প্রতিবারের মতো এবার ঈদ সাবলীল বা খুব স্বাভাবিক হয়নি
একটু ব্যাতিক্রম তো ছিলই,
ঈদের আগের দিন শেষে সন্ধ্যায় মানুষ ঈদের চাঁদ
দেখায় ভীষণ উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠে –
হবে না ? দীর্ঘ একমাস কঠোর সিয়াম সাধনার পর খুশির বার্তা নিয়ে ঈদ আসে,
ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঘরে ঘরে
কত কী আয়োজন চলে
ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে
রোজা ত্রিশটা হয়নি
সারা আকাশ মেঘে ভর্তি ছিল,
ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি।
চারিদিকে ঘোষণা হয়ে গেছে কাল ঈদ হবে না
ঈদ হবে বৃহস্পতিবার ৬ তাং
ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মসজিদে তারাবী নামাজ পড়ে এসেছে
এই সব নিয়েই ভাবছিলাম আমি।
হঠাৎ রাতে ঘোষণা এলো, কাল ঈদ হচ্ছে
চাঁদ দেখা যায়নি;
অথচ ঈদ হচ্ছে মানে কী ?
এসব হচ্ছে কী?
তখন ও আমি এসব নিয়েই ভাবছিলাম।
রাতের আকাশে তখন এক জোড়া ঘুড়ি উড়ছে
ঘুড়ি দু’টো সারা আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
আমার দৃষ্টি আটকে আছে ঘুড়িতে
লাল, নীল ঘুড়ি ঘুড়ি দু’টো এক জোড়া পাখি হয়ে নেমে এসেছে বৃক্ষের ডালে।
এখন পাখি দু’টো মাটিতে নেমে এসেছে
একটা পাখি এক পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে,
অন্য পাখিটা দু’পায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাখিটা এক পা’য় হাঁটছে
দু’পায় দাঁড়িয়ে থাকা পাখিটা ওর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিলিয়ে একই ভঙ্গিতে হাঁটছে।
পাখি দু’টোর রং সরাসরি সাদা নয়
অফ হোয়াইট সাদা
সে এক মায়া কাড়া রং,
ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
পাখি দু’টোর চোখের মণি কালো
একই রকম মুখ ওদের
আর ঠোঁট দু’টোর কী অসাধারণ মিল,
এমন কী ডানা দু’টোর ও অদ্ভুত ছড়ানো!
পা দু’টোর সৌন্দর্য একই রকম
টুকটুকে লাল;
শুধু ডানা দু’টোয় ধূসর গোধূলির রং মিশে আছে।
আহা! এমন এক জোড়া পাখি যদি থাকত আমার,
ওদের পোষ মানাতাম নানা বাহানায়
কী নাম ওদের? ওহ্!
অ্যালবাট্রস? ভীষণ কাব্যিক নাম তো?
প্রেমিক পাখি, সেই এক পায় দাঁড়িয়ে থাকা পাখিটা
আমার কানে ফিসফিস করে ওদের নাম বলে গেল।
প্রেমিক পাখিটা আরও বলল, ও আমার সঙ্গীনি উইসডম:
আমরা গত পনের বছর এক সঙ্গেই আছি
ক’বছর আমরা সূতো কাটা ঘুড়ি হয়ে উড়েছি আকাশে,
এ জম্মে পাখি হয়েছি;
আমরা প্রেমিক যুগল খুব ভাল আছি!