন আকাশে কালো মেঘ দেয় ঠেলে,
চোখের বৃষ্টি জমা, ঝাপসা আলো, উড়তে পারি না
আর ডানা মেলে।

বন্ধ চোখে কেবল দুঃস্বপ্ন এসে দেয় ধরা
নিমেষেই মন উঠোনে নেমে আসে গ্রীষ্মের খরা,
আহ্লাদি আবদারগুলো গুছিয়ে রেখেছি মনের তাকে,
বায়নাগুলো দেরাজে, এসব কে আর বুকে রাখে।

মন হয় নাআকাশের মত শুদ্ধ
সর্বদাই বিষাদের বিরুদ্ধে লড়ি যুদ্ধ
যুদ্ধে যাই না কখনো জিতে,
বিষাদের পাহাড় এসে বসে থাকে তাই মনের ভিতে!

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

=দূর্নীতিতে ঠাসা তোমাদের মন=

ZavW66P

©কাজী ফাতেমা ছবি

এত মোটা অঙ্কের টাকা পাও মাস গেলেই,
লক্ষ টাকা বোনাস……. উৎসব পর্ব এলেই,
কোটি টাকায় কিনো ফ্লাট, কোটি টাকায় গাড়ী,
আলোর ঝলমলানি, দামী তৈজসে ভরা বাড়ী।

অনায়াসে হালাল উপার্জনেই তুমি কোটিপতি,
মনে মনে তখনো ভাবো আরও যদি আসে কড়ি কিবা এমন ক্ষতি,
হালাল উপার্জনের মুখে ছাই দিয়ে অন্যায় আনো টেনেই,
কী করে আরও আরও ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলাতে পারো
দুর্নীতিতে রাখো পা, পাপ জেনেই!

হাত কাঁপে না, অন্যায়ের পাতায় রাখো দুর্নীতির স্বাক্ষর,
জীবনে শুধু সুখ…… জীবন পাতায় পাতায় আনন্দ মিতাক্ষর,
কী নেই তোমার বলো, বউ বাচ্চা সুখী সংসার,
তবুও তুমি শুধু করে যাও অন্যায়ের অনুসার!

কত সম্মান প্রতিপত্তি, হালাল রোজগারও তো হাতের সন্নিধান
কেনো তবে চাহিদার ব্যাপ্তি আকাশ সীমা, কেনো মনে বৈভবের নিদান,
মন কেন পাখি তোমার মানুষ, মন কেন পাখি,
বিত্ত বৈভবের শাখে উড়ে বসো, কোথায় স্বার্থ সেদিক রাখো আঁখি।

একদিন সব ভেস্তে যায়, সব অর্জন পড়ে যায় অসম্মানের ধুলিতে,
দুনিয়ার দুর্ভাবনা এসে জড় হয় মাথার খুলিতে,
কী করে উৎরাবে বিপদ হতে, তাতেও আঁটো দুর্নীতির ফন্দি,
ও মানুষ মন কেন দুনিয়ার মোহে রাখো বন্দি।

দুদিনের দুনিয়া,
কেনো তবে মোহ স্বপ্ন যাও বুক জমিনে বুনিয়া,
পাপের ফসলে ভরে না মন, পুড়ে শুধু ধিকিধিকি সর্বাঙ্গ,
একদিন সব রেখেই তো হবে তোমার ভবলীলা সাঙ্গ।

(১১-০২-২০২১)

» দেশের ছবি-৬

১।কোন এক ভোরের কুয়াশা আলোয় মিষ্টি রোদ্দুরের অপেক্ষায় ছিলাম বিভোর
শিশির ঝরেছিলো টুপটাপ…… শীতের শিহরণে কেঁপেছি আর উপভোগ করেছি
প্রজাপতি প্রহর। হলুদ ফুলের ঘ্রানে কে না বিভোর হবে শুনি-এমন মুগ্ধতা শুধু একটি দুটি হাজারটি কুয়াশা ভোরই দিতে পারে। প্রজাপতি মেলেনি পাখা- প্রজাপতি আর আমার সখ্যতা চোখের পড়ার মতোই ছিল….দুজনেই অপেক্ষায় ছিলাম এক চিলতে মিষ্টি রোদ্দুরের।
—————————-
হাবিজাবি ফটো নিয়ে আবার হাজির হলাম। এবারও ট্রেন থেকে কিছু ছবি, আবার কুয়াশাসিক্ত ভেজা আবার পুরোনো স্মৃতি রোমন্থণের ছবি নিয়ে সাজিয়েছি পোস্ট। আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের। কারো একটু ভাল লাগলেই কষ্ট করা পোস্ট সার্থক হয়। আমি যদিও নিয়মিত উপস্থিত হতে পারি না ব্যস্ততার দরুন। তবুও পোস্ট করার লোভ তো আর চলে যায় না। পোষ্টে দেরী করে মন্তব্য আপনার প্লিজ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি বুঝবেন- এই শহরের মানুষ কতটা ব্যস্ততায় থাকে। আর একজন চাকুরীজীবি মহিলার ব্যস্ততার তো কথাই নেই। নানান ঝামেলা সারাদিনই থাকে। স্কুল অফিস বাসা সংসার লেখালেখি মোট কথা এক ইঞ্চি সময় নিজের জন্য ব্যয় করা কষ্টকর। অনেকেই ভাবেন পোস্ট দিয়ে চলে যাই এটা একটা অহংকারের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু অপারগতা আমার জানিয়ে গেলাম। আমাকে বুঝে নিবেন।
আমার দেশের ছবি। ভালবাসার ছবি-একেকটা মুগ্ধতার মুহুর্ত ক্যামেরার শাটারে বন্দি করতে পেরে যারপর নাই ভাল লাগে খুবই ভাল লাগে। হয়তো ছবিগুলোর কোন মূল্য নেই আবার আছেও অনেক অন্তত আমার কাছে। এসব ছবি দেখলে আবার ছুঁতে মন চায়। আর ক্যাচাল নয় স্ক্রল ঘুরিয়ে দেখে নেই ছবিগুলো……… এই পর্যন্ত ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন সবাইকে নিয়ে।

২। মন বাড়িয়ে ডাকছি সখি – আয়না কাছে আমার
মনে আমার গড়েছি দেখ্ -তোর প্রেমেরই খামার।
ভাসব দু’জন সুখের জলে-চল্ না পাশাপাশি
আনন্দেতে হোক্ না একদিন-সুখে ভাসাভাসি
সাঁতার কাটব ঢেউয়ে ঢেউয়ে-ছলাৎ ছলাৎ জলে
ছুঁয়ে দিবো মন তোর হঠাৎ-ভালবাসার ছলে।

৩। অথৈ ঢেউয়ে ভাসতে থাকে যন্ত্র দানবগুলো….. জলের মাঝে ছেড়ে দেয় ওদের বিষাক্ত নি:শ্বাস। জল হাহাকারে কেঁদে উঠে-জলের বুকে মাছেদের গায়ে লাগে কালো জলের স্পর্শ-ব্যথায় কুঁকড়ে যায় মাছেরা-গায়ে ঢুকে যায় ওদের বিষ। আর আমরা সে বিষ খেয়ে ফেলি রেঁধে নির্দিধায়। এই যে নদী তোকে নিয়ে কত গান আছে জানিস-তুই যেমন সর্বনাশা পদ্মা নদী তেমনি তোর বুকে লুকানো কত ধন রত্ন । তবুও তোকে আমরা অবহেলায় ভাসিয়ে দেই-বিষাক্ত ধোঁয়া তেলের বজ্য আর তুই কেঁদে যাস নিরবে কেউ দেখে না চোখ মেলে। আর তোর উপরে আরো শক্তিশালী দৈত্য দানব ছুটে চলে তারা নিত্যই করে চলেছে বাতাস দুষিত। আমাদের করার কিছুই নেই-ভারসাম্য হারায়/হারাবে পৃথিবী।

৪। আহা সেই মুগ্ধ প্রহর, সেঁটে রেখেছি বুকে, ক্যামেরার ক্লিকে। পৌষের রোদ্দুর দুপুর চারিদিকে উষ্ণ মিষ্টি রোদ্দুর আর ঝিরিঝিরি হাওয়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুটা পল। মেঠোপথ ধরে আনমনা হেঁটেছি নগ্ন পায়ে। তুমি তো শহুরে-আমার পায়ে পা রেখে চলতে শিখোনি- কখনো মুগ্ধ হতেই জানো -না। খুব ইচ্ছে এমন রোদ্দুর বেলা তুমি থাকো পাশে আর গল্পে খুঁনসুটিতে পথ চলি কিন্তু আমার এসব আশায় গুঁড়ে**ি। যাক মুগ্ধতা শুধু আমি একাই কুঁড়াই বুকের বামে তুলে রাখি স্মৃতি রোমন্থন করার মতো সয়গুলো। তুমি চাইলে বুকের আগল খুলে দিয়ে দিতে পারি আমার সকল মুগ্ধতার ক্ষণ ভালবাসার ক্ষণ-শুধু তুমি ছুঁয়ে দিয়ো মন আমার আলতো।
আমাদের গ্রাম…….

৫। নীল কুয়াশায় ঢেকে যায় সকাল কিংবা একটি গোধূলি বেলা
মাঠ জুড়ে তবু অবারিত সবুজেরা নিত্য বসায় সজীবতার মেলা
এখানে কৃষকের ক্লান্তি নেই-নেই ভ্রান্তি-কিংবা চোখজুড়ে মোহ
এখানে পেট চালায় খিদের তরে খেটে খাওয়ার এক দ্রোহ।
এখানে শীত বন্দি রাখতে পারে না মখমল বিছানার আরাম
এই আমার দেশ সবুজ শ্যামল এইতো আমার ছায়ামীয় গেরাম।
ক্যানন ৬০০ডি (ট্রেন থেকে তোলা) ক্যাপশনও চুরি যায় গা -আজিব

৬। তুমি শুধু শহরমূখী হতে চাও, কি পেলে বলতো ইট পাথরের এই শহরে
যেখানে যন্ত্র দানব অট্টহাসিতে ছুটে চলে পিষে নেয়ার জন্য….. শুধু রাতের রঙবাহারী আলোয় খুঁজে নিলে সুখ। আরে একবার চোখ ফিরিয়ে গাঁয়ের দিকে দেখো। এখানে কতটা সজীবতা পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে। এখানে গাছে গাছে ঝুলে থাকে সবুজ। পাতায় পাতায় শিশিরের স্নিগ্ধতা। আমি জানি তুমি শুধু মুগ্ধতায় একবার তাকালেই সবুজে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করবে। এসো তবে-আমার সেই ছোট গাঁয়ে। রইলো বন্ধু তোমার নিমন্তন্ন। কি আসবে তো?
ধুন্দল ঝুলে আছে বাঁশের মাচায়
ঝুলন্ত সবুজ আমার মনটা নাচায়
কেনো যে বন্দি থাকি শহুরে খাঁচায়।

৭। শহরে বসে মহানন্দে ফরমালিন গিলি-আহা। এমন সজীব প্রহর -সজীবতার ছোঁয়া কেবল মায়াময় ছায়াময় গ্রামেই পেতে পারি। টাটকা খাওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে গেলো শহরমূখী মানুষের। এখন আর টাটকা কিছু খেতে পারি না -শুধু ভয়ে মরি। হয়তো কখনো সময় হলে ছুটে যাবো মায়ের কাছে -গাছ থেকে পেড়ে খাবো ফরমালিনমুক্ত ফল-ফলাদি। সে পর্যন্ত অপেক্ষায়……….

৮। সেই নিদ্রাহীন প্রহরের কথা তোমরা ভুলে গেছো? না, এ তো ভোলার স্মৃতি না। আহা সেই মেয়েবেলা উঁকি মারে মন জানলায়। তুমি আমি আমরা ভাই-বোনেরা কত হট্টগোল প্রহর- সে আর ফিরে আসে না। তবু ভেবে নেই-হাতড়ে ফিরি ক্যারাম প্রহর। মায়ের বকুনি রাত জাগা পাখি’রা থোড়াই কেয়ার করি- খানিকক্ষণ নিশ্চুপ। ফের ঘুমানোর শব্দ কান পেতে শুনি- আবার ফিরে যাই টুসটাস ক্যারাম মুগ্ধতায়। ফযরের আযানে সম্বিত ফিরে পাওয়া রাতজাগা পাখি’রা নামায পড়েই বিছানায় সটান শুয়ে হারিয়ে যেতো স্বপ্ন ময় জীবনে। দুষ্টামি আর খুঁনসুঁটিতে ভরা সেই রাত্রিগুলো আর নেই এখানে। এখানে যন্ত্র চেপে ধরেছে-বন্দি করেছে যন্ত্র জেলে। লাল নীল হলুদ স্বপ্ন এখানে নেই আছে শুধু বিষন্নতা আর কর্মময় জীবন-ঝাঁপিয়ে পড়ো নিদ্বির্ধায়। ব্যস এইতো জীবন।

৯। ও মাঝি তুই গেলি কোথায়-একলা আমায় ফেলে
তোকে ছাড়া অথৈ জলে-লাগছে এলেবেলে।
হাতের বৈঠা থুইয়া গেলি- নাও যে ডুবো ডুবো
মধ্য নদীর মাঝে আমি -কেমনে একলা রবো।
আয় না মাঝে পার করে দে-প্রেম শিখাবো তোকে
মাঝ নদীতে প্রেমের ঢেউয়ে-ঝড় উঠাবো বুকে।
ভালবাসার এমন প্রহর-ছেলে গেলি আমায়
দেখ না এসে চুপসে আমি-কষ্টে মন’টা ঘামায়।

১০। আমার বাড়ি আইয়ো বন্ধু -খাইতে দিমু কলা
ফরমালিন নাই সবরি কলা-নয়কো ছলাকলা wink
সবুজ কলা কচকচাইয়া-চিবাই চিবাই খাইবা
একটা খাইলে আরেকটা যে- খাইতে আবার চাইবা big_smile
কলার বাগান সবুজ বরণ- ফ্যালফ্যালাইয়া দেখবায়
ছলাকলা খাইয়া বন্ধু-এত্ত পদ্য লেখবায়। :v

১১। শিশির স্নানে মগ্ন পাতা
রোদ বসালো মায়া
একখানেতে আলো জ্বলে
অন্যখানে ছায়া ।
ভোরের শিশির স্নিগ্ধ সকাল
রোদ ঝরালো আলো
আলোর তাপে মাঘের শীতে
লাগে বড় ভালো।

১২্। এই তো আমার দেশ, কুয়াশার ফাঁক গলে ভেসে উঠে সবুজ। যেখানে কৃষকেরা বপন করে যায় সবুজ ধানের থোকা। এইতো ক’দিন বাদে মাঠজুড়ে উড়বে সোনালী ডানার চিল। আহা ধূঁধূঁ হাওয়ায় দুলে যাবে ধানের শিষ। চোখের কোণে মুগ্ধতার রেশ-মনে শান্তির আভাস। আমার দেশ-যেখানে স্বপ্ন ছুঁয়ে থাকে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে- খাল বিল নদী নালার স্বচ্ছ জলে উঁকি দেয় শরত কিংবা গ্রীষ্মের নীল আকাশটা। মেঘের পরতে পরতে উড়তে থাকে নীল শুভ্র স্বপ্ন। টলটলে জলের আয়নায় স্বপ্নগুলো ভাসায় সুখের ভেলা। এইতো- আমার দেশ আমার অহংকার আমার গর্ব। ভালবাসি বাংলাদেশ।

আলোকচিত্র » বাংলাদেশের ল্যাভেন্ডার ফুল

ZoXTbp0

এবার শ্বশুর বাড়ীতে এই বেগুনি বুনোফুলের দেখা পেলাম। নাম দিয়েছি বাংলাদেশের ল্যাভেন্ডার। ফসলের ক্ষেতজুড়ে এই ফুল ফুটে আছে। এখানে সেখানে থোকা থোকা বেগুনি ফুল দেখে মনটাই আনন্দে ভরে উঠেছিলো।

একটি ক্ষেত তো পুরাই এই ল্যাভেন্ডারের দখলে। শ্বশুরবাড়িতে এবার মাত্র চার দিন ছিলাম। তাই কোনো ছবিই সুন্দর করে সময় নিয়ে তুলতে পারিনি। ক্যামেরা আর মোবাইলও আমার কথা শুনেনি। সকালে শিশির ভেজা ঘাসে বসতে ভয় লাগছিলো। কোথা দিয়ে আবার জোঁক এসে যায়। আবার দুপুর বেলা গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড, এত মৌমাছি আর ভোলতা প্রজাপতি সর্বনাশ। আওয়াজে মাতোয়ারা আমি। ভয়ের চোটে বেশী কাছে গিয়ে বসে ছবি তুলতে পারিনি। ভোলতাদের ভয় বেশী লাগছিলো। তাছাড়া ক্ষেতটা বাড়ী থেকে একটু দূর হওয়াতে আরও সমস্যা। কে কী মনে করে আবার। ক্যামেরা নিয়ে একাই বের হইছি। আশে পাশে কেউ নেই। মানুষজন কেমনে চাইয়া থাকে। লজ্জাও লাগছিলো।

এত সুন্দর একটা ফুল অবহেলায় রয়েছে ইশ এগুলো চাষ করতে পারলে ভালোই হইতো। আবার গেলে এই ফুলের গাছ ঢাকায় নিয়ে আসবো যদি পাই। গ্রামের মানুষ এসবের ধার ধারে না। এসব তাদের মনকে মুগ্ধতা দেয় না। তারা জানে কেবল কাজ করতে। আমি হলে এগুলো বাড়িতে এনে লাগাতাম। যেহেতু শ্বশুর বাড়ীতে থাকি না তাই আর ফুলগাছও লাগানো হয় না।

ক্যানন ক্যামেরায় তুলেছিলাম ছবিগুলো। অনেক ছবি আছে …….. আবার মোবাইলেও তুলেছি। সেখানে এই ফুলের পাশেই একটা ক্ষেতে শুকনোর মধ্যে কচুরী পানা ফুল ফুটেছিলো। সেগুলোর ছবি অন্য দিন দেবো। যদি দেখতে আগ্রহী হন আপনারা।

আমি তুলে আনি মনের ঝুড়িতে কিছু মুগ্ধতা। মুগ্ধ হতে জানি বলেই, পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়াই। কেউ কিছু বলুক, কেউ তাকিয়ে থাকুক এগুলো এড়িয়ে যাই বলেই সময়গুলো শুধু আমার হয়ে থাকে। এই যে বেগুনি রঙ ফুলে মৌমাছিদের গুঞ্জন, কেউ কী কান পেতে শুনেছিলো, কেউ দেখেছিলো প্রজাপতিরা মধু নিতে হামলে পড়েছে ফুলেদের উপর।

এখানে কারো সাথে কারো নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নেই হেরে যাওয়ার ভয়। ভিন্ন প্রজাতি অথচ এক সঙ্গেই ওদের বাস, স্বার্থ নিয়ে কেউ জড়িয়ে পড়ে না তুমুল সংঘর্ষে। এখানে যে যার মত খাদ্য আহরণে ব্যস্ত। একের খোরাক অন্যে নিয়ে নিলেও এরা ক্রোধে পড়ে না ফেটে।

ওদের বসন ভূষন, গায়ে রঙবাহারী রঙ, কেউ কারো চেয়ে নয় কম সুন্দর। এখানে সাদা কালো ভেদাভেদ নেই। এখানে রূপের অহংকারে কেউ কারো প্রতি ঈর্ষা করে না পোষন। এদের বসবাস মিলেমিশে ভালোবেসে। এখানে সবার ডানা আছে তবুও দম্ভ নেই একফোঁটা।

আর পার্পল বুনোফুল নিজেকে উজার করে দিয়ে ফুটে আছে পাপড়ির ডানা মেলে। সে নিজেকে সুখী করে অন্যকে সুখে আচ্ছন্ন করে। কিছু মুহুর্ত কেবল আমার হয়েই আসে। আমি অনুভব করি স্রষ্টার সৃষ্টির সৌন্দর্য। মহান আল্লাহ তাআলা এত শত নেয়ামত ঢেলে দিয়েছেন আমাদের জন্য। অথচ আমরাই তার নিয়ামত ঠেলে অহংকারী হই, পাপে হই লিপ্ত।

এই যে মৌমাছিরা মধু নিয়ে যাচ্ছে, যতটুকু সঞ্চয় সে কার জন্য। আমাদের জন্য। আল্লাহ তাআলাই ঠিক করে দিয়েছেন কোথা হতে কার হবে অথৈ উপকার। মানব জাতির কল্যাণে মহান আল্লাহ তাআলা গাছ পালা বৃক্ষ তরুতে করেছেন তার আহারের জোগাড়।

©কাজী ফা‌তেমা ছ‌বি।

=আমা হতে মুগ্ধ হতে শিখো বন্ধু=

চোখ বন্ধ করে হাঁটো বন্ধু, কখনো বলোনি এই দেখো দেখো প্রজাপতি,
তুমি সোজা পথে হেঁটে যাও, কী চিন্তা বুকের ভিতর, বুঝিনা মতিগতি;
তুমি হাঁটো আর আমি মুগ্ধ হই চলার পথে চলতে চলতে,
আমারও তো ইচ্ছে হয় ফুল পাখিদের সাথে কথা বলতে!

দূরে বহুদূরে হেঁটে চলে যাও,
আমি ভোঁ দৌঁড় দেই তোমায় ধরতে পারি না তাও,
দূর্বাঘাসে রাখো না চোখ, দেখো না পথে পথে স্নিগ্ধতা ছড়ানো ,
প্রকৃতির মায়ায় তোমাকে গেলো না আর জড়ানো।

ছোটো ঘাসের পাতায় বসে থাকে যে প্রজাপতি,
তার পানে মুগ্ধতার দৃষ্টি তাক করলে কীই বা হবে ক্ষতি?
দাঁড়াও বন্ধু
দিয়ো না মনে ব্যথা এক সিন্ধু।
কিছু মুগ্ধতা স্মৃতি করে রাখবো, শাটারে করতে দাও ক্লিক,
এক মিনিট অপেক্ষায় রও, আমি জানি জিতে যাবে তুমি তার্কিক!

বন্ধু আমায় এনে দাও প্রজাপতি প্রহর,
প্রজাপতির ডানায় যত রঙ, ছড়িয়ে দাও মন শহর,
মুগ্ধতা দাও, হও অল্প সহনশীল,
আকাশের মত প্রশস্ত করো তোমার দিল।
মুগ্ধ হতে শিখো, মুগ্ধ হও, এসো শিখাই, শিখবে,
প্রজাপতি ফড়িঙ নিয়ে ছন্দে দু’কলম লিখবে?

চোখ তুলো দেখো, উড়ছে প্রজাপতি ডানা মেলে,
দেখো পিঁপড়েরা ধুলোর সাথে গড়াগড়ি খেলে,
স্রষ্টার সৃষ্টি কত অপরূপ, দেখো তাকিয়ে মুগ্ধ হও,
প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতে এবেলা সুখে উতলা রও।

এত সুন্দর মুহুর্তগুলো বন্দি করে রাখি স্মৃতি ঘরে। কখনো বিষাদ মনে উঁকি দিলে। খুলে বসি অতীত স্মৃতির ঝাঁপি। আমার দীর্ঘশ্বাসগুলো উড়িয়ে নেয় স্মৃতির হাওয়ায়। আমার মহানুভবের সৃষ্টির সৌন্দর্য আমি উপভোগ করি একাগ্রচিত্তে। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতায় পড়ি নুয়ে। তাঁর দেয়া এত সুন্দর মন, যে মনে মুগ্ধতারা করে খেলা অনবরত। তাঁর তরেই সঁপে দেই প্রাণ। তাঁর রহমত নিয়ে বেঁচে আছি এই ধরায়। ভালোবাসি তোমায় ও করুণাময়। পাপগুলো আমার করো মার্জনা।

» চাবিতা………. দেখতে পারেন, পানও করতে পারেন

@কাজী ফাতেমা ছবি
=চা খাবে, জেগে উঠো ঘুম থেকে=
উঠো, দেখে যাও কতটা নিস্তব্ধতায় ভরা সকাল,
শহরের মানুষ ঘুমায় বেঘোর, চোখে স্বপ্ন আছে ছুঁয়ে,
মিহি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে কেউ এখানে সকাল দেখে না,
ধোঁয়া উড়া গরম চায়ে রাখে না কেউ ঠোঁট!

এলার্ম ঘড়িটা বেজে চলেছে অবিরাম, শুনো কান পেতে
অফিসের সময় হলো বলে, এখনি জেগে উঠবে কেউ কেউ,
তাড়াহুড়ায় মুখে কিছু পুরে, দৌড় দেবে অফিস পানে,
ব্যাস্ততার কাঁধে চড়ে মানুষ সকাল হারিয়ে
টেবিলে রাখা ফাইলে গুঁজবে চোখ।

এসো দেখে যাও নিরবতার পথে পথে ফেরিঅ’লার হাক
সবজি মাছ আর নৈমিত্তিক জিনিসের সমাহার,
বাজার যেতে হবে না আর, তুমি হয়ে উঠবে আরো আলসে,
ঘরের দোরে বাজার হাট, সকালের হাওয়া হলো না আর গায়ে মাখা।

এসো গরম চায়ে দাও চুমুক,
চোখের যত ঘুম বিকিয়ে দাও তপ্ত জলে ঠোঁট রেখে,
কিছুটাক্ষণ দাঁড়াও বারান্দাতে, নিঃশ্বাস টানো জোরে,
শুদ্ধ হাওয়ারা হারিয়ে যাবে খানিক বাদেই
মিহি হাওয়ায় মিশে যাবে যন্ত্র যানের কালো ধোঁয়া।

কী চা খাবে? র’ চা? নাকী দুধ মেশানো চা,
অথবা কফি খেতে পারো, চুলায় জল উত্তপ্ত হয়ে আছে,
শরীরটাকে চাঙা করে নাও এবেলা,,
চায়ের কাছে বিকিয়ে দাও যত আড়মোড়া আলসেমী!
০৫/০৮/২০২০

©কাজী ফাতেমা ছবি
=এইতো জীবন, আলহামদুলিল্লাহ=
ঘুমের ক্লান্তি ঢেলে দেই চায়ের কাপে,
মন্দানিল মুগ্ধ ক্ষণ ছুঁয়ে মন করে নেই চনমনে,
ঠোঁট আর কাপের উষ্ণতায় মাখামাখি সময়
সুখের নিঃশ্বাস ছেড়ে বলি ও করুণাময় আলহামদুলিল্লাহ!

সুখ পাখিটা গাছের শাখে ডেকে যায় হরদম,
কাজের ফাঁকে বারান্দার পাতাবাহারের সাথে মিতালী
পাখি এসে গ্রীলে বসেই হয় ফুড়ুৎ,
সে কি সময় চলে যাওয়ার অগ্রিম ঘোষণা!

ঐ যে সবুজ মাঠ নিস্তব্ধ, নিরব, কোথাও কেউ নেই
অথচ এই ফুরিয়ে যাও সেই গত বেলা এখানেই,
জমজমাট মানুষ, ছোট থেকে তরুণ বুড়ো,
কান পেতে শুনেছি কান্নার রোল!

দৃষ্টি তাক করে দেখেছি ইস্পাতের খাটিয়া,
কেউ বেলা শেষের খেয়ায় পা রেখেছিলো,
কেউ দুনিয়ার মোহ ছেড়ে পালিয়েছে,
চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলো হয়তো কারো কারো
স্বজন হারানোর বেদনা!

কোন শোকই সেঁটে থাকে না মনে,
সব ব্যথাই অতীত হয়ে যায়,
যে ঘরের প্রিয় মানুষটি ছাড়া চায়ের আড্ডা চলতো না,
আজ তাকে ছাড়াই চায়ের কাপে টুংটাং সুর,
চায়ের ধোঁয়ায় মিশে যায় অতীত শোক!

ক্ষণস্থায়ী সুখ আঁকড়ে মানুষ বেঁচে থাকে
পরকাল স্মরণে অথবা ভুলে,
কাউকে ছাড়া কারো জীবন চলবে না
ডাহা মিথ্যেটুকু মিথ্যেই রয়ে যায়, মানুষ যে যার মত
নিজকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক’দিন পরই!
25/7/2020

অহংকারীদের অহংকার চূর্ণ করতে তু্ই আসিস!….

বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট আইসা
তুই তোর আলিঙ্গনে বাঁইন্ধা ফালাস..
বজ্র কঠিন – এমনভাবে জড়াইয়া ধরিস,
তোর থাইকা নিজেকে ছাড়াইয়া নেওয়া যায় না…
তোর সে ভালবাসার বন্ধন থাইকা মুক্তি পাইতে
বহুত কাঠ খড় পুড়াইতে হয়!

এমনই তোর সেই প্রেম রে আর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ!
তুই মানিস নে কোনো বাঁধা, মানিস নে ঝড় তুফান
তুকে আটকানোর সাধ্যি নাই কারোর।

তুই যা ভাইবা নিস তাই করিস,
আচম্বিতে তোর প্রেম উগড়াইয়া দিস যার তার উপর
যখন যেমন, যেখানে ইচ্ছে।

তোর চক্ষু লজ্জা নাই, তুই বেহায়া, তুই অসভ্য!
ঘুমের মাঝে কিংবা জাগরণেই হোক
তুই আইসা বুকে ঠোঁটে চোখে খাইতে থাকিস অনবরত চুমু
তোর বিষাক্ত চুমুতে একেকটা মানুষ হইয়া যায় নাস্তানাবুদ।

ঝাপটাইয়া ধইরা শুইয়া থাকিস মখমলের বিছনায়
সহজেই তোর থেকে কেউ নিজেকে ছাড়াইয়া নিতে পারেনা।
নাকে, চোখে অবিরত জল ঝরাইয়া তুই
আনন্দে লুটাইয়া পড়িস সর্বাঙ্গে, তুই একটা খাটাস! ছি!

তোর সে বিষ ঠোঁটের বিষ ঢাইলা দিস যখন ইচ্ছে যার তার দেহে
কত শত অহংকারী মানুষকে তুই ধুলায় লুটাইয়া দিস
দম্ভ চূর্ণ কইরা দিস তুই হা হা হা হা, কতটা নির্দয় রে তুই!
তোর আদর এতটা নিবিড়, চুপসে নিস দেহ হইতে ভালবাসার নিখাদ নির্যাস,
রক্ত, রস, ঘাম, শক্তি চুইষা নিস ধীরে ধীরে একেকটা দাম্ভিক সুন্দর দেহ হতে।

তুকে ভালোবাসে না রে কেউ, অথচ তুই ভালোবাসিস তোর সর্বশক্তি দিয়ে যাকে তাকে
তোর ভালোবাসা পাইলে কেউ সে যৌবন থাইকা ক্ষয়ে হইয়া যায় বৃদ্ধ
তুই পারিস যখন তখন কাইড়া নিতে শক্তি,
তুই কইরা দিতে পারিস চোউখ ঝাপ্সা, চামড়া ঝুলাইয়াও পারিস দিতে,
কতটা নির্মম তুই বুঝতে পারছিস খবিশ!

তোকে তাড়াতে মানুষ স্মরণাপন্ন হয় তোর জল্লাদ সাদা এপ্রোনে মুড়ানো কারো নিকটে
তুইতো তখন ভয়ে যাস কুঁকড়াইয়া, সেঁটে থাকিস কারো দেহ জড়াইয়া
ইনজেকশন পুশ কইরা তুকে দিতে হয় শাস্তি
কিংবা এন্টিবায়োটিকের মাত্রা হয় বাড়াইতে,
গাদার গাদা ট্যাবলেট, ক্যাপ্সুল করাইতে হয় গলদঃগরন
তবেই তো তুই হইতে থাকিস দুর্বল, পালাইতে হোস প্রস্তুত
সহসা নাইমা পড়িস ঘাড় থাইকা,
তবে যাওয়ার কালে একেকটা মানুষকে কইরা যাস পঙ্গু
কাইড়া নিয়ে যাস টাকা কড়ি সব ভিটামিন আর চলৎশক্তি।

তুই বড় নিষ্ঠুররে, তোর দিলে দয়া মায়ার লেশ নাই
হতচ্ছাড়া বেঈমান তুই,
তুই ভালোবাসতে না আসলে মানুষ আদায় করে শোকরিয়া
আর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে প্রভুর, বলে তুই ছাড়া বেঁচে থাকা আল্লাহর রহমত
তুই বুইঝা ল, তুই কতটা বিরক্তের আর ঘৃণার হা হা হা!!

তবে তুকেও সময়ে অসময়ে প্রয়োজন, তোর ভালোবাসা না পেলে মানুষই বুঝেই না সুখের মর্ম
অহংকারী হইয়া বুক ফুলাইয়া কইরা যায় নানান অপকর্ম।
তোকে বলছি শুনে যা, তুই আসিস যখন মানুষ ভুইলা যায় প্রভুর দয়া
সব চূর্ণ করে দিতে আসিস ফের, যখন তখন, যেথায় সেথায়…
নিমন্তন্ন রইল তবে!

August 3, 2016 at 10:31 AM

২০১৬ সালে এই দিনে লিখেছিলাম কে জানতো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্যিই আমাদের সম্মুখে এসে দাঁড়াবে। এই লেখাটি পড়ে নিজেই হাসতেছি মনে হচ্ছে এ এক ভবিষ্যতবাণী । ফেসবুক মনে করিয়ে দিলো তাই এখানে পোস্ট দিয়ে দিলাম। এসব আবোল তাবোল লেখা সরি :(

ব্যথায় ব্যাথাতুর হৃদয়ের ব্যর্থ আস্ফালন

হৃদয় ভাঙ্গচুঁড়ের পর, কই আর যাবো;
এদিক ওদিক চারদিকে অদৃশ্য বেড়া,
লাফিয়ে পড়তে গিয়ে দেখি নিচে অথৈ সমুদ্র,
আগাই সম্মুখ সূতোর টান, পিছাই মেরুদণ্ডে চাবুকের আঘাত,
ডানে সম্পর্ক, বায়ে সমাজ, উপরে কর্তব্য, নিচে শূন্য,
আর স্তব্ধ দাঁড়ালেই বোবা কান পেতে শুনি অস্তিত্ব ভাঙ্গার গল্প।

যাওয়ার জায়গা নেই আমার- হৃদয়ে তুমুল ঝড়
বাতাসের তোড়ে যায় ওড়ে যায় যায় ঐ….
যা ছিল প্রাপ্তি, যা ছিল সুখ, যা ছিল মুগ্ধতা…
নাটাইবিহীন ঘুড়ি হয়ে অসীম শূন্যতায় গা ভাসায়ে যায় ওড়ে,
গেলো ওড়ে, যায় ওড়ে…. শুধু চোখ ছিল বিষাদে নিলীন!

আমার বলার কিছুই নেই, তাই এখানেই ফিরি বার বার…
নিথর বসে সুর তুলি বিষাদের….

বলছি বলে উচিৎ কথা
মারলে কথার তীর রে বন্ধু,
মারলে কথার তীর;
বিঁধল সে তীর, বসল সে তীর;
ভাঙ্গল সুখের নীড় রে বন্ধু
ভাঙ্গল সুখের নীড়।

কথার মাথায় বিষ মাখানো,
বিষে মন অধীর রে বন্ধু;
বিষে মন অধীর,
কথার বিষে বুকের মাঝে
কষ্ট বাড়ায় ভীড় রে বন্ধু
কষ্ট বাড়ায় ভীড়।।

বজ্র নিনাদ গলায় তুলে,
আস্থায় ধরাও চির রে বন্ধু
আস্থার ধরাও চির;
বাঁচি, থাকি আঁকড়ে ধরে
নত করে শির রে বন্ধু,
নত করে শির।।

মন্দ বলে করলে তুমি
প্রেম তোমার জাহির রে বন্ধু
করলে প্রেম জাহির;
ইচ্ছে করে সকল ছেড়ে
ঘর ছেড়ে হই বাহির রে বন্ধু
ঘর ছেড়ে হই বাহির।।

দিন দিন ভালো জিনিসগুলোও তেতো লাগে;
অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা হতো সিনেমা দেখার নেশায়,
পর্ব নাটক দেখার অপেক্ষায় থাকা হতো সপ্তাহ জুড়ে….
রাতের পর রাত জেগে বইয়ে ডুবে থাকত মন।

কখনো আড্ডায় কেটে যেত রাত,
ফযরের আযান শুনে ফিরে আসতো সম্বিত;
অথির মন কিছুতেই কিছু খুঁজে পায় না আজ.।

সব ভালোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে মেকিপনা ঢুকেছে;
তোমাদের কি মনে হয় না, কিভাবে কৃত্রিমতা আমাদের গিলে খাচ্ছে;
রুচিবোধ, ভালবাসা, প্রেম সবই দুষ্প্রাপ্যতার বাজারে হারিয়ে গেছে;
স্নেহ মায়া মমতা এসব হেরে গেছে টাকার কাছে;
আচ্ছা! এর থেকে উত্তোরণের পথ কি তোমরা খুঁজছো না????

মন জানলা তোমার বন্ধ কেনো?

জানলা তোমার খুলো, পর্দা টা তুলো,
ঘুরঘুট্টি অন্ধকার, নিবাত কক্ষ;
জানলায় তোমার কী, কেনো রাখো খিল এঁটে?

খুলো জানলা,দেখো ডাকছে ডাহুক, দুপুরে ঘুঘু
বন্ধ চোখে ভাবো ডাকছে তোমাকে শৈশব,
কৃষ্ণচূড়ার আবেগী ফুল, ডাকছে কুহু কুহু কুজন;
আম্র গাছের ডালে জোড়া শালিক,
কাঠবিড়ালীর তা থৈ নাচন আর ঐ যে জানলার গ্রীলে
দুটো চঞ্চল চড়ুই পাখি, এই জানলায় তোমার কী?
বন্ধ কেনো রাখো?

বর্ষার বৃষ্টি, ভেজা মাটির ঘ্রাণ, ভেজা ঘাস লতা পাতা
কিছুতেই কী মন তোমার টানে না?
পুকুরের জলে ঝমঝম বৃষ্টির উলঙ্গ নৃত্য,
টেংরা পুটির নাচন, উজান বেয়ে আসা কই মাছ প্রহর;
মনে পড়ে সেই শৈশবের দিনগুলো,
এখন কেনো বন্ধ রাখো মন জানলা তোমার?

ঘাসফড়িংয়ের লাফালাফি, ধানের ডগায় ফড়িংয়ের প্রেম ফুলশয্যা
পাতায় পাতায় বৃষ্টিরা ঝুলে আছে ঐ যে, জানলা খুলো, দেখো!
আকাশের কান্না মাখা একটি দিবস অথবা
গ্রীষ্মের খাঁখা দুপুর, চৈতালী আগুন রোদ্দুর,
পুকুরপাড়ে সারি সারি তাল খেজুরের তলায় কী বসে
দু’দন্ড সুখ গিলতে ইচ্ছে করে না,
তবে মন জানলা কেনো বন্ধ তোমার?

গন্ধরাজ ফুলে ঠোঁট ডুবিয়ে, মৌমাছিরা গায় মোহ গান
সেই সুরে প্রাণ কী হয় না উতলা?
কাছে পেতে পরম ছোঁয়ায় ইচ্ছে কী হয় না মনে?
সকল মুগ্ধতা নিয়ে এসো মনের জানলায়,
নি:শ্বাসে টানো প্রেম, ভালোবাসা গিলো ঢোকে ঢোকে।

তবে শুনো, আমার যখন বিমর্ষ ক্ষণ, বিষণ্ণতার দিন
তুমি জানলা বন্ধ রেখো, আমার মুগ্ধতারা ফুরিয়ে গেলে
তোমার মুগ্ধতা ফিরে আসবে, সে কী আর হয়!
আকাশ পাতাল মন নিয়ে হয় না সুখে বসবাস
অতএব, আমি শব্দ নিয়েই হবো সুখি,
কবিতার সাথে হোক আমার সহাবস্থান
তুমি মনজানলা তোমার বন্ধ রাখো এবেলা।

.
=মন জানলা তোমার বন্ধ কেনো?
©কাজী ফাতেমা ছবি
June 18, 2019

মন থেকে মুছে দাও প্রভু অহম ঈর্ষা আর হিংসা

বয়সীদের কাছে বসলেই নিজেকে অসহায় লাগে খুব!
কী দাপটই না ছিল এককালে,
দাপট সেই কোথায় আজ?
ক্রোর কিংবা অহম হাসি
বাঁকা চোখ চাহনি
ঠোঁটকাটা তিতে কথা
ঘরময় কথার তীব্রতা!

দৃষ্টি যেন মাছির, সর্বত্রই খেয়াল, কে কী করলো
কে কী খেলো, আহা অশীতিপরে এতটাই বেখেয়ালী।

অসহায় চোখের তাকানো দেখলে কলিজা শুকিয়ে যায়,
পরনির্ভরশীল আগাছা আজ!

শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণহারা মানুষগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,
এবার তবে অপেক্ষা, শেষ খেয়া ধরার আশায় মুহুর্ত গণনা।

ভাবলেই বুকের ভিতরে হাহাকারের ঢেউ উঠে,
তুচ্ছ লাগে সকল আনন্দ, তুচ্ছ লাগে বেঁচে থাকা!
কেটে গেলো আধেক জীবন,
উলটা গুণতি শুরু, চোখ বন্ধ করে পা রাখি অন্য জগতে
অসহায়ত্বের দোরগোড়ায় এই পৌঁছলাম বলে।

আমি কার কে আমার, কেউ নই কারো,
তবুও সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা।

আমি সংসার চাই নে, দাপট চাই নে,
অধিকার চাই নে, কেউ ভালোবাসুক তাও চাই নে,
আমার উপর নির্ভর করুক কেউ সে’ও চাই নে
হে আল্লাহ মুছে দাও মনের অহম, ঈর্ষা, হিংসা;
হে রাব্বুল আলামীন প্রতিশোধ পরায়ণ মন যেন না হয় কভু আমার।
June 10, 2017

তবু কিছু থেকে যাবে….

একদিন চলে গেলে চিরতরে, তবু আমার কিছু থেকে যাবে
রেখে যাবো তোমাদের মাঝে শব্দের পাহাড়
অগোছালো কিছু কবিতা,
ছন্দহীন জীবনের তালগোল পাকানো এলোমেলো সময়
তাল লয় মাত্রা ছাড়া কিছু পদ্য।

তবুও কিছু রেখে যেতে পারবো,
ভাবলেই, মনে সুখ পায়রার উড়োউড়ি দেখি বন্ধ চোখে।
যে শব্দের গালিচায় তোমরা মা মাড়িয়ে হেঁটে যাও অবহেলায়
একদিন বুক পকেটে রাখতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে
বলে যাবে আমার অবহেলিত শব্দগুলোর কথা
আমাকে স্মরণে রাখার অপূর্ব মুহুর্তগুলো আমি দেখবো না হয়তো!

এই যে নিউরণ ফুটো করে ঝরে পড়ছে নিত্য শব্দের বৃষ্টি
তোমরা শব্দগুলোকে দুর্বল ভেবে ছুঁড়ে ফেলে দাও ডাস্টবিনে
ধুচ্ছাই বলে পিছনে রেখে হেঁটে যাও সম্মুখে
তরতাজা কিছু শব্দ মুঠোয় পুরবে বলে..
অথচ যা কিছু ধরার মানসে ছুটে গিয়েছিলে
পেয়েছো কি আদৌ রসমালাইয়ের মত টসটসে কিছু কবিতা সম্ভার!

হয়তো কিছু পেয়েছিলে, কিছু কবিতায় ঠাসা ছিলো কিছু অশ্লীল শব্দ
তোমরা তাতেই বাহবা দিয়ে সাহস যুগিয়েছিলে/যুগাও
আর আমার শব্দগুলো অবহেলায় কাঁদে একাকিত্বের যন্ত্রণায়।

কিন্তু কখনো ভাবিনি শব্দ মুছে দেবো বলে
শব্দের বৃষ্টি না বর্ষানোর শপথ করিনি কোনোদিন….
আমার বুকে খাঁচায় ঝরে পড়া শব্দগুলো কেবল জমা রাখি কবিতার খাতায়।

একদিন থাকবো না… থাকবে শব্দের বেড়াজাল
যাতে তোমরা চুম্বকের মতন আটকা পড়বে, বিশ্বাস রাখি।
একদিন সব ছেড়ে চলে যাবো থেকে যাবে আমার অকবিতার ভাগাড়
তখন না হয় তোমরা আমায় পড়ে নিয়ো।
May 26, 2018

» গ্রামাকাশের ছB (মোবাইলগ্রাফী-৩৯)

গ্রামের পরিবেশ সব সময়ই ভালো লাগে আমার। কারণ গ্রামেই বড় হয়েছি। চাকুরীর সুবাদে ২০০১ সালে ঢাকা আসছি। আর তেমনভাবে থাকা হয়নি গ্রামে গিয়ে। বছরে একবার শ্বশুরবাড়ী আর একবার বাপের বাড়ী। কোনোদিনও এক সপ্তাহের বেশী না। আর বেশীরভাগই যাওয়া পড়ে শীত সিজনে। শুষ্ক রুক্ষ পরিবেশ গ্রামের তখন। মরা ঘাস, গাছপালায় মরা পাতা, খরখরে মাটি। সজীবতা বলতে কিছুই থাকে না। আকাশের অবস্থায়ও যাচ্ছে তাই ফিকে বিবর্ণ।

শীত সিজনের ছবি তেমন সুন্দর আসে না আকাশের কারণে। সাদা আকাশের কাছে সব ছবিই ম্লান হয়ে যায়। তবে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। বাবার বাড়ী গিয়েছিলাম জুলাই মাসে। সে সময় প্রকৃতি অনেক সুন্দর ছিলো আর আকাশটা মাগো মা। কী যে সুন্দর মান অসহ্য সুন্দর। আর গাছ লতা পাতা, ঘাস সবই সবুজ। কারণ তখন বৃষ্টির সিজন। মোবাইল ক্যামেরায় যা-ই তুলি অদ্ভুত সুন্দর আসে ছবিতে। স্নিগ্ধ আর সবুজাভ ।

তারপরের মাসে মানে আগস্ট মাসে শ্বশুর বাড়ী যাই । সে সময়ের প্রকৃতিও আলহামদুলিল্লাহ অদ্ভুত সুন্দর। চারিদিকের আকাশ একেকরকম। পুবে গেলে দেখি শুভ্র মেঘ ভর্তি আকাশ। পশ্চিমে গেলে দেখি দলছুট মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। । ক্ষেতের পানিতে আকাশের সব মেঘে নুয়ে আছে যেনো। এই অদ্ভুত সুন্দর প্রকৃতি তুলে এনেছি স্যামসাং এস নাইন প্লাস মোবাইল ক্যামেরায়। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে আশাকরি। একেকটা ছবিই যেনো আমার কবিতা। এই একেকটির ছবির সাথেই অসংখ্য কবিতা লেখা হয়ে যায় যদিও আমি বলি অকবিতা। কারণ আমি জানি ছন্দ কাব্যিকতা বেশীর ভাগই আমার লেখায় থাকে না। তবুও লিখি মনের আনন্দে লিখি। যতদিন হাতের জোর আছে ইনশাআল্লাহ লিখে যাবো। অনুভূতিগুলো বন্দি করে রেখে যাবো দুনিয়ায়। কেউ না কেউ কোনো একদিন যাতে বলে এই বদ মেয়েটায় নেট জগত ভরাইয়া রাইখা গেছে ছাইফাস লেখা দিয়ে হাহাহা। তাতেই আমার আনন্দ তাতেই আমার সুখ। ভালো থাকুন সবাই ফি আমানিল্লাহ।

১।

২্।

৩।

৪।

৫।

৬।

৭।

৮।

৯।

১০।

১১।

১২।

১৩।

১৪।

১৫।

১৬।

১৭।

১৮।

১৯।

নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৩ (আকাশ ভালোবেসে লেখা)

=তুমি আকাশ আমি পাখি=

রোদ্দুর যদি চোখ দেয় জ্বালিয়ে
তুমি জলের আয়নায় আকাশ দেখে নিয়ো।
এখন শরত নয়,যদি আকাশ ভালোবাসো
তবে আকাশে তাকালেই আকাশ হয়ে যাবে শরত,
তুলো মেঘের নরম ছোঁয়া খুব কী পেতে ইচ্ছে করে?
মেঘের ভেলায় ভাসতে চাও আনমনে?
অথবা পাখির ডানায় চড়ে নীল ছুঁতে চাও?

তবে এসো কার্তিকের এ বেলা
আমি তোমায় মেঘের পালকে সাজাবো
কল্প ডানায় উড়ে যেয়ো নীলে,
আমি জলের আয়নায় দেখে নেব তোমায়।
একদিন আকাশ হয়ে ফিরে এসো
মেলে দিয়ে তোমার প্রশস্ত কবোঞ্চ বুক
আমি নীলকন্ঠ পাখি,
উড়ব স্বাধীনতায় তোমার বুক আকাশে
তুমি আকাশ আমি পাখি হয়ে থেকে যাবো
অনন্তকাল কাছাকাছি।
August 9, 2018


স্যামসাং এস নাইন প্লাস। ©কাজী ফাতেমা ছবি

=নিয়ে যাও দূরে, গোধূলির আলো ছুঁয়ে=

এই যে তুমি আগাচ্ছো সূর্যের পথ বেয়ে
কেবল ডাকছো আমায়,বলছো চলো হারাই
আঁধার যতই আসুক নেমে,
আমি নির্ভয়ে অজানায় পা বাড়াই!

হাতে রিনিঝিনি লাল হলুদ কাঁচের চুড়ি,
পরেছি বিকেল রঙ পাড়ের গোধূলী রঙ শাড়ি;
মাথার ঘোমটা বেয়ে কিছু অচেনা সুখ গড়ায়
তুমি কী জানো কতটা মুগ্ধতা বিরাজ করে মনের বাড়ি!

পথে ধূলো আর আকাশের রঙ উড়ে হাওয়ায়
তুমি আমি মুগ্ধতার রঙ সিঁড়ি বেয়ে পথ আগাই
গল্প খুঁনসুঁটি মাখানো একটি বিকেল কেবল তোমার আমার,
স্মৃতিঘরে থেকে যাক প্রেম স্নিগ্ধতার এমন প্রহর,
মনে তাই সুখ জাগাই।

তালপাতার পাখার হাওয়া নাইবা খেলাম এবেলা
দেখো দেখো তালপাতার ফাঁক গলে
যে সূর্যটা পশ্চিমে যাচ্ছে ধীরে ডুবে,
আলোর স্বপ্ন তবে যাক উবে
রাতের আঁধারে জোনাকির আলোয় পথ নেবো চিনে,
ডুবে যাক শহর আঁধারের তলে।

আহা কী যে মায়ায় মাখানো প্রহর এই,
তুমি কেবল দিয়ে যেয়ো এমন কিছু মুগ্ধতার বেলা,
যেখানে পা রাখলেই মন বাজারে বসবে
সুখের বেসাতি আর শত হাজার মুগ্ধতার মেলা।
January 25, 2019

ইচ্ছেগুলো ডানা মেলে…..

©কাজী ফাতেমা ছবি
=ইচ্ছেগুলো ডানা মেলে=
===============
রোদ্দুর জ্বলা এই সকালে
ছাতা মাথায় হাঁটি,
পায়ের তলায় দূর্বাঘাস আর
শিশির ভেজা মাটি!

মন যে আমার উদাস হাওয়ায়
লুকোচুরি খেলে,
শহর ছেড়ে দূরে ইচ্ছে
উড়ি ডানা মেলে।

এই শহরের ইট সুরকির পথ
পায়ে লাগে কাঁটা,
হাওয়ার সুরে শুনি যেনো
কান্না বক্ষ ফাটা।

কোন মায়ের বুক হলো খালি
কোন সে পিতা কান্দে,
কে জানি হায় ! পড়লো হঠাৎ
অন্যায়েরই ফান্দে।

ভাবনাগুলো আকাশ পাতাল
নেই সুরাহা জানা,
মনের ঘরে কু কু পাখি
ঐ দিলো রে হানা।

দুশ্চিন্তা সব ছুঁড়ে ফেলে
দেবো উড়াল দূরে,
হারাবো আজ অচীনপুরে
হাওয়ার সুরে সুরে!

গুঁজবো চুলে বাহারী ফুল
রঙিন পিরান পরে,
যাবো সেথায় সুখ মুগ্ধতা
যেখানটাতে ঝরে।

ভাল্লাগে না পেরেশানী
দুর্ভাবনা যত,
বাড়াবো না বুক মাঝে আর
উৎকণ্ঠার নীল ক্ষত।

» গাঁও গেরামের ছবি (মোবাইলগ্রাফী-৩৬)

ঘাসের উপর প্রজাপতির ছবি তুলতে গিয়ে, পিঁপড়েদের কবলে পড়েছিলাম। ঠিকমত ক্লিক দিতে পারছিলাম না তাই ঠাঁয় বসে ছিলাম হঠাৎ কুট কুট কামড় টের পেয়ে তাকিয়ে দেখি পা আমার লালে লাল মানে লাল পিঁপড়েরা হেঁটে উপরের দিকে উঠতেছে । কী ছবি তুলবো দৌড়াইয়া পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে বসেছিলাম , মারাত্মক জ্বলনি, মাগো মা……. বদ বেটা পিঁপড়া । তোদের একদিন কী আমার একদিন।
—————–
এগুলো ময়মনসিংহের ঢাকুয়া গ্রাম থেকে তোলা ছবি। মোবাইল ক্যামেরায় তোলা-স্যামসাং এস নাইন প্লাস। আজকে কিছু্ লিখবো না, কবিতাও না গল্পও না। কারণ এত কষ্ট করে পোস্ট দিয়ে কেউ দেখে না বা অনুপ্রেরণাও দেয় না । তাই এখন থেকে সহজ পোস্ট দেয়ার চেস্টা করবো হিহিহি। মানে ফাকিবাজির পোস্ট।

২্। ধলাই নদীতে, বর্ষার সময়।

৩। ইহা পাতিলেবুর বাচ্চা, গাছ ভর্তি লেবু থাকে সারা বছর। আমার খুব ভালো লাগে এই গাছটি।

৪। ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত আমাদের হিরো কৃষক ভাইয়েরা। আর জলের আয়নায় আকাশ ছবি।

৫। বৃষ্টির পর বেগুনের ফুল……

৬। গাঁযের একটি বৃষ্টির দিন। এবার বৃষ্টিতে অনেক ভিজেছি আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো কেটেছিলো সময়গুলো।

৭। ধলাই নদীর তীরে

৮। ধানা লাগানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকরা

৯। ধলাই নদীর কাছে ছিলাম কয়েকদিন

১০। এই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়, সারাদিনই এখানে বসে থাকি শ্বশুর বাড়ি গেলে। মারাত্মক সুন্দর এবং আরামদায়ক জায়গা।

১১। ধলাই নদী

১২। বৃষ্টির দিন

১৩। ধলাই নদী

১৪। বৃষ্টি ভেজা বরবটি ফুল

১৫। একলা পাখি আর মেঘলা আকাশ

১৬। ধান রোয়া মৌসুম আর আকাশ

১৭। ভেজা শিম পাতা

১৮। ভেজা পাতা