এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

সকালের হাওয়ায় এক কাপ চা

2795aa

কী শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, মিহি হাওয়া
এক টুকরো রোদ্দুর দখল করেছে দখিন দাওয়া,
চা এক কাপ হলে হয় না মন্দ,
মনের খাতায় উড়ে আসুক সুর ছন্দ।

অলিখিত কাব্যগুলো জমা পড়ে থাক্ মনে,
প্রেম হয়ে যাক এবেলা চায়ের সনে,
কিচিরমিচির সুরে উদাস এ মন,
চায়ে চুমুক দিলেই দেহে সুখ শিহরণ।

রোদ আর ছায়া, আকাশে কিছু কালো মেঘ
পাতার কাছে রাখি জমা সুখের আবেগ,
চা এক কাপ হাতে, ভাবনার জগতে হারাই,
দেহ মনে রাতের ক্লান্তি নিমেষেই তাড়াই।

পূবের সূর্য উপরে উঠে,
ফুলেদের ঐ নিদ্রা টুটে,
এবেলা নামতো যদি ঝুম বৃষ্টি
চা খাওয়াতে হত আরও আনন্দ সৃষ্টি।

দিনের বুকে বাড়ে উষ্ণতা ধীরে,
রোদোত্তাপ ধরলো আমায় ঘিরে
চায়ের ইতি ঘটলেও রেশটুকু যায় রয়ে,
কত কর্ম ডাকে হাত বাড়িয়ে, সময় যে যায় ক্ষয়ে।

সকালটা কাটে ভালোয় ভালোয়,
দিনের বুক যদি থাকে ভরা স্বচ্ছ আলোয়
ভালো লাগে, আরও লাগে ভালো এক কাপ চা খেলে,
সকল সুখে সুখী আমি, উড়ি ডানা মেলে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

থাকবো বসে একা একা

27902

থাকবো বসে নিরিবিলি
গোধূলিয়ার পাড়ে,
চাই না বসুক কেউবা এসে
ছুঁয়ে আমার ধারে।

মন বিষণ্ণ হলে আমার
ইচ্ছা একলা থাকি,
কাঁদি বসে আপনজনদের
চোখ ‘কে দিয়ে ফাঁকি।

দুঃখ বাটি সন্ধ্যার সাথে,
গোধূলী হয় বন্ধু,
প্রকৃতির সাথ থাকলে মনে
শান্তি তেরো সিন্ধু।

মন বিষাদে থাকলে পূর্ণ,
ভাল্লাগে না কিছু,
মন্দ সময় অযথাই
নিলো আমার পিছু।

গোধূলির রঙ মনে মেখে
থাকবো বসে একা,
বিষাদের ঘাম কপালেতে
টানে দুঃখ রেখা।

ভালো লাগে বিকেল আলো
ভালো লাগে হাওয়া,
এক গোধূলি নরম ছোঁয়া
আপন করে পাওয়া।

সন্ধ্যা আসুক নেমে ত্বরা
ফিরবো একা হেঁটে,
কী আর হবে একা একা
রাতের আঁধার ঘেটে!

খোঁপায় আমার দাও গুঁজে দাও সূর্যমুখী ফুল

2791

সূর্যমুখীর প্রেমে মশগুল এবেলা, হলুদ আভায় মাতোয়ারা;
আমার সূর্যমুখী দিন… বুক চুয়ে বইছে সুখের ফোয়ারা;
এই শুনো না, খোঁপায় দেবে গুঁজে হলুদ রাঙা সূর্যমুখী?
এমন উদাস বেলা হয়ে যেতাম নিমেষেই সুখী।

মন কেঁপে উঠে বাপু, আমি পারবো ছিঁড়তে ফুল;
তুমি বুঝো না ভুল,
গুঁজে দাও চুলে সূর্যমূখী, হলুদ শাড়ীতে সেজেছি আজ
এত ব্যস্ততা কীসের তোমার, রেখে এসো কাজ।

চলো হলুদ বিকেলের বুকে হাঁটি, পা ছুঁয়ে যাক ঘাস
অথবা শুকনো পাতা… না আসলে তুমি উঠবে বুকে দীর্ঘশ্বাস
একটি কথা শুনে যাও, মন বড্ড ফুরফুরে আজ
চারিদিকে যেন বাজছে ফাগুন কুচকাওয়াজ।

মনের তারে উঠেছে সুর, প্রেম বাজে বেদম;
চলো হাঁটি হাতে হাত রেখে ফেলি কদম;
তুমি কোথায় বলো তো, কোন সে স্বপ্নে হয়ে আছো আচ্ছন্ন
এক বিন্দু সময় কী নেই আমার জন্য।

সূর্যমূখীর বাগে ফুটেছে কত হলুদ রাঙা ফুল;
এত সুন্দর দেখছো না কেন, পাই না ভেবে কূল।
হলুদ আলোর বিকেল, হাওয়ার রঙও কী হলুদ ?
আহা একটি গোধূলী ক্ষণ কী হলুম মিষ্টি রোদ।

মনে আমার উথাল পাথাল ভালোবাসা,
আর তোমার মনে কিনা যন্ত্রে ঠাসা;
এত কিছুর আয়োজন কীসের তরে বন্ধু
মনে তোমার সুখ, মুগ্ধতা কী আছে এক বিন্দু?

(ক্যানন ৬০০ডি, ঢাকা)

তোমার মনটা কেন আকাশ হয় না

28053

এমন কেন তু‌মি, পাথ‌রে গড়া যেন মন
‌প্রেম ভা‌লোবাসায় দেহম‌নে উ‌ঠে না প্রেম শিহরণ;
মন তোমার মে‌ঘের মত হয় না, তু‌মি পাথর,
অ‌ন্যের অ‌ভিমা‌নে ব‌্যথায় হও না একটুও কাতর।

এক‌দিন সময় ক‌রে এক‌টি বি‌কেল ‌দি‌য়ো
‌তোমায় আ‌মি আকাশ দেব প্রিয়,
আকা‌শে তা‌কি‌য়ে মুগ্ধ হ‌তে ‌শেখা‌বো,
আমার ম‌নের প‌টে তোমা‌কে ‌দি‌য়ে প্রেম আঁকা‌বো।

এক‌দিন আমায় দি‌য়ো এক‌টি দুপুর,
শুনা‌বো মর্মর সুর পা‌য়ে প‌রে শুক‌নো পাতার নূপুর;
হাস‌তে ‌শেখা‌বো এক‌দিন, দুপুর ছু‌ঁয়ে যে‌দিন থাক‌বো দুজন
‌তোমা‌কে শুনা‌বো ম‌নের শা‌খে কী ক‌রে ডা‌কে প্রেম কুহু কুজন।

এক‌টি সন্ধ‌্যা দি‌য়ো আমায়,
তোমায় নি‌য়ে হাঁট‌বো দূর বহুদূর, থাম‌বো সময় যেথায় নি‌য়ে থামায়
‌তোমার মন প‌টে গোধূলী র‌ঙ দি‌য়ে দেব প্রেম এঁকে
তু‌মি নির্নিমিখ দৃ‌ষ্টি‌তে যে‌য়ো গোধূলী আকাশে ‌দে‌খে।

এক সন্ধ‌্যা আমার না‌মে ক‌রে দি‌য়ো প্রিয়,
রূপালী আ‌লোর ঝর্ণায় আমার মন কে‌ড়ে‌ নি‌য়ো,
ভা‌লো‌বে‌সে ব‌লে দি‌য়ো ভা‌লোবা‌সি
চা‌ঁদের আ‌লোয় কী দেখ‌তে পা‌বে ঠো‌ঁটে আমার মুগ্ধ হা‌সি?

এক‌টি ভোর দেব তোমায়, দেখা‌বো র‌ক্তিম আ‌লোর খেলা,
তোমার ম‌নে ব‌সি‌য়ে দেব প্রেমের মেলা,
‌তোমা‌কে বদ‌লে যা‌বে মন তোমার হ‌বে প্রশস্ত
য‌দি তু‌মি আকাশ দে‌খো, দে‌খো সূর্যোদয় আর সূর্য অস্ত।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

প্রকৃতির কাছেই যেতে চাই ফিরে

1609

নদীর কা‌ছে যে‌তে চাই বি‌কে‌লের আ‌লোয়;
যে‌তে পারতাম য‌দি! কে‌টে যেত হয়‌তো ভা‌লোয়;
যেখা‌নে আমার নাড়ী গাঁড়া…
সেখা‌নে ফি‌রে যে‌তে মন পাগলপাড়া।

‌ফি‌রে যে‌তে চাই বয়সী বটবৃ‌ক্ষের ছা‌য়ে
ফি‌রে যে‌তে চাই, ভাস‌তে চাই উথাল হাওয়ার না‌য়ে;
যেখা‌নে প্রজাপ‌তি ফ‌ড়িঙ‌য়ের ওড়াউ‌ড়ি
‌যেখা‌নে পা রাখ‌লেই মন হয় সাত রঙা ঘু‌ড়ি।

আহা আমার ছা‌তিম তলা, দুধ সাদা ফুল ঘ্রাণ
আহা আমার ধান ছড়া‌নো উ‌ঠো‌নে সেই সুভা‌সিত অঘ্রাণ
সবই কেন অতীত খে‌য়ে ফেল‌‌লো,
আমায় ক‌ঠিন হ‌তে ক‌ঠিনতর সম‌য়ে ঠেল‌লো।

বা‌লিচ‌রে হাঁট‌তে ফি‌রে যে‌তে চাই খোয়াই নদী,
যেখা‌নে নির্মল হাওয়া বই‌তে থা‌কে নিরব‌ধি
‌ক্ষে‌তের আল, দূর্বাঘাস আমায় বড় টা‌নে,
ফি‌রে যাওয়ার কী আকাঙ্খা, কী অদ্ভুত টান প্রা‌ণে।

‌বিশৃঙ্খল নগরীর বু‌কে কেবল হাহাকার জমা
সময় কেন আমায় ক‌রে‌নি ক্ষমা,
এখা‌নে স্বাধীনতাগু‌লো খে‌য়ে ফে‌লে‌ছে উই‌‌পোকা,
অ‌নিচ্ছার ভি‌ড়ে হা‌‌রি‌য়েছে ই‌চ্ছেগু‌লো পাথর চাপা ‌দি‌য়ে
ব‌নে আ‌ছি বোকা।

‌শৈশ‌‌বের ভোর, মক্ত‌বের মধুর সুর
ইউ‌নিফর্ম গা‌য়ে জড়া‌নো পালা‌নো দুপুর, সবই দূর বহুদূর;
ফি‌রে পে‌তে চাই, ‌কৈ‌শো‌রের ডানা মেলা দিন,
আজ এখা‌নে ছু‌ঁয়ে আ‌ছি কতই না দুর্দিন।

‌ফি‌রে পে‌তে চাই আমার দো‌য়েল শা‌লি‌কের ছানা
‌ফি‌রে পে‌তে চাই তারু‌ণ্যের অবাধ স্বাধীনতার ডানা;
এখা‌নে কেবল পরাধীনতা, অ‌ন্যের ই‌চ্ছে‌তেই হয় চলা,
এখা‌নে ‌কেবল কটু কথার ঝড়, আর শা‌ন্তি ছি‌নি‌য়ে নেয়ার ছলাকলা।

ফি‌রে যে‌তে চাই তালপুকু‌রের পা‌ড়ে, স্বচ্ছ জল ঘা‌টে,
মত্ত হ‌তে চাই সেই ‌শৈশ‌বের মা‌র্বেল খেলার পা‌ঠে;
এখা‌নে ইট সুর‌কির পথ, এখা‌নে যানজট বিশৃঙ্খলা,
এখা‌নে সু ই‌চ্ছেগু‌লো ক্ষমতার চা‌‌ঙেই ‌তোলা।

‌ফি‌রে পে‌তে চাই আমার কৈ‌শো‌রের দিন, তারু‌ণ্যের খঞ্জন বেলা
এখা‌নে কেবল আমার জন‌্য জমা অব‌হেলা
আমার প্রজাপ‌তি দো‌‌য়েল প্রহর……আয় আয় নি‌য়ে যা এ‌সে
‌যে‌তে চাই আর একবার শৈশ‌বের হাওয়ায় ‌ভে‌সে।

ভালোবাসার কাব্য

to443

ভালোবাসার একটি নীড় চাই… যেখানে হাসি খুশি খলখলানি
সুর কলরব, যেখানে নেই বিতৃষ্ণা, বিষাদের ছোঁয়াছুঁয়ি
ভালোবাসার একটি নিরিবিলি প্রহর চাই
যেখানে অশান্তির রেশ নাই।

একটি নীড় চাই শান্ত নিরিবিলি
যেখানে ভালোবাসার স্পর্শ আছে, আছে সুখ অনন্ত
হৃদয় বাড়ী ভরা স্বস্তির আলো…
এমন একটি নীড় চাই যেখানে থাকবে না কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব।

যে নীড়ে অলীক ভালোবাসারা উড়ে, যেখানে সুখ সুখ হাওয়া
যেখানে অনায়াসে খোলা যায় মন দাওয়া
সে নীড় চাই, বন্ধু এ আবদার করবে কি রক্ষা?
দাও নীড় দাও প্রেমের, চাই নাতো কিছু আর।

জীবনভর ঝগড়াঝাটি মনোমালিন্য উফ কার লাগে ভালো;
কে চায় মনের বাড়ী হরদম থাকুক কালো;
মনের সীমানায় এঁকে দাও প্রেম রেখা,
যে রেখা বরাবর তোমার মন থাকে, মন ছুঁতে চাই।

কী এক বাস্তবতা, যেখানে শুধু দুষাদুষি,
কৈফিয়ত তলব, ব্যাখ্যা তলব উফ চাই না এমন নীড়
সে নীড় চাই যেখানে ঝগড়াও চলবে, থাকবে ভালোবাসার ছোঁয়া,
চাই সেই নীড়, যে নীড়ে বন্ধুর বুলি মধুর মতন।

চাই এমন নীড়, যেখানে চাঁদের আলো উপচে পড়ে
উঁকি দিলেই আকাশ দেখা যায়,
যেখানে দূর্বাঘাসের ছড়াছড়ি, যেখানে বসে অনায়াসে
পার করে দেয়া সকাল দুপুর বিকেল।

চাই মাটি ছুঁয়ে থাকি, চাই অথৈ হাওয়া আমাকে ছুঁয়ে দিক
চাই স্যান্ডেল জোড়া খুলে রেখে হাঁটি আনমনা,
সঙ্গে তুমি থাকলে, কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলে উঠলে
অজস্র ভালোবাসার কথা, তেমন একটি নীড় চাই বন্ধু।

যেখানে ভালোবাসি বলা যায় অকপটে,
যেখানে বসে আঁকা যায় প্রেম মনের পটে,
তেমন একটি শান্ত নীড় চাই, তুমি আমি আর দুটো পাখি,
সুর কলরব হাসি কান্নায় ভরপুর
আমাদের হয়ে উঠতো একেকটি সকাল দুপুর।

ঈ‌দের হাওয়া বই‌ছে যেন

9102-780x470

নাজা‌তের দিন যায় যায়, যায় ঐ চ‌লে,
আস‌ছে ঈদ আহা, কী সুখ তরঙ্গ ম‌ন নদী‌তে;
ঈদ মা‌নেই আনন্দ, হা‌সিখু‌শি দিন
‌সেমাই পা‌য়েস আর বি‌রিয়া‌নির মৌ মৌ ঘ্রাণ।

এক কাতা‌রে দা‌ঁড়ি‌য়ে আল্লাহু আকবার ধ্ব‌নি,
‌কে ধনী কে গরীব, থা‌কে না ‌দ্বিধা আর,
কোলাকু‌লি আর হাত মিলা‌নোর দৃশ‌্য
পু‌রো বছ‌রের মা‌ঝে ঈদই নি‌য়ে আ‌সে এমন
অভূতপূর্ব দৃশ‌্য।

‌শ্রেষ্ঠ ধর্ম আমার, আলহামদু‌লিল্লাহ
দু‌টো খু‌শি বছ‌রে আ‌সে, পাড়া মহল্লায় সুর সুরাসুর
‌ভে‌সে আ‌সে আনন্দধ্ব‌নি,
সু শৃঙ্খল প্রতি‌টি ঈ‌দের জামাত, ছোট বড় শিশুরা
সবাই এক কাতা‌রে দা‌ঁড়ি‌য়ে আল্লাহর ‌ধ‌্যা‌নে রত।

নতুন বসন গা‌য়ে ছোট শিশু‌দের কোলাহল
খাবা‌রের নানা আ‌য়োজন, ব‌্যতিব‌্যস্ত গৃ‌হিনীরা
‌রান্নাবা‌টির খেলাঘ‌রে টুংটাঙ সুর,
প্লে‌টে প্লে‌টে তু‌লে রাখা হয় আনন্দ আ‌য়োজন।

ঈদ ভু‌লি‌য়ে দেয় পূ‌র্বের জিদ
‌হিংসা, লোভ আর লালসা, ঈর্ষা ভু‌লি‌য়ে শে‌ষে
ঈদ নি‌য়ে আ‌সে এক সমুদ্দুর সুখ মানু‌ষের ম‌নে;
সবাই যে যার মত ছোট অথবা বড় আ‌য়োজ‌নে
বরণ ক‌রে নেয় খু‌শির এই দিন।

আহা ঈ‌দের হাওয়া ভে‌সে আস‌ছে আমার দ‌খিন দাওয়ায়
অ‌পেক্ষায় রই উন্মুখ, আকা‌শের নি‌চে ভে‌সে উঠ‌বে
বাকা চাঁদ হা‌সি……
ঈ‌দের চাঁদ বড্ড ভা‌লোবা‌সি… ঈদ মোবারক ব‌লে উঠ‌বো
আমরা ক’জনা সমস্ব‌রে। আলহামদু‌লিল্লাহ।

আমার মন খারাপ, তোমাকে ছুঁয় না কখনো

538

তুমি ভালোই থাকো, আমার মন খারাপ তোমায় যায় না ছুঁয়ে;
তোমার মন খারাপের রঙ আমার চোখ ছুঁয়ে যায়;
কতটা কাছে তুমি অথচ অনন্ত দূরত্ব দুজনার মাঝে;
আমার দীর্ঘশ্বাস তাই বুঝি তোমাকে দেয় না নাড়া
তুমি উঠো না ব্যথায় কেঁপে।

তুমি সমুদ্র হতে যদি, আমি হতাম গাংচিল
উড়িয়ে নিয়ে যেতাম তোমায় প্রেম পুরীতে,
যেখানে রোমাঞ্চকর হাওয়া বইতে থাকে নিরবধি;
তুমি কী তবে চাও আমার মন খারাপ হোক?

কেমন যেন জীবন আমাদের, কেউ কারো ব্যথা করি না অনুভব
আমরা সুখী হই তা নিয়ে যা আছে বিত্ত বৈভব;
ভালোবাসাহীন জীবনে মিথ্যে করেও বলা হয়নি ভালোবাসি;
অথবা বলোনি ভালোবাসি; এমন ভালোবাসা মিথ্যে বলতে শিখায়নি।

তোমার নিঃশ্বাস ছুঁতে পারি না, সে নিঃশ্বাসে যেন বিষ ভর্তি;
কষ্ট গিলে গিলে বুক উঁচু পাহাড়, এক সমুদ্র গ্লানিতে
বুকের বামে হয়ে গেল পাথরের গিরি;
মনে মনে বলি আমি ভালো নেই……..
অতঃপর মুখে যাই ভালো আছি খুউব।

তোমাকে নিয়ে থাকাটা উফ কত আর থাকা যায় ভালো
তুমি ছাড়া কে জানে এ কথা, আমরা আকাশ পাতাল
সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে আছি সুখেই যেন;
বাহিরে ভালো থাকাটাই জরুরী, মন থাকুক বিষাদে পূর্ণ
কেউ না জানুক তোমার আমার এমন বিতৃষ্ণার ভালোবাসার কথা।

বিশ্বাস আমাদের নিঃশ্বাস কখনো নিঃশ্বাসকে ছুঁয়ে দেবে না
সময় বলবে না তোরা ভালো আছিস;
এমন বিতৃষ্ণা নিয়েই না হয় কাটিয়ে দেই ইহ’র প্রহরগুলো;
পরকালে চাই না তুমি ফিরে আসো এই জীবনে;
যে মুখে কেবল বিতৃষ্ণার ছাপ।

ভালোবাসার কাব্য

0482447

মনে মনে বুঝি রঙের ফানুস ওড়াও,
প্রেম ভালোবাসা ছাড়া কী দিয়ে মন জুড়াও?
চোখের তারায় আগুন বোম, তুমি কী আতঙ্ক;
জটিল না সরল বুঝি না তোমার মনের অঙ্ক।

এত শত বুঝি না বাপু, আমি প্রেম চাই,
তোমার বুকের ভিতরে পেতে চাই ঠাঁই;
সহজ হও, হও নরম, বদলে যাও এবেলা;
মন উঠোনে এবার বসাও ভালোবাসার মেলা।

এত কিছু খুঁজতে পারবো না, তুমি কানা খুঁড়ো?
মন কেন বুঝো না, নাকি বয়স বাড়লো? হয়েছো বুড়ো;
মনটাকে এমন বুড়ো করে রেখো না বন্ধু
মনে প্রেম আনো তেরো নদী সাত সিন্ধু।

কী যেন ভাবো তুমি কপালে হাত রেখে
আমায় ভেবেই বুঝি মনে বিষণ্ণ ছবি নাও এঁকে;
কী এমন দোয় করে ফেলি, কবিতা লিখি তাই?
আমার ইচ্ছেগুলোকে পায়ে দলতে চাও কেন?
কবিতা ছাড়া যে মনে শান্তি নাই!

সাহিত্য চর্চা করলেই কারো হয় কী ক্ষতি?
বারবারই আমার ইচ্ছেগুলোর পিছনে টানতে বলো যতি!
এ কেমন স্বেচ্ছাচারিতা, তোমার ইচ্ছেতে আমি কী সাঁধি বাঁধ,
ঠোঁট খুললেই আমার, শুরু হয় বিবাদ।

এসব ভুলে যাও আমার সময়গুলো আমাকে দাও;
অথবা কিছু সময় তোমার জন্য আমা হতে তুলে নাও;
মিহি বাক্য ব্যয়ে সময়টাকে প্রজাপতি করে তুলতে পারো;
বন্ধু মনের রঙ প্রেমের রঙে করে নাও এবার গাঢ়।

ঠোঁটে হাসির ফুল ফুটাও
আমার তরে মন ভালোবেসে লুটাও,
আমার ইচ্ছেগুলোর করো মূল্যায়ন,
করো না ফানুসে উড়ে অন্যপুরী পলায়ন।

রঙের ফানুস এমনিতেই কী উড়ে বন্ধু? ওড়ে না;
শুভ সময়ের পিঠে চড়িয়ে তোমায়… রঙ দুনিয়ায় ঘুরে না।
ভালোবাসি বলো, ঠোঁট করো আলগোছে ফাঁক, ছড়াও প্রেম বুলি,
ভালোবাসি বেশুমার কথাটা তোমার জন্যই তবে রাখলাম তুলি।

ভালোবাসার কাব্য

627

চন্দ্র দেখি তারা দেখি, চলো বসি খোলা ছাদে,
বসো নিরব আমি বন্ধু মাথা রাখি তোমার কাঁধে,
চলো না যাই বনারণ্যে, চাঁদের আলো চলো ভাসি,
হও না রাজি দাও না কেন একটুখানি মুগ্ধ হাসি।

শত শত তারার আকাশ, মুগ্ধ হয়ে চলো দেখি,
শুনছো না আর কথা তুমি, বন্ধু তুমি করছো একি!
একটি রাতে না ঘুমালাম তুমি আমি হাঁটবো রাতে
রোমাঞ্চকর সময় হবে চাঁদের আলোয় ধরবে হাতে?

নিরামিষ এক মানুষ তুমি, জানো নাতো হাসতে অল্প
কেমন করে করি বাপু তোমার সাথে প্রেমের গল্প;
চাঁদ চিনো না, কেমন মানুষ, চলো হাঁটি চাঁদনি রাতে,
এই চলো না নিরব রাতে বন্ধু তুমি আমার সাথে।

ঘাসের উপর বসে দুজন চাঁদের আলোয় করবো গল্প
দেবে নাকি আজকে আমায় তোমা হতে সময় অল্প,
রাগ করো না লক্ষী সোনা, একটি রাতে থাকো জেগে,
বলছি বলে যাবো বাইরে যেয়ো না প্লিজ আজকে রেগে।

আকাশ তারা, জলের আয়না, নদীর ধারে বসবে নাকি
যাচ্ছে সময় দিয়ো না তো আজকে তুমি আমায় ফাঁকি
মন দুয়ারে তালা তোমার ডাকলে অথৈ শুনো নাকো;
নইলে আমি একা যাবো তুমি বাপু ঘরেই থাকো।

কী যে সুন্দর চাঁদের আলো, বনারণ্যে আলোয় আলো
একবার এসো হাঁটি বনে লাগবে বন্ধু তোমার ভালো
চোখের ঘুমকে দাও না ছুটি, জেগে থাকো সাথে আমার,
বসিয়ো না মন জমিনে আজকে বন্ধু ঘুমের খামার।

আমি যদি থাকি জেগে কেমন ঘুমাও আমায় ফেলে,
তোমার এমন ভাবটা দেখে মন যে হলো এলেবেলে;
ইচ্ছেগুলো মেরে ফেলো, বিষাদ জমা বুকের ভিতর,
সময়গুলো নিরামিষ হয় দেহ আমার লাগে নিথর।

চাঁদের আলো বসে আহা বলে দিয়ো ভালোবাসি
ভালোবাসি যদি বলি দিয়ো বন্ধু মুগ্ধ হাসি
কান পেতে আজ শুনবে বন্ধু হাওয়ায় বাজে পাতার বাঁশি,
যদি বলো ভালোবাসি পরাবো আজ প্রেমের ফাঁসি।

রোদ পড়েছে প্রজাপতির গায়

2788

রোদ পোহাচ্ছিস প্রজাপতি, ফুলের উপর বসে;
তোর সময়টা কাটছে বুঝি সুখে রঙ্গে রসে?
ভাবনা চিন্তা আছে কি তোর, তুইতো সুখেই উড়িস
দিনদুপুরে পাতায় পাতায় হাঁটিস উড়িস ঘুরিস।

কত রঙের বসন গায়ে, পরে আছিস যে তুই,
ইচ্ছে করে ফুলের উপর তোর মত করে শুই;
ইচ্ছে করে তোর ডানাতে স্বপ্ন গুলো তুলি;
যত বিষাদ আছে মনে এক নিমেষে ভুলি।

প্রজাপতি খাস কি রে তুই? মধু নাকি পোকা
মধুই খাবি পোকা কেন খাবিরে তুই বোকা;
স্বপ্ন রঙা ডানায় করে আমায় নিয়ে যাবি;
তুই ঘুরিয়ে নিয়ে আসিস, রাখি এটুক দাবী।

ভাল্লাগে না মাটির উপর কাঁটা পথে হাঁটি,
বিষণ্ণতা ঝরে মনের ঘামে ভেজা মাটি;
তার চেয়ে ঢের আমায় নিয়ে ঘুরবি বনারণ্যে;
একটুখানি সময় রাখবি শুধু আমার জন্য?

প্রজাপতি উড়িস ঘুরিস ফুলে ফুলে নিত্য,
তোর ঘরে কি জমা আছে অথৈ কড়ি বিত্ত?
টাকা দিয়ে খাবার কিনিস? জামা কিনিস কী তুই,
তোর সাথে যাই দূর কোথাও ইচ্ছে জাগে নিতুই।

প্রজাপতি সময়গুলো আমায় একটু দিবি,
আমা হতে ব্যস্ততাদের তুই কি কেড়ে নিবি?
পেরেশানির এই জিন্দেগী ভাল্লাগে না মোটে,
ইচ্ছে করে তোর মত নেই ফুলের মধু লোটে।

(ক্যানন ডি৬০০, চুনারুঘাট)

ভালোবাসার কাব্য

Screenshot

শুনো বন্ধু শুনো কথা, দুষ্টুমিতে মন ভরেছে,
বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে দেখো, অথৈ বৃষ্টি আজ ঝরেছে;
করো না আর মানা তুমি ভিজবো আমি বৃষ্টির জলে
ছেলেবেলায় যাবো ফিরে একটুখানি ভিজার ছলে।

দাও ছাতাটা উল্টো করে বৃষ্টির পানি ধরবো তাতে
ঠোঁট বাকিয়ে শুনিয়ো না কটু কথা বন্ধু রাতে;
একটুখানি দুষ্টুমিতে কী আসে যায় তাতে বন্ধু?
মনে আমার বাচ্চাপনা জমা আছে তেরো সিন্ধু।

মেঘ জমাবো ছাতার উপর বন্ধু তুমি থাকলে রাজী
খোলা ছাদে তোমায় নিয়ে জলকেলীতে রাখি বাজি;
ভিজাভিজি চলুক না হয়, না হয় যাবো ছেলেবেলায়
অতীত স্মৃতি মনের করে ভাসবো আমরা সুখের ভেলায়।

‌হলামই বা বুড়ো আমরা, মনটা থাকুক একুশ কুড়ি;
চুপ করে রও বলি তোমায়, বলো না কো আমি বুড়ি,
মনটা আমার সবুজ পাতা, মনটা আমার মেঘের মতন
যেমন ছিলাম মেয়েবেলা, এমন মনই পুষি যতন।

ভাব ধরে আজ পারবো নাতো, থাকতে ঘরে, ঝরছে বৃষ্টি;
মনের মাঝে উথাল পাথাল কত ইচ্ছের হচ্ছে সৃষ্টি;
ভিজবো আমি ধরবো ছাতা জমাবো জল ছাতার উপর,
পরবো মাথায় বন্ধু আমি আজকে না হয় বৃষ্টির টোপর।

ধরো না হাত, সুখ শিহরণ মনে জাগাও অল্প তুমি
ভাল্লাগে না হয় না সহ্য তোমার এমন গুয়ার্তুমি;
ভালোবাসায় দাও ভরে দাও সময় আমার প্রেমে ভরা;
বৃষ্টির জলে ভিজবো দুজন কেটে যাবে ব্যথার খরা।

চলো না যাই ছাদের উপর, ছাতা মাথায় তুমি আমি,
আজকে না হয় নিলে মেনে বন্ধু আমার এই পাগলামি।
সর্দি লাগুক জ্বরও আসুক, ফিরতে চাচ্ছি মেয়েবেলায়
যেখানটাতে ভাসতাম আমি বৃষ্টি এলে জলের ভেলায়।

হাত ছুঁয়ে আজ দিয়ো বলে ভালোবাসি বন্ধু তোমায়
চাই না থাকতে রোজই আমি বাস্তবতার বিষের কোমায়;
ভালোবাসি দেব বলে যদি শুনে সুখী হতে;
চলো ভিজি, হ্যাঁ মিলাও গো বন্ধু আমার মতামতে।

ভালোবাসার কাব্য

515678

বিতৃষ্ণায় মন ভরে উঠে, মুখে না দেখলে তোমার হাসি
এমন জটিল মনের মানুষ কেমনে বলো ভালোবাসি;
তোমার চাহনীতে রক্ত ঝরে,
মন থাকে না আর মন ঘরে!

কেমন যেন তুমি
সারাক্ষণই গুয়ার্তুমি;
ভাল্লাগে না কথা বলি, তবুও বলি, কও না কথা,
তোমার সাথে বাক্য ব্যয় অযথা।

তবুও ভাবি ইশ মেঘ যেমন মন তোমার হত যদি,
আমি হতাম তোমার বন্ধু ভালোবাসার নদী;
যে নদীতে প্রেমে ডিঙি ছলাৎ ছলাৎ চলে;
তুমি ছাড়া সে নদীতে খরা, বন্ধু মন আমার জ্বলে।

কী এক অদ্ভুত নিয়মে বাঁধা তুমি আমি
আমাদের সম্পর্ক কাঁঠালের আঠায় আক্রান্ত
ছুটে যেতে চাইলেও পারি না…… জ্বালা ধরা ক্ষণে
কে বলো থাকতে চায় গা ঘেঁষে।

তুমি যদি বদলে যেতে
মন নিতে মন পেতে;
বিষই পুষে রাখো অন্তরে, আমাকে দাও দীর্ঘশ্বাস
এমন করে কী হয় স্বস্তিতে বসবাস?

তুমি বরং মেঘ হয়ে যাও, ভালোবাসার বৃত্তে বন্দি হও
হাসো, মুখটারে রেখো না ফুলিয়ে আর, কও রঙ বেরঙের কথা কও;
বেহুদাই সময়গুলো বুকে পা রেখে হেঁটে যাচ্ছো বিতৃষ্ণায়
তুমি নরম হও, যেমন কাশফুল, তোমাকে এমনই মন চায়।

আকাশ হয়ে যাও অথবা আকাশ দেখো, বুক করো প্রশস্ত,
তোমা কারণ চাই না থাকতে ভীত সন্ত্রস্ত;
আমাকে কান্না দিয়ো না, হাসি দাও অল্প
জীবনের বাঁকে বাঁকে লিখে দাও প্রেম গল্প।

ভালোবাসি কথা যদি বলতে একবার, হয়ে যেতাম সুখী;
নিতাম না আর চুপ থাকার ঝুঁকি
কত কথা গলায় এসে থেমে যায়, তুমি কারণ,
হাসতে গেলেও পাই তোমার মুর্হুমুহু বারণ।

মন কথনিকা

মন কথনিকা-৪০৯৩
আমারই দোষ, ভালো সবাই, আমার কপাল মন্দ,
ঝগড়া করি তর্কের সাথে দেই লাগিয়ে দ্বন্দ্ব,
আমার চোখে জলই থাকুক, কেউ না দেখুক এসে,
চুপই থাকবো, বোবা ব্যথায় গেলামই বা ভেসে।

মন কথনিকা-৪০৯৪
ধৈর্য্য বাড়াও।আরও মাবুদ দাও ক্ষমতা সওয়ার,
দাও খুলে দাও আমার জন্য নিয়ামতের দুয়ার,
বুকে আমার কষ্টের পাহাড়, মনে আক্ষেপ কত,
দয়া করো, বাঁচাও ডাকি তোমায় অবিরত।

মনের আলো যায় নিভে

মনের আলো ধীরে নিভে যায়, অতীত হয় সুখ
জরাজীর্ণতা এসে দাঁড়ায় সম্মুখ;
সময়ের জলে মনের আলো ধুয়ে নিতে নিতে দেখি
সেই কৈশোরের ডানা মেলা দিন.. কাছে আর নেই একি!

যেতে যেতে সম্মুখে ডাকে হাত বাড়িয়ে
তারুণ্য আমার, কানে কানে বলে আবার যেতে হারিয়ে।
সেই পুরোনো ক্যাসেট রেকর্ডার, কেউ কী ফিরিয়ে দেয় সময়!
যা যায়, যেতেই থাকে আর আসে না কাছে, যতই আগাচ্ছি
সময় অয়োময়।

কত ভালোবাসাই আসলো গেলো, সবই গেল নিভে,
সেই সময়কার সুখ, খঞ্জনা মন কে আর আমায় এনে দিবে;
গাছে গাছে স্বর্ণলতা দেখেও কত সুখ মনের কিনারে ঝুলতো,
অতীত স্মৃতি, ছেলেবেলার সুখ আহা কেউ যদি ভুলতো।

সব কিছু পিছনে ফেলে এখানে এসে দেখি কী এক মহাকাল
যাচ্ছে তো যাচ্ছেই দিনগুলো, ব্যস্ততায় ঠাসা বিকেল সকাল;
আগাচ্ছি সঙ্গে নিয়ে জরা, রোগ ব্যাধী,
ভাবি বসে আহা অতীত একবার ফেরত পেতাম যদি।

শক্তিগুলো যায় হারিয়ে, বসলে উঠা যে আর যায় না,
অথচ সেই কৈশোরে ভোঁ দৌঁড়…. হাঁটা চলা বসার কত শত বায়না
এখানে এসে জোর হারিয়ে দেহের……অতীতে তাকাই, সব ফাঁকা,
বর্তমানের ক্যানভাসে দোয়েল প্রহর আর যায় না আঁকা।

অদ্ভুত নৃশংস সময়, লুটপাট করে চলে যায়…. রেখে যায় খরা,
কী কারণে এত শত অপ্রাপ্তি রেখেছি শূন্যের খাতায়,
অন্ধকারে আচ্ছন্ন হতে যাচ্ছে জীবন ধরা;
কোথায় ছিলাম, আছি কোথায়, হারাবো অন্ধকার স্রোতের টানে,
সম্ভব নয়, তবুও কেন মন ফিরে যেতে চায় বারবার অতীতের পানে।