জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

চিঠি

399372_150

ওগো প্রেয়সী
অকস্মাৎ জানতে ইচ্ছে করে
তুমি কেমন আছ।
আমি জানি তুমি দেবে না
আমার এই চিঠির উত্তর
তবুও তোমাকেই লিখছি
জানতে ইচ্ছে বড়
তোমার দোরের কাছে রক্তিম জবা গাছে
নতুন ফুল আদৌও ফোটে
জানালার পাশে ভোরের শিশিরে
আদৌও কি পাখি গায়
তোমার পোষা বিড়াল আদৌও
কি মিউ মিউ করে
সত্যি জানতে বড় ইচ্ছে করে।

তোমার পড়ার টেবিলের পাশের স্রোতস্বিনীটা
কি সেই আগের মতোন বইছে
তুমি কি আদৌও শরতের ফুল দেখে
মনের অভিলাষে হাসো
জানতে বড় ইচ্ছে করে।

আমার এ্যালবামের পাশে তোমার সেই ছবিটা
আদৌও আছে
তোমার এ্যালবামের পাশে আমার
সেই ছবিটা আছে কিনা জানতে বড় ইচ্ছে করে
নাকি অভিমানে তা নষ্ট করছো।

আজও কি তুমি আমার কথা ভাবো
নাকি পার্কের দিনের মতোন আজও প্রহর গুনছো
জানতে বড় ইচ্ছে করে ওগো প্রেয়সী
জানতে বড় ইচ্ছে করে।

তুমি কি আদৌও আমায় বল
লোফার, ইস্টুপিট, দুষ্ট
সত্যি ওগো প্রেয়সী
আমার আজ জানতে বড় ইচ্ছে করে।

তুমি কি রাগ অভিমান হলো
গগনে তাকিয়ে দেখ অজস্র তাঁরার মেলা
জানতে বড় ইচ্ছে করে ওগো প্রেয়সী
জানতে বড় ইচ্ছে করে।

কেন তুমি ছেড়ে চলে আমায়
স্বার্থপরের মতোন
জানি না আসলে আমার কি অপরাধ
আমি তো তোমার কোনো চাওয়া পাওয়া
রাখিনি অপূর্ণ
তাহলে কেন তুমি এমন করলে আমার সাথে
নাকি তোমার মনের দোর আমার জন্য বন্ধ করে রেখেছে
আমি তো তোমায় বাংলা আনাচেকানাচে খুঁজেছি
ওগো প্রেয়সী তুমি কোথাও নেই
তুমি কোথায় আছ জানতে বড় ইচ্ছে
সত্যি জানতে বড় ইচ্ছে করে
বল না বল
ওগো প্রেয়সী তুমি কোথায় আছো।

বুকে গিরি সমতুল ব্যাথা নিয়ে আজও
আছি বেঁচে শুধু তোমার অপেক্ষায়
কখনো আসবে তুমি
কখনো আসবে তুমি
কখনো আসবে
সেই অপেক্ষায়।

রচনাকালঃ
৩০/১০/২০২০

ফেরিওয়ালা

9sxiR3Fg-1
ফেরিওয়ালা ফেরিওয়ালা
বারেক ফিরে চাও
সোনাতলির পথটি বেয়ে
কোথায় চলে যাও।

গায়ের পথটা ভারি বাঁকা
দেখে চল তবে
আজ নিলাম না তবে কিছু
আসবে আবার কবে।

আবার আসবে যখন তুমি
আনবে কানের দুল
লাল ফিতায় রাখব বেঁধে
আমার দীঘল চুল।

মিষ্টিমুখের দুষ্ট কথায়
ভুলবে তোমার মন
মূল্য হিসেবে দেব এই না
আমার জীবন।

তোমার মুখের মিষ্টি হাসি
সোনার মতোন দামি
তার জন্য তোমার সাথে
জুটি বাঁধলাম আমি।

সুখে দুখে থাকব পাশে
ওগো ফেরিওয়ালা
যত আছে আমার মনের কথা
বলব মিটিয়ে মনের জ্বালা।

রচনাকালঃ
২১/১২/২০২০

দেশে থাকতে চাই

লটারির মাধ্যমে সুযোগ পেলাম
জন্মভূমি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য
দূর থেকে দূরের কোনো দেশ
কিন্তু আমার মন তো বলে –
আমি যাব না,যাব না আমি
যাব না আমার জন্মভূমি ছেড়ে
যেথায় লেগে আছে আমার মায়ের স্নেহ স্পর্শ
সকল জ্ঞাতি সম্পর্ক গুলো
যেখানকার আকাশ বাতাস গ্রহ তারা
সবাই আমায় চেনে
তারা জানে যে আমি কোনো অভ্যাগত নই
নই কোনো আমি ভিনদেশী পথিক
আরও জানে ঐ পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা
শোকার্ত কদম মালী
আমার জন্মভূমির মনোরম পরিবেশ
আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে
যেথায় পাখি গায়, বায়ু বয়
আর সূর্যের ঝলকে ফোটে মৌসুম ফুল
এরূপ মনোরম পরিবেশ ছেড়ে
আমি দেশ ত্যাগ করতে চাই না
চাই না আমি
চাই না দেশ ত্যাগ করতে ।

করলে দেশ ত্যাগ ওরা তো সবাই
আমায় বলবে “রোহিঙ্গা ”
রিফিউজি বলবে “রিফিউজি ”
কেন আমি করব দেশ ত্যাগ
আমি তো পেয়েছি স্বাধীন দেশ
আমি তো স্বাধীন জাতি
আমি তো পেয়েছি লাল আর সবুজের পতাকা
যেখানে নেই কোনো শোষণ নিপীড়ন
কিনেছি আমার জন্মভূমিকে এক সাগর রক্ত দিয়ে
যার জন্য হরিত হয়েছে আমার মা আর বোনের ইজ্জত
এত কষ্ট করে জন্মভূমি পেয়েছি
তাহলে আমি কোন আশা দেশ ত্যাগ করব
চাই না আমি
সত্যি, সত্যি, সত্যি আমি তো চাই না দেশ ত্যাগ করতে
আমি এমন সুন্দর প্রকৃতির নিয়ামতপূর্ণ দেশ ছেড়ে চলে যেতে না
আমার মন চাই না
কি পায় নি আমি দেশের কাছে
বরং আমি নিজে কিছুই দিতে পারিনি দেশকে
আমি আমার প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি জন্মভূমিকে
তাই আসুক যত সুযোগ সুবিধা
চাই না দেশ ত্যাগ করতে
তাই আমার সবিশেষ অভিলাষ
জন্মভূমির মাটিতে যেন আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি
তাই আমি দেশ ত্যাগ করতে চাই না
চাই না দেশ ত্যাগ করতে
চাই না।

রচনাকালঃ
২০/১১/২০২০

টুঙ্গিপাড়া

images

তুমি যাবে, যাবে ভাই,
যাবে মোর সাথে টুঙ্গিপাড়ায়,
যেথায় ঘুমিয়ে আছে স্বাধীনতার জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
যেখানে আছে তার স্মৃতি বিজড়িত মধুমতী নদী
আর যেখানে করছে স্নান
সেই স্থান গুলো দেখবে
জনক খেলেছে যেথায়
সেই স্থান গুলো দেখবে।

দেখবে তাঁর স্পর্শ লেগে থাকা টুঙ্গিপাড়ার প্রকৃতির সৌন্দর্য
যার গান শুনেছে হাজারো পাখির দল
সেই পাখিদের তুমি দেখবে
আরো স্মৃতি বিজড়িত শেখ বাড়ি খানা
যেখানে মুজিবের কেটেছে শৈশব কৈশোর
দেখলে ভাই তোমার মন জুড়াবে
চল না ভাই,
চল যায় টুঙ্গিপাড়ায়।

রচনাকালঃ
০৮/১২/২০২০

প্রার্থনা- ২

হে পরম করুণাময় রহিম রহমান
আমি যেন সদা পালন করতে পারি
তোমার দেয়া সকল ফরমান
যদি হয় কভু ভ্রান্তি হে পরম করুণাময়
অনুতপ্ত হলে করে দিয়ে
পাপ থেকে মুক্তি আমায়
ভোগ করছি তোমার দেয়া সকল নিয়ামত
ভোগবিলাসে নিমজ্জিত থেকে
পারিনি করতে তোমার শুকরিয়া
পরজন্মে আমায় থেকে তুমি নিয়ে না হিসাবটা
আমি তো ক্ষুদ্র দূর্বল জীব পারব না দিতে
তোমার নিয়ামত ভোগবিলাসের হিসাবটি
করে দিয়াে ক্ষমা আমায়
হে সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময়
আমায় যেতে বাঁধা দিয়ো না ঐ সুখের স্থানটায়
পেরেছি যতটুকু পালন করতে তোমার হুকুম
তাতে আমায় শাস্তি দিয়ো না
তোমার কাছে আমার করজোড়ে এই সদা প্রার্থনা
করি সৃষ্টিকর্তা হে পরম করুণাময় রহিম রহমান।

রচনাকালঃ
১১/১১/২০২০

ছড়া


জীবনটা বাঁধা আছে
স্বপ্নের জালে
গগনটা ভরে আছে
নক্ষত্রের তলে।


রাতের আঁধারে গগনে
তাঁরার মেলা
আঁধার পেয়ে জোনাকিরা
করে খেলা।


মেঘের মেয়ে মেঘকুমারী
তোর বাড়ি কই
স্বপ্নে দেখেছি আমি
তুই আমার সই।


নিন্দুক নিন্দুক নিন্দুক
সবার আপন সাথী
বিনা মূল্যে করে পরিষ্কার
হয়ে অন্ধকারের বাতি।

রচনাকালঃ
১১/১২/২০২০

মা-দেশ

Screen

বাংলা আমার মা
আমি যে তার ছা
মার উপর আসলে আঘাত
সন্তান হয়ে বসে থাকবো না।

মাকে রক্ষা জন্য আমি
করব প্রাণ দান
তাতে হবে রক্ষা আমার
বাংলা মায়ের মান।

মায়ের মুখের হাসির জন্য
কিনা পারি করতে
প্রয়োজন হলে মেশিন গান
তলে নেব এই হাতে।

মাকে রাহু মুক্ত করার জন্য আমি
মৃত্যুর সাথে ধরব পাঞ্জা
এগিয়ে যাব সংশপ্তকের মতো
নেই কো কোনো ধান্দা।

শোন যখন আমার পিতা নাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
আমাকে কি দমন করতে পারে
এই ধরার কোনো জীব।

আমার পিতার নেতৃত্ব বাঙালিকে
করেছে প্রাণের সঞ্চার
সম্মিলিত প্রয়াসে দূর করব আমার
মায়ের সকল জঞ্জাল।

আমার পিতার নেতৃত্বে
মা পেল মুক্তি
যখন খুশি মায়ের কোলে
করব আমরা ফূর্তি।

আমি চাই

আমি তো চাই না,
চাই না আমি সুখী হতে
কারণ নিজের সুখের বদলে
আমি কিনতে চাই অন্যের সুখ।

চাই না আমি প্রভূত জমির মালিক হতে
আমার আছে যা
তাতে আমার প্রতুল
আমি চাই নিজের প্রভূত জমির
অর্জন অন্যকে দিতে।

চাই না আমি দাসের জীবন
কারণ মুক্ত জীবন আমার কাম্য
তাই আমি নিজেরে দাস বানিয়ে
অন্যকে দিতে চাই মুক্ত জীবন।

আমি তো চাই, চাই তো আমি
সদা স্রষ্টার আদেশ নিষেধ মেনে চলতে
হতে আদেশ নিষেধ মেনে চলে
স্রষ্টার প্রিয় পাত্র হতে
আমি সকল স্রষ্টার সকল আদেশ নিষেধ
মেনে চলার জন্য সকলকে উপদেশ দিব
এটাই আমার চাওয়া।

রচনাকালঃ
১৯/১০/২০২০

বিজয়ের জন্য

ওহে বাঙালি
তোমরা বুঝি বোঝো না
পাওয়ার মূলমন্ত্র
কিছু পেতে হলে কিছু দিতে।

শুধু বিজয় আসবে বলে
সারা বাংলা পাকরা করেছে তোলপাড়
তার জন্য বাঙালিকে সহ্য করতে হয়েছে
শাসন নামক পৈশাচিক নির্যাতন
দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত
কোল খালি হয়েছে মায়ের শত শত
হরণ করছে ওরা অসহায় মা ও বোনের ইজ্জত
শুধু বিজয় আসবে বলে
সন্তানের লাশ কাঁধে তুলে দাঁড়িয়ে আছে শোকাহত বাবা
ধ্বংস লীলায় মেতে ছিলেন পাকরা
বুক পেতে দিয়েছে বাঙলার সাহসী নির্ভীক ছেলেরা
শুধু মাতৃভূমি রক্ষার জন্য
শুধু বিজয় আসবে বলে
লুণ্ঠিত ছকিনা বিবি প্রহর গুনছে তোমার জন্য
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙালি
পেয়েছে স্বাধীনতা
বিজয় উল্লাসে আজকে সমবেত বাঙালি
হাসি গাইছে প্রাণ খুলে
আজ বাঙালির সকল আশা ভরসা ফিরে পেয়েছে।

রচনাকালঃ
১৩/১২/২০২০