ফকির ইলিয়াস এর সকল পোস্ট

ফকির ইলিয়াস সম্পর্কে

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

প্রান্তিক পক্ষশক্তি

আমিও অনেকটা টিপসই জানা মানুষ। বৃদ্ধাঙুলের রেখায় যে কালো কালি
লেগে থাকে তার দিকে তাকিয়ে চিনি আঁধারের পরিচয়। জানি, নিরক্ষর
নদীদের জন্মঠিকানা। পাহাড়ের আত্মদানের ইতিহাস। চূড়ার অতীত জীবনী।

যারা কিছুই জানে না বলে দাবী করে, তারা কিছুটা হলেও জানে গৃহপ্রবেশের
কৌশল। আমি এ বিশ্বাস স্থাপন করেছি পাতাদের হাতে হাত রেখে। দক্ষিণের
মৃদুহাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে নিতে তাকিয়েছি দূরের সমুদ্রপাথরের দিকে। অবেলায়।

আমি কী কখনও বেলাচিহ্নের পূজারি ছিলাম! কখনও কী চেয়েছি একহাতে
খুলে দেখতে তোমার দেয়া ঘামে ভেজা প্রেমপত্র ! অথবা রুমালের ছায়া
পাচার করে আমি কী চেয়েছি, গড়ে তুলতে ভোগের লাল-নীল দালান !

কেউ আমার পক্ষে দাঁড়াক, তা আমার কাম্য ছিল না। আমার কণ্ঠে—
কণ্ঠ মিলিয়ে সুর তুলে উড়ে যাক কোনও হলদে পাখি, তা-ও চাই নি
আমি। তারপরও আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল চাঁদ আর তার প্রতিবেশিরা।

ছায়ামনে, মেঘের সংসার

ভেসেছিলাম একক সায়রে, সাথে নিয়ে পিতল বরণ মেঘ
নিধুয়া নদীর বাঁকে জমে থাকা বিরহ অপার
বলেছিলো সাথে যাবে, যদি যাই হিজল জমিনে
হতে পারে দেখাদেখি— ছায়ামনে, মেঘের সংসার।

আঁকড়ে যে জন থাকে ভিটেজল, ঢেউয়ের আকর
টেনে নেয় কাছে ঝড়, বসন্তের অরূপ মহিমা
বীমাহীন জীবনের যতসব লেন-দেন সেরে
অতিক্রম করে যায় পূবাকাশ— নক্ষত্রের সীমা।

পথে পথে ঘুরে ফের জানিলাম একক পরাণ
সকলই হারিয়ে যায়, হারানোই জীবনের ঘ্রাণ !

তুষারপাতের আগে

জমে যাচ্ছি, প্রগাঢ় শ্বাসকষ্টের ভেতর। পাতাহীন বৃক্ষের
প্রতিবেশে পাখিরা যেমন মুখ লুকিয়ে রাখে প্রেমিকার
বুকের বা’পাশে। কাঁপছি – পালকে বুনা ভারী কোট
গায়ে দিয়ে, একাকী সড়কে। আমাকে ফেলে রেখেই
চলে যাচ্ছে যাত্রী ভরা বাস।

কাজল বরণ রঙ ধারণ করে মাথার উপর,
দাঁড়িয়ে আছে উইকেন্ডের আকাশ।
পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে, বিজয়ের ফুলকি হাতে
সাজাচ্ছে ভবিষ্যত, প্রজন্মের কিশোর- কিশোরী।
বরফের হিম কুঠিরে, উষ্ণতা সাজাচ্ছে সূর্যের বিনয়।

সেই সূর্য থেকেই কুড়োচ্ছি জন্মের আলো-
তুষারপাতের আগে,
বাড়ির আঙিনায় শাদা মাদুর বিছাবো বলে,
মেঘকে ডেকে বলছি,
তুমিও এসো বন্ধু, আরেকটি পরাগ ছিটিয়ে দিই
ডিসেম্বরের ভোরের চৌকাঠে।

:: : 🇧🇩

অনেক আলোর বিধান ঘিরে

শিশিরের সিক্ততা ছড়িয়ে হেমন্ত চলে যায়। ঘোরের
আভা নিয়ে বাঁচে যে রাখাল,তাকে তুমি বন্দি,
বলতেই পারো। অথবা লিখে রাখতে পারো-
জীবিতদের জন্যই জীবন, মৃতের জন্য- শুধু দীর্ঘশ্বাস

উত্থানের কাহিনি শুনিয়ে সূর্য ডুবে যায়। তপ্ত দুপুর
ছিল বুকের দুপাশে, তার সাক্ষী শুধুই থাকে নদী
আর প্রিয় পিপাসা- অনেক আলোর বিধান ঘিরে
রচিত রজনীগন্ধার ছায়ায় রুয়ে রাখে নিজ নাম

আমি বহুকাল থেকে জমাট হয়ে আছি- রাখালের
রক্ষিত জীবনে, কবিতার শোধবোধে পাশাপাশি
যে নিসর্গ, বেছে নিয়েছি তার দাসত্ব। আর কিছু
ঢেউয়ের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি সেই ছায়ার প্রণাম

উষ্ণ আমিষ থেকে

শব্দের সন্ধানে হেঁটে যান প্রিয় পিতামহ
তাঁদের পায়ের ছাপে ভেসে যায় কাল বৃন্দাবন
আমিও খুঁড়েছি কতো শিলাবুকে সমান দহন
দেখেছি ঋতুর বীজে সূর্যের সবুজ বিগ্রহ।

জ্বলে উঠে এই ভূমে দাঁড়িয়েছি আরো বহুবার
কবির আকাশ থাকে স্মৃতিময় নিজ করতলে
ডাক দিলে কাছে আসে যদি কোনো মহান সকালে
তবেই নমিত সুখে সাথী হয় প্রেমের আঁধার।

প্রজন্ম প্রভায় তাই আমরাও বুনি কিছু বীজ
রেখে যাই দায়দেনা হাতে হাতে, নীল জলছাপে
এবং কিনার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর আলাপে
উষ্ণ আমিষ থেকে জমে উঠা হলুদ খনিজ।

সবশেষে মিশে যাই অনাগত পথের নয়নে
এ কথা সবাই জানি আয়ু ফিরে গ্রহের বয়নে।
☘️

ছায়াগুলো সাজানো ছিল

নাটকের যবনিকা এলে বদলে যায় পর্দার রঙ। যারা
অভিনয় করেছিল, তারা পোশাক পাল্টে মিশে যায় জনস্রোতে।
হাততালি দিতে দিতে যারা উপভোগ করেছিল দৃশ্যাবলি-
তারাও ভুলে যায় বিগত সংলাপ।

নাটকটি মূলত সাজানো ছিল,বলতে বলতে নাট্যকার
হাত দেন পরবর্তী পরিচ্ছেদ পরিকল্পনায়। বোকা মাটির ঘ্রাণ
বুকে নিয়ে পাখিরা সেরে নিতে চায় দেশান্তরের শেষপর্ব।

আমি তাকিয়ে থাকি। অনেক কিছু জানি- তবু বলতে
পারি না। অনেক কিছু দেখি- তবু বিশ্বাস করতে পারি না।

নীল সীমান্তসনদের লোভে যারা বিক্রি করে দেয়
আমার স্বদেশ,
দেশান্তরের হীন আশায় যারা তৈরি করে নাটকের
দৃশ্যান্তর, আজ তারাই বড় দেশ প্রেমিক!
আজ তাদের জন্যই হাত বাড়িয়ে থাকে রক্ষক প্রভু !

তারপর…..
আরও কোনো নাটকের জন্ম দেয়া যায় কী না-
তা ভেবে দেখতে পুনরায় নির্দেশ দেন
মহাসম্রাট প্রযোজক !

রক্তাক্ত চন্দ্রগ্রাম

গুলিবিদ্ধ পাখির ডানায় ডুবে থাকে তারা।যে ভোর
জাগবে বলে ঝলক দেখায়,তার বাহুতে জমে উঠে
রক্তদাগ। নদীদের অভিমানের সাথে মিশে থাকা
বারুদগন্ধ, বয়ে যায় কালের উজানে।

এই মাটির ছায়ায় লুকিয়েছিল যে আঙুলের আলো,
সে ও জেগে উঠে ‘জয় বাংলা’ বলে। একজন
মা, তার সন্তানকে বিদায় দিতে দিতে বলেন
– ফিরে এসো বাবা।

যুদ্ধ শেষ হয়। আসে বিজয়
রক্তাক্ত চন্দ্রগ্রামে পড়ে থাকে কয়েকটি করোটি
পথ চেয়ে থাকে একজোড়া চোখ।
কাগজে সংবাদ বেরোয়, কিছু মুক্তিসেনা
কোনো দিনই,
ফিরবে না আর।

ফিদেলের জন্য পদ্মমালা ♦

বুকপকেটে আমরা যে রক্তজবা লুকিয়ে রাখতাম-
তা অনেকেরই নজর কাড়তো না। কিংবা যে সূর্যকে
বশ্য বানাবো বলে কোমরে ঝুলিয়ে রাখতাম কোমল ইস্পাত,
তা ও বার বার থেকে যেত রোদের অগোচরে,
অথচ ঢাকার রাজপথ কিংবা বলিভিয়ার জঙ্গল
সবই ছিল আমাদের নখদর্পণে, ছিল লালকালিতে
আঁকা ঝড়ের রোডম্যাপ।

আমরা হামাগুড়ি জানতাম ঠিকই, কিন্তু মুছে
ফেলেছিলাম কনুইয়ের দাগ। আমরা ঈশান
চিনতাম ঠিকই, কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম বিজলীর রঙ
ফলে,আমাদের জাহাজের পাটাতন চুইয়ে জলের
বদলে রক্ত উঠতো প্রতিদিন,
আমাদের বেদনাগুলো, পুষ্প হতো কারো কারো
সদর দরজায়।

ফিদেল, বিপ্লব আমাদের প্রতিবেশী ছিল জেনেও
আমরা পরখ করতে পারিনি শোষণের প্রধান কাঁটা।
কিন্তু সাময়িক হেরে যাওয়াই তো শেষ কথা নয়।
অথবা হাভানার আকাশ জুড়ে আজ যে পাখির বিলাপ
সেটাই নয়, পাথরসম সকল শোক।

জানি- নতুন কোনো বুকে
দুদণ্ড পাঁজর বেঁচে থাকবে। একটি আঙুল বেঁচে
থাকবে, হাতে। থাকবে বিপ্লবের প্রতিটি স্বপ্নসিঁড়ি।
আবার দেখা হবে বন্ধু,
পৃথিবীর অন্য কোনও প্রান্তে….

দেবনগর

মানুষের পা ভিজিয়ে দেয় যে কুয়াশা, তার কোনো
পরিচয় নেই। পৌষ কিংবা মাঘ তার জন্মমাসও নয়।
ভালোবাসার ভোর থেকে ঝরে বিন্দু, কিছুটা হিম
আর কিছুটা অসীম আনন্দ নিয়ে, মানুষ খালি পায়ে হাঁটে।

এখানে দেবীরা আগুন হাতে অপেক্ষা করতো উষ্ণতার;
এখানে শীত হাতে রাইকিশোরী, একাই গাইতো-
প্রাণের কৃষ্ণগীতি। আর পুষ্পগুলো,
আনমনে সেরে নিতো প্রেমে প্রেমে ভ্রমর-ভজন।

নেমে এলে উদার আকাশ,
উৎসবে মেতে উঠে ধ্যানের দেবনগর। উৎসব মানেই
উপাসনা, ধ্যান মানেই মঙ্গলের কাছে ফেরা-

সেকথা মানুষও জানে। তাই ঋতুমগ্ন প্রদীপ হাতে
যেতে চায় আরও কাছে,
সাজাতে চায় নতুন বসন্তের জন্য; পথের পসরা।

বীমা বিষয়ক বিষ্ফোরণ

শুধুই মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে হয় বলে,
হতে চাই’নি জীবন বীমার এজেন্ট!
শুধুই আগুনে হাত রাখতে হয় বলে,
হতে পারিনি কামার!
কিংবা কুমারের কাছে গল্প শুনতে
শুনতে –
বার বার ভীত হয়েছি ভেঙে ফেলব
বলে মাটির বাসন!

সব কাজ সকলের দ্বারা হয় না,
সব মাটিতে সবাই পুঁতে রাখতে
পারে না বীজ।
যারা অস্ত্র চালায়, যারা মানচিত্রের
পক্ষে প্রাণ বধ করে-
তারাই জানে বিজয়ের প্রকৃত তাৎপর্য কী!
তারাই বুঝে কীভাবে সূর্যকে তুলে
রাখতে হয় হাতের মুঠোয়।
কোনো বীমাই তাদের জীবনের
মূল্য পরিশোধ করতে পারে না।

অবলা হেমন্তে ♠

আমার চারপাশে ঘুরে প্রকাশিত পথ।
অবলা হেমন্ত বলে যাই…
আসবে শীত, এই আনন্দে যখন আমি বাসর সাজাই
দেখি, চাদর নেই- নেই উষ্ণতার ঘোর ব্যবচ্ছেদ
আর কিছু বিরহ শুয়ে আছে মাথার উপর, সফেদ
শাড়ী পরে। আমার খুব ভয় হয়- কারণ এর আগে এতো বেশি মাতাল
আলো দেখিনি আমি। যা দেখেছি তা কেবল নীলাভ সকাল
ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদী-
আঁতকে উঠি। যদি আবার হারাই এই প্রেমের অনাদি !

আবার এই ঢেউঘন বনের কিনারে,
কেউ যদি বাজায় বাঁশি, প্রিয় নাম ধরে
বলে, এসো তোমাকেও দেখাবো আকাশ
তবে কি আমি, ভালোবেসে হবো না তার বাহুবন্দি দাস!

পাখিদের সদস্যপদ

আমাদের ঋতুসম্ভার দেখে পাখিও সদস্য হতে চেয়েছিল,
গান ভুলে দোয়েল- খাঁচায় চেয়েছিল আশ্রয়,
আর আমরা নদীগুলোকে ভরাট করতে করতে – খুব
বড় বড় চোখে তাকিয়েছিলাম আকাশের দিকে
ইচ্ছের রিপুতে ভেসে – চেয়েছিলাম, প্রেম ও প্রকৃতি ভুলে
যদি আকাশটাকেও দখল করে জোতদার হতে পারতাম !

চেয়েছিলাম, বাঁশীবাদক হয়ে দখল নিতে সকল সবুজের
যারা স্নান সেরে নদীর জলে শুকোয় চুল, সেসব বেদেনি
নারীর চোখের মণি হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম নৌকোয়।
বৈঠা হারিয়ে ফেলেছি জেনে- শরৎ আমাদের ছেড়ে গেছে,
এখন যাবে হেমন্ত’ও। শীত আসার আগেই যে মাটি
কেঁপে উঠবে, জানি তার সাথেই আমাদের সর্বশেষ সখ্য।

যৌগিক যুগমন্ত্র

অনেক আগেই শেষ হয়েছে মৌলিক মন্ত্রপাঠের সমাপনী
উৎসব। যারা মূলত শক্তির অধিকারী ছিল- তারা
মাটিতেই সমর্পণ করেছে তাদের আত্মা। যারা পরমাত্মার
ছায়া কুড়িয়ে পুষ্ট হওয়ার কথা ছিল- তারা ডুবে গেছে
গাণিতিক ভাগ-পূরণে।

হিসেব মিলে’নি দেখে অভিমানে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছে নিম্নবর্গের চাঁদ। উচ্চগোত্রের মানুষ যারা- তারাই
পড়তে চেয়েছে পরিবেশবিজ্ঞানের সকল উপধারা। নিরক্ষর
নদীগুলোর বক্ষদেশ দখল করে যারা সম্পন্ন করেছে তাদের
সর্বশেষ মহোৎসব- তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে পাখিরাই
দাঁড়িয়েছে। না- কোনো মানুষ সেদিন আদালত প্রাঙ্গনে আসেনি।

অরণ্যে অন্তহীন রোদে

যে ভয়ের কথা তোমরা বলছো, সে ভয় থাকে পশুদের।
কারণ তাদের ধাওয়া করতে পারে মানুষ….
যে অনিশ্চিত জীবনের কথা তোমরা লিখছো, তা-
হতে পারে নদীদের,
কারণ তার বক্ষদেশ ভরাট করে দিতে পারে কোনো কালোহাত।

আমি হাতবিহীন ভোরের কথা বলছি,
বলছি রোদমাখা অরণ্যের কথা-
কিংবা অন্তহীন দুপুরের ছায়াসমগ্রের কথা
যে ছায়া মাথায় নিয়ে প্রেমিক দেখে-
হাজার বছরের পুরনো প্রেমিকার মুখ।

আমি যে কঙ্কালে দেখছি আমার পাঁজর,
যে ভগ্ন চোয়ালে দেখছি আমার দাতাংশ-
তা কিন্তু পুরনো নয়। বরং বেশ নতুন ঝলমলে
সূর্যের মতোই,
জানোই তো- অক্ষরের ছাপচিত্রগুলো পুরনো হয়না,
কেবল রোদটুকুই লিখে প্রাণের বিনীত সংবিধান।

যখন হত্যাকারী ধন্যবাদের যোগ্য হয়ে উঠে

পরম যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। রিপু হত্যার অপরাধে বনবাস উপহার পেয়েছিলেন
যে বাউল, তার কনিষ্ঠ আঙুল ধরে আমি বয়েত নিয়েছি অনেক আগেই। আর
প্রচলিত ধ্যানের সমুদ্রকে দূরে ঠেলে দিয়ে, আকাশকে বলেছি- তুমি সরে যাও
আমার মাথার উপর থেকে।

যে বাঘ মানুষ হত্যা করে, কিংবা যে সাপ সকল প্রাচীন পাপ ভুলে গিয়ে
কামড় বসায় শিশুর পায়ে, আমি তার ফণা চিনি। চিনি, একাত্তরে এই
দেশের সম্ভ্রম লুন্ঠনের জন্য এসেছিল যেসব পশ্চিমা হায়েনা- তাদের পদছাপ।

হায়েনা হত্যার উদ্দেশে যে কিশোর উঁচু করেছিল কালো ব্যায়নেট, তাকে
ধন্যবাদ দেবার জন্য আকাশে উড়তে দেখি একঝাঁক পাখি। আমি পাখিদের
ডানায় ঝরা পুষ্প ছড়াই। মৃত্যু আমার কাছে উৎসব এখন। যারা পেট্রোল
ঢেলে হত্যা করে আমার সহোদর, আমি সেইসব খুনিদেরকে হত্যার উদ্দেশে
কবিতা লিখি। সড়ক দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবো- এটা আমারও তো
গণতান্ত্রিক অধিকার।