এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

দুচোখে আমার চৈত্রের খরা, নামে না আষাঢ় শ্রাবণ……

আষাঢ়ের শুভেচ্ছা সবাইকে…আমার প্রিয় ঋতু (যদিও সব ঋতুই আমার পছন্দ)

©কাজী ফাতেমা ছবি

আষাঢ়ে বৃষ্টি নামবে সেতো চিরাচরিত নিয়মে
আর মনে যে নামছে হর হামেশা বৃষ্টি, সে খেয়াল কেউ রাখে!
অগোচরে ঝরে যায় ব্যথা হৃদয় চুয়ে চুয়ে
রেখে যায় ক্ষত চিহ্ন…….
বুকের ভিতর ঢেউয়ের পর ঢেউ
আঁচড় কাটে ব্যথার নদী ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে আহ্
তবু হাসছি ভাসছি সুখে,
সুখের খেয়ায় পা রাখি হরদম।

কেউ কি জানে ব্যথার মূল্য কত,
বিকিয়ে দিতে গিয়েও ফিরে আসি
মিথ্যার বেসাতি বসেছে সর্বত্র।

ভালবেসে কাছে টেনে নিয়েও বলে বিনিময়ে আমারও কিছু চাই
নির্ভেজাল মন ভেঙ্গে টুকরো হতে হতে আবার জোড়া লেগে যায়,
মোহের ধরায় আমি শুধু মোহ থেকে বাঁচতে চাই,
তবু টেনে ধরে হায়!

তোমরা জানো কি চোখ দুটো আমার আষাঢ় আর শ্রাবণ!
তবু লেগে থাকে সেথা চৈত্রের খরা,
ঝরে না অঝোর কষ্টের জল
চোখের বর্ষন বর্ষে সেতো গোপনে নিশাকরকে সাথে নিয়ে।

দীর্ঘশ্বাসের বর্ষন তোমরা কখনো টের পেয়েছো!
নিজেকে নিয়ে ভেবেছো কখনো……
বৃষ্টি ঝরে অগোচরে!
ভিতর বাড়ির সকল বাঁকে বাঁকে ব্যথার মোচড় শুধু বর্ষাই ঝরায়।

প্রতিটি হৃদয়ে আছে একেকটা ব্যথার আষাঢ় আর শ্রাবণ
ঝরে নিরবে নিভৃতে শুধু নিজের মাঝে বর্ষন ক্ষণে ক্ষণে
একাকিত্বের জীবনে শুধু আমি নই প্রতিটি প্রাণীই একা
সবারই থাকে কিছু আশা, প্রাপ্তি, অনুভূতি, অনুভব
কিন্তু মেলেনা অংকটা, কারো মনের সাথেই মিল নেই মনের
যার যার এক এক নিজস্ব ভূবনে বাস করে একাকিত্বে কাটায়
শুধু আষাঢ় শ্রাবণে অঝোর জল বর্ষে যায় অন্তরালে,
দুচোখ রয়ে যায় তবু চৈত্রের নদী হয়ে।
June 15, 2016 at 3:37pm • Dhaka

জীবন-ভাবনা-সম্মান……


১।
#জীবন_বড়_অদ্ভুত

জীবন বড়ই অদ্ভুত
অদ্ভুত মানুষের মন
অদ্ভুত মানুষের চলাফেরা
আচার আচরণ।
জীবনের মানে কেউ বুঝে
বুঝে উঠতে পারে না কেউ হয়তো।
বুঝে উঠতে উঠতেই সহসা
ডাকে এসে যায় শেষ চিঠি
মানুষ শুধুই অদ্ভূত হা হুতাশ করে
জীবনের কাছে মানুষ প্রয়োজনের বেশীই চায় বুঝি
এজন্য হতে হয় হতাশ,
এক রাশ হতাশা আর অপূর্ণতা নিয়ে মানুষ পাড়ি জমায়
অজানায় অচেনায় গোর গন্তব্যে।
ভাল থাকুক সব ভাল মানুষ ।
May 22, 2014 at 5:43pm

২।
#ভাবনার_অতলে_ডুব
অজানতেই কখনো হেঁটে যাই পরিচিত কারো পাশ দিয়ে
আনমনা আমি ঠেরই পাই না
কেউ একজন ছিল পাশে যাকে আমি চিনি
খুব করে চিনি, খুব কাছের মানুষ ছিলো।
ভুল হয় একবার
আনমনা থাকে মানুষ কখনো সখনো
কিন্তু আমি এমন কেন?
মিলিয়ে যাই মিশে যাই কোথায় যেন
যার কোন অস্তিত্ব নাই
ভাবনার কোন সীমানা নাই
এ আবার কেমন রোগ?
আমি আমাতেই হারাই বারবার
তাই খুঁজে পাই না গন্তব্য।
May 22, 2014 at 3:19pm

৩।
#নেতা_হতে_চাইনা
কি জীবন পেলে আর
কী জীবন নিয়েই ফিরে গেলে অনন্ত আঁধারে
শুয়ে আছ নিরবে দুয়ার খিড়কি বিহীন ঘরে
শান্তিতে অথবা অশান্তিতে।
অথচ তাবৎ দুনিয়ার মানুষ
তোমার মুর্তি বানিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছে তোমার পায়ে
অথবা নিথর গলায়।
তুমিতো জানতে আমাদের ধর্মে মুর্তিপূজা নিষিদ্ধ!
আর পুষ্প অঞ্জলিও!
তুমি নেতা তাই তোমাকে ওরা পূজা করে,
আর সেদিকে তোমাকে নিশ্চয়ই শাস্তি পেতে হচ্ছে,
অবশেষে তুমি কিছু মুসলিমদের দেবতা হয়ে গেল;
ওরা তোমাকে শান্তিতে শুতেও দিবে না।
আমি মাটির মানুষ,
আমি কখনো নেতা হতে চাইনা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও না
আমি চাইনে কেউ আমায় এভাবে কষ্ট দিয়ে স্মরণ করুক ভালবাসুক।
আমি চলে যাবো নিরবে কেউ জানবে না।
নেতা তুমি অভিশপ্ত জীবন বয়ে বেড়াও এভাবেই,
ফুলে ফুলে ভরে উঠুক তুমিমূর্তি পায়ে….
সেখানে তুমি মুহুর্মুহু আজাবে ভেঙ্গেছুঁড়ে যেতে থাক তাতে কি!
সম্মান স্মরণে তো তোমাকে ওরা মাথায় তুলে রাখছে।
তুমি নিজেকে গর্বিত অনুভব করো… ঠিক আছে!

দুষ্টু প্রলাপ (১-৫)


দুষ্টু প্রলাপ-১
মনে আমার আবির রঙে-রাঙিয়ে দেয় কেউ
দু:খগুলো যায় গো উড়ে-মনে সুখের ঢেউ
ইচ্ছে লাগছে আবির নামে-নামটি রাখি তার
থাকলে আবির পাশে আমার-মন খারাপ নয় আর।
যদি আমি আবির বলে-ডেকে তারে কই
আবির তুমি সখা হবে -আমি তোমার সই?

দুষ্টু প্রলাপ-২
দূরে থেকেই ছুঁয়ে দিলে-আবেগী এই অন্তর
কি জানি কি যাদু দিয়ে-ফুঁকলে যে ছুঁ মন্তর।
মনটা আমার উড়ো উড়ো-ছুটে যেতে চায় গো
উঠতে ইচ্ছে ভরা জোসনায়-তোমার প্রেমের নায়গো।
কোথায় তুমি আছো চুপে-মন বাড়িয়ে ডাকি
তুমি হবে প্রজাপতি-নাকি সুরের পাখি?

দুষ্টু প্রলাপ-৩
কেমন কেমন লাগে তোমার-দুর্বল হলে প্রেমে
আহা সময় থাকত যদি-এই জায়গাতেই থেমে।
ভাবছ তুমি কি হবে হায়-ভালবাসার দশা
এই যে শুনো শেষ করোতো-ভাবনার অংক কষা।
যা হবে তা যাবে দেখা-প্রেমে কি ডরে বীর
চক্ষু মোদে দেখো মনে- স্বপ্ন’রা বাড়ায় ভিড়!

দুষ্টু প্রলাপ-৪
যাও না বাপু দূরে একটু-ঘেঁষে আছো গা যে
ছোঁয়া লাগলে শিহরণে-কাঁপন বুকের মাঝে
ভাল লাগার প্রহরগুলো-থেমে সে কি থাকে!
কষ্ট সকল একটু পরেই-ঢুকে যাবে ফাঁকে!
দূরেই থাকো স্বপ্ন আঁকো- পাবো পাবো আশায়
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন হাজার -সুখ সাগরে ভাসায়!

দুষ্টু প্রলাপ-৫
ঘুমে তুমি জেগে আমি-দুষ্টু কাব্য রচি
ডাকছি শুনো বুঝো নাকো-আহা খোকা কচি!
আরে শুনো ভাবছো কি যে- মশারি নাও হাতে
মশা কামড়ায় জ্বালা দেহে-ছন্দ হারায় তাতে
আবোল তাবোল ভাবছ বুঝি?-লজ্জাতে যাই মরি!
যাও না বাপু ঘুমাও এবার- ভাসাই কাব্যের তরী।

খাবো নাকো পান্তা ইলিশ

©কাজী ফাতেমা ছবি

এই মৌসুমে খাব নাকো – ইলিশ মাছের টুকরা ভাজা
জাটকা ইলিশ ফরমালিনে- ইলিশগুলো নয়কো তাজা
পান্তা ভাতের পাতে রেখো – শুকনো মরিচ শুটকির ভর্তা
স্বাধে জিহবায় পানি নিয়ে-খাবেন সুখে ঘরের কর্তা।
ইলিশ ভাজা পান্তা ভাতে- মানায় নাতো পানসে লাগে
তবে কেনো ইলিশ দিয়ে- পান্তা খেতে ইচ্ছা জাগে!
থাকুক ইলিশ জলের তলে- ইলিশ কি আর যায় পালিয়ে
সোনার দামে ইলিশ কিনলে- যাবে সদা মন জ্বালিয়ে।
বাঁচাই ইলিশ চলো মিলে- বয়কট করি ইলিশ খাওয়া
জাটকা ইলিশ হবে বড়- খাবো কিনে এটাই চাওয়া।

কি সব নিয়ম করছো চালু- পান্তা ভাতে বছর শুরু
আমার মতে খাবে সবাই- কুরমা পোলাও মাছের মুড়ু!
নতুন বছর গরীব খানা- উপহাসের হায় নামান্তর!
সারা বছর দারিদ্রতায়- ভরা যাদের দুঃখের প্রান্তর!
তারাও কিন্তু একটি দিবস- পোলাও ভাতের ঘ্রাণে মাতাল
মাংস ডিমের ঝুলে ঝালে- বাসে ভরায় মনের চাতাল!
পান্তা ভাতে কাঁচা মরিচ- বৈশাখ মাসের প্রথম প্রহর
ঢাকঢোল বাজনা, শাঁখ বাজিয়ে- মেতে থাকবে আমার শহর!
গরম ভাতে পানি ঢেলে- বড়লোকির বিসর্জনে
মাতবে তারা সুখ উল্লাসে- হিন্দি গানের সুর গর্জনে!
বাঙালিদের ষোল আনা- পালন শুধু একটি দিবস
জিন্স টাইস, ছেড়ে শাড়ি- দেখলে লাগে মন’টা বিবশ!
মাটির থালায় পান্তা খাবে- ইলিশ ভেজে লোক দেখানো
পান্তা দেখলে সারা বছর- ঠোঁট উল্টিয়ে মুখ বেঁকানো!
ঠেলা ধাক্কায় গরম মাথায়- পান্তা ভাতের থালা হাতে
সেল্ফি দেখবো নিউজফিডে- ইলিশ সাথে পান্তা ভাতে
লাগাম ছাড়া জীবন মোদের- যেমন খুশি উৎসব সাজাই
গানের তালে মন ডুবিয়ে- আহ্ আনন্দের বাজনা বাজাই।
বৈশাখ তুমি চরম খারাপ- ধনী বানাও মিসকিন বাপু
গাপুস গুপুস পান্তা খাবে- ঠিক বলেছি ভাইয়া-আপু?
খাবো না তাই ইলিশ পান্তা- কুরমা পোলাও মাংস খাবো
এমনি করে পয়লা বৈশাখ – পান্তা ভাতের যুগ বদলাবো!

তোরা এমন হয়ে গেলি কেন রে?

কতদিন বন্ধুদের ফোন পাইনা
দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে থাকি অপেক্ষায়
একটা ফোনের জন্য!
মুঠোফোনে বাজে না এখন আর সেই সুরেলা রিংটোন!
তোরা এমন হয়ে গেলি কেন রে?

আগে হঠাৎ করে যখন তোদের ফোন আসত
ভিড় করতো এসে কামরাঙা দুপুর
মনের মাঝে বেজে উঠত …
রিনিঝিনি বেগুনি জারুল ফুলের শুকনো নূপুর,
বৈকালের পুকুরপাড়ের শুভ্র মেঘমালা
খোয়াই নদীর শুকনো চিকচিক বালুচর;
বুকের জমিন খালি করে নেমে যেত বয়সের ভার
কপালের ভাজ করা রেখায় ভর করত টানটান উত্তেজনা
চোখের কোণের নদীর ধারা,
মনের কোণে পুষে রাখা বিষন্নতা,
চাপা কষ্ট,রক্ত ছুপ আর্তনাদ
আর অনেক অনেক দীর্ঘশ্বাসগুলো হয়ে যেত নিমিষেই উধাও।

শুন্‌ না -হঠাৎ-ই যদি কখনো তোদের ফোন আসত
বাঁধাধরা সব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে
আমি যেন জলতরঙ্গের নতুন সুরবাহার,
স্বামী,শাশুড়ি-সন্তানদের জোড়া জোড়া নির্বাক চোখ এড়িয়ে
মাঠ-ঘাট, ব্রিজ-সাঁকো, শহর-নগর, বাস-ট্রেন, নদী-খাল ভেঙ্গে,
পাকদণ্ডী পথ পেরিয়ে পৌঁছে যেতাম সেই উপত্যকায়।
যে উপত্যকায় রঙধনু বৃষ্টি ঝরতো
সেখানে বাস করতো আমার একান্ত মেয়েবেলা
ফুটে আছে ফুলের মতন,মেলে আছে পাখা পাখির মতন
যেখানে ছলাৎ ছলাৎ উপছে পরতো উচ্ছ্বাসের ঢেউ
সেই ঢেউ এই শহরে নেই রে-তোরা জানিস?
০৩ জানুয়ারী ২০১৫

শব্দার্থ
(পাকদণ্ডী-যে পথ ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠে গেছে-এমন পথ)

তুমি আমার অভ্র হবে?

তুমি আমার কাব্য হবে? — হয়ে যাওনা!
বুকের মাঝ লুকিয়ে রবে?– রয়ে যাওনা!
কানে কানে কথা কবে? — কয়ে যাওনা!

ছন্দ হবে,হবে মাত্রা?
একই পথে শুরু যাত্রা
এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া
জানলায় করবে আসা যাওয়া?

তুমি আমার হবে নি:শ্বাস? –হতে পারো
জীবন পথে করবে বিশ্বাস?? –করতে পারো?
দাওনা তুমি আমায় আশ্বাস?? –দিতে পারো!

নদী হয়ে চোখে বসো
ডিঙি নিয়ে একাই চষো
ডাকলে আমায় হাতটি ধরে
সকল দিব তোমার তরে।

হয়ে যাওনা চশমা চোখের??–হবে নাকি!
ধুরুধুরু কাঁপন বুকের??–দিবে ফাঁকি?
অধরের তিল হবে সুখের?? –নেইতো বাকি!

নিদ্রা হয়ে চোখে আসো
স্বপ্ন নিয়ে মনে ভাসো
ছুঁয়ে দাওনা আমার অধর
বুঝবে তখন প্রেমের কদর!!

নীলাকাশের হবে-অভ্র?–আমার জন্য?
কালো নয় শুধু নীল শুভ্র?–হবো ধন্য!
রাত আকাশে হবে ধ্রুব??–বা অরণ্য?

ঘুড়ি হবে নাটাই বিহীন?
হারাবে কি বুকের গহীন
উড়তে পারো বুক আকাশে
কিংবা মনের আশেপাশে।

তুমি আমার ভালবাসা!–স্বপ্ন হবে?
তুমি আমার আলো আশা!!–জেগে রবে?
অথৈ প্রেমের সর্বনাশা!!–তাই হও তবে?

হতে পারো প্রজাপতি
করবো নাকো কোনো ক্ষতি
উড়ে বসো চোখের পাতায়
কাব্য হয়ো মনের খাতায়।

পাখি হবে আমার তুমি?-নরম পালক!
ছুঁয়ে দিবে পালক ঠোঁটে?-অবুঝ বালক!
হও না বাপু আমার তুমি-প্রেমের চালক।

মেয়ে আমি হারাতে না জানলেও-হারিনি কখনো……

রাত্রির গা বেয়ে নেমে আসে নিশাবিহার আয়াস

মৌন ইশারায় হাত বাড়িয়ে ডাকে নিশাকর
দীর্ঘশ্বাসের প্রহরে দুই-ই একা; আমি-নিশাকর
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিড়ে হারিয়ে গেছি, হেরেছে স্বপ্ন
যা বয়ে গেলো- নিয়ে গেলো সময়ের স্রোত
যে বুঝে সে উপভোগ করে আর যে বুঝে না
সে রয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস প্রহরেই!
আগ-পাছ ভাবিনা আর, তাইতো
নিশাকরের ডাকে সারা দেই; হই কাব্যে মশগুল
শুনাই তারে জীবনের ধাপে ধাপে মরিচা পড়া
সকাল দুপুর বিকেলের সুর অনুরণন।
নিশাকর শুনায় বিরহী সুরের সেই বাঁশুরী সুর……
ফিরে ফিরে যাই, ঘুরে আসি আঁধারের বুক চিরে
সেই সেই দিনের নিরুপম পলে পলে।
মেয়ে আমি হারাতে না জানলেও হারিনি এখনো
বিষাদগ্রস্থ মুহুর্তেও হইনি ম্রিয়মান;
জীবনজুড়ে তাই কাব্যগাঁথা সুগন্ধি লোবাণে
করে রেখেছি ম্রক্ষণ।

২০ নভেম্বর ২০১৪

স্বাধীনতা তোর বুকেই হোক নির্ভয়ে স্বপ্ন আঁকা…..

©কাজী ফাতেমা ছবি

স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-জঙ্গীর কবলে বাংলাদেশ
স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-সর্বত্র কেবল আতংকের রেশ!
স্বাধীনতা বুঝি- নেতাদের মুখের হড়বড় মিথ্যে বুলি
স্বাধীনতা মানে কি- দেশজুড়ে সন্ত্রাসীরা খেলে রক্তের হুলি!
স্বাধীনতা বলতে কি – সত্যের পথগুলো হয়ে গেলো রুদ্ধ
স্বাধীনতা হায়- দূর্নীতির কবলে পড়ে হলো ফের অশুদ্ধ!
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে-টিভিতে দেখি শংকার লাইভ
স্বাধীনতা কি তবে থাকবে নিভৃত্তে চুপচাপ মনের আর্কাইভ!
স্বাধীনতা এখন যেনো- তিলকে মুহুর্তেই বানানো তাল
স্বাধীনতার আঁচলে মাথা রেখে কারা চালায় দেশ ধ্বংসের কূটচাল?
স্বাধীনতা তুই সাতচল্লিশের মধ্য বয়স্ক এক বুড়ো জুজু
স্বাধীনতা তুই যেনো আজ নত দাঁড়িয়েছিস রুগ্ন কুঁজো!
স্বাধীনতা তোর বুক যেনো আজ অশুভ শক্তির বিচরণক্ষেত্র
স্বাধীনতা, হারানো স্মৃতি বুকে আজো মা বোনদের ভেজা নেত্র!
স্বাধীনতা তোর পিঠে এখনো পতপত ওড়ে লাল সবুজের পতাকা
স্বাধীনতা মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে তোর বুকেই ছিল স্বপ্ন রাখা!
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে কেনো তবে – রক্তে ভাসে দেশ আমার
স্বাধীনতা তুই বুঝি হলি আত্মঘাতি – এ দেশ কি তবে জঙ্গীদের খামার!
স্বাধীনতা তুই তো আজ সাংবাদিকদের মুখের মিছে কথার ফুলঝুড়ি
স্বাধীনতা তুই স্বেচ্চাচারীদের আকাশে ওড়া নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি।
স্বাধীনতা তুই জঙ্গী জঙ্গী নাটক-আইএস বুঝি তোর নায়ক
স্বাধীনতা তুই টক শো, রিয়েলিটি শো, লাইভে হেঁড়েগলার গায়ক।
স্বাধীনতা এখন তুই প্রশ্নপত্র ফাঁস নামের মেধার কলংক
স্বাধীনতা তুই রাজনীতির প্যাঁচ খেলানো এক জঠিল অংক।
স্বাধীনতা তুই আধাবুড়ো যুবক, পড়েছিস আজ মাটিতে নেতিয়ে
স্বাধীনতা আর ধরবি না দেশের হাল টগবগ রক্তে বুক’টা চেতিয়ে?
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে কেক কাটা হলো জঙ্গীর আতশ ফুটল
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে স্টবেরি রক্ত রঙ কেক কিছু মানুষের জীবনে জুটল।
স্বাধীনতা জানিস আবারো চাই সন্ত্রাসীদের কবল হতে দেশের স্বাধীনতা
স্বাধীনতা চাই সকল অশুভ শক্তি ওড়ে যাক বৈশাখী ঝড়ে, ঘুচে যাক সব দৈন্যতা।
স্বাধীনতা তোর আঁচলেই হোক আবার নির্ভয়ে বেঁচে থাকা
স্বাধীনতা তোর বুকেই হোক আপামর জনতার নির্ভয়ে স্বপ্ন আঁকা!

(২৬-০৩-২০১৭ রাত)

কোন এক কবিকে….


১।
কাঁধেতে ঝুলানো ব্যাগ-মুখে ছড়ানো আবেগ
ক্যামেরা ঝুলানো গলায় -হেঁটে চলে বেলা অবেলায়
চেহারায় ক্লান্তির নেই ছাপ-
থেমে নেই,মাথায় তীক্ষ্ণ উত্তাপ।
ক্যামেরা হাতে,ফুটপাতে দু’চোখ-
চেয়ে থাকে অপলক,কতক মলিন মুখ।
ক্লিক ক্লিক অজানতেই জীর্ণ চেহারায়
কবির চোখে মুখে ছাপ পুর্ণ হতাশায়।
পার্কের বেঞ্চে খানিকটা সে বসে
জীবনের মূল্য কোথায়? অংক কষে,
কলমের খোঁচা পড়ে ব্যাগের ডাইরি’টায়
কবিতার পঙ্খতি লিখে মুখে আওড়ায়।
খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে,ভাবুক
মানবতা ঘুমায় ফুটপাতে,পিঠেতে চাবুক।
দুনিয়ার ভাবনা নিয়ে হেঁটে চলে সে
ভ্রুক্ষেপ নেই চলায়,ফুটপাত ঘেঁষে।
কি যেনো কবির চোখ খুঁজে ফিরে
সময় কাটে তার দুখীদের ঘিরে…
কবি কবি ভাব, পিছনে বাঁধা চুল
একি! কবির চেইন খোলা
ব্যাগে ভর্তি নাগলিঙ্গম ফুল।

২।
এমন পাগল পাগল কবি ভাব যার
ইচ্ছে হয়,পিছন পিছন ছুটি তার।
পিছন ফিরলে,দিব একটা ভেংচি কেটে
ইচ্ছে করে,ক্ষেপিয়ে তারে যাই পিছু হেঁটে।
ইচ্ছে জাগে, উদাস ভাবটা ছাড়িয়ে দিয়ে
ঠোঙ্গা ভরা বাদাম ধরি সামনে গিয়ে।
উদ্ভট ইচ্ছা মাথায় আসে -চুপি চুপি পিছু এসে,
চুল ধরে,কাঁচি হাতে ঘ্যাচাং ঘ্যাচ
কেটে দেই চুল ক্যাচাং ক্যাচ।
ইচ্ছা আরো মনে মনে-মাথাচারা ক্ষনে ক্ষনে,
ছিনিয়ে নিয়ে ক্যামেরাটা,ফটো তুলি,দাঁড়া ব্যাটা।
এই ইচ্ছেটাও মনে আসে-হেঁটে তার পাশে পাশে,
কবিতার ডায়রী নিয়ে,নদীর পাড়ে
তার কবিতা,আবৃত্তি করে শুনাই তারে।
আবোল তাবোল ইচ্ছা যত-পুরণ করব মনের মতো।
ছুটতে থাকব তার পিছু পিছু-যে যাই মনে করুক কিছু।
কবি কবি ভাব ছুটিয়ে-বিরক্তি ছাপ মুখে দিব ফুটিয়ে,
কবির ব্যাটা কবি, থাকবি কি আর উদাসীন?
ছন্নছাড়া জীবন নিয়ে পাতবি কি আর ফুটপাতে আসীন?
ইচ্ছাগুলো আমার এমনই-পাগল কবি রাস্তায় দেখব যখনই
ভাব নিয়ে হাঁটবে যে কবি-উদাস ভাবটা তার, ছাড়াবে ছবি।
22 October 2013

» মোবাইলগ্রাফী-২০ (ফুলের ছবি)

১। ও শেফালী লুকিয়ে আছিস ঘাসের বুকে
ঝরে পড়লি অসময়ে-বল্ না তুই কোন সে শোকে?

সব সময়ের সঙ্গী মোবাইল যেহেতু। কোনো কিছু সুন্দর দেখলেই ক্লিক হয়ে যায় -যেনো এটা অটো হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ের তোলা কিচু মোবাইলগ্রাফী নিয়ে আবার হাজির । এবারও ফুলের ছবি। মৌসুম অনুযায়ী ফোটা ফুল……. যখন ইচ্ছে তখন তুলেছি। আমার চোখে সুন্দর যা -তা আমি একা দেখবো কেনো তাই আপনাদেরকে বিরক্ত করতেই পোস্ট করা হাহাহা। যদি ভাল লাগে তবেই না কষ্ট সার্থক। পোস্ট সাজানোটাও সময় সাপেক্ষ। কত পোস্ট সাজানোর জন্য আর দেয়া হয় না। আচ্ছা যাই হোক তো এবার স্ক্রল ঘুরিয়ে দেখতে থাকুন ফুলের ছবি। এবার ফুলের গায়ে লিখে দিছি ফুলের নাম।
২। বৃষ্টি ধোঁয়া কামিনীর পাতা-দেখো কেমন লাগছে সবুজ
একটি ফুলের পাপড়ি এনে দাও না বন্ধু-মন যে আবেগী অবুঝ

৩। ফুলের ডালা সাজিয়ে রাখি সন্তর্পণে-যদি তুমি আসো। শুকিয়ে ফুল হয় উদাসীন অহহো না আমি হই উদাস। ভাবি আর কুঁড়াবো না ফুল তোমার জন্য। মন দেউড়িটা খুলে রাখি-তুমি ভুলেও এ পথ মাড়াও না-তাতে কি আমি রোজ সকালে তোমার জন্য সাজিয়ে রাখবো রঙ্গন শিউলী আর বেলীর ফুলে। এসো কিন্তু সময় হলে-

৪। কাঠবেলীটা সবুজ বুকে-কেমন দেখো আছে শুয়ে
কেমন করে সজীবতার- স্নিগ্ধ ফসল যাচ্ছে রোয়ে
ধরো বন্ধু আমি যদি-থাকি তোমার শুয়ে বুকে
প্রেম রোবে কি ভালবেসে-সজীব মনে অথৈ সুখে?

৫। এমনি তো জীবন-কেউ তরতাজাই চলে যায় এই ধরা থেকে আর কেউ বুড়ো হয়েও পড়ে থাকে রোগে সোগে জীর্ণতায়। এখানেই তো সুখ আর দু:খ। এই দেখো -মরার পাশেই হেসে বেঁচে ফলবতী গাছ। কেমন বলো-জীবনতো মোদের এমনই তাই না।

৬। না, না আমি গোলাপ চাই-তোমার মনের মত শক্ত গোলাপের ছোয়া চাইনে বাপু। আমি তবে গোলাপই চাই-যাতে আছে স্নিগ্ধতার মাতাল করা ঘ্রাণ। তুমি হয়ে থাকো সেই কাঠগোলাপই-আর আমি হবো হাসনা হেনা।

৭। লাল সবুজের মাখামাখি-সেতো থাকবেই চিরকাল
আর আমিই বাবা রইলেম নে তোমার বুকের মাঝার। ছেড়ে চলে যাও-ফিরে আর আসলে না এদিক মাড়ালে না । ভালবাসার স্বপ্নও দেখতে জানো না। আচ্ছা তুমি যদি সবুজ হতে তবে কিন্তু আমি লালই হতাম-ছুয়ে থাকতাম তোমার বুকে। কি মন্দ বলেছি কি?

৮। রক্ত জবা এনে দাও গো- পরিয়ে দাও খোঁপায়
জীবন আমার রঙিন হবে-এমন সুন্দর তোফায়
কানের দুলটা বানাতে পারি-দাও না এনে রক্ত জবা
বলছো নাকো কোনো কথা-আচ্ছা তুমি কিগো বোবা?

৯। তুমি নিচের মরা দূর্বাঘাস আর এমনই সজীব কামিনী পাতা। তুমি মরে বেঁচে থাকো আর আমি বাঁচি মুগ্ধতায় সজীবতায়। আমার প্রহরগুলো কাটে বড্ড সুখে। আমি প্রভূর সৃষ্টির সকল সৌন্দর্য্য ভালবাসি যে। তুমি বড্ড বাস্তবমুখী। একটু কাল্পনিক হওতো এবার।

১০। ঝরে পরে ফুল আয়ূ যদি ফুরায় তার
অন্য ফুলের হৃদয় পুড়ে দেখো কেমন ছারখার
নুয়ে আছে জবা ফুলটি-সাথী তার গেছে ঝরে
দিবারাতি ফুলের চোখে-তবে কি সে অশ্রু ঝরে।

১১। বেলী ফুলের কলি- এখন ঘ্রাণ নেই। ফুটলেই ঘ্রাণে মাতাল হই। অথচ আমরা মানুষ নিজের মাঝেই চুপসে থাকি। ফুটে উঠিনা মানুষের সেবায়। আমাদের ঘ্রাণে কেউ সহজে মাতাল হয় না্ তাই না?

১২। কাঁটার মাঝে ফুটে থাকে রক্ত রঙা ফুল
হাত বাড়ালেই রক্ত ঝরবে-করো না সে ভুল
চাও গো যদি দিতে আমায় উপহার একটা কিছু
ভালবাসি বল তবে -তোমার মুখটি করে নিচু।

১৩। বেলীর ঘ্রাণে মাতাল আমি-তুমি তবে কিসের মাতাল
তোমার বাস যে আকাশ মাঝে -আমি থাকি পাতাল।

১৪। কাঠগোলাপ সুবাস নেই তাতে কি-তার সৌন্দর্য্য আছে।

১৫। কাঠগোলাপ

১৬। নাম জানি না ওরে ফুল-রাগ করিস না আমার সাথে
ভালবাসি তাইতো দেখ না-দেখা করি রোজ প্রাথে
লাল টুকটুক শাড়ি পড়ে-বসে আছিস সবুজ পাতায়
তোরে নিয়ে ইচ্ছে লাগে-কাব্য লিখি মনের খাতায়।

১৭। জবার বাগে আগ লেগেছে-ধোয়া কেনো নাইরে
দৃষ্টি দিয়ে দেখলে পরে-চোখ পুড়ে হয় ছাইরে……

১৮। হলুদ শাড়ি পড়ে গোলাপ সেজে আছে রাণী
ও গোলাপ তোর রাজা কোথায় বলবি একটু খানি
রাজা ছাড়া থাকিস একা-ভয় কি লাগে না তোর
একা কি তোর বোর লাগে না-কাটাস ক্যামনে রাত ভোর।

১৯। কচমচ কচমচ

২০। হলুদ গাদার বাগান

২১। কত জাতের ফুল যে ফুটে-আহা সুন্দর ধরায়
ফুটে থাকে ছয় ঋতুতে-হোক না চৈত্রের খরায়।
ভালবাসি ফুল যে আমি-ভালবাসি সবুজ পাতা
এখানটাতে যেনো আমার স্বপ্ন বিছনা পাতা।

ছবির সাথে মিলিয়ে মাত্রই লিখেছি -তাই এতে তাল মাত্রা লয় কিছুই ঠিক নাই ………

বৃষ্টি কাব্য

নেট কালেকটেড এনিমেশন ছবিটি

©কাজী ফাতেমা ছবি
মেঘলা আকাশ-মেঘলা দিনে
বসে জানলার পাশে
বইয়ের পাতায় তোমার ছবি
চোখে কেবল ভাসে।
এসে দেখো এখান’টাতে
ঝরছে বৃষ্টি অঝোর
জোড়া শালিক বৃষ্টি দেখছে
আমি কেবল বেজোড়!
জানলার পর্দা নড়ে চড়ে
ফাঁকে আসে হাওয়া
বৃষ্টির ছিটায় ভিজল পাতা
ভিজল দখিন দাওয়া।
গাছের পাতায় বৃষ্টির কান্না
থিরথিরিয়ে কাঁপে
এসো চলে কাটবে ভালো
উষ্ণ চায়ের তাপে।
যেয়ো নাকো ঘরের বাইরে
বৃষ্টি দেখবো সাথে
ইচ্ছে হলেই রাখতে পারো
হাতটা আমার হাতে।
হিমেল হাওয়ার শিহরণে
কাঁপবে যখন তুমি
ছুঁয়ে দিলে তোমায়-হবে
সুখের মনোভূমি।
এমন দিনে একলা একা
ভাল্লাগে না আমার
চলে যাচ্ছো হনহনিয়ে
হৃদয় যেনো তামার!

২।
রিনিঝিনি বৃষ্টির নুপূর
বাজে আমার প্রাণে
সময় কাটুক এমন দিনে
মৃদু সুরের গানে।
বইয়ের পাতায় মন ডুবিয়ে
পড়ব প্রেমের গল্প
ভাসবো সুখে উথাল পাতাল
গাইবো সুরে অল্প।
অফিস কামাই করবো আমি
হবো বৃষ্টির সঙ্গী
বৃষ্টির জলে পা ছুঁয়ায়ে
ইচ্ছের পাখি ঢঙ্গী।
ফাগুন গেলো চৈত্র এলো
অবেলার এই বৃষ্টি
বন্ধু তুমি চলে এসো
হয়ে আজকে ইষ্টি।
দু’জন মিলে বৃষ্টি বেলায়
প্রেমে হবো সিক্ত
আর হবো না তুমি আমি
ভালবাসায় রিক্ত।

৩।
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিবো
মনের যত কষ্ট
যাবো নাকো সে পথে আর
যে পথ ছিলো ভ্রষ্ট।
মন’টা যেনো হয় গো আমার
বৃষ্টির মতন স্বচ্ছ
এই দুনিয়ার যত মোহ
লাগে যেনো তুচ্ছ।
প্রভুর রহমত বৃষ্টির ধারায়
ভাসিয়ে দিব পাপ
ক্ষমা চাইবো প্রার্থনাতে
প্রভু করো পাপ মাফ।
শীতল জলের ছায়ায় বসে
আসবে মনে শান্তি
কেটে যাবে মনমাঝারের
অশুভ সব ভ্রান্তি।
শোকর গুজার করি প্রভু
বসে বৃষ্টির ছায়ায়
কি অপরূপ বৃষ্টির ফোঁটা
টানে স্নিগ্ধ মায়ায়।
ভালবাসি প্রভু তোমায়
বৃষ্টি ভালবাসি
বৃষ্টির জলের ছোঁয়ায় মনে
শান্তি রাশি রাশি।

আয়-না বৃষ্টি, আয়-না নেমে…..

ঝিরিঝিরি যাচ্ছে ঝরে- আহা চৈত্রের বৃষ্টি
লাগছে ভালো বারান্দাতে-রাখতে উদাস দৃষ্টি।

পাতার নাচন বৃষ্টির সাথে-জলের প্রেমে পাতা
ভিজছে ঐ যে খোকা খুকু-জলে ভেজা মাথা।

ঠান্ডা হাওয়ায় আরাম দেহে-পরিবেশে শান্তি
মরে গেলো বৃষ্টির জলে-ধূলো ময়লা ক্লান্তি।

কলাগাছে বৃষ্টি পড়ে-পাতা উঠে কেঁপে
ও-রে বৃষ্টি যা ঝরে যা- রোদ্দুর দিব মেপে।

জলের নুপূর টিনের চালে-রুনুঝুনু বাজে
বৃষ্টির বিকেল বৃষ্টি দেখি -মন বসে না কাজে।

গাছের পাতা সবুজ হলো- বৃষ্টির জলে নেয়ে
নীল আকাশ’টার রঙ বিবর্ণ-কালো মেঘে ছেয়ে।

অলস মানুষ বৃষ্টির ভয়ে-খুলল রঙিন ছাতা
এমন দিনে খুলে বসবে- কবি কাব্যের খাতা।

আহা একি বৃষ্টি হঠাৎ – গেলো বুঝি থেমে
ডাকছি বৃষ্টি আয় না আবার-আকাশ ভেঙ্গে নেমে!

১৮-০৩-২০১৭ তারিখ

» তা-মীমের পেন্সিল আঁকাআঁকি-৪

সমুদ্রের তলদেশ এঁকেছে

১।
ঝাল নুডুলস খাইয়া জেরী কয় মা, আমার মন নাই, কই জানি গেছেগা, চোখের সামনে একটু আলো বাকি সব কালো আর আমার মনে হইতেছে আমি আস্তে আস্তে ছোট হইয়া যাইতাছি, বেচারা এক বাটি নুডুলসের সাথে দুই গ্লাস পানি খাইছে আহারে বাচ্চাটা আমার। এটা কাল রাতের ঘটনা।

তা-মীমের পেন্সিল আঁকাআঁকির এ পর্যায়ে আরো কিছু ছবি নিয়ে এলাম। অনেক আঁকে কিন্ত সবগুলোর ছবি উঠানো হয়নি ব্যস্ততা অথবা মনে না থাকার কারণে। আমার বড় ছেলে তা-সীন সে-ও ভাল আঁকে কিন্তু তার ধৈর্য্য কম। কিন্তু তা-মীম নিজেই নিজেই আঁকে আপন মনে-যখনই মনে হয় কিছু আঁকবে তখনই শুরু করে দেয় আঁকাআঁকি শেষ না করা পর্যন্ত আঁকতেই থাকে।
আল্লাহর রহমতে আঁকার ভাল গুণ পেয়েছে সে। বেশীর ভাগই গাড়ি আঁকে। গাড়ি ইঞ্জিন থেকে শুরু করে গিয়ার টিয়ার কি কি যেনো বলে সব চিনে ও । মাঝে মাঝে স্কুল থেকে আসার সময় থামানো বাসে উঠে যায় উঠে সব দেখে আসে। সেটাই বাসায় গিয়ে এঁকে ফেলে। আমি তার নাম দিয়েছি সুপার গ্লো-বাসায় গেলে আর ছুটতে পারি না । আঠার মতো লেগে থাকে সাথে। আল্লাহর রহমতে বাসায় গেলে সময় খুব ভাল আর মজাতেই কাটে এদের সাথে ।

ইতোমধ্যে সে তিনটি পুরস্কার পাইছে ড্রয়িং এ। স্কুলে দুইটা আর অনেগুলো স্কুল মিলে একটা প্রতিযোগিতা হয়েছে সেটাতে। একটা সংস্থা করেছিল আয়োজন । সেখানে রনবি (রফিকুন নবী) ছিলেন বিচারক। সে চতুর্থ হইছে মাশাআল্লাহ। ৩ /৪ বাচ্চার মধ্যে সে চতুর্থ । আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু দু:খের বিষয় ওকে এখনো কোনো ড্রয়িং স্কুলে দেই নি sad । কবে যে দিব বুঝতেছি না। সময় করেই উঠা যায় না। অফিস স্কুল পড়াশুনা সব মিলিয়ে দিনই চলে যায়।

২। দামী গাড়ি এটা-মার্সিডিজই নাকি

৩। একটি নতুন শহর গড়ে উঠছে

৪। সাধারণ পরিবহন
সারা বাংলাদেশ ওজন ৯ টন

৫। মেঘলা দিন… হঠাৎ বৃষ্টি

৬। বাজান আমার থ্রি ডি ছবি আঁকছে, মাশা আল্লাহ

৭। বরাবরের মতই গণিত পরীক্ষার আগের দিনের প্রিপারেশন (১২-০৩-২০১৭ তারিখ রাতে আঁকল)

৮। আপন মনে এঁকে যাচ্ছে

৯।

১০।

১১।

১২।

১৩।

১৪।

কোথাও দূরে যাচ্ছো! ব্যাগে ভরে দেই সব ইচ্ছে………

ইচ্ছের কথা বলে আর লাভ নেই জান তো
ইচ্ছেরা সময় অসময় পাখনা মেলে
কত কিছুই করতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছেদের কোন শেষ নেই সীমাও নেই।

কোথাও দূরে যাচ্ছো! বাক্স গুছিয়ে দিচ্ছি আমি
ইচ্ছেরাও খেলছে এলোমেলো খেলা।
এই মুহুর্তে ইচ্ছে করছে আমার সব ব্যাকুলতা
তোমার বহন করা বাক্সে ভরে দিতে,
বেলীর ঘ্রাণ,শিউলীর মালা আর
এক শিশি শিশিরও দিতে ইচ্ছে করছে।
আর নিরবে চোখের জলের গাঢ় ফোয়ারা
আমার সকল অস্থিরতা, অবজ্ঞা, বিষন্নতা
চোখের জল মুছা রুমালটাও।

খুব মনোযোগে তোমার বাক্সটা আমি গুছিয়ে দিব আজ
খুব ইচ্ছে করছে সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়ে চেইন টানার
দেখি কতটুকু কি করতে পারি তোমার জন্য আজ।
পলিথিন মুড়িয়ে সবুজ দিতে পারি নতুবা
একঝাঁক ছোট নীল প্রজাপতি আর
শরতের মেঘ, কাশফুলের উড়ে যাওয়া পাঁপড়ি।

কষ্টের প্রতিটি মুহুর্ত,অবহেলাগুলো অথবা উপেক্ষা
না বলে চলে যাওয়া কিংবা কথা দিয়ে কথা না রাখার মুহুর্ত।
খুব যত্ন করে আজ তোমার বাক্সে এসব ভরে দিতে ইচ্ছে করছে,
আর তুমি যখন বাক্সের ডালা খুলবে তখন নির্বাক চোখে দেখবে
কি সুন্দর নীল প্রজাপতিরা তোমার রুমে উড়াউড়ি করছে,
বেলী আর শিউলী তোমাকে নিয়ে যাবে পিছনে।

শিশিরের শিশি যখন খুলবে সিক্ত হয়ে যাবে মুহুর্তেই
বুকে হাত দিয়ে অনুধাবন করবে অবহেলা অবজ্ঞা আর উপেক্ষা
বিষন্ন চোখে ভাববে আরে প্রয়োজনীয় জিনিস না ভরে এগুলো
কে সাজিয়ে দিলো? অপ্রয়োজনীয় জিনিসে বাক্স টইটুম্বুর।

যখন রুমালটা হাতে নিবে ভেজা অনুভূতি তোমাকে নাড়িয়ে দিবে
শরতের শুভ্র মেঘে ভেসে ভেসে তুমি ভাববে চলে আসতে আবার,
কাশফুলের পাঁপড়ি তোমাকে নরম পরশ বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবে।
যখন জেগে উঠবে বিহবল হয়ে উঠবে আর ভাববে এসব কি!!

আবার বাক্স খুলতে বসে যাবে,
নিজের জিনিসগুলো খুঁজবে আকূলতায়
হঠাৎ দেখবে বাক্সের চেইন পকেটে গুনগুন করা মৌমাছির কান্নাসুর
আমার সব কান্না আজ তোমার বাক্সে ভরে দিয়েছি গো
ভালবাসা খুঁজতে গিয়ে ভুল করবে তুমি,
বাক্সের পকেটে পকেট তোলা আছে শুধু বেদনা কাব্যের ঘুনপোকা।

যা তোমার অযত্নে এতদিন আমার কাছে ছিল
আজ সব ফিরিয়ে দিলাম প্রিয়, নিঁখুতভাবে ভাজে ভাজে
দিয়ে দিয়েছি আমার সব পাওয়া না পাওয়া ব্যাকুলতা।
ভাববে বসে শুধু এসব দিয়ে তুমি কি করবে।
যা ইচ্ছা করো গিয়ে, শরবত বানিয়ে খাও
মাথায় দিয়ে ঘুমাও নতুবা চোখে বসিয়ে নাও।
জেনে রাখ আমি এখন তোমা হতে অনেক দূরে
কিছুই আর ফিরিয়ে দিতে পারবেনা ।
বুঝলে কিছু উদাসীন কবি! হাহাহাহাহা!
(২০ ডিসেম্বর ২০১৪)

» দেশের ছবি-৭

১। সিনেমাটিক জীবন যেনো-এক দৌঁড়েই বড় হতে হতে একদম বয়সের শেষ সীমান্তে এসে যাই। এই দৌঁড় যেনো থেমে নেই। দৃষ্টির সীমান্ত যত দূর যায়-এক সময় মিলিয়ে যায় সময়ের মতই মানুষগুলোও হাওয়ায়। কত পরিচিতজনেরা চলে গেছে ছেড়ে অথৈ আঁধারে। মেয়েবেলার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে এখন থেমে গেছি। নামতে হবে এবার নিচের ধাপে। তবুও জীবন আশা ছাড়ে না বেঁচে থাকার। তবুও জীবন স্বপ্ন দেখে রঙধনু রঙ। চোখ দেখে যায় মুগ্ধতায় এই সুন্দর দুনিয়া। জীবন চলমান……… আমিও মুগ্ধ হই এমন দৃশ্যে -ফিরে যায় মন মেয়েবেলার দ্বারপ্রান্তে।
________________________________________________

আরো কিছু এলোমেলো ছবি-কিছু ট্রেন থেকে তোলা-আর কিছু এখানের সেখানের। আপনাদের ভাল লাগলেই আমার কষ্ট করা পোস্ট সার্থক হবে। ফটোগ্রাফার আমি কখনো নই ছিলাম না বা হবোও না। নিতান্তই শখের বসে ছবি উঠাই -আমার চোখে যা সুন্দর তা ধরে রাখি ক্যামেরায়। চোখের ক্লান্তি এলে সবুজের দিকে তাকাই। ছবিগুলোও মনে হয় এমন সবুজ তাকালেই শান্তি লাগে। আমার গ্রামের সোঁদা মাটির গন্ধ পাই- সবুজে হারিয়ে যাই। বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সব পাহাড় ঘেরা সবুজে। আমাদের থানা চুনারুঘাট-টাও এমন পাহাড় ঘেরাই। যদিও সময় সুযোগ কমই হয় সেসব জায়গায় যাওয়ার । এইতো আমার দেশ আমার জন্মভূমি। ভালবাসি বাংলাদেশ।

২। এমন আটপৌরে জীবনে ভালবাসা চুয়ে চুয়ে পড়ে। সকাল থেকে কর্মব্যস্ত প্রহর পেরিয়ে সকল ক্লান্তি স্বচ্ছ জলের পুকুরে ফেলে এখানে সবাই বিকেল ছুঁই ছুঁই রোদ্দুরে বসে শান্তির ওম নেয়। সবুজের বুকে দূর্বাঘাসের নরম পিড়িতে বসে সবাই আড্ডায় হয় মত্ত। দুঃখ সুখের বেলায় সবাই সবার আপনজন। বেলাশেষে সবাই গোধূলিয়ার আলোয় এক আকাশ সুখ নিয়ে নীড়ে ফিরে। গ্রামের এমন শান্ত পরিবেশ সবুজের হাতছানি নিত্য হাত বাড়িয়ে ডাকে। ভাল লাগে যখন মায়ের কোলে ফিরে যাই। কয়েকটা পল নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে অনুভব করি আর নিশ্বাসে টেনে নেই শুদ্ধ অক্সিজেন। ভালবাসি বড্ড আমার দেশটাকে।

৩। কেউ কি আর হয় শুনি
জনম জনমের সাথী
কেউ কি আর রয় শুনি
একসঙ্গে দিবারাতি!

দেখ্ না বন্ধু তুই আর আমি
কেমন সখ্যতায় থাকি
ফুটে থেকে আনন্দেতে
ঝরব সে স্বপ্ন আঁকি!
বন জঙ্গলের ফুল এখন টবেও পাওয়া যায়….

৪। খানে রোদ্দুর জ্বলা দুপুরে কেউ আয়েসী ঘুম যায় না-সবাই মেতে থাকে কর্মে কিংবা দায়িত্বে যে যার। ছায়াঘেরা বৃক্ষের নিচে ঠাঁঁয় বসে থাকে রাখাল বালক। এখন তাদের হাতে বাঁশি থাকে না। বাঁশির বদলে হাতে উঠে এসেছে এন্ড্রয়েড। ওরাও এখন ফেইসবুক বুঝে এবং এটাই ইন্টারনেট বুঝে। হাতের মুঠোয় পৃথিবী এখন ওদেরও। দুপুরের ঘুম হারাম করে ওরা গরু চড়ায় মাঠে-ক্লান্তি দূর করতে ওরা ফেইসবুক নেট চালায়। ওরা দেশের খবর জানে এমনকি বিদেশেরও। মায়াময়ী গ্রামও এখন ডিজিটাল আওতায়। ভাল লাগে খুব। ওরা এখন সচেতন হতেও শিখে যায়। যেখানে গেলে শান্তি নেমে আসে মনে সে হলো অপরূপ ছায়াময়ী মমতাময়ী গ্রাম। আমি জানি শহরের মানুষগুলো অপেক্ষায় রত-কখন গ্রামে গিয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস টেনে আসবে।

৫। এই শুনো-না একটু এদিক এসো, দেখো সবুজের ফাঁকে ঝুলে আছে এক টুকরা মেঘ। আমার খুব ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে- এমন সজীব মুহুর্ত তুমি শুধু মিস-ই করে গেলে। মনের দুয়ার খুলে দাও ফাগুন হাওয়ায়-এসো নীলের কাছাকাছি। শহরের ইট কংক্রিটে কি খুঁজে পাও এমন মুগ্ধতার প্রহর-যেখানে সবুজ ঝুলে থাকে চোখের পাতায়। নীল ছুঁয়ে থাকে সবুজ মাঠটির শেষ সীমানায়। আড়মোড়া দিয়ে ভেঙ্গে দাও আলসেমী যত-চলে এসো এখানে-এ্ই যে সবুজে ঘেরা গ্রাম। যেখানে নি:শ্বাসে টেনে নেয়া যায় নিশ্চিন্তে শুদ্ধ অক্সিজেন।

৬। এমন চিত্র চোখের সামনে আসলে কার না ছুটে যেতে ইচ্ছে সেই সেই মায়াময় ছায়াময় সবুজে ঘেরা গ্রামের মাটিতে। ক্লান্তি কেটে যাওয়া প্রহর এখানে নেই। ধূলোবালির যন্ত্র শহরে পড়ে থাকি জীবনের প্রয়োজনে। দৃষ্টি জুড়ে মাঠ নেই এখানে-ইট কংক্রিটে ঘেরা পৃথিবী যেনো। আকাশটাও আজ দেখা যাচ্ছে না উচু প্রাসাদে ঢেকে গেছে আকাশ আমার। আর বৈদ্যুতিক তারের ছাউনিতে আকাশের এক টুকরো নীল চোখে এসে লাগেনা আর। তবুও বাঁচি মুগ্ধতায়-মনে উচ্ছ্বাস নিয়ে যন্ত্রতেই খুঁজি জীবনের মানে। ভাল থাকি -ভাল আছি- আলহামদুলিল্লাহ।

৭। মাথায় নিয়ে স্বাদের বোঝা-জীবন বয়ে যায় ওদের চানাচুর চানাচুর বলেই। আমরা আয়েসী ঢঙে ঢেকে আনি কাছে-এই পাঁচ টাকার চানাচুর দে-তো-ঝাল দিস বেশী- তুই-তুকারীতে তাদের মনে আমাদের কিঞ্চিত অহম বুঝিয়ে দেই-আমরা উঁচু মান শুধু টাকা আছে তাই মন ভরে খেতে পারি। ওরা স্বাদ বেচে দুবেলার দুমুঠো অন্ন যোগায়। হয়তো সংসারে মা বাবা ভাই বোন-অনেকেই আছেন। কোনোদিন সে খবরে যাই না…. যাবই বা কেনো-হালাল রোজী হোক না এমন করেই সুন্দর জীবন যাপন- আর ঐ যে থালা হাতে ভিক্ষের- আবেগী হয়ে তাদের থালায় ছেড়ে দেই খুচরো মমতা। অথচ তাদের খেটে খাওয়ার ক্ষমতাও ছিলো- আমলই তাদের এমন, তারা ভিক্ষেতেই অন্ন কুঁড়ায়। আর যে নারী চকলেট দিয়ে দিয়ে ফিরে আসে টাকা নিতে আমি চকলেট কিনে নেই-সে শ্রম বেচে খাচ্ছে-অথচ কেউ কেউ আমরা চকলেট ফেরত দেই টাকা দেই না।

৮। এখানে মাটজুড়ে ফসল, সব্জি, সবুজে সবুজে একাকার চতুর্দিক
এখানে মেঠোপথে এখনো ফেরি করে বেড়ায় ফেরিওয়ালা
এইতো আমার মায়াময়ী ছায়াময়ী অপরূপ সুন্দর গাঁও
এখানে পথে ঘাটে গাছের ছায়ায় সর্বত্র শান্তি এবং শান্তি
এখানে মাঘের ভোরে হাঁসেরা জলে কাটে স্বাধীনতায় সাঁতার,
শান্তিতে ঐক্য হয়ে থাকুক আমার গাঁওবাসি।
ভালবাসি মানুষ, ভালবাসি আমার গাঁও, ভালবাসি দেশ।
এই দেশ এই মাটি আমার গর্ব আমার অহংকার।

৯। লুকিয়ে আছিস ওলো সুন্দরী
সবুজের বুকে চুপি
প্রজাপতি ছুঁয়ে দিবে এসে
মাথায় পড়ে টুপি
ভাব দেখিয়ে মুচকি হেসে শেষে
ঝরে পড়িস কেনো
তোর লাগিয়া প্রজাপতির মনে
বাজে দুঃখের বেণূ।

১০। এমন একটি শীতের বিকেল-যেখানে শুধু সোনা ঝরা প্রহর- হেমন্তের ফসল গোলায় ভরে কৃষাণী মাথায় বোঝা বয়ে। এখানে পরিশ্রমের বিনিময়ে উচ্ছ্বল মানুষগুলো -বড্ড ভালবাসি। শ্রদ্ধায় করি মন নত। মরা কাঁচা দূর্বাঘাসে নগ্ন পায়ে হাঁটার প্রহরগুলো যন্ত্র শহরে নেই। এই শহরে আছে শুধু ক্লান্তি। আর ছায়াময় গ্রামে আছে সর্বত্র ছড়িয়ে শান্তি।
বছরের কয়েকটি দিন হয় তাই শহরবাসীদের জন্য সেরা দিন। ভালবাসি দেশ আমার-ভালবাসি দেশের মানুষ।

১১। লজ্জা যেমন হারিয়েছে এ সমাজ হতে ধীরে ধীরে তেমনি এই আলতো ছুঁয়ে দিলে ওরা লজ্জায় নুয়ে যেতো তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার পথে। এখন গ্রামে গঞ্জে লজ্জাবতীরা বসে থাকে না দূর্বাঘাসের ফাঁকে। মানুষের পায়ের তলায় পিষ্ট হতে হতে ওরা হারিয়ে যাচ্ছে কালের গহরে। আহা কত মুগ্ধতার প্রহর ছিলো সেই, ইচ্ছে করেই ওদের ছুঁয়ে দিতাম আর ওরা লজ্জায় মুখ লুকাতো ফুলের বুকে। আবার ওদের বুকে ফুটে থাকতো মিষ্টি গোলাপ রঙ ফুল। মুগ্ধতা শুধু মুগ্ধতার প্রহর ছিলো সেই … এখন আর এমন প্রহর হেসে উঠে না। মিইয়ে গেছে সময়ের সাথে। তাই লজ্জাবতীরাও হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ওদের এখন নীড় গড়া উচিত দখিন দাওয়ার ফুলের টবে। ইটপাথরের শহরে ওদের নিমন্তন্ন রইল।

১২। চলে যাচ্ছে বসন্ত দিন-শুকনো পাতাদের হুলি খেলা হবে বন্ধ। পাতারা ঝরে যাচ্ছে মুর্হুমুহু ফাগুন হাওয়ায়। তবুও গাছে গাছে কুহু কুজন আর শুকনো দূর্বাঘাসের ফাঁকে বসন্ত ফুল ফুটে আছে হেসে। মুগ্ধতা দৃষ্টি জুড়ে। মৌসুম শেষে ঝরে যাবে রক্ত রঙিন ফুল, বাসন্তি গাঁদা……. স্বপ্নবীজ দিয়ে ওরা হারিয়ে যাবে। আর স্বপ্নবীজ থাকবে আগত বসন্তের অপেক্ষায়। এভাবেই ঋতুগুলো আমাদের দিয়ে যায় অনাবিল আনন্দ। বসন্ত হাওয়া গায়ে মেখে কেটে যায় শুদ্ধ প্রহর।