এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

কারো মত চাই না হতে ……আমি আমার মত

আমি আমার মত থাকতে চাই, আমার ভুবনে,
প্রতিটা মুহুর্তই একান্ত আপন আমার জীবনে;
আমার চোখে সবই সুন্দর স্নিগ্ধ,
সময় কাটাই বুক জমিনে স্বপ্ন বপনে।
আমি ভালবাসি মানুষ; আমি দেখে যাই মানুষ;
মানুষকে ভাবি শয়নে।

মানুষের ভাল, মন্দ নিয়ে ভাবি, যারে লাগে ভালো;
সে আসে হরদম স্বপনে।
উঁচু নিচু নেই ভেদাভেদ সবাই আমার আপন;
ফুল হয়ে ফুটে সবাই আমার বাগানে।

আমার দুর্বলতাগুলো জানিয়ে দেই অকপটে
কথা রাখিনা কখনো গোপনে।
আমি কথা রাখতে করি চেষ্টা আপ্রাণ, শেষতক;
লড়ি অগ্নির বিস্ফোরণে।

আমি জ্বলি, পুড়ি; চাপিয়ে দেই না ভালো লাগা;
একাই গলে গলে পড়ি দহনে,
আনন্দে উদ্বেলিত হই; কষ্ট চুয়ে পড়ে,
একাই হাসি, আবার কাঁদি রক্তক্ষরণে।

শক্ত হই; নিজেকে সামলাই নিজেই
যেন ভয় না পাই; বিপদ কিংবা মরণে।
ভয়ংকরেও সুন্দর খুঁজি;
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সুন্দর জমা রাখি বুকে;
কঠিনের দেই না ঠাঁই; সহজ জীবনে।

আমি আমার মত থাকি; ভালোবাসি জীবন,
মানুষ, ফুল, পাখি, সবুজ আমার মুগ্ধতা
চাই না আমার খুশি বিসর্জিত হউক কষ্ট প্লাবনে।
কারো মত না আমি; আমি আমার মত থাকি;
ভাবি না কখনো;
কাছে টানুক অথবা দূরে ঠেলুক পর কিবা আপনে।

August 26, 2013 at 11:23 PM

নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-২ (আকাশ ভালোবেসে লেখা)

=চাঁদালোর ঘোর=
তাকিয়ো না আসমানে আজ, পুড়ে যাবে চোখ
মায়াবী আলোয় ইচ্ছে কেবল পথে পথে হাঁটি
ইট সুড়কির পথ, চলতেই যেনো বুক ধুকপুক,
এখানে নেই শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের মাটি।
যদি সঙ্গে থাকো তুমি,ভয় কাটিয়ে নামবো পথে
নিঝুম হউক রাত্রি, ঘুমাক নিস্তব্দ শহর
সুখের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উঠে পড়ব আলোর রথে,
নিয়ন আলোর উপরে জ্বলুক রূপার আলোর লহর।
আচ্ছা এমন ইচ্ছে কী পারি না পুষতে মনে
গ্রীড বিপর্যয় ঘটুক শহরজুড়ে আজ
আমরা কেঁপে উঠবো মুহুর্মূহু সুখালোর শিহরণে,
ভাবনায় আনো নিমেষে চাঁদালোর মুহুর্ত, শুনছো রাজ!
পিচ রাস্তার পথ ধরে,ঘুরে বেড়াবো শহরময়
আহা ঘাসে লতা পাতায় কেবল চাঁদালোর ছোঁয়া
উড়ে যাবে মন হতে ক্লান্তি ভ্রান্তি,ক্ষণ হবে আমাদের মোহময়…
যাক না একটি রাত,মুগ্ধতার তরে খোঁয়া।
রাত যখন পাবে পূর্বাশার আলো,খুব হবে ভোর
আসব ফিরে হেঁটে হেঁটে গল্পের হাত ধরে নীড়ে
থাকবে লেগে চোখে স্মৃতির ঘোর,
কেটে যাবে আঁধার দিনের আলোয় ধীরে।
November 3, 2018

=আকাশ দেখা হয় না সহসা=
কাক ডাকা ভোর কখন যেনো এসে চলে যায়
পূর্বাশার আলো আর চোখে পড়ে না,
আকাশের সোনালী আলো আসে না জানলায়,
ইটের দেয়ালে বন্দি মানুষ;
আকাশ দেখা সহসা হয়ে উঠে না!

ব্যস্ততার কাঁধে বসে যখনই হন্তদন্ত ছুটে আসি অফিস পাড়ায়
আকাশ ব্যস্ত তখন সূর্যকে টেনে উপরে উঠানোয়!
উফ্ জ্বালা ধরা রোদ্দুর ঠেলে হাঁটি ইট সুড়কির পথ ধরে;
আকাশকে ভুলে গিয়ে খুঁজি কেবল গন্তব্য!

হয় না আর আকাশ দেখা,আবারো ব্যস্ততার বেড়াজালে বন্দি
আকাশ সূর্যকে ভালোবেসে বিদায় জানায় গোধূলিক্ষণে,
হুড়মুড় করে ছুটে যাই নীড়ে ফেরার পথে,
ঠিক তখনি আমি আকাশ দেখি,
ক্লান্তিগুলো কখন উড়ে যায়,কে রাখে আর তার খোঁজ!

বড্ড ভালো লাগায় সময় ভরে যায় আমার
দৃষ্টি রাখি বাহিরের দুনিয়ায়,যন্ত্র দানব ছুটছে
ছুটছে মানুষ,তড়িঘড়ি করে সূর্যটাও ছুটছে
অন্য দেশের নিমন্ত্রনে,অন্য দেশে আলো ছড়াবে বলে।

আর আমরা বিনিময়ে পাই সন্ধ্যা, তারপর
জোছনা ঝরা মোহনীয় রাত,রাতের বুকে শুয়ে
বেঘোর ঘুমে স্বপ্ন দেখি সুখের,শান্তির,
এইতো জীবন,রঙ বদলানো-যেনো আকাশের মত।
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস)
November 7, 2018

=মাফ করো প্রভু গুনাহ্ আমার=
রঙধনু সাত রঙ আকাশে মেঘেদের মেলা
রোদ্দুর ভাসায় নীল জলে তার খেয়ালি ভেলা,
পুড়ে যাওয়া দেহ নিয়ে বসে পড়ি গাছের ছায়ায়
নীল সামিয়ানা টানানো আকাশ, টানে না কাছে তার মায়ায়।
ঝকঝকে আলোয় রোদ্দুর হেসে খেলে দিন করে পার
তাপের ভারে ফেটে যায় থার্মোমিটার, সাহস আর হয় না
দেহের তাপ মাপার।
বিতৃষ্ণার আলিঙ্গনে পড়েছি আটকা এবেলা, বড্ড হাঁসফাঁস ক্ষণ
প্রকৃতির বিরূপ চাহনি, সূর্যের তীব্র ভ্রুকুটি-ভাল নয় এ লক্ষণ!
ক্ষমা করে দাও প্রভু তোমার এ বান্দার গুনাহ
বৃষ্টি ঝরিয়ে দাও শান্তি,
চাইছি কেবল তোমার পানাহ।
July 21, 2018

স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো

এখানে আর শান্তি নেই……..

চাপা পড়ে যায় সব, চুপচাপ দেখে যেতে হয় সব অন্যায়
এখানে মানুষ নিরবে উঠে পড়ে অত্যাচারীর নায়,
মুখে কুলুপ এঁটে কান খারা করে রাখে লাচার মানুষ
আর ওরা উড়ায় স্বাধীনতায় অন্যায়ের ফানুস।
ফানুসগুলো জ্বলে জ্বলে উড়ে
যতদূর চোখ যায় দেখি দূর বহুদূরে।

এখানে রক্ত রঙছোপ চোখের জলের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেলে
মানুষ ভুলে যায় নিমেষে,
একদা যারা হারিয়েছে তারা ছিলো ভাই বন্ধু কন্যা অথবা ছেলে।

এখানে আগেরদিন স্বচক্ষে দেখি হিংস্রতা,
রক্তহোলী, রাহাজানি যা ঘটে যায় ঘটনা
পরদিন কান পেতে শুনি হাওয়ায় ভাসে এ-যে সবই রটনা।

গুজব গুজব সুর উঠে হাওয়ায় হাওয়ায়
নিশ্চুপ শুনি বসে দখিন দাওয়ায়।
মিথ্যের আড়ালে সত্যরা গুমরে কাঁদে
আর আপামর জনতা পড়ে যায় সে মিথ্যের ফাঁদে।

কী করে ভুলে যাই,কী করে বুকের বামের ক্ষত মুছে দেই,
ভেজাল আর ইস্যুর চাপে পড়ে হারাই নিত্য জীবনের খেই;
কোথায় আছে তবে একফুটা শান্তি
শহরজুড়ে চারিদিকে অলিগলিতে ভ্রান্তি শুধু ভ্রান্তি।

এখানে মানুষ কথা বলে কম-যদি ধরে নিয়ে যায় যম!
এখানে মানুষ অন্যায় দেখে আড়চোখে তাকায়
রক্তের ছোপ হতে একফুটা রক্ত নিয়ে বুকের বামে মাখায়।
এখানে মানুষ কষ্টগুলো বুকে চেপে ধরে
ফিরে যায় বাঁচিয়ে জান যে যার আপন ঘরে।

©কাজী ফাতেমা ছবি
August 6, 2018

চুরি যাচ্ছে রোজ আমাদের মানবতা…..

রোজ চুরি যাচ্ছে একটু একটু করে কখনো মানবতা, কখনো সমাজ
কিংবা মানুষের আবেগ, পরিবেশ আর প্রকৃতি
মানুষই যেনো আজ দশ নম্বর বিপদ সংকেত!

অনিষ্টকারী স্বার্থপর মানুষেরা সর্বদা ওঁৎ পেতে থাকে
ঈর্ষা হিংসা দম্ভ নিয়ে পথ চলা ওদের, প্রকৃতিকে কুঁরে কুঁরে খেয়ে নিচ্ছে
লোট করে নিচ্ছে প্রকৃতি কেবল নিজেদের সুখে থাকার আশে।

ঋতুগুলো কি করে বদলে গেলো! অথচ মানুষ’রাই ছিল দায়ী
এখানে শীতকাল নেই, নেই আর বসন্ত, আসে না শরতের নীল অভ্র আকাশ
বর্ষার আকাশে নেই ঘনঘটা কালো মেঘের পাহাড়;
বৈশাখী ঝড় – উড়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম, হেমন্তের আগমনে কুয়াশার লেশ নেই
নেই হীম হীম আবেশ হেমন্তের জন্মলগ্নে।

প্রতিদিনই চুরি যাচ্ছে পাহাড়, বন, বৃক্ষ তরু লতা পাতা
খুবলে খাচ্ছে মানুষ এই দুনিয়া।
সুন্দর প্রকৃতি, সুন্দর ঋতু আর নাতিশীতোষ্ণ দেশটি আমার
আজ যেনো পুরো বছর গ্রীষ্মকাল
বারোমাসি খরায় পুড়ে যায় মানুষ, পুড়ে যায় বন বনানী
ভ্যাঁপসা গরম শীতকালেও ঝাপটে ধরে দেহ
মানুষ আজ প্রকৃতির ক্যান্সার।

চুরি হয়ে যাচ্ছে আমাদের ওজন স্তর, চুরি যাচ্ছে একটু একটু করে মানুষের মন
চিন্তা চেতনা, বিবেক, বুদ্ধি বিবেচনা,
মানুষ থমকে দিচ্ছে সময় সভ্যতার নিয়মমাফিক পথ চলা।

দুঃসহ নাগরিক যন্ত্রণায় যেমন ছটপটায় মানুষ
তেমনি চুরি করে নিয়ে নিজের করে রাখছে এই শহর
এখানে শান্তি নেই, নেই পা ফেলার ভেজা মাটি
দূর্বাঘাস নেই, নেই ফাঁকা সবুজ মাঠ।
এই শহর এই নগর এই দেশ বিকলাঙ্গ করে ছাড়ছে মানুষ।

দুর্নীতি অপকর্ম ছিনতাই রাহাজানি খুন গুম ধর্ষন আর
চুষে খাওয়ার নীতি মানুষের মনে সেঁটে গেছে।
ন্যায়ের হাত ধরে যারা পথ আগাতে চায়
তারাও বন্দি স্বার্থপর মানুষের দুর্নীতির বেড়াজালে।

চুরি যাচ্ছে মানুষের কথা, কবিতা, সাহিত্য
নির্লজ্জ মানুষগুলো অন্যের জ্ঞান নিজের নিউরণে লেপ্টে নিচ্ছে
বুক ফুলিয়ে বলে যাচ্ছে সব আমার, সব আমার সব আমার সৃষ্টি।

মৃত্যু কোলে নিয়ে বসেও মানুষ পেতে চায় সব নিজের করে,
কি দুঃসহ সময় বয়ে বেড়াচ্ছে সুন্দর এই দুনিয়ায়
রোজ চুরি যাচ্ছে আমাদের ভাবনাগুলো
ফরমালিনে মোড়ানো মানুষের মন,
ভয় নেই ডর নেই-এ কেমন দাম্ভিকতা সাথী করে ওদের পথ চলা
উফ্ কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষায় আছে কে জানে !

বড্ড ভয় হয় মেকি মুখোশে ঢাকা মানুষগুলোকে-কখন যে ছুঁ মেরে নিয়ে যায় প্রাণ
চুরি করে নিয়ে যায় অবশিষ্ট মানবতা-চুপসে আছি, যন্ত্রণা বুকের ভিতর অথৈ
বেঁচে আছি দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে এখানে এই যান্ত্রিক নগরে।

______________
©কাজী ফাতেমা ছবি।
(June 20, 2017)

ফ্রেমবন্দির গল্প-১

= ফ্রেমবন্দির গল্প =
আমার ক্যামেরা হলো ক্যানন ৬০০ডি, প্রথম লেন্স কিনেছিলাম ১৮-১৩৫, কিন্তু চাঁদকে কোনোভাবেই কাছে আনতে পারছিলাম না। কথায় বলে না শখের তোলা ৮০ টাকা। আমার বেলায়ও তাই হলো। টাকায় যখন চুলকায় তখন যেকোনো ভাবেই টাকা পকেট থেকে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক হাহাহা, টেকা পয়সা হলো তেজপাতা, সে উড়ে যাবেই। শেষে একদিন মনস্থ করলাম যে আরেকটা লেন্স কিনবাম। শেষে গিয়ে ৭৫-৩০০ লেন্স কিনে নিয়ে আসছি। আনছি কিন্তু ছবি তোলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ধারে কাছে সুন্দর লোকেশনও নাই। মনে মনে ভাবলাম বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীতে তো ফুলের বাগান আছে, সেখানেই ট্রাই করে দেখবো।

ছেলেকে স্কুলে দিতে যাওয়ার সময় হাতে ক্যামেরাখান তুলে নিলাম। ভাবলাম বাগানের গেইট যেহেতু খোলা না দূর থেকেই চেষ্টাটা ভালো হবে। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে লেগে গেলাম অসাধ্য সাধনে। কিন্তু বদের বদ লেন্স কোনোভাবেই বাগে আনতে পারছিলাম না। ম্যানুয়ালীই তুলেছি ছবিগুলো কিন্তু আশানুরূপ ফল পাই নি। জুম বাড়িয়ে কাছে আনি কিন্তু ফোকাস হয় না।

কী আর করা তাও চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং বিশেষভাবে এই সূর্যমূখিটাকেই টার্গেট করি। দূর থেকে ছবি গুলো ভালোই আসে, তবে জুম করলে ফেটে যায়, যাই হোক কিছু সুন্দর দূর থেকে দেখলেও ভালো লাগে। ঐ দিন আরও ছবি তুলেছিলাম, সেগুলা অন্যদিন না হয় দিবো।

ছবি তোলা যদিও আজাইরা সময় নষ্ট, সবাই বলে -আমি না। ছবি তোলা একটি শখের কাজ। সুন্দর দেখা আর সুন্দর ধরে রাখার প্র‍য়াস মাত্র। আমার প্রতিটি ছবি পোস্ট করার আগে ডেস্কটপের ওয়ালপেপার হিসাবে ইউজ করি। দেখে কী যে ভালো লাগে বলার মত না। খুব শান্তি অনুভব করি। আমি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না, তাও কোনো কোনো ফেবু ফটোগ্রুপে বেস্ট ফটো, ফটো অব দা ডে, সুপার ফটোগ্রাফী হিসাবে মির্বাচিত হয়। এটা আমার এক্সট্রা পাওনা হয়ে যায়, ভালো থাকার। মুগ্ধ প্রহরগুলো তবে হয়ে থাক ক্যামেরা বন্দি, নিজে দেখি এবং সবাইকে দেখাই। আল্লাহ সবাইকে সুন্দর অনুভব করার জন্য একটা মন দান করুন। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা সবাইকে। ফি আমানিল্লাহ।

ফ্রেমবন্দির গল্প যদি পাঠকের ভালো লাগে তবেই ফ্রেম বন্দির গল্প সিরিজ হিসেবে দিতে পারি। পাঠকের চোখেই তবে পোস্ট দেয়া না দেয়া নির্ভর করে- ভালো থাকুন।

©কাজী ফাতেমা ছবি।

জেগে থাকা রাতগুলো অথবা অভিমানি মন

১। ইচ্ছে করে জেগে থাকা রাতগুলো…..

স্বপ্ন নিয়ে টানাটানি চলছে নিত্য,
সময় আঙ্গুলের ফাঁকে চলে যাবে বলে ঘুমের প্রহরেও থাকি জেগে;
আর দু’মিনিট না হয় জেগেই থাকলাম, এই করে কাটিয়ে দেই প্রশান্তির ঘুম প্রহরগুলো।
এমন কু-ইচ্ছার কাছে হার মানে ঘুম।

অযথা জেগে থাকা প্রহরে জেগে আছি বলে বুকে হাম্বরের আঘাতে
ধড়াম ধড়াম শব্দে মুহুর্মুহু যন্ত্রণায় বিছানায় করি ছটফট;
দু-টানায় শেষে ঘুম চোখের পাতা ছেড়ে পালায়।

কথা গল্প হাসি ঠাট্টায় কেটে যায় মধ্য রাত অবধি
কিইবা পেলাম এমন জেগে থাকা রাতগুলোতে।
রাতের ঘুমের কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য হয়ে বেঁচে থাকি
নির্ঘুম রাত! তৃপ্তির স্বপ্নগুলো কাঁদে সিথানে বসে।

অবশেষে সুখ স্বপ্নগুলো পালায় দখিন জানালা দিয়ে
আর দু:স্বপ্ন এসে ঝেঁকে বসে চোখে।
ঘুম এসে কতবার হাই তুলিয়ে জানান দিয়ে যায় ঘুমের প্রহর গেলো বলে,
অথচ অবহেলায় কাটিয়ে দেই নিশ্চিন্ত ঘুমের প্রহর।

টের পাই পরেরদিন কর্ম প্রহরে যখন হাইয়ের পর হাই এসে
চোখে জল ঝরিয়ে কাজে কর্মে ব্যাঘাত ঘটায় মারাত্মক তখন।
ঠিক তখনি ওয়াদা করে ফেলি ঘুমপ্রহর করব না আর অবহেলা ।

রাত যেই ঘনিয়ে আসে ভুলে যাই কষ্ট প্রহরের কথা..
সেই একই অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে জেগে থাকি রাতের পর রাত।
স্বপ্ন নিয়ে টানাটানি শেষে কর্তব্যের খাতিরে শরীর টেনে তুলি অনিচ্ছায়।

এর কি কোনো প্রতিকার নেই!! তবুও জেগে থাকি…থাকতে হয়। কেনো?
June 25, 2016 at 4:08 AM

২। আবেগের মূল্য দিতে শেখো নি আজও……
আবেগের দাম দিতে প্রস্তুত নও কভু। মুহুর্মুহু মন খারাপ করে দেয়ার জন্য ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকো মনের কিনারে। আমাকে খুশি করার জন্য হলেও কখনো বলো নি অভিমানের খাঁচাটা এবার উলটে ফেলো, মুক্ত করে দাও আবেগ! আলতো ছুঁয়ে দেখো নি আবেগের নরম পালক! বিতৃষ্ণায় অবেলায় খসে পড়ে অভিমান । মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত কত অপেক্ষাই না করা হয়! কই! সে আশা গুঁড়ে বালি। অত:পর ডানা ভাঙ্গা পাখির মতো কারো মন আকাশে ওড়তে না পারার ব্যর্থতা কুঁরে কুঁরে খায় প্রতিনিয়ত।

নিদ্রা হও না, হও একেকটা নির্ঘুম রাত। ব্যথা হতে দ্বিধাবোধ নেই, মলম হতে গিয়ে সটকে পড়ো নির্ভেজাল। অক্সিজেন হতে পারতে – হও যে বড় দীর্ঘশ্বাস! বুকের ভিতর ভালবাসার চাষ করেছিলাম যতন করে! সেখানে মই হয়ে এসে দুমড়ে মুচড়ে দাও ভালবাসার ফসল! আর কি চাও শুনি?

বুকের জমিন ব্যথার আগাছায় পরিপূর্ণ,সারের বদলে- চুয়ে পড়া কষ্ট রক্ত ছড়িয়ে দিয়েছি জমিতে। ভালবাসার সার হলে না…মনের জমিন করে দিলে অনুর্বর। ক্ষারীয় জমিতে এখন- না ফলে প্রেম না ভালবাসা আর আবেগ হয়ে গেলো চোখের শুষ্ক নদী! অভিশাপ দিতে চাই না কিন্তু এই এন্তার কষ্টের ফসল যদি অভিশাপ হয়ে যায়! বড্ড ভয় আমার।

এমনিতেই ভাল থাকো। আমি ছাড়া সবাইকে নিয়ে সুখি থাক। আর আমি কষ্টের নদীতে সাঁতার কাটতে থাকি আবেগের ডানায়!
July 14, 2016 at 4:14 AM • Dhaka

» =জীবন গদ্য………..(একজন মায়ের জন্য সন্তানদের আকূতি)


এই লেখাটি শাশুড়ি হাসপাতাল থাকার সময় লিখেছিলাম। তিনি গত রমজানে আল্লাহর প্রিয় হয়েছেন। আল্লাহ পাক তাঁকে বেহেশত নসীব করুন।

©কাজী ফাতেমা ছবি

ফণী তো ওদের বুকের বাড়ি আঘাত হানছে প্রতিনিয়ত। যেদিন থেকে মা শুয়ে আছেন হাসপাতালের বেডে। নাওয়া খাওয়া ভুলে কী দিন কী রাত পালাক্রমে শিয়রে বসে থাকা সন্তানেরা সামলাচ্ছেন সন্তর্পণে বুকের বাড়ি আগত শত সুনামী টর্নেডো সিডর অথবা ফণী। অশীতিপর বয়স, হাজার রোগ ব্যাধী বাসা বেঁধেছে তার দেহে, কখনো কিডনি আঁড়ি কাটে কখনও রক্তরা করে বিদ্রোহ, কখনো বা রক্তচাপ হয়ে যায় বৈশাখী খরা অথবা দেহের সোডিয়াম পটাশিয়াম রেখে ফেলে অনায়াসে রোজা, ঘাটতি পড়ে যায় এসব উনার। চোখের ঝাপসা আলোয় আত্মজদের বড় কার্পণ্য উনার। নাকের নলে থিরথির করে রিযিকের দানায় উদর ফুর্তি সে কী আর মিটে অথৈ ক্ষিধে!

অপেক্ষার বুকে মাথা রেখে কখনো চোখ লেগে যায় চেয়ারে বসে বসে, মায়ের নড়াচড়ায় চকিতে ফিরে আসে চেতন, ঘুমকে ছুটি দিয়ে দিন শেষে রাত যায় নিদ্রাহীন সহস্র ঘন্টা। ফিরে না দেহের শক্তি, ফিরে না চেতন, কেবল নড়াচড়া করলে ভুমিকম্পের ন্যায় কেঁপে উঠে পুরো দেহ উনার। জিভের আগায় আটকে থাকে না বলা হাজার কথা। বলা হয়ে উঠে না আর।

সটান শুয়ে মা, নাক ডাকার নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠে পরিচ্ছন্ন কেবিন। সফেদ কাপড়ে ঢাকা কেবিন, জানালায় সফেদ পর্দা, বিছানার চাদরখানাও পবিত্রতার ছুঁয়া মিশে আছে। অথচ এই শুদ্ধতার রঙ পোষাকেই উনাকে আমাকে সবাইকে ছাড়তে হবে এই মোহ দুনিয়া। সব অহংকার সব ক্ষমতা মিশে যাবে ধূলায়।

যে মা পেটে রেখেছেন দীর্ঘ নয় মাস নয়দিন অথবা তারও বেশি, তারপর একদিন পেট ব্যথায় দুনিয়া কাঁপিয়ে নিয়ে এসেছিলেন পর পর আটটি সন্তান। লালন পালন শিক্ষা দীক্ষায় কেটে গেলো তার মনোহারী প্রজাপতি দিন। কেটে গেলো যৌবন, কেটে গেলো দোয়েল সময়। সন্তানদের সাফল্য এখন তুঙ্গে, তিনি সুখি মানুষ, স্বস্তি বুকে নিয়ে বেঁচে থাকবেন সে আশায় কেবল সুখ দিনাতিপাত শুরু। ঠিক তখনি যৌবনের সেই হাঁড় ভাঙ্গা খাটুনির দেহে বাসা বাঁধে দুঃস্বপ্ন। মনে শান্তি আর দেহ জুড়ে রাজ্যের ব্যথা বেদনা নিয়ে তার শুরু দিন যাপন।

সন্তান হলো মানুষ, তিনি হলেন বুড়ো, মা মা বলে পাগল ছেলেরা মা চলে যাবেন মানতে নারাজ। নাওয়া খাওয়া ভুলে মায়ের সেবায় নিয়োজিত দিনরাত। আশা না ছাড়া সন্তানদের আকূতি যেনো ছুঁয়ে যায় আরশ, তিনি যেনো প্রাণ ফিরে পান দেহে। আবারও যেনো কথা বলেন তার সন্তানদের সাথ। হাসিমুখে ওরা ফিরে আসুক হাসপাতাল ছেড়ে,আপন নীড়ে। আল্লাহ যেনো প্রার্থনা করেন কবুল ওদের।

সন্তান যেনো এমনি হয়, উনার সন্তানের মত। দুনিয়াকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা সময়গুলো যেনো সকল মায়ের নসীবেই হয়। মানুষকে ভালোবেসে মানুষ ঠকে যায়, মাকে ভালোবেসে ঠকে যায়নি কোনো সন্তান। মাকে ভালোবাসুন, তার চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করুন অনায়াসে। তার মন পড়ুন, তাকে রাখুন শ্রদ্ধায় সম্মানে ভালোবেসে মাথার টোপর করে। জগতের সকল মা সুখি হোন এ কামনায় আমি বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ, ফি আমানিল্লাহ।

» প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)-২

মন হয়ে যায় প্রজাপতি-উড়ি ফুলোবনে
স্নিগ্ধ আলোর লুকোচুরি-সুখের হাওয়া মনে।
ফুল হয়ে যাও, নয়’তো পাতা-দেখা হবে দু’জন
বসবো উড়ে মনের শাখে-প্রেমের কুহু কুজন।
সুজন হবে তুমি আমার-আমি তোমার সখি
ফাগুন দিনে প্রেমের হাওয়া-মন মাঝে দেয় উঁকি।

২। প্রকৃতিতে_মন_রাখো
ধানের পাতায় পাতায় শিশিরের ফোঁটা
সবুজের সজীবতায় মুগ্ধতা ঝরে সারাবেলা।
এক স্নিগ্ধ বিকেলের প্রান্ত ছুঁয়ে আসি,
ক্ষেতের আলে বসে মুগ্ধতায় রাখি দৃষ্টি
যেথায় লাল পোকাদের বসেছে মেলা
লাল পিরান গায়ে, ইচ্ছে স্বাধীন ওরা
ঘুরে বেড়ায় পাতায় পাতায়।

ধানের হলুদ সবুজ শীষে ওরা বানিয়েছে শান্তি সুখের নীড়
ভালো লাগে আমার এবেলা-একটি বসন্ত বেলা
ওদের ভালোবাসার বাড়িতে মৃদু হাওয়ার দোলা
ওরা দুলে প্রেমে ভালোবাসায় খেয়াল খুশিতে।

৩। ও_আমার_দেশের_মাটি
এই যে আমার দেশের মাটি-গাছে তরুলতায় তার রূপবাহার
এখানেই গা ঘেঁষে আছে দাঁড়িয়ে সবুজ উঁচু পাহাড়,
নদীর জলের ঢেউয়ে ঢেউয়ে টেংড়া পুটির হাসি
ও বাংলা মা তোকে বড্ড ভালবাসি।
চিরচেনা ধূলো মাটি-সোঁদা গন্ধে আকূল প্রাণ
এখানেই সুর তুলে গাই
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” গান।
বটের ছায়ায় আহা কি মায়ায় ঘিরে আছে বাংলা মায়ের কূল
এখানেই গাছে রশি বাঁধা দোলনায় সুখেতে খাই দুল।

৪। উদাল_ফুল
দে রাঙ্গিয়ে বন্ধু আমায়-উদাল ফুলের মালায়
আয় নিয়ে উদাল ফুল সব- সাজিয়ে প্রেম ডালায়!
নাকফুল আমায় দিবি গড়ে-হলুদ উদাল ফুলে
ডাল ভেঙে নিস ফুলের গুচ্ছ-যাস্ না আবার ভুলে।
উদাল ফুলে সাজবো আজি- দুদ্যেল দুলে কানে
থোকা থোকা ফুল দেখে যে-মুগ্ধতা এই প্রাণে।

৫। চলো_ঘুরে_আসি_মেয়েবেলা
এখানেই উপুর হয়ে আছে আমার একেকটি উদাস দুপুর
স্মৃতির নুপূর বাজিয়ে যায় সময়,
স্মৃতিগুলো উপুর হতে চিৎ করলেই-আমি হারিয়ে যাই সেই-সেইবেলা,
সেই শিউলী প্রভাত, ধূলোবালি মাখা মেঠোপথ
ক্ষেতের আলে লকলক করে বেড়ে উঠা সবুজ ঘাস
সেই ঘোলা পানির হাঁসদের সাঁতার কাটা ডোবা
সেই স্বচ্ছ জলের পুকুর-
যেথায় জল আয়নায় ঝুঁকে পড়তো এক আকাশ নীল সাদা মেঘ।

৬। তুমি_যাবে_যাবে_আমার_সাথে?
যাবে নাকি? যাবে চলো-আমাদের গ্রামে
দূর্বাঘাস মুড়ানো পথ-
যেথায় মাটি গিলে ফেলেছে-সবুজের লকলকে জিভ
এখানে নেই কোনো খাঁখাঁ প্রান্তর
সবুজের হাতছানি কেবল দিগন্ত জুড়ে
যাবে নাকি আমাদের গ্রামে-হাঁটবে খালি পায়ে আরামে?

৭। #ঝরো_ভালবাসার_বৃষ্টি_হয়ে
বুকের জমিনে বারো মাস চৈত্রের খরা
শুকনো খরখরে মাটি- আজন্ম তৃষ্ণার বুকে বসে ঠাঁয়
একফুটা ভালবাসার জল পেতে হাপিত্যেস জীবন
তবু নেমে আসে না বৃষ্টি,
দেয় না ভিজিয়ে শুকনো মন জমিন।

৮। অন্যের_জমির_দখল_ছেড়ে_দাও
কতটুকু জমিন পাবে বেলাশেষে?
এক বিঘা দুই তিন চার বিঘা?
কতটুকু জায়গায় ঠাঁই হবে শেষে
কোন সে বিছানায় শোবে গিয়ে বল?
এই যে এত হল্লা জীবন নিয়ে-জমি নিয়ে
নি:শ্বাস টেনে ছেড়ে দেবে! সে ভরসা কোথাও পাও?
যদি না চান তিনি-আমার মহান রব,
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা!

কিসের অহমিকা মনে পুষো তোমরা
জমি দখলের দম্ভসীমা পার হতে হতে ভুলে যাও
তোমাদেরও বুকের বামে এক অচীন ময়না পাখির বাস,
বুকের খাঁচায় কারে পুষো-ওরে দাম্ভিক মানুষ!

৯। #কলমি_রঙ_শাড়ী_চাই
কলমি ফুলের রঙের একটা, কিনে দিবি শাড়ি
হালকা রঙ গোলাপী শাড়ি,আসবি নিয়ে বাড়ি?
সবুজ রঙের পাড়ের মাঝে, সূঁচ ফুটানো সূতা
কারুকার্য হবে শাড়ির, না হয় য্যান্ অন্যথা!
চুড়ি কিনিস মেজেন্ডা রঙ, সাথে বেলীর মালা
শোনছিস্ মারিস না তুই,কানের মাঝে তালা!

১০। #চলো_হারাই
চলো ভাসি আজ ভালবাসার হাত ধরে
উদাস দুপুর রাঙিয়ে দেই প্রেমানুভূতির রঙ দিয়ে
হোক ভালবাসা দিবস কি মন্দ বাসার দিবস
তাতে আমাদের কি বলো!

আমরা ভালবাসি-আজ কাল পরশু কিংবা
বাসব অনন্তকাল পর্যন্ত!
শুনো, খুই হইচই মুহুর্ত মনের ঘাটে এসে ভিড় করেছে
উছলে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে প্রেম ঢেউ,
সবাই বলাবলি করছে-ফাগুন এসেছে-
রেঙেছে শিমুল অশোক বন
আর সাথে নিয়ে এসেছে একটি মাত্র ভালবাসার দিন!

» সুনিপুন শব্দে বাঁধতে পারিনা কবিতা…..

©কাজী ফাতেমা ছবি

শব্দ নিয়ে লুফালুফি হয় বুকের পাঁজরে,
ভেতরে বয়ে যায় তুমুল ঝড়!
অগনিত শব্দের সমাহারে
দু’চার বাক্য লিখলেই হয়ে যায় না কবিতা;
সে বুঝি, তবুও রোজ হই অবুঝ।

অপেক্ষায় থাকে হাজারো দু:খী শব্দ
শব্দগুলো আঙ্গুলের ডগা হয়ে কী বোর্ডে ছিটকে পড়তেই
হাহাকারে ছেয়ে যায় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সাদা পাতা,
চোখে দেখি শুধু অকবিতার ভাগাড়।

কবিতাদের কোনো পাঠশালা নেই!
কেবল স্বপ্ন ছুঁয়ে থাকে কিছু আনাড়ী শব্দ
বাঁধাই করা র্যা পিং পেপারে দু:খী শব্দমালা।
কবিতার গায়ে আজও পরাতে পারিনি মখমল বসন,
কবিতার কপালে এঁকে দিতে পারিনি চাঁদ রঙ টিপ;
কবিতার কানে দুলাতে পারিনি,
আজও সুনিপূণ শব্দের হীরার গয়না।

অপেক্ষায় কেটে যায় সহস্র দিন,
কবিতার আকাশে উঠে না শব্দের চাঁদ অথবা সূর্য
কবিতার বিছানা শক্ত কড়কড়, বারোমাসি খরা;
স্পর্শ করলেই শিরশিরিয়ে উঠে ভয়ের কাঁপন।

শুনি,কার অপেক্ষায় আর কাটাই সময়
শব্দেরা আসে না যে আর ধেয়ে,
না ঠোটেঁ, না আঙ্গুলের ডগায়, না কী বোর্ডে,
ভেতরে বেজে উঠে দিবানিশি অদ্ভুত করুণ হাহাকার!
কবিতা লিখতে না পারার যন্ত্রণা আমায় কুরে কুরে খায়।
May 30, 2018

» ভেজা অনুভূতি লেপ্টে থাকুক জীবনজুড়ে (মোবাইলগ্রাফী)

স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো । বিভিন্ন সময় তুলেছিলাম বৃষ্টির পর। আশাকরি ভালো লাগবে সবার।

১। ছবির গল্প,
এই ফুলটি কুঁড়িয়ে পাই বাসার গেইটে, প্রায়ই এখানে কাঠগোলাপ পড়ে থাকে। কারণ ছাদে একটা গাছ আছে। খুব অবহেলায় টিকে আছে আহা কত ফুল যে ধরে ছাদে গেলে অন্য বাসার ছাদে চোখ দেই তখন। আর ফুলগুলো প্রায়ই কুঁড়িয়ে আনি বাসায়। সেদিন বৃষ্টি হলো ফুলটাকে রেখেছিলাম রোজ ক্যাকটাস গাছে ঝুলিয়ে, বৃষ্টির পর ঝকঝকে মুগ্ধ ছবি। দেখলেই আরাম লাগে এমন ছবি।

২। বৃষ্টির পর- অফিস ছুটির সময় তোলা এই ছবিটি। অফিসে ছবি তোলা লজ্জাজনক লাগে। তাছাড়া বাগানের কাছে হুদাই কে আর যায় সবাই দূর থেকে দেখে। সেদিন গেলাম কাছাকাছি বৃষ্টিতে ভেজা ফুলগুলোর ছবি উঠাতে । কেউ তাকাইলে তাকাক বললে বলুক এসব তোয়াক্কায় ছবিগুলো মনের নাগালে আসে। দেখলেই ভালো লাগে।

৩। এটা ছেলেদের স্কুল থেকে উঠানো। ছেলেকে আনতে গিয়ে দেখি বৃষ্টি ভেজা এই শুভ্র ফুল। কেমন করে সবুজের বুকে মুখ লুকিয়ে ওরা বৃষ্টি স্নানে রত ছিলো। আমার চোখ হতে বাঁচতে পারেনি ওরা হাহাহা। টাচ ক্লিকে তুলে আনি এই কিছু মুগ্ধতা।

৪। এই ছবিটা আমাদের বাসার কাছে, কবি জসীম উদ্দিনের বাচ্চাদের বাড়ি আসমানীর বাগান থেকে তোলা। ছেলেকে কোচিং থেকে আনতে যাবো তখনই চোখে পড়ে ওদের। ফুল ছোট কিন্তু রঙ মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। বৃষ্টিতে ওদের আরো আকর্ষনীয় লাগছিলো।

৫। এই দৃশ্য রোজই দেখি। কখনো ছবি তুলি কখনো ফুল সরিয়ে হেঁটে যাই, এটাও ব্যাংক কলোনী স্কুল থেকে তোলা। নিচে বসে ছবি তুলতেছি -মেডামরা বলে কী করছেন আপনি, আমি বললাম ছবি উঠাচ্ছি ম্যাম। উনারা হেসে চলে গেলেন। ফুলরাও হাসলো আমার মোবাইলে চুপ বসে ।

৬। স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছি। বেলী ফুলের হাজার ছবি আছে মোবাইলে। এই বাগানটি দারোয়ান খুব যত্নসহকারে করেছে। কত রকম ফুল ফুটে থাকে প্রতিদিন। ছবি উঠাতে উঠাতে আমি ক্লান্ত। তবুও উঠাই ভালো লাগে খুব। এসব আমার মুগ্ধতা। সুখ।

৭। এই ছবিটি আমাদের ভোগ্যপণ্যের দুতলা থেকে তোলা। সেদিন ছেলেদের টিফিন কিনবো-আমাদের আবার ফাস্টফুডের দোকান এখানে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই দেখি পাতা চুয়ে বৃষ্টির ফোঁটা । ভালো লাগার ভরপুর সময়। সজীব প্রহর আমার । টাচ ক্লিকে তুলে রাখি সুখ সময়।

৮। বৃষ্টির মুুহুর্তে ছেলের স্কুল শুরু, ছাতা দিয়ে পৌছে দিয়ে তারপর পুরো কলোনী একটা চক্কর মারি। হাঁটতে ভালো লাগে তাছাড়া বৃষ্টির খোঁজে নেমে পরি ভেজা রাস্তায়। শিউলী গাছের নিচে পড়ে থাকে ঝরা শিউলী, বৃষ্টিতে মাখামাখি তবুও বদ বেটির রূপের সীমা নাই। শুভ্রতা রূপ নেয় শুদ্ধতায় মনটা পবিত্রতার ছুঁয়ায় ভরে থাকে এবেলা।

৯। এই ছবিটিও ব্যাংকের ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তোলা। একটা তুললে মন ভরে না। তাই দুই তিনটা ক্লিক পড়বেই পড়বে।

১০। দেখে দেখেন ক্যামনে আমার দিকে চায়া আছে, ছবি না তুললে সে অভিমানি হবে তাই আর দেরী না করে ছবি তুলে রাখি। সেও খুশি আমিও খুশি। সেও মরবে না আমার মুগ্ধতারাও মরবে না । ঠিক কইছি নি?

১১। ইহা একটি হাসনাহেনার হাসি। বৃষ্টির পরও সে পাপড়ি মেলে হেসেছিলো। ইহাকে খুঁজিয়া পাই আমি স্কুলের বাগানে। কিন্তু দিনের বেলা ইহার কোনো গন্ধ খুঁজিয়া পাইলাম না যদিও উনি বেশ সুন্দরী তখনো।

১২। ইহা জসীম উদ্দিনের বাড়ির বাগান থেকে তোলা। ইহাকে আমি কাঠবেলী বলে বুলাই। বৃষ্টিতে ভিজে লজ্জাবতী লতার মত চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো দেরী না করে তুলে রাখি উনাকে আমার ছবিঘরে।

১৩। ইহার নাম আমি আজও সন্ধান করিয়া পাইলাম না। যাক নাম দিয়া কি হপ্পে ফ্রান্স । উনি আর ফুটেন না। এতটুকুই উনার সাহস। ইহা আমি স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছিলাম।

১৪। ইহার কাহিনীও এক অই যে বলেছিলাম না ইহাকে আমি অফিসের ফাস্টফুড দোকান থাইক্কা উঠাইছি। দেখেন কেমন ফোঁটা ঝুলে আছে পড়ি পড়ি করে পড়ে না কার না ভালো লাগবে বলেন হুহ ভালো না লাগলে দেখা ফেরত নিমু কইলাম।

১৫। এটি হলো এজিবি কলোনীর বাজারের ফাঁকে একটা নার্সারী থেকে তোলা। কী কারণে বাজারে গেছিলাম অহহো একটা ঝাড়ু কিনতাম, দেখি বৃষ্টিতে ওরা সুন্দরী সাজে দাঁড়িয়ে আছে। ভালো লাগায় ভরপুর সময় আমার। থাকুন বন্দি মন ক্যামেরায়।

১৬। ইহার নাম জানি না কিন্তু। বৃষ্টিতে ভিজে সুন্দরী সাদা জামা গায়ে শুদ্ধতার রঙ ছড়াচ্ছে। স্কুলের বাগান থেকে তোলা ছবি।

১৭। ইহা কলোনীর বাজারের নার্সারী থেকে তোলা। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। হলুদ রাণীর প্রেমে পড়ে গিয়ে ছবি উঠাইছি।

১৮। স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। নয়ন তারা বৃষ্টিতে ভিজে জামাকাপড় ভিজে গেছে ওদের তবুও ওরা সুন্দর।

১৯। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। সাদা জবা রাণী। গন্ধ না থাকলেও চোখে মুগ্ধতা এনে দেয় এই হারামী।

২০। ২ নং কমেন্টে লিখা আছে এই গোলাপী কন্যার কাহিনী।

২১। ইহা স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। আর কিছু কইতে হপে ফ্রান্স?

২২। স্কুলের বাগানের টগর ফুল। বৃষ্টিতে ভিজে শুদ্ধতা ছড়াচ্ছে খুবসে । ভালো লাগে আমার এমন প্রহর। বৃষ্টি ভেজা প্রহর। ভালোবাসি আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সব সৌন্দর্য্যকে। ভালোবাসি আল্লাহকে।

২৩। স্কুলের বাগানের ফুল। আর কিছু কইতাম না হুহ
<img src="https://i.imgur.com/EJw9oNJ.jpg

২৪। এই কাহিনীর সাথে এক নং কমেন্টের মিল আছে । হাহাহাহ আর কইতাম না।

২৫। এই ছবিটি খুবই ভালো লাগে আমার। যেনো তুমি আর আমি ঝুলে আছি ডাল ধরে। প্রেমে প্রেমময়ী তুমি আমি সুখের জলে ভিজছি। মাথাতুলে দেখছি আবার বৃষ্টি ভেজা আকাশটাকে আহা। ভালো লাগার মুহুর্তগুলো আমার। তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে। শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই কইয়েন না আপনার সব পোস্ট একই রকম। কিতা করতাম কন এক জায়গাতেই থাকি খাই শুই। ছবি তোলার লোকেশন আর খুজেঁ না পেলে কিতা করতাম কন। আমি ছেলে হইলে সারা ঢাকা শহর চষে বেড়াতাম আর ফটো তুলতাম। না তুললে পোস্ট দিমু ক্যামনে আপনিই কন।

» আবোল তাবোল……

ও মেঘ তুই ওড়ে বেড়াস ক্যান্ মন সীমানা ঘিরে?
তোর পালকে নীল শুভ্রতা বেঁধে রেখেছিস কি-রে!
মেঘ বলে, এক পালকে রেখেছি তোমার বেদনা
নিলাম ওড়িয়ে দুঃখগুলো, তুমি আর কেঁদো না।
অন্য পালকে সুখের বার্তা দেই ওড়িয়ে হাওয়ায়
নাও কুঁড়িয়ে মুঠো ভরে, এসো চুপি, বসো দখিন দাওয়ায়।

ও সমুদ্দুর তোর বুকেতে কেনো রে এত ঢেউ?
আপন করে কাছে টেনে, নেয়নি বুঝি কেউ!
সমুদ্দুর বলে, তোমার বুকের কষ্ট ঢেউ, আমার বুকে ঝরে
জোয়ার ভাটায় সুখ দুখ্ সমতা তাই, রাখি মনের ঘরে।
আমার মত সুখের জোয়ার ভেসে আসুক বুকে
ভাটার টানে যাক ভেসে কষ্ট, রেখো না তা রুখে!

ও চাঁদ তোর বুকে ক্যান ছড়ানো এত আলো
আমার বুক ক্যান তবে আঁধার করা কালো!
চাঁদ বলে, আলোর দ্বারে এসে মন ভালো হবে তাই
তুমি কষ্ট পেলে দেখবে আমার, আর আলো নাই!
আমি তোমার মন ভাল করা এক আঁধারের ফুল
দীর্ঘশ্বাসের প্রহর তবে, যাও ভুলে যাও বেভোল।

ও গাছ তোর শাখায় ক্যান পাতা’রা, খায় আনন্দে দুল
কারো শাখায় ঝুলতে ক্যান আমার হলো ভুল!
গাছ বলে, সবুজ পাতায় তোমার জন্য, স্নিগ্ধতার রেশ আঁকা
তোমার জন্য কিচিরমিচির কুহুতানে, স্বপ্ন রঙিন রাখা!
কষ্ট সব, দাও রেখে দাও গাছের পাতায় পাতায়
কষ্ট ভুলে মুগ্ধতার ছন্দে, কাব্য লিখো খাতায়।

May 9, 2017 at 10:12 PM

প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)

আমার_দেশ_আমার_অহংকার
ছুঁয়ে দিলেই স্নিগ্ধতা ঝরে পড়ে,
ধানের পাতায় পাতায় কেবল ভোরের শিশিরের খেলা
সাঁই সাঁই হাওয়া এসে কাঁপিয়ে দেয় ধানের শিষ’দের,
মুগ্ধতাগুলো এখানেই ঝরে পড়ে
আর আমার চোখে থাকে সেঁটে।

চোখের ক্যানভাসে এঁকে রাখি সবুজ রঙ প্রলেপে
আমার দেশের পতাকা,
এখানেই ধানেরা দুলে স্বাধীনতায়-সবুজের বুকে উঁকি দিয়ে,
আর সবুজ পাতার বুকে লাল ফড়িঙ উড়ে বসে স্বাধীনতায়,
ক্ষেতের আলে বসে, নাক টেনে শ্বাস নেই স্বস্তির।

২। #জিনিয়া_কাব্য
রঙ গোলাপী কন্যা’রে তুই-নাম কি তোর জিনিয়া
নিয়ে গেলি রঙ ছিনিয়ে-থাকি ক’ কি নিয়া,
সবুজ পাতার বিছনার উপর-রাণী সেজে বসে
যাচ্ছিস বুঝি অহম মনে-রূপের অংক কষে?
বল্ না আমায় ও জিনিয়া
ভাবছিস বসে তুই কি নিয়া?
যৌবন বয়স তাই বুঝি তাই-উছলে পড়ে রূপ তোর
ফুটে থাকিস রঙ দেখিয়ে-একলা তুই রোজ চুপ ভোর।
রূপ বিলাচ্ছিস অহম মনে-বুক ফুলিয়ে তুই কি?
তোকে দেখে হিংসায় মরে-লতানো ফুল পু্ঁই কি?
বল্ না আমায় ও জিনিয়া
মন নিবি কি মোর কিনিয়া?

৩। #শুনো_আমার_টিয়া_পাখি
রেগে গেলে আমায় নাকি-লাগে সুন্দর অতি
শুনে তোমার এমন কথা-হলাম প্রজাপতি।
প্রজাপতি মন যে আমার-উড়ে ঘুরে হাওয়ায়
দেখো তুমি মনোযোগে-বসে দখিন দাওয়ায়।
প্রজাপতি হতে হতে-মন হয়ে যায় পাখি
পাশে উড়তে মন বাড়িয়ে-যাচ্ছি তোমায় ডাকি!

৪। ভাঁটফুল_জীবন
ভাঁটফুলেরও কি ঘ্রাণ আছে! মিষ্টি কি তিতে!
তবুও মেঠোপথ জুড়ে ওরা সাদা আলো জ্বালিয়ে চোখ দেয় ধাঁধিয়ে
এখানেই যেনো গাঁথা আছে আমার জোনাক জ্বলা প্রহর,
ভেজা মাটির পথগুলোতে উঁকি মেরে মেরে ওরা চুপ দাঁড়িয়ে
সুন্দর বিলিয়ে ঝরে পড়ে পাপড়ি-লাল টুকটুকে ফল
পাতায় পাতায় বাসা বাঁধে জোনাক পোকার দল।

৫। ভালোবাসি_প্রভু_তোমার_সৃষ্টি
জল আয়নায় ক্লান্তি ছেড়ে দিয়ে আমি শান্তি কুঁড়াই
এই শহরের ইট সুড়কির পথে হাঁটলেই রোদ্দুর আমায় পুড়ায়-
খুব পুড়ায়-ঠিক দুপুর যখন!
আমি তখনো হেরে যাই না, ঝরা পাতায় চোখ রেখে মুগ্ধতা ছুঁই।
কষ্টগুলো ঝেড়ে ফেলে-গাছের ছায়ায় পথিক হই
আর আমার প্রভুর সৃষ্টির সুন্দর উপভোগ করি নি:শ্বাস টেনে।
এই যে চোখের আলো-আল্লাহ তোমার দান
দৃষ্টিতে দিয়েছো আলো-আর এই প্রকৃতি জুড়ে দিয়েছো মুগ্ধতার রঙ
কি করে বলো চোখ ফেরাই নিরস বদনে!
নীল আকাশ করে দাও কখনো বিবর্ণ
কখনো ভরে দাও নীলে
আবার কখনো শুভ্র মেঘেদের ছেড়ে দাও আকাশের বুকে!

৬। সূর্যমূখী নোস কি-রে তুই -যেনো সূর্যমূখী
হেসে থাকিস ঠাঁয় দাঁড়িয়ে-মুখটি করে সুখি।
হলুদ রঙের শাড়ি পরে-সেজে থাকিস হেসে
যায় না থাকা তোকে বাপু-ভালো’টা না বেসে।
খয়েরি টিপ কপালেতে-হলুদ চুড়ি হাতে
সূর্যমুখী কন্যারে তুই-ফুটিস কি রোজ প্রাতে?
নাম দিলাম তোর হলুদ কন্যা-হলুদ বরণ রঙে
থাকিস সেজে রোজ বিকেলে-চোখ বাঁকিয়ে ঢঙে।

৭। #এসো_বসি_সভ্যতা_ছুঁয়ে
দু’দন্ড শান্তি না হয় এখানেই পেয়ে যাই-
দৃষ্টিতে মুগ্ধতা না থাকলে সব রঙ বিবর্ণ ছাই,
বিকেল ছুঁয়ে চলো বসি শান বাঁধানো ঘাটে
জলে পা ডুবিয়ে-ছুটি দিয়ে সকল কর্ম পাঠে!
ব্যস্ততার নাও খানা দাও ডুবিয়ে দাও এবেলা
মুগ্ধ প্রহর আসে না হরপল-করো না অবহেলা।
মুগ্ধ হয়ে তাকাও
মনে এক লহমা সুখ আঁকাও
বন্ধ চোখে দেখো তুমি আমি ফিরে যাই সেই সভ্যতায়
এখানে নেই আমি তুমি-সেই সেই রাজকুমার তুমি
বেঁধে রেখেছো আমায় প্রেম সূতায়!

৮। #মুগ্ধতা_আনো_চোখে
এই যে ফুলটবে আগাছা ফুল ফুটে আছে
আহা এইটুকুনই আমার মুগ্ধতা
ওর কোনো ঘ্রাণ নেই-নেই রূপের আস্ফালন
ওর গায়ে মাখানো শুধু স্নিগ্ধ সজীবতা।

কি আর আছে জীবনে বলো-যদি না থাকে চোখে মুগ্ধতা
বিত্ত বৈভব ঠেলে আগানো পথ কতটা সুখকর হয়?
গায়ের ঘাম ঝরিয়ে,এক দুই আনা জমিয়ে-
ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলে ফেঁপে একাকার-
জীবনের সুখসময়, করে ক্ষয়।

৯। তুমি_আমি_গামারি_ফুল
পাতা নড়ে জলের ফোঁটায়-জলে ভাসে ফুলও
থাকলে তুমি পাশে আমার-হারাই না আর কূলও!
এই যে পাশে আছো ঘেঁষে-আমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আমায় ফেলে যাবে আরও-এখান’টাতে থুয়ে?
আমি তুমি গামারি ফুল-ফুটে থাকি পাশে
হলুদ রঙের বসন ভূষন-সবুজ পাতা হাসে।

১০। আবোল_তাবোল_ইচ্ছে
লাল ফড়িংয়ের দেশে লো-নীল ফড়িংয়ের দেশে
কে কে যাবি সঙ্গে আমার-আয় না হেসে হেসে লো
আয় না হেসে হেসে!
সবুজ ঘাসের ডগায় ডগায়-ফড়িং বসে রোদ পোহায়
বুনোফুলের ঘ্রাণে মাতাল-কি মায়াবী মোহ হায়…
যাই ভেসে যাই সুখে লো
আমি যাই সুখে যাই ভেসে।
এই যে আমার সোনার দেশে বৃক্ষ তরুর ছায়ায়
সুখাবেশে ধরে রাখে খুব মায়ায় লো
রাখে ধরে খুব মায়ায়।

» নীল আকাশ ভালোবেসে……

=আকাশ ভালোবেসে হই সুখি=

নিবিড় আলিঙ্গনে পাতারা জড়িয়ে রাখে আকাশের ছায়া,
পাতার ফাঁকে অদ্ভুত নীল চাতালে রঙধনুর রঙ, আহা কী মায়া!
কত বিষাদ ছুঁয়ে থাকে মন, কত বিষণ্ণ ক্ষণ থাকে ঠোঁট ছুঁয়ে
কত একাকিত্ব, কত হাহাকার কত বিতৃষ্ণা চোখে পড়ে নুয়ে,
সব ধুলিসাৎ হয়ে উড়ে যায় নিমেষে, এক ঝলক আকাশে তাকালে
আর আমি তাকালেই, পাতারা নৃত্য তুলে হাওয়ার তালে তালে।
বুক আকাশে জমানো বিষাদের কালো মেঘ কেটে যায় নিমেষে
আকাশভর্তি নীল, আর রঙধনু রঙ চোখে পোরে থাকি সুখাবেশে।
এই তো জীবন আলতো কষ্ট, অঢেল সুখ নিয়ে বেঁচে থাকা,
আকাশে অথবা মর্ত্যে কত সুখ স্বপ্ন আছে আঁকা।
যে আকাশ ভালোবেসে ঠাঁয় তাকিয়ে নেয় নিঃশ্বাস, কষ্ট উড়িয়ে,
তার জীবন জুড়ে উচ্ছ্বাস, মুগ্ধতা,
সে নেয় বেঁচে থাকা, ভালোবেসে জীবনটাকে জুড়িয়ে।
(এপ্রিল ১৯/২০১৯)

=এই শহরের আকাশে=

এই শহরের আকাশে নিভৃতে জ্বলতে থাকে
আকাশ আলো করে নিশুতির চাঁদ,
ব্যস্ত মানুষগুলা হাঁটে হন্তদন্ত, চাঁদের খবর আর কে রাখে!
এই শহরের পথেঘাটে পাতা আছে ব্যস্ততার ফাঁদ!

আলোর ঝলকানি চারিদিকে, এনার্জি অথবা নিয়ন আলোয়
পথ চিনে নেয় পথিক, প্রয়োজনহীন চাঁদালোর প্রহর,
এখানে সুখি মানুষরা নিজ স্বার্থে পথ হাঁটে, কাটে ক্ষণ ভালোয়,
চাঁদের আলোর পানসে পথে জেগে থাকে রাতভর শহর।

পথের বাঁকে পথ হারিয়ে কেউ খুঁজে না চাঁদ আলো
বিদ্যুৎ আলোয় পথের পথ কেবল সেজে থাকে,
অলিগলি রাজপথ ঝকঝকে, নেই কোথাও কালো,
আমি কেবল আলো খুঁজে মরি পথের বাঁকে বাঁকে।

উর্ধ্বমুখি হই, চাঁদ হেসে বলে, আছি তোর সঙ্গে
হেঁটে চলে চাঁদ যতদূর যাই, ক্লান্তি ভ্রান্তি ঠেলে,
খুব উড়ে যেতে ইচ্ছে করে, মিশে যাই ইচ্ছে চাঁদালোর রঙে,
ইচ্ছে লাগে আমার, একাকি উড়ি চাঁদ ছুঁয়ে ডানা মেলে।
(এপ্রিল, ১৮/২০১৯)

» জীবন গদ্য (ফেলে আসা দিনগুলো)

কাপড়ের পুতুল কালো সুতোর চুল। রঙবেরঙের শাড়িতে সাজিয়ে গুছিয়ে পুতুল কন্যা শুইয়ে রাখতাম কাগজের বাক্সে। কাপড়ের কিংবা মাটির পুতুলেই আমাদের আনন্দ ছিল। আমরা তাই নিয়ে সুখি ছিলাম, উচ্ছ্বল ছিলাম। পুতুলের কাঁথা বালিশ সুতো তুলো দিয়ে সেলাই করা প্রহর আর এখানে নেই। আমাদের বিকেল কেটে যেতো খেলনা রান্নাবাটি খেলে কিংবা পুতুল বিয়ে বিয়ে খেলায়। লাল ইট বাটা মশলা আর বালির ভাতের প্রহরগুলো নাগালের বাইরে এখন,অতীত ঘাটলে রোমাঞ্চিত হই আর ভাবি তোমাদের প্লাস্টিকের পুতুল, টেডি বিয়ারের যুগে তোমরা ঘরে বন্দি থেকেই সুখ কুঁড়াচ্ছ। তোমরা ন্যাকা ভাব ধরে টেডি জড়িয়ে শোও, তোমাদের সাক্ষাৎকার নিলে তোমরা টেডি কোলে বসিয়ে কথা বলো। তোমাদের যুগ বড্ড ন্যাকা যুগ।

মুঠোফোনের পর্দায় চোখ যেটুকু সময় পাচ্ছো, কিংবা টিভির পর্দায়। তোমরা শুদ্ধ হাওয়ায় উড়তে জানো না, শিখো নি কিভাবে উচ্ছ্বাস কুঁড়াতে হয়। হাতে গোনা কয়েক বন্ধু নিয়ে গড়ে নিয়েছো তোমাদের পৃথিবী। আমাদের মন ছিল দোয়েল পাখি। চঞ্চলতার অপর নাম খঞ্জন পাখি ছিল আমাদের যুগ। আমরা প্রেম শিখিনি যে বয়সে সে বয়সে তোমরা আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ মুখে ফেনা তুলে ফেলো। তোমাদের মুখে অশ্লীল কথাগুলো হড়বড় করিয়ে বেরিয়ে পড়ে, তোমাদের লজ্জাহীন পৃথিবীতে বড্ড লজ্জা পাই।

পথে হাঁটলেই কানে গরম শিশা গালানোর মত কিছু শব্দ উড়ে এসে কান ঝাঁঝাঁ জ্বালিয়ে দেয়। তোমাদের ভাষা শুনে আতংকে কেঁপে উঠি। তোমরা সিক্স সেভেন এইটে পড়া বাচ্চা, তোমাদের ঠোঁট হতে ঝরে পড়ে মুহুর্মুহু অশালীন ভাষা। তোমরা বলো জায়গা মতো ফেললে চার পাঁচ বাচ্চার বাপ হয়ে যেতে উহ্,কি বীভৎস তোমাদের যুগ। তোমাদের কচি ঠোঁটে নিকোটিনের ধোঁয়ার কুণ্ডুলি। তোমাদের আদব কায়দা কিছুই নেই অবশিষ্ট। পথে হাত ধরে হাঁটো প্রেমিকার। তোমাদের ভয় নেই অথচ আমাদের মায়ের বকুনির ভয় ছিল, সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে হতো। আমাদের কাপড়ের পুতুল যুগ ঢের ভাল ছিল।

সময়ের হাত ধরে পথে আগাই,ফুলেল সময় যায় চলে যায়, ফাঁকি সব ফাঁকি। রঙ বেরঙের প্রজাপতি রঙ চোখে,ঠোঁটে কানে গলায় আর দুটো হাতে ঝুলে থাকে, আহা সাজন পাতন, মনে বেড়ে যায় উচ্ছ্বাস, সুখে থাকার উচ্ছ্বাস। রঙধনু রঙ চুড়িগুলো রিনিঝিনি বেজে উঠলেই মনে কেমন সুখ সুর অনুরণন বেজে উঠে!

এই মেলা সেই মেলা, ফুটপাত কি পথের বাঁকে, সাজানো কাঁচের চুড়ির প্রহরগুলো যেনো মনাকাশে নাটাইয়ের সূতো ছেঁড়া ঘুড়ি, এটা দিন ওটা দিন লাল নীল সবুজ সব দিন সব দিন, হাতে পড়িয়ে দিন, এই যে বাড়ালাম দু’হাত-চুড়িওয়ালী পরম মমতায় চুড়ি পরাতে পরাতে বকবক করে বলতেই থাকে আহা এই রঙে মানায় গো বুজি আপনার হাতে এইগুলি নিন এগুলোও নিন, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে কেনা হয়ে যায়, হয়ে যেতো শত সহস্র চুড়ি। জমে জমে পাহাড়!

চুড়ি চুড়ি চুড়ি ড্রেসিং টেবিলের কাঁচের আয়নার ফাঁকে উঁকি দিয়ে দেখলেই বুকে হাহাকার উড়ে। সেই হাত চুড়ি ভরা হাত সময়ের ফেরে পড়ে আজ শূন্য! সময় বড় ব্যস্ত করে ফেলেছে আমায়। কিছুই আর করা হয়ে উঠেনা, সাজগুজ খাওয়া বিশ্রাম সবই যেনো ছুটে যাচ্ছে আমায় ছেড়ে। হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি না উচ্ছ্বাস সময়, মুগ্ধতা হারায়, যায় হারিয়ে ফিরে দেখি আয়নায় আবছা আলোয় আমি ফুরিয়ে গেছি। আর ভাল্লাগে না। চুড়িগুলো আজ অবহেলায় পড়ে আছে কাঁচের বাক্সে কিংবা রঙ বাহারি ঝুড়িতে। স্মৃতি হবে ওরা, স্থান হবে একদিন ময়লার ঝুড়িতে। কষ্ট হয় বড়, বড় কষ্ট মনে আজ।

একদিন মন নদীতে হেমন্তেও ফুটবে কাশফুল…….

©কাজী ফাতেমা ছবি

দুলে উঠা কাশফুল ঝরে গেছে-চেয়ে দেখো,
এখানে এখন বিবর্ণ আকাশ-বেলা পড়ে আসে খুব তাড়াতাড়ি
তুমি ফিরে যাও-নি বাড়ি, কেমন যেনো গোমট হাওয়া
বাড়ি বলতে বুঝে ফেলো-না, রান্নাবাটি সংসার খেলা!

ফাঁকা শূন্য ভিতরবাড়ি-খাঁ খাঁ বিরানভূমি
কাক’রা এসে বসে থাকে মনের শাখে শাখে,
সুখ সুর অনুরণন কই আর বাজে-বেসুরো সুর রোজ রোজ;
শুনে শুনে পার করে দেই সকাল থেকে সন্ধ্যা।

দূরত্ব বেশ বেড়ে গেছে তাই-না?
ইচ্ছে করলে এখনো মনে ফেলতে পারো ভালবাসার নোঙর!
ইচ্ছে করলে এখনো বসতে পারো পাশে সমঝোতায়!
ইচ্ছে হলে এখনো গাইতে পারো সুখ সুখ গান
হাসতে পারো-গুমরো মুখে কত আর শুনি!
কেবল দিন গুনো না-হতাশা গুনো তো?
উদাস হাওয়ায় মন থুয়ে দেই ইচ্ছে
নিয়ে যাক ভাসিয়ে -যেথায় ইচ্ছে সেথায়!

দীঘির জলে হাঁসের মত ভাসতে ইচ্ছে, ডুবে যেতে ইচ্ছে
ভেজা বসনে দীঘির পাড়ের ঘাসে বসে যদি একটু ভারী নি:শ্বাস নিতাম
তবেই কি দীর্ঘশ্বাসগুলো ঝরে যেতো স্বচ্ছ জলে?
এখানে আর মেলা বসে না-এখানে কেবল শূন্যতা-নিরিবিলি
কথার পিঠে কথাদের যুদ্ধ হয় না-কথা হারিয়ে গেছে কালের ডহরে।

পেটের ভিতর কি-যে এক বিষণ্ণতা-ডুক গিললেই তিতে স্বাদ,
এত কাছাকাছি-তবু এত বিভেদ রেখা কপালে তোমার, কপালে আমার,
কাছে থেকেও দিলে না ভালবাসার সম্মতি!
আমাদের ঘরের ভিতর ঘরগুলো ভিন্ন হয়ে গেলো
একদিন হ্যামিলনের বাঁশি অ’লা এলে আমাদের বিজাতীয় রাগগুলো
বাঁশি অলার পিছন লেলিয়ে দিবো…….

সেদিন দেখবে, এই হেমন্তেও মন নদীর কিনারে কাশফুল ফুটেছে
দুধ সাদা ফুল পবিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে কেনো নও রাজী?
November 8, 2017 at 11:45 PM