রুবা রহমান এর সকল পোস্ট

এবং আমি

তোমার একবেলা আধবেলা ভালোবাসা
পাওয়ার ইচ্ছে হলেই
আমি ছুটে যাই পথের ধারের শিশুটার কাছে
দুটাকার মুড়ি কিংবা একঠোঙা বাদাম পেলেই
একপৃথিবী ভালোবাসা দেয় তারা।

দূরে আছি সেই ভালো
একবিকেল তোমায় ছুঁতে ইচ্ছে হলেই
ফুল হাতে ছুটে চলা মেয়েটাকে ছুঁয়ে দিই
একটা বকুল মালা খোঁপায় গুজে
কটা নোট দিলেই মধুর ভরসায়
জড়িয়ে ধরে তারা।

তোমার প্রেমের প্রার্থনায় থাকার চেয়ে
সিগন্যালে হাত পেতে দাড়িঁয়ে থাকা
অন্ধের থালা ভরে যাক সেই প্রার্থনা করি।

প্রেম ভালবাসা একজনের জন্য নয়
ভালোবাসা হোক জনে জনে
প্রেম হোক মানুষে মানুষে।

শব্দ খেলা

শৈশব হারিয়েছি, হয়েছে স্বপ্ন চুরি
মনে পরে মেয়েবেলা লাল ফিতে, লাল চুড়ি,
বনে বনে খুঁজে দেখা পাখিদের বাসা
শ্রাবণেতে হাঁটু জলে ভেলা নিয়ে ভাসা।

সময় ফুরালে পথিকও ফেরে বাড়ি
একলা সে পথখানি নয়নে মাখে বারি,
বালিকা বধূ সন্ধ্যে হলে জ্বালে দীপ
আঁধার বরণ করে দূরের কোন দ্বীপ।

চৈত্রে মরা নদী বুকে মহাশোক
তবু কোকিলের ঠোঁটে নামে বাসন্তী সুখ,
গোধূলি বিদায় দিয়ে পাখি খুঁজে নীড়
সাথীহীন ডাহুকের চোখে জমে নীর।

শেষ চিরকুট

এই পথ দিয়ে কেউ চলে যায় নিয়ম করে
ট্রেনের হুইসেলে আটকে থাকে বধির আবেগ,
স্থিরতর রেললাইনের মতন,স্থির হয়ে আসে দৃষ্টি
শুরু থেকে শেষ ট্রেনের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে
অবশেষে বুঝতে পারি
সময়ের প্রবঞ্চনায়,দিগন্তের ধমর্ঘট ভেঙে
মুক্ত বলাকার মতন ডানা মেলেছো তুমি !

আজ তুমি চলে যাবার পর
বাতাসে বাতাসে উড়ে বেড়ায় শূন্যতা,
অভিমানে অভিমানে নীল বরষা নামে,
প্রিয় পাখির ঠোঁটে মিশে যায় সনাতন আধাঁর
সমুদ্রের জোছনা ভেঙে ভেঙে আছঁড়ে পড়ে
মধ্য নদীর জলে।

তবুও আনকোড়া সুখের আসকারায়
আরো একটি অদ্ভুত স্বপ্নের দাবি নিয়ে
কিছু আনাড়ী শব্দ দিয়েই হয়তো লিখবো
‘শেষ চিরকুট’।

এবার বসন্তে

এবার বসন্তে
তোমার বালুনদীর পাড়ের
সোনালী সন্ধ্যেগুলোর মরণ হোক,
জোনাক বনের সমস্ত সবুজ পিপাসিত হৃদয় নিয়ে
টুকরো টুকরো পাথর হয়ে উঠুক।

এবার বসন্তে
তোমার প্রেয়সীদের খোঁপার রাধাচূঁড়া
পদদলিত হয়ে ফুটপাতে মূর্ছা যাক,
প্রণয়ের একচিলতে উঠোন
হয়ে যাক সীমাহীন বিরান ভূমি।

এবার বসন্তে
তোমার চোখে ভেসে বেড়াক
চিতার জ্বলজ্বলে আগুন,
তোমার আপাদমস্তক জুড়ে লেগে থাকুক
কারো বসন্ত খুনের টগবগে রক্ত।

শব্দের খেলা

সময় ফুরালে পথিকও ফেরে বাড়ি
একলা সে পথখানি নয়নে মাখে বারি,
বালিকাবধূ সন্ধ্যে হলে জ্বালে দীপ
আধাঁর বরণ করে দূরের কোন দ্বীপ।

চৈত্রে মরা নদী বুকে মহাশোক
তবুও কোকিলের ঠোঁটে নামে বাসন্তী সুখ,
গোধূলি বিদায় নিলে পাখি খুঁজে নীড়
সাথীহীন ডাহুকের চোখে জমে নীর।

শৈশব হারিয়েছি,হয়েছে স্বপ্ন চুরি
মনে পরে মেয়েবেলা লাল ফিতে-লাল চুড়ি,
বনে বনে খুঁজেছি পাখিদের বাসা
শ্রাবণেতে হাটুজলে ভেলা নিয়ে ভাসা।

শব্দের খেলা

সময় ফুরালে পথিকও ফেরে বাড়ি
একলা সে পথখানি নয়নে মাখে বারি,
বালিকাবধূ সন্ধ্যে হলে জ্বালে দীপ
আধাঁর বরণ করে দূরের কোন দ্বীপ।

চৈত্রে মরা নদী বুকে মহাশোক
তবুও কোকিলের ঠোঁটে নামে বাসন্তী সুখ,
গোধূলী বিদায় নিলে পাখি খুঁজে নীড়
সাথীহীন ডাহুকের চোখে জমে নীর।

শৈশব হারিয়েছি,হয়েছে স্বপ্ন চুরি
মনে পরে মেয়েবেলা লাল ফিতে-লাল চুড়ি,
বনে বনে খুঁজেছি পাখিদের বাসা
শ্রাবণেতে হাটুজলে ভেলা নিয়ে ভাসা।

নক্ষত্রের গল্প

আকাশ নক্ষত্রের গল্প ভুলে গেছে
এখানে রঙিন ফানুসের উর্ধ্বমুখী বেগ,
আতুর কাকের ভূতুরে চিৎকারে
নারকেল ফুলের মতন ঝরে মেঘ
ফরসা ডানার পাখিগুলো কেড়ে নেয়
সূর্যের গন্ধ!

নবীন প্রেমিকার স্ফীত খোঁপায়
কাঠগোলাপ দেখে মনে পরে-
কোন মোহময় ফাল্গুনে
কাকে যেনো ভালোবেসে ছিলাম।
অথচ,
দুপুরের মাঠে শুয়ে থাকা
মেঠো নীরবতার মতন
হৃদয়ের স্তব্ধতায় আজ সে লীন!

চিঠি

এই ধূ ধূ রাত্তিরে উদাসীন জোনাকির মতন
পত্রের আশায় জেগে থাকে যুবতী চাঁদ,
গোটা গোটা শব্দে ফাগুনের শুভেচ্ছা বার্তা নয়,
প্রেম-প্রণয়ে ঠাসা
গুচ্ছ কবিতার লাইন ও নয়,
ব্যাথার বিভীষিকায়,শোকের শ্মশানে পুড়ে যাওয় া
মূক শব্দ দিয়েই না হয় লিখে দিও
প্রাপকের নাম….
তবুও পত্র দিও।

ক্ষত

আমরা বরং ক্ষত নিয়ে ফিরে যাই
দু-প্রহরের গল্প বিসর্জন দিই
সমদ্রের গা ঘেঁষা নির্জন ঢেউয়ের কাছে।
প্রেম ভেবে কুড়িয়ে নিই
মরা শামুকের খোলস।

আমরা বরং ক্ষত নিয়েই ফিরে যাই
যেমন করে ফিরে যায়-
বিকেলের ঠোঁটে চুমু খাওয়া কুমারী হাওয়া।