মোঃ সফি উদ্দীন এর সকল পোস্ট

বাংলাদেশ – চার

অবসরে ব্যস্ততায়
প্রতিদিনের ভাবনায় একটি দেশ-
বাংলাদেশ।
অনাহারে অনিদ্রায়
স্বপ্নের ক্যানভাস একটি দেশ-
বাংলাদেশ।
বিষন্নতায় নিঃসঙ্গতায়
প্রফুল্ল ছোঁয়ার একটি দেশ-
বাংলাদেশ।
বেদনায় জ্বরায়
শান্তির পরশ একটি দেশ-
বাংলাদেশ।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

বাংলাদেশ – তিন

শালিখের ঠোঁটে,
চড়ুইয়ের চঞ্চলতায় একটি দেশ-
বাংলাদেশ।

দোয়েলের চোখে,
বাবুইয়ের প্রতিভায় একটি দেশ-
বাংলাদেশ।

রাখালের প্রাণে,
বাউলের একতারায় একটি দেশ-
বাংলাদেশ।

বৈঠার টানে,
জীবনমুখী যাত্রায় একটি দেশ-
বাংলাদেশ।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

বাংলাদেশ – দুই

বাংলার ফুল, বাংলার ফল
সদা মনে যাচি;
বাংলার মাটি, বাংলার জল
বক্ষে ধরে বাঁচি।

বাংলার বিল, বাংলার ঝিল
দেহে নিয়ে ভাসি;
বাংলার ঘাট, বাংলার মাঠ
চক্ষে ছুঁয়ে হাসি।

বাংলার নদী, বাংলার দীঘি
আনমনে কত ভাবি;
বাংলার বাতাস, বাংলার আকাশ
স্বপ্নে এলে কাঁদি।

বাংলাদেশ – এক

গ্রীষ্মে, ঝড়ঝঞ্ঝায়
অপূর্ব রুদ্রমূর্তির একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

বরষায়, মুষলধারায়
বৃষ্টির অনুরাগ একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

শরতে, কাঞ্চনপ্রভায়
শিশিরে উজ্জ্বল একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

হেমন্তে, নবান্নতায়
ফসলের সম্ভার একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

শীতে, কুয়াশায়
সূর্যের প্রত্যয় একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

বসন্তে, কৃষ্ণরাধায়
মঞ্জরিত জীবন একটি দেশ–
বাংলাদেশ।

ভালোবাসার কাব্য – একত্রিশ

এক।
একুশে একুশে কেটে গেল একুশ বছর,
তোমার আমার মিলন হলো বাংলায় অতঃপর।
বর্ণমালায় বেঁধেছি আমাদের দু’জনার ঘর,
ভাঙবে না আসুক যতই কালবৈশাখী ঝড়।

দুই।
‘অপরাজেয় বাংলা’ আছে বক্ষে আমার,
তোমায় ভালোবেসে জেগে উঠি আবার।
হৃদয়ে সদা জাগ্রত শহীদ মিনার,
আমার দেহে তোমার সর্বজয়ী বিথার।

/ড. মোঃ সফিউদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – ত্রিশ

(উৎসর্গঃ নুসরাত ইমরোজ তিশা)

এক।
জোনাকির আলো জ্বেলে চোখে
দিবে কী স্বপ্ন কিছু বিপন্ন বিস্ময়ে,
আমার সকল স্বপ্ন বংশীর বুকে
নীরব নক্ষত্রের মত গেলে ক্ষয়ে।

দুই।
পৃথিবীর সব কলরব ফুরলে
মৃত নগরীর কোন অন্ধকার পলে,
তোমার চোখে পাবে কী ভাষা
আমার হৃদয়ের সকল অপূর্ণ আশা।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

The Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award

29 October 2018

Academic Editor Prof. Dr. Md. Safiuddin Recognized with the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018

Congratulations to Prof. Dr. Md. Safiuddin, an Academic Editor of the journals Sustainability, Buildings, and Infrastructures, for being recognized with the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018 by the Marquis Who’s Who.

Dr. Safiuddin has received the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018 as a result of his hard work and dedication to his profession. From numerous professionals, the Marquis Who’s Who chooses only a limited number of awardees who own outstanding biography; this year, Dr. Safiuddin is one of the recipients.

The Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award is “an honor reserved for Marquis Biographees who have achieved career longevity and demonstrated unwavering excellence in their chosen fields” as per the Marquis Who’s Who. Only a small percentage of more than 1.5 million of the most renowned experts from around the world is considered for this prestigious award, and this year Dr. Safiuddin has won a place within that small percentage.

Dr. Safiuddin is a Professor of Angelo DelZotto School of Construction Management at George Brown College, Toronto, Canada and Adjunct Professor of Department of Civil Engineering at Ryerson University in Toronto. You can read about his career and research accomplishments at
•George Brown Faculty Profile
•GoogleScholar
•Research Gate

News link: https://www.mdpi.com/about/announcements/1414

ভালোবাসার কাব্য – ঊনত্রিশ

(উৎসর্গঃ আনিসুল হক, সামিয়া রহমানের সাথে আনিসুল হকের কথোপকথন কবিতাটির প্রেরণা।)

এক।
তোমায় নতশিরে করি কুর্নিশ,
পুড়েছ অনলে আমায় অহর্নিশ;
দেব না কখনো কোন অগ্নিবলয়,
তুমি কবিতার প্রাণ নিত্য কাব্যময়।

দুই।
তোমায় নমস্কার শতকোটি বার,
দিয়েছ বেদনা অশেষ অপার;
কি দেব প্রতিদান রিক্ত আমি,
নিতে পারো একটি কবিতা প্রণামী।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ফিরে এসো কবি

(উৎসর্গঃ জীবনানন্দ দাশ)

নক্ষত্রের চোখে আছো আজো
হে নৈশব্দের কবি, আবার জাগো
এই বাংলায় পৌষের কুয়াশা সরায়ে
বনলতা সেনের বীজমন্ত্র বুকে লয়ে।

চিলের সোনালি ডানায় উড়ে
চলে গেছ দূরে অনেক দূরে
আকাশের উপরে আকাশলীনার নীড়ে;
ফিরে এসো কবি কার্তিকের ভোরে
এই বাংলায় ধানসিড়িটির তীরে
বুনো হাঁস আর বকেদের ভীড়ে।

সুদর্শন আজো উড়িতেছে গোধূলি সন্ধ্যায়,
হিজলের পাতা আজো ঝরিতেছে হায়
অন্ধকারে নির্জন পথের বাঁকে
লক্ষীপেঁচা ঝিঁঝির করুন ডাকে;
ফিরে এসো কবি শিশিরের গানে
এই বাংলায় ঘাসের নিবেদিত প্রাণে।

জাম-বট-ডুমুরের নিরব হৃদয়
খুঁজে তোমার কবিতা চিত্ররূপময়,
ফিরে এসো কবি শঙ্খচিল শালিখের বেশে
বাংলার মাঠ-ঘাট-নদী ভালোবেসে।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – আটাশ

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি আবার ইলেকশন দিতে পারি।

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি এটম বোম ধ্বংস করতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরাতে পারি।

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি জাতিসংঘের শান্তিদূত হতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি বিশ্বব্যাপী সাদা পতাকা উড়াতে পারি।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – সাতাশ

মেঘের বাড়ী যাবো আজ দুজনে
চলো না হাওয়ায় ভাসি,
মনের ভুবনে যাবো আজ গোপনে
চলো না ভালোবাসি।।

মেঘের আড়ালে পারিজাত কোমলে
খুঁজে নিবো জীবনের মানে,
গোধূলি গগনে সূর্যটা হারালে
ছুটে যাবো নক্ষত্র-বাগানে।

মেঘের বাড়ী যাবো আজ দুজনে
চলো না হাওয়ায় ভাসি,
মনের ভুবনে যাবো আজ গোপনে
চলো না ভালোবাসি।।

সুরভিত বাতাসে চাঁদোয়া আকাশে
উড়ে যাবো নীল জ্যোৎস্নায়,
পরীর দেশে মায়াবী আবেশে
খুলে দিবো হৃদয় তোমায়।

মেঘের বাড়ী যাবো আজ দুজনে
চলো না হাওয়ায় ভাসি,
মনের ভুবনে যাবো আজ গোপনে
চলো না ভালোবাসি।।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – ছাব্বিশ

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি মন্ত্রীসভার রীতিনীতি উপেক্ষা করতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত প্রত্যাখান করতে পারি।

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি স্বর্গের সব জানালা নির্দ্বিধায় ভাঙতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি জাহান্নামে অসংখ্য গোলাপ ফোটাতে পারি।

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি আমেরিকার ভিসা ছুঁড়ে ফেলতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি তোমার করুণ দু’চোখে স্বপ্ন হতে পারি।

শিপ্রা,
তুমি চাইলে-
আমি তোমার উর্বর দেহে দুর্বার নদী হতে পারি।
তুমি চাইলে-
আমি তোমার বুকে নক্ষত্রের চাষ করতে পারি।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – পঁচিশ

আমি যাকে ভালোবেসে ছিলাম
সেই নারী আজ আর
তোমাদের মানবিক পৃথিবীতে নেই-
হাতে তার নেই কোন গোলাপ
কিম্বা রজনীগন্ধা
চোখে তার নেই কোন মানসিক স্বপ্ন
খোঁপায় তার নেই কোন জবাফুল
কিম্বা হাস্নাহেনাঃ
তবু বাণিজ্যিক পৃথিবীতে আজো তারে
সকাল বিকাল দেখা যায় মার্সিডিজে;
অফিসে সদাব্যস্ত ব্যবসায়িক আলাপে
মিটিংয়ে অথবা মুঠোফোনে;
কখনো কখনো দৃষ্টি নিবিষ্ট
ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপে-
চোখে তার আজ নেই কোন প্রেম,
নেই প্রীতি, নেই ভালোবাসা;
রোবটের মত দিনরাত্রি কাটে তার
শুধু গাণিতিক সংকেতে।
তবু এই নারী ছিল একদিন
‘বনলতা সেন’ ক্লান্ত প্রাণে,
‘সবিতা’ অন্ধকার চোখে,
‘সুরঞ্জনা’ হৃদয়ের আকাঙ্খায়ঃ
হায়! সেই ‘বনলতা-সবিতা-সুরঞ্জনা’
আজ কোথায় হারালো!
/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – চব্বিশ

তুমি গাও আর নাই গাও
আজ গাইছে কোকিল,
তুমি হাসো আর নাই হাসো
আজ হাসছে নিখিল।
তুমি ভালোবাসো আর নাই বাসো
আজ কৃষ্ণচূড়া হসন্ত,
তুমি আসো আর নাই আসো
আজ এসেছে বসন্ত।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন

ভালোবাসার কাব্য – তেইশ

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি
শিয়রে ঝুঁকে আছে শিপ্রার মুখ,
কপালে তাহার শীতল শাদা হাত
মমতায় মুছে নেয় বিষম অসুখ।
তাহার পাঁচ আঙুলের উম উষ্ণতায়
নিমিষে উড়ে যায় দুঃস্বপ্নের ঘাম,
মরিবার সময় হলে সবার আগে
নিবো আমি জেনো শিপ্রার নাম।

/ড. মোঃ সফি উদ্দীন